যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির কারণে সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে জামায়াত: গয়েশ্বর
বিএনপির সিনিয়র নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সোমবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির প্রভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে এক দশক পর রাজধানীতে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার এক আলোচনায় বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, জামায়াত একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে সভা করতে পারে, কিন্তু কিছু মানুষ ভাবছেন যে সরকারের সঙ্গে চুক্তির পর ইসলামপন্থী দলকে দীর্ঘদিন পরে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল কিনা।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আসলে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির কারণে সরকার জামায়াতকে (সমাবেশ করার) অনুমতি দিতে বাধ্য হয়েছিল। প্রত্যেককে (ক্ষমতাসীন দলের) এখন সকাল-বিকাল রক্তচাপ এবং সুগারের মাত্রা পরীক্ষা করতে হবে কারণ তারা বুঝতে পেরেছে সবকিছুর শেষ আছে।’
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে স্বাধীনতা ঐক্য পরিষদ।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কোনো আপস নয়: ফখরুল
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এই সরকারের কাছে নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার একটাই পথ খোলা আছে। তা হলো জনগণের মালিকানা এবং তাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া এবং ১০ দফা মেনে নেওয়া।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিরোধী দল তাদের ১০ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনায় বসতে রাজি নয়।
তিনি আরও বলেন, ‘এখন সময় এসেছে আপনাদেরকে (সরকার) বিদায় জানানোর। আমরা এখন আলোচনায় বসবো কেন? আমরা প্রতিদিন যা বলছি, তাই সংলাপ, কিন্তু আপনারা তা শুনছেন না।’
গয়েশ্বর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উচিত বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়ে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠাসহ বিএনপির ১০ দফা দাবি মেনে নেওয়া।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি আগে মেনে নিতে হবে। এরপর তত্ত্বাবধায়ক বা নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা বর্তমান পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারি... আমরা এটাই চাই।’
আরও পড়ুন: নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ‘ডেড’ নয়, ‘লাইফ’ ইস্যু: ফখরুল
লোডশেডিং: ১৩ ও ১৬ জুন মহানগরীগুলোতে রোডমার্চ করবে বিএনপি
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে উপকূলে ভেসে এসেছে কয়েক হাজার মরা মাছ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ মধ্য টেক্সাস রাজ্যের উপসাগরীয় উপকূলের একটি সমুদ্র সৈকতে কয়েক হাজার মৃত মেনহাডেন মাছ উপকূলে ভেসে এসেছে। রবিবার স্থানীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
ওই উপসাগরীয় উপকূলে অবস্থিত সমুদ্র সৈকত পার্কের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উপকূলের কুইন্টানা বিচ কাউন্টি পার্ক থেকে প্রায় ৯ দশমিক ৭ কিলোমিটার দূরে ব্রাজোস নদীর মুখের কাছে ব্রায়ান বিচের শেষ প্রান্তে মরা মাছগুলো পাওয়া গেছে।
পার্কের কর্মকর্তারা শুক্রবার থেকে উপকূলের পানিতে ভেসে থাকা অসংখ্য মরা মাছের ছবি প্রকাশ করে বলেছেন, অগভীর পানি এবং সূর্যালোকের অভাব উপকূলে অক্সিজেনের মাত্রা হ্রাস করে এই ‘বিপর্যয়’ সৃষ্টি করেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, চলমান পরিচ্ছন্নতার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, আরও হাজার হাজার মাছ উপকূলে ভেসে আসার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় তীব্র গরমে জলাশয়ের মাছ মরে যাচ্ছে
অস্ট্রেলিয়ায় তাপদাহে ভেসে আসছে লাখ লাখ মরা মাছ
কক্সবাজার সৈকতে মাছ কুড়ানোর উৎসব!
বাংলাদেশের সঙ্গে নিরাপত্তা ও বাণিজ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র
নিরাপত্তা ও বাণিজ্যসহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ও সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে নিজেদের আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, ‘গত বছর আমরা একটি বার্ষিকী উদযাপন করেছি, যেটি বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সম্পর্কিত এবং ২০২৩ সালে আমরা সেই সম্পর্কটিকে আরও গভীর করার জন্য উন্মুখ। এমন বেশকিছু ক্ষেত্র রয়েছে যেগুলোতে আমরা এই সহযোগিতা আরও গভীর করতে চাই।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিতে আ. লীগ বা সরকার ভয় পায় না: ওবায়দুল কাদের
৭ জুন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে নিয়মিত ব্রিফিংয়ের সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিরাপত্তা সহযোগিতা ছাড়াও জলবায়ু, বাণিজ্য ও অন্যান্য অনেক বিষয়ে সহযোগিতা বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশে সন্ত্রাস দমনে মার্কিন সম্পৃক্ততা বাড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে প্যাটেল বলেন, ‘অবশ্যই এটি এমন একটি সমস্যা যা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমি আপনাদের কিছু সহকর্মীর সঙ্গে এই বিষয়ে অনেক কথা বলেছি। তার মধ্যে একটি অবশ্যই ছিল বাংলাদেশের সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতার সুযোগ।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র অটল: হোয়াইট হাউস
বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের পরিণতি: ফখরুল
যুক্তরাষ্ট্রে হাইস্কুলে বন্দুক হামলায় নিহত ২, আহত ৫
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে হিউগেনট হাইস্কুলের শিক্ষার্থীদের গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে এক বন্দুক হামলায় দুইজন নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৬ জুন) বিকালে ভার্জিনিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য রিচমন্ডে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অনুষ্ঠান চলাকালে সন্দেহভাজন বন্দুকধারী গুলি চালানো শুরু করে। এতে শিক্ষার্থীদের গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে সাতজন গুলিবিদ্ধ হয়। দুই বন্দুকধারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ক্যালিফোর্নিয়ার ২টি ফার্মে বন্দুক হামলায় নিহত ৭
এদিকে রিচমন্ড পাবলিক স্কুলের কর্মকর্তা ম্যাথিউ স্ট্যানলি জানান, মনরো পার্কে ইটি (২১১৫ জিএমটি) কাছাকাছি আলট্রিয়া থিয়েটারে বিকাল সোয়া ৫টার দিকে অনুষ্ঠিত হিউগেনট হাইস্কুলের গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে এ গুলির ঘটনা ঘটে।
শহরটির ভারপ্রাপ্ত পুলিশ প্রধান রিক এডওয়ার্ডস জানান, গুলিবিদ্ধ সাতজনের মধ্যে দুজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায়।
তিনি আরও জানান, পুলিশ দুই বন্দুকধারীকে গ্রেপ্তার করেছে।
রিচমন্ড পাবলিক স্কুলের একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বুধবার (৭ জুন) শহরের সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, এই সপ্তাহে সব উচ্চ বিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।
রিচমন্ডের মেয়র লেভার স্টনি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও বলেন, এই বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।
আরও পড়ুন: সার্বিয়ায় ২ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় বন্দুক হামলা, সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার
কলাম্বাইন থেকে ন্যাশভিল: যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে গণবন্দুক হামলায় নিহত ১৭৫
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিতে আ. লীগ বা সরকার ভয় পায় না: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও সরকার যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিতে ভীত নয়, কারণ তারা সবসময় সংবিধান, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে সম্মান করে।
তিনি বলেন, ‘এই ভিসা নীতি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা এর আওতায় আসার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ তারা সব সময়ই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করছে এবং নির্বাচন ঠেকানোর নামে সন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বিঘ্নিত করতে এবং সাংবিধানিক রাজনীতিতে অচলাবস্থা সৃষ্টির চেষ্টা করে আসছে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের এক লিখিত বক্তব্যে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতারা ‘খুনি-স্বৈরাচারী’ জিয়াউর রহমানকে নিয়ে মিথ্যা মিথ তৈরির চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘মূলত এই জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সংবিধানকে ধ্বংস করেছেন।’
আরও পড়ুন: বিদেশে বিএনপির অভিযোগে কোনো ফল হয়নি: কাদের
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান সরকারী গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করে পাকিস্তানপন্থী বাহিনীকে ক্ষমতায়ন করেছিলেন এবং সমস্ত ‘পাকিস্তানপন্থী রাজনীতিবিদ এবং যুদ্ধাপরাধীদের’ স্থান দিয়েছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী পাকিস্তানি দর্শন চর্চা করা হয়েছিল। দিনের পর দিন আওয়ামী লীগের কার্যালয় তালা দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি কার্যত নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘খুবই পরিতাপের বিষয় যে আজ বিএনপির কিছু নেতা তাদের দেউলিয়াত্ব এতটাই প্রকাশ করেছেন যে তাদের আর রাজনৈতিক সংগঠন বলা যায় না। জনগনের ওপর আস্থা না রেখে বিএনপি নেতারা বিদেশি প্রভুদের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া।'
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের রায় নিয়ে ফখরুলের বক্তব্য আদালত অবমাননার শামিল: কাদের
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতিতে বিএনপির নির্বাচন বয়কটের চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে: ওবায়দুল কাদের
বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের পরিণতি: ফখরুল
সরকারের দুঃশাসনের কারণেই বাংলাদেশের ওপরে ‘গণতান্ত্রিক বিশ্বের নানা চাপ’ দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র ক্ষমতার জন্যে তারা (সরকার) বাংলাদেশের রাষ্ট্রের মানুষে যে আকাঙ্খা ছিলো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, গণতান্ত্রিক সমাজ; তার সব কিছু তারা চুরমার করে দিয়েছে। যার ফলে কি হয়েছে আমরা সব জানি। আজকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি দেয়, নিষেধাজ্ঞা দেয়-এটা আমাদের জন্য খুব আনন্দের কথা নয়, লজ্জার কথা… যে আমরা একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের আজকে আমাদের ওপরে আরেকটা দেশ থেকে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। কেনো?’
সোমবার বিকালে এক সেমিনারে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
গুলশানে হোটেল লেকশোরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিএনপির উদ্যোগে ‘বাংলাদেশে বহুদলীয় প্রবর্তক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান’ শীর্ষক এই সেমিনার হয়। এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক কামরুল আহসান।
ফখরুল বলেন, ‘কারণ এই আওয়ামী লীগ, এই আওয়ামী লীগের অবৈধ সরকার আজকে দেশকে এমন জায়গা নিয়ে গেছে তাদের দুঃশাসনের কারণে, তাদের দুর্ব্যৃত্তায়নের কারণে, তাদের লুটের কারণে যে আজকে একটা এই ধরনের ব্যবস্থা ছাড়া গণতন্ত্রে ফিরে আসার আর কোনো পথ আন্তজাতিক ভাবে গণতান্ত্রিক বিশ্ব দেখতে পারছে না।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী নয়, জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে তারা যুক্তরাষ্ট্রে যাবে কি না: বিএনপি
‘জনগণকে জাগিয়ে তুলতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন একমাত্র একটাই পথ আবার জনগণকে জাগিয়ে তুলতে হবে, যেভাবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সাহেব জাগিয়ে তুলেছিলেন মানুষকে যুদ্ধের জন্যে, যেভাবে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করেছিলেন, যেভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গ্রামেগঞ্জে চারণ কবির মতো গান গেয়ে মানুষকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নামিয়েছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে সেই একইভাবে আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব বিদেশ থেকে যিনি ১০ দফা দিয়েছেন, ২৭ দফা দিয়েছেন রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য সেই দাবিগুলোকে সঙ্গে নিয়ে, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমস্ত রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে সংগঠিত করে, রাজনৈতিক দলগুলোকে সংগঠিত করে গণতন্ত্রকে এখানে আবার প্রতিষ্ঠা করার জন্য, তাকে এখানে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দেওয়ার জন্য গণতন্ত্রমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করার জন্য আজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে হবে, সংগ্রাম করতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদেরকে একটা সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে… এই শাহাদাত বার্ষিকীকে এই হোক শপথ।’
দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সেমিনার কমিটির আহ্বায়ক ইসমাইল জবিউল্লাহর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় এই সেমিনারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক তাজমেরী এস এ ইসলাম, অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী, অধ্যাপক লুতফর রহমান বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের অসম্মানজনক ভিসা নীতির জন্য সরকার দায়ী: ফখরুল
মার্কিন ভিসা নীতি: বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা বিএনপির
৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠিতে অতিরঞ্জন ও অসঙ্গতি রয়েছে: শাহরিয়ার আলম
ঢাকা, ৫ জুন (ইউএনবি)-বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ছয় কংগ্রেসম্যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে যে চিঠি দিয়েছেন সেটিতে অতিরঞ্জন ও অসঙ্গতি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
তিনি বলেন, ‘আমরা চিঠিটি সংগ্রহ করেছি। অন্য যেকোনও চিঠির মতো এখানে কিছু বাড়তি বলা হয়েছে। এমনকি তথ্যের বড় ধরনের ঘাটতি আছে, অসামঞ্জস্য আছে।’
সোমবার (৫ জুন) বিকালে শাহরিয়ার আলম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশেও রাজনীতিবিদেরা, সংসদ সদস্যরা বিশেষ করে অন্য দলের সংসদ সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীকে অনেক কিছু বলেন। কেউ হয়তো লেখেনও, কিন্তু আমরা সেটি জানি না। হয়তো আমার বিরুদ্ধে বলেন বা লেখেন। এটি রাষ্ট্র বা সরকারের প্রধানের ওপর নির্ভর করে তিনি ওই চিঠি বা কথাগুলো বিবেচনায় নেবেন কি নেবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরকম চিঠি অতীতেও এসেছে, ভবিষ্যতে আরও বড় আকারে আসতে পারে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে এই ধরনের কার্যক্রম তত বাড়তে থাকবে।’
বিভিন্ন লবিস্ট ফার্ম বা শক্তি কাজ করছে। এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তারা তাদের কাজ করবে, আমরা আমাদের কাজ করবো। প্রধানমন্ত্রী সবসময় বলেন বাংলাদেশের মানুষ আমাদের শক্তি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশে কারো কাছে ধর্না দিয়ে বা কারো চাপে পড়ে বা কারো সঙ্গে সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতেই হবে- এরকম কোনও নীতির প্রতি অগ্রসর হয়ে বাংলাদেশের মানুষকে পেছনে ফেলে দেওয়ার নীতিতে আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না।’
গত ২৫ মে ৬ জন রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান এক চিঠিতে শেখ হাসিনার সরকার সম্পর্কে বিভিন্ন নেতিবাচক মন্তব্য উল্লেখ করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অনুরোধ করেছেন।এমনকি এদের মধ্যে একজন কংগ্রেসম্যান এ চিঠি পাঠানোর বিষয়টি এক টুইটে জানান।
আরও পড়ুন: চীনের জিডিআই নিয়ে এখনই কিছু বলার নেই: শাহরিয়ার আলম
তিনি বলেন, ‘আমরা ওই কংগ্রেসম্যানদের সঙ্গে কথা বলবো। শুধু তাই না, এ অঞ্চল নিয়ে যাদের আগ্রহ আছে বা এ ধরনের বিষয়ে যাদের আগ্রহ আছে-তাদের সকলকেই নিয়মিতভাবে আমাদের অবস্থান জানাবো।’
মার্কিন ভিসা নীতি
অঘোষিতভাবে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের জন্য ঘোষিত মার্কিন ভিসা নীতি অনুসরণ করবে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত সংবাদের বিষয়ে শাহরিয়ার বলেন, ‘এগুলো সব প্রপাগান্ডা। সরকারের বিরোধী শক্তিগুলো এগুলো করছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি দেশের ভিসা নীতি তার বৈদেশিক নীতির একটি নিয়ামক। তাই এটি মোটেও সকল দেশের বিষয় নয়।’
আরও পড়ুন: পৃথিবীর বর্ধিষ্ণু অর্থনৈতিক অঞ্চল হলো এশিয়া: শাহরিয়ার আলম
রাষ্ট্রদূতেরা সীমা লঙ্ঘন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে
সম্প্রতি একজন রাষ্ট্রদূতের বিএনপি চেয়ারপার্সনের অফিসে যাওয়া এবং ইসি অফিসে গিয়ে নির্বাচনের রোডম্যাপ চাওয়ার বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘৬ মাস আগে এমন একটা সময় গেছে। যদি কেউ বা কোনো দেশের রাষ্ট্রদূত আবার এমন কিছু করেন, যা তাদের সীমার বাইরে, আর তা যদি আমাদের চোখে পড়ে; তবে আমরা অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো। তবে এরকম কিছু আমার এখনও জানা নেই।’
‘অখণ্ড ভারতের’ মানচিত্র
এবিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ভারতের সংসদ ভবনে ‘অখণ্ড ভারতের’ মানচিত্র স্থাপন বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা জানার জন্য দিল্লিতে বাংলাদেশ দূতাবাসকে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ওই মানচিত্রে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নেপালকে অখন্ড ভারতের মানচিত্রে দেখানো হয়েছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার কোনও কারণ নেই। তারপরও অধিক ব্যাখ্যার জন্য আমরা দিল্লির মিশনকে বলেছি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলতে, তাদের আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা কী তা জানার জন্য।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যা জেনেছি তা হলো-ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন যে এটি অশোকা সাম্রাজ্যের মানচিত্র, এটি যিশু খ্রিস্টের জন্মের তিনশ’ বছর আগের। সেই সময়ের যে অঞ্চলটি ছিল, তার একটি মানচিত্র এবং এটি একটি ম্যুরাল। ওই ম্যুরালে বিভিন্ন অগ্রগতির যাত্রা চিত্রায়ণ করা হয়েছে। এখানে সাংস্কৃতিক মিল থাকতে পারে, কিন্তু এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।’
আরও পড়ুন: পশ্চিমাদের অবশ্যই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে হওয়া পাক গণহত্যার কথা স্বীকার করতে হবে: শাহরিয়ার
প্রধানমন্ত্রী নয়, জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে তারা যুক্তরাষ্ট্রে যাবে কি না: বিএনপি
বিএনপির সিনিয়র নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নয়, দেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে তারা যুক্তরাষ্ট্রে যাবে কি না।
তিনি বলেন, ‘তিনি কোনো বিশেষ দেশে যাবেন কি যাবেন না সেটা তার (প্রধানমন্ত্রী) ব্যক্তিগত ব্যাপার। বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষ সে দেশে যাবে কি যাবে না সেটাও তাদের সিদ্ধান্তের ব্যাপার।’
রবিবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে খসরু এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে তারা তাদের ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িক, পেশাগত, পারিবারিক ও শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রে যাবে কি না।
বিএনপির পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান খসরু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।’
এর আগে শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০ ঘণ্টার বিমান ভ্রমণে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে কেউ যুক্তরাষ্ট্রে না গেলে তাতে কিছু যায় আসে না।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের অসম্মানজনক ভিসা নীতির জন্য সরকার দায়ী: ফখরুল
তিনি আরও বলেন, ‘পৃথিবীতে আরও অনেক মহাসাগর এবং অনেক মহাদেশ আছে। সেই মহাদেশের সঙ্গে মহাসাগর হয়ে আমরা যাতায়াত করব আর বন্ধুত্ব করব। আমাদের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী এবং আরও উন্নত ও চাঙ্গা হবে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ নিজের পায়ে চলবে, সরকার নিজের দেশকে গড়ে তুলবে। ‘আমরা কারও মুখাপেক্ষী হবো না, যারা আমাদের ভিসা দেবে না বা যারা আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।’
এদিকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা বা ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে চিন্তিত নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে চিন্তিত।
দলের প্রতিষ্ঠাতার ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় জাতীয়তাবাদী তাঁতীদলের ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখা আয়োজিত খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেন যে কেউ যুক্তরাষ্ট্রে না গেলে তাতে কিছু আসে যায় না।
তিনি প্রশ্ন করেন, ‘তাহলে আপনার ছেলেকে দেশে রাখছেন না কেন? আপনার ছেলে মেয়েরা বিদেশে থাকে কেন? কেন আপনি আপনার অন্য কোনো বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের পরিবর্তে আপনার ছেলেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রেখেছেন?
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দেশের জনগণকে শত্রু মনে করে সুষ্ঠু নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠায় কোনো পদক্ষেপ নেবেন না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে দেশের মানুষ স্বাধীন ও সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারবে। তিনি জানেন মানুষ তার দলকে ভোট দেবে না। তাই নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চান না।’
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা নীতি ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে জনগণের দীর্ঘদিনের দাবিকে প্রতিফলিত করে: ফখরুল
মার্কিন ভিসা নীতি: বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা বিএনপির
বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮ কোটি ৯৯ লাখ ছুঁইছুঁই
বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮ কোটি ৯৯ লাখ ছুঁইছুঁই।
সর্বশেষ বৈশ্বিক পরিসংখ্যান অনুসারে, রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮ কোটি ৯৮ লাখ ৫৩ হাজার ৯০৮ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৬৮ লাখ ৮৫ হাজার ৯৬২ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা ১০ কোটি ৭১ লাখ ২৮ হাজার ৮৬৩ জন এবং মোট মৃত্যুবরণ করেছে ১১ লাখ ৬৫ হাজার ৫৪০ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট শনাক্ত হয়েছে ৪ কোটি ৪৯ লাখ ৯১ হাজার ৩৮০ জন এবং একই সময়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩১ হাজার ৮৭৮ জনে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮ কোটি ৭২ লাখ ছাড়াল
আক্রান্তের সংখ্যায় তৃতীয় অবস্থানে আছে ফ্রান্স। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৪ কোটি ৯৬ হাজার ৩৩১ জন এবং মারা গেছে এক লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৩ জন।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্বের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ সময় নতুন করে ৬৫ জনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৩৯ হাজার ৫৭১ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনা আক্রান্ত আরও ৬৫ জন
যুক্তরাষ্ট্রের অসম্মানজনক ভিসা নীতির জন্য সরকার দায়ী: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত নতুন ভিসা নীতি জাতির জন্য কলঙ্কজনক, কারণ এটি সারা বিশ্বের কাছে প্রকাশ করেছে যে দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসন নেই।
তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) অস্থির হয়ে পড়েছে (মার্কিন ভিসা নীতিতে)। তারা বলার চেষ্টা করছে এটা তাদের সমস্যা নয়। তাহলে ভিসা নীতি কেন এলো... যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে তা আমাদের জন্য শোভনীয় নয়। একটি জাতি হিসাবে।’
শনিবার এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি নেতা বলেন, ক্ষমতাসীন দল দেশে এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে যে, যারা রাজনীতিবিদ, আমলা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিচারক যারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আমেরিকা ভিসা নীতি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করতে সরকারের ‘ভয়ংকর মাস্টার প্ল্যান’: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘এর মানে শুধু দেশের জনগণের কাছে নয়, সারা বিশ্বের কাছে এটা স্পষ্ট যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন নেই।’
বিএনপি নেতা বলেন, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় না হওয়ায় এখনো তারা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ‘মিথ্যা ও গায়েবি’ মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেপ্তার করে জেলে ভরার চেষ্টা করছে।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের দমন-পীড়ন, গ্রেপ্তার ও কারাগারে রেখে সরকার বিএনপির চলমান আন্দোলনকে দমন করতে পারবে না।
পৃথক পৃথক দুর্নীতি মামলায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমানের সাজা বহাল রেখে হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা।
আরও পড়ুন: নিঃসন্দেহে জনগণের টাকা লুটপাটের জন্য এটি একটি স্মার্ট বাজেট: বিএনপি