দুই গ্রুপ
কুমিল্লায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে অর্ণব নামে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা লেগুনা স্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কুমারখালীতে সংঘর্ষে দুই ভাই গুলিবিদ্ধ!
এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও ময়নামতি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত অর্নব (৩০) স্থানীয় মো. আজহারের ছেলে।
কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন জানান, লেগুনা স্ট্যান্ড নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় গোলাগুলি শুরু করলে অর্ণব নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।
নিহত ব্যক্তি কোনো গ্রুপের সদস্য ছিলেন কি না তা শনাক্ত করা যায়নি বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ইউপি সদস্য গুলিবিদ্ধ
কুমিল্লা সিটি নির্বাচন: ভোটকেন্দ্রের পাশে গুলিবিদ্ধ ২ জন
কুয়েটে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ: ২১ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার, ৫০ জনের নামে মামলা
বছরের শুরুতেই আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, হামলা, ভাঙচুর ও মামলা দায়েরের ঘটনা ঘটেছে।
এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন এবং হল থেকে ২১ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে।
আরও পড়ুন: কুয়েট শিক্ষার্থী অন্তুর আত্মহত্যা: প্রকৃত কারণ এখনও অজানা
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে আগে থেকেই উত্তেজনা চলছিল। এর মধ্যে কুয়েট ছাত্রলীগ সভাপতি রুদ্র নীল সিংহসহ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে লালন শাহ হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠে।
রবিবার গভীর রাতে হলের বাইরে থাকা শিক্ষার্থীরা হলে প্রবেশ করতে গেলে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে চারজন শিক্ষার্থী আহত হয়।
আহতরা হচ্ছেন- সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৫ ব্যাচের তাহমিদুল হক ইশরাক, সিভিল ১৮ ব্যাচের যোবায়ের হোসেন নাইম, মেকানিক্যাল ১৭ ব্যাচের সাফায়েত সাইমুম, ম্যাকাট্রোনিক ১৮ ব্যাচের নিলান খালেক পারাবার।
আরও পড়ুন: ঘুমের ঘোরে ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে কুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু
এদিকে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় মঙ্গলবার ২১ জন শিক্ষার্থীকে লালন শাহ হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
হলের প্রভোস্ট ড. মো. আব্দুল হাফিজ মিয়া স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাদের এ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
এছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুয়েট ভিসি হলেন অধ্যাপক ড. মিহির রঞ্জন
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, সাফায়েত সাইমুম, নিলান খালেক পারাবার, আব্দুল্লাহ্ ইবনে জয়নাল, শাহরিয়ার ফেরদৌস ওশান, শাহনেওয়াজ পারভেজ শুভ, তৈয়ব ইয়াসির নিলয়, জুনায়েত হক সরকার, জুবাইদুর হোসেন নাঈম, মো. সাব্বির হোসেন, মো. আদনান ইসলাম (শামস), তাহমিদুল হক ইশরাক, মিনহাজুর রহমান আবরার, ফজলে রাব্বি, সাদিক বিন ফারুক, আবির হাসান, মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, অমিত কুমার ঘোস, অরিত্র দেবনাথ পৃথু, মেফতাউল মাহমুদ, সুদীপ্ত তালুকদার ও মিজানুর রহমান (মুহাসিন)।
লালনশাহ হলের প্রভোস্ট ড. মো. আব্দুল হাফিজ মিয়া বলেন, কিছু ছাত্র হলের বাইরে ছিল। তারা রবিবার গভীর রাতে লালন শাহ হলে উঠতে চাইলে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ২১ জন ছাত্রকে হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
অপরদিকে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) এই ঘটনায় আহত শিক্ষার্থী তাহমিদুল হক ইশরাক বাদি হয়ে মারধর ও জীবননাশের হুমকির অভিযোগে কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রুদ্রনীল সিংহসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও অন্তত ৪০-৫০ জনকে আসামি করে মঙ্গলবার মামলা দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: কুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা শনিবার
নগরীর খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, এই ঘটনায় মঙ্গলবার আহত শিক্ষার্থী তাহমিদুল হক ইশরাক বাদি হয়ে কুয়েট শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি রুদ্র নীল সিংহসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
তিনি আরও বলেন, মামলায় তিনি মারধর ও জীবননাশের হুমকির অভিযোগ কথা উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ দূষণের মুখে পর্যটন শহর কক্সবাজার
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০
হোটেলে খাবার খেতে গিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। ইটপাটকেল ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় উভয় গ্রুপের ৮/১০ জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) ৩টা থেকে পৌনে ৪টা পর্যন্ত ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয় এবং সিক্সটি নাইন গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ চলে।
স্থানীয়রা জানায়, খাবারের দোকানে বিজয় গ্রুপের অনুসারী মাহির চৌধুরীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় সিক্সটি নাইনের অনুসারী আজমিরের। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
এ ঘটনার পর দুই পক্ষের অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে ৩টার দিকে সংঘর্ষে জড়ায় তারা। এ সময় উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
সিক্সটি নাইনের অনুসারী আকিব জাবেদ বলেন, নজরুল ভাইয়ের হোটেলে খেতে গিয়ে আমাদের একজনের সঙ্গে বেয়াদবি করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিজেদের মধ্যে সমাধান করার চেষ্টা করছি৷
বিজয়ের অনুসারী সিয়াম বলেন, আমাদের এক কর্মী নজরুল ভাইয়ের দোকানে খেতে এলে আজমির নামে তাদের এক কর্মী ডাল ফেলে দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ঘটনা সংঘর্ষে রূপ নেয়। আমরা ঘটনা সমাধানের চেষ্টা করছি।
বিশ্ববিদ্যালয়েল প্রক্টর ড. মোহাম্মদ নুরুল আজিম সিকদার বলেন, খাবার হোটেল থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত। প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ থামিয়েছে। এখনো পর্যন্ত আহত হওয়ার কোনো খবর পাইনি। জড়িতদের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের প্রধান কর্মকর্তা ডা. আবু তৈয়ব বলেন, সংঘর্ষে আহত ১০ জন চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন। সবাই পাথরের আঘাতে আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২৫
মিরসরাইয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২০
চট্টগ্রামে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবক নিহত
চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানার ঝাউতলা সেগুন বাগান এলাকায় দুই গ্রুপের মারামারির সময় ছুরিকাঘাতে এক কিশোর নিহত ও অপর একজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবক আব্দুর রহমান সুজন (২০) নোয়াখালীর সেনবাগ থানার সেনবাগ রাস্তার মাথা এলাকার মোহাম্মদ রিপনের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে মাটিবাহী ট্রাক্টরচাপায় যুবক নিহত
খুলশী থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) রুবেল হাওলাদার জানান, একটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এখনো বিস্তারিত পাওয়া যায়নি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। তদন্ত হচ্ছে।
এদিকে চমেক পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক জানান, গুরুত্বর আহত সুজনসহ ২ জনকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা সুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কাউন্সিল ও যুবলীগ নেতা মো. ওয়াসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, একটা ছেলে খুন হয়েছে শুনেছি। আমরা আরও খবর পরে বিস্তারিত জানাবো।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় যুবক নিহত
চুয়াডাঙ্গায় পিকআপের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে যুবক নিহত
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে ৫ রোহিঙ্গা নিহত
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘আধিপত্য বিস্তারকে’ কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে পাঁচ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে।
শুক্রবার (৭ জুলাই) ভোর ৬টার দিকে উখিয়ার ক্যাম্প-৮ ওয়েস্টে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ক্যাম্প-৮ ডাব্লিউ এর এইচ-৪৯ ব্লকের আনোয়ার হোসেন (২৪), এ-২১ ব্লকের মোহাম্মদ হামীম (১৬), ক্যাম্প-১০ এর এইচ ৪২ ব্লকের নজিবুল্লাহ, ক্যাম্প-৩ এর বি-১৭ ব্লকের নুরআমিন ও অপরজনের পরিচয় তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এআরএসএ ও আরএসও গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত: পুলিশ
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ৮ এপিবিএন অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আমির জাফর।
৮ এপিবিএন অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আমির জাফর বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে’ কেন্দ্র করে ভোর ৬টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিন জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় আহত আরও দুই জনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তারাও সেখানে মারা যান। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তবে বিবাদমান কোন সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্য তা নিশ্চিত করা যায়নি।
স্থানীয়দের বরাতে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠি আরসা এবং আরএসওর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, পরে খবর পেয়ে এপিবিএন ও পুলিশের যৌথ টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলে ৫ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, গুলিবিদ্ধদের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইওএম পরিচালিত হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ক্যাম্প এলাকায় পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত ১
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের গোলাগুলি, যুবক নিহত
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের গোলাগুলিতে এক যুবক নিহত হয়েছে। শুক্রবার (১২ মে) বিকাল ৪টার দিকে উখিয়ার পালংখালীর জামতলি ক্যাম্প-১৫ এর ব্লক জি/৪ এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শুক্কুর রহমান (২২) ওই এলাকার ফয়জুল করিমের ছেলে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় গোলাগুলিতে রোহিঙ্গা নিহতের ঘটনায় ৭৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
স্থানীয় রোহিঙ্গারা জানান, বিকাল ৪টার দিকে উখিয়ার ১৫ নম্বর ক্যাম্প জামতলি ব্লক ই/৩-তে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আরসা (আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি) ও আরএসও (রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশন) সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়।
এক পর্যায়ে শুক্কুর রহমান গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন।
৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক আহমদ বলেন, জামতলি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলিতে একজন নিহত হয়েছেন বলে শুনেছি। এছাড়া পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সসবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশের সঙ্গে আরসার গোলাগুলি, নিহত ২
বান্দরবানে ইউপিডিএফ-কেএনএফ এর গোলাগুলিতে নিহত ৮
বগুড়ায় বিজয় দিবসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের হাতাহাতি
বগুড়ায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মহান বিজয় দিবসে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে দুই গ্রুপের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জাতীয় পতাকাসহ দলীয় সব পতাকা উত্তোলনের পরে এ ঘটনা ঘটে৷
এ সময় দলীয় কার্যালয়সহ সাতমাথা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে হাতাহাতি ও ধাওয়ার ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
আরও পড়ুন: সিলেটে আ'লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া
এসময় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকলেও নিরব দর্শক ছিলেন তারা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সকালে দলীয় কার্যালয়ের সামনে পতাকা উত্তোলনসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতারা জাতীয় পতাকাসহ দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপরেই জেলা ছাত্রলীগের কাঙিক্ষত পদ বঞ্চিত নেতাকর্মীরা শ্লোগান শুরু করেন।
এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের নেতাকর্মীরা শ্লোগান শুরু করলে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা তাদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন ও ধাওয়া দেন।
এ সময় দলীয় কার্যালয় ও সাতমাথা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ধাওয়া ও হাতাহাতির ঘটনায় ছাত্রলীগের দু'পক্ষের কেউ আহত হয়নি বলে জানা গেছে।
এসময় সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকলেও তারা কোন অ্যাকশনে যাননি। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের কোন পক্ষ কথা বলেননি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৮ জন আহত
কুষ্টিয়ায় শোক সভায় আ. লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০
চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৮ জন আহত
চট্টগ্রাম সরকারী কলেজে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনায় আটজন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে সভাপতি মাহমুদুল করিম ও সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিকের গ্রুপের সিনিয়র-জুনিয়রের মধ্যে কথা কাটাকাটির জেরে এঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন—সাফায়েত হোসেন রাজু (গণিত চতুর্থ বর্ষ), হামিম রাফসান (এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষ), জাহেদুল অভি (ইসলামের ইতিহাস দ্বিতীয় বর্ষ), ওয়াহিদুল রহমান সুজন (স্নাতক তৃতীয় বর্ষ), আলিফ জাবেদ (ইতিহাস প্রথম বর্ষ), জিয়াউদ্দিন আরমান (সমাজবিজ্ঞান মাস্টার্স), নাঈম আসিফ ( ইতিহাস মাস্টার্স) ও মোহাম্মদ মনির (ইতিহাস চতুর্থ বর্ষ)।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ছাত্রলীগকর্মীর মৃত্যু
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, চট্টগ্রাম কলেজের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের গ্রুপের সিনিয়র-জুনিয়র ছেলেদের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে প্রথমে ঝগড়া হয়। পরে তা সংঘর্ষে জড়ায়। এসময় উভয় পক্ষের ছোড়া ইটের টুকরা কারও মাথায়, ও হাতে-পায়ে লেগে শরীরের বিভিন্ন অংশ জখম হয়। এ ঘটনায় আটজনের মতো আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে বহিরাগতরা।
তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপরও হামলা চালান, এতে কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হন।
সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ বলেন, সন্ত্রাসীদের হামলায় আমাদের বেশকিছু ছোট ভাই আহত হয়েছে,সন্ত্রাসীদের কীভাবে দমন করতে হয় সেটি আমার জানা আছে।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুর কাদের মজুমদার বলেন, চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আমরা ঘটনাস্থলে আছি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে, কি কারণে ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আলাউদ্দীন তালুকদার বলেন, চট্টগ্রাম কলেজে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়ে পাঁচজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে বহিষ্কৃত সাত ডিবি পুলিশের ৭ বছরের সাজা
মিরসরাইয়ে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
মুন্সিগঞ্জে দুপক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৫
গজারিয়া উপজেলার ষোলআনী গ্রামে শনিবার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষের পাঁচজন গুলিবিদ্ধসহ ২২ জন আহত হয়েছেন।