শোক
মাউই দ্বীপে দাবানলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞে শোক প্রকাশ করে বাইডেনের কাছে প্রধানমন্ত্রীর চিঠি
যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের মাউই দ্বীপে ভয়াবহ দাবানলের ঘটনায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রাণহানিতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জোসেফ আর. বাইডেনের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি বলেন, ‘হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের মাউই দ্বীপের সর্বত্র ভয়াবহ দাবানলের কারণে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রাণহানির খবরে আমি গভীরভাবে শোকাহত।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে আমি এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে নিহত ও আহতদের পরিবার এবং এতে ক্ষতিগ্রস্ত সকলের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: মাউই দাবানলে প্রাণহানিতে দুঃখ প্রকাশ করে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে চিঠি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ও জনগণের পাশে আছে এবং উদ্ধারকাজে নিয়োজিত সম্মুখসারির যোদ্ধাসহ সকলের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এই মর্মান্তিক ঘটনায় যারা তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন তাদের প্রতি রইলো আমাদের সমবেদনা।
এর আগে মাউই দ্বীপে দাবানলে ব্যাপক প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনায় শোক প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে. ব্লিঙ্কেনকে চিঠি পাঠান।
আরও পড়ুন: মাউই দাবানল: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০১
মাউই দাবানল: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৯
বীর উত্তম সুলতান মাহমুদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল সুলতান মাহমুদ বীর উত্তমের মৃত্যুতে সোমবার গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সুলতান মাহমুদ সেক্টর দুই ও এক সেক্টরের কমান্ডিং অফিসার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কিলো ফ্লাইট অপারেশনের নেতৃত্ব দিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৮ সালে সুলতান মাহমুদ স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
পান্না কায়সারের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক পান্না কায়সারের (৭৩) মৃত্যুতে শুক্রবার (৪ আগস্ট) গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী এক শোক বার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
পান্না কায়সার, শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের স্ত্রী এবং অভিনেত্রী শমী কায়সারের মা।
কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক কায়সার শুক্রবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান।
আরও পড়ুন: পান্না কায়সারের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
অধ্যাপক পান্না কায়সার আর নেই
প্রবীণ সাংবাদিক এম শাহজাহান মিয়ার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
প্রবীণ সাংবাদিক এম শাহজাহান মিয়ার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম শাহজাহান মিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার এক শোক বার্তায় তিনি বলেন, এম শাহজাহান ছিলেন একজন পেশাদার সাংবাদিক। গণমাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিবেদন ও তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে তিনি সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রেখেছেন।
তিনি আরও বলেন যে সাংবাদিক সংগঠনের নেতা হিসেবে সাংবাদিকদের কল্যাণ ও পেশাগত উৎকর্ষ সাধনে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে দেশের গণমাধ্যম এক কৃতি সাংবাদিককে হারালো।
প্রধানমন্ত্রী তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: প্রবীণ সাংবাদিক এম শাহজাহান মিয়া মারা গেছেন
কাজী সাজিদুল হকের মায়ের মৃত্যুতে বিপিজেএ'র শোক
কাজী সাজিদুল হকের মায়ের মৃত্যুতে বিপিজেএ'র শোক
বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিপিজেএ) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ৭১ টিভির জয়েন্ট নিউজ এডিটর কাজী সাজিদুল হকের মা ফাতেমা হকের (৬০) মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিপিপিজেএ।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) ভোরে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)
আরও পড়ুন: শ্রমিক নেতা নিহত হওয়ার ঘটনায় বিজিএমইএ গভীরভাবে শোকাহত
তিনি ডায়াবেটিকসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও অসংখ্য গুণাগ্রহী রেখে গেছেন।
মরহুমার পিতৃভূমি ঝালকাঠিতে তাকে দাফন করা হবে।
কাজী সাজিদুল হকের মায়ের মৃত্যুতে বিপিজেএ'র পক্ষ থেকে সংগঠনের সভাপতি হারুন আল রশীদ ও সাধারণ সম্পাদক নাফিজা দৌলা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
বিপিজেএ'র নেতারা এক শোকবার্তায় ফাতেমা হকের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আগামী দিনের ‘শোকেস’ মন্ত্রণালয়ে পরিণত হতে যাচ্ছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আ’লীগ নেতা আবদুল হকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুর রহমানের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুর রহমান বিশ্বাসের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার এক শোকবার্তায় মরহুম মঞ্জুর রহমান বিশ্বাসের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি।
শোকবার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে মঞ্জুর রহমান বিশ্বাসের বিশেষ অবদান রয়েছে। তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে তার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নে অনেক অবদান রেখেছেন। ব্যক্তি জীবনেও তিনি অত্যন্ত সজ্জন মানুষ ছিলেন। সাধারণ মানুষের কল্যাণে তিনি নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। তার অবদানের কথা মানুষ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।’
আরও পড়ুন: সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর সহধর্মিণীর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
মরহুম মঞ্জুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসসহ বেশ কয়েকটি রোগে আক্রান্ত ছিলেন। কয়েকদিন আগে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মরহুমের গ্রামের বাড়ি পাবনার ঈশ্বরদীতে তাকে দাফন করা হবে বলে জানা গেছে।
সংসদীয় আসন পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) থেকে তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: সংসদ সদস্য আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
বিএনপি রাজধানীতে শোকমিছিল করবে বৃহস্পতিবার
লক্ষ্মীপুরে কৃষকদল নেতাকে হত্যা এবং মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন স্থানে দল ও জোটের শরিকদের পদযাত্রা কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে রাজধানীতে শোকমিছিল করবে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শোকমিছিল বের করবে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
বুধবার উত্তরার আবদুল্লাহপুর থেকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী অভিমুখে দলের দ্বিতীয় দিনের পদযাত্রা শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তাদের এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রখর রোদে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো পদযাত্রা কর্মসূচিতে যোগ দেন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী।
আরও পড়ুন: এখনই ক্ষমতা ছাড়ুন, জনগণ আপনাদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না: ফখরুল
দীর্ঘ পথ হেঁটে নেতা-কর্মীরা সেখানে পৌঁছালে যাত্রাবাড়ীতে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে পদযাত্রা কর্মসূচি শেষ করে দলটি।
অন্যান্য সকল মহানগর ও জেলা শহরেও অনুরূপ কর্মসূচী পালন করে দলটির নেতাকর্মীরা।
বিএনপির পাশাপাশি গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, গণফোরাম অ্যান্ড পিপলস পার্টি, লেবার পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, সমমনা গণতান্ত্রিক পেশাজীবী জোট ও সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্যরা টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বিভিন্ন এলাকায় কর্মসূচি পালন করে।
যাত্রাবাড়ীর জনসভায় আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিএনপি আগামী নির্বাচনে যাবে না। ‘যারা এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবেন তাদেরকে আওয়ামী লীগের সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। দেশের মাটিতে তাদের বিচার হবে।’
তিনি দাবি করেন, বর্তমান সরকারের অধীনে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন না হওয়ায় শুধু বিএনপি নয়, সারা বিশ্ব বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়।
দেশের বিভিন্ন এলাকায় যারা বিরোধী দলের পদযাত্রা কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে এবং লক্ষ্মীপুরে কৃষকদল নেতাকে হত্যা করেছে তাদের একদিন জবাবদিহি করতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছরের রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদেরও বিচার করা হবে।
এর আগে সকাল ১১টা ৫ মিনিটে উত্তরার আবদুল্লাহপুরে পলওয়েল মার্কেটের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে পদযাত্রার উদ্বোধন করেন আব্বাস।
মার্চ শুরু করার আগে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্যে তিনি সতর্ক করেছিলেন যে তাদের দল আর রাজনৈতিক নিপীড়ন সহ্য করবে না। তারা আগামী দিনে উপযুক্ত জবাব দেবে।
আরও পড়ুন: এক দফা আন্দোলন: আবদুল্লাহপুর থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত বিএনপির দ্বিতীয় দিনের পদযাত্রা শুরু
আব্বাস বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার আদায় করবে। আমরা ১৫ বছর ধরে আপনাদের (সরকারের) অত্যাচার সহ্য করেছি। আমরা এটা আর সহ্য করব না। ইনশাআল্লাহ, আপনারা (আ.লীগ) গতকাল সারাদেশে আমাদের ওপর যে নিপীড়ন চালিয়েছেন আমরা তার উপযুক্ত জবাব দেব।’
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধারে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছে। ‘আমাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং আমাদের ভোটের অধিকার উপলব্ধি করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের পদযাত্রায় আপনারা (মিরপুরে) বাংলা কলেজ থেকে যখন ইট-পাথর নিক্ষেপ করলেন আমরা কীভাবে আপনাদের রেহাই দেব? এটা ঘটবে না। আপনাদের বাঁচার দিন শেষ। আমাদের অধিকার রক্ষা করতে হবে বলে অন্য কেউ রেহাই পাবে না।’
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দলের নেতা-কর্মীরা কীভাবে জেলে যেতে হয়, মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে হয় এবং প্রতবন্ধকতাকে মারিয়ে মিছিল করতে হয় তা জানে। ‘আমরা আর আপনাদের অত্যাচার সহ্য করব না, নৃশংসতার জবাব দেব।’
তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা ‘শান্তি মিছিলের’ নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার লক্ষ্মীপুরে আমাদের দলের একজনকে হত্যা করা হয়েছে এবং আপনারা শান্তি মিছিলের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন। আপনারা কেন ঝামেলা তৈরি করতে চান?’
আরও পড়ুন: আর নিপীড়ন সহ্য নয়, উপযুক্ত জবাব দিন: মির্জা আব্বাস
সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে পাল্টা কর্মসূচি না দিতে তিনি ক্ষমতাসীনদের প্রতি আহ্বান জানান।
তাদের দল আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য সংবিধান থেকে এক চুলও নড়বে না আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আব্বাস বলেন, তারাও পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের আগে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন চায়।
এর আগে মঙ্গলবার রাজধানীর গাবতলী থেকে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক পর্যন্ত মিছিল করে। একইভাবে দেশের সব মহানগর ও জেলা শহরেও কর্মসূচি পালন করে নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার দলটির মিছিল সারাদেশে পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ কর্মীদের সঙ্গে সহিংস সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত এবং কয়েক শতাধিক লোক আহত হয়।
রাজধানীর মিরপুরের সরকারি বাংলা কলেজের কাছেও বিএনপির মিছিলে হামলা হয়, যার ফলে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
গত ১২ জুলাই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ‘একদফা’ আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।
এক দফা দাবি আদায়ে প্রথম কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিনি ১৮ ও ১৯ জুলাই দুই দিনের দেশব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপির কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও সংগঠকের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের খ্যাতিমান সংগীতশিল্পী বুলবুল মহলানবীশ এবং রেডিও স্টেশনটির সংগঠক আশফাকুর রহমান খানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।
শুক্রবার এক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, একই দিনে দুই বরেণ্য শিল্পীর মৃত্যু দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের এক অপূরণীয় ক্ষতি। মহান মুক্তিযুদ্ধে তাদের অসামান্য অবদান জাতি কখনো ভুলবে না।
আরও পড়ুন: স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী বুলবুল মহলানবীশ আর নেই
সাহাবুদ্দিন মরহুমদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয়ের ঐতিহাসিক মুহূর্তকে স্মরণীয় করতে রেডিওতে প্রচারিত ‘বিজয় নিশান উড়ছে ওই’ গানটিতে অংশ নিয়েছিলেন বুলবুল।
অন্যদিকে, আশফাকুর যুদ্ধের সময় গোপন রেডিও স্টেশনে প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও সংগঠকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও সংগঠকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংগীতশিল্পী বুলবুল মহলানবীশ এবং প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক আশফাকুর রহমান খানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বুলবুল মহলানবীশ ছিলেন একাধারে একজন কবি, লেখক, সংগীতজ্ঞ, নাটক ও আবৃত্তিশিল্পী এবং টেলিভিশন ও রেডিও শিল্প-সাহিত্যি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উপস্থাপক।
তিনি বলেন, বুলবুল মহলানবীশ ছিলেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অন্যতম পথিকৃৎ।
তিনি আরও বলেন, ‘বুলবুলের মৃত্যুতে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। বিখ্যাত এই শিল্পী তার কাজের মধ্যে দিয়ে দেশবাসীর কাছে বেঁচে থাকবেন।’
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয়ের ঐতিহাসিক মুহূর্তকে উপলক্ষ করে রেডিওতে প্রচারিত ‘বিজয় নিশান উড়ছে ওই’ গানটিতে কণ্ঠ দেওয়া অন্যতম শিল্পী বুলবুল।
বিখ্যাত এই শিল্পী নজরুল সংগীতশিল্পী পরিষদের সহসভাপতি, রবীন্দ্র একাডেমির সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি জাতীয় কবিতা পরিষদ, কচিকাঁচার মেলা, উদীচী, সেক্টরস কমান্ডার ফোরাম এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের মতো আরও অনেক সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও সংগঠকের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
বুলবুল বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে (শুক্রবার ভোরে) ঢাকার বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।
পৃথক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এবং পাকিস্তান সামরিক জান্তার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ১৯৭১ সালের ৮ মার্চ পাকিস্তান রেডিওর ঢাকা স্টেশনে যারা ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ সম্প্রচার করেছিলেন, আশফাকুর রহমান তাদের মধ্যে অন্যতম।
তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক এবং বাংলাদেশ বেতারের সাবেক উপমহাপরিচালক (প্রোগ্রাম)।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকা বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগ দেন তিনি।
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ বর্ণনা ও সম্প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য আশফাকুর রহমান খানকে ২০০১ সালে বাংলাদেশ সরকার স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আশফাকুর রহমান খানের মৃত্যুতে বাংলাদেশ তার এক মহান সন্তানকে হারাল।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই নির্ভীক কণ্ঠসৈনিক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং মহান মুক্তিযোদ্ধাকে তার কাজের জন্য দেশের মানুষ চিরকাল স্মরণ করবে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্কয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আশফাকুর। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
আরও পড়ুন: স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী বুলবুল মহলানবীশ আর নেই
ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আ’লীগ নেতা আবদুল হকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র উপদেষ্টা আবদুল হক সবুজের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন।
সোমবার এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আবদুল হক কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে গতরাতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে মারা যান। তার বয়স ছিল ৬৮ বছর।
আরও পড়ুন: ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর শোক
সবুজকে ৮ জুন কিডনির সমস্যা নিয়ে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয় এবং পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রবিবার তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
সবুজ দুইবার হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হয়েছিলেন।
রাজধানীর শনির আখড়ার একটি মসজিদে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
পরে তার লাশ মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েত নগর ইউনিয়নের কালাই সরদারের চর গ্রামে তার পৈতৃক বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তার নামাজে জানাজা শেষে পিতা-মাতার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম খানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক