টিকা
এক মাস পর খুলল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়ায় এক মাস বন্ধ থাকার পর কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে মঙ্গলবার দেশের মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস শুরু হয়েছে।
এদিকে, আগামী ১ মার্চ থেকে সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস শুরু হবে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
১৭ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর শিক্ষার্থীদের কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। যে সকল শিক্ষার্থী করোনার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন তারা সরাসারি শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন আর যারা শুধু প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের শ্রেণি কার্যক্রম হবে অনলাইনে।
আরও পড়ুন: আগামী বছর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দু’দিন: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত মোট ১ কোটি ২৬ লাখ ৫৭ হাজার ২২২ জন শিক্ষার্থী প্রথম ডোজ এবং ৩৪ লাখ ৪০ হাজার ৪৪৮ জন শিক্ষার্থী দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছে। আশা করছি ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সবার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শেষ হবে।
মন্ত্রী বলেন, যাদের টিকা নেয়া শেষ না হবে তারা পূর্ণডোজ না নেয়া পর্যন্ত অনলাইনে বা টেলিভিশনে ক্লাস করবে। আর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তারা তাদের নিজস্ব সময়সূচি ঠিক করে নেবেন।
দীপু মনি জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে করোনা টিকার জন্য যোগ্য শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রস্তুত করেছে।
প্রসঙ্গত, গত ২১ জানুয়ারি সরকার এক ঘোষণায় করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের বৃদ্ধির কারণে থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেয়। পরে ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য বিধিনিষেধ ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।
২২ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল ও কলেজের জন্য অনলাইন ক্লাস পুনরায় চালু সহ ১১-দফা নির্দেশনা জারি করে।
এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের জোনাল অফিস, জেলা শিক্ষা অফিস, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, স্থানীয়দের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা অনুসরণ করে করোনার বিরুদ্ধে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: কওমি মাদ্রাসাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন: শিক্ষামন্ত্রী
২৬ ফেব্রুয়ারি এক কোটি টিকা দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সরকার কমপক্ষে এক কোটি মানুষকে ২৬ ফেব্রুয়ারি টিকা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন বলে বৃহস্পতিবার পিআইডির এক হ্যান্ডআউটে বলা হয়েছে।
বৈঠকে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয় যে যদি লক্ষ্যমাত্রার ৯০ শতাংশ মানুষকে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা যায় তাহলে সংক্রমণ ও মৃত্যু হার দুই-ই কমতে পারে।
বৈঠকে এ টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে বেশ কিছু পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনার মধ্যেও দেশের রেমিট্যান্স খাত ঊর্ধ্বগতিতে আছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
পরিকল্পনা অনুযায়ী, ভাসমান জনগোষ্ঠীর যারা এখনও টিকা নেয়নি তাদের টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনতে বিভিন্ন উপজেলা, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড বা সরকার মনোনীত এলাকা থেকে কমপক্ষে এক কোটি মানুষ বাছাই করা হবে।
এদিন বিভিন্ন পর্যায়ে (উপজেলা, পৌরসভা ও সিটি ওয়ার্ড) ছয় দশমিক ৫৫ মিলিয়ন টিকা প্রদান করা হবে।
এছাড়া বিভিন্ন কারখানা, বাজার, রেস্তোরাঁ, নৌকা, লঞ্চ, জাহাজ, ইটভাটা ও অন্যান্য ভাসমান সম্প্রদায়ের শ্রমিকসহ বিশেষ সম্প্রদায়কে সাড়ে তিন মিলিয়ন টিকা দেয়া হবে।
এ দিন টিকা নেয়ার জন্য টিকার নিবন্ধন বা জন্ম সনদ লাগবে না।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
লক্ষ্যমাত্রার ৭৫ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন। এতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোন আপত্তি নেই। তবে আমাদের পরামর্শ থাকবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়। আর স্কুল-কলেজের যে সমস্ত ছেলে-মেয়েরা এখনও টিকা নেয়নি তারা যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে করোনার টিকা নিয়ে নেয়।’
শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার শুভ্র সেন্টারে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওমিক্রন ছড়ালে অনলাইন ক্লাস হবে’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন , আমাদের লক্ষ্যমাত্রার ৮৫ ভাগ মানুষকে টিকা দেয়া সম্পন্ন হয়েছে। কাজেই সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঝুঁকি এখন অনেকটাই কমে গেছে। এরপরও আমাদেরকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং বাইরে গেলেই মাস্ক পরতে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করতে হবে। সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান সীমিতভাবে করার জন্য যেসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা মেনে চলতে হবে।
অনুষ্ঠানে জেলা সিভিল সার্জন মোয়াজ্জেম হোসেন খান চৌধুরী, মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে তত্বাবধায়ক ডা. আরশাদ উল্লাহ, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুতফর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: লক্ষ্যমাত্রার ৭৫ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
লক্ষ্যমাত্রার ৭৫ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশে লক্ষ্যমাত্রার ৭৫ শতাংশ মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে ১০ কোটি টিকা দেয়া সম্ভব হয়েছে। আমাদের টার্গেট জনগণ ১২ কোটি। তাদের মধ্যে ৭৫ শতাংশ টিকার আওতায় চলে এসেছে।’
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, অনেকের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তারা ইচ্ছা করেই টিকা নিচ্ছেন না, তবে আমি বলতে চাই আমাদের দেশের মানুষের টিকা নেয়ার প্রবণতা রয়েছে। দেশের জনগণ অন্যান্য দেশের মতো না।
আরও পড়ুন: ৫০ বছর হলেই বুস্টার ডোজ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
‘ইউরোপে দেখলাম টিকা নেয়ার জন্য আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে; রাস্তা-ঘাটে মারপিট করা হচ্ছে। নেদারল্যান্ডস, আমেরিকাতেও এমন পরিস্থিতির দেখা গেছে, তবে বাংলাদেশে এখনও এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি,’ বলেন মন্ত্রী
টিকা মানুষের মৃত্যুর ঝুঁকি কমিয়ে দিচ্ছে মন্তব্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে করোনায় মৃত্যু কম হওয়ার কারণ হলো আমাদের একটি বড় জনগোষ্ঠীকে আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছি। এ কারণে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যাও কম।
বাগেরহাটে প্রতিদিন ১২ হাজারের বেশি ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে
বাগেরহাটে ১৪টি কেন্দ্রে প্রতিদিন গড়ে ১২ হাজারের বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছর ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এক বছরে জেলায় ২২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৪০ ডোজ করোনার ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, জেলার ফকিরহাট, মোংলা ও শরণখোলা উপজেলায় শতভাগ ১ম ডোজ ভ্যাকসিন দেয়াসহ ১২ থেকে ১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের শতভাগ ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্যাংক কর্মকর্তা, কর্মচারীদের টিকা সনদ থাকতে হবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য মতে, বাগেরহাটে এক বছরে ১১ লাখ ৪৫ হাজার ১৩ জনক প্রথম ডোজ, আট লাখ ২৪ হাজার ৬৩ জনকে দ্বিতীয় ডোজ, ৩০ হাজার ৬৭০ জনকে বুস্টার দেয়া হয়েছে। এছাড়া জেলায় ১২ থেকে ১৭ বছরে শিক্ষার্থীদের এক লাখ ৫৭ হাজার ৪৯৩ জনক প্রথম ডোজ ও এক লাখ ১১ হাজার ৬০১ জনকে দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদ জানান, বাগেরহাটে ভ্যাকসিন কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছ। বর্তমানে ১৪টি কেন্দ্রে শনি থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ছয়দিন ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। গড়ে প্রতিদিন ১২ হাজারের বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়। ইতোমধ্যে শতকরা ৬৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ প্রথম ডোজ, ৪৭ দশমিক ২৪ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ ও এক দশথমিক ৭৬ শতাংশ বোস্টার ডোজ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীরা পরিচয়পত্র ব্যবহার করেই টিকা নিতে পারবে: শিক্ষামন্ত্রী
এছাড়া ১২ থেকে ১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের প্রথম ডোজ ১১৫ দশমিক ২৫ শতাংশ ও দ্বিতীয় ডোজ ৮১ দশমিক ৬৭ শতাংশ দেয়া হয়েছে এবং টার্গেটের চেয়ে ১৫ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশকে ফাইজারের আরও ৬০ লাখ ডোজ টিকা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ফাইজারের আরও ৬০ লাখ ডোজ করোনা টিকা দিয়েছে। আমেরিকান জনগণের পক্ষ থেকে দেয়া ফাইজার টিকার সর্বশেষ এই অনুদানের ফলে বাংলাদেশকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র সরকার মোট সাড়ে চার কোটিরও বেশি ডোজ টিকা দিলো। আরও কয়েক লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশকে অনুদান হিসেবে দিবে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সরকার টিকা অনুদানের একাধিক চালান পাঠানোর মাধ্যমে যতো বেশি সম্ভব বাংলাদেশি নাগরিকদের টিকা দেয়া এবং দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে জীবনরক্ষাকারী টিকা পৌঁছে দেয়ার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে চলেছে।’
টিকা অনুদান দেয়া ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র মহামারি প্রতিরোধ কার্যক্রম শক্তিশালী করতে বাংলাদেশের জাতীয় করোনা টিকাদান কার্যক্রমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের টিকা ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছে ফাইজার
ইতোমধ্যে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাত হাজারেরও বেশি স্বাস্থ্যসেবাদানকারীকে টিকাদান কার্যক্রম উপযুক্তভাবে ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি কোল্ড চেইন পদ্ধতি মেনে সংরক্ষণ ও পরিবহনের ওপর প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ইউএসএআইডি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এবং যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের মাধ্যমে করোনা-সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা হিসেবে বাংলাদেশে ১২১ মিলিয়ন ডলার বা এক হাজার ৪০ কোটি টাকারও বেশি সহায়তা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী কোভ্যাক্স প্রচেষ্টাকে সহায়তা করতে ৪ বিলিয়ন ডলার বা ৩৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকারও বেশি অনুদান দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া সহায়তার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে অতি-কোল্ড চেইন সংরক্ষণ, পরিবহন এবং কোভিড টিকার নিরাপদ ব্যবস্থাপনা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ফাইজারের আরও ১ কোটি টিকা উপহার দিলো যুক্তরাষ্ট্র
করোনা টিকার বুস্টার ডোজে ফাইজারের পরিবর্তে মডার্না
২১ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকাপ্রাপ্ত ভ্রমণকারীদের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিবে অস্ট্রেলিয়া
২১ ফেব্রুয়ারি থেকে সমস্ত টিকাপ্রাপ্ত পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। সোমবার বিধিনিষেধ শিথিল করে দেশটি এ ঘোষণা দিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া ২০২০ সালের মার্চ মাসে দেশটির নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দাদের ওপর বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।
প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন জানিয়েছেন, দেশটির সিনিয়র মন্ত্রীরা সোমবার সম্মত হয়েছেন যে ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে সমস্ত টিকাপ্রাপ্ত ভিসাধারীদের জন্য দেশটির সীমান্ত আবার খুলে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সব মানুষ টিকার পরিপূর্ণ ডোজ পাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মরিসন বলেন, ভ্রমণকারীদের অবশ্যই টিকা দেয়ার প্রমাণ থাকতে হবে। এসময় তিনি করোনা টিকা না দেয়ার কারণে অস্ট্রেলিয়ান সরকার কর্তৃক সার্বিয়ান টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচের ভিসা বাতিলের বিষয়টি তুলে ধরেন।
মরিসন বলেছেন, ‘আমি মনে করি বছরের শুরুর দিকে বিশ্বের প্রত্যেকের কাছে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের প্রয়োজনীয়তা হিসেবে এই বার্তা খুব স্পষ্টভাবে পাঠানো উচিত ছিল।’
আরও পড়ুন: কওমি মাদরাসা শিক্ষার্থীদের টিকাদান শুরু
ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সব মানুষ টিকার পরিপূর্ণ ডোজ পাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সব মানুষ বুস্টার ডোজসহ লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী পরিপূর্ণ টিকা পাবে বলে জানিয়েছন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, টিকার জন্য এখন পর্যন্ত ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ হয়েছে সরকারের।
আরও পড়ুন: করোনা রোগীদের ৭০-৮০ ভাগই ওমিক্রনে আক্রান্ত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক জানান, টিকা কার্যক্রমে সফল হয়েছে বাংলাদেশ। দেশের ১০ কোটি মানুষ টিকা পেয়েছে। ৭০ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় এসেছে। পৌনে সাত কোটি দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে। বুস্টার ডোজ পেয়েছে ২৬ লাখ মানুষ।
তিনি জানান, টিকা হাতে আছে ১০ কোটি। মোট টিকা পেয়েছে সাড়ে ২৭ কোটি মানুষ। সবাইকে দেয়ার পরও টিকা থাকবে বলে জানান মন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যারা টিকা নেন নি তারা টিকা নেন। হাসপাতালে এখন সারা দেশে মিলে আড়াই হাজার রোগী আছে, আর ঢাকায় রয়েছে দেড় হাজার রোগী। টিকা নেয়ার কারণে দেশে মৃত্যুহার কমেছে।
আরও পড়ুন: ভাসমান জনগোষ্ঠীকে দেয়া হবে জনসনের টিকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ব্যাংক অর্ধেক জনবল নিয়ে কাজ করবে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত
ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে পূর্বে জারি করা নির্দেশিকা ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুসরণ করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।
বৃহস্পতিবার বিবির পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগ করোনার বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে ব্যাংকগুলোকে এই নির্দেশিকা অনুসরণ করতে বলেছে।
এর আগে ২৪ জানুয়ারি থেকে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যাংকগুলোকে সরকারের নির্দেশনা অনুসারে অর্ধেক জনবল নিয়ে কাজ পরিচালনা করতে বলেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আরও পড়ুন: ৩০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব তলব
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অফ-সাইট তত্ত্বাবধান বিভাগ নির্দেশিকা জারি করেছে যে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে রোস্টারের মাধ্যমে অর্ধেক কর্মী নিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা উচিত।
তবে প্রয়োজনীয় ব্যাংকিং সেবা চালু রাখার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে বলে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় নির্দেশটি নতুন করে ব্যাংকগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশিকা অনুসারে, অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের অবশ্যই টিকার ডোজ সম্পন্ন করতে হবে।
বাড়ি থেকে কাজ করা কর্মকর্তা, কর্মচারীরা নিজ নিজ কর্মস্থলের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখবেন এবং ভার্চুয়ালি অফিসিয়াল কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন (ই-টেন্ডারিং, ই-মেইল, এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপ ও অন্যান্য উপায়ে)।
ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারীকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তাছাড়া সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।
এছাড়াও এটিএম আউটলেট ও মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসে পর্যাপ্ত অর্থ রাখার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৬২ টাকা বাড়ল
৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের টিকা ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছে ফাইজার
পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের করোনা টিকা ব্যবহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে ফাইজার। অনুমতি পেলে কম বয়সী আমেরিকানদের জন্য মার্চের প্রথম দিকে ডোজ নেয়া শুরু করার পথ খুলে দিতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) ফাইজার ও তার অংশীদার বায়োএনটেককে কোম্পানিগুলোর পরিকল্পনার আগে আবেদন করার জন্য অনুরোধ করেছিল।
ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে রেকর্ড সংখ্যক তরুণ আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় মার্কিন অভিভাবকরা তাদের পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের টিকা দেয়ার বিষয়ে দাবি জানিয়ে আসছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ফাইজারের আরও ১ কোটি টিকা উপহার দিলো যুক্তরাষ্ট্র
নিউইয়র্ক সিটির শিশু বিশেষজ্ঞ ড. ড্যান হেস বলেন, ‘আমি বলব আমার অফিসের বাবা-মায়েরা ছোট বাচ্চাদের টিকা দেয়ার জন্য উন্মুখ। দেখা হলেই সবাই প্রথমেই জিজ্ঞেস করে ডোজটি কবে দেয়া হবে বলে মনে করেন আপনি।’
ফাইজারের সিইও আলবার্ট বোরলা এক বিবৃতিতে বলেছেন, কোম্পানির বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে এই বয়সের জন্য শেষ পর্যন্ত তিনটি অতিরিক্ত কম ডোজ শট প্রয়োজন হবে। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এফডিএ পদক্ষেপের ওপর নির্ভর করছে।
এফডিএ জানিয়েছে, ফাইজারের ডেটা পর্যালোচনা করার জন্য ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে স্বাধীন গবেষক ও চিকিৎসকদের নিয়ে একটি প্যানেল আহ্বান করা হবে।
আরও পড়ুন: ওমিক্রনের বিরুদ্ধে ফাইজারের পিল কার্যকর