বৃষ্টি
নভেম্বরের বৃষ্টিতে ভিজছে ঢাকা
ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করতে শুরু করেছে। এদিকে, আজ (শুক্রবার) সকাল থেকেই ঢাকায় মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ধরছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী, দুপুর ১টা পর্যন্ত রাজধানীতে ৬ ঘণ্টায় ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
ঢাকা ও এর আশেপাশের অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় 'মিধিলি'
শহরের সড়কগুলো তুলনামূলক ফাঁকা দেখা গেছে। কয়েক ঘণ্টা ধরে বৃষ্টি হওয়ায় তাপমাত্রা কমেছে। পাশাপাশি শীত ঘনিয়ে আসারও ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যারা বের হয়েছেন তাদের ছাতা মাথায় জলাবদ্ধ সড়কে হাটতে দেখা গেছে।
ঘূর্ণিঝড় 'মিধিলি' আজ সন্ধ্যার মধ্যে উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করতে পারে বলে আগামী ৬ ঘণ্টায় ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে অধিদপ্তর।
এ সময় দিনের তাপমাত্রা ১-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: অভ্যন্তরীণ নৌযান চলাচল বন্ধ
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: সন্ধ্যা নাগাদ মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে পারে
সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে ঢাকায় জলাবদ্ধতার ভয়ংকর রূপ
প্রতি বছর জলাবদ্ধতায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় রাজধানীবাসীকে। মাত্র ১/২ ঘণ্টার বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় দুই সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট।
এমন চিত্র দেখা যায় গত বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) ও শুক্রবার (৬ অক্টোবর)। এই দুদিনে রাজধানীতে কখনো মুষলধারে, কখনো মাঝারি, কখনো ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ছয় ঘণ্টায় ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
একটানা এক ঘণ্টা বৃষ্টিতে বিশেষ করে মতিঝিল, বাড্ডা, মালিবাগ, রামপুরা, শান্তিনগর, মৌচাক, বেইলি রোড, কাকরাইল, গুলিস্তান, শাহবাগ, বাংলামোটর, ধানমন্ডি, কারওয়ানবাজার, ফার্মগেট, মিরপুর, তেজগাঁও, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, ভাটারা, বসুন্ধরা, খিলক্ষেতসহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন সড়কে পানি জমে যায়।
পানিতে তলিয়ে থাকা ঢাকার বিভিন্ন সড়কে মধ্যরাতেও আটকে ছিল শত শত গাড়ি। এ ছাড়া এর আগে মিরপুরে বৃষ্টির পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
জানা যায়, রাজধানীর পানি নিষ্কাশনের পথগুলো আবর্জনায় ভরে থাকায় দ্রুত পানি নামতে পারেনি। যার ফলে ভয়াবহ ওই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
কারণ হিসেবে রাজধানীর পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থায় সিটি করপোরেশন ও অন্যান্য সেবা সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাদের মতে, ঢাকার খাল ও নর্দমাগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারেও সেবা সংস্থাগুলোর মনোযোগ কম।
জানা যায়, বৃষ্টি হলে রাজধানীর পানি তিনটি মাধ্যমে চারপাশের নদ-নদীতে চলে যায়। এর একটি পাম্পস্টেশন, বাকি দুটি স্লুইসগেট ও খাল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনীতি সংস্কারে ভূমিকা রাখবে আইএমএফের ঋণ
ঢাকা দক্ষিণ সিটির আওতাধীন স্লুইসগেটগুলোরও বেশির ভাগ অকেজো। আর খালগুলো পানিপ্রবাহের জন্য পুরোপুরি উপযুক্ত নয়। এসব কারণেই নগরবাসীকে প্রতি বছর জলাবদ্ধতার ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
রাজধানীর কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) পাম্পস্টেশন দিয়ে মিনিটে ৮ লাখ ৫৫ হাজার লিটার পানি নিষ্কাশন করা যায়। কিন্তু ভারী বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা দেখা দেওয়ার পরও স্টেশনটি কাজে লাগানো যাচ্ছে না।
কারণ, স্টেশনটিতে পানি যাওয়ার জন্য যেসব নালা-নর্দমা ও বক্স কালভার্ট রয়েছে, সেগুলো পুরোপুরি সচল নয়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান ইউএনবিকে বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন জলাবদ্ধতা নিরসনে এ পর্যন্ত প্রায় ২২৫ কোটি টাকাখরচ করেছে। খালসংস্কার, ড্রেনেজ ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নসংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকল্পে এ অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। কিন্তু জলাবদ্ধতা দুর্ভোগ থেকে এখনও নগরবাসীকে পুরোপুরি মুক্ত করতে পারেনি।
তিনি বলেন, এর মূল কারণ ঢাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থার সক্ষমতার অভাব। আবর্জনায় বন্ধ হয়ে গেছে ড্রেনের মুখগুলো। এ ছাড়া প্রধান প্রধান সড়কের পাশে ড্রেন ও নালা থাকলেও, তা আবর্জনায় ঢাকা পড়ে গেছে। তাই ভারী বৃষ্টিপাতে সড়কের পানি দ্রুত নামতে পারে না, ফলে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান ইউএনবিকে আরও বলেন, ঢাকার মাত্র ৩০ ভাগ এলাকা পরিকল্পিত। বাকি ৭০ ভাগ এলাকায় অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। সরকারের রাস্তাঘাট উন্নয়ন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার মধ্যেও বৈষম্য তৈরি হয়েছে। এতে জনক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, যেসব নালা-নর্দমা হয়ে পানি পাম্পস্টেশনে যাবে, সেগুলোর যথেষ্ট পানিপ্রবাহ নেই। ড্রেনেজ ব্যবস্থায় সিটি করপোরেশন ও অন্যান্য সেবা সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। তাই পরিকল্পিতভাবে স্থায়ী সমাধানে দুই সিটিকে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে যথাযথভাবে হয়নি ড্রেনেজ, খাল ও বক্সকালভার্ট পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ। সিটি করপোরেশন ও সরকারের অন্য সংস্থার মধ্যে নেই কোনো সমন্বয়। ফলে জলাবদ্ধতার জন্য একে অন্যকে দায়ী করেই বছর পার করছে সংস্থাগুলো। বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করে প্রতিটি কাজের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। শুধু অর্থ খরচ করলেই হবে না। জলাবদ্ধতা নিরসনে পরিকল্পতি কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, বেশিরভাগ সড়কে আবর্জনা পড়ে পানি নিষ্কাশনে ড্রেনের মুখগুলো বন্ধ হয়ে যায়। এসব আবর্জনার মধ্যে পলিথিনের ব্যাগ, প্লাস্টিকের বোতল, বিভিন্ন খাবারের উচ্ছিষ্ট, গ্লাস ভাঙা, ময়লা কাপড় ও কাগজের ছেঁড়া অংশ ড্রেনের মুখ বন্ধ করে দেওয়ায় পানি নামতে না পারায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: দেশের এভিয়েশন সেক্টরে রূপান্তরের অঙ্গীকার নিয়ে শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন শনিবার
এ বিষয়ে ঢাকার বাসিন্দা আসিফ ইউএনবিকে বলেন, এসব ড্রেনের মুখগুলো সিটি করপোরেশনের কর্মীদের নিয়মিত পরিষ্কার করার কথা থাকলেও, ৬ মাসেও তা পরিষ্কার হচ্ছে না। শুধু লোক দেখানো রাস্তা ঝাড়ু দেওয়া হলেই চলবে না, সময়মতো প্রতিটি ড্রেনেজ পরিষ্কার রাখতে হবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির নয়াপল্টন, সেগুনবাগিচা, কাকরাইল, শান্তিনগর, শাহজাহানপুর, মতিঝিল ও কমলাপুরের পানি এসব এলাকার নালা–নর্দমা ও কালভার্ট হয়ে টিটিপাড়া পাম্পস্টেশনে গিয়ে জমা হয়। কিন্তু এগুলো পুরোপুরি সচল নয়।
আর ধোলাইখালের পাম্পস্টেশন হয়ে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়া, সূত্রাপুর, ওয়ারীসহ কয়েকটি এলাকার পানি বুড়িগঙ্গা নদীতে গিয়ে পড়ে। এই স্টেশনে অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন তিনটি পাম্প দিয়ে ঘণ্টায় ৮ কোটি ১০ লাখ লিটার পানি নিষ্কাশন করা সম্ভব। এ স্টেশনেও ঠিকমতো পানি জমা হয় না।
দুই সিটি করপোরেশনের তথ্যে জানা যায়, রাজধানীতে ঢাকা ওয়াসা রক্ষণাবেক্ষণ করে ৩৮৫ কিলোমিটার গভীর ড্রেন ও ৪টি পাম্প স্টেশন এবং ১০ কিলোমিটার বক্স কালভার্ট।
পানি উন্নয়ন বোর্ড রক্ষণাবেক্ষণ করে ৫২টি স্লুইস গেট এবং একটি পাম্প স্টেশন, রাজউক রক্ষণাবেক্ষণ করে ২৫ কিলোমিটার লেক ও ৩০০ কিলোমিটার জলাশয়।
ডিএনসিসির ১ হাজার ২৫০ কিলোমিটার ড্রেনেজলাইন রয়েছে এবং ডিএসসিসির রয়েছে ৯৬১ কিলোমিটার ড্রেনেজ লাইন। এছাড়া বর্তমানে ঢাকা দুই সিটি করপোরেশনের আওতায় দেওয়া হয়েছে ২৬টি খাল।
তবে সব খাল ও ড্রেনেজ রক্ষাণবেক্ষণের অভাবে ভরাট হয়ে যায়। তাই সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় বলে স্থানীয়রা জানান।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম ইউএনবকে বলেন, সেদিন একটানা কয়েক ঘণ্টায় ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, তাই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা হয়েছে। খালগুলোকে আমরা ভরাট করে ফেলছি, দখল করছি। এ ছাড়া যেখানে-সেখানে পলিথিন, বোতল ও আবর্জনা ফেলছি। সেগুলো গিয়ে ড্রেনে পরে পানি নামায় বাধা দিচ্ছে। ফলে পানিপ্রবাহ নষ্ট হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে এবং পানি নেমে যেতেও সময় লাগছে। পরে পানি নামছে, তবে সময় লাগছে।
মেয়র বলেন, এক সময় শেওড়াপাড়া, মধুবাগ, খেজুরবাগান, সংসদ ভবনের পাশের রাস্তা, নেভির সামনের রাস্তা ডুবে যেত। এখন কিন্তু সেই পরিস্থিতি নেই। জলাবদ্ধতা হয়, আবার পানি নেমেও যায়। ঢাকা শহরের অলিগলি ২০ ফুটের কম হলে আমরা রাস্তার জন্য বরাদ্দ দেব না। এটা আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ ২০ ফুটের কম রাস্তা হলে সেখানে ড্রেন করার জায়গা থাকে না। এখনও অনেক রাস্তা আছে যেগুলো ২০ ফুটের কম রাস্তা। সেগুলোতেই মূলত জলাবদ্ধতার সমস্যা বেশি দেখা যায়।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন জায়গায় বোতল, পলিথিন, নানা আবর্জনা আমরা ইচ্ছেমতো যেখানে সেখানে ফেলছি। সেগুলো গিয়ে ড্রেনের মধ্যে ঢুকছে, সেগুলোই পানি নামতে সমস্যা করছে। তাই জলবদ্ধতা কমে যেতে বা পানি সরে যেতে কিছুটা সময় লাগছে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আমরা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ১০টি র্যাপিড অ্যাকশন টিম গঠন করে দিয়েছি। তারা বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে এবং এই জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। আমরা কিন্তু বসে নেই। আমরা কাউন্সিলররাসহ সংশ্লিষ্ট সবাই মিলে সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছি।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, খালগুলোকে আমরা ভরাট করে ফেলছি, দখল করছি। ড্রেনে বিভিন্ন জিনিস ফেলে, পানি নামতে বাধা সৃষ্টি করছি। সব মিলিয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের এখন চ্যালেঞ্জ হল রাস্তাগুলো ২০ ফুট করতে হবে। আর অলিগলিতে যেসব যেসব ড্রেন আছে, সেগুলোকে আমরা বড় করার কাজ শুরু করেছি। যাতে করে দ্রুত পানি নেমে যেতে পারে। দক্ষিণখান ও আজমপুরে আমরা এই কাজগুলো ইতোমধ্যে শুরু করেছি।
তিনি বলেন, মিরপুর ১০ নম্বর থেকে শেওড়াপাড়ার দিকে যে রাস্তা এটাতে আগে জলাবদ্ধতা হলে দুই তিন দিন ধরে জলাবদ্ধতা থাকত। আমরা কিছু কাজ করার ফলে এখন কিন্তু সেখানে ওইরকম জলাবদ্ধ থাকে না। সব ড্রেনের ডায়মিটার কিন্তু এক না, অলিগলিতে একটু ছোট লাইন, সেখান থেকে পানি আসবে বড় লাইনে, এরপর সেখান থেকে পানি খালে নামবে। সেহেতু পানি সরে যেতে কিছুটা সময় দিতে হবে।
জলাবদ্ধতা বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। গত তিন বছরে জলাবদ্ধতা নিরসনে নিজস্ব অর্থায়নে ২২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩৬টি স্থানে অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়নে কাজ হয়েছে। আমরা স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে জলাবদ্ধতা কমে আসবে।
আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধার কার্যক্রম আগামী তিন বছরের মধ্যে সম্পন্ন করার আশাবাদ জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, এটি অত্যন্ত দুরূহ ও বিশাল কর্মযজ্ঞ। প্রকল্প প্রণয়ন করা, প্রকল্প থেকে অর্থসংস্থান পাওয়া, তারপরে দরপত্র করে কাজ শুরু করা, এগুলো অনেক দীর্ঘসূত্রিতার মধ্যে পড়ে যায় এবং দীর্ঘসময় লাগে। এ জন্য আমাদের যেসব কাজ করার সক্ষমতা রয়েছে সেসব কাজ এগিয়ে নিতে আমরা তা নিজস্ব অর্থায়নেই করে চলেছি। হাতিরঝিলের মতো দীর্ঘ দশ বছর সময় যেন না লাগে সেজন্যই আমাদের এই কর্মকৌশল।
শেখ তাপস বলেন, গত বছর আমরা যখন (বর্জ্য অপসারণ, দখলদার উচ্ছেদ ও সীমানা নির্ধারণ) শুরু করি তখন কিন্তু এটার নদীর অববাহিকা ছিল না। আমরা সেই কাজটি করতে পেরেছি। এখন পানি প্রবাহ হচ্ছে। পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে। জলাবদ্ধতা নিরসন হয়েছে। সুতরাং প্রাথমিক কাজটা আমরা সম্পন্ন করেছি।
তিনি বলেন, আমরা যদি প্রকল্পের জন্য অপেক্ষা করতাম তাহলে এই কাজটায় এতদিনে কিছুই হতো না। আমরা আশা করছি, প্রকল্প পাশ করে কাজ সম্পন্ন করতে হয়তোবা তিন বছর সময় লেগে যেতে পারে। এর মধ্যে নিজস্ব উদ্যোগের আমরা কাজগুলো চালিয়ে যাব।
আরও পড়ুন: ঘুর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ফরিদপুরের কয়েকটি গ্রাম
৭২ ঘণ্টায় সারা দেশে আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অধিদপ্তর
রবিবার (৮ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি)।
আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীদমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন: ৭২ ঘণ্টায় সারা দেশে আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অধিদপ্তর
আবহাওয়া পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কয়েকটি স্থানে ও রংপুর, রাজশাহী, খুলনা বিভাগের দুই-এক জায়গায় মাঝারি থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এদিকে রবিবার (৮ অক্টোবর) সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ১০৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে।
একই সময়ে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের রাঙ্গামাটিতে ৩৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে ২৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বুলেটিনে বলা হয়- সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
এদিকে, বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি ধরনের মৌসুমি বায়ু অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন: ৭২ ঘণ্টায় সারা দেশে আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অধিদপ্তর
সারাদেশে বৃষ্টিপাত হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
টানা বৃষ্টিতে সিলেটে বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে
টানা বৃষ্টিতে সিলেট নগরী জুড়ে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে বেশিরভাগ এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। সড়ক, বাসাবাড়ি, দোকানপাটে পানি ঢুকে পড়েছে।
পানি ঢুকে পড়েছে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানেও। বেড়েছে সুরমা নদীসহ জেলার সবকটি নদী ও খাল-বিলের পানি।
তিন দিন ধরে সিলেটে অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার থেকে শুরু হয় ভারী বর্ষণ। শুক্রবার রাত থেকেই পানি ঢুকতে শুরু করে নগরের বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে।
শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালের মধ্যে তলিয়ে যায় নগরীর বেশিরভাগ এলাকার রাস্তাঘাট। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় এ রিপোর্ট লেখার সময়ও বৃষ্টি চলছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নগরীর এমএজি ওসমানী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতাল, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কাজলশাহ, শাহজালাল উপশহর, দরগামহল্লা, কালীঘাট, বাগবাড়ি, কানিশাইল, লামাপাড়া, লালা দিঘিরপাড়, মাছুদিঘিরপাড়, বাদামবাগিছা, শাহপরান, কুয়ারপার, উপশহর, সোবহানীঘাট, যতরপুর, শিবগঞ্জ, মাছিমপুর, কামালগড়, খারপাড়া ও দক্ষিণ সুরমার পিরোজপুর, সিলেট রেলওয়ে স্টেশনসহ সিলেট নগরের বেশিরভাগ এলাকার রাস্তা-ঘাট তলিয়ে বাসাবাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পানি জমেছে।
এ ছাড়া, জেলার সবকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। নিচু এলাকার ঘর বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে।
নগরীর পাঠানটুলা এলাকায় সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক এবং স্টেশন রোড লাউয়াই সড়কে কোমর পর্যন্ত পানি জমেছে বলে জানা গেছে। ফলে এইসব সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন জানান, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫৭ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এ ছাড়া শনিবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ১০২ মিলিমিটার।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় গর্তে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
কুমিল্লায় গর্তে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
কুমিল্লার হোমনায় বাড়ির পাশে গর্তে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে ডুবে ১৫ মাস বয়সী মানহা আক্তার নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
১৫ মাস বয়সী মানহা আক্তার ওই গ্রামের হাফেজ ওয়ায়েজকুরুনীর মেয়ে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে মায়ের সঙ্গে গোসলে নেমে পুকুরে ‘ডুবে’ শিশুর মৃত্যু
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শিশু মানহা শুক্রবার দুপুরে ঘরের ভেতরে খেলছিল। হঠাৎ শিশুটি হামাগুড়ি দিতে দিতে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। এরই মাঝে মানহা কোনো এক সময় সবার অলক্ষ্যে বাড়ির পাশের জমে থাকা পানির গর্তে পড়ে যায়।
এক সময় পরিবারের সদস্যদের শিশুটির কথা মনে পড়লে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। এদিক ওদিক খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির পাশে জমে থাকা পানির গর্তে শিশু মানহাকে ভাসমান অবস্থায় খুঁজে পায় স্বজনরা।
সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শহীদুল্লাহ বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে গর্তে জমা বৃষ্টির পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
ধামরাইয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের গর্তের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
রাজশাহীতে ১০ বছরের রেকর্ড বৃষ্টি, রাস্তায় চলছে নৌকা
রাজশাহীতে একদিনের বৃষ্টিতে ১০ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়েছে। বুধবার দুপুর ১টা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২৪৫ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এতে নগরীর বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। কোথাও কোথাও যানবাহনের পরিবর্তে নৌকায় চড়ে পার হচ্ছে মানুষ।
অনেকের বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর নির্বাচনী পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
তবে এই দুর্ভোগের মধ্যে নগরের পাড়া-মহল্লায় লোকজন জাল নিয়ে মাছ ধরার উৎসবে মেতে উঠেছেন।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এর আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর এই মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ৪৩ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়। তার আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর ৩০ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: সারাদেশে বৃষ্টিপাত হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
আবহাওয়ার পূর্বাভাস: ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে
ঢাকাসহ আট বিভাগে মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি)।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানিয়েছে বিএমডি।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
আবহাওয়ার পূর্বাভাসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রয়ায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত পূর্বের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ৪৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে সিলেট জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায়।
একই সময়ে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় দিনাজপুরে ২৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে
৭২ ঘণ্টায় সারা দেশে আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অধিদপ্তর
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে
সোমবার সকাল ৯টা থেকে ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ আট বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি)।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানিয়েছে বিএমডি।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আর ঢাকা ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ২৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলায়।
আরও পড়ুন: ৭২ ঘণ্টায় সারা দেশে আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আগামী ৭২ ঘণ্টায় উত্তর আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান সোমবার সকালে 'মধ্যম' পর্যায়ে
হবিগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
হবিগঞ্জে বজ্রপাতে বাচ্চু মিয়া নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার ছোট বহুলা গ্রামে মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে বজ্রপাতে প্রাণ গেলো কৃষকের
স্থানীয়রা জানান, বৃষ্টির মধ্যেই কৃষক বাচ্চু মিয়া গ্রামের পার্শ্ববর্তী মাঠ থেকে গরু আনতে যান। সেখানে বজ্রপাত হলে তিনি আহত হন।
তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজন বিষয়টি দেখতে পেরে তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বজ্রপাতে ৯ শিক্ষার্থী আহত
যশোরে বজ্রপাতে প্রাণ গেল কৃষকের
২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর অনুসারে, ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।
শনিবার আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ‘সোমবার পর্যন্ত সারা দেশে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী কয়েকদিন রংপুর ও রাজশাহীসহ দেশের উত্তরাঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।’
অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়- রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে রাজধানীতে জনজীবন বিপর্যস্ত, ঘটছে প্রাণহানিও
এতে আরও বলা হয়, সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।
শনিবার সকাল ৬টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ১৬১ মিলিলিটার রেকর্ড করেছে নীলফামারীর ডিমলায়।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ সকল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস
আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর