ছাত্রলীগ
ঢাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, জয়-লেখকসহ আহত ১০
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে সংগঠনের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ছাত্রলীগের সমাবেশ চলাকালে জসিমউদ্দিন হল ও ঢাকা কলেজের গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সমাবেশে সামনে থাকা নিয়ে তারা প্রথমে হাতাহাতি করে এবং পরে বাঁশের লাঠি নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ থামাতে গেলে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য আহত হন।
আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে সেখানকার পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে মিশে আছে ছাত্রলীগ: খাদ্যমন্ত্রী
ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ৮১ বছরের পুরনো স্কুলের নাম পরিবর্তনের অভিযোগ
বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে মিশে আছে ছাত্রলীগ: খাদ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে ছাত্রলীগ মিশে আছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, ‘এদেশে গণতান্ত্রিক যতগুলো আন্দোলন হয়েছে তার সূতিকাগার ছাত্রলীগ নামের প্রতিষ্ঠান। মাটি ও মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যে অবদান বঙ্গবন্ধু তার বক্তব্যে তা বলে গেছেন।’
মঙ্গলবার সকালে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ৮১ বছরের পুরনো স্কুলের নাম পরিবর্তনের অভিযোগ
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী এ ছাত্র সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। জন্মের শুরু থেকেই ভাষার অধিকার, শিক্ষার অধিকার, বাঙালির স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান, সর্বোপরি স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের ছয় দশকের সবচেয়ে সফল সাহসী সারথি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। তাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সততা-নিষ্ঠা ও অন্যায়কে প্রতিরোধ করে নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক, সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির রহমান রিজভী, সাধারণ সম্পাদক আমানুজ্জামান সিউলসহ জেলা আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
আরও পড়ুন: শিক্ষক সেলিমের মৃত্যুকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা চলছে, অভিযোগ কুয়েট ছাত্রলীগের
ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ৮১ বছরের পুরনো স্কুলের নাম পরিবর্তনের অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ৮১ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করার অভিযোগ উঠেছে। সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের ‘গাংগীহাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের’ নাম মুছে ‘মোহাম্মদপুর সরকারি বিদ্যালয়’ নামকরণ করা হয়।
খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্কুলটি পরিদর্শন করেছেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্কুলের নাম মুছে ফেলা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের ‘গাংগীহাতা’ গ্রামের নাম ‘মোহাম্মদপুর’ নামে নামকরণ করেন স্থানীয়রা। তবে ‘গাংগীহাতা’ নামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। বিদ্যালয়টি ১৯৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ছাত্রদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ছাত্রলীগের ৪ নেতাকর্মী আটক
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা বিদ্যালয়টির প্রধান ফটকের সামনের দেয়ালে লেখা নামটি মুছে ‘মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ নামকরণ করেন। তবে বিদ্যালয়ের ভিতরে সিমেন্টের লেখা ‘গাংগীহাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ নামটি ঠিকই রয়ে গেছে।
বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি সকালে স্থানীয়দের নজরে এলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে বিদ্যালয়ে আসেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইয়ামিন হোসেন।
বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক জুনায়েদ বলেন, এলাকাবাসী অনেকদিন ধরে চাচ্ছিলেন বিদ্যালয়ের নামটি বদল করে দিতে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এলাকার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে স্কুলের নামটি মুছে দেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা বেগম বলেন, সন্ধ্যায় স্কুলে কেউ না থাকায় এ কাজটি করা হয়েছে। আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
আরও পড়ুন: শিক্ষক সেলিমের মৃত্যুকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা চলছে, অভিযোগ কুয়েট ছাত্রলীগের
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়ামিন হোসেন বলেন, গেজেট অনুযায়ী স্কুলটির নাম গাংগীহাতা। তবে নামটি কারা মুছে ফেলেছে তা আমার জানা নেই। বিষয়টি শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম বলেন, বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে। যদি গ্রামের লোকজন স্কুলের নাম বদল করতে চান, তাহলে নিয়ম অনুযায়ী আমাকে লিখিত আবেদন করতে হবে। তারপর যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মন্ত্রণালয় বিদ্যালয় নাম বদল করতে ব্যবস্থা নেবে। নাম মুছে দিলে তো আর গেজেট পরিবর্তন হবে না।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন বলেন, স্থানীয় নেতাকর্মীরা স্কুলের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে। যারা এ ঘটনায় জড়িত তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যু: তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিল কমিটি
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে কুয়েট উপাচার্য ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেনের কাছে এ প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।
কুয়েটের জনসংযোগ ও তথ্য শাখার সেকশন কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময় কমিটির পাঁচ সদস্যই উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ৩০ নভেম্বর শিক্ষক সেলিমের মৃত্যুর পর সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ২ ও ৩ ডিসেম্বর সিন্ডিকেটের ৭৬তম জরুরি বৈঠক হয়। সেখানে ৩ থেকে ১৩ ডিসেম্বর ক্যাম্পাস বন্ধ, ৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যর কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ২৫ দিন পর ২৮ ডিসেম্বর প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। ৪৮ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদন নিয়ে আগে ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটিতে আলোচনা হবে। সেখানে সিদ্ধান্তের পর সিন্ডিকেট সভায় যাবে এবং পরে নিয়মতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত হবে।
এদিকে, ৭৭তম সিন্ডিকেট সভায় ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত কুয়েট বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর ২৩ ডিসেম্বর ৭৮তম সভায় ৭ জানুয়ারি হল খুলে দেয়া ও ৯ জানুয়ারি একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত হয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষকের মৃত্যু: কুয়েট বন্ধ থাকবে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত
প্রসঙ্গত, মানসিক নির্যাতন সইতে না পেরে গত ৩০ নভেম্বর হার্ট অ্যাটাকে মারা যান কুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেন। মৃত্যুর পর অভিযোগ ওঠে, কুয়েটে শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান কয়েকজন ছাত্র তাদের মনোনীত প্রার্থীকে ডাইনিং ম্যানেজার করার জন্য হল প্রভোস্ট ড. সেলিম হোসেনকে নিয়মিত হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায়, ৩০ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বাধীন ছাত্ররা ক্যাম্পাসের রাস্তা থেকে ড. সেলিম হোসেনকে জেরা করা শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে তারা শিক্ষককে ধরে নিয়ে তার ব্যক্তিগত কক্ষে (তড়িৎ প্রকৌশল ভবন) প্রবেশ করেন। সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যায়, তারা আনুমানিক আধা ঘণ্টা ওই শিক্ষকের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। এরপর শিক্ষক সেলিম দুপুরে খাবার খেতে ক্যাম্পাস সংলগ্ন বাসায় যান। বিকাল ৩টার দিকে স্ত্রী লক্ষ্য করেন তিনি বাথরুম থেকে বের হচ্ছেন না। পরে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষকের মৃত্যু: কুয়েটের ৯ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
এদিকে, তার মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনে দাফনের ১৫ দিন পর গত ১৫ ডিসেম্বর সকালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের কবরস্থান থেকে তার লাশ তোলা হয়। এরপর মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য লাশ ঢাকায় পাঠানো হয়। ১৬ ডিসেম্বর রাতে লাশ কুষ্টিয়া পৌঁছানোর পর ওই একই কবরে দাফন করা হয়।
ময়নাতদন্তের জন্য কুয়েট শিক্ষকের লাশ উত্তোলন
দাফনের ১৪ দিন পর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হয়েছে। বুধবার সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও থানা পুলিশের উপস্থিতিতে জেলার কুমারখালীর বাঁশগ্রাম কবরস্থান থেকে লাশ তোলা হয়।
লাশ উত্তোলনের পর পরই ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ পাহারায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ নভেম্বর কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বে একদল শিক্ষার্থী অধ্যাপক সেলিমের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর ওই শিক্ষক বাসায় ফিরে মারা যান।
আরও পড়ুন: শিক্ষকের মৃত্যু: কুয়েটের ৯ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
অভিযোগ উঠেছে, সেজানসহ ওই শিক্ষার্থীরা অধ্যাপক সেলিমকে লাঞ্ছিত করেছিলেন, যা তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। পরদিন ১ ডিসেম্বর বুধবার অধ্যাপক সেলিমকে তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাঁশগ্রামে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় খুলনার খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) প্রবীর কুমার বিশ্বাস অধ্যাপকের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তেরর জন্য গত ৫ ডিসেম্বর দুপুরে খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আবেদন জানান।
খুলনার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবেদনটি কুষ্টিয়ার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠানোর পরিপ্রেক্ষিতে ড. সেলিম হোসেনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলণের নির্দেশ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষক সেলিমের মৃত্যুকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা চলছে, অভিযোগ কুয়েট ছাত্রলীগের
ঢাবির সূর্যসেন হলে শিক্ষার্থীকে নির্যাতন, অভিযুক্ত সেই সিফাতই
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টার দা সূর্যসেন হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে না যাওয়ায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে সিফাত উল্লাহ নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী কাজী পরশ মিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরাসি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে হলের ৩৫১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে যান সিফাত উল্লাহ এবং সেখানে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন।
পরশ বলেন, ‘দুদিন আগে সিফাত আমাকে ছাত্রলীগের এক কর্মসূচিতে যাওয়ার জন্য বলেন কিন্তু আমার সে দিন পরীক্ষা থাকায় যেতে পারিনি।’
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘সোমবার আমি তাঁর কক্ষে গেলে তিনি আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন।’
আরও পড়ুন: ঢাবির আবাসিক হলের ক্যান্টিনের দেয়াল ধসে আহত ২
পরশ জানান, তিনি হলের প্রাধ্যক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে অনলাইনে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘আমি শুনেছি এ ঘটনা। তবে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।’
সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মকবুল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘অভিযোগ তদন্তের জন্য জ্যৈষ্ঠ হাউস টিউটর অধ্যাপক আহমদ উল্লাহর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
হলের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোতালেব বলেন, ‘অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য সিফাতের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ঢাবির এফ রহমান হলে ৫ শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ
এর আগে ৮ নভেম্বর, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজের ছাত্র সিফাত আরিফুল ইসলাম ও তরিকুল ইসলাম নামে আরও দুই ছাত্রকে হল থেকে বের করে দেয়ার জন্য নির্যাতন করে এবং তা না করলে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় বলেন জানা গেছে।
তবে এটি ‘ভুল বোঝাবুঝি’ ছিল অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন ভুক্তভোগীরা।
তবে এখানেই শেষ নয় সিফাতের নির্যাতনের কাহিনী!
২০১৮ সালের ৭ জুলাই অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের দুই শিক্ষার্থী রোকেয়া গাজী লিনা ও আসাদুজ্জামান প্রান্তকে নির্যাতনের দায়ে সিফাতকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে না যাওয়ায় ঢাবির দুই শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতন!
রাজশাহীতে শাহিন হত্যায় ৯ জনের ফাঁসি, ২২ জনের যাবজ্জীবন
রাজশাহী নগরীতে ছাত্রলীগ নেতা শাহিন আলম ওরফে শাহিন শাহ হত্যা মামলায় ৯ জনের ফাঁসি ও ২২ জনের যাবজ্জীবন এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারক ওএইচএম ইলিয়াস হোসেন।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুসাব্বিরুল ইসলাম জানান,শাহীন শাহ হত্যা মামলায় ৯ জনের ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত।
আলোচিত এ মামলার এক নম্বর আসামি ছিলেন রাসিকের এক নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপিপন্থী সাবেক কাউন্সিলর মুনসুর রহমান। রায়ে তাঁর মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আটজন হলেন- হাসানুজ্জামান হিমেল (৩৮), তৌফিকুল ইসলাম চাঁদ (৪৫), মো. মহাসীন (৫০), মো. সাইরুল (২৬), রজব (৩২), বিপ্লব (৩৫), গুড়িপাড়া এলাকার মো. মমিন (৩০) এবং আরিফুল ইসলাম (২৬)। এরমধ্যে মমিন ও আরিফুল পলাতক।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বাসচাপায় শিশু নিহত
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নগরীর বুলনপুর জিয়ানগর এলাকার লাল মোহাম্মদ ওরফে লালু (৩৮), মাহাবুল হোসেন (৪২), সাত্তার (৪৫), সাজ্জাদ হোসেন (৩৮), বখতিয়ার আলম রানা ওরফে রংলাল (৩৫), হাসান আলী (৩২), মাসুদ (৩৫), রাসেল (৩২), রাজা (৩২), মর্তুজা (৩০), সুমন (৩০), গুড়িপাড়া এলাকার আসাদুল (২২), আখতারুল (২৫), জইদুর রহমান (৪৮), ফরমান আলী (৪০), জয়নাল আবেদিন (২৫), রাজু আহমেদ (২৮), আকবর আলী (৪৫), সম্রাট হোসেন (১৯), টিয়া আলম (৩০), আজাদ হোসেন (৩৫) ও মো. মাসুম (২৬)। এদের মধ্যে আজাদ ও মাসুম পলাতক রয়েছে।
মামলায় সাক্ষী ছিলেন ২৪ জন। আদালত ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
প্রসঙ্গত, নিহত শাহিন শাহ রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্যানেল মেয়র-২ ও এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রজব আলীর ছোট ভাই। ২০১৩ সালের ২৮ আগস্ট দুপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন তিনি। শাহেন শাহ রাজশাহী কোর্ট কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তাকে হত্যার ঘটনায় তার ভাই যুবলীগ নেতা নাহিদ আক্তার নাহান বাদী হয়ে পরদিন নগরীর রাজপাড়া থানায় মামলা করেন।
এ মামলায় সিটি করপোরেশনের তৎকালীন ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুনসুর রহমানসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হয়। গত বছরের ১১ নভেম্বর আদালতে এ মামলায় উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। এরপর ১০ ডিসেম্বর মামলার রায় ঘোষণার দিন ঠিক করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে স্ত্রীর নগ্ন ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ায় স্বামীর কারাদণ্ড
রাজশাহীতে ট্রেনে কাটা পড়ে গ্রামীণ ব্যাংকের নারী কর্মীর মৃত্যু
জয়পুরহাটে ছাত্রদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ছাত্রলীগের ৪ নেতাকর্মী আটক
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেনকে (২২) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ছাত্রলীগের চার নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনায় বুধবার তাদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন-জেলার পাঁচবিবি মহিপুর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান,পাঁচবিবি উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম,ছাত্রলীগ কর্মী আনিসুর রহমান ও মুজাহিদুল ইসলাম।
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)পলাশ চন্দ্র দেব জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাঁচবিবি উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সদস্য আনিছুর রহমান শিপনের নেতৃত্বে আট থেকে দশজনের একটি দল পাঁচবিবি পৌর শহরের পাঁচবিবি উপজেলা বিএনপি'র দলীয় কার্যালয়ের সামনে পার্কিং করে রাখা পাঁচবিবি থানা বিএনপি’র আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম ডালিমের মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করলে মোটর সাইকেলটি পুড়ে যায়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সিলেটে কাফনের কাপড় পড়ে ছাত্রদলের মিছিল
এই ঘটনায় পাঁচবিবি পৌর বিএনপির আহ্বায়ক জিয়াউল ফেরদৌস রাইটসহ পাঁচ থেকে সাতজন বিএনপি নেতাকর্মী ওই রাতেই পাঁচবিবি থানায় গেলে থানার পার্শ্ববর্তী পৌর পার্কের গেইটে পাঁচবিবি পৌর ছাত্র দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেনসহ চার থেকে পাঁচজন বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাকর্মী অবস্থান করছিলেন। সে সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পৌর পার্কের গেইটে অবস্থানরত বিএনপি নেতা-কর্মীদের ধাওয়া করে এবং পাঁচবিবি পৌর ছাত্র দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেনের উপর আক্রমণ করে। ছাত্রলীগের কর্মীদের এলোপাতাড়ি মারধরে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে স্থানীয় মহিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে বুধবার ভোর রাতে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোক্তাদুল হক আদনান জানান, ফারুককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নিহতের মা বিলকিস বেগম ফেলানী বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও আট থেকে ১০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে অস্ত্রসহ জেলা ছাত্রদল সভাপতি গ্রেপ্তার
করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে রাজধানীতে ছাত্রদলের শোডাউন!
আবরার হত্যা: ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (০৮ ডিসেম্বর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর কামারুজ্জামান এ রায় ঘোষাণা করেন। এর আগে সকালে মামলার ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তিন অসামি জিসান, রাফিদ ও তানিম পলাতক রয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন -মেহেদী হাসান রাসেল, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, এ এস এম নাজমুস সাদাত, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, শামীম বিল্লাহ, মাজেদুর রহমান, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মনিরুজ্জামান মনির, মেহেদী হাসান রবিন, মো. মুজাহিদুর রহমান, মো. অনিক সরকার, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, ইফতি মোশাররফ সকাল, এস এম মাহমুদ সেতু, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, মাহমুদুল জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মুজতবা রাফিদ।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. আকাশ হোসেন, অমিত সাহা, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না ও মোয়াজ আবু হুরায়রা। আদালত তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
গত ১৪ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ২৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় পুনরায় ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যা মামলার রায় পিছিয়ে ৮ ডিসেম্বর
২০১৯ সালে বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলে তৎকালীন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতারা পিটিয়ে হত্যা করে।
৬ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে তাকে হলের সিঁড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ৭ অক্টোবর আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর, আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৭ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন আদালত।
চলতি বছরের ১৪ মার্চ, মামলায় গ্রেপ্তার ২২ আসামি আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যা মামলার রায় ২৮ নভেম্বর
আবরার হত্যা: ২৫ আসামির বিরুদ্ধে ফের অভিযোগ গঠন
ষড়যন্ত্র আর আন্দোলন করে বৈধ সরকারের পতন ঘটানো যাবে না: কৃষিমন্ত্রী
ষড়যন্ত্র আর আন্দোলন করে জনগণের ভোটে নির্বাচিত বর্তমান বৈধ সরকারের পতন ঘটানো যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার। আমরা কোন আন্দোলন সংগ্রামকে ভয় পাই না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশ উন্নয়নের দিকে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে,উন্নয়নের এই জোয়ারে সকল ষড়যন্ত্রকারী ভেসে যাবে।শনিবার টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ফের আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিএনপিরকৃষিমন্ত্রী বলেন, ছাত্ররাই ছাত্রলীগ করবে। অছাত্র, বেশি বয়সী ও বিবাহিতদেরকে ছাত্রলীগে স্থান দেয়া হবে না। এক্ষেত্রে যে নীতিমালা রয়েছে তা কঠোরভাবে মানা হবে।ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ড. রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি সুশৃঙ্খল, সুদক্ষ ও ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। এই সংগঠন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের চেতনা ও দর্শনের সংগঠন। আর এই সংগঠনের নেতা হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছাত্রলীগের কর্মীদের এ বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে এবং সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে এমন কোন কাজে জড়িত হওয়া যাবে না।কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, কোন বিদ্রোহী প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হবে না। চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এখন পর্যন্ত তিন হাজার ইউপির মনোনয়ন দেয়া হয়েছে, তার একটিতেও বিদ্রোহী প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হয় নি।
আরও পড়ুন: দেশ ও জনগণ ছেড়ে আ’লীগ পালাবে না: কৃষিমন্ত্রীঅনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক,বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, টাঙ্গাইলের বিভিন্ন আসনের সংসদ সদস্য ছোট মনির, জোয়াহেরুল ইসলাম, ছানোয়ার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।