খুলনা
চাকরির কথা বলে খুলনায় নিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
ইটভাটায় রান্নার চাকরি দেয়ার কথা বলে খুলনা শহরে এনে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী থেকে খুলনার শহরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় নিয়ে আসে তারই গ্রামের ডালিম নামের প্রতিবেশী।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৪
সোমবার ভোরে জিরো পয়েন্টের ফাতেমাবাগ এলাকার একটি বাড়িতে চারজন মিলে ওই নারীকে ধর্ষণ করে।
বিকালে ওই বাড়ি থেকে তিনি পালিয়ে আসলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) এবং ওসিসির ফোকাল পার্সন ডা. অঞ্জন চক্রবর্তী জানান, ভুক্তভোগীকে কিছু পরীক্ষা করা হয়েছে।
এছাড়া মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) আরও কিছু পরীক্ষা করা হবে।
ভুক্তভোগীর বরাত দিয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা আকবর হোসেন জানান, ইটভাটায় রান্নার চাকরির কথা বলে রবিবার দুপুরে ওই নারীকে খুলনায় নিয়ে আসে ডালিমের লোক।
রাতে খুলনায় পৌঁছে ফাতেমাবাগ এলাকার এক বাড়িতে তাকে রাখা হয়। ভোররাতে ডালিমসহ চারজন তাকে ধর্ষণ করে।
সকালে তিনি ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে রাস্তায় চলে আসেন। তখন তিনিসহ আরও কয়েকজন মিলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ডা. অঞ্জন চক্রবর্তী জানান, হাসপাতালেও ওই নারী একই তথ্য দিয়েছেন। নগরীর জিরো পয়েন্ট ও ফাতেমাবাগ এলাকা খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের লবণচরা থানার আওতাধীন।
বিকাল সাড়ে ৪টায় লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক জানান, এখনও ধর্ষণের কোনো সংবাদ পাইনি। খোঁজ নিয়ে দেখছি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে পোশাক কর্মী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার, গ্রেপ্তার ৩
সীতাকুণ্ডে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
খুলনায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
খুলনায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। শুক্রবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে নগরীরর বাইপাস সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত দিঘলিয়া উপজেলার লাখোহাটি গ্রামের মো. নাসিম চৌধুরীর ছেলে মিঠুন চৌধুরী (৩৩)। অপরদিকে এ ঘটনায় অপর এক আরোহী গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত ব্যক্তি হলেন- একই এলাকার রেজাউল শেখের ছেলে মো. মামুন(২৯)।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ট্রাকের ধাক্কায় ভ্যানচালক নিহত, আহত ২
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মোটরসাইকেলযোগে মিঠুন ও মামুন আড়ংঘাটা বাইপাস সড়ক হয়ে প্রধান সড়কে ওঠার চেষ্টা করে। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী একটি ট্রাক তাদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে তারা রাস্তার ওপর পড়ে যায়।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে ১০টায় মিঠুনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে ডাম্প ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
নাটোরে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ৩
খুলনায় নির্ধারিত মূল্যের বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে এলপিজি সিলিন্ডার
তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম দুই দিন আগে ২৬৬ টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এতে প্রতি ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম দাড়িয়েছে এক হাজার ৪৯৮ টাকা।
এই দামেও বাজারে গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। এর প্রভাব পড়েছে খুলনার বাজারে। নির্ধারিত মূল্যের বেশি দিয়ে কিনতে হবে প্রতি সিলিন্ডার।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সরকারি দরের চাইতেও ১০০/১৫০ টাকা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে গ্যাস। দাম নিয়ে এই নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে অসহায় হয়ে পড়েছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ।
আরও পড়ুন: ১২ কেজি এলপিজির দাম বাড়ল ১৬ টাকা
এদিকে গত দুই সপ্তাহ ধরে এলপি গ্যাসের বাজারে সংকট চলছে। ২৬৬ টাকা দাম বাড়বে- এই সংবাদ আগাম জানতে পেরে বাজার থেকে গ্যাস সরিয়ে ফেলে কোম্পানিগুলো।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, খুলনা শহর ছাড়াও আশপাশের পৌরসভা, উপজেলা ও গ্রামে বিপুলসংখ্যক মানুষ এলপিজির ওপর নির্ভরশীল।
আরও জানা যায়, ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এ দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এ সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি।
গত বৃহস্পতিবার বিইআরসি এক বিজ্ঞপ্তিতে এলপিজির দাম একলাফে ২৬৬ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। এতে প্রতি ১২ কেজির সিলিন্ডারের দর নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ৪৯৮ টাকা, যা জানুয়ারি মাসে ছিল এক হাজার ২৩২ টাকা।
সংস্থাটি প্রতি মাসেই এলপিজির দাম নির্ধারণ করে। তবে তা সব জায়গায় কার্যকর হতে দেখা যায় না। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অভিযোগ জানাতে বলা হয়।
নগরীর গোবরচাকা এলাকার বাসিন্দা সোহরাব হোসেন জানান, সরকার ২৬৬ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করেছে দেড় হাজার (এক হাজার ৪৯৮) টাকা। কিন্তু দোকানে কিনতে গেলে দাম চাইছে এক হাজার ৭০০ টাকা। অনেক তর্কবিতর্কের পরে ৫০ টাকা কমে এক হাজার ৬৫০ টাকায় গ্যাস কিনেছি।
নিরাপদ সড়ক চাইয়ের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান মুন্না জানান, তিনিও ১৫০ টাকা বেশি দিয়ে এক হাজার ৬৫০ টাকায় গ্যাস কিনেছেন।
নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও এক হাজার ৬০০ টাকার নিচে গ্যাস নেই। কোথাও এক হাজার ৬৫০, কোথাও এক হাজার ৭০০ টাকায়ও গ্যাস বিক্রি হচ্ছে।
নগরীর শেখপাড়া এলাকার বাসিন্দা ইকবাল হাসান জানান, সরকার পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতাদের জন্য ৪০/৫০ টাকা মুনাফা রেখেই দাম নির্ধারণ করে। অর্থ্যাৎ ব্যবসায়ীরা যদি ১৪৯৮ টাকায় গ্যাস বিক্রি করে, তাতেও তাদের ৫০/৬০ টাকা প্রতি সিলিন্ডারে লাভ থাকে।
কিন্তু এই লাভে তারা সন্তুষ্ট হতে পারেন না। খুচরা ব্যবসায়ীরা আরও ১০০/১৫০ টাকা লাভ করতে চান।
তিনি বলেন, মাত্র ১৪০০ টাকা বিনিয়োগ করে ১৫০/২০০ টাকা মুনাফা খোঁজার যে লোভ-এটাই গ্রাহকদের পকেট ফাঁকা করে দিচ্ছে। কিন্তু এসব দেখার কেউ নেই।
বটিয়াঘাটার মোহাম্মদনগর এলাকার বাসিন্দা আকরামুল ইসলাম বলেন, তাঁর পাঁচ সদস্যের পরিবারে মাসে দুই সিলিন্ডার এলপিজি লাগে। এতে খরচ হয় তিন হাজার টাকা।
তিনি আরও বলেন, গত মাসে তিনি প্রতি সিলিন্ডার (১২ কেজি) গ্যাস কিনেছেন ১৩৫০ টাকা দিয়ে। এখন ১ হাজার ৬৫০ টাকা চাইছে।
সরকার নির্ধারিত দামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারি দাম বললে দোকানদারেরা অপমান করেন। তারা বলেন সরকারের কাছ থেকে কিনতে।
আরও পড়ুন: এলপিজির দাম কেজি প্রতি বাড়ল ২২.১৫ টাকা
এলপিজির দাম কমেছে
খুলনায় ৫০ টাকায় গরুর মাংস, ৪০ টাকায় মুরগির মাংস!
‘বাজারে এক কেজি ছাড়া গরুর মাংস বিক্রি করে না। আর এক কেজি কেনার তৌফিক আমাগে নেই। এক কেজি মাংসের দাম ৭০০ টাকার বেশি। যে কারণে আমাগে মতো মানুষের ভাগ্যে মাংস জোটে না। তবে জব্বার স্টোরে মধ্য ও নিম্নবিত্তের প্রয়োজন অনুযায়ী অল্প টাকায় বাজার করা যায়। সর্বনিম্ন ৫০ টাকায় গরুর মাংস কেনা যায় এবং সর্বনিম্ন ৪০ টাকায় মুরগির গোশত পাওয়া যায়। তাই শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এখানে আসছি মাংস কেনার জন্য’- কথাগুলো বলছিলেন, খুলনার লবণচরার অটোস্ট্যান্ড সংলগ্ন মেসার্স জব্বারের মোড়ের মেসার্স জব্বার স্টোরের ক্রেতা লিমা বেগম।
তিনি আরও বলেন, বাজারে সব জিনিসের দাম আগুন। চাল-ডাল-তেল কিনতেই হিমশিম খাচ্ছি। তখন গরুর মাংস কেনার কথা কল্পনাও করা যায় না। কিন্তু আমাগে কথা মাথায় রেখে এ দোকানে এমন ব্যবস্থা করায় আমরা খুবই খুশি।
মেসার্স জব্বার স্টোরের মালিক ইমন হাসান মোস্তফা বলেন, দোকানটি আমার বাবার। এখন আমি পরিচালনা করি। এখানে ৫০, ১০০, ২০০ টাকায় ছোট প্যাকেটে গরুর মাংস পাওয়া যায়। এছাড়া সর্বনিম্ন ৪০ টাকায় মুরগির মাংস পাওয়া যায়। যাতে সাধ্য অনুযায়ী ক্রেতারা কিনতে পারেন। আমার কাছে কোনো ক্রেতা এসে যেন ফিরে না যায়, সেজন্য মাছ, মাংস, সবজি, মসলাসহ সব ধরণের পণ্য রেখেছি।
কেন এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিলেন জানতে চাইলে ইমন বলেন, ‘শুধু ব্যবসা নয়, মানুষের সেবা করার জন্য কাজ করছি। বর্তমান বাজারের যে অবস্থা তাতে মানুষের সুবিধার জন্য এ উদ্যোগ নিয়েছি। এক কেজি গরুর মাংসের যে দাম, তা অনেকেই কিনতে পারেন না। আবার মুরগি কিংবা মাছ একটির যা ওজন হয় তাও অনেকে কিনতে পারেন না। তাদের সুবিধার জন্য আমি ছোট ছোট প্যাকে যার যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকু কেনার ব্যবস্থা করেছি। এছাড়া সামনে ইলিশ ও খাসির মাংস আনার চেষ্টা করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার দোকানে পাঁচ টাকায় অনেক জিনিস পাওয়া যায়। গরম মসলা, লবণ, শুকনা মরিচ, চিনি, হলুদের গুঁড়া, ডাল, তেল, জিরা ও ধনিয়ার গুঁড়া পাঁচ টাকায় পাওয়া যায়। গরিব মানুষের সুবিধার জন্য এ ব্যবস্থা।’
ইমন বলেন, ‘যার যেমন লাগে সে তেমন কেনেন। আমার দোকানে এ ব্যবস্থা নতুন। সামনে পাঁচ টাকায় আরও জিনিসপত্র পাওয়া যাবে।’
আরও পড়ুন: এক টাকার রেস্টুরেন্ট!
খুলনায় ককটেল বোমা জব্দ, যুবক গ্রেপ্তার
খুলনায় ককটেল বোমা জব্দ করা হয়েছে এবং এসময় এক যুবককে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে র্যাব। শনিবার সকাল পৌনে ১১ টার দিকে তাকে মহানগরীর লবণচরা থানার মোক্তার হোসেন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মো. রাসেল গাজী যশোরের কোতোয়ালি থানার খোড়কী ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
র্যাব-৬ এর পক্ষ থেকে এক পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন লবণচরা থানা এলকায় কয়েকজন ব্যক্তি মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য অবস্থান করছে।এ সংবাদের ভিত্তিতে তারা সেখানে অভিযান চালায়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ সময়ে র্যাব লবণচরা মোক্তার হোসেন সড়ক থেকে রাসেল গাজীকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তার কাছ থেকে র্যাব ৬টি ককটেল বোমা জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: নওগাঁর মান্দায় আমবাগান থেকে ১৮টি ককটেল উদ্ধার
বাবুগঞ্জে স্কুলমাঠে ককটেল বিস্ফোরণ!
খুলনায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় প্রাণ গেলো কিশোরের
খুলনা মহানগরীর আড়ংঘাটায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার সময় সে সাইকেলে ছিল। শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টার দিকে চিংড়িখালী-তেলিগাতীর মাঝামাঝি বিশ্বরোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
কাগজী রাহাত (১৪) খানজাহান আলী থানার শিরোমনি পূর্বপাড়ার ইকবাল হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: সাভারে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় নিহত ২
পুলিশ জানায়, রাহাত ও মো. আমির হামজা (৪৫) নামে একজন সাইকেল যোগে আফিল গেটের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় পেছন দিক থেকে ছুটে আসা দ্রুতগামীর একটি প্রাইভেটকার তাদের সাইকেলকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এতে দু’জনই রাস্তায় পড়ে মারাত্মকভাবে আহত হন।
পরে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় তাৎক্ষণিকভাবে তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
সেখানে আমির হামজাকে সার্জারি (১) বিভাগের ৯/১০ ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
আর জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রাত ৮টার দিকে রাহাতকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, বর্তমানে রাহাতের লাশটি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লাশঘরে আছে।
এছাড়া আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আড়ংঘাটা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দিপক মন্ডল জানান, দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলেই মারা যান রাহাত আর আমির হামজা গুরুতর আহত হন। আড়ংঘাটা পুলিশ ও ফায়ারসার্ভিসের সদস্যরা তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাহাতের লাশ মর্গে আছে। আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসার দেয়া হয়েছে। এরইমধ্যে পুলিশ প্রাইভেটকারটি আটক করেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় পথচারী নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় নিহত ১
খুলনায় অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযান শুরু
হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন ও ইটভাটা মালিকরা সম্মিলিতভাবে ডুমুরিয়া উপজেলার ভদ্রা ও হরি নদীর পাড়ের ১৪টি অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধসহ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। অভিযান কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মো. ইয়াসির আরেফিন ও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিগত দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে ডুমুরিয়া উপজেলার খর্ণিয়া ও রুদাঘরা ইউনিয়নের পশ্চিম পাশে ভদ্রা ও হরি নদীর দু’পাশে ব্যক্তি মালিকানার জমির সঙ্গে নদীর চর ভরাটিয়া জমি অবৈধভাবে দখল করে এলাকার প্রভাবশালীরা বেশ কয়েকটি ইটভাটা গড়ে তোলে।
নদীর চর দখল ও এলাকার পরিবেশের ঝুঁকির কথা বিবেচনায় নিয়ে ২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মানবাধিকার সংস্থা ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ‘ডুমুরিয়া উপজেলার ভদ্রা ও হরি নদী দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ১৪টি ইটভাটার মধ্যে থাকা সরকারি নদীর জায়গা থেকে ইটভাটা উচ্ছেদ/অপসারণ করে জমি অবমুক্ত করার জন্য খুলনা জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ প্রদান করেন। ’কিন্ত আদালতের সেই আদেশ যথাযথভাবে প্রতিপালন না হওয়ায় ৭ ডিসেম্বর রিটকারী আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট খুলনা জেলা প্রশাসক ও ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে স্বশরীরে আদালতে উপস্থিত হয়ে জবাব দেয়ার নির্দেশনা দেন। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ১০ জানুয়ারি আদালতে উপস্থিত হয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিল পরিবেশ অধিদপ্তর
বিচারপতি জে.বি.এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই ১৪টি অবৈধ ইটভাটা অপসারণ করে নদীর জায়গা অবমুক্ত করে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু তারপরও ইটভাটা মালিক পক্ষ সময় চেয়ে উচ্চ আদালতে একাধিক আবেদন করলে তা খারিজ করা হয়ে যায়। তারই প্রেক্ষিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানুয়ারি মাসে ওইসব ভাটাগুলোর মধ্যে থাকা সরকারি জমির সীমানা নির্ধারণ করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসকেবেটর বিপুল সংখ্যক শ্রমিক নিযুক্ত করে সরকারি নদীর জায়গা অবমুক্ত করতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। যদিও ইতোমধ্যে কয়েকজন ইটভাটা মালিক তাদের ভেতর থাকা সরকারি জায়গা ছেড়ে দিতে স্ব উদ্যোগে স্থাপনা সরিয়ে নিচ্ছেন। অভিযান কার্যক্রম মনিটরিং করছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস.এম মুমিন লিংকন,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল,এ) আতিকুল ইসলাম, ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ আসিফ রহমান,উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আফরোজ শাহীন খসরু-সহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও পুলিশের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ইটভাটা মালিকদের যৌথ উদ্যাগে উচু-চিমনি ও ক্লিন বা চুল্লি ভাঙ্গা কার্যক্রমের পাশাপাশি ইট সরিয়ে নেয়া শুরু করে। খর্ণিয়া ব্রিজ সংলগ্ন ‘নুরজাহান ব্রিক্স’র কর্তৃপক্ষ তিনদিন ধরে উঁচু চিমনি ও ক্লিন বা চুল্লি ভেঙ্গে এবং ইট সরিয়ে নিচ্ছেন। পাশে কে,বি-২ ব্রিক্স বুধবার তাদের চিমনি ভেঙ্গে নেয়াসহ ইট সরিয়ে নিচ্ছে। কে.পি.বি ব্রিক্স তাদের ক্লিনের আংশিক ভেঙ্গে নিচ্ছেন এবং ভাটার ভিতরে নদীর জায়গায় থাকা স্থাপনা সরাচ্ছেন। এছাড়া এস.বি ব্রিক্স, সেতু-১ ব্রিক্সও তাদের মধ্যে থাকা নদীর জায়গা ছেড়ে দিতে ক্লিন ভেঙ্গে ও অন্যান্য স্থাপনা সরিয়ে নিচ্ছেন। এফ.এম.বি ব্রিক্স তাদের চিমনি ভেঙ্গে সরিয়ে নিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে নুরজাহান ব্রিক্স’র মালিক শাহাজান জমাদ্দার বলেন,’আমি হাইকোর্টর নির্দেশ মান্য করে আমার ইটভাটার মধ্যে সরকারি জমির ওপর থাকা স্থাপনা শ্রমিক দিয়ে সরিয়ে নিচ্ছি’।
কে,পি,বি ব্রিক্স’র ব্যবস্থাপক মাসুদ জোয়াদ্দার জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা জানার পর থেকে আমাদের ইটভাটার মধ্যে থাকা নদীর জাগয়া থেকে মাটি মিকচার মিল, শ্রমিকদের স্থাপনা এবং ক্লিনের আংশিক ভেঙ্গে সরিয়ে নেয়া অব্যহত রয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. ইয়াসির আরেফিন বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন এবং আইনবিধি মোতাবেক আমরা ইতোমধ্যে ওই ১৪টি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি। তাছাড়া সি.এস রেকর্ড অনুযায়ী নদীর জমি চিহ্নিত করে তা উদ্ধার করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার স্বার্থে নদীর জাগয়া অবৈধ দখল মুক্ত করতে পর্যায়ক্রমে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ৭ অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিলো আদালত
দেশের সব অবৈধ ইটভাটা সাত দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ
খুলনায় বিদ্যালয়ের কক্ষ থেকে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
খুলনার ডুমুরিয়ায় বিদ্যালয়ের একটি কক্ষ থেকে এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার গুটুদিয়া এসিজিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষ থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত নিরব মন্ডল (১৪) গুটুদিয়া গ্রামের শেখর মন্ডলের ছেলে।
আরও পড়ুন: চিত্রা নদী থেকে নিখোঁজ ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার প্রতিদিনের মতো বাড়ির পাশে গুটুদিয়া এসিজিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যায়। এরপর নির্দিষ্ট সময়ে বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি করা হয়। এরপর কে বা কারা বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নিরবের বাবা শেখরের কাছে ফোন করে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এরপরই থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে শেখর মন্ডল। ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ কনি মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শিশুটির লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাইকগাছায় ধানখেত থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
বাগেরহাটে মৎস্য ঘের থেকে নিখোঁজ কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার
খুলনায় কলেজ বাসের ধাক্কায় বই ব্যবসায়ীর মৃত্যু
খুলনায় কলেজ বাসের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে নগরীর নিউ মার্কেটের বিপরীত রাস্তায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আশিকুর রহমান (৩৫) খুলনার আড়ংঘাটা থানাধীন বকুলতলা এলাকার আব্দুল আলীর ছেলে। তিনি স্থানীয় বিএল কলেজ গেট এলাকার একজন বই ব্যবসায়ী।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশির মৃত্যু
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বিএল কলেজের একটি বাস শিক্ষার্থীদের নিয়ে দৌলতপুর থেকে খুলনা যাচ্ছিল। এসময় আশিকুর রহমান মোটরসাইকেলে খুলনা যাচ্ছিলেন। তাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় বাসটি। রাস্তার ওপর পড়ে গেলে তার মাথার ওপর দিয়ে একটি চাকা চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। বাসটি দ্রুত পালিয়ে যায়।
খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) নিমাই চন্দ্র কুন্ডু বলেন, নিহত আশিক বিএল কলেজ গেট এলাকার বই ব্যবসায়ী। খুলনাগামী বিএল কলেজের একটি বাসচাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
তিনি আরও জানান, আমরা ঘটনাস্থলের আশপাশের সকল সিসি ক্যামেরার দৃশ্য সংগ্রহ করছি। দুর্ঘটনার কারণ বুঝে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় পাওয়ার টিলার চালক নিহত
সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩
খুলনায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
খুলনায় ভবন থেকে পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মহানগরীর সোনাডাঙ্গার মজিদ সরণিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মহিত হোসেন বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার চরকাটি গ্রামের তোরাব আলীর ছেলে।
খুলনা সোনাডাঙা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে রাইস মিলের ফিতায় জড়িয়ে শ্রমিকের মৃত্যু
তিনি বলেন, মজিদ সরণিতে চিকিৎসক গাজী মিজানুর রহমানের নির্মাণাধীন ভবনের চতুর্থ তলায় কাজ করছিলেন শ্রমিক মহিত। কাজের সময় অসাবধানতার কারণে তিনি পা পিছলে চারতলা থেকে নিচে পড়ে যান।
এছাড়া প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বহুতল ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
সীতাকুণ্ডে বহুতল ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু