ফরিদপুর
২৯ ইঞ্চির নাইমার বড় স্বপ্নের পাশে জেলা প্রশাসক
ফরিদপুরের নাইমা সুলতানা পাখি। বয়স ২২ বছর। উচ্চতা ২৯ ইঞ্চি। ওজন ২০ কেজি। তার স্বপ্ন স্বাবলম্বি হওয়া। এই জন্য অভাব অনটনের সংসারে প্রতিনিয়ত করছেন জীবনযুদ্ধ।
ঠিক এসময় তার পাশে মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার।
পাখির ইচ্ছা ছিল পড়াশোনার পাশাপাশি কম্পিউটারের কোর্সটি শেষ করে কম্পিউটার পরিচানায় আরও দক্ষ হবে। কিন্তু নিজের কোনো কম্পিউটার নেই। একসঙ্গে এত টাকা দিয়ে কম্পিউটার কেনা সম্ভব নয়। ফলে বেশ দুশ্চিন্তায় ছিল তিনি।’
ঠিক এমন সময়ে তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা
মঙ্গলবার সকালে পাখি ও তার পরিবারকে ডেকে নেয় জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার। শোনেন তার ইচ্ছার গল্প। তার উচ্চকাঙ্খা শুনে হতবাক হন জেলা প্রশাসক। এ সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাখিকে তার পড়াশোনা এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে তাদের দেয়া হয় একটি আধুনিক মানের ল্যাপটপ, শুধু তাই না তার পড়ালেখার খরচ বহন করার ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসনের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।
নাইমা সুলতানা পাখি ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের উলুকান্দা গ্রামের নাদের মাতুব্বর ও সাহিদা বেগম দম্পতির তিন মেয়ের মধ্যে পাখি সবার বড়। গ্রামের স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেছেন পাখি। বর্তমানে ফরিদপুর সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের অনার্স (বাংলা) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
বাবা নাদের মাতুব্বর একসময় পাট-ভুষামালের ব্যবসা করতেন। ১২ বছর আগে ব্রেন স্ট্রোক করে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন তিনি। একেবারেই চলাফেরা করতে পারেন না।
উদ্দীপ্ত এই নাইমা সুলতানা পাখি জানান, ‘বাবা অসুস্থ। সংসারে রোজগারের মতো কেউ নেই। পড়াশোনা তো দূরে থাক ঠিকমতো সংসারই তো চলে না। এরপরও কষ্টের মধ্য দিয়ে পড়া চালিয়ে যাচ্ছি। মানুষ ছোট হলেও আমার স্বপ্নটা বড়। চাই লেখাপড়া করে যোগ্যতা অনুযায়ী সরকারি একটা চাকরি করে পরিবারের হাল ধরতে। বাবা-মা, বোনদের মুখে হাসি ফোটাতে। কারও করুণা কিংবা ভিক্ষা করে নয়, মাথা উঁচু করে বাঁচবো। নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে সমাজের দৃষ্টান্ত হতে চাই।’
জেলা প্রশাসকের এই সহায়তার বিষয়ে পাখি বলেন, আমার পাহাড় সমান স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেবতার মতো হয়ে পাশে দায়িছেন জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান স্যার । তার এই সহযোগিতা হয়তো আমাকে আমার লক্ষে নিয়ে যাবে।
পাখির মা শাহিদা বেগম বলেন, ‘স্বামী অসুস্থ অবস্থায় দীর্ঘদিন ঘরে পড়ে আছে। তিন মেয়ের পড়াশোনাসহ সংসারের যাবতীয় খরচ চালাতে খুবই কষ্ট হয়। পাখির স্বপ্ন পড়াশোনা শেষে ভালো চাকরি করে সংসারের হাল ধরবে। কিন্তু আমাদের সামর্থ্য নেই।
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ জানাই, আমার এই অবহেলিত মেয়েটির পাশে দাড়িয়েছেন।
নাইমা সুলতানা পাখির প্রসঙ্গে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার জানান, পাখির স্বপ্ন ও তার পরিবারের অভাব অনাটনের খবর পাওয়ার পর তাদেরকে অফিসে ডেকে নিয়ে আসি। শুনে আমি হতবাক মেয়েটির স্বপ্ন কত বড়। এত কষ্টের মধ্যেও সে নিজেকে স্বাবলম্বি করতে চায়। এই কারণ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেষ্টা করেছি কিছুটা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে এবং তার পড়ালেখা শেষ হলে যোগ্যতানুযায়ী চাকরি ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে জনপ্রিয় হচ্ছে সূর্যমুখী ফুল চাষ
ফরিদপুরে ২১ দিনব্যাপী জসীম পল্লী মেলা শুরু
ফরিদপুরে জনপ্রিয় হচ্ছে সূর্যমুখী ফুল চাষ
সূর্যমুখীর তেল অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হওয়ায় ফরিদপুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সূর্যমুখী ফুল চাষ। অন্য ফসলের চেয়ে লাভ বেশি হওয়ায় সূর্যমুখী আবাদে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। এছাড়া বৈচিত্র্যময় কৃষির জেলা ফরিদপুরে প্রায় সবধরণের ফসলই উৎপন্ন হয়ে থাকে।
এদিকে গত কয়েক বছর ধরে এখানে বাড়ছে সূর্যমুখী ফুলের চাষ। এছাড়া ফরিদপুরের ৯টি উপজেলায় হচ্ছে এর আবাদ। আর স্বল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে চাষবাদ।
ফরিদপুর বিএডিসির উৎপাদিত বীজ স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। ফরিদপুর বিএডিসির উৎপাদিত বীজ স্থানীয় চাহিদা পুরণ করে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।
আরও পড়ুন: সূর্যমুখীর হাসিতে স্বপ্ন দেখছেন খুলনার কৃষকরা
এদিকে সূর্যমুখী ফুল চাষে সবধরনের সহযোগিতা করার কথা জানালেন বিএডিসি’র কর্মকর্তা।
ফরিদপুরের গঙ্গাবদ্দি এলাকার চাষী হারিজুর রহমান বলেন, অন্য ফসলের চেয়ে খরচ কম, অধিক লাভ হওয়ার কারণে এই ফুলের চাষ করেছি।
আর ফুল দেখতে আসা দর্শনার্থীরা আগামীতে সূর্যমুখী ফুল চাষের আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন জানান, নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে সারিবদ্ধভাবে বীজ বপন করা হয়। বীজ বপনের ৯০ থেকে ১০০ দিনের মধ্যে ফসল তোলা যায়। সামান্য পরিমাণ রাসায়নিক সার ও দু’বার সেচ দিতে হয় এ ফসলে। প্রতি একর জমিতে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়। আর এক একর জমির উৎপাদিত বীজ থেকে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা লাভ করা সম্ভব।
এছাড়া সূর্যমুখী গাছ জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।
ফরিদপুর ডাল ও তৈলবীজ উৎপাদন খামার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মাহমুদুল ইসলাম খান জিয়া জানান, দিন দিন চাষীরা সূর্যমুখী ফুলের চাষাবাদের দিকে ঝুকছে। এই তেলে কোনো কোলেস্টোরেল নেই, যে কারণে চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, এটা অন্য ফসলের চেয়ে স্বল্প জীবনকাল ও লাভজনক। সে কারণেই সূর্যমুখী ফুল চাষ করে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন।
বৈচিত্র্যময় কৃষির জেলা ফরিদপুর। এ জেলায় প্রায় সবধরণের ফসল উৎপন্ন হয়ে থাকে। সে কারণেই ফরিদপুরে শুরু হয়েছে অধিক পুষ্টিগুণসম্পন্ন সূর্যমুখী ফুলের চাষ।
সূর্যমুখীর তেল কোলেস্টেরলমুক্ত ও প্রচুর পরিমাণে প্রাণশক্তি থাকায় সূর্যমুখী তেল আমাদের শরীরের দুর্বলতা কমিয়ে কার্যক্ষমতা বাড়াতে অনন্য ভূমিকা রাখে।
যে কোনো তেলের চাইতে সূর্যমুখী তেল দশগুণ বেশী পুষ্টি সমৃদ্ধ। আর সে কারণেই ফরিদপুরে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে সূর্যমুখী ফুলের চাষ।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে বাড়ছে সূর্যমুখী ফুলের চাষ
মাগুরায় সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের মুখে হাসি
ভাঙ্গায় বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৩
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। রবিবার (২২ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার মনসুরাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর এলাকার বিক্ষুব্ধ জনতা সড়ক অবরোধ করে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেন। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: নবাবগঞ্জে কাভার্ডভ্যান-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১
নিহতরা হলেন- জেলার নগরকান্দা উপজেলার ধর্মদী এলাকার বাকি শেখের ছেলে মাঈন উদ্দিন শেখ (৩৫), নিহত মাঈন উদ্দিনের মেয়ে তাবাসসুম (১০) এবং ভাঙ্গা উপজেলার মাঝারদিয়া এলাকার মিরাজ মাতুব্বরের ছেলে সৌরভ মাতুব্বর (১৬)। তারা তিনজনই মোটরসাইকেলের আরোহী ছিলেন।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) মো. হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়া সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী একটি বাসের সঙ্গে একটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় ঘটনাস্থলে মঈন উদ্দিন ও সৌরভ মাতুব্বর নামের দুজন মারা যান। তাবাসসুম নামের অপর এক শিশুকন্যাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে সে মারা যায়।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পরে সড়ক অবরোধ করে স্থানীয়রা বিক্ষোভ করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে।
আরও পড়ুন: বরিশালে বাস-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে কিশোরীর মৃত্যু
সাজেকে চাঁদের গাড়ি ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পর্যটকের মৃত্যু
ইয়ং টাইগার্স অনূর্ধ্ব-১৬ জাতীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরু
ফরিদপুর শেখ জামাল স্টেডিয়ামে ইয়ং টাইগার্স অনূর্ধ্ব-১৬ জাতীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে।
সোমবার সকাল ৯ টায় শেখ জামাল স্টেডিয়ামে ইয়ং টাইগার্স অনূর্ধ্ব-১৬ জাতীয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতা ঢাকা বিভাগ দক্ষিণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ব্যবস্থাপনায় এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি থেকে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার।
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় ক্রিকেটার আল আমিনের জামিন
বিশেষ অতিথি ছিলেন, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবাহনী ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের সভাপতি শামীম হক।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক আমিনুর রহমান ফরিদ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি মজিবুল হক ফিরোজ, কোষাধক্ষ কাজী গোলাম মহিউদ্দিন তসলিম, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য প্রণব কুমার মুখার্জি, কামরুজ্জামান কামরুল, আজাদ হোসেন, জাভেদ পারভেজ শাহীন, আবাহনী ক্রীড়া চক্রের যুগ্ম সম্পাদক আলী আজগর মানিক।
এরপর টুর্নামেন্টের প্রথম খেলায় গোপালগঞ্জ জেলা দলের মুখোমুখি হন শরীয়তপুর জেলা দল।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপ ক্রিকেট: শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তানের গ্রুপে বাংলাদেশ
গাড়ি দুর্ঘটনায় হাসপাতালে ভর্তি ভারতীয় ক্রিকেটার ঋষভ পন্ত
ফরিদপুরে বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ফরিদপুরে বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলেকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও চার মাসের জেল দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের ১নং আদালতের বিজ্ঞ বিচারক অশোক কুমার দত্ত এই রায় দেন। এসময় আসামি আদালতে হাজির ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মিলন চৌধুরী ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার রামনগর গ্রামের নিহত হারুন অর রশীদ চৌধুরীর ছেলে।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২২ ফেব্র্রুয়ারি আসামি মিলন চৌধুরী তার নামে সম্পত্তি লিখে দিতে বাবা নিহত হারুন অর রশীদ চৌধুরীকে চাপ দেয়। এই নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ছেলে লাঠি দিয়ে বাবাকে মারধর করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাৎ: বিসিআইসির ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট
নিহতের স্ত্রী হালিমন বেগম বাদী হয়ে স্বামী খুনের অভিযোগে ছেলে মিলনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে। দীর্ঘ শুনানী ও স্বাক্ষ্য প্রমাণের পরে বৃহস্পতিবার আদালত অভিযুক্ত আসামির বিরুদ্ধে এই রায় দেন।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১নং আদালতের ভারপ্রাপ্ত এপিপি আমিনুর রহমান বলেন, এই হত্যা মামলায় একজন আসামিকে অভিযুক্ত এজহার দায়ের করা হয়। বাবাকে হত্যার দায়ে দীর্ঘ শুনানী ও স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামি মিলন চৌধুরীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে চার মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।
এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তষ্ট বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ফখরুল ও আব্বাসের হাইকোর্টের দেয়া জামিনের আপিল শুনানি রবিবার
নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: ফখরুল-আব্বাসকে হাইকোর্টে ৬ মাসের জামিন
ফরিদপুরে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত নির্মাণ শ্রমিকের দায়িত্ব নিলেন জেলা প্রশাসক
ফরিদপুর সদর উপজেলায় এক নির্মাণ শ্রমিকের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়ায় তার লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
সালমান মৃধা (১৬) এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়ায় এলাকায় বেশ আলোচনায় এসেছে সে। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালাতে হয় তাকে। সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের ইজা দুর্গাপুর গ্রামের বিল্লাল মৃধার ছেলে সালমানের লেখাপড়ার দায়িত্ব নেয়ার ঘোষণা দেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার।
সালমান এবার ফরিদপুরের ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের ঈশান ইনস্টিটিউশনের কারিগরি শিক্ষা বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে জিপিএ-৫ না পাওয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
জানা গেছে, সালমানের বাবা মো. বিল্লাল মৃধা অন্যের জমিতে কাজ করে যা পান তা দিয়েই কোনোমতে চলে তাদের সংসার। বাবার পাশাপাশি সালমান অন্যের জমিতে কাজও করে। এছাড়াও নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করে সংসারের খরচ বহনের পাশাপাশি চালিয়েছে পড়াশোনা।
সালমান জানান, ‘এসএসসি পাশের পরে উচ্চ মাধ্যমিকের পড়ালেখার খরচ নিয়ে বেশ অনিশ্চয়তায় ছিলাম। আমার সঙ্গে পরিবারের সদস্যরাও চিন্তায় ছিল কীভাবে অভাব মিটবে। হঠাৎ করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় আমার পরিবারের সঙ্গে। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে তার পরিবারের খোঁজখবর নেন এবং তার এই সাফল্যে প্রশাসনের পক্ষে ফুলের শুভেচ্ছা জানানো হয়। এছাড়াও তিনি আমার ও আমার ছোট ভাইয়ের পড়ালেখার ব্যয়ভার বহনের ঘোষণা দেন।’
জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার জানান, ‘সালমানের সাফল্য দেখে বেশ আনন্দিত হই। পরে জানতে পারি তার পরিবার হতদরিদ্র হওয়ায় সালমানের লেখাপড়া করার মতো অর্থিক অবস্থা নেই। পরে তাকে অফিসে এনে তার ইচ্ছার কথা শুনে সালমান ও তার ছোট ভায়ের লেখা পড়ার দায়িত্ব নিয়েছি।’
আরও পড়ুন: পায়ে লিখেই গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেল অদম্য মানিক
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ২১৬ জন
ফরিদপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ২ বাকপ্রতিবন্ধী
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে দুই বাকপ্রতিবন্ধী যুবক নিহত হয়েছেন। রবিবার (১ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার চতুল ইউনিয়নের বাইখীর রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-গুনবহা ইউনিয়নের গুনবহা গ্রামের বাসিন্দা জাকারিয়া (৩৫) ও বোয়ালমারী পৌর সদরের দক্ষিণ কামার গ্রামের বাসিন্দা মির্জু (৩৬)।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ২ দিন পর স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার
স্থানীয় সূত্র জানায়, কালুখালী থেকে ছেড়ে আসা ভাটিয়াপাড়াগামী লোকাল ট্রেনটি উপজেলার চতুল ইউনিয়নের বাইখীর রেলগেট এলাকায় আসছিল। এ সময় ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে দুই বাকপ্রতিবন্ধী যুবক মারা যান।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। রেল পুলিশদের জানানো হয়েছে। তারা এসে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
রাজবাড়ী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ আলম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তারা দু’জনই বাক-প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে ট্রেনের হর্ন শুনতে পাননি।
ফলে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে তাদের মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: এক রশিতে ঝুলছে বাবা-মার লাশ, বিছানায় ঘুমিয়ে সাত মাস বয়সী শিশুকন্যা
পল্লীকবি জসীম উদদীনের ১২০তম জন্মবার্ষিকী আজ
ফরিদপুরে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে পল্লীকবি জসীম উদদীন এর ১২০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হচ্ছে।
রবিবার সকাল ৯ টায় কবির বাড়ির আঙ্গিনায় তার কবরে জেলা প্রশাসন পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর নিজ বাড়ি অম্বিকাপুরে তার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জনাব তাসলিমা আলীর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: সৈয়দ শামসুল হকের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক জনাব মো. কামরুল আহসান তালুকদার পিএএ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার জনাব মো. শাহজাহান,বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল ফয়েজ শাহনেওয়াজ, প্রফেসর মো.শাহজাহান , অধ্যাপক এম এ সামাদ, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের সহযোগী অধ্যাপক রেজভি জামান প্রমুখ।
আলোচনা সভায় উপস্থিত বক্তারা কবির কর্মজীবন ও বাংলা সাহিত্যে তার অবদানের কথা তুলে ধরেন এবং কবির বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
আরও পড়ুন: বাউল কামাল পাশার ১২১তম জন্মবার্ষিকী পালিত
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উদযাপন
ফরিদপুরে পদ্মার চরে ঘুড়ি উৎসবে মানুষের মিলন মেলা
আবহাওয়া ছিল বৈরি, আকাশ ছিলো মেঘাচ্ছন্ন। শীতের তীব্রতা ছিলো বেশ। তবুও উৎসাহে ভাটা পড়েনি ঘুড়ি প্রেমিকদের মনে।
ইংরেজি বছরের শেষ শুক্রবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুড়ি উৎসবে মেতে উঠেন ফরিদপুর সদরের ডিক্রিরচর ইউনিয়নের ধলার মোড় পদ্মা পাড় এলাকার ঘুড়ি প্রেমিকরা। উৎসবটি শেষ হয় সন্ধ্যায় ফানুস উড়িয়ে ও আতশবাজি পুড়িয়ে।‘চলো হারাই শৈশবে’-এ প্রতিপাদ্য নিয়ে এ উৎসবের আয়োজন করে ফরিদপুরের ফেসবুক পেজ ‘ফরিদপুর সিটি’।
এই উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার। উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. শাহজাগান ও পৌর মেয়র অমিতাব বোস।
এ উৎসবে শতাধিক ঘুড়ি উড়ানো হয়েছে আকাশে। এর মধ্যে রয়েছে বাহারি রঙয়ের, বিভিন্ন আকারের ঘুড়ি।
আরও পড়ুন: বড়দিন উদযাপনে পাহাড়ে খ্রিস্টান পল্লীতে উৎসবের আমেজ
ফরিদপুরে এক পৌরসভা ও তিন ইউপি নির্বাচনে নৌকার পরাজয়
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌরসভা ও ওই উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে একটি ইউনিয়ন ছাড়া বাকিগুলোতে নৌকা প্রতীকের পরাজয় হয়।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরামহীনভাবে এ ভোটগ্রহণ চলে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বিএনপির সমাবেশ: মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত
উপজেলা নির্বাচন অফিস জানায়, আলফাডাঙ্গা পৌরসভায় মেয়র পদে নৌকা প্রার্থী সাইফুর রহমান সাইফার পরাজিত হয়েছেন।
এখানে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী আকসাদ ঝন্টু (নারিকেল গাছ প্রতীক)।
এছাড়া তিন ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন আলফাডাঙ্গা উপজেলার ২ নম্বর গোপালপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী খান সাইফুল ইসলাম (চশমা প্রতীক), আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নে সোহরাব হোসেন বুলবুল (নৌকা) ও বুড়াইচ ইউনিয়নে আব্দুল ওহাব পান্নু (আনারস)।
আলফাডাঙ্গা পৌরসভায় মেয়র পদে চারজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৩ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
অন্যদিকে, তিনটি (আলফাডাঙ্গা, গোপালপুর ও বুড়াইচ) ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১৪, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৩৫ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৯৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
আলফাডাঙ্গা পৌরসভা ও তিনটি ইউনিয়নে মোট ৩৬টি ভোট কেন্দ্রের ১৬৮টি ভোটকক্ষে ৫১ হাজার ৫১৯ জন ভোটার ছিলেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পাঁয়তারার অভিযোগ
নির্বাচনের নামে আর খেলা নয়: ফরিদপুরের জনসভায় ফখরুল