পেঁয়াজ
বাজারে পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাজারে পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কারণে আমরা পেঁয়াজ পেয়েছি। তবে দাম কমাতে খানিকটা দেরি হয়েছে। ভারতের ৮০০ ডলারের পেঁয়াজ ৪০০ ডলারে আমরা আনতে পেরেছি। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে পেঁয়াজ দেওয়ার জন্য ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।’
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনের সামনে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, পর্যায়ক্রমে বাকি পেঁয়াজ আনার ব্যবস্থা করব। ঢাকা, চট্টগ্রামে এ বিক্রয় কার্যক্রমে দেশের অন্যান্য জায়গায় পেঁয়াজের দাম কমে যাবে।'
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের জন্য ভারত ছাড়াও মিয়ানমার, রাশিয়া, ব্রাজিলের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানান, এ আমদানি কার্যক্রম সরকারের সফল বাণিজ্য কূটনীতির ফল। ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা হলেও বাংলাদেশের জন্য বিশেষ কোটা থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এর আগে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের অতিরিক্ত পরিচালক খন্দকার নুরুল হক ও মোহাম্মদ রবিউল মোর্শেদ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামীম হাসানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, ভারত থেকে আমদানির ৫০ হাজার টন পেঁয়াজের মধ্যে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ দেশে পৌঁছেছে। ঢাকা মহানগরের ১০০টি স্থানসহ গাজীপুর ও চট্টগ্রাম মহানগরের খোলাবাজারে মঙ্গলবার থেকে ক্রেতারা ৪০ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।
দর্শনা বন্দরে পৌঁছাল ১৬৫০ টন পেঁয়াজের প্রথম চালান
ভারত থেকে ৪২ ওয়াগনে আমদানি করা ১৬৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজের প্রথম চালান দর্শনা বন্দরে পৌঁছেছে।
বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশন (টিসিবি) এ মালামাল আমদানি করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানানো হয়েছে।
রবিবার (৩১ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে পেঁয়াজের এই চালানটি দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল বন্দরে এসে পৌঁছায়।
দর্শনা আন্তর্জাতিক স্থলবন্দরের স্টেশন ম্যানেজার মির্জা কামরুল হাসান বলেন, বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশন (টিসিবির) ভারত থেকে যে পেঁয়াজ আমদানি করেছিল। তার প্রথম চালানটি রবিবার সাড়ে ৫টার দিকে ভারত থেকে রেলপথের মাধ্যমে দর্শনা বন্দরে এসে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
তিনি আরও বলেন, মোট ৪২টি ওয়াগনে প্রায় ১৬৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। তবে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ভর্তি ওয়াগন দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলবন্দর থেকে ওই রাতেই সিরাজগঞ্জ বাজারে নেওয়া হবে।
তারপর ওয়াগন থেকে পেঁয়াজ খালাস করে দেশের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা শহরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানান।
দর্শনা পৌর মেয়র ও রেলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান হাবু বলেন, সরকার বিশেষ করে রমজান মাসে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মঞ্জু বলেন, দেশে পেঁয়াজ নিয়ে বরাবরের মতো যেন কেউ গুদামজাত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে, কেউ যেন চড়া দাম হাঁকিয়ে সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলে বিপুল অর্থ কামাতে না পারে, সেজন্যই সরকারের একটি সংস্থা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেছে। তবে পর্যায়ক্রমে পেঁয়াজের আরও চালান আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: রবিবার রাতেই ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
পেঁয়াজ আমদানির জন্য ভারত থেকে অনুমোদন পেয়েছি, দাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
রবিবার রাতেই ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
রবিবার রাতেই ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
তিনি বলেন, রবিবার (৩১ মার্চ) রাতেই দেশে পৌঁছাবে ভারত থেকে আমদানি করা ১ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ।
আরও পড়ুন: তিন দিনের ব্যবধানে গাইবান্ধায় পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ
রবিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ বিষয়ক টাস্কফোর্স সভাশেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রথম ট্রেনে ১ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আসবে। পর্যায়েক্রমে আমদানি করা বাকি পেঁয়াজও দেশে আসবে।
তিনি আরও বলেন, একদিনের মধ্যেই ঢাকা ও চট্টগ্রামে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ৪০ টাকা কেজিতে এসব পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে।
জানা গেছে, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
তবে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বাড়ায় দেশটির সরকার রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ।
পরে হঠাৎ করে পণ্যটির দাম অনেক বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর খুলনায় দাম বেড়েছে ৬০ টাকা
সিলেটে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ
সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় ৩৯ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।
বন্দরের ৩১ জন আমদানিকারক এসব পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর খুলনায় দাম বেড়েছে ৬০ টাকা
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে সোনামসজিদ স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক সোমির ঘোষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সোমির ঘোষ জানান, সোনামসজিদ স্থলবন্দরের ৩১ জন আমদানিকারক পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন।
তিনি আরও জানান, তারা ৩৯ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন। রোজার আগেই পেঁয়াজ আমদানি শুরু হবে।
ভারত সরকার গত ৮ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়।
এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজারগুলোতে বর্তমানে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রোজার আগেই ভারত থেকে আসতে পারে পেঁয়াজ-চিনি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
তিন দিনের ব্যবধানে গাইবান্ধায় পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ
রোজার আগেই ভারত থেকে আসতে পারে পেঁয়াজ-চিনি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
রমজানের আগেই সরকার ভারত থেকে পেঁয়াজ ও চিনি আমদানি করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও এক লাখ মেট্রিক টন চিনির চাহিদা দিয়েছি। এরমধ্যে ২০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও ৫০ হাজার মেট্রিক টন চিনির প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। প্রত্যাশা করছি, চাহিদার পুরোটাই আমরা নিয়ে আসতে পারব।’
আরও পড়ুন: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কানাডাসহ তিন দেশের প্রতিনিধির সৌজন্য সাক্ষাৎ
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রোজার আগেই ভারত থেকে পেঁয়াজ ও চিনি আসবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। ভারত সফরে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে আশ্বাস পেয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘আশা করি, সোমবার থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে আমরা একটি ভালো খবর পাব। কীভাবে, কত তারিখ থেকে আমদানি করব, সেটা অনুমোদন পেলেই আমরা বাকি পণ্যগুলোর কথা জানাতে পারব।’
টিটু আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে তাদের (ভারত) মিনিস্টেরিয়াল বৈঠক ১৪ ফেব্রুয়ারি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জার্মানিতে আছেন। তিনি বিদেশ থাকায় বৈঠকটি হতে একটু দেরি হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: রমজানে সরবরাহ-দাম নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করার প্রস্তুতি চলছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
২০০৯ সাল থেকে দেশে দৃশ্যমান প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
‘আশা করছি, সোমবার থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে কোনো এক সময় এই বৈঠক হবে। এখনো বিশ্বাস করি, ভালো ফল হবে।’
তিনি বলেন, শুধু একটি উৎস না, বিকল্প উৎস থেকেও আমরা চেষ্টা করছি। ভারতের আশপাশের দেশগুলো থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে। নেপাল থেকে ডাল আসে, মিয়ানমারে সীমান্ত পরিস্থিতি ভালো না হলেও সেখান থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আনার প্রক্রিয়া চলছে। সেটা দ্রুত আপনাদের জানাতে পারব।
আরও পড়ুন:
তিন দিনের ব্যবধানে গাইবান্ধায় পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ
গাইবান্ধায় পেঁয়াজের বাজারে যেন আগুন লেগেছে। তিন দিনে কেজিতে ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ১২০ টাকায় দাঁড়িয়েছে পেঁয়াজের দাম। গাইবান্ধার আড়ত ও খুচরা দোকানদাররা খেয়াল-খুশিমতো পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করছেন ক্রেতারা।
শুক্রবার গাইবান্ধার কয়েকটি বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর খুলনায় দাম বেড়েছে ৬০ টাকা
গাইবান্ধা শহরের প্রধান বাজার পুরাতন বাজারে পেঁয়াজ কিনতে গিয়েছিলেন স্থানীয় দোকান কর্মচারী হালিম খান। তিন দিন আগে পেঁয়াজ প্রতি কেজি কিনেছিলেন ৭০ টাকা। শুক্রবার পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে দেখেন পেঁয়াজ কেজি ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক কেজির বদলে আড়াইশ গ্রাম পেঁয়াজ কিনে ফেরেন হালিম খান।
তিনি বলেন, দোকানে কাজ করি, মাস গেলে যা পাই তাতে মাংস-মাছ তো দূরের কথা, আলু ভর্তা খেয়ে মাস পার করাও কঠিন।
শহরের কালিবাড়ি পাড়ার বাসিন্দা বাপ্পী দাস পুরান বাজারে পেঁয়াজ কিনতে এসে বলেন, ৭০ টাকা কেজি পেঁয়াজ এখন ১২০ টাকা কেজি। বাজারে প্রতিদিন প্রশাসনের অভিযান চালানো দরকার। তাহলে হয়তো কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। প্রতি দোকানে জিনিসের দাম লিখে রাখলেও সে অনুযায়ী দাম রাখা হয় না। প্রশাসন চলে গেলে ব্যবসায়ীরা তাদের মতো করে জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, গাইবান্ধা শহরের প্রায় প্রতিটি আড়তে পেঁয়াজ বস্তায় ভরে রাখা হয়েছে। চাহিদার চেয়ে পেঁয়াজের পরিমাণ বেশি থাকলেও দ্বিগুণ দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
গাইবান্ধা শহরের পুরাতন বাজারের আড়তের মালিকরা বলেন, পেঁয়াজের আমদানি কম। মোকামেও পেঁয়াজ নেই তাই বাজারে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে।
আড়তমালিক ফিরোজ কবীর বলেন, গৃহস্থরা পেঁয়াজ বিক্রি না করায় বাজারে পেঁয়াজের টান পড়েছে।
তিন দিনের ব্যবধানে দাম দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আড়ত মালিকরা বলেন, তাদের এতে কোনো হাত নেই, সারাদেশে একই অবস্থা। ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে এলে দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে মনে করছেন তারা।
পেয়াঁজের মূল্য দ্বিগুণ বৃদ্ধির ব্যাপারে গাইবান্ধা জেলা বাজারদর কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, হঠাৎ করেই বাজারে পেঁয়াজ আমদানি কমে গেছে। সে কারণেই পেঁয়াজের মূল্য বেড়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ৬ দিন পর খালাস হলো বেনাপোল বন্দরে আটকে থাকা টিসিবির পেঁয়াজ
সিলেটে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ
আবারও হিলি দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় গত ১১ দিন ধরে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। রপ্তানি বিধি-নিষেধ শিথিল করায় আবারও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় ভারত থেকে প্রায় ৩০ টন পেঁয়াজবাহী দুইটি ট্রাক হিলি স্থল বন্দরের পানামা পোর্টের ওয়্যারহাউজে প্রবেশ করে।
নতুন করে আমদানির ফলে দেশে পেঁয়াজের দাম অনেকটা কমবে।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রামে অভিযান শুরু
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকেরা জানান, ভারত সরকার হঠাৎ করেই গত ৭ ডিসেম্বর অভ্যন্তরীণ সংকট ও দাম বৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। ফলে দেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ শূন্য হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় হিলি স্থলবন্দরের মোকামে কেজিতে ১০০-১২০ টাকা করে দাম বেড়ে ২০০-২২০ টাকায় বিক্রি হয়। গত কয়েকদিন ধরে অবশ্য দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়।
বন্দরের আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন, দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত থেকে বাড়তি দামেই পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রাখা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ৬ দিন পর খালাস হলো বেনাপোল বন্দরে আটকে থাকা টিসিবির পেঁয়াজ
কিন্তু অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকটের অজুহাত দেখিয়ে গত ৭ ডিসেম্বর হঠাৎ ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। ৭ তারিখের আগে করা এলসির পেঁয়াজ রপ্তানি করার জন্য সেদেশের ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ভারত সরকারের কাছে চাপ তৈরি করা হচ্ছিল।
এমতাবস্থায় ভারত সরকার আগের এলসির পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত দিলে মঙ্গলবার থেকে দেশে আমদানি শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ
৬ দিন পর খালাস হলো বেনাপোল বন্দরে আটকে থাকা টিসিবির পেঁয়াজ
বেনাপোল বন্দরে ৬ দিন আটকে থাকার পর সোমবার রাতে খালাস করা হয়েছে টিসিবির ৯০ টন পেঁয়াজ। খালাস করার পর দেখো গেছে অধিকাংশ পেঁয়াজে পচন ধরেছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রবিন্দ্র সিংহ জানান, গত ৫ ডিসেম্বর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতীয় ৩টি ট্রাকে করে ৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি করে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি)। কিন্ত গত পাঁচ দিনেও খালাস না করায় পেঁয়াজের চালানে পচন ধরতে শুরু করে। এ সংক্রান্ত রিপোর্ট বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ায় আজ বিকেলে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস কাস্টমস হাউসে সাবমিট করে। পেঁয়াজের রাজস্ব পরিশোধ করে সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন শেষে বন্দর কর্তৃপক্ষ আজ রাতে পেঁয়াজের চালানটি খালাস করে।
আরও পড়ুন: সিলেটে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ
বেনাপোলের কোয়ারেন্টাইন উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার জানান, ভারত থেকে টিসিবির আমদানি করা পেঁয়াজের ট্রাকগুলো বেনাপোল স্থলবন্দরে ছয় দিন আটকে থাকার পর আজ রাতে ৯০ টন পেঁয়াজ খালাস করে দেওয়া হয়।
পেঁয়াজ নিয়ে আসা ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভার সন্তোস মণ্ডল জানান, পেঁয়াজের ট্রাক নিয়ে গত পাঁচ দিন বেনাপোল বন্দরে আটকে থাকার পর আজ রাতে ভারতীয় ৩টি ট্রাক থেকে পেঁয়াজগুলো আনলোড করা হয়েছে।
বাংলাদেশি ৬টি ট্রাকে করে পেঁয়াজ খালাস করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে বলে জানান পেঁয়াজ খালাসের দায়িত্বে নিয়োজিত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কনফিডেন্স এন্টারপ্রাইজের মালিক হাবিবর রহমান হাবু।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, গত ৬ দিন ধরে বন্দরে টিসিবির ৯০ টন পেঁয়াজ আটকে ছিল। আজ সোমবার রাতে পেঁয়াজের চালানটি খালাস করা হয়েছে। পেঁয়াজের চালান যথাসময়ে খালাস না করায় পচন ধরতে শুরু করেছে ।
আরও পড়ুন: সার কারখানা স্থাপন করে ভোলার গ্যাস ব্যবহার করা যায় কি না মূল্যায়ন করুন: প্রধানমন্ত্রী
বিটিআরসির চেয়ারম্যান হলেন মহিউদ্দিন আহমেদ
সিলেটে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ
সারাদেশে দাম বৃদ্ধি নিয়ে অস্থিরতার মধ্যে সিলেটে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা (দায়িত্বপ্রাপ্ত) আবু সালেহ মো. হুমায়ূন কবির।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় নগরীর সবচেয়ে বড় পাইকারি আড়ত কালীঘাটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে পুকুরে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু
সোমবার দুপুরে সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক করা হয়। বৈঠকে পুলিশ প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ব্যবসায়ীদের বিকেলের মধ্যে সহনীয় ও যৌক্তিক পর্যায়ে দাম নির্ধারণ করে জেলা প্রশাসনকে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
সিলেটে পাইকারি বাজারে দেশি (মুড়িকাটা) পেঁয়াজ ১২০ ও এলসি পেঁয়াজ ১৪০ টাকা করে বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান হুমায়ূন কবির।
বৈঠকে অতিরিক্ত দামে সিলেটে পেঁয়াজ বিক্রি না করতে কঠোরভাবে নির্দেশ দেন সিলেট জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান। পাশাপাশি নির্দেশনা অমান্য করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।সিলেটের সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা (দায়িত্বপ্রাপ্ত) আবু সালেহ মো. হুমায়ূন কবির বলেন, আমরা বাজার মনিটরিংয়ে আছি। দুপুরের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবসায়ীরা নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করে দাম নির্ধারণ করেছেন। কালীঘাটে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে পাইকারি বাজারে দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ ১২০, এলসি পেঁয়াজ ১৪০ টাকা করে বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এছাড়াও আমরা এখানে অবস্থান করে এই দামে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে পেঁয়াজ বিক্রি করিয়েছি।
আরও পড়ুন: বিনা কর্তনে চলছে ‘অ্যানিমেল’, আটকে আছে ‘কাঠগোলাপ’
চরকির পর্দায় যৌথ প্রযোজনার ‘দম’
পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রামে অভিযান শুরু
ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের খবরে অস্থির পেঁয়াজের বাজার। সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দফায় দফায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।
খুচরা ও পাইকারি বাজারগুলোতে কয়েক দিনের ব্যবধানে অস্বাভাবিকভাবে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা গেছে। এ অবস্থায় বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযানে নেমেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আরও পড়ুন: চালের বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: খাদ্যমন্ত্রী
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খাতুনগঞ্জ এলাকায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুকের নেতৃত্বে বাজার মনিটরিং ও মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।
এই সময় মূল্য তালিকা না থাকা, ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ না থাকা এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত দামে বিক্রির অপরাধে দুইটি দোকানকে জরিমানা করা হয়। মেসার্স মেহের আলী ট্রেডার্সকে ১০ হাজার টাকা এবং মেসার্স মোহাম্মদ আলির কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ব্যবসায়ীদের দাবি বেশি দামে কেনার কারণে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে। আবার খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি তাদেরও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে পাইকারি বাজার থেকে। পাইকারি দোকান থেকে সংগ্রহ করা রশিদে দেখা যাই সৌমিক ট্রেডার্স, আবুল বশর অ্যান্ড সন্স, মেসার্স মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, মেসার্স জান্নাতুল মাওয়া এই আড়তগুলো থেকে কেজিপ্রতি ১৭৫-১৯৮ টাকায় পাইকারি দোকানে বিক্রি হয়। খাতুনগঞ্জ, চাক্তাই ও পাহাড়তলী বাজারে আড়তদাররা উচ্চ মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত আড়তদারদের জরিমানা পাশাপাশি সবাইকে সতর্ক করে দেন। অস্বাভাবিক মূল্যে পেঁয়াজসহ ভোগ্যপণ্য বিক্রির অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জনস্বার্থে এই অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক।
তিনি বলেন, বাজারে বিভিন্ন দোকানে জরিমানা করার পাশাপাশি মনিটরিং অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও সরবরাহ কমার অজুহাতে যাতে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়াতে না পারে সেই বিষয়েও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে এবং নিয়মিত মনিটরিং করা হবে।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, কোনো আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য অবৈধভাবে মজুদ কিংবা এসব পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ালে জেলা প্রশাসন মজুদ করা পণ্য জব্দ করতে পারে।
আড়ত ও বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে জেল-জরিমানা, পণ্য জব্দ, আড়ত-দোকান সিলগালাসহ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে পেঁয়াজের ক্রমবর্ধমান মূল্য নিয়ে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের সঙ্গে বসে তাদের মতামত, পরামর্শ, যুক্তি উপস্থাপন করবে।
আরও পড়ুন: নতুন পেঁয়াজ অস্থিতিশীল বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে: কৃষি মন্ত্রণালয়
কুড়িগ্রামে ৫ টাকায় ব্যাগ ভর্তি সবজির বাজার চালু