বান্দরবান
বান্দরবানে অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৯ সদস্য গ্রেপ্তার: আইএসপিআর
বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম এলাকা থেকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আরও ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৯টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
বান্দরবানে সাম্প্রতিক ব্যাংক ডাকাতি, অপহরণ ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: কেএনএফের তৎপরতা নিয়ে ঢাকায় সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই: ডিএমপি কমিশনার
গত ২ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা উপজেলা শাখার সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে ওই শাখার ভল্ট থেকে দেড় কোটি টাকা লুটপাটের চেষ্টা চালায় বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী। কিন্তু তারা টাকা নিতে ব্যর্থ হয়।
পরদিন বান্দরবানের থানচি উপজেলায় সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের শাখায় লুটপাট করে তারা।
পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নিরাপত্তা বাহিনী ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ পর্যন্ত রুমা ও থানচি থানায় ৮টি মামলা হয়েছে।
এ ঘটনায় গত ৭ এপ্রিল পার্বত্য এলাকায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ অভিযান শুরু হয় এবং তখন থেকে কেএনএফের প্রধান সমন্বয়কারী চেওসিম বমসহ অর্ধশতাধিক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে যৌথ অভিযানে কেএনএফের ৫৩ সদস্য আটক
বান্দরবানে যৌথ অভিযানে কেএনএফের ৫৩ সদস্য আটক
বান্দরবানে সেনাবাহিনী ও পুলিশের পৃথক দুটি অভিযানে কেএনএফের ৫৩ সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
রুমা উপজেলার সেনাবাহিনীর জোনের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কে. এম আরাফাত আমীন জানান, সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে।
তিনি জানান, এর মধ্যে ১৮ জন নারী। এছাড়া রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকের সহকারী ক্যাশিয়ারকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় বাসের ধাক্কায় অটোরিকশা চালক নিহত
এ যৌথ অভিযানে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও কেএনএফের ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে রুমা উপজেলার ব্যাথেল পাড়াসহ ওই এলাকার বেশ কয়েকটি পাড়ায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, গোলাবারুদসহ সরঞ্জামগুলো উদ্ধার করে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল কে. এম আরাফাত আমীন জানান, রবিবার রাতে পুলিশ থানচি ও জেলা সদরের রেইচা ক্যাম্প থেকে তিনজন কেএনএফ সদস্য ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত গাড়ির চালককে আটক করেছে। আটকদের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের সহকারী ক্যাশিয়ারের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম লালচিয়াম বম।
বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী জানান, রুমা থেকে ৪৯ জন, বান্দরবন থেকে তিনজন ও থানচি থেকে একজন কেএনএফ সদস্যকে আটক করে বান্দরবান জেলা সদরে নিয়ে আসা হয়েছে।
পুলিশি অভিযানে আটকরা হলেন- ভানন্নূন ময় বম, জেমেনিউ বম ও আমে লানচেও বম। এদের বাড়ি রুমা উপজেলার সিমত্লাংপি পাড়ায়। গ্রেপ্তার গাড়ির চালক মো. কফিল উদ্দিন সাগর। তার বাড়ি থানচিতে।
রবিবার রাত থেকে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর কম্বিং অপারেশন শুরু হয়েছে বান্দরবানে। জেলার রুমা রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় এই অভিযান চলছে। অভিযানে ঢাকা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে ৪টি এপিসি।
এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। উপজেলাগুলোতে এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বন্ধ রয়েছে সব ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম।
একই সঙ্গে রুমা উপজেলায় যান চলাচলও বন্ধ রয়েছে। সন্ধ্যার পর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বাজারগুলো। সেখানকার লোকজন এখন আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
হাসপাতালগুলোকে রোগী এবং আহতদের সেবায় প্রস্তুত রাখার নির্দশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন।
আরও পড়ুন: এমপির নামে নকল সিল, ইউপি সদস্যসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সিলেটে ১২৫ টিকিট জব্দসহ কালোবাজারি চক্রের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার
বান্দরবানে কেএনএফের আরও ২ সদস্য গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার
বান্দরবানের রুমা থেকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আরও দুই সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সোমবার উপজেলার বেথেলপাড়া থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি বন্দুক, ২০ রাউন্ড গুলি, ল্যাপটপ ও ইউনিফর্ম উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে কেএনএফের প্রধান সমন্বয়ক গ্রেপ্তার
এর আগে রবিবার বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালোকের বাসা থেকে কেএনএফের প্রধান সমন্বয়ক চেওসিম বমকে (৫৫) গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাব জানায়, এই অভিযান কেএনএফের কার্যক্রম মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কেএনএফ প্রধান নাথান বমের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সাংস্কৃতিক সংগঠন গড়ে তোলার কথা সংগঠনটি গঠন করেছিলেন রোয়াল লিন বম ও চেওসিম বম।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সন্দেহভাজন ৫ কেএনএফ সদস্য গ্রেপ্তার, ২টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ
বান্দরবানে কেএনএফের প্রধান সমন্বয়ক গ্রেপ্তার
কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) প্রধান সমন্বয়ক চেওসিম বমকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।রবিবার বান্দরবান সদর উপজেলার সুলকের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বান্দরবান জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক কর্নেল সাজ্জাদ এ তথ্য জানান।
র্যাব জানায়, এই অভিযান কেএনএফের কার্যক্রম মোকাবিলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কেএনএফ প্রধান নাথান বমের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের নাম করে সংগঠনটি গড়ে তুলেছিলেন রোয়াল লিন বম ও চেওসিম বম।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সন্দেহভাজন ৫ কেএনএফ সদস্য গ্রেপ্তার, ২টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ
এর আগে অস্ত্রসহ দুই সন্দেহভাজন কেএনএফ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের বিবৃতিতে জানানো হয়।
শনিবার রুমা ও থানচি উপজেলায় শতাধিক সদস্য অভিযান চালায়। বান্দরবানে সন্ত্রাসবিরোধী বৃহত্তর উদ্যোগের অংশ হিসেবে র্যাব এই অভিযান চালায়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন এই অভিযান শুরুর বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানান। সংবাদ সম্মেলনে সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখার অপহৃত ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে সফলভাবে উদ্ধারের পর থানচি উপজেলায় সম্প্রতি ব্যাংক ডাকাতিসহ কেএনএফ এর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ভয়াবহতা তুলে ধরা হয়।
এসব ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলাগুলোতে উত্তেজনাকর পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নিরাপত্তা বাহিনী ও প্রশাসনের প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসব কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে রুমা ও থানচি থানায় আটটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের অঙ্গীকার সেনাপ্রধানের
বান্দরবানের ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের অঙ্গীকার সেনাপ্রধানের
বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি ও অপহরণসহ একাধিক অপরাধ কর্মকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় বড় আকারের যৌথ অভিযানের ঘোষণা দিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সমন্বয়ে এই অভিযান জননিরাপত্তা বজায় রাখার প্রচেষ্টার একটি বড় অগ্রগতির চিত্রায়ন করছে।
রবিবার বান্দরবান সেনানিবাসে সংবাদ সম্মেলনে জেনারেল আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা এই অপারেশনে সফল হতে প্রকাশ্য ও গোপন উভয় কৌশল প্রয়োগ করছি।’
আরও পড়ুন: বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি: খাগড়াছড়ির সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার
সাম্প্রতিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড স্থানীয় জনগণকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে জনগণকে আশ্বস্ত করতে জেনারেল আহমেদসহ উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তারা বান্দরবান সফর করেছেন।
শুক্রবার রাতে বেশ কয়েকজন সশস্ত্র সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তারের পর এই অভিযানের আরও অগ্রগতি হয়। জেনারেল আহমেদের মতে, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করে এমন দলগুলোর বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর দৃঢ় সংকল্পের ইঙ্গিত হলো তাদের গ্রেপ্তার করা। তিনি বিশেষভাবে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কথা উল্লেখ করে জানান, এই দল আগে শান্তি আলোচনায় জড়িত ছিল।
তিনি বলেন, ‘শান্তির সম্ভাবনা সত্ত্বেও কেএনএফ অপরাধমূলক আচরণে ফিরে গেছে।’
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সোনালী ব্যাংক শাখায় সশস্ত্র ডাকাতি, ম্যানেজার অপহৃত ও দেড় কোটি টাকা লুট
তিনি আরও বলেন, ‘গত জুনে কোণঠাসা হওয়ার পর তারা আলোচনায় বসতে ইচ্ছুক বলে মনে হয়েছিল। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখায় বোঝা যায় শান্তির প্রতি তাদের অঙ্গীকার দৃঢ় ছিল না।’
এর আগে সেনাদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জাতীয় নিরাপত্তা ও জনকল্যাণে এই মিশনের গুরুত্ব তুলে ধরে অপরাধ দমনে সাহসিকতা ও সতর্কতার আহ্বান জানান জেনারেল আহমেদ।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সন্দেহভাজন ৫ কেএনএফ সদস্য গ্রেপ্তার, ২টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ
নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে আরপিজি উদ্ধার
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার একটি ধানখেত থেকে রকেটচালিত গ্রেনেড (আরপিজি) উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, তুমব্রু পশ্চিমকুল বিজিবি ক্যাম্পের কাছে ধানখেতে কাজ করার সময় তারা আরপিজিটি দেখতে পান। পরে তারা প্রশাসনকে জানান।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান জানান, খবর পেয়ে বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আরপিজিটি হেফাজতে নেয়।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব: বয়ানের মধ্যে দিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু, বিকালে যৌতুকবিহীন বিয়ে
স্থানীয়দের সন্দেহ, মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যরা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় আরপিজি ফেলে চলে যেতে পারে।
এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ঘুমধুম সীমান্তে বাংলাদেশ অংশে একটি নির্মাণাধীন জায়গায় মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেল এসে বিস্ফোরিত হলে বাংলাদেশে দুইজন নিহত হন।
মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষের মধ্যে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
বাংলাদেশে এপর্যন্ত তিন মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর শতাধিক সদস্য আশ্রয় নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দে আতঙ্ক টেকনাফে
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গা ‘ইয়াবা কারবারি’ নিহত
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে ৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় চলমান অস্থিরতার কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আক্তারুন্নাহার সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় আরও দুই দিন বন্ধ থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাময়িকভাবে বন্ধ থাকা পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো হলো- বাইশপারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিমকুল তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
স্থানীয় পরিস্থিতির উন্নতি হলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এসব বিদ্যালয়ে আবারও পাঠদান করাসহ বিদ্যালয়সমূহ খুলতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা, বান্দরবানে ৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বর্জ্যমুক্ত করতে জাপানি মডেল ব্যবহার করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বান্দরবানের ঘুমধুমে মর্টারশেলের আঘাতে নিহত ২
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে একটি বাড়ির উপর মর্টারশেল আঘাত হানে। এতে এক নারীসহ দুইজন নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ড়াইটার দিকে উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলীতে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড় ভ্রমণ: বাংলার দার্জিলিং যাওয়ার উপায় ও খরচের বৃত্তান্ত
নিহতদের একজন হলেন, বাদশা মিয়ার স্ত্রী হোসনে আরা (৫০)। তাৎক্ষণিকভাবে অপরজনের পরিচয় জানা যায়নি।
জলপাইতলী ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শফিকুল ইসলাম জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এ বিস্ফোরণ ঘটে।
বান্দরবানের লামা সার্কেলের এএসপি মো. নুরুল আনোয়ার জানান, দুইজনের মৃত্যুর খবর তিনি শুনেছেন, তবে তাদের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা, বান্দরবানে ৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
বান্দরবানের বাকলাই জলপ্রপাত ভ্রমণ: বাংলাদেশের অন্যতম সুউচ্চ ঝর্ণায় যাবার উপায় ও খরচ
মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা, বান্দরবানে ৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চলমান সংঘর্ষের জের ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী ঘুনধুম ইউনিয়নের ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং একটি মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
রবিবার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শান্তনু কুমার দাশ সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের ১২টি ভোটকেন্দ্রে হেলিকপ্টার ব্যবহার হবে
বিদ্যালয়গুলো হলো- তমরু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাইশফাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তমরু পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় এবং মিশকাতুল নবী দাখিল মাদরাসা।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ত্রিরতন চাকমা জানান, প্রাণভয়ে এলাকাবাসী নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ায় স্কুলগুলো ছাত্রশূন্য হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের বাকলাই জলপ্রপাত ভ্রমণ: বাংলাদেশের অন্যতম সুউচ্চ ঝর্ণায় যাবার উপায় ও খরচ
বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড় ভ্রমণ: বাংলার দার্জিলিং যাওয়ার উপায় ও খরচের বৃত্তান্ত
বান্দরবানের বাকলাই জলপ্রপাত ভ্রমণ: বাংলাদেশের অন্যতম সুউচ্চ ঝর্ণায় যাবার উপায় ও খরচ
বিপজ্জনক ঝিরিপথ দিয়ে কারুকার্যমন্ডিত দুর্গম পাহাড়ের অন্দরমহলে গুপ্ত এক অমূল্য ঐশ্বর্য হলো পাহাড়ি ঝর্ণা। হাজার বছরের প্রাকৃতিক ঘাত-অপঘাতের চিহ্নগুলো আড়াল করে অভিকর্ষের কাছে নিজেকে সপে দেয় প্রস্রবণগুলো। মুক্ত বিসর্জনের এই শব্দে সেই অপঘাতে সৃষ্ট খাদগুলোতে শোনা যায় মহাকালের ফিসফিসানি। যেন প্রকাণ্ড সফেদ পর্দার অন্তরালে লুকানো পাহাড়ের কান্না। কখনও বা স্বচ্ছ স্নিগ্ধ ধারায় অনাবৃত হয়ে পড়ে অমসৃণ কলেবর। ঠিক এমনি রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার সন্ধান দিতে পারে বাংলাদেশের অন্যতম সুউচ্চ প্রাকৃতিক ঝর্ণা বাকলাই ভ্রমণে। অসাধারণ উচ্চতার এই জলপ্রপাতটি নিয়েই আজকের ভ্রমণ কড়চা। চলুন, কখন ও কীভাবে খুব কাছ থেকে এই বুনো ঝর্ণার দর্শন পাবেন- তা জেনে নেওয়া যাক।
বাকলাই ঝর্ণার ভৌগলিক অবস্থান ও বিশেষত্ব
বান্দরবানের থানচি উপজেলাটি বাংলাদেশের পাহাড়প্রেমীদের কাছে সর্বাধিক পরিচিত। এই অঞ্চলেরই নাইটিং মৌজার বাকলাই গ্রামের মধ্যমণি প্রায় ৩৮০ ফুট উঁচু বাকলাই জলপ্রপাত। দেশের গুরুত্বপূর্ণ দুটি পাহাড় কেওক্রাডং ও তাজিংডং-এর মাঝেই এই গ্রামটির অবস্থান। রুমা থেকে ১১০ কিলোমিটার এবং থানচি থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূর থেকে স্পষ্ট চোখে পড়ে এই ঝর্ণা।
স্থানীয়দের অনেকে একে বাক্তালাই ঝর্ণা নামেও অভিহিত করেন। মাত্রাতিরিক্ত ভয়াবহ পাহাড়ি রাস্তা থাকায় এবং যথেষ্ট উদ্যোগের অভাবে খুব কম পর্যটকই এই জলপ্রপাতের একদম পাদদেশ পর্যন্ত যেতে পারেন।
আরও পড়ুন: তাজিংডং ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও খরচ
এই বাকলাই আর লিলুক বা লাংলোক নামে থানচিরই আরেকটি ঝর্ণার সঠিক উচ্চতা নিয়ে বেশ মতোপার্থক্য রয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ ঝর্ণার খেতাব নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ থাকলেও সৌন্দর্য্যের দিক থেকে বাকলাই ঝর্ণা অনেকটা এগিয়ে।