কক্সবাজার
কক্সবাজারে কাভার্ডভ্যান ও বাসের সংঘর্ষে নিহত ২
কক্সবাজারের চকরিয়ায় বাস ও কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন।বৃহস্পতিবার (৮ ফ্রেবুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার হারবাংয়ে এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ঈগল পরিবহনের একটি বাস ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ভ্যানে বিআরটিসি বাসের ধাক্কায় নিহত ৪
তিনি বলেন, ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত হন এবং আহত হন আরও চারজন। আহতদের চিকিৎসার জন্য পার্শ্ববর্তী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। তবে নিহত ও আহতদের পরিচয় মিলেনি। তাদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
দুর্ঘটনাকবলিত পরিবহন দুটি জব্দ করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: সিলেটের গোয়াইনঘাটে ট্রাক্টর উল্টে নিহত ২
উখিয়ায় ঘর থেকে ডেকে নিয়ে রোহিঙ্গা যুবককে গুলি করে হত্যা
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জলিল নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৭টার দিকে উখিয়া কুতুপালং ৪নং ক্যাম্পে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত রোহিঙ্গা যুবক ৪নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এফ-১২ ব্লকের বাসিন্দা মোহাম্মদ কামাল হোসেনের পুত্র।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে ২ ইউপিডিএফ সদস্যকে গুলি করে হত্যা
তিনি জানান, রাত ৭টার দিকে উখিয়ার ৪নং ক্যাম্পেরএফ-১২ ব্লকের জলিল নামে এক যুবকে অজ্ঞত কয়েকজন ঘর থেকে ডেকে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যায়। পরে মারধর করে গুলি করে পালিয়ে যায়।
ওসি বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ক্যাম্পের ভেতরের গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গুলি করে হত্যা
যশোরে যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ
কক্সবাজারের হোটেল থেকে পর্যটকের লাশ উদ্ধার
কক্সবাজার শহরের আবাসিক হোটেল সিগালের তৃতীয় তলায় থেকে পুলিশ এক পর্যটকের লাশ উদ্ধার করেছে।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সোয়া ৮টার দিকে কক্সবাজার কলাতলী সুগন্ধা হোটেল সিগালের ৩০৮ নম্বর রুম থেকে লাশটি উদ্ধার করে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
তার নাম মো. গাজী এম শওকত হাসান (৫০)। তিনি কুমিল্লা দুর্গাপুর অশোক তলার মৃত গাজী মোস্তফার ছেলে। এছাড়া তিনি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সিটি ব্যাংকের কর্মচারী বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বন্ধ ঘর থেকে মা-বাবা-মেয়ের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ জানান, হোটেল সিগালের তৃতীয় তলায় তার রুমে গাজী এম শওকত হাসান অসুস্থ অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে ছিলেন।
এ সময় তার সহকর্মী ও হোটেল স্টাফদের সহায়তায় চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি গত ৩০ জানুয়ারি গ্রুপ ট্যুরে কক্সবাজার আসেন।
প্রথামিকভেবে জানা গেছে হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকিবুজ্জামান, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আবুধাবিতে প্রবাসী বাংলাদেশির লাশ উদ্ধার
হবিগঞ্জে একদিনে শিশুসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার
কক্সবাজারে দাদিকে বাঁচাতে গিয়ে নাতি খুন
কক্সবাজার শহরের সমিতি পাড়ায় দাদিকে বাঁচাতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের ছুরির আঘাতে নাতি আলাউদ্দিন (১৭) নিহত হয়েছে।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত কিশোর কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সমিতি পাড়া এলাকার বাসিন্দা ইমরানের পুত্র।
আরও পড়ুন: শিবগঞ্জে বাবার হাতে ছেলে খুনের অভিযোগ
কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আকতার কামাল জানান, নিহত কিশোরের দাদি ছোট্ট একটি চায়ের দোকান করেন। সেখানে স্থানীয় যুবক ফজল করিম, মুমিন চা খান।
চায়ের বিল চাওয়ায় দোকানিকে মারধর করে ছুরির আঘাত করে তারা। এ সময় দাদিকে বাঁচাতে এলে দুর্বৃত্তদের ছুরির আঘাতে নিহত হয় নাতি আলাউদ্দিন। পরে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৩৩ বছর পর খুনের মামলায় দুজনের ফাঁসির আদেশ
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান বলেন, দুর্বৃত্তদের ছুরির আঘাতে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে প্রতিবেশীর ছুরিকাঘাতে যুবক খুনের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২
কক্সবাজারে পাহাড় থেকে বিপুল অস্ত্রসহ ৩ আরসা সদস্য আটক
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন গহীন পাহাড়ে ‘আরসার আস্তানা’য় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে র্যাব। এ সময় আরসার তিন শীর্ষ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- ওসমান, নেছার, ইমান। তারা সবাই আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত বলে র্যাব জানায়।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পেছনের লাল পাহাড় থেকে এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ভোট কেনার টাকা বিতরনের সময় আটক ১
র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
কর্নেল বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব ক্যাম্প ২০ এক্সটেনশনে আরসার অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। কয়েক ঘণ্টা ধরে চালানো অভিযানের একপর্যায়ে সন্দেহজনক আস্তানাটি ঘিরে ফেলে র্যাব সদস্যরা। উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন সন্ত্রাসী পালিয়ে গেলেও তিনজনকে আটক করতে সক্ষম হয়।
এ সময় আস্তানায় তল্লাশি করে দেশীয় তৈরি বন্দুক ও অর্ধশতাধিক গুলিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম পাওয়া যায় বলে জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) সদস্যরা গহীন পাহাড়ে আস্তানাটি গড়ে তুলেছিল। এই আস্তানা ব্যবহার করে তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল।
আরও পড়ুন: রংপুরে বিল পরিশোধ করতে না পারায় নবজাতক বিক্রি, আটক ৩
ভোট কারচুপির অভিযোগে প্রিসাইডিং অফিসারসহ আটক ৩
মহেশখালী ভ্রমণ গাইড: বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপে যাওয়ার উপায়, আনুষঙ্গিক খরচ
দীপাঞ্চল ভ্রমণ মানেই বিচ্ছিন্ন কোনো ভূখণ্ডে সাগর ও আকাশের দিগন্তরেখায় অর্ধচন্দ্র ডিঙি নৌকার মিলিয়ে যেতে দেখা। যেখানে ঢেউয়ের পিঠে চেপে যাযাবর পলিমাটি ঠিকানা খুঁজে পায় প্রাণবন্ত গ্রামগুলোর কাঁচা সৈকতে। বঙ্গোপসাগরের সংস্পর্শে থাকায় সবুজ বাংলাদেশের ভ্রমণকারীরাও পরিচিত এমন দৃশ্যের সঙ্গে। তবে দেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ হওয়ার বিশেষত্বটা মহেশখালীকে আলাদা করেছে আর সব উপকূলবর্তী অঞ্চল থেকে। শুধুই কি পাহাড়ের চূড়া থেকে পাখির চোখে দ্বীপ দর্শন! এখানে আছে দেশের অকৃত্রিম সব সৌন্দর্য্যের উপাদান।
চলুন, বাংলাদেশের এই ল্যান্ডমার্ক দর্শনীয় স্থান মহেশখালী দ্বীপে ভ্রমণের ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
মহেশখালীর ভৌগলিক অবস্থান ও বিশেষত্ব
চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত প্রশাসনিকভাবে স্বীকৃত এক উপজেলা মহেশখালী। ৩৬২ দশমিক ১৮ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই উপজেলাটি মহেশখালী, সোনাদিয়া, মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা- এই চারটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের তিনাপ সাইতার জলপ্রপাত ভ্রমণের উপায় ও খরচ
এর পূর্বে রয়েছে কক্সবাজার সদর ও চকরিয়া উপজেলা এবং পশ্চিমে কুতুবদিয়া উপজেলা ও বঙ্গোপসাগর। উত্তরে চকরিয়া উপজেলা এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর ও কক্সবাজার সদর উপজেলা।
মহেশখালীর নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে মিষ্টি পানের সুখ্যাতি। সেই সঙ্গে চিংড়ি, লবণ ও মুক্তা চাষের জন্যও স্থানটি দেশব্যাপী ব্যাপকভাবে পরিচিত।
১৫৫৯ সালের ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে মূল ভূ-খণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সৃষ্টি হয় মহেশখালী দ্বীপ। এর পাদদেশে প্রবাহিত চ্যানেল এবং পূর্ব প্রান্ত দিয়ে উত্তর দক্ষিণমুখী পাহাড় এখনও সেই সংযুক্তির চিহ্ন বয়ে চলেছে।
জনতা বাজার নামক জায়গাটিতে নতুন নির্মিত হওয়া মহেশখালী সেতু বর্তমানে মূল ভূ-খণ্ডের সঙ্গে দ্বীপের সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করছে।
আরও পড়ুন: মনপুরা দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় এবং আনুষঙ্গিক খরচ
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৩ লাখ ইউরো সহায়তা দিচ্ছে ইইউ
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোর একটিতে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য ৩ লাখ ইউরো বরাদ্দ দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
সাম্প্রতিক অগুনের ঘটনায় শরণার্থী শিবিরের পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে।
ঢাকাস্থ ইইউ দূতাবাস মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের সবচেয়ে জরুরি প্রয়োজনে বিশেষ করে আশ্রয়, তাবু, পানি ও সেখানকার উন্নয়নের জন্য তাৎক্ষণিক জরুরি সহায়তা দিতে কাজে লাগানো হবে এই তহবিল।
এটি জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে এবং অন্যান্য মানবিক অংশীদারদের প্রচেষ্টার সহায়ক হবে।
৭ জানুয়ারি ভোরে সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শিবিরগুলোর মধ্যে ক্যাম্প-৫ -এ ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে প্রায় ৯৫০টি আশ্রয়কেন্দ্র পুড়ে গেছে বা আংশিক ধ্বংস হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ১৫টি শিক্ষাকেন্দ্র, অসংখ্য শৌচাগার ও ওয়াশরুম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ও আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের প্রয়োজনকে অবহেলা করতে পারি না: ইউএসএইড
ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সত্ত্বেও, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তা ও ফায়ার ব্রিগেডের দ্রুত হস্তক্ষেপের কারণে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
যেহেতু ঘনবসতিপূর্ণ শিবিরগুলোতে প্রায়ই আগুন লাগে। এমতাবস্থায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে দুর্যোগ প্রস্তুতি কর্মসূচি মানবিক অংশীদারদের শিবির কাঠামো শক্তিশালী করতে এবং এই জাতীয় ঝুঁকি মোকাবিলায় আরও ভালোভাবে প্রস্তুত হতে সহায়তা করেছে।
নতুন এই বরাদ্দ দেওয়ার আগে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট মোকাবিলায় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব কমাতে গত বছর বাংলাদেশকে মানবিক সহায়তা হিসেবে ৩৮ মিলিয়ন ইউরোর বেশি অর্থ সহায়তা দিয়েছে ইইউ ।
গত মার্চে আরেকটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলে ইইউ ক্ষতিগ্রস্ত শরণার্থীদের সহায়তার জন্য ১০ লাখ ইউরো সহায়তা করেছিল।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, পুড়েছে ৮টি শেড
কক্সবাজারে ট্রেনে কাটা পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার বরইতলী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শাহ আলম ওই উপজেলার পহরচাঁদা গোবিন্দপুর সীমান্তের পশ্চিম পাড়া এলাকার বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজার রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার গোলাম রব্বানী।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. কাদের বলেন, সকাল ৮টার দিকে ওই বৃদ্ধকে রেললাইন ধরে হাটতে দেখে যায়। কিছুক্ষণ পর ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি ওই এলাকা অতিক্রম করে। পরে রেললাইনের পাশে বৃদ্ধের লাশটি পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী কর্তৃপক্ষকে খবর দেন।
গোলাম রাব্বানী জানান, ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যুর বিষয়টি রেলওয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ট্রেনে কাটা পড়ে কৃষকের মৃত্যু
কক্সবাজারে ভোট দিতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ১
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, পুড়েছে ৮টি শেড
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুড়েছে ৮ টি শেড। বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে ক্যাম্প-৫ এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে, হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
উখিয়া ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত ৬ জানুয়ারি ক্যাম্প-৫ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কিন্তু সপ্তাহ না যেতেই একই স্থানের পাশে আবারও আগুন লাগে। খবর পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তার আগেই ৮টি শেড আগুনে পুড়ে যায়।’
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন বলেন, ৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করছে।
এ ঘটনায় কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
কক্সবাজার-ঢাকা রুটে যুক্ত হলো ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’
কক্সবাজার-ঢাকা-কক্সবাজার রুটে যুক্ত হয়েছে নতুন ট্রেন ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’।
বুধবার(১০ জানুয়ারি) বিকাল তিনটার কিছু সময় পর ঢাকা থেকে ৭৮০ জন যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করা ট্রেনটি সাগরপাড়ের দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেলস্টেশনে পৌঁছায়।
আরও পড়ুন: ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ১০ জানুয়ারি থেকে চলবে নতুন ট্রেন 'পর্যটক এক্সপ্রেস'
কক্সবাজার পৌঁছে উচ্ছ্বসিত পর্যটকরা। তুলে ধরেন ট্রেনে চড়ে সাগরপাড়ে আসার অভিজ্ঞতা। কেউ ট্রেনের ব্যবস্থাপনা দেখে অভিভূত, আবার কেউ কেউ বর্ণনা দেন পথে পথে দেখা প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের। আবার কেউ কেউ পরামর্শ দেন ব্যবস্থায় আরও একটু উন্নতি করার।
রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, কক্সবাজারে ট্রেন নিয়ে মানুষ অনেক বেশি উচ্ছ্বসিত। সবাই চায় ট্রেনে করে ঢাকায় যেতে এবং আসতে। তবে আগে একটি মাত্র ট্রেন হওয়ার কারণে টিকেট নিয়ে নানা সংকট হতো। এখন পর্যটক এক্সপ্রেস যুক্ত হওয়াতে টিকেট সংকট কমে যাবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ট্রেনে কাটা পড়ে কৃষকের মৃত্যু
গত ১১ নভেম্বর উদ্বোধনের পর ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় ৭৮০ জন যাত্রী ধারণ ক্ষমতার কক্সবাজার এক্সপ্রেসের। কিন্তু চাহিদা বেশি থাকায় টিকেট সংকটের বিষয় নিয়ে হৈচৈ পড়ে যায়। চাহিদার প্রেক্ষিতে বুধবার থেকে নতুন করে যুক্ত হলো পর্যটক এক্সপ্রেস। এই ট্রেনটিতে যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৭৮০ জন। বিরতিহীন ট্রেনটি ভোরে ঢাকা থেকে ছেড়ে কক্সবাজার পৌঁছে বিকাল ৩ টায়। আবার রাত ৮ টায় ছেড়ে যাবে ঢাকার উদ্দেশ্যে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ভোট দিতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ১