যুবলীগ
বঙ্গবন্ধু সকল যুগেই প্রাসঙ্গিক ও সমকালীন: শেখ পরশ
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ শুধু ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতিকেই অনুপ্রাণিত করেছিল তা নয়, বরং এই ভাষণ যুগে যুগে বিশ্বের সকল অবহেলিত, বঞ্চিত ও স্বাধীনতাকামী জাতি-গোষ্ঠীকে অনুপ্রেরণা জোগাতে থাকবে। বঙ্গবন্ধু সকল যুগেই প্রাসঙ্গিক ও সমকালীন।
সোমবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় আগামী ২২ মার্চ বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে ১০টি জেলার প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বিশেষ বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আ.লীগের সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি
শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন-এই মার্চ মাস আমাদের মহান স্বাধীনতার মাস, এ মাসেই ধ্বনিত হয়েছিল স্বাধীনতার অমর বাণী, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ স্বাধীনতা শব্দটি থেকে, বা স্বাধীনতার অর্থ থেকে বঙ্গবন্ধুকে আলাদা করা সম্ভব না। চেষ্টা যে হয় নি তা না। চেষ্টা করা হয়েছিল ১৯৭৫ সালের পর। ২১ বছর আমরা জয় বাংলা বলতে পারি নি। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনতে পারি নি।
তিনি বলেন,বঙ্গবন্ধুর ৫৬ বছর বয়সের ২৩টি বছরই কেটেছে এই স্বাধীনতার সংগ্রামে, জেল খানার সেই নিভৃত কুটিরে। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য এই বঙ্গবন্ধুকেই সপরিবারে শিকার হতে হয়েছিল ইতিহাসের নিকৃষ্টতম হিংস্রতার ও বর্বরতার।
যুবলীগ চেয়ারম্যান ১৭ই মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: মাহাত্মা গান্ধীর অহিংস নীতি ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশ গড়ার আহ্বান পলকের
যুবলীগ-ছাত্রলীগের ৬৩ নেতাকর্মীর বিচার শুরু
রেলওয়ের টেন্ডারবাজিকে কেন্দ্র করে ২০১৩ সালে চট্টগ্রামের সিআরবি এলাকায় চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের ঘটনায় যুবলীগ ছাত্রলীগের ৬৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিন চার্জ গঠন করেন। একই সঙ্গে আগামী ২৫ মে সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারণ করেছেন আদালত। এছাড়া চার্জশিটভুক্ত আসামি অমিত মুহুরি মারা যাওয়ায় তাকে বাদ রেখে বাকিদের বিচার শুরুর আদেশ দেয়া হয়েছে। এসময় কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন এজাহারভুক্ত ৫৪ জন আসামি।
চট্টগ্রাম মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, সিআরবি এলাকায় চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের মামলায় আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে চার্জ গঠন করেছেন আদালত। একইসঙ্গে আদালত আগামী ২৫ মে সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারণ করেছেন।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ: আহত ১
তিনি জানান, অভিযুক্ত ৬৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলায় ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ সময় কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক উপ অর্থবিষয়ক সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, ছাত্রলীগের বহিস্কৃত নেতা সাইফুল আলম লিমন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলমগীর টিপুসহ ৫৪ জন আসামি। আগামী ২৫ মে থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামি সাবেক যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী, সাইফুল আলম লিমন ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপুসহ উপস্থিত আসামিদের অভিযোগ পড়ে শোনান। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পিপিকে মামলার চার্জ গঠনে সহযোগিতা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট কেশব চন্দ্র নাথ, সাব্বির আহমেদ শাকিল ও সাহাব উদ্দিন।
উল্লেখ্য, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ৪৮ লাখ টাকা মূল্যের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ২০১৩ সালের ২৪ জুন যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর এবং ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুল আলম লিমনের অনুসারীদের মধ্যে চট্টগ্রামের সিআরবি এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিতে প্রাণ হারান যুবলীগ কর্মী সাজু পালিত (২৮) ও পথচারী শিশু মোহাম্মদ আরমান (৮)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শহীদ মিনারে ফুল দেয়া নিয়ে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৮
এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার এসআই মহিবুর রহমান বাদী হয়ে বাবর-লিমনসহ ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এই মামলায় বাবর-লিমন দুজনই গ্রেপ্তার হন। পরে তারা জামিনে মুক্তি পান।
২০১৫ সালের নভেম্বরের ৬২ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। সে সময় আসামি পক্ষের নারাজী আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেয়।
পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি দীর্ঘ আড়াই বছর পর পিবিআই নতুন করে দুজনকে যুক্ত করে ৬৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে সম্পূরক চার্জশির্ট দাখিল করে।
কক্সবাজারে বিএনপি-যুবলীগের পাল্টাপাল্টি সমাবেশে প্রশাসনের ১৪৪ ধারা জারি
কক্সবাজার শহরে একই জায়গায় বিএনপি ও যুবলীগের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ডাকায় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। সোমবার ভোর থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত কক্সবাজার শহরের শহীদ মিনার সংলগ্ন ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। বিএনপি অফিস ও শহীদ মিনার পাশাপাশি অবস্থিত।
রবিবার রাতে ১৪৪ ধারা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান। পাল্টাপাল্টি সমাবেশের কারণে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয় বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। রাতে শহরের শহীদ মিনার সংলগ্ন ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারির বিষয়টি মাইকিং করে জেলা প্রশাসন।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে কক্সবাজার শহীদ সরণি সড়কে বিএনপি অফিসের সামনে সোমবার দুপুর ১টায় এই সমাবেশ ডেকেছিল কক্সবাজার জেলা বিএনপি। একই সময় পাশের শহীদ মিনারের সামনে কক্সবাজার জেলা যুবলীগও সমাবেশের ডাক দেয়।
বিএনপির সমাবেশে অংশ নিতে ইতোমধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা কক্সবাজারে পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে পুড়লো আইএমও’র স্বাস্থ্য কেন্দ্র
নারী পর্যটকের জন্য কক্সবাজার সৈকতে বিশেষ জোন
চাঁদার ৫০ হাজার টাকা না পেয়ে কক্সবাজারে পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
বিএনপি-যুবলীগের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ: ফেনীতে ১৪৪ ধারা জারি
বিএনপি-যুবলীগের পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে ঘিরে ফেনীতে বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে ফেনীতে মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে বিএনপি সমাবেশ করার কথা ছিল। ফেনীর সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল হাজারীর মৃত্যুতে ফেনী জেলা বিএনপির পূর্বঘোষিত জনসভা স্থগিত করা হয়েছে। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার সন্ধায় হঠাৎ করেই ওয়াপদা মাঠে বিএনপির সমাবেশস্থলে পাল্টা সমাবেশ ডেকেছে যুবলীগ।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে হামলায় দোকান কর্মচারীর ‘মৃত্যু’
জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান বলেন, উক্ত স্থানে মঙ্গলবার বিএনপির সমাবেশ করার কথা ছিল। অনিবার্যকারণ বশত তা স্থগিত করা হয়। বুধবার একই স্থানে সমাবেশ করতে বিএনপির আবেদনটি পুলিশ বিভাগে পাঠানো হয়। কিন্তু প্রয়োজনীয় তথ্য না পাওয়ায় বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, অন্যদিকে জেলা যুবলীগ উক্ত স্থানে কর্মীসমাবেশের জন্য অনুমতি চায়। একই স্থানে পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ডাকায় পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চিরনিদ্রায় শায়িত জয়নাল হাজারী
আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল হাজারী আর নেই
ভোলায় যুবলীগ নেতা হত্যা মামলার প্রধান আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার
ভোলায় যুবলীগ নেতা খোরশেদ আলম টিটু হত্যা মামলার প্রধান আসামি জামাল উদ্দিন চকেটকে (চকেট জামাল) শুক্রবার রাতে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন চকেট জামালের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ওসি জানান, চকেট জামালকে নিহত যুবলীগ নেতা খোরশেদ আলম টিটু হত্যা মামলার আসামি হিসেবে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি পুলিশের জিম্মায় রয়েছেন। রবিবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ১১ নভেম্বর দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী নাসির উদ্দিন নান্নু ডাক্তার বিজয়ী হন। তিনি বিজয়ী হওয়ার পর ২৬ নভেম্বর নব-নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানের একটি অনুষ্ঠানে তার নেতাকর্মীসহ লোকজন শুক্রবার মদনপুর চরে যায়। দুপুরে দাওয়াত খেয়ে বিকেলে ট্রলার যোগে নাসির উদ্দিন নান্নু ডাক্তার তার কর্মীদের নিয়ে ট্রলারে করে মদনপুর থেকে নাসির মাঝি ঘাটের উদ্দেশে ফিরছিলেন।
আরও পড়ুন: ভোলায় ধান কাটা নিয়ে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ১
নাসির উদ্দিন নান্নু অভিযোগ করেন,এ সময় স্পীডবোট থেকে অস্ত্রধারীরা এলোপাতাড়ি তাদের উদ্দেশে গুলি ছোঁড়ে। এতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হন ধনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলম টিটু। ইউপি চেয়ারম্যান নান্নু অল্পের জন্য বেঁচে যান।
ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী চকেট জামাল গ্রুপ এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেন টিটুর স্বজন ও নান্নু চেয়ারম্যান। এরপর ২৭ নভেম্বর জামাল উদ্দিন চকেটকে প্রধান আসামি করে ১৬ জনের বিরুদ্ধে ভোলা সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের ভাই হানিফ ভুট্ট।
এদিকে খোরশেদ আলম টিটু নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ আবুল বাশার নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। জামাল উদ্দিন চকেটসহ এ নিয়ে টিটু হত্যা মামলায় মোট দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
আরও পড়ুন: ভোলায় যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
ভোলায় বিয়ের আশ্বাসে সৌদি প্রবাসী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
৭২ এর সংবিধানে ফিরে যেতেই হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
যে কোনো মূল্যে ১৯৭২ সালের সংবিধানে ফিরে যেতেই হবে এবং সে জন্য জাতীয় সংসদে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান।
রবিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যুবলীগের উদ্যোগে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ‘প্রিয় বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন, আশ্রয় কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যে কোনো মূল্যে আমাদের ৭২ এর সংবিধানে ফিরে যেতে হবে। বাংলাদেশ কোনো ধর্ম ব্যবসায়ী, মৌলবাদীদের আস্তানা হতে পারে না। আমাদের শরীরে মুক্তিযোদ্ধার রক্ত। যে কোনো মূল্যে আমাদের ৭২ এর সংবিধানে ফিরে যেতেই হবে। বঙ্গবন্ধু যে সংবিধান দিয়ে গেছেন, সেই সংবিধানে ফিরে যাওয়ার জন্য সংসদে কথা বলবো আমরা। কেউ কথা না বললেও আমি মুরাদ সংসদে কথা বলবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিরা তাঁকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, তাদের সেই অপচেষ্টা শতভাগ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। শহীদ শেখ রাসেল আজ বাংলাদেশের শিশু-কিশোর, তরুণ, শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষদের কাছে ভালোবাসার নাম। অবহেলিত,পশ্চাৎপদ,অধিকার বঞ্চিত শিশুদের আলোকিত জীবন গড়ার প্রতীক হয়ে গ্রাম-গঞ্জ-শহর তথা বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ জনপদ-লোকালয়ে শেখ রাসেল আজ এক মানবিক সত্তায় পরিণত হয়েছেন। মানবিক চেতনা সম্পন্ন সব মানুষ শেখ রাসেলের মর্মান্তিক বিয়োগ বেদনাকে হৃদয়ে ধারণ করে বাংলার প্রতিটি শিশু-কিশোর তরুণের মুখে হাসি ফোটাতে আজ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
অনুষ্ঠানের শুরুতে শেখ রাসেলের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যুবলীগের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা ‘প্রিয় বঙ্গবন্ধু’ চিঠির আহ্বান করেন। পরে সারাদেশ থেকে প্রাপ্ত চিঠির সংকলন নিয়ে ‘প্রিয় বঙ্গবন্ধু’ বই এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
আরও পড়ুন: ১৯৭২ এর সংবিধানে ফিরতে শিগগিরই সংসদে বিল পেশ: মুরাদ
সংবিধানের আলোকে নির্বাচন কমিশন গঠনে কাজ হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
সংবিধানের বাইরে যাব না, ধর্মীয় অনুভূতিতেও আঘাত দেব না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
অর্থ পাচার মামলায় ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফের এপিএস গ্রেপ্তার
আলোচিত দুই হাজার কোটি টাকা অর্থ পাচার মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি সাবেক এলজিআরডিমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এপিএস এ এইচ এম ফোয়াদকে গ্রেপ্তার করছে ফরিদপুর জেলা পুলিশ।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) রাতে তাকে ঢাকার বসুন্ধরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলাসহ হামলা, ভাঙচুরের কয়েকটি মামলা রয়েছে।
অর্থ পাচার মামলার আসামি হওয়ার পর পর তাকে ফরিদপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক পদ থেকে অপসারণ করা হয়।
ফরিদুপরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জামাল পাশা বলেন, তিনি দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। এর আগে তাকে ধরতে পুলিশ দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করেছিল।
তিনি বলেন, ফোয়াদ মানি লন্ডারিং মামলাসহ আটটি মামলার আসামি। তার নামে তিনটি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। ফোয়াদকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।
পড়ুন: এস কে সিনহার দুর্নীতি মামলা: ২১ অক্টোবর পর্যন্ত রায় স্থগিত
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত দাবি টিআইবির
দুর্নীতিবাজদের শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
ইউএনও’র নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে চোখ হারালেন আওয়ামী ও যুবলীগের দুই নেতা
বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নির্দেশে নিরাপত্তারক্ষী আনসার সদস্যদের গুলিতে দুইজন আওয়ামী ও যুবলীগ নেতার চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। তারা বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশালের মুলাদী পৌরসভার মেয়র শফিকুজ্জামান রুবেল।
শনিবার বরিশাল ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত বিভাগীয় পৌর মেয়রদের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
শফিকুজ্জামান রুবেল বলেন, বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টায় বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে সিটি করপোরেশনের কর্মীরা নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে বির্বণ, ছেড়া ব্যানার অপসারণ করতে গেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাতে বাধা দেন। এ নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারীদের সাথে বিরোধ দেখা দিলে ২৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনির এবং মহানগর যুবলীগ নেতা তানভীর সেখানে যান। ঘটনার আকস্মিকতায় ইউএনও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর গুলি করলে মনিরুল ইসলাম ও তানভীরের চোখে গুলি লাগে।
তাদের উন্নত চিকিৎসার জন ঢাকায় নেয়া হয় ওই রাতেই। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ দায়িত্বরত চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছেন তাদের দুজনের চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। তারা দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন।
আরওপড়ুন: বরিশালে ২ মামলা, প্রধান আসামি মেয়র
এই ঘটনার সঠিক বিচার চেয়ে মেয়র রুবেল বলেন, যারা অকারণে গুলি করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অন্ধ করে দিয়েছে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা করার দাবি জানাই।
প্রসঙ্গত, বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতে ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে বরিশালে পুলিশ, আনসার ও স্থানীয় ছাত্রলীগ সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই রাতে সদর উপজেলা ইউএন’র সরকারি বাসভবনে হামলা চালায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, শ্রমিক ইউনিয়ন, আওয়ামী লীগ ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা। এ সময় গুলির ঘটনায় আহত হন অনেকে। পুলিশ ও ইউএনও মুনিবুর রহমান বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেছেন। যাতে ৬০২ জনকে আসামি করা হয়েছে এবং মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে করা হয়েছে প্রধান আসামি।
আরও পড়ুন: বরিশালে ইউএনও’র বাসায় হামলার ঘটনায় দুই মামলা
বরিশালে নামছে ১০ প্লাটুন বিজিবি
যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে ব্যারিস্টার সুমনকে অব্যাহতি
সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী এবং স্যোশাল মিডিয়ার অতি পরিচিত মুখ ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রাইব্যুনাল থেকে ব্যারিস্টার সুমনের পদত্যাগ
ব্যারিস্টার সুমন গত বছরের নভেম্বর থেকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের যুব সংগঠন যুবলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ ইউএনবিকে নিশ্চিত করেছেন যে, ব্যারিস্টার সুমনকে শুধু কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে, সংগঠন থেকে নয়।
আরও পড়ুন: ব্যারিস্টার সুমনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন
তবে, কি কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল তা উল্লেখ করেননি তিনি।
সরকারি অফিসে অস্ত্রের মহড়া: আ’লীগ-যুবলীগের ৩ নেতাকে বহিষ্কারের সুপারিশ
পাবনায় গণপূর্ত বিভাগের অফিসে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়ার ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের তিন নেতাকে দল থেকে অব্যহতি ও স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে তাদের বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স স্বাক্ষরিত বুধবার সন্ধ্যায় এক চিঠিতে এই শো-কজ নোটিশ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার
শো-কজ প্রাপ্তরা হলেন, বিলুপ্তকৃত পাবনা পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহসীন রেজা খান মামুন ও পাবনা সদর উপজেলার বিলুপ্তকৃত কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ফারুক হোসেন। একই অভিযোগে পাবনা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ আনোয়ার হোসেন ওরফে শেখ লালুকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে পাবনা জেলা যুবলীগ।
দলের সকল পদ থেকে কেন স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হবে না, তা ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। এই চিঠির অনুলিপি দেয়া হয়েছে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে।
নোটিশের বিষয়ে পাবনা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলী মর্তুজা বিশ্বাস সনি বলেন, ‘গত বুধবার আমরা শেখ লালুকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে কেন্দ্রে পাঠিয়েছি। আজকালের মধ্যে কেন্দ্র বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানাবে।’
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মনির উদ্দিন আহমেদ মান্না জানান, এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপির স্বাক্ষর করা চিঠি শোকজ প্রাপ্ত মহসীন রেজা খান মামুন ও হাজী ফারুকের বাড়ি পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার কাছে ওয়াটসআপ ও কুরিয়ার করে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা আটক নিয়ে চট্টগ্রামে পুলিশ-এলাকাবাসীর সংঘর্ষ, আটক ৩৫
গত ৬ জুন দুপুর ১২টার দিকে অভিযুক্তরা ২৫-৩০ জন সহযোগী নিয়ে সশস্ত্র অবস্থায় পাবনার গণপূর্ত বিভাগের অফিসে ঢুকে মহড়া দেন। ওইদিন অস্ত্র নিয়েই তারা কার্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষে ঘুরেন। ওই সময় তাদের সঙ্গীরা বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন। ১২টা ১২ মিনিটে তারা ফিরে যান। গত ১২ জুন সিসিটিভি ফুটেজে বিষয়টি ভাইরাল হলে শহরে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ তাদের অস্ত্র জব্দ করেন।