ব্যবসা
ইসলামী ব্যাংক ও বিডার সেবাচুক্তি স্বাক্ষর
ইসলামী ব্যাংক ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) মধ্যে অন-লাইন ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের ব্যাংকিং সেবা প্রদানের লক্ষ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: শোক দিবসে ইসলামী ব্যাংকের আলোচনা সভা
ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট নজরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রবিবার ইসলামী ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস ও বিডার পরিচালক জীবন কৃষ্ণ সাহা রায় নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
এ চুক্তির আওতায় ইসলামী ব্যাংক অন-লাইন ওয়ান স্টপ সার্ভিস সিস্টেমের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অনলাইনে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলাসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যাংকিং সেবা দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংক সিলেট জোনের শরী‘আহ পরিপালন বিষয়ক ওয়েবিনার
স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, মহাপরিচালক নিখিল কুমার দাস ও নির্বাহী সদস্য মোহসিনা ইয়াসমিন এবং ইসলামী ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মিজানুর রহমান ভূঁইয়া ও আহমেদ জোবায়েরুল হক।
ঢাকা, চট্টগ্রামের ‘নগদ’ পেমেন্টে ৭ শতাংশ ক্যাশব্যাক
ঢাকা ও চট্টগ্রামের ১০৭টি ফার্মেসিতে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ‘নগদ’ এর মাধ্যমে পেমেন্ট করলেই তাৎক্ষণিক সাত শতাংশ ক্যাশব্যাক পাবেন গ্রাহকেরা। করোনা মহামারিতে মানুষের আর্থিক সাশ্রয়ের উদ্যোগ হিসেবে ক্যাম্পেইনটি চালু করেছে ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’।
আরও পড়ুন: ‘বিবেকের আয়না’ নিয়ে বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরছে ‘নগদ’
রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই ক্যাম্পেইনের আওতায় একজন ‘নগদ’ গ্রাহক তার ওয়ালেট থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামের নির্ধারিত ১০৭টি ফার্মেসিতে পেমেন্ট করলে তাৎক্ষণিক সাত শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৩০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পাবেন। এই অফারটি উপভোগের জন্য একজন গ্রাহক নির্ধারিত ফার্মেসিগুলো থেকে কোনও পণ্য কিনে তার ওয়ালেটের মাধ্যমে কিউ আর কোড স্ক্যান করে বা অ্যাপের মাধ্যমে কিংবা ইউএসএসডি ব্যবহারের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন।
এই ক্যাম্পেইনটি চলাকালে ‘নগদ’-এর একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ দুইবার ক্যাশব্যাক পাবেন। এ ক্ষেত্রে ‘নগদ’ কর্তৃক আরোপিত শর্তাবলী মেনে একজন গ্রাহক এই ক্যাশব্যাক সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। চলমান এই ক্যাম্পেইনটি আগামী ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ পর্যন্ত চলবে।
আরও পড়ুন: প্রতি সেকেন্ডে ‘নগদ’-এ যুক্ত হচ্ছে তিনজন গ্রাহক
এই ক্যাম্পেইন বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে ‘নগদ’-এর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ ও ওয়েবসাইট (nagad.com.bd) ভিজিট করুন। এ ছাড়া ‘নগদ’-এর গ্রাহক সেবা নম্বর ১৬১৬৭ অথবা ০৯৬০৯৬১৬১৬৭ নম্বরে ফোন করে বিস্তারিত জানতে পারেন।
শোক দিবসে ইসলামী ব্যাংকের আলোচনা সভা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোগে এক আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. নাজমুল হাসান।
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংকের শরিয়াহ পরিপালন বিষয়ক ওয়েবিনার
ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. সেলিম উদ্দিন, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোলায়মান, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মতিন, ডাইরেক্টর মো.জয়নাল আবেদীন ও প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল আলম,ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী ও মো. ওমর ফারুক খান।
অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন ব্যাংকের শরীআহ সুপারভাইজরি কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন তালুকদার।
ব্যাংকের ডাইরেক্টর প্রফেসর ড. মো. সিরাজুল করিম, প্রফেসর মো. কামাল উদ্দিন, পিএইচডি, সৈয়দ আবু আসাদ, ডা. তানভীর আহমেদ, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সালেহ জহুর, প্রফেসর ড. মো. ফসিউল আলম, খুরশীদ উল আলম ও মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন এতে অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ইসলামী ব্যাংক ও সান্তাহারে সোনালী ব্যাংক লকডাউন
এছাড়া শোক দিবস উপলক্ষ্যে দেশব্যাপী ব্যাংকের ১৬টি জোনের উদ্যোগে সকল শাখার অংশগ্রহণে পৃথক পৃথক ভার্চুয়াল আলোচনা ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।
হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বাংলাদেশের ৪৬তম জাতীয় শোক দিবস ও ভারতের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রবিবার দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানিসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে চামড়া পাচাররোধে হিলি সীমান্তে সতর্কতা
বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল আজিজ জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী আজ। আর অপরদিকে ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস পালন করছে ভারত। প্রতিবেশি এই দুই দেশের জাতীয় দিবস উপলক্ষে বন্দরের দুই অংশের ব্যবসায়ীরা আজ বন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে সকাল থেকে বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সহ পণ্য লোড-আনলোড বন্ধ রাখা রয়েছে।
আরও পড়ুন: হিলি দিয়ে সপ্তাহে ৩ দিন ভারতে যাতায়াতের সিদ্ধান্ত
তবে মঙ্গলবার থেকে আবার বন্দরের সকল কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান তিনি।
নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ডেলিভারি সার্ভিস নির্বাচনে ১০ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
বর্তমানে অনলাইন মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের কারণে ডেলিভারি সার্ভিস প্রতিটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনার পণ্যটি গ্রাহকের হাতে পৌঁছানোর পর পরই সবকিছু শেষ হয় না। বরঞ্চ ডেলিভারি পয়েন্টটি ভবিষ্যতে আপনার সম্ভাব্য গ্রাহক প্রাপ্তির একটা বড় মাধ্যম। তাই চলুন জেনে নিই, সেরা পার্সেল ডেলিভারি পরিষেবা বেছে নেয়ার সময় কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিত।
ডেলিভারি সার্ভিস নির্বাচনে ১০ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
কত দ্রুত গ্রাহকের নিকট পৌঁছাচ্ছে
আপনার পণ্যটি ডেলিভারি সার্ভিস কোম্পানি আপনার গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে কেমন সময় নেবে তা জানা সবচেয়ে দরকারি। শুধু যে অর্ডার পাওয়ার পরই আপনাকে ডেলিভারি সময় নিয়ে ভাবতে হবে, তা নয়। আপনি যে কোন সময় ডেলিভারির জন্য অর্ডার পেতে পারেন। তাই আগে থেকেই প্রস্তুত থাকতে হবে যেন যত দ্রুত সম্ভব ডেলিভারি করা যায়। সুতরাং প্রতিটি কোম্পানির ডেলিভারির গড় গতি যাচাই করে দেখুন। শুধু ব্রোশিয়ার বা বিজ্ঞাপনে দ্রুত ডেলিভারি নিশ্চিত করা হয় দেখেই সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক নয়। তাই অনলাইন রিভিউ থেকে শুরু করে কোম্পানিগুলোর সরাসরি গ্রাহকদের কাছ থেকেও জানার চেষ্টা করুন তাদের সার্ভিসের গতির ব্যাপারে।
আরও পড়ুন: শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে ৭ কোটি টাকা দিল ইউনিলিভার
কতটুকু এলাকার মধ্যে তারা ডেলিভারি দেয়
আপনি যদি সীমিত পরিসরে আপনার পণ্য পরিবহন করতে চান, তাহলে একটি স্থানীয় ডেলিভারি সার্ভিস ব্যবহার করুন। স্থানীয় ডেলিভারি কর্মকর্তাদের এলাকা সম্পর্কে অধিক জ্ঞান থাকে। তাছাড়া তারা বড় কোম্পানিগুলোর তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম সার্ভিস চার্জ করে থাকেন। আর যদি দীর্ঘ দূরত্বের মধ্যে আপনার পণ্য পরিবহন করতে চান, অথবা আপনার ব্যবসা দেশের বাইরে প্রসারিত করার কথা ভেবে থাকেন, সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক সম্বলিত ডেলিভারি সার্ভিস কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
ডেলিভারির সময় পণ্যের নিরাপত্তা বজায় থাকবে কিনা
আপনি যদি সূক্ষ্ম আইটেম, ভঙ্গুর পণ্য বা এমন কিছু পাঠাতে চান যা খুব সাবধানে পরিবহন প্রয়োজন, এমতাবস্থায় ডেলিভারি সার্ভিস হোল্ডারের ব্যাপারে ভালো করে খোঁজ-খবর নিন। এ রকম অনেক ক্ষেত্রেই ঘটে থাকে যে, পরিবহনের সময় তারা পণ্য ভেঙে ফেলে, অথবা পরিবহনের মাধ্যম বা যানবাহনটি পণ্যটির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তাই বাছাইয়ের সময় তাদের কাছ থেকে জেনে নিন যে কিভাবে তারা আপনার পণ্যটি ডেলিভারি করবে।
এরপরেও যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আপনার পণ্যগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, গ্রাহকের কাছে দেরিতে পৌঁছতে পারে; এমনকি নিখোঁজও হতে পারে। এক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের কোন ব্যবস্থা বা বীমা পলিসি আছে কিনা যাচাই করে নিন। এমতাবস্থায়, যারা টাকা ফেরত গ্যারান্টি দেয় তাদের সন্ধান করাটা বুদ্ধিমানের কাজ।
পণ্যের আকার এবং ওজন নিয়ে কোন সীমাবদ্ধতা আছে কিনা
এটি লক্ষণীয় যে, আপনার পণ্যের আকার এবং ওজন অনুসারে আপনার বেছে নেয়া ডেলিভারি সার্ভিসে শর্ত থাকতে পারে। হয়ত তারা বড় আইটেম ডেলিভারির জন্য অতিরিক্ত খরচ নেয় অথবা এমনও হতে পারে যে তারা বড় এবং ভারী পণ্য পরিবহনই করে না।
নির্দিষ্ট পরিমাণ ও বিভিন্ন ওজনের পণ্যের জন্য অবশ্যই মূল্য তালিকা ও শর্তাবলী থাকবে। সেগুলো ভালো করে যাচাই করে নিন। আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর মতো অধিকাংশ স্থানীয় ডেলিভারি সার্ভিস কোম্পানিগুলোর ওয়েবসাইটে আপনার আইটেমের জন্য ক্যাটাগরি ভিত্তিক নির্দেশিত পরিমাপ ও ওজন লিপিবদ্ধ থাকে।
আরও পড়ুন: দারাজের নতুন চিফ মার্কেটিং অফিসার তাজদিন হাসান
কতদিন ধরে ডেলিভারি সার্ভিস দিয়ে আসছে
যেহেতু আপনি নতুন ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি নতুন চালু হয়েছে এমন কোন ডেলিভারি সার্ভিস হোল্ডার বাছাই করবেন না। তাই কোম্পানিটি কতদিন ধরে ব্যবসা করছে, তা ভালো করে দেখে নিন। আদর্শভাবে, আপনার এমন একটি কোম্পানি নির্বাচন করা উচিত হবে যেটি প্রতিষ্ঠিত এবং আপনার মতো এরকম আরও কিছু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করছে। একটি অভিজ্ঞ ডেলিভারি সার্ভিস প্রতিষ্ঠান আপনাকে শুধু ভাল পরিষেবাই দিবে না, সাথে আপনার ব্যবসার প্রসারের জন্য সুপরামর্শও দিতে পারে।
বাহ্যিক বেশভূষা
আপনার গ্রাহকরা আপনার পণ্য হাতে যাকে দেখবেন তার উপর ভিত্তি করে আপনার ব্যবসার গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হবে। সুতরাং তারা তাদের যানবাহন এবং নিজেদের পোষাক-পরিচ্ছদ কতটুকু সুন্দর ও পেশাদার করেছে সেদিকে নজর দিন। সুন্দর একটি লোগো থেকে শুরু করে গ্রহণযোগ্য রঙ; সর্বপরি ক্যামন মোড়কে আপনার পণ্যটি ভরে তারা আপনার গ্রাহকের সামনে হাজির হচ্ছে- এ ব্যাপারগুলোর দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখুন।
ডেলিভারির পাশাপাশি আরও কিছু সুবিধা দিচ্ছে কিনা
আপনি কোন ডেলিভারি কোম্পানিকে অধিক মূল্য দিবেন? যারা শুধুমাত্র এ বিন্দু থেকে বি বিন্দুতে আপনার পার্সেলগুলো সরবরাহ করছে তাদেরকে, নাকি এর পাশাপাশি যারা আরও কিছু সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে তাদেরকে? কিছু ডেলিভারি কোম্পানি তাদের সার্ভিসের সাথে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মান সংযোজন করে। যেমন: প্যাকেজিং, লেবেলিং, গুদাম ব্যবস্থাপনা, সরবরাহ, মুদ্রণ এবং এমনকি মেইল পরিপূর্ণতা। এ ধরনের ডেলিভারি প্রতিষ্ঠানগুলো পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে অনেক জটিলতা আপনার জন্য সহজ করে দিবে।
তাদের ডেলিভারিটি আপনি ট্র্যাক করতে পারবেন কিনা
আপনি যেহেতু আপনার পণ্য সরবরাহের জন্যে একটি ৩য় পক্ষ কোম্পানির শরণাপন্ন হতে যাচ্ছেন, তাই আপনার পণ্যটির সঠিক ডেলিভারি হচ্ছে কিনা তা যাচাই করে নেয়া ভালো। আপনি পণ্যটি ছেড়ে দেয়ার পর থেকে তা কোন কোন জায়গা দিয়ে আপনার গ্রাহকের কাছে পৌঁছাচ্ছে তা জানা আবশ্যক। অনেক কোম্পানিই এই সুবিধাটি দিয়ে থাকে। আপনার হাতের স্মার্টফোনেই আপনি পেয়ে যাবেন আপনার পণ্যের বর্তমান অবস্থানের খবর। পাশাপাশি ট্র্যাকিং সিস্টেমটি আপনাকে বলে দিবে যে, আর কত সময়ের মধ্যে আপনার পণ্যটি আপনার গ্রাহকের হাতে পৌঁছাচ্ছে।
তাদের গ্রাহক সেবা কতটুকু সহজলভ্য
আগে থেকেই নিশ্চিত হয়ে নিন, যেকোন সমস্যায় আপনি ফোনের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে সাহায্য পাবেন কিনা। শুধু যে আপনার সাথেই বন্ধুভাবাপন্ন হবে তা নয়, খেয়াল করুন ডেলিভারি কর্মকর্তারা আপনার গ্রাহকের সাথেও সদাচরণ করছে কিনা। অনেক ক্ষেত্রেই পণ্য বহনের সময়টা আপনার নিয়ন্ত্রণের না থাকার দরুণ সে সময়ে আপনার গ্রাহক কেমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছেন, তা আপনার অজানা থেকে যেতে পারে। আপনার গ্রাহকদের সামনে ডেলিভারি চালক কীভাবে আচরণ করছে তার উপর নির্ভর করছে আপনার কাছ থেকে গ্রাহকটি আবার পণ্য কিনবেন কিনা। একটি পেশাদার ডেলিভারি কোম্পানি তার যানবাহনগুলো ভালোভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করার পাশাপাশি খেয়াল রাখে যে তার কর্মীরা আপনার গ্রাহকদের সাথে সদা বন্ধুসুলভ যোগাযোগ বজায় রাখছে কিনা।
অঅরও পড়ুন: ইউরোপে প্রথম গ্যালারি অনিল অ্যাওয়ার্ড পেলেন শিল্পী নিলীমা সরকার
তাই এ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিরীক্ষণ করে নিন। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আছে এমন কারো কাছ থেকে এ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন। কেননা একমাত্র তাদের মতামতই এ ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য পর্যালোচনা দিতে পারে।
ডেলিভারি সার্ভিসের মূল্য
ডেলিভারি সার্ভিস নির্বাচন করার আগে সর্বদা একই পার্সেল চালানে কোম্পানিগুলো কেমন মূল্য ধার্য করছে- তা পরীক্ষা করুন। কিছু কোম্পানি একই পরিষেবা এবং ডেলিভারি সময়গুলোর ক্ষেত্রে অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি চার্জ করে। এক্ষেত্রে, পরিষেবাগুলোর তুলনামুলক দাম যাচাই করার মাধ্যমে আপনি নিরর্থক অপচয় থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
তবে খেয়াল রাখবেন, কেবল সস্তা বিকল্পের জন্য যেন মানের সাথে আপস না করে বসেন। লুকানো সারচার্জ বা অন্যান্য কারণের জন্য দামগুলো ভালো করে লক্ষ্য করুন।
পরিশেষে, এটা বলা বাহুল্য যে, অনলাই ব্যবসায় ডেলিভারি সার্ভিস কোম্পানিগুলোর কিছু নেতিবাচক প্রভাবও পড়ছে। তাই অনলাইনে কেনা এবং ডেলিভারি গ্রহণের সময় আপনার গ্রাহকরা যেসব সাধারণ সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন, সে সম্পর্কে আগে থেকেই সচেতন হোন। গ্রাহকদের কাছ থেকে ডেলিভারি সার্ভিসের অভিযোগ পাওয়ার সময় আপনি কিভাবে তার সমাধান করবেন তার পরিকল্পনা করে রাখুন। মনে রাখবেন, প্রতিবার শপিং কার্ট থেকে গ্রাহকের বাড়ির সদর দরজা পর্যন্ত নির্বিঘ্নে সার্ভিস বিতরণের মধ্যেই নিহিত আপনার ব্র্যান্ডের সুনাম বজায় রাখার চাবিকাঠি।
আরও পড়ুন: তুরস্কে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী
অফশোর তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানে মার্কিন বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ
তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানে মার্কিন বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ। এ নিয়ে আমেরিকান বহুজাতিক তেল ও গ্যাস করপোরেশন অ্যাক্সনমোবিলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরীর নেতৃত্বে শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে মার্কিন বিনিয়োগ বাড়াতে ওয়াশিংটনে স্টেকহোল্ডারদের সভা
বৈঠকে উপদেষ্টা বাংলাদেশে জ্বালানি খাতে মার্কিন কোম্পানিগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরেন এবং এই ক্ষেত্রে তাদের আরও অবদানকে স্বাগত জানান। তিনি এক্সনমোবিলের কর্মকর্তাদের বাংলাদেশে, বিশেষ করে অফশোরে, তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করেন।
তিনি বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য শক্তির জন্য স্টোরেজ সুবিধা নির্মাণে বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। এবং উল্লেখ করেন যে বিভিন্ন জ্বালানি উৎসের সুষম ব্যবহার বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশের বর্তমান উন্নয়নের গতি ধরে রাখতে প্রয়োজনীয় জ্বালানির চাহিদা নিশ্চিত করতে, এক্সনমোবিল বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন: বাংলাদেশ-মার্কিন সহযোগিতা নিয়ে কেরি-মোমেনের ফোনালাপ
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম সহিদুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ দূতাবাস ও অ্যাক্সনমোবিলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দেশে মার্কিন বিনিয়োগ বাড়াতে ওয়াশিংটনে স্টেকহোল্ডারদের সভা
মার্কিন বিনিয়োগকারীদের কাছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সম্ভাবনা এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সুবিধাসমূহ তুলে ধরার জন্য একটি স্টেকহোল্ডার সভার আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) আয়োজনে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস এবং সান ফ্রান্সিসকোতে চলমান ‘দ্য রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার: পোটেনশিয়াল অফ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক বিএসইসির রোড শোর একটি অংশ ছিল এই সভা।
আরও পড়ুন: সুপেয় পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনে বিনিয়োগে আগ্রহ ইতালির
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এবং একটি প্রাণবন্ত অধিবেশনে সংশ্লিষ্টদের সাথে মত বিনিময় করেন।
উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান আলোচনায় কোভিড-১৯ অতিমারি চলাকালেও বাংলাদেশের অর্থনীতির শক্তিশালী অবস্থানের কথা তুলে ধরেন। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান বাংলাদেশের ক্যাপিটাল মার্কেট ও সামগ্রিক অর্থনীতিতে সাম্প্রতিক উন্নয়নের চিত্র উপস্থাপন করেন।
আলোচকরা বাংলাদেশের শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং বিনিয়োগের সম্ভাবনাও তুলে ধরেন। তারা বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের প্রসারে এবং বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের জন্য অধিকতর অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে সকল স্টেকহোল্ডার ও অংশগ্রহণকারীদের পরামর্শ ও সুপারিশসমূহকে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ-ব্রিটেনের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৈঠক জানুয়ারিতে
ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস অনুষ্ঠানটির সফল আয়োজনের জন্য সহায়তা প্রদান করে।
ঈদুল আজহা: হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি ৬ দিন বন্ধ
ঈদুল আজহা উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সকল ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ছয় দিন বন্ধ থাকবে। বন্দরের সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সোমবার (১৯ জুলাই) থেকে শনিবার (২৪ জুলাই) পর্যন্ত এই বন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি হবে না।
আরও পড়ুন: হিলি দিয়ে সপ্তাহে ৩ দিন ভারতে যাতায়াতের সিদ্ধান্ত
এ ব্যাপারে বন্দরের বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান লিটন বলেন, ঈদে বন্ধের বিষয়টি নিয়ে গত রবিবার বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপ, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনসহ বন্দর সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সভা করেছি। সেখানে ছয়দিন বন্ধ রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে বন্ধের বিষয়টি আমরা ভারতের হিলি এক্সপোর্টার অ্যান্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষকে বকেটি পত্র দিয়ে জানিয়েছি। তারাও সম্মতি দিয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী ২৫ জুলাই থেকে বন্দরের সকল কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে।
হিলি স্থলবন্দরের কাস্টমস উপকমিশনার মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়ীরা ছয়দিন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ঈদের সরকারি ছুটি পর্যন্ত কাস্টমস কার্যালয় বন্ধ থাকবে। এরপর থেকে অফিসিয়াল কাজ-কর্ম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: কঠোর লকডাউনে স্বাভাবিক হিলি স্থলবন্দরের কার্যক্রম
তিনি বলেন, সরকারি ছুটির বাইরে আমাদের অতিরিক্ত ছুটি গ্রহণের কোনো সুযোগ নেই।
মেধা বিকাশে ১৫ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে হুয়াওয়ে
মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশে ১৫ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে হুয়াওয়ে।
সম্প্রতি ‘টেক অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি: এভরিওয়ান’স ইনক্লুডেড’ শীর্ষক এক ফোরামে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার প্রোগ্রাম ২.০’ এ ঘোষণা দিয়েছে হুয়াওয়ে।
এ কর্মসূচির মাধ্যমে ডিজিটাল ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশে প্রতিষ্ঠানটি আগামী পাঁচ বছরে ১৫ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে, যা ত্রিশ লাখেরও বেশি মানুষের উপকারে আসবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
হুয়াওয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চীনের শেনঝেনে অনুষ্ঠিত এই ফোরামটি যৌথভাবে আয়োজন করে হুয়াওয়ে এবং ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন)। হুয়াওয়ে, আইইউসিএন, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম, কার্বন ডিসক্লোজার প্রজেক্ট (সিডিপি), গ্লোবাল এনাবলিং সাসটেইনেবিলিটি ইনিশিয়েটিভ (জিইএসআই) এবং সিঙ্গাপুর ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের (এসআইআইএ) প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন এবং টেকসই, অন্তর্ভুক্তিম‚লক ও পরিবেশবান্ধব বিশ্ব গড়ে তুলতে প্রযুক্তির ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে হুয়াওয়ের পাঁচটি অ্যাওয়ার্ড অর্জন
এই ফোরামের সাথে মিল রেখে, হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিক এ অঞ্চলের ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি ও টেকসই উন্নয়নকে কেন্দ্র করে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সংবাদমাধ্যমগুলোর জন্য ভার্চুয়াল গোলটেবিলের আয়োজন করে। হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিকের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে চেন ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ সহ একাধিক কর্মসূচির মাধ্যমে এই অঞ্চলে আগামী পাঁচ বছরে ৪০ হাজারেরও বেশি আইসিটি বিষয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের তৈরি করার ক্ষেত্রে হুয়াওয়ের পরিকল্পনা ঘোষণা করেন।
জে চেন বলেন, ডিজিটাল অর্থনীতিতে, ডিজিটাল রূপান্তর ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ডিজিটাল বিষয়ে তরুণ প্রতিভা ক্রমশই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। টেকসই ও সুষ্ঠু বিকাশের সুযোগ তৈরির জন্য সবাই যাতে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পায় তা নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক। বৈশ্বিক মহামারির কারণে আমরা কর্মসূচিটি অনলাইনে আয়োজন করবো এবং একে আগের তুলনায় আরও অনেক বেশি শিক্ষার্থীর জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
ইউনিসেফ ও আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) ২০২০ সালের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ২৫ বছর বা তার চেয়ে কম বয়সী প্রায় ২২০ কোটি মানুষের বাড়িতে এখনও ইন্টারনেট সংযোগ নেই। পরিস্থিতির উন্নয়নে, যেসব দেশে হুয়াওয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে, সেসব দেশে ডিজিটাল ক্ষেত্রে তরুণ প্রতিভা বিকাশে সহায়তা করতে হুয়াওয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ২০০৮ সালে, বৃত্তি, প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিযোগিতা এবং ডিজিটাল দক্ষতা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হুয়াওয়ে এর প্রতিভা বিকাশের কর্মসূচিগুলো পরিচালনা শুরু করে এবং প্রতিষ্ঠানটি এসব কর্মসূচিতে ১৫ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে। এ সময় থেকে হুয়াওয়ে দেড় শতাধিক দেশের ১৫ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষকে উপকৃত করেছে।
দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করতে এবং ডিজিটাল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাদের উৎসাহদানে একইভাবে ২০১৪ সালে বাংলাদেশে শুরু করা হয় ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ কর্মসূচিটি। দেশে এখন পর্যন্ত এই কর্মসূচিতে প্রায় ৬ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে, বৈশ্বিক মহামারি চলাকালীন দূরবর্তী শিক্ষা পদ্ধতিতে সহায়তা করতে হুয়াওয়ে রাজধানীর টিঅ্যান্ডটি হাই স্কুল ও সারাদেশের সকল শাখাসমুহে ডিজিটাল সমাধান প্রদানে স্থানীয় অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম বিজয় ডিজিটালের সাথে অংশীদারিত্ব করে। দেশে প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য প্রতিভা বিকাশ কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আইসিটি কম্পিটিশন, আইসিটি একাডেমি এবং বিভিন্ন বেসরকারি ও সরকারি সংস্থা ও এজেন্সির সহযোগিতায় ডিজিটাল ট্রেনিং বাস। এসব কর্মসূচির মাধ্যমে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের অসংখ্য তরুণ শিক্ষার্থী উপকৃত হয়েছে।
আরও পড়ুন: চীনে গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার উদ্বোধন করল হুয়াওয়ে
এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে অন্তর্ভুক্তিমূলক ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার ক্ষেত্রে হুয়াওয়ে দৃঢ়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ২০১৯ সাল থেকে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় হুয়াওয়ে আসিয়ান একাডেমি চালু হয়েছে এবং ডিজিটাল ভবিষ্যতের প্রস্তুতিস্বরূপ এক লাখেরও বেশি মেধাবী শিক্ষার্থীকে প্রস্তুত করেছে। হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের প্রায় ২০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে একসাথে কাজ করেছে।
সৌদিতে বিনিয়োগে অভিবাসীদের জন্য নতুন সুযোগ
সৌদি আরবে বসবাসরত অভিবাসী নাগরিকদের ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা ও বিনিয়োগের নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির বাণিজ্য উপমন্ত্রী প্রকৌশলী আয়েদ আল-ঘোয়াইনাম।
বুধবার অনুষ্ঠিত এক অনলাইন আলোচনায় একথা জানান।
সৌদিতে ব্যবসা পরিচালনা ও বিনিয়োগ নীতির নতুন সুযোগ নিয়ে পূর্বাঞ্চলীয় চেম্বার অব কমার্স ও বাংলাদেশ দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ওই ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়। ওয়েবিনারে সৌদি আরবে বসবাসরত বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও অভিবাসীগণ যোগ দেন।
আরও পড়ুন: প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রশংসায় ইফাদ প্রেসিডেন্ট
ওয়েবিনারে নতুন ব্যবসা বাণিজ্য নীতির আওতায় সকল ব্যবসা ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্যাদি আগামী ২৩ আগস্ট ২০২১ তারিখের মধ্যে সৌদি সরকারকে অবহিত করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক বলে জানানো হয়।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিবন্ধনে ব্যর্থ হলে আইনের আওতায় বিভিন্ন ধরণের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে অবহিত করা হয়। একই সাথে নতুন এ নীতির আওতায় ৮ লাখ সৌদি রিয়াল সমপরিমাণ অর্থ এককালীন প্রদানের মাধ্যমে সৌদি আরবে নতুন ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারী হিসেবে যেকোনও অভিবাসীকে নিবন্ধনের সুযোগ গ্রহণ করার আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া ১ লক্ষ সৌদি রিয়াল প্রদানের মাধ্যমেও এক বছরের জন্য বিনিয়োগকারী হিসেবে নিবন্ধনের সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: সৌদিকে তৈরি পোশাক আমদানির আহ্বান বাংলাদেশের
ভিশন ২০৩০ এর আওতায় শ্রমবাজারসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বেশ কিছুদিন ধরেই পরিবর্তন আনছে সৌদি সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় সৌদি আরবের অভ্যন্তরে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে দেশটি। ওয়েবিনারে সৌদি কর্তৃপক্ষ আগামী ২৩ আগস্ট ২০২১ তারিখের মধ্যে বাংলাদেশিসহ অন্যান্য দেশের ব্যবসায়ীদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অন্যান্য বিনিয়োগের তথ্যাদি প্রদান করে নিবন্ধনের বাধ্যবাধকতার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: সৌদিতে কর্মরত নারী গৃহকর্মীদের নিরাপত্তা চায় বাংলাদেশ
ওয়েবিনারে সৌদি সরকারের পক্ষে বাণিজ্য উপমন্ত্রী প্রকৌশলী আয়েদ আল-ঘোয়াইনাম, অ্যান্টি কমার্শিয়াল কনসিলমেন্ট বিষয়ক জাতীয় কমিটির প্রধান আহমাদ আল-সুয়াইলেম, বাণিজ্য বিষয়ক পূর্বাঞ্চলীয় ও জাতীয় কমিটির সভাপতি হানি আল-ফালেকসহ চেম্বারের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষে ইকনমিক কাউন্সিলর মুর্তুজা জুলকার নাঈন নোমান ও অন্যান্য কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।