নারী
সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম আম্বিয়া খাতুন (৫৩)।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার মোকার মোড় নামক স্থানে ভোর ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আম্বিয়া মোকার মোড় এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার আম্বিয়া খাতুন তার ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় মাটিভর্তি একটি ট্রলি সরু রাস্তা দিয়ে দ্রুতগতিতে যাওয়ার সময় আম্বিয়া খাতুনকে ধাক্কা দিলে তার কাপড় টলির সঙ্গে পেঁচিয়ে যায়।
এরপর ট্রলিটি তাকে টেনে হিছড়ে অনেক দূর পর্যন্ত নিয়ে যায়। এসময় স্থানীয় লোকজন ডাকাডাকি করলে ট্রলি থামিয়ে চালক পালিয়ে যায়।
চৌহালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. হারুন অর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয়রা তাকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এছাড়া খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ট্রলিটি আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
গজারিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের নিহত ২, আহত ৪
প্রতি ২ মিনিটে একজন নারী গর্ভাবস্থা বা প্রসবকালীন জটিলতায় মারা যায়: জাতিসংঘ
জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রতি দুই মিনিটে বিশ্বব্যাপী একজন নারী গর্ভাবস্থা বা প্রসবকালীন জটিলতায় মারা যায়।
প্রতিবেদনের 'মাতৃমৃত্যুর হার' নারী স্বাস্থ্যের জন্য উদ্ভূত উদ্বেগগুলোকে আবারও সামনে নিয়ে আসে। কারণ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বের প্রায় সব অঞ্চলে মাতৃমৃত্যু হয় বেড়েছে বা আগের অবস্থায় রয়েছে (অবস্থার উন্নয়ন হয়নি)।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) মহাপরিচালক ডা. তেদ্রোস আধানম গেব্রেইসাস এ বিষয়ে বলেন, ‘গর্ভাবস্থা একজন নারীর জীবনে অত্যন্ত আনন্দের ও মূল্যবান সময়; তাই এই সময়টা প্রতিটি নারীর জন্য ইতিবাচক অভিজ্ঞতা হওয়া উচিত। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এখনও বিশ্বের কয়েক লাখ নারীর জন্য এটি একটি ভয়াবহ ও বিপজ্জনক অভিজ্ঞতায় পরিণত হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই নতুন পরিসংখ্যানগুলোতে বোঝা যায় প্রসবের আগে, প্রসবের সময় এবং পরে প্রতিটি নারী ও মেয়ের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের সুযোগ থাকার গুরুত্ব কতটা এবং তারা যেন তাদের প্রজনন অধিকার পুরোপুরি প্রয়োগ করতে পারে তা নিশ্চিত করাও অত্যন্ত জরুরি।’
২০০০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত জাতীয়, আঞ্চলিক ও বিশ্বব্যাপী মাতৃমৃত্যুর হার অন্তর্ভুক্ত করা এই প্রতিবেদনটিতে দেখা যায়, ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ২ লাখ ৮৭ হাজার মাতৃমৃত্যু হয়েছে। এটি ২০১৬ সালের ৩ লাখ ৯ হাজার থেকে সামান্য হ্রাস পেয়েছে।
২০১৬ থেকে ২০২০ পর্যন্ত জাতিসংঘের আটটি অঞ্চলের মধ্যে দুটিতে অর্থাৎ ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় মাতৃমৃত্যুর হার ১৭ শতাংশ বেড়েছে এবং ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে এ হার ১৫ শতাংশ বেড়েছে। অন্যত্র, এ হার আগের অবস্থায়ই রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের ৭৮ মিলিয়ন শিশু কোনোদিন স্কুলে যায় না: জাতিসংঘ প্রধান
তবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব।
তবে প্রতিবেদনটি বেশ কিছু ক্ষেত্রে ইতিবাচক অগ্রগতিও দেখিয়েছে। জানা যায় যে একই সময়ে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে মাতৃমৃত্যুর হার ৩৫ শতাংশ এবং মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় এ হার ১৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বলেছেন, ‘লাখ লাখ পরিবারে মাতৃমৃত্যুর কারণে সন্তান জন্মদানের ঐশ্বরিক আনন্দ বিষাদে পরিণত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘একটি শিশুকে পৃথিবীতে আনার সময় কোনও মাকে যেন তার জীবন হারানোর ভয় না পেতে হয়। বিশেষ করে যখন সাধারণ জটিলতাগুলোর চিকিৎসার সুযোগ ও প্রযুক্তি আমাদের কাছে আছে। বিশ্বব্যাপী মায়েদের স্বাস্থ্যসেবার সুযোগের সমতা থাকা দরকার; তিনি যেই হোক বা যেখানেই থাকুক না কেন, নিরাপদ প্রসবের ন্যায্য সুযোগ ও তাদের পরিবারের সঙ্গে একটি সুস্থ ভবিষ্যত কাটানোর অধিকার তাদেরও আছে।
মূলত বিশ্বের দরিদ্রতম অঞ্চলে এবং সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতে মাতৃমৃত্যুর হার বেশি। ২০২০ সালের মোট মাতৃমৃত্যুর প্রায় ৭০ শতাংশই সাব-সাহারান আফ্রিকায় হয়েছিল।
গুরুতর মানবিক সংকটের সম্মুখীন নয়টি দেশে মাতৃমৃত্যুর হার বিশ্বের গড় মাতৃমৃত্যুর দ্বিগুণেরও বেশি।
বিশ্বব্যাংকের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা বিষয়ক গ্লোবাল ডিরেক্টর এবং গ্লোবাল ফাইন্যান্সিং ফ্যাসিলিটির ডিরেক্টর জুয়ান পাবলো উরিবে বলেন, ‘এই প্রতিবেদনটি বোঝায় যে নারী ও কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যের জন্য আমাদের কার্যক্রম বাড়ানো খুবই জরুরি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ হিসেবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা খাতে আরও বেশি বিনিয়োগ করা এবং স্বাস্থ্যব্যবস্থা আরও স্থিতিস্থাপক ও শক্তিশালী করার মাধ্যমে আমরা অনেকের জীবন বাঁচাতে পারি।’
অধিক রক্তপাত, উচ্চ রক্তচাপ, গর্ভাকালীন নানা সংক্রমণ, অনিরাপদ গর্ভপাত থেকে সৃষ্ট জটিলতা এবং অন্তর্নিহিত রোগব্যাধী যা গর্ভাবস্থার কারণে বৃদ্ধি পেতে পারে (যেমন এইচআইভি/এইডস ও ম্যালেরিয়া) মাতৃমৃত্যুর প্রধান কারণ।
এগুলো উন্নত স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে প্রতিরোধ ও নিরাময়যোগ্য।
কমিউনিটিকেন্দ্রিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নারী, শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের চাহিদা মেটাতে পারে এবং প্রসব ও প্রসব-পরবর্তী যত্ন, শিশুদের টিকা, পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনার মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলোতে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারে।
আরও পড়ুন: জলাভূমি পুনরুদ্ধারে জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান জাতিসংঘের
কিন্তু, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় তহবিলের অভাব, প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীর অভাব এবং চিকিৎসা প্রযুক্তির দুর্বল সরবরাহ চেইন এই বিষয়গুলোর অগ্রগতির জন্য হুমকিস্বরূপ।
বিশ্বের প্রায় এক তৃতীয়াংশ নারী প্রসবপূর্ব আটবার চেকআপের চারটিরও সুযোগ পান না, প্রসবোত্তর প্রয়োজনীয় যত্ন পান না এবং প্রায় ২৭০ মিলিয়ন নারী আধুনিক পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণের সুযোগ পান না।
তাদের প্রজনন স্বাস্থ্যের ওপর তাদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। বিশেষ করে কখন তারা সন্তান ধারণ করবেন সে সিদ্ধান্ত নেয়া, সন্তান জন্মদানের পরিকল্পনা ও স্থান এবং নিজেদের স্বাস্থ্য রক্ষা নিশ্চিত করা ইত্যাদিতে তাদের কোনও ভূমিকা পালনের সুযোগ দেয়া হয়না।
তবে আয়, শিক্ষা, জাতি বা জাতিগত বৈষম্যগুলো প্রান্তিক গর্ভবতী নারীদের জন্য এসব ঝুঁকি আরও বাড়ায়।
ইউএনএফপিএ-এর নির্বাহী পরিচালক ডা. নাটালিয়া কানেম বলেছেন, ‘এটা মেনে নেয়া যায় না যে এত বেশি সংখ্যক নারী গর্ভাবস্থা ও প্রসবের সময় মারা যাচ্ছেন। এক বছরে ২ লাখ ৮০ হাজারের বেশি প্রাণহানির ঘটনা সত্যিই অসংবেদনশীল।’
তিনি আরও বলেন ‘আমরা জরুরিভাবে পরিবার পরিকল্পনায় বিনিয়োগ করে এবং ৯লাখ মিডওয়াইফের বৈশ্বিক ঘাটতি পূরণ করে এ পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটাতে পারি। যাতে প্রতিটি নারী তার প্রয়োজনীয় জীবনরক্ষাকারী যত্নটুকু পেতে পারে। প্রতিরোধযোগ্য মাতৃমৃত্যু বন্ধ করার জন্য আমাদের কাছে সরঞ্জাম, জ্ঞান ও সম্পদ রয়েছে; আমাদের এখন রাজনৈতিক সদিচ্ছা দরকার।’
কোভিড-১৯ মহামারি মাতৃস্বাস্থ্যের অগ্রগতিকে আরও বাধাগ্রস্ত করেছে।
এই প্রতিবেদনে ২০২০ সাল পর্যন্ত তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। মাতৃমৃত্যুতে মহামারির প্রকৃত প্রভাব বোঝার জন্য আরও তথ্যের প্রয়োজন।
তবে, করোনা সংক্রমণ গর্ভাবস্থায় মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই বিশ্বের সকল দেশের গর্ভবতী নারীদের এবং যারা গর্ভধারণের পরিকল্পনা করছে তাদের; করোনা টিকা এবং কার্যকর প্রসবপূর্ব যত্নের সুযোগ রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক বিভাগের জনসংখ্যা বিভাগের পরিচালক জন উইলমোথ বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি হলো মাতৃমৃত্যুর হার কমানো।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিরোধযোগ্য মাতৃমৃত্যুর অবসান ঘটাতে এবং মানসম্পন্ন মাতৃস্বাস্থ্য পরিচর্যায় সার্বজনীন সুযোগ প্রদানের জন্য টেকসই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা এবং শক্তিশালী প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন। এটা নিশ্চিত করা আমাদের সম্মিলিত দায়িত্ব যে প্রতিটি মা প্রসবের সময় বেঁচে থাকবেন। যাতে সন্তান নিয়ে তারা আনন্দময় জীবন কাটাতে পারেন।’
প্রতিবেদনটিতে বোঝা যায় যে মাতৃমৃত্যু হ্রাস করার জন্য বিশ্ববাসীকে দ্রত পদক্ষেপ নিতে হবে। না হয় ২০৩০ সালের মধ্যে আরও এক মিলিয়নেরও বেশি নারীর জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলতে হবে।
আরও পড়ুন: নমনীয় কাজের সময়সূচি সবার জন্য লাভজনক: জাতিসংঘের প্রতিবেদন
ওকলাহোমায় স্কাইডাইভিং দুর্ঘটনায় ৪৪ বছর বয়সী নারী নিহত
সালিসো, ওকলাহোমাযুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব ওকলাহোমার পুলিশ জানিয়েছে, স্কাইডাইভিংয়ের সময় মাটিতে পড়ে ৪৪ বছর বয়সী এক নারী নিহত হয়েছেন।
সালিসোর পুলিশ জানিয়েছে, পোটো শহরের হিদার গ্লাসগো শনিবার বিকালে মাটিতে পড়ার পর একটি হাসপাতালে মারা যান।
সালিসো পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয় যে স্কাইডাইভের সময় একটি অজানা সমস্যা দেখা দেয়।
আরও পড়ুন: তুরস্কে নতুন করে ভূমিকম্পে নিহত ৩, আহত ২ শতাধিক
প্রত্যক্ষদর্শীরা তদন্তকারীদের জানিয়েছে, গ্লাসগোর প্যারাসুট খুলেছিল, কিন্তু তিনি ঘুরপাক খাচ্ছিলেন এবং আর্কানসাস স্টেট লাইনের কাছে ও ওকলাহোমা সিটির প্রায় ১৫০ মাইল পূর্বে সালিসোতে মাটিতে আঘাত করেন।
গ্লাসগো কতদূর পড়েছিলেন তা স্পষ্ট নয় এবং মঙ্গলবার তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের মুখপাত্র কিছু বলেননি।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্লাসগো একক লাফ দেয়ার আগে ট্যান্ডেম লাফ (একজন প্রশিক্ষক সঙ্গে রেখে স্কাইডাইভিং) সম্পন্ন করেন, তখন তিনি পড়ে মারা যান।
এ ঘটনায় ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) তদন্তে সহায়তা করছে।
এফএএ এক বিবৃতিতে বলেছে যে তারা মূল এবং সংরক্ষিত প্যারাসুটগুলোর প্যাকিং তদন্ত করছে এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তদন্তের অন্যান্য দিকগুলোর দায়িত্বে রয়েছে।
আরও পড়ুন: হিলি সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহত: অবশেষে লাশ হস্তান্তর
তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষায় নারীদের এগিয়ে আসতে হবে: শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, নারীরাই স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষায় নারীদের এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে ইকমার্সের ৮০ শতাংশ ব্যবসা পরিচালনা করছে নারীর। ফ্রিল্যান্সিং এ নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে।
আরও পড়ুন: ‘কালের কথা’র মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ সফল বাস্তবায়ন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা করেছেন।
বুধবার সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর পরিচালিত উপজেলা পর্যায়ে ইনকাম জেনারেটিং একটিভিটিজ (আইজিএ) প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি নারীকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব নয়। সরকার নারীর উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে।
এছাড়া নারীদের কম্পিউটার ও আইসিটিতে দক্ষ করে তুলতে প্রকল্প রয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে রোল মডেল।
মতবিনিময়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল কাদির মিয়ার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, প্রকল্প পরিচালক মো. তরিকুল ইসলাম, পরিচালক মনোয়ারা ইশরাত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াসিনা ফেরদৌস ও সাংবাদিক মীর নাসির উদ্দিন উজ্জ্বল।
আরও পড়ুন: চীন বাংলাদেশের পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত বন্ধু: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
জুন থেকে স্কুল ফিডিং চালু হবে: প্রতিমন্ত্রী
গোলাপগঞ্জে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নারীসহ নিহত ২, আহত ৩
সিলেটের গোলাপগঞ্জে ট্রাক ও অটোরিকশা সংঘর্ষে নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও তিনজন। রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সিলেট-বিয়ানীবাজার সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-বিয়ানীবাজার উপজেলার নয়াগ্রামের বাসিন্দা ফারুক আহমদ (৪০) ও রাশেদা বেগম (৩৮)।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ২
অটোরিকশাটিতে মোট পাঁচজন যাত্রী ছিলেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, সিলেট থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি দ্রুতগামী ট্রাক বিয়ানীবাজার থেকে সিলেটগামী সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে ঘটনাস্থলেই দুই যাত্রী নিহত হন। এ সময় চালকসহ আহত হন আরও তিনজন।
স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার পর পর ট্রাক রেখে চালক ও হেলপার পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় রাস্তায় দীর্ঘ যানজট লেগে যায়। পরে পুলিশ এসে প্রায় দুইঘন্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
আরও পড়ুন: ভোলায় মোটরসাইকেল-অটোরিকশা সংঘর্ষে যুবক নিহত
মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে অটোরিকশা সংঘর্ষে শিশুসহ আহত ৬
সিরাজগঞ্জে নারীসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার: র্যাব
সিরাজগঞ্জে নারীসহ দুই মাদক বিক্রেতাকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকা মূল্যের ২১০ গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার নিউমার্কেটে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে র্যাব।
আরও পড়ুন: মাদক ব্যবসা: গাজীপুরে ৭ বছর পর পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
আটকরা হলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর থানার রেহাইচর গ্রামের আবদুস সালামের স্ত্রী সানজিদা বেগম (৩০) এবং পাবনা জেলার সাঁথিয়া থানার নিকুরাহ গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে হুমায়ুন কবির (৩৮)।
র্যাব-১২ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এরশাদুর রহমান জানান, শহরের নিউমার্কেট এলাকায় একটি কাপড়ের দোকানের সামনে অভিযান চালিয়ে নারীসহ দুইজনকে আটক করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ২১০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার ও একটি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: বরগুনায় মাদক জব্দ, বরখাস্ত পুলিশ সদস্য আটক
মাদকের আখড়া এখন ফুলের রাজ্য
নড়াইলে বাসচাপায় নারীর মৃত্যু
নড়াইল সদরে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টার দিকে নড়াইল-মাইজপাড়া সড়কের আদমপুর বটতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রাধা রানী সাহা (৫০) সদর থানার রলরামপুর গ্রামের মৃত কালি পদ সাহার মেয়ে। তিনি তার বাবার বাড়িতে বসবাস করতেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রাকের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু, চালক গ্রেপ্তার
স্থানীয়রা জানায়, সকালে রাধা রানী সাহা আদমপুর বটতলাস্থ উত্তম সাহার দোকান থেকে লবণ কিনে বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় মাগুরা থেকে নড়াইল অভিমুখী একটি বাস পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে পিষ্ট করে দ্রুত গতিতে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই রাধা রানীর মৃত্যু হয়।
নড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। বাসটি আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: যশোরে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে নারীর মৃত্যু
মাদারীপুরে ভুল চিকিৎসায় নারীর মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতালে ভাঙচুর
আরও বেশি সংখ্যক নারীকে বিজ্ঞানে উৎকর্ষতা লাভের সুযোগ দিন: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আরও বেশি সংখ্যক নারী ও মেয়েদের বিজ্ঞানে উৎকর্ষতা লাভের সুযোগ দিতে সবার মানসিকতা পরিবর্তনে এবং শিক্ষার পরিবেশের প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলায় কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘এটি দুর্ভাগ্যজনক যে বিশ্বব্যাপী মাত্র ১২ শতাংশ নারী বিজ্ঞানী এবং ২০ শতাংশ নারী গবেষকদের প্রতিনিধিত্ব করেন। আমাদের অবশ্যই মানসিকতা এবং শিক্ষার পরিবেশের প্রতিবন্ধকতাগুলো মোকাবিলা করার জন্য কাজ করতে হবে, যাতে আরও বেশি নারী ও মেয়েরা বিজ্ঞানে পারদর্শী হতে পারে।’
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান সমাবেশে অষ্টম আন্তর্জাতিক নারী ও বালিকা দিবসে প্রদর্শিত এক ভিডিও বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা সেই নারী ও মেয়েদের নিয়ে গৌরব করি যারা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিতের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।’
শেখ হাসিনা নারী ও মেয়েদের নিজেদের পরিবর্তনের এজেন্ট হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: এসডিজি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘ নারী ও মেয়েদের মনে রাখতে হবে যে তারা একা নন। তারা যে পদক্ষেপগুলো নেয়, তা তাদের সারা বিশ্বের বোনদের জন্য আরও দুয়ার (সুযোগ) উন্মুক্ত করতে সাহায্য করবে।’
তিনি বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়নে তার সরকারের পদক্ষেপের ওপর আলোকপাত করেন।
বাংলাদেশের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের নারী ও মেয়েদের নেতৃত্ব দেয়ার বিষয়টিকে আমি অগ্রাধিকার দিয়েছি। গবেষণা ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের নারীরা খুব ভালো করছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কৃষি, শিল্প, স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান, শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি- সব ক্ষেত্রে গবেষণা করার জন্য মেয়েদের বৃত্তি দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, মেয়েদের উত্সাহিত করার জন্য সারা বাংলাদেশে ৫ হাজার ২৭৫টি ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ছেলে ও মেয়েদের জন্য সারা দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। হাই-টেক পার্কগুলো একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ তৈরি করেছে, যেখানে দেশের ছেলেদের পাশাপাশি আমাদের মেয়েরাও উন্নতি করতে পারে।
শেখ হাসিনা বিজ্ঞানের উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতার সম্ভাবনাপূর্ণ নারী ও মেয়েদের দেখতে চান।
তিনি বলেন, ‘উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে তাদের জন্য থাকা সুযোগের অসামঞ্জস্যতাগুলো অবশ্যই আমাদের পূরণ করতে হবে। আমরা চাই আমাদের মেয়েরা স্মার্ট ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে অংশগ্রহণ করুক।’
প্রধানমন্ত্রী এই আন্তর্জাতিক নারী ও কন্যাশিশু দিবসে সকল নারী ও মেয়েদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
রয়্যাল একাডেমি অব সায়েন্স ইন্টারন্যাশনাল ট্রাস্ট (আরএএসআইটি) এবং সহ-সংগঠক সদস্য রাষ্ট্রগুলো জাতিসংঘের সদর দপ্তরে বিজ্ঞানে নারী ও মেয়েদের আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন করেছে।
এবারের সমাবেশের প্রতিপাদ্য হল- ‘ইনোভেট. ডিমোন্সস্ট্রেট. এলেভেট. এডভান্স. (আই.ডি.ই.এ.) টু ব্রিং কমিউনিটিস ফরওয়ার্ড ফর সাসটেইনেবল এন্ড ইকুইটেবল ডেভেলপমেন্ট।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা করা উচিৎ: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশকে ঋণ দিতে আইএমএফ’র কোনো শর্ত নেই: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
বরিশালে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বরিশালের বানারীপাড়ায় গাছের সঙ্গে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ধারালিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত জাহান আরা বেগম (৫৫) একই উপজেলার পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি এলাকার ডুবি গ্রামের বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বানারীপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোমিন উদ্দিন।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিদ্যালয়ের কক্ষ থেকে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
তিনি জানান, সকালে খবর পেয়ে ধারালিয়া গ্রামে এক বাড়ির পুকুর পাড়ের আম গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে লাশটির পরিচয় না পাওয়া গেলেও পরে জানা যায় তার বাড়ি স্বরূপকাঠি এলাকায়।
তিনি আরও জানান, মৃত জাহান আরা বেগমের স্বজনদের দাবি দীর্ঘদিন ধরে তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সে কারণেই হয়তো তিনি আত্মহত্যা করেছেন। মৃতের স্বজনরা এখানে এসেছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিরাজগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
লাশ হয়ে ফেরা ৭১৪ নারী অভিবাসী শ্রমিকের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট
লাশ হয়ে ফেরা ৭১৪ অভিবাসী নারী শ্রমিকের পরিবারের জন্য পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে। পাশাপাশি অভিবাসী নারী শ্রমিকের মৃত্যুর কারণ তদন্ত, নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিতের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের বেঞ্চে থেকে অনুমতি নিয়ে রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আঞ্জুমান আরা লিমা।
রিট আবেদনের সঙ্গে ‘লাশ হয়ে ফিরলেন ৭১৪ নারী’- শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়েছে।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, বিএমইটির মহাপরিচালক ও পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট ১২ জনকে। চলতি সপ্তাহে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।
এই রিটে বিদেশে নারী শ্রমিকের অমানবিক নির্যাতন বন্ধ, তাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং নিরাপদে দেশে ফেরার নিশ্চয়তা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রবাসে মৃত্যুবরণ করা শ্রমিকদের মৃত্যুর কারণ তদন্ত করে যথাযথভাবে জানানোর পাশাপাশি ভুক্তভোগীদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণের নিশ্চয়তা চাওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে মালিক পক্ষের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার নির্দেশনাও এই রিটে চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে করা রিট খারিজ
‘লাশ হয়ে ফিরলেন ৭১৪ নারী’- শিরোনামে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিন বছরে ৪০৪ জন নারী শ্রমিকের লাশ দেশে এসেছে। তাদের মধ্যে ২২৭ জনের ক্ষেত্রে ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’লেখা ছিল।
আর বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের তথ্য বলছে, ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সাত বছরে ৭১৪ নারী শ্রমিকের লাশ দেশে এসেছে। তাদের মধ্যে ‘স্বাভাবিক’ মৃত্যুর সনদ লেখা লাশের সংখ্যা ২৬২। আর ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৩ বছরে ৩১৯ নারী শ্রমিকের লাশ দেশে আসে। যাদের মধ্যে ২২০ জনের ক্ষেত্রে লেখা ছিল ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’।
অন্যদিকে ব্র্যাকের গত সাত বছরের পরিসংখ্যান বলছে, এই সময়ে যেসব নারী শ্রমিকের লাশ দেশে এসেছে তাদের মধ্যে ১৩৮ জনের মৃত্যুর কারণ লেখা ছিল ‘স্ট্রোক’; ১১৬ জনের ক্ষেত্রে ‘আত্মহত্যা’; ১০৮ জনের ক্ষেত্রে ‘দুর্ঘটনা’; ১৬ জনের ক্ষেত্রে ‘হত্যা’ এবং এর বাইরে করোনা, ক্যান্সার, অজানা রোগ বা কোনো কারণ উল্লেখ না করেই দেশে নারী শ্রমিকের লাশ পাঠানোর ঘটনা ঘটেছিল।
অভিবাসন নিয়ে কাজ করা রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু) ২০১৭ সাল থেকে দেশে আসা ৫৪৮ নারী শ্রমিকের মৃত্যুর কারণ ও করণীয় বিষয়ে একটি গবেষণা করেছে।
‘ডেথ অব ফিমেল মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার্স ইন ডেস্টিনেশন কান্ট্রিজ’- শিরোনামের সেই গবেষণায় সনদে থাকা মৃত্যুর কারণ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী, ৬৯ শতাংশ নারী শ্রমিকের ‘স্বাভাবিক’ ও ৩১ শতাংশের ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে বলে দাবি করা হয়।
আরও পড়ুন: দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধানের দাবিতে রিট
ফখরুল ও আব্বাসের কারাগারে ডিভিশন চেয়ে হাইকোর্টে রিট