স্বাস্থ্যবিধি
পাটুরিয়াঘাট দিয়ে ঢাকায় ছুটছে মানুষ
আগামী ১ জুলাই পোশাক কারখানার খোলার ঘোষণায় লকডাউন উপেক্ষা করে হাজার হাজার পোশাক কর্মীরা পাটুরিয়া ফেরিঘাট দিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা থেকে এসব যাত্রীর কর্মস্থলে যোগ দেয়ার জন্য বের হয়েছেন।
শনিবার সকাল থেকে পাটুরিয়ার চারটি ফেরিঘাটেই দেখা গেছে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। কোন ধরনের স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই প্রতিটি ফেরিতেই হাজার হাজার যাত্রী নদী পার হচতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: বৈরী আবহাওয়ায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজারে ফেরি চলাচল বন্ধ
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা সেক্টরের ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানান, আটটি ফেরি জরুরি পরিষেবা ও পণ্যবোঝাই ট্র্রাক পারাপারের জন্য রাখা হয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে কোন ধরনের যানবাহন ফেরিতে উঠতে পারছে না। তারা এ করকম হিমশিমে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: লকডাউন: বিনা বাধায় ফেরিতে যাত্রী আসছে পাটুরিয়াঘাটে
এদিকে, গণপরিবহন না থাকায় যাত্রীরা তিন চাকার বিভিন্ন যানবাহন, রিকশা-ভ্যানে চড়ে কেউবা পায়ে হেঁটেই যে যেভাবে পারছেন গন্তব্যে ছুটছেন।
বাগেরহাটে লকডাউনে ৬৩ জনকে জরিমানা
বাগেরহাটে সরকারি বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৬৩ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ৩৮ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া একজনকে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বিধিনিষেধ লঙ্ঘন: বাগেরহাটে ৭ জনের কারাদন্ড, ৪১ জনকে জরিমানা
শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার নয়টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন।এদিকে বাগেরহাট জেলাসদরসহ বিভিন্ন উপজেলার বাজারগুলোতে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা নেই বললেই চলে। লকডাউনে কঠোর বিধিনিষেধ উপক্ষো করে মানুষ অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হচ্ছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও মানুষ রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহনে চলাচল করেছে। অনেকেই আবার আড্ডা দিচ্ছে অলিগলিতে।
আরও পড়ুনঃ সিরাজগঞ্জে লকডাউন অমান্যে ৭১ জনের জরিমানা
বাগেরহাটে দ্বিতীয় দফায় লকডাউনের নবম দিনে শনিবার বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা যায়।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, সরকারি বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে নিয়ে প্রতিদিন জেলার সকল উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করছেন। অভিযান চলাকালে বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করলে তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে জরিমানা: নৌ প্রতিমন্ত্রী
কঠোর লকডাউন: ঢাকার রাস্তায় মানুষ ও যানবাহন বেড়েছে
করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরনের পর দেশে সংক্রমণ রোধে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে ঢাকার রাস্তায় মানুষ ও যানবাহন চলাচল বেড়েছে।
দেশজুড়ে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউনের সপ্তম দিনে বৃহস্পতিবার ঢাকার রাস্তায় যানবাহন ও মানুষের চলাচল যথেষ্ট পরিমাণে বেড়েছে।
অনেককেই স্বাস্থ্যবিধি না মেনে প্রয়োজন ছাড়াই রাস্তায় বের হয়ে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়।
অনেক বেসরকারি অফিস তাদের নিজস্ব কর্মীদের পরিবহনের ব্যবস্থা করায় যানবাহন চলাচল বেড়েছে। তবে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী রাস্তায় গণপরিবহন বন্ধ ছিল।
পড়ুন: বিশ্বে করোনায় ৪১ লাখ ৮৬ হাজারের অধিক প্রাণহানি
লকডাউনে লোকজন রিকশায় তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে দেখা গেছে।
ট্রাফিক পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, ‘রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আমরা প্রত্যেক যানবাহন চেক করছি। যারা বৈধ কারন ছাড়া রাস্তায় বের হয়েছে তাদের জরিমানা করা হচ্ছে এবং লকডাউন বিধি লঙ্ঘনের দায়ে মামলা দেয়া হচ্ছে।’
ঝিনাইদহে করোনায় মৃত্যু ৫, মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি
ঝিনাইদহে গত ২৪ ঘণ্টায় করনো আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫ জন।এসময় আরও ৭০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম জানান, বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা পজেটিভ নিয়ে ৫ জন মারা গেছে।এ নিয়ে জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাড়ালো ১৯৪ জনে।
আরও পড়ুনঃ রামেকে একদিনে করোনায় ১৭ মৃত্যু
এছাড়াও নতুন করে ২৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭০ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তের হার ২৯ দশমিক ৪ ভাগ।
তিনি বলেন, করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা রোধ করা যাচ্ছে না। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সরকারি নির্দেশনা না মেনে বিনা কারণে অযথা বাইরে ঘোরাঘুরি। আর স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে সংক্রমণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। পুলিশ বা প্রশাসন কঠোর হলেও মানুষ যদি সচেতন না হয় তবে করোনার সংক্রমন রোধ করা সম্ভব হবে না।
আরও পড়ুনঃ বরিশাল বিভাগে করোনা ও উপসর্গে ২০ জনের মৃত্যু
এদিকে জেলায় চলমান কঠোর লকডাউনের মানা হচ্ছে না কোনও নির্দেশনা। আইন অমান্য করে বিনা কারণে নানা অজুহাতে বের হচ্ছে মানুষ।
সড়কেও বেড়েছে ছোট ছোট যানচলাচল ও লোকসমাগম। শহরের অধিকাংশ দোকান পাট আংশিক খোলা রেখে কেনাবেচা করছে। সকালে শহরের বিভিন্ন সড়ক ও গলিতে অন্যান্য দিনের তুলনায় বেড়েছে মানুষের উপস্থিতি।
আরও পড়ুনঃ খুলনায় করোনায় আরও ১৬ মৃত্যু
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সেলিম রেজা বলেন, কঠোর লকডাউন কার্যকরে জেলা ও উপজেলায় ১১ টি ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়মিত পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত সচেতনতামূলক প্রচার প্রচারণা করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্যবিধি ভেঙে ঈদের নামাজ আদায়: মালয়েশিয়ায় ৪৮ বাংলাদেশি আটক
মালয়েশিয়ার পেনাং রাজ্যে মসজিদের বাইরে করোনার স্বাস্থ্যবিধি ভেঙে ঈদের নামাজ আদায়ের অভিযোগে মঙ্গলবার ৪৮ বাংলাদেশি ও একজন স্থানীয় নাগরিককে আটক করেছে দেশটির পুলিশ।
পেনাং রাজ্যের পুলিশ প্রধান দাতুক মোহাম্মদ শুহাইল মোহাম্মদ জেইন জানিয়েছেন, সরকারের করোনা আইন ভেঙে শত শত লোক স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ঈদের নামাজ আদায়ের দৃশ্যের একটি ভিডিও দ্রুতই ভাইরাল হয়ে যায়। পরে প্রশাসন অভিযান চালিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আটক করে।
পড়ুন: মালয়েশিয়ায় ১০২ বাংলাদেশি আটক
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে পেনাং রাজ্যের জুরু তামান পেলাংগি মসজিদে ১০০ মানুষকে জামাতে নামাজ আদায়ের জন্য প্রবেশের অনুমতি দেয় কর্তৃপক্ষ। এ সময় মসজিদে প্রবেশ করতে পারেননি এমন দুই শতাধিক মানুষ মসজিদের বাইরে ঈদের নামাজ আদায় করেন। যাদের বেশিরভাগই বাংলাদেশি।
পড়ুন: হাইকমিশনের উদ্যোগে মালয়েশিয়াতে বিএডিসি’র আলু রপ্তানি
করোনা মহামারির মধ্যে দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে ঈদুল আজহা
স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলনায় ঈদ উদযাপন
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে এবার সারা দেশের মতো খুলনায়ও যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করা হয়েছে।
শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সকাল ৮টায় খুলনা টাউন জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে ইমামতি করেন টাউন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ সালেহ। এছাড়া কালেক্টরেট জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় একটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুনঃ বাগেরহাট ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদের ৩টি জামাত অনুষ্ঠিত
ঈদের জামাতে খুলনার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন।
নামাজ শেষে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি, দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
আরও পড়ুনঃ স্বাস্থ্যবিধি মেনে কুমিল্লায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডের ৭৫৫টি মসজিদে সিটি করপোরেশনের সহায়তায় ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে পৃথকভাবে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া খুলনা জেলার নয়টি উপজেলার প্রায় দুই হাজার নয়শত ৯৩টি মসজিদে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রামে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত
ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার, খুলনা বিশেষ অনুষ্ঠানমালা এবং স্থানীয় সংবাদপত্রসমূহ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করে। বিভিন্ন হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, ভবঘুরে কল্যাণকেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণকেন্দ্রে ঈদ উপলক্ষে বিশেষ খাবার বিতরণ করা হয়।
পাটুরিয়ায় যাত্রীর চাপ, মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি
সকাল থেকে তেমন ভিড় না থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে পাটুরিয়া ঘাটে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় শুরু হয়। একটি ফেরিতেই গাদাগাদি করে হুমরি খেয়ে ফেরিতে উঠছে মানুষ। সামাজিক দূরত্ব বালাই মাত্র নেই এখানে, মাস্ক পরছেন না অনেক যাত্রী।
ফেরিঘাটের মত লঞ্চঘাটেও একই চিত্র, পর্যাপ্ত পরিমাণ লঞ্চ থাকার কারণে যাত্রীদের দুর্ভোগ নেই। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না অনেকেই। লঞ্চঘাট কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করছেন স্বাস্থ্য বিধি মেনে যাত্রী পারাপার করার জন্য কিন্তু যাত্রীরাই স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব মানছেন না।
পড়ুন: রাজধানীতে যানজট, যাত্রীদের ভোগান্তি
মাস্ক না পরায় বিআইডব্লিউটিসির কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে অনুষ্ঠানে মাস্ক না পরার কারণে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) কর্মচারী মো. জাকির হোসনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রবিবার এ সংক্রান্ত দাপ্তরিক আদেশ জারি করেছে বিআইডব্লিউটিসি।
এতে বলা হয়েছে, মাস্ক পরিধান না করার কারণে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী, বিশেষ অতিথিসহ অন্যান্যদের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলা সরকারি নির্দেশনা অবজ্ঞার শামিল এবং সরকারি চাকরির নিয়ম-শৃঙ্খলার পরিপন্থি বলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণ এড়াতে কোরবানির সময় যা যা মেনে চলবেন
উল্লেখ্য, গত ১৫ জুলাই নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী শিমুলিয়া ফেরিঘাটে বিআইডব্লিউটিসির নবনির্মিত দুটি ফেরি 'কদম' ও 'কুঞ্জলতা' উদ্বোধন করেন। এই অনুষ্ঠানে বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসির কর্মচারীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুখে মাস্ক লাগালেও 'সময় টিভিতে' প্রচারিত ছবিতে কর্মচারী মো. জাকির হোসেনের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে পোশাক শ্রমিকদের টিকা দেয়া শুরু
প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ড. শামসুল আলম
পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কঠোর ব্যবস্থা: মেয়র আতিক
কোরবানির পশুর হাটে সরকারি নির্দেশনাসহ সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করা না হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সতর্ক করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
শনিবার রাজধানীর গুলশানে নগর ভবনে মনিটরিং টিমের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এই সতর্কবার্তা দেন।
আরও পড়ুনঃ ডিজিটাল কোরবানির পশুর হাটের উদ্বোধন
ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাট বসানো হয়েছে। স্থায়ী একটিসহ নয়টি পশুর হাটের ইজারা শর্ত সঠিকভাবে অনুসরণ করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে ১৫ সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়েছে। ১৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে এই দলে ১৩ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং দু'জন ভেটেরিনারি কর্মকর্তা রয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসবে পশুরহাট: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
মেয়র বলেন, ডিএনসিসির আওতাধীন প্রতিটি পশুর হাটে সরকারি নির্দেশনাসহ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে ডিএনসিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী হাকিমের নেতৃত্বে একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। শক্তি ফাউন্ডেশন প্রতিটি বাজারে ২০০ প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক, ২০০ টিশার্ট এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক মাস্ক সরবরাহ করেছে। এছাড়াও, ইজারাদাররা সমস্ত গরুর বাজারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহ করেছেন।
মেয়র বলেন, পশুর হাটগুলোতে যথাযথ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের উভয়কেই মাস্ক পরতে হবে এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ঢাকায় তিন পশুর হাট বাতিল
তিনি জানান, করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধকল্পে গবাদি পশুর হাটগুলোতে শারীরিক উপস্থিতি এড়ানোর লক্ষ্যে ‘ডিএনসিসি ডিজিটাল হাট -২০২১’এর আয়োজন করা হয়েছে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ডিএনসিসির নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা এবং শক্তি ফাউন্ডেশনের উপ-নির্বাহী পরিচালক ইমরান আহমেদ।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসবে পশুরহাট: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে অনলাইনের পাশাপাশি যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি এবং সরকারি অন্যান্য নির্দেশনা মেনে সারাদেশে কোরবানির পশুর হাট বসানো হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
বুধবার স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে অনলাইনে আয়োজিত পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুরহাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি ও পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রস্তুতি পর্যালোচনায় আন্তমন্ত্রণালয় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা জানান।
আরও পড়ুনঃ করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ঢাকায় তিন পশুর হাট বাতিল
মন্ত্রী বলেন, মুসলমানদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। এর সাথে মানুষের আবেগ-অনুভূতি জড়িত। তাই বিভিন্ন প্রতিকূলতা, দুর্যোগ-দুর্বিপাকেও এগুলোকে পরিহার করা সম্ভব হয় না। গত বছর করোনা মহামারির মধ্যেও সরকার থেকে পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। এ বছর করোনার প্রাদূর্ভাব বেশি থাকা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, কুরবানীর পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের একমুখী চলাচল থাকতে হবে অর্থাৎ প্রবেশপথ এবং বহির্গমনের পৃথক করতে হবে। পাশাপাশি হাটে আগত সকলে যাতে স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে তা নিশ্চিত করতে হবে। এ সময় ক্রেতা-বিক্রেতা প্রত্যেকের তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র এবং হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত বেসিন, পানি এবং জীবাণুনাশক সাবান রাখার নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রামে ১৭ শর্তে বসবে পশুর হাটএছাড়া, পশু কোরবানির পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।অনলাইনে পশু ক্রয়-বিক্রয়ে মানুষকে উৎসাহী করার আহবান জানিয়ে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, অনলাইনের মাধ্যমে পশু কেনা-বেচার জন্য সকল ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সাথে অনলাইনের পাশাপাশি স্বশরীরে পশুর হাট যেন যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালনা করা হয় সেজন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় এমন স্থানে পশুর হাট বসানো যাবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুনঃ গরু কিনে ‘ডিজিটাল পশুর হাট’ উদ্বোধন করলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রীতিনি বলেন, পশু ক্রয়-বিক্রয়ের পদ্ধতি জানতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে জনগণকে সচেতন করার জন্য টিভিতে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এছাড়া, পশু ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবস্থাপনা, কোরবানি এবং বর্জ্য অপসারণের বিষয়েও স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে গাইডলাইন প্রণয়ন করা হয়েছে। গাইড লাইন যথাযথ অনুসরণ করে এই কাজগুলো নির্বিঘ্নে করা সম্ভব হবে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে স্বশরীরে পশুর হাটগুলোতে সার্বিক বিষয় তদারকির জন্য জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বার, পৌরসভার মেয়র, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে সাধারণ মানুষের নিবিড় সম্পর্ক এবং সার্বক্ষণিক যোগাযোগ থাকে। তাই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সরকারি নির্দেশনা সঠিকভাবে পালন করার আহ্ববান জানান।
আরও পড়ুনঃ যত্রতত্র পশুর হাট নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
গতবছরও করোনা মহাসংকটে পশুর হাট বসানো হয়েছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ বছর করোনা সংক্রমণের হার অনেক বেশি। তা সত্ত্বেও কিন্তু পশুর হাটে পশু ক্রয়-বিক্রয় হবে। কোরবানি যতটা সম্ভব নির্বিঘ্নে করা যায় সে জন্য সরকারের পক্ষ থেকে অন্যান্য মন্ত্রণালয় বা বিভাগ, দপ্তর বা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলে সভায় জানান মো. তাজুল ইসলাম।
অনলাইন সভায়, সকল সিটি করপোরেশনের মেয়র, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ, দপ্তর বা সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।