চীন
সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে বাংলাদেশ-চীন একসঙ্গে কাজ করবে: দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নীতি, অবকাঠামো, বাণিজ্য, আর্থিক এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও চীন আরও শক্তিশালী সহযোগিতা করতে পারে।
বৃহস্পতিবার(২১ সেপ্টেম্বর) রাতে বাংলাদেশে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, ইআরডির অতিরিক্ত সচিব ও উইং চিফ মো. আনোয়ার হোসেন, বিডা’র নির্বাহী সদস্য ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম, বিসিসিআই’র মহাসচিব আল মামুন মৃধা, বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি মো. শহীদুল্লাহ আজিম এবং ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মো. রেফায়েত উল্লাহ মৃধা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ যারা বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ এ যোগ দিয়েছে।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, বিগত সাত বছরে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গতি সঞ্চার করেছে এবং বাংলাদেশিদের জীবনযাত্রার উন্নতিতে ভূমিকা রেখেছে।
তিনি বলেন, আগামীতে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ শক্তিশালী জীবনীশক্তি উন্মোচন করতে থাকবে এবং চীন ও বাংলাদেশের জন্য একটি সুযোগ ও সমৃদ্ধির রাস্তা হয়ে উঠবে।
নীতি সংযোগের বিষয়ে দুই দেশের নেতারা চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের জন্য শক্তিশালী রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
অবকাঠামোগত যোগাযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, চীন বাংলাদেশে ১২টি সড়ক, ২১টি সেতু এবং ২৭টি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রকল্প নির্মাণ করেছে এবং চীনা কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে সাড়ে পাঁচ লাখেরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।
চলতি বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল এবং পদ্মা সেতু রেলওয়ে সংযোগ প্রকল্পের প্রথম অংশ যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত ইয়াও।
আরও পড়ুন: ইইউ’র পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর ওপর নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নির্ভর করে না: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য সংযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, টানা ১২ বছর ধরে চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার।
বাংলাদেশ ২০১৬ সালে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে যোগদানের পর থেকে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ১৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২০২২ সালে দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে, যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘চীন দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের টেকসই ও ভারসাম্যপূর্ণ উন্নয়নের প্রচার চালিয়ে যাবে, চীনে আম এবং অন্যান্য উচ্চ মানের কৃষি পণ্য রপ্তানি ত্বরান্বিত করবে।’
তিনি বলেন, চীন বাংলাদেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা এগিয়ে নেবে। সিআইআইই-এর মতো প্ল্যাটফর্মের ভালো ব্যবহার করবে, বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার বৈচিত্র্য আনতে সাহায্য করবে এবং বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণে সহায়তা করবে।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ চীনের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে যাতে মানবজাতির জন্য একটি অভিন্ন ভবিষ্যৎ নিয়ে সম্প্রদায় গঠন করা যায়।
তিনি বলেন, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আধিপত্য খোঁজার কোনো কারণে নেই, অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কোনো ঐতিহ্য নেই এবং সম্প্রসারণ ও লুণ্ঠনের কোনো উপাদান নেই।’ তিনি বলেন, এটা বলা যায় যে বাংলাদেশের আধুনিকায়নের যাত্রায় বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ‘ভিশন-২০৪১’ এবং ‘সোনার বাংলার’স্বপ্নের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং বাংলাদেশের বাস্তবতার জন্য উপযুক্ত।
বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের দিকনির্দেশনা নিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক অবশ্যই নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাবে এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার নতুন যুগের সূচনা করবে।
২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগের মজুদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
বাংলাদেশে ৬৭০টিরও বেশি চীনা কোম্পানি কাজ করছে।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, ‘এইমাত্র, আমি ১৬টি চীনা কোম্পানিকে লাইসেন্স দিয়েছি যাদের দক্ষিণ এশিয়ার সদর দপ্তর বাংলাদেশে রয়েছে।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের ভুলে যাবেন না: বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
১৯তম এশিয়ান গেমস আয়োজনে যোগ দিতে চীন যাচ্ছেন সেনাপ্রধান
১৯তম এশিয়ান গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) চীনের হাংঝুতে এশিয়ান গেমসে বিভিন্ন খেলা ও ইভেন্ট পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে যোগ দেবেন তিনি।
চীন সফরকালে তিনি বিভিন্ন দেশের অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গেও মতবিনিময় করবেন।
আরও পড়ুন: আমরা জাতিসংঘে এক নম্বর শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ: সেনাপ্রধান
চীন সফর শেষে সেনাপ্রধান ২৫-২৭ সেপ্টেম্বর ভারতের দিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মি চিফস’ কনক্লেভে (আইপিএসিসি) যোগ দেবেন।
বিভিন্ন দেশের সেনাপ্রধানরা বৈঠকে যোগ দেবেন এবং তাদের মধ্যে প্রশিক্ষণ সহযোগিতা জোরদারে কীভাবে একযোগে কাজ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করবেন।
সেনাপ্রধান ২৮ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ড থেকে ফিরেছেন সেনাপ্রধান
এশিয়ান গেমস ফুটবলে অংশ নিতে হাংঝুতে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল
১৯তম এশিয়ান গেমস ফুটবলে অংশ নিতে শনিবার সকালে চীনের হাংঝু শহরে পৌঁছেছে বাংলাদেশ পুরুষ দল।
শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে বেলা ১১টার দিকে হাংঝুতে হোটেলে পৌঁছায় দলটি।
২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য হাংঝু এশিয়াডে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী ২৪০ সদস্যের দলের প্রথম ব্যাচ হলো এটি।
অলিম্পিক গেমসের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই স্পোর্টস ইভেন্টে এশিয়ার ৪৫টি দেশের প্রায় ১২ হাজার ক্রীড়াবিদ ৬১টি খেলার ৪৮১টি পর্বে অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আফগানদের মুখোমুখি হতে অনুশীলনে ব্যস্ত বাংলাদেশ ফুটবল দল
এবারের এশিয়ান গেমসে অ্যাথলেটিকস, আর্চারি, বক্সিং, ক্রিকেট, দাবা, ফুটবল, কাবাডি, হকি, শুটিং, সাঁতার, ভারোত্তোলন, কারাতে, জিমন্যাস্টিকস, ফেন্সিং, ব্রিজ, গলফ ও তায়কোয়ান্দোসহ মোট ১৭টি খেলায় অংশ নেবে বাংলাদেশ।
আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে হাংঝু এশিয়ান গেমসের উদ্বোধন করা হলেও পুরুষদের ফুটবল প্রতিযোগিতা শুরু হবে ১৯ সেপ্টেম্বর।
চীন, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে কঠিন গ্রুপে থাকা বাংলাদেশ দল ১৯ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার, ২১ সেপ্টেম্বর ভারত এবং ২৪ সেপ্টেম্বর স্বাগতিক চীনের মুখোমুখি হবে।
এশিয়ান গেমস ফুটবলে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেবেন ঢাকা আবাহনীর ডিফেন্ডার রহমত মিয়া।
১৯৭৮ সালে নিজেদের শুরুর পর থেকে এশিয়ান গেমস ফুটবলে বাংলাদেশ ২৭টি ম্যাচ খেলেছে এবং মালয়েশিয়া, নেপাল, আফগানিস্তান ও কাতারের বিপক্ষে একটি করে মাত্র চারটি ম্যাচে জয়লাভ করেছে।
এদিকে এশিয়ান গেমসে প্রথমবারের মতো অভিষেকের জন্য আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর হাংঝুর উদ্দেশে রওনা দেবে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টাইন ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলেন বাংলাদেশ ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া
২২ সেপ্টেম্বর জাপান, ২৫ সেপ্টেম্বর ভিয়েতনাম ও ২৮ সেপ্টেম্বর নেপালের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে খেলবে তারা।
গ্র্যান্ড মাস্টার নিয়াজ মোর্শেদ এবং সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ২৩ সেপ্টেম্বর এশিয়ান গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বহন করবেন।
২০১৮ সালে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা ও পালেমবাংয়ে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে পদক খরার মুখে পড়া বাংলাদেশ এবার ক্রিকেট, শুটিং ও ধনুর্বিদ্যা থেকে ভালো ফলাফল আশা করছে।
এ ছাড়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত দুই প্রবাসী ক্রীড়াবিদ- যুক্তরাষ্ট্রের জিন্নাত ফেরদৌস ও যুক্তরাজ্যের স্প্রিন্টার ইমরানুর রহমানকে নিয়ে বাংলাদেশের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে।
আরও পড়ুন: এএফসি কাপ খেলতে সিলেটে পৌঁছেছে মালদ্বীপের ক্লাব ঈগলস ও ঢাকা আবাহনী
দ্য বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশ এক্সিভিশন-২০২৩ এর পর্দা উঠল
বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) দশম বার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে এক বিশেষ বাণিজ্য প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়।
চীন-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে, বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিআই) এবং চায়না এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশের (সিইএবি) সহযোগিতায় বাংলাদেশে চীনের দূতাবাস এই প্রদর্শনীর আয়োজন করছে।
তিন দিনের প্রিমিয়াম প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে ১৫টি চীনা কোম্পানি, যাদের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সদর দপ্তর বাংলাদেশে।
এ ছাড়াও বাংলাদেশের বাজারে কাজ করছে এমন প্রায় ২০টি অন্যান্য বড় চীনা কোম্পানি এবং বেশ কয়েকটি বড় বাংলাদেশি কোম্পানি ও ব্যাংকও এতে অংশ নিচ্ছে।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন সিইএবি-এর প্রেসিডেন্ট কে চাংলিয়াং।
এ ছাড়াও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান ও সিইও এএইচএম আহসান, অতিরিক্ত সচিব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) উইং চিফ মো. আনোয়ার হোসেন, অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-চায়না অ্যালামনাইয়ের (এবিসিএ) চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমেদ এবং বিসিসিআইয়ের সভাপতি গাজী গোলাম মুর্তোজা সম্মানিত অতিথি হিসেবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে আরও বেশি বাণিজ্য চায় চীন
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স ইয়ান হুয়ালং।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা সবাই জানি বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ, যেটি বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ-এ যোগদান করে। বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাস এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে যাতে বাংলাদেশে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অর্জনগুলো স্পষ্টভাবে প্রদর্শন করা যায়। এ ছাড়া চীন ও বাংলাদেশি কোম্পানির সহযোগিতার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা এবং গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার আসন্ন ৭৪তম বার্ষিকীতে একটি উপহার উপস্থাপন করা।’
চীনের সৌন্দর্য দেখে আমি মুগ্ধ ও অভিভূত: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, আমি পৃথিবীর বহু দেশ সফর করেছি। কিছুদিন আগে আমি সরকারি সফরে চীন ভ্রমণ করি। কিন্তু চীনের সৌন্দর্য দেখে আমি সত্যিকার অর্থেই মুগ্ধ ও অভিভূত হয়েছি।
তিনি বলেন, তারা দেশটিকে স্বপ্নের মতো সাজিয়েছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি দেশটির আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা, মানুষের ব্যবহার ও সময়ানুবর্তিতা আমাকে মুগ্ধ করেছে।
আরও পড়ুন: বৃহত্তর তৃণমূল সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ করতে পারে: কে এম খালিদ
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে চায়না মিডিয়া গ্রুপ, দীপ্ত টিভি ও কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত 'টিভি পর্দায় চীন উৎসব'-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, চীন একসময় আমাদের কাছে রহস্যঘেরা দেশ ছিলো। কিন্তু বর্তমানে চীন বাংলাদেশের উন্নয়নের অন্যতম সহযাত্রী। তবে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের মৈত্রী সুদীর্ঘকালের।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দীপ্ত টিভির ডাবিংয়ের মান অনেক উন্নত যা জনপ্রিয় তার্কিশ টিভি সিরিজ ‘সুলতান সোলেমান’ এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি বলেন, চীনা টিভি সিরিজ ‘রহস্যময়ী’র বাংলা ডাবিংয়ের মাধ্যমে আরেকবার তারা তাদের ডাবিং দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সারাদেশে পিঠা উৎসবের মতো উৎসব ছড়িয়ে দিতে হবে: কে এম খালিদ
নারীদের সাহসী পদক্ষেপ নিতে হবে: কে এম খালিদ
জি২০ সম্মেলনে যোগ দেবে না শি, তবে ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ‘স্থিতিশীল’ রয়েছে: চীন
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ভারতে এই সপ্তাহের গ্রুপ অব-২০ (জি২০) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তবে বেইজিং বলেছে, পারমাণবিক অস্ত্রধারী এই দুই এশিয়ান জায়ান্টের মধ্যে সম্পর্ক বর্তমানে ‘স্থিতিশীল’ রয়েছে।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) চীন ঘোষণা করেছে, প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং নয়াদিল্লিতে ৯-১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জি২০ সম্মেলনে চীনের প্রতিনিধিত্ব করবেন।
সীমান্ত বিরোধের কারণে চীন ও ভারতের সম্পর্ক এখনও হিমশীতল। এমনকি বছর তিনেক আগে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষেও জড়ায় এই দুই পরাশক্তি। সে সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় এবং চার চীনা সেনা নিহত হয়েছিল।
এমনকি সীমান্তবর্তী দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় দুই পক্ষ কামান, ট্যাঙ্ক, ফাইটার জেট এবং কয়েক হাজার সামরিক কর্মী মোতায়েন করেছে।
বিরোধের উল্লেখ না করে বা প্রেসিডেন্ট শি’র অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণ উল্লেখ না করে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেছেন, চীনা নেতারা ‘সর্বদাই ভারতের এই বছরের শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনকে সমর্থন করেছেন এবং জি২০ শীর্ষ সম্মেলন সফল করতে সকল পক্ষের সঙ্গে কাজ করতে তারা প্রস্তুত।’
মাও একটি দৈনিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বর্তমানে চীন-ভারত সম্পর্ক স্থিতিশীল রয়েছে এবং সকল স্তরে সংলাপ ও যোগাযোগ বজায় রাখা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চীন-ভারত সম্পর্কের বৃহত্তর এবং ক্রমান্বয়ে উন্নয়নের জন্য ভারতীয় পক্ষের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হবে বাংলাদেশিদের: চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও
বাণিজ্য, প্রযুক্তি, বিনিয়োগ এবং চীনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের ক্রমবর্ধমান কৌশলগত সম্পর্ক নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে।
ভারত ও চীন উভয়ই একে অন্যের সাংবাদিকদের বহিষ্কার করেছে এবং একসময় এক দেশের প্রচুর শিক্ষার্থী অন্য দেশে পড়তে যেত, কিন্তু এখন শিক্ষা বিনিময় শূন্যের কোঠায়।
ভারত সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে চীনকে ছাড়িয়ে গেছে এবং কম্পিউটার, ইস্পাত তৈরি, মহাকাশ অনুসন্ধান এবং অন্যান্য উচ্চ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এই দুই দেশ প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছে।
ভবিষ্যতে সংঘর্ষের সম্ভাবনা কমানোর জন্য চীনা ও ভারতীয় সামরিক কমান্ডাররা গত মাসে বৈঠক করেন এবং লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বরাবর শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখার’ প্রতিশ্রুতি দেন।
লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল পশ্চিমে লাদাখ থেকে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের চীন ও ভারত-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোকে পৃথক করেছে। অবশ্য চীন সম্পূর্ণ অরুণাচল প্রদেশের মালিকানা দাবি করে।
জি২০-এ যোগ না দিয়ে শি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলোচনায় বসার একটি সুযোগ প্রত্যাখান করেছে। যখন চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
এছাড়া, চীন আরও ইঙ্গিত দিচ্ছে যে শি নভেম্বরে সান ফ্রান্সিসকোতে এশিয়া-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার নেতাদের বৈঠকেও যোগ দেবেন না।
আরও পড়ুন: যারা মিয়ানমারের পরিস্থিতি প্রত্যাবাসনের ‘উপযোগী নয়’ বলে দাবি করছে, তারা কখনোই রাখাইন যায়নি: চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও
অগ্রাধিকারমূলক ঋণ, জিডিআই ও সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন তহবিলের উপযুক্ত ব্যবহার করবে বাংলাদেশ: প্রত্যাশা চীনা রাষ্ট্রদূতের
চীনে ৯ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার পর টাইফুন সাওলার আঘাত
হংকং এবং দক্ষিণ চীনের উপকূলীয় অন্যান্য অংশে ব্যবসা, পরিবহন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্লাস স্থগিত করে প্রায় ৯ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার পর টাইফুন সাওলা শুক্রবার গভীর রাতে দক্ষিণ চীনে আঘাত হেনেছে।
গুয়াংডং প্রদেশের আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে, শক্তিশালী ঝড়টি রাত সাড়ে ৩টার দিকে হংকংয়ের দক্ষিণে ঝুহাই শহরের একটি দূরবর্তী জেলায় আঘাত হানে। এটি গুয়াংডং উপকূল বরাবর প্রায় ১৭ কিলোমিটার (১০ মাইল) বেগে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, যা সমুদ্রের দিকে যাওয়ার আগে ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যায়।
শুক্রবার, প্রতিবেশী ফুজিয়ান প্রদেশের এক লাখ মানুষ ও গুয়াংডং-এর ৭ লাখ ৮০ হাজার মানুষকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৮০ হাজারেরও বেশি মাছ ধরার জাহাজ বন্দরে ফিরে এসেছে।
কর্মজীবী মানুষরা বাড়িতেই অবস্থান করেন এবং বিভিন্ন শহরের বিভিন্ন স্কুল বছরের শুরুর পরের সপ্তাহে স্থগিত করা হয়। হংকংয়ের শেয়ার বাজারে লেনদেন শুক্রবার স্থগিত করা হয়। এছাড়া মূল আঞ্চলিক ব্যবসা এবং ভ্রমণ কেন্দ্রে প্রায় ৪৬০টি ফ্লাইট বাতিল হওয়ার ফলে শত শত লোক বিমানবন্দরে আটকা পড়ে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোয় আঘাত হানতে যাচ্ছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিলারি
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভি জানিয়েছে, চীনের মূল ভূখণ্ডে রেল কর্তৃপক্ষ শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গুয়াংডং প্রদেশে প্রবেশ বা ছেড়ে যাওয়া সমস্ত ট্রেন বন্ধ করে দিয়েছে।
হংকং অবজারভেটরি ১০ নম্বর হারিকেন সতর্কতা জারি করেছে, যা শহরের আবহাওয়া ব্যবস্থার অধীনে সর্বোচ্চ সতর্কতা। ২০১৮ সালে হংকংয়ে সুপার টাইফুন মাংখুট আঘাত হানার পর এটি ছিল প্রথম ১০ নম্বর সতর্কতা।
অবজারভেটরি জানিয়েছে, সাওলা ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৯৫ কিলোমিটার (১২১ মাইল) বেগে বাতাস বয়ে নিয়ে রাত ১১টার দিকে আর্থিক কেন্দ্রটির সবচেয়ে কাছে চলে আসে। শুক্রবার শহরের সিম সা সুই শপিং ডিস্ট্রিক্ট থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার (১৯ মাইল) দক্ষিণে। সংস্থাটি জানিয়েছে, ঝড়ের আইওয়াল, যা তার চোখকে ঘিরে ছিল, রাতারাতি শহর জুড়ে অগ্রসর হচ্ছিল, যা অঞ্চলটির জন্য ‘একটি উচ্চ হুমকি’ তৈরি করেছিল। শনিবার সকাল পর্যন্ত বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটারে নেমে এসেছে।
অবজারভেটরি উপকূলীয় অঞ্চলে মারাত্মক বন্যার বিষয়ে সতর্ক করেছে এবং বলেছে যে মাংখুট যখন শহরের বিল্ডিংগুলোকে এবং গাছ ভেঙে ফেলেছিল তখন পানির সর্বোচ্চ স্তর একই রকম হতে পারে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে, রাজধানী বেইজিংয়ের দূরবর্তী পার্বত্য অঞ্চলসহ বেশ কিছু লোক মারা যাওয়াসহ চীন বিভিন্ন অঞ্চলে তার সবচেয়ে ভারী বৃষ্টিপাত এবং বছরের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক বন্যার সম্মুখীন হয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্রিসে দাবানলে ১৮ জনের লাশ উদ্ধার
হংকংয়ে প্রবল বর্ষণ ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে প্রায় ৪০০ মানুষ অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে এবং ফেরি ও বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। নিচু এলাকার বাসিন্দারা তাদের বাড়িঘর প্লাবিত হওয়া থেকে রক্ষা করার আশায় তাদের দরজায় বালির বস্তা রেখেছিল।
অনেকগুলো গাছ উপড়ে পড়েছে। এতে সাতজন আহত হয়ে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার চেষ্টা করে। শনিবার সব স্কুলে ক্লাস স্থগিত রাখার কথা ছিল।
নিরাপত্তারক্ষী শার্লি এনজি সহ কিছু বাসিন্দাকে শুক্রবার কাজ করতে যেতে হয়েছিল। এনজি বলেন, মানুষ ঝড়ের মোকাবিলার জন্য খাবার প্রস্তুত করে মজুত করছিল।
তিনি বলেন, ‘আমি শুধু আশা করি যে টাইফুন যেন কোন ক্ষতির কারণ না হয়।’
নিকটবর্তী জুয়ার কেন্দ্র ম্যাকাও-এর আবহাওয়া কর্তৃপক্ষও বন্যার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, শনিবার সকালে নিচু এলাকায় পানির স্তর দেড় মিটার (৫ ফুট) পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। হংকং, ম্যাকাও এবং ঝুহাই শহরের সংযোগকারী আন্তঃসীমান্ত সেতুটি দুপুরের দিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ম্যাকাও নেতা হো ইয়াত সেং ক্যাসিনো কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন।
আবহাওয়া প্রশাসন জানিয়েছে, আরেকটি ঝড় হাইকুই ধীরে ধীরে পূর্ব চীনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সাওলার প্রভাবের সঙ্গে মিলিত হয়ে গুয়াংডং, ফুজিয়ান এবং ঝেজিয়াং প্রদেশের কিছু অংশে প্রবল বাতাস এবং ভারী বৃষ্টিপাত হবে। এটি পূর্বাভাস দিয়েছে হাইকুই রবিবার তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে আঘাত হানবে।
হংকং এবং ম্যাকাওতে বিমান পরিষেবার পাশাপাশি বেশ কিছু অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হারিকেন ইডালিয়ার আঘাতে তলিয়ে গেছে ফ্লোরিডার রাস্তা-ঘাট, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন
দুটি ঝড় সত্ত্বেও তাইওয়ানকে ভয় দেখাতে চীনের সামরিক বাহিনী শুক্রবার রাতে এবং শনিবার ভোরে আরও অভিযান পরিচালনা করে। তাইওয়ান একটি স্বশাসিত গণতান্ত্রিক দ্বীপ, যেটিকে বেইজিং প্রয়োজনে জোর করে চীনা সার্বভৌমত্বের অধীনে আনতে চায়। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় তাইওয়ানের চারপাশে ছয়টি চীনা সামরিক বিমান ও তিনটি নৌযান শনাক্ত করা হয়েছে।
এটি বলেছে যে দ্বীপের সশস্ত্র বাহিনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং বিমান, নৌবাহিনীর জাহাজ এবং ভূমি-ভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাকে সতর্ক করে দিয়েছে। তবে চীনা জাহাজ বা বিমানগুলো তাইওয়ান প্রণালীর মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে বা তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ অঞ্চলে প্রবেশ করেছে এমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
বুধবার সাওলা তাইওয়ানের ঠিক দক্ষিণে অতিক্রম করে চীনের মূল ভূখণ্ডের দিকে অগ্রসর হয় এবং এর বাইরের ব্যান্ডগুলো ভারী বৃষ্টিপাতের সঙ্গে দ্বীপের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরগুলোতে আঘাত হানে।
এছাড়া চলতি সপ্তাহের শুরুতে ফিলিপাইনেও টাইফুন আঘাত হানে। বন্যার কারণে দ্বীপপুঞ্জের উত্তরাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়।
আরও পড়ুন: চীনে টাইফুন সাওলা ঘিরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি
চীনে টাইফুন সাওলা ঘিরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি
চীনের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) টাইফুন সাওলা ঘিরে সর্বোচ্চ সতর্কতা সংকেত জারি করেছে। শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) ভারতের গণমাধ্যম এএনআইয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চীনভিত্তিক গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, টাইফুন সাওলার প্রভাবে দেশটির উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত এবং ঝড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তাই দেশটির চার-স্তরের ব্যবস্থার সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
টাইফুন সাওলার জন্য চীনের বেশ কয়েকটি অঞ্চলের উৎপাদন ব্যবস্থা, ব্যবসা এবং গণপরিবহন ব্যবস্থা স্থগিত রয়েছে। এমনকি স্কুলগুলোও বন্ধ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবিচল নিষ্ঠার মাধ্যমে ভারত কী করতে পারে তার উজ্জ্বল প্রমাণ চন্দ্রযান-৩: ভারতীয় মন্ত্রিসভা
টাইফুন সাওলা ঘণ্টায় প্রায় ১০ কিলোমিটার বেগে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং ধীরে ধীরে গুয়াংডং প্রদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে অগ্রসর হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, চীনের রাজ্য বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও খরা ত্রাণ সদর দপ্তর টাইফুন প্রতিরোধের জন্য পদক্ষেপ নিতে ফুজিয়ান ও গুয়াংডং-এ সহায়তা কর্মী পাঠিয়েছে।
গ্লোবাল টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী চীনের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র বলেছে, টাইফুন সাওলা শুক্রবার গুয়াংডং প্রদেশ এবং হংকং স্পেশাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ রিজিয়নের (এইচকেএসএআর) উপকূলীয় অঞ্চলে আছড়ে পড়তে পারে।
চীনের জাতীয় আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় (স্থানীয় সময়) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সাওলার পাশাপাশি টাইফুন হাইকুই ঘণ্টায় ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার বেগে পশ্চিম থেকে উত্তরের দিকে ধেয়ে আসার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এটি ধীরে ধীরে পূর্ব চীনের উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে এগোচ্ছে, আর ধীরে ধীরে এর তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় (স্থানীয় সময়) উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর থেকে আরেকটি টাইফুন কিরোগি ধেয়ে আসছে।
টাইফুন পরিস্থিতি বিবেচনা করে সম্ভাব্য ঝুঁকি কমাতে স্কুলের প্রথম দিন এবং উৎপাদন, ব্যবসা এবং পরিবহন স্থগিত করাসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলকে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
গুয়াংডং প্রদেশের শেনজেন অঞ্চলের সমস্ত কিন্ডারগার্টেন ও প্রাথমিকের পাশাপাশি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে।
শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা থেকে শেনজেন বাওআন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সকল দেশয়ি ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে শেনজেন টাইফুনের সতর্কতা স্তর বাড়িয়ে হলুদ স্তরে নিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুয়াংডং-এর খরা, প্রাদেশিক বন্যা, খরা ও টাইফুন নিয়ন্ত্রণ সদর দপ্তর বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় তার জরুরি সতর্কতা বাড়িয়ে লেভেল ১-এ নিয়েছে।
টাইফুনের প্রভাব বিবেচনা করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) থেকে পরবর্তী বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ১২১টি যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে।
ন্যাশনাল মেরিন এনভায়রনমেন্টাল ফোরকাস্টিং সেন্টার সব জাহাজকে সতর্ক থাকতে এবং ঝুঁকি এড়িয়ে চলাচল করতে বলেছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর গাড়িবহরে আত্মঘাতী বোমা হামলা, ৯ সেনা নিহত
গোপনে আদানি গ্রুপের বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনেছেন প্রতিষ্ঠানের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা
যারা মিয়ানমারের পরিস্থিতি প্রত্যাবাসনের ‘উপযোগী নয়’ বলে দাবি করছে, তারা কখনোই রাখাইন যায়নি: চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বাস্তবায়ন করার জন্য যৌথ বৈশ্বিক প্রচেষ্টার গুরুত্ব তুলে ধরে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, যারা মিয়ানমারের পরিস্থিতি প্রত্যাবাসনের ‘উপযোগী নয়’ বলে দাবি করে আসছেন, তারা কখনোই মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যায়নি।
তিনি বলেন, ‘এটি বেশ অদ্ভুত। বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য জীবনযাপনের জন্য কক্সবাজারের পরিস্থিতি উপযুক্ত কি না তারা এ প্রশ্নের উত্তর দেননি। এ বিষয়ে তাদের নিজেদেরই নিজেদের প্রশ্ন করা দরকার।’
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) ইউএনবিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেছেন।
রোহিঙ্গারা ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট বাংলাদেশে এসেছে। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) এর ষষ্ঠ বার্ষিকী ছিল।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যু দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে জর্জরিত করছে। বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশ এসব বাস্তুচ্যুত মানুষকে আশ্রয় দিয়ে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। ক্যাম্পের নিরাপত্তা পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি হচ্ছে। কক্সবাজার ক্যাম্পে হত্যা, বন্দুকযুদ্ধ, অপহরণ, মাদক ও মানব পাচার চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বহিরাগত সহায়তাও কমছে। বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য খাদ্য রেশন প্রতি মাসে ১২ থেকে কমিয়ে ৮ মার্কিন ডলার করা হয়েছে, যা টিকে থাকার জন্য যথেষ্ট নয়।’
চীনের রাষ্ট্রদূত জোর দিয়ে বলেছেন, সব পক্ষই ক্রমবর্ধমানভাবে উপলব্ধি করেছে যে প্রত্যাবাসনই একমাত্র উপায়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বারবার প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে তার দৃঢ় সংকল্প ও অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ‘যদিও রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিষয়, তবে উভয় দেশের অভিন্ন প্রতিবেশী এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে চীন দুই পক্ষকে বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে মতবিরোধ নিষ্পত্তি করার বিষয়ে মত পোষণ করে। যাতে করে এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা যায়।’
আরও পড়ুন: অগ্রাধিকারমূলক ঋণ, জিডিআই ও সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন তহবিলের উপযুক্ত ব্যবহার করবে বাংলাদেশ: প্রত্যাশা চীনা রাষ্ট্রদূতের
তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালে চীন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতির উন্নতির জন্য তিন ধাপের প্রস্তাব পেশ করেছে। এগুলো হলো-সহিংসতা বন্ধ করা, প্রত্যাবাসন শুরু করা এবং উন্নয়নে মনোযোগ দেওয়া।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে চীন তার সামর্থ্যের মধ্যে অনেক রকম সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা রাখাইন রাজ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন সুবিধার শর্ত উন্নীত করতে সাহায্য করেছি, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে প্রত্যক্ষ আলোচনার ব্যবস্থা করেছি এবং দুই পক্ষকে উৎসাহিত ও সমর্থন করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি।’
ব্রিকসে যোগদানে বাংলাদেশকে সমর্থন করবে চীন: প্রেসিডেন্ট শি
ব্রিকসে যোগদান এবং রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করতে চীন সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্বাস দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
বুধবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে চলমান ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে হোটেল হিলটন স্যান্ডটনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এই আশ্বাস দেন তিনি।
চীনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত সই এবং চীন-বাংলাদেশের বাণিজ্যে ভারসাম্যহীনতা কমাতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
দুই নেতার দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বৈঠকে তিনি বলেন, উভয় নেতা একে অপরকে তাদের সুবিধাজনক সময়ে নিজ নিজ দেশে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন এবং তারা এতে সম্মত হয়েছেন।
চীনের প্রেসিডেন্টকে উদ্ধৃত করে মোমেন বলেন, ‘আমি আপনাকে (শেখ হাসিনাকে) সবসময় সমর্থন করব, কারণ আপনি ব্রিকসে যোগ দিতে পারেন।
রোহিঙ্গা ইস্যু চীন, বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের ত্রিপক্ষীয় সম্পৃক্ততার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করতে চান শি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে তারা সর্বদা বাংলাদেশকে এ লক্ষ্যে সমর্থন করবে।
তার উদ্ধৃতি দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে চীন। ---আমরা এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা চাই না।’
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,তার সরকার রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে প্রত্যাবাসন করতে চায়। কারণ তারা এই অঞ্চলের শান্তির জন্য হুমকি হয়ে উঠছে, কারণ তাদের মধ্যে অনেকেই অবৈধ মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায় জড়িত।
তিনি বলেন, উন্নয়নের জন্য শান্তি অপরিহার্য।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সৌদির সমর্থন থাকবে: সৌদি মন্ত্রী
প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও বাংলাদেশকে জ্বালানি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও অবকাঠামোর উন্নয়নে সাহায্য করার জন্য তার দেশের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
দ্রুততম সময়ে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়তে আপনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহায়তা করবে চীন।
হাসিনা চীনের অর্থায়নে পরিচালিত কিছু প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়নে চীনা প্রেসিডেন্টের সহায়তাও চেয়েছেন। যে প্রকল্পগুলো এখন তহবিল সংকটের জন্য আটকে রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে চীনা নেতা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
আলোচনা চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য ব্যবধান কমানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশ বর্তমানে প্রতি বছর প্রায় ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চীনা পণ্য আমদানি করেছে। অন্যদিকে মাত্র ৭০ কোটি মার্কিন ডলারের বাংলাদেশি পণ্য আমদানি করেছে চীন।
উত্তরে চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, তাদের অবশ্যই এই সমস্যাটি সমাধান করতে হবে। তার দেশ চীনের বাজারে ৯৮ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্যে শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, কিছু চীনা বিনিয়োগ বাংলাদেশে এলে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য ব্যবধান কমবে।
তিনি দুই দেশের মধ্যে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) সইয়ের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।
উত্তরে শি বলেন, ‘আমরা দেশগুলোর মধ্যে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি সইয়ের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেব।’
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ চীনে তাজা ফল যেমন আম, কাঁঠাল, পেয়ারা, তাজা শাকসবজি এবং গবাদিপশু ও পোল্ট্রি ফিড রপ্তানির আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
মোমেন বলেন, চীনা নেতা তাদের বিষয়টি বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জোহানেসবার্গে বৈঠক করলেন শেখ হাসিনা-শি
আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য পদ্মা রেল সেতুর উদ্বোধন দেখতে চীনের প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
জবাবে চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি অবশ্যই বাংলাদেশে আসবেন। তবে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সফরের সময় নির্ধারণ করা হবে।
শি জিংপিং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি চীন সফর করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘তবে সময় লাগতে পারে কারণ তিনি নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত থাকবেন কারণ জাতীয় নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে।
শেখ হাসিনা চীনের প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চীনে পড়াশোনার সুযোগ বাড়ানোর আহ্বান জানান এবং শি বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কন্যা এবং ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের বিষয়ভিত্তিক রাষ্ট্রদূত এবং অটিজম ও নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আলজেরিয়ার কাছ থেকে এলএনজি কিনতে চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী