ভারত
বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন সংযোগ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে: মোদি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ক্রমবর্ধমান জ্বালানির দাম বর্তমানে সমস্ত উন্নয়নশীল দেশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন সংযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা চলছে।
মঙ্গলবার দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ‘বিস্তৃত আলোচনা’ শেষে মোদি বলেন, ‘আজ মৈত্রী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের কাজ সম্পন্নের ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে সাশ্রয়ী বিদ্যুতের প্রাপ্যতা বৃদ্ধি করবে।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির জন্য এশিয়ার বৃহত্তম বাজার এবং এই প্রবৃদ্ধি আরও ত্বরান্বিত করতে তারা শিগগিরই দ্বিপক্ষীয় ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সেপা) নিয়ে আলোচনা শুরু করবে।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন্যা প্রশমনের ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার ‘ফলপ্রসু আলোচনা’ হয়েছে।
আরও পড়ুন: যৌথভাবে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট ১- এর কাজ সম্পন্নের ঘোষণা হাসিনা-মোদির
তিনি বলেন, ভারত রিয়েল-টাইমের ভিত্তিতে বন্যা সংক্রান্ত তথ্য বাংলাদেশের সঙ্গে শেয়ার করছে এবং তারা তথ্য আদান-প্রদানের সময়সীমাও বাড়িয়েছে।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের মধ্য দিয়ে ৫৪টি নদী প্রবাহিত হয়েছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এগুলো দুই দেশের মানুষের জীবন-জীবিকার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে আছে।
এ বিষয়ে মোদি বলেন, ‘এই নদীগুলো সম্পর্কিত লোককাহিনী ও লোকগীতিও আমাদের যৌথ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সাক্ষী। আজ আমরা কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সই করেছি। এটি ভারতের দক্ষিণ আসাম ও বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলকে উপকৃত করবে।’
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নে মোদি বলেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে ধাপে ধাপে হাঁটবে। ‘আমাদের আজকের আলোচনাটি মূলত এই প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার একটি দুর্দান্ত সুযোগ ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ আমরা সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছি। ১৯৭১ সালের চেতনাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য, আমাদের পারস্পরিক বিশ্বাসকে আঘাত হানতে চায় এমন শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের একসঙ্গে লড়াই করাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
মোদি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অসামান্য উন্নতি করেছে।
তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের পারস্পরিক সহযোগিতাও দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। ‘আজকে, বাংলাদেশ ভারতের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার এবং এই অঞ্চলে আমাদের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার।’
আরও পড়ুন: ঢাকা-দিল্লি ৭ সমঝোতা স্মারক সই
মোদি বলেন, দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক ও মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কও ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, তারা উভয়েই বিশ্বাস করেন যে কোভিড মহামারি ও সাম্প্রতিক বৈশ্বিক পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়ে তাদের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
মোদি বলেন, ‘আমরা আইটি, মহাকাশ ও পারমাণবিক শক্তির মতো খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যা আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্য আগ্রহের বিষয়। আমরা জলবায়ু পরিবর্তন ও সুন্দরবনের মতো ঐতিহ্য রক্ষায়ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখব।’
তিনি বলেন, রূপসা নদীর ওপর রেলসেতুর উদ্বোধন পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধির একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।
এই সেতুটি ভারতের লাইন অব ক্রেডিট-এর অধীনে খুলনা ও মোংলা বন্দরের মধ্যে নির্মিত নতুন রেললাইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
মোদি বলেন, বাংলাদেশের রেল ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে ভারত সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
আরও পড়ুন: হায়দ্রাবাদ হাউসে বৈঠকে হাসিনা-মোদি
জনসমর্থনহীন সরকার ভারতের সঙ্গে সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর জনসমর্থন না থাকায় ভারতের সঙ্গে অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের প্রতি জনগণের সমর্থন না থাকার কারণে আমাদের সঙ্গে ভারতের অমীমাংসিত অভিন্ন নদীর পানিবন্টন, সীমান্তে বাংলাদেশিদের গুলি করে হত্যাসহ অতি সাধারণ সমস্যাগুলোও সমাধান করতে পারছে না।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, জনগণ সরকারের সঙ্গে না থাকায় প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সমস্যা সমাধানে কঠোর দরকষাকষিও করতে পারছে না।
মঙ্গলবার জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের নবগঠিত আংশিক কমিটির নেতাকর্মীদের নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
গত রবিবার বিএনপির সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানি ও রাজীব আহসানকে সাধারণ সম্পাদক করে আংশিক কমিটি ঘোষণা করেছে দলটি।
আরও পড়ুন: পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: নারায়ণগঞ্জে ৭১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর সম্পর্কে ফখরুল বলেন, প্রতিবার তিনি জনগণকে তিস্তা চুক্তি সাক্ষরের আশা দিয়ে ভারত সফর করলেও তা আজও সাক্ষরিত হয়নি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে আট বিলিয়ন ডলার সহায়তা পাওয়ার কথা থাকলেও দেশটি এই ঋণের আংশিক পেয়েছে মাত্র। ‘এ বিষয়ে আর কোনো অগ্রগতি নেই। জনগণের ক্ষমতার ওপর এসব বিষয় নির্ভর করে। জনগণ যদি এই সরকারকে সমর্থন করত, তাহলে সব কাজ আগেই হয়ে যেত।’
শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে বিএনপির প্রত্যাশা সম্পর্কে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘আমি আবারও বলছি, তাকে ফিরে আসতে দেন এবং দেখেন বাংলাদেশের জনগণের জন্য কি নিয়ে আসে।’
আরও পড়ুন: পাবনায় বিএনপি-আ.লীগের সমাবেশস্থলে ১৪৪ ধারা জারি
এর আগে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মুদির আমন্ত্রণে সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চারদিনের সফরে নয়াদিল্লি যান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মুদি হায়দরাবাদ ভবনে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় মিলিত হন এবং কুশিয়ারা নদীর পানি বন্টন চুক্তিসহ সাতটি সহযোগিতামূলক সমঝোতা চুক্তি সাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপির অফিস ভাঙচুর, নেতাদের বাড়িতে হামলা
যৌথভাবে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট ১- এর কাজ সম্পন্নের ঘোষণা হাসিনা-মোদির
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার যৌথভাবে বাগেরহাটের রামপালে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রকল্পের ইউনিট ১-এর কাজ সম্পন্নের ঘোষণা দিয়েছেন।
ভারতের রেয়াতি অর্থায়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে ১৩২০ মেগাওয়াট যুক্ত করবে।
এর আগে, শেখ হাসিনা ও মোদি ভারতের রাজধানী শহরের হায়দরাবাদ হাউজে এক বৈঠকের পর সাতটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
একজন কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন, মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিটটি অক্টোবরের শুরুতে বাণিজ্যিকভাবে চালু হবে। এটি বাংলাদেশ-ভারত বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির একটি বড় অগ্রগতি।
১৩২০ (২x৬৬০) মেগাওয়াট কয়লা চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট ১ সফলভাবে ১৫ আগস্ট জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে।
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেডের প্রকল্প পরিচালক সুভাষ চন্দ্র পান্ডে ইউএনবিকে বলেছেন, মেগা পাওয়ার প্ল্যান্টের দুটি ইউনিট চালু হয়ে গেলে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টটি হবে বাংলাদেশের বৃহত্তম পাওয়ার প্ল্যান্টগুলোর মধ্যে একটি।
আরও পড়ুন: রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র: সেপ্টেম্বরে শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদির যৌথভাবে ১ম ইউনিট সম্পন্নের ঘোষণা
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট-২, যা রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নামেও পরিচিত; এটি আগামী বছরের শুরুর দিকে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
একজন কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলার রামপালে ১৩২০ (২x৬৬০) মেগাওয়াট কয়লা চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি প্রায় দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে স্থাপন করা হচ্ছে।
বিপিডিবি’র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেডের (বিএইচইএল) জন্য বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) এটি নির্মাণ করছে। বিআইএফপিসিএল হলো ভারতের ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কোম্পানি (এনটিপিসি) লিমিটেড ও বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) মধ্যকার একটি ৫০:৫০ উদ্যোগ।
প্রকল্পের বৈশিষ্ট্যগুলো বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করে প্রকল্প পরিচালক বলেন, পরিবেশগত প্রভাব কার্যকরভাবে প্রশমিত করতে সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আশা করি তিস্তা চুক্তিসহ সব অমীমাংসিত সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে: প্রধানমন্ত্রী
পান্ডে বলেন, ফ্লু গ্যাস নির্গমনের বিস্তৃত বিচ্ছুরণের জন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে লম্বা চিমনি (২৭৫ মিটার) রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কয়লার জন্য একটি অগ্রিম জাহাজ আন-লোডার নির্মাণের পাশাপাশি একটি সম্পূর্ণ আচ্ছাদিত কয়লা স্টক ইয়ার্ড, কম ছাই ও সালফার সামগ্রী সহ উচ্চ গ্রেডের আমদানি করা কয়লা ব্যবহারসহ অন্যান্য ব্যবস্থা রয়েছে।
প্রকল্পের পরিচালক বলেন, গত ৬ এপ্রিল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৪০০ কেভি জিআইএস সুইচইয়ার্ড ও আন্তঃসংযোগকারী ট্রান্সফরমারটি সক্রিয় করা হয়েছিল। তারপর থেকে এটি পায়রা বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বাংলাদেশের ২৩০ কেভি গ্রিড সিস্টেমে ৪০০ কেভি বিদ্যুতের হুইলিং সুবিধা প্রদান করছে। যাতে বাংলাদেশের পাওয়ার গ্রিড করপোরেশন সর্বোচ্চ চাহিদা মেটাতে খুলনা অঞ্চলে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ পাঠাতে সক্ষম হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা-দিল্লি ৭ সমঝোতা স্মারক সই
আশা করি তিস্তা চুক্তিসহ সব অমীমাংসিত সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে: প্রধানমন্ত্রী
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ভারত সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ, ভারত ও এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি টেকসই এবং শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত অংশীদার হিসেবে একসঙ্গে কাজ করতে পারলে এটি শুধু দুই দেশের জন্যই নয়, এ অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করবে।
দিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউজে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর এক প্রেস বিবৃতিতে তিনি বলেন, ৫৪টি নদীর দ্বারা সংযুক্ত এবং চার হাজার কিলোমিটার সীমান্ত ভাগ করে নেয়া, বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের সম্মিলিত সমৃদ্ধি সাধনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক প্রতিবেশি কূটনীতির রোল মডেল হিসেবে প্রশংসিত।
তিনি বলেন, গত এক দশকে উভয় দেশই বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই দেশ বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার চেতনায় অনেক অসামান্য সমস্যার সমাধান করেছে।
আরও পড়ুন: ভারত প্রয়োজনে সব সময় বাংলাদেশকে সাহায্য করে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর সহ সকল অমীমাংসিত সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, গত ৫০ বছরে একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার পর বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারত পারস্পরিক স্বার্থে ক্রমবর্ধমান বৃহৎ পরিসরে কাজ করছে।
তিনি ভারতের স্বাধীনতার ৭৫তম বছর উপলক্ষে বছরব্যাপী উদযাপন ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর সফল সমাপ্তির জন্য ভারতকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী তাদের এই দ্বিপক্ষীয় বৈঠককে আরেকটি ফলপ্রসূ আলোচনা হিসেবে অভিহিত করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে এই বৈঠকের ফলাফল উভয় দেশের জনগণের জন্য সুফল বয়ে আনবে।
শেখ হাসিনা বলেন, পারস্পরিক যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা ও ঋণ সহ কয়েকটি বিষয়ে তারা আলোচনা করেছেন।
তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত সরকার ও জনগণের অমূল্য সমর্থনের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এরপর থেকে, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক পারস্পরিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি, পারস্পরিক আস্থা ও সম্মান, দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্ব এবং অব্যাহত সহযোগিতার পথে যাত্রা অব্যাহত রেখেছে।’
এসময় শেখ হাসিনা নরেন্দ্র মোদির দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করেন, যা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও গতিশীল করে চলেছে।
তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন যে ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও নিকটতম প্রতিবেশি।
আরও পড়ুন: ঢাকা-দিল্লি ৭ সমঝোতা স্মারক সই
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ
ভারত প্রয়োজনে সব সময় বাংলাদেশকে সাহায্য করে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার ভারতকে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী দেশ হিসেবে প্রশংসা করে বলেন, ভারত প্রয়োজনে সব সময় বাংলাদেশকে সাহায্য করে।
তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ এবং এই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের সাথে আমাদের সুসম্পর্ক বিদ্যমান ও অব্যাহত থাকবে।’রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে এক আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা দেয়ার পর তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপসচিব কে এম শাখাওয়াত মুন শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে বলেন, প্রয়োজনে বাংলাদেশ সব সময় ভারতের কাছ থেকে সাহায্য ও সহযোগিতা পায়।
আরও পড়ুন: রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত 'সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়' পররাষ্ট্রনীতি বাংলাদেশ সর্বদা বজায় রেখেছে।
তিনি স্মরণ করেন, ‘১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্যের জন্য আমরা তাদের (ভারত) কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ
মোমেন ভারতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যাচ্ছেন না: গণমাধ্যমে ‘বাদ’ শব্দটি ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন দীপু মনির
ভারতে ‘দুর্গা সম্মাননা’ পেলেন সিমা হামিদ
ভারতের কোলকাতায় অরিজিৎ অফিশিয়াল থেকে ‘দুর্গা সম্মাননা’ পেলেন বাংলাদেশি সফল নারী সমাজসেবী সিমা হামিদ।
রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) কোলকাতার হোটেল দ্যা স্টেডেলে অরিজিৎ অফিশিয়ালের ‘দুর্গা সম্মান ২০২২ অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা দেয়া হয়।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশে সমাজসেবা, উদ্যোক্তাসহ সামাজিক নানা কর্মকাণ্ডে সিমা হামিদের ভূমিকার কথা তুলে ধরা হয়। পরে তার হাতে সম্মাননা তুলে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: নারী দিবসে ৩ সম্মাননা পেলেন বিশ্বজয়ী বাংলাদেশি পর্যটক নাজমুন নাহার
অনুষ্ঠানে তাকে ছাড়াও আরও ১৬ নারীকে এই সম্মাননা দেয়া হয়। তারা হলেন, রাজলক্ষী স্যাম, সর্বানী দাস রায়, রঞ্জিত সিনহা, লুনা চ্যাটার্জী, রুনা বন্দ্যোপাধ্যায়, রঞ্জনা ভঞ্জ, নীলাঞ্জনা চ্যাটার্জী, সুরঞ্জনা দাসগুপ্ত, নিধি পোদ্দার, ড. ডলি গুপ্তা, সুপর্ণা মুখার্জী, মিনু চাঁদ, পূজা ঢেনকি, মধুসত্তা চৌধুরী ও অর্য্যানী ব্যানার্জী।
পরে বক্তারা বলেন, এই সম্মাননার মধ্যে দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মৈত্রী আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।
তারা বলেন, এমন সম্মাননা নতুন কিছু গড়ে তুলতে আমাদের প্রেরণা যোগায়। এজন্যে অরিজিৎ অফিসিয়ালের কর্ণধার অরিজিৎ মুখার্জীকে বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে প্রয়াত ৩ ভাষা সৈনিককে সম্মাননা প্রদান
কৃষিতে আজীবন সম্মাননা পেলেন কৃষিমন্ত্রী
রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন দেশটিতে সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজঘাটে ভারতের স্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকার আন্দোলনের প্রধান নেতা মহাত্মা গান্ধীর সমাধির বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
পরে তিনি মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধার চিহ্ন হিসাবে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এরপর সেখানে দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন শেখ হাসিনা।
রাজঘাট হল যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত একটি স্মৃতিসৌধ, যা মহাত্মা গান্ধীকে উৎসর্গ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
আজ পরে হায়দ্রাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কথা রয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে চার দিনের সরকারি সফরে সোমবার নয়াদিল্লি পৌঁছেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ
মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন: বেনাপোলে বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ
ভারতের টুরিস্ট ভিসা কীভাবে পাবেন: আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, প্রসেসিং ফি
গন্তব্য যখন ভারত সেখানে ভ্রমণপিপাসুদের দ্বিতীয়বার চিন্তা করার কোনো অবকাশ থাকে না। এলাকার দিক থেকে পৃথিবীর বৃহত্তম দেশগুলোর মধ্যে সপ্তম অবস্থানে থাকা এই দেশটি প্রাকৃতিক নিদর্শনের সবটুকুই যেন বক্ষে ধারণ করে আছে। করোনা মহামারিতে মুষরে পড়লেও পরের বছরেই পর্যটনখাতের ক্ষতি পুষিয়ে নিয়েছে তাজমহলের এই দেশ। বিশ্বের ২৫তম সর্বাধিক পরিদর্শনকারী দেশ হওয়ায় ভারতের টুরিস্ট ভিসা অনেক পরিব্রাজকদের অতি আকাঙ্ক্ষিত বস্তু।
২০২১ সালে বিশ্বের এই দ্বিতীয় জনবহুল দেশটির জিডিপি’র (গ্রস ডমেস্টিক প্রোডাক্ট) পাঁচ দশমিক আট শতাংশ ছিল পর্যটনখাতের অবদান। গত এক বছর ধরে আবারো সরব হয়ে উঠেছে হাজারো ঐতিহাসিক স্থাপনার ধারক দেশটি। আজকের নিবন্ধের মাধ্যমে ভারতীয় টুরিস্ট ভিসা লাভের সামগ্রিক দিক সম্বন্ধে বলা হয়েছে।
ভারতের টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদনের নিয়ম
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
→ ভিসার আবেদনপত্রের সাদাকালো অথবা রঙ্গিন প্রিন্ট কপি
→ সর্বনিম্ন ছয় মাস মেয়াদ সম্পন্ন পাসপোর্টের ফটোকপি; সঙ্গে মূলকপিও নিতে হবে। পুরনো পাসপোর্ট থাকলে সেটাও লাগবে। অনেক সময় পুরনো পাসপোর্টের নাম্বার নতুন পাসপোর্টে থাকে না। সেক্ষেত্রে থানায় জিডি (জেনারেল ডায়রি) করে তার কপি জমা দিতে হবে। নতুবা ভিসার আবেদন জমা নেয়া হয় না।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম ভ্রমণ গাইড: ঘুরে আসুন বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বন্দর নগরী
→ ইঞ্চি পরিমাপে দুই বাই দুই সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে দুই কপি ছবি লাগবে। ছবির সাইজ সাধারণ পাসপোর্ট সাইজ থেকে কিছুটা ভিন্ন হয়। (স্টুডিওতে ভারতীয় ভিসা সাইজ বললে ওরা প্রস্তুত করে দেবে)
→ অনলাইনে নিবন্ধনকৃত জন্মসনদ বা এনআইডি (ন্যাশনাল আইডি) কার্ড; যেটা দিয়ে পাসপোর্ট করা হয়েছিল সেটার ফটোকপি দিতে হবে। এর কোনো ব্যতিক্রম হলে ভিসা বাতিল হওয়ার সম্ভবনা বাড়ে।
→ ঠিকানা প্রমাণপত্র হিসেবে বর্তমান ঠিকানার সর্বোচ্চ ৩ মাস পুরনো গ্যাস/পানি/বিদ্যুৎ/টেলিফোন বিলের ফটোকপি। প্রিপেইড মিটার গ্রাহকগণ মিটার কার্ডের উভয় পাশের ফটোকপি দিয়ে কাজ চালাতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ভিমরুলি ভাসমান পেয়ারা বাজার: বাংলার ভেনিস বরিশালের সৌন্দর্য্যে সেরা সংযোজন
→ শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে স্টুডেন্ট আইডি কার্ডের ফটোকপি আর চাকরিজীবী হলে এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) লাগবে। এক্ষেত্রে মনে রাখা বাঞ্ছনীয় যে পাসপোর্টে যদি স্টুডেন্ট হিসেবে করা হয়ে থাকে তবে আইডি কার্ড দিতে হবে। আর যদি প্রাইভেট সার্ভিস হিসেবে করা হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে এনওসি দেয়াই উত্তম। ভিজিটিং কার্ড থাকলে সেটাও সংযুক্তি হিসেবে দেয়া যেতে পারে। এটা অতিরিক্ত নথি নয়; বরং ভিসা প্রাপ্তির সম্ভাবনা বাড়াবে।
→ সর্বনিম্ন ১৫০ ডলার এন্ডোর্সমেন্ট করতে হবে। এই এন্ডোর্সমেন্ট করতে হবে অবশ্যই ব্যাংক থেকে; কোনো মানি এক্সচেঞ্জার থেকে নয়। এন্ডোর্সমেন্ট করার পর ব্যাংক থেকে সরবরাহকৃত গ্রাহক কপিটির ফটোকপি দিতে হবে। এছাড়া প্রার্থীর নিজের বা বাবারব্যাংক স্টেটমেন্টও জমা দেয়া যাবে। সেক্ষেত্রে বিগত ছয়মাস ধরে অ্যাকাউন্টে সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা থাকতে হবে।
→ ৮০০ টাকা ভিসা ফি দেয়ার রশিদের ফটোকপি|
আরও পড়ুন: ঢাকার সেরা ১০টি জাদুঘর: ইতিহাস রোমন্থনের সঙ্গে জ্ঞান আহরণের অভাবনীয় সুযোগ
অনলাইনে ভারতের টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন
টুরিস্ট ভিসার আবেদনের জন্য প্রথমে যেতে হবে ভারত সরকারের ইন্ডিয়ান ভিসা অনলাইন সাইটে। এখানে অনলাইন ভিসা অ্যাপ্লিকেশনে ক্লিক করে প্রতিটি ঘর পাসপোর্ট অনুযায়ী সতর্কতার সঙ্গে পূরণ করতে হবে। অধিকাংশ ভিসার আবেদন প্রত্যাখানের পেছনে এই আবেদনপত্র ভুলভাবে পূরণ করাই দায়ী।
অনলাইনে ভারতের টুরিস্ট ভিসা আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
আবেদনপত্র পূরণ করার সময় কিছু কাগজপত্র আগে থেকেই প্রস্তুত রাখতে হবে।
এগুলো হলো- কমপক্ষে ছয় মাস মেয়াদি পাসপোর্ট, প্রার্থীর ভারতীয় ভিসা সাইজের ছবির সফট বা স্ক্যান কপি এবং ভারতে যাওয়ার পর যে হোটেলে ওঠা হবে তার ঠিকানা এবং ফোন নাম্বার।
আরও পড়ুন: হাকালুকি হাওর ভ্রমণ: এক নিঃসীম জলজ মুগ্ধতা
হাতে বেশ কিছুটা সময় নিয়ে আবেদনপত্র পূরণ করতে বসতে হবে। সঠিকভাবে পূরণ করতে সর্বসাকূল্যে প্রায় এক ঘণ্টা সময় নিতে পারে।
আবেদন ফর্মের ইন্টার্ফেসটি আসার পর আবেদনকারীর পুরো নাম, বাবা-মায়ের নাম, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, অফিস বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তথ্যাদি সব নির্ভুলভাবে দিতে হবে। এরপর ভারতে কোনো পোর্ট দিয়ে যাওয়া হবে সেটা নির্বাচন করতে হবে। বেনাপোল দিয়ে গেলে নির্বাচন করতে হবে হরিদাশপুর পোর্ট। তামাবিল দিয়ে বের হলে বাছাই করতে হবে ডাউকি। চেংড়াবান্দাতে টিক দিতে হবে যদি বুড়িমারী রুট ব্যবহার করা হয়। দর্শনা পোর্টটি রেলপথের যাত্রীদের জন্য। আর ফুলবাড়ী পোর্টটি বাংলাবান্দা অতিক্রমকারী যাত্রীদের জন্য।
অনলাইন আবেদনপত্র পূরণে রেফারেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে এমন কারো নাম ও ফোন নাম্বার উল্লেখ করতে হবে, যার আবেদনকারীর সঙ্গে ভারত যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এতে ভারতে কোনো সমস্যায় পড়লে বাংলাদেশে আবেদনকারীর বাসায় যোগাযোগের নিশ্চয়তা থাকবে। আর ভারতের রেফারেন্স হিসেবে তো হোটেলের নাম, ঠিকানা ও ফোন নাম্বার তো থাকছেই। একদম শেষের দিকে হোটেলটি ভারতের কোন এলাকায় সেটিও উল্লেখ করতে হয়।
আরও পড়ুন: ফ্লাই ডাইনিং: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বাংলাদেশের প্রথম ঝুলন্ত রেস্টুরেন্ট
এবার আবেদনপত্রটি সফলভাবে সাবমিট হয়ে গেলে সেটার প্রিন্ট নিতে হবে। আবেদনপত্রের মোট দুই স্থানে স্বাক্ষর করতে হয়। একটি ছবির নিচে; আরেকটি একেবারে শেষ পৃষ্ঠায়। এ সময় খেয়াল রাখতে হবে যে স্বাক্ষরটি যেন পাসপোর্টে দেয়া আবেদনকারীর স্বাক্ষরের অনুরূপ হয়। প্রিন্ট করা আবেদনপত্রে একটি দুই বাই দুই ইঞ্চি ছবি আঠা দিয়ে লাগাতে হবে।
ভিসা প্রসেসিং ফি কীভাবে জমা দিবেন
এবার ভিসার প্রসেসিং ফি জমা দেয়ার পালা। আগে ভিসা ফি আইভ্যাকে (ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার) জমা দেয়া লাগতো, কিন্তু এখন সেটা অনলাইনেই দেয়া যায়। ৮০০ টাকা ভিসা প্রসেসিং ফির সঙ্গে ব্যাংক বা বিকাশ চার্জ দিতে হয়। অফলাইনে ফি দিতে হলে যে কোনো আইভ্যাকে বা তার আশেপাশে এই ফি জমা দেয়া যাবে।
ভিসার আবেদন কোথায় জমা দিতে হয়
এবার আবেদনপত্রটির সঙ্গে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ভারতীয় ভিসা সেন্টারে চলে যেতে হবে। ভারতীয় ভিসা সেন্টারের ভিড় খুব একটা নতুন ব্যাপার নয়। তাই তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করার জন্য সকাল সকাল যাওয়াটাই উত্তম। আবেদনকারীর বর্তমান ঠিকানা যে বিভাগে তাকে সেই বিভাগের ভারতীয় আবেদন সেন্টারে ভিসা আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ
ভিসার আবেদনের জন্য এখন দেশের কোথাও আর ই-টোকেন লাগে না। সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত যে কোনো দিনে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে যেকোনো সময় আবেদন জমা দেয়া যায়।
বাংলাদেশের ভারতীয় সেন্টারগুলো হচ্ছে- ঢাকা (যমুনা ফিউচার পার্ক), চট্রগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ, রংপুর, ও নোয়াখালী।
ভারতীয় টুরিস্ট ভিসা পেতে কত দিন সময় লাগে
রাজধানীতে ভিসা ডেলিভারি পেতে প্রায় তিন থেকে সাত দিন সময় লাগে। ঢাকার বাইরে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই ভিসা হাতে পাওয়া যায়। আবেদনের পর ইন্ডিয়ান ভিসা অনলাইন সাইট থেকেই ভিসা আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানা যাবে। ভারতীয় অ্যাম্বেসিতে কাগজপত্র জমা দেয়ার পর একটা টোকেন দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: কলকাতা ভ্রমণ: দর্শনীয় স্থানে যাওয়ার উপায় ও খরচ
পরবর্তীতে এই টোকেনটি দেখিয়ে পাসপোর্ট ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। ভিসা নেয়ার জন্য আবেদনকারীকেই সশরীরে যেতে হবে। যদি কোনো কারণে তিনি না যেতে পারেন তবে তার পক্ষ থেকে অন্য কেউ যেতে পারেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে তার হাতে আবেদনকারীর স্বাক্ষর দেয়া একটি মনোনয়নপত্র দিতে হবে, যেখানে আবেদনকারীর উপস্থিত হতে না পারার কারণসহ উক্ত ব্যক্তিকে ভিসা সংগ্রহের পূর্ণ ক্ষমতা দেয়ার কথা উল্লেখ থাকবে।
পরিশেষে
সবশেষে, ভারতের টুরিস্ট ভিসা আবেদন জমা দেয়ার মুহূর্তে ভারতীয় অ্যাম্বেসীর ভেতরে কোনো ব্যাগ নিতে দেয়া হয় না। তাই শুধু কাগজপত্রগুলো একটা স্বচ্ছ ফাইলে নিয়ে ভেতরে ঢুকতে হবে। ভারতীয় টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ সাধারণত ছয় মাস থেকে সর্বোচ্চ এক বছর থাকে। একাধিক ভিসার এই সময়ের মধ্যে ভিসাধারী যতবার ইচ্ছা ততবার ভারতে যেতে আসতে পারবেন।
ভারতে প্রবেশের সময় ৫০০ টাকা ভ্রমণ কর দিতে হয়। এটা প্রয়োজনে আগে থেকেই সোনালী ব্যাংকে জমা দেয়া যেতে পারে। এতে করে ভারত প্রবেশের সময় আর সমস্যা হবে না। ভারতে প্রবেশের মুহূর্তে ইমিগ্রেশন পুলিশ পর্যটকের কাছে অতিরিক্ত ডলার আছে কিনা তা চেক করতে পারে। পাসপোর্টে অ্যান্ডর্সকৃত ডলার অপেক্ষা বেশি ডলার পাওয়া গেলে ইমিগ্রেশনে ঝামেলা হয়। তাই বিশেষ করে মানিব্যাগে অতিরিক্ত ডলার না রাখাই শ্রেয়।
আরও পড়ুন: হিমাচল, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ ভ্রমণ: দর্শনীয় স্থান ও খরচ
প্রথম চালানে ভারতে গেল ৮ মেট্রিক টন ইলিশ
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে দুই হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। যার প্রথম চালান আট মেট্রিক টন ইলিশ দুটি ট্রাকে করে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ঢুকেছে।
সোমবার সন্ধ্যায় কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে ইলিশের ট্রাক প্রবেশ করেছে।
এর আগে রবিবার ৪৯ প্রতিষ্ঠানকে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ৫০ টন করে ইলিশ রপ্তানি করতে পারবে। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো বরিশালের মাহিমা এন্টারপ্রাইজ। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো ভারতের এস, আর ইন্টারন্যাশনাল।
প্রতিকেজি ইলিশ মাছ ১০ মার্কিন ডলারে রপ্তানি হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অফিসের পরিদর্শক মাহাবুব রহমান।
তিনি বলেন, ইলিশ মাছ রপ্তানি নিষিদ্ধ হলেও দুর্গাপূজা উপলক্ষে এবার দুই হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেয় বাণিজ্য মন্ত্রনালয়। এসব ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে বাংলাদেশের ৪৯টি প্রতিষ্ঠান। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার প্রথম চালান আট মেট্রিক টন ইলিশ দুটি ট্রাকে করে সোমবার ভারতে প্রবেশ করেছে। পর্যায়ক্রমে বাকি ইলিশ রপ্তানি হবে।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব ইলিশ রপ্তানির নির্দেশনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় এবার ইলিশের চড়া দাম
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পদ্মার ইলিশ পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের কাছে প্রিয় হলেও দেশের চাহিদা বিবেচনায় বিভিন্ন সময় তা রপ্তানি বন্ধ রাখে বাংলাদেশ সরকার। ২০১২ সালে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
তবে এরপর বাংলাদেশ সরকার একাধিকবার ভারত সরকারকে শুভেচ্ছা উপহার স্বরূপ ইলিশ দিয়েছে। গত বছর দুর্গাপূজায় ১১৫ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ভারতে চার হাজার ৬০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সে সময় ইলিশ সংকট ও রপ্তানি মূল্যের চেয়ে কেনা মূল্য বেশির কারণে এক হাজার ১০৮ টন ২৮০ কেজি ইলিশ রপ্তানি হয়। পদ্মার ইলিশ পেয়ে ওপারের অনেকে খুশি। পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে শুরু হচ্ছে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সেরা উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
বেনাপোলের সিএন্ডএফ এজেন্ট যুথী এন্টারপ্রাইজের ম্যনেজার মিজানুর রহমান বলেন, এবার প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ১০ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রতি কেজি ৯৪৭ টাকা ৩৯ পয়সা। ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের কাস্টমস থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ইলিশের এ চালান ছাড়ানো করা হবে। বরিশালের মাহিমা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি রপ্তানিকারকের ইলিশ ভারতে গেছে।
বেনাপোল কাস্টম হাউজের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল রশীদ মিয়া জানান, ভারতে ইলিশ দ্রুত রপ্তানির জন্য কাস্টমসের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ধরা পড়ছে না ইলিশ, হতাশ জেলেরা
মাছ ধরা শুরু, ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পেয়ে খুশি বরগুনার জেলেরা
দেখা যাক এবার তিনি কী অর্জন করেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর প্রসঙ্গে ফখরুল
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগের ভারত সফরের ফলাফল জাতির জন্য হতাশাজনক ছিল উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, চার দিনের সফরে তিনি এবার কী অর্জন করেন তা তারা দেখতে চান।
সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সাবেক অর্থমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম সাইফুর রহমানের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এম সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
আরও পড়ুন: গুমের ঘটনা জাতিসংঘের অধীনে তদন্ত করুন: সরকারকে ফখরুল
তিনি বলেন, ‘আমার সাংবাদিক ভাইয়েরা প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর সম্পর্কে কথা বলার জন্য আমাকে একটি নোট পাঠিয়েছেন। আমি এ বিষয়ে কথা বলতে চাই না, কারণ আমাদের আগের অভিজ্ঞতা খুবই তিক্ত ও হতাশাজনক ছিল।’
ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটি ভারত সফরে মানুষ সব সময় আশা করে প্রধানমন্ত্রী দেশের জন্য কিছু করবেন। ‘প্রতিবারই আমরা অত্যন্ত হতাশার সঙ্গে দেখেছি যে তিনি শুধুমাত্র (ভারতকে অনেক কিছু) দিয়েছেন কিন্তু (সেখান থেকে দেশের জন্য) কিছুই আনেননি।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরের ফলাফল দেখে বিএনপি প্রতিক্রিয়া জানাবে। ‘তাকে (প্রধানমন্ত্রী) আগে দেখতে দিন এবং দেশে ফিরতে দিন। দেখা যাক সে কী অর্জন করে এবং তারপর আমি এই বিষয়ে মন্তব্য করব।’
আরও পড়ুন: এবার বিজয় ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই: ফখরুল
সোমবার সকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লি গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরের সময় মঙ্গলবার হায়দরাবাদ হাউসে মোদির সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় আলোচনা ও বৈঠক করার কথা রয়েছে।
ফখরুল দেশের অর্থনীতি ও উন্নয়নে সাইফুর রহমানের অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, তার মৃত্যুতে দেশ একজন অত্যন্ত যোগ্য ও সফল অর্থমন্ত্রীকে হারিয়েছে।
জাতি অত্যন্ত কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সময়ে সাইফুর বেঁচে থাকলে নিঃসন্দেহে তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দিয়ে দেশকে সংকট কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করতেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এবং অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে সাইফুর রহমান যা করা দরকার তা করতে দ্বিধা করেননি।
তিনি বলেন, সাইফুর দেশের স্থিতিশীল অর্থনীতি গড়ে তুলতে ভ্যাট প্রবর্তনের মতো বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: শাওন গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য প্রাণ দিয়েছে: ফখরুল
বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সাইফুরের অর্থনৈতিক সংস্কারের সুফল পাচ্ছে এবং এভাবে ব্যাপক লুটপাটে লিপ্ত হচ্ছে। এই সরকার যেভাবে তার পদক্ষেপ নিয়ে জনগণের টাকা লুটপাট করছে, তিনি (সাইফুর) বেঁচে থাকলে এর বিরুদ্ধে লড়াই করতেন।
সাইফুর রহমান ২০০৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ৭৭ বছর বয়সে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান।
১৯৩২ সালের ৬ অক্টোবর মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বহরমর্দন গ্রামে জন্মগ্রহণকারী সাইফুর রহমান সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের উপদেষ্টা হিসেবে বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ছিলেন।
তিনি জিয়ার মন্ত্রিসভায় প্রথমে বাণিজ্যমন্ত্রী ও পরে অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: ইউএনকপে আইজিপি’র নাম অন্তর্ভুক্তি: ফখরুলের সমালোচনা