খালেদা জিয়া
ড. ইউনূস-হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দাবি নিক্সনের
পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থ বরাদ্দ বন্ধের ষড়যন্ত্রের জন্য নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস, সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন এবং যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের স্ত্রী চেরি ব্লেয়ারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়েছেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন।
ফরিদপুরের এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমি ড. ইউনূস, হিলারি ক্লিনটন এবং টনি ব্লেয়ারের (চেরি ব্লেয়ার) স্ত্রীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার দাবি জানাচ্ছি, যাতে তারা দেশের বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্র করতে না পারে।’
মঙ্গলবার (২৮ জুন) সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি জানান।
দেশের যারা পদ্মা সেতুর বিরদ্ধে ষড়যন্ত্রে জড়িত তাদের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর বলেন, বাংলাদেশিদের মধ্যে অন্যতম হলেন ড. ইউনূস, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে তারেক জিয়া।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে তথাকথিত দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীর ভাই মজিবুর রহমান চৌধুরীকে দুর্নীতি দমন কমিশন কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে কানাডার আদালতে প্রমাণিত হয়েছে যে এই প্রকল্পে কোনো দুর্নীতির ষড়যন্ত্র ছিল না।
নিক্সন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করে প্রমাণ করেছেন কোনো অপরাধী রেহাই পাবে না।
পড়ুন: ইউনূস সেন্টারের আয়োজনে দ্বাদশ বার্ষিক সামাজিক ব্যবসা সম্মেলন শুরু ২৭ জুন
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ড. ইউনূসকে আমন্ত্রণ
ড. ইউনূসের মামলার কার্যক্রম দুই মাস স্থগিত থাকবে: আপিল বিভাগ
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
হৃদরোগসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতার চিকিৎসার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ১৩ দিন থাকার পর শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজ বাসভবনে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপার্সন হাসপাতাল ত্যাগ করেন এবং সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে তার গুলশানের বাসায় পৌঁছান।
এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিশ্চিত করতে গঠিত মেডিকেল বোর্ড জানায়, দেশে আবারও ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির কারণে অসুস্থ খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নেয়া হয়েছে।
মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার বলেন, ‘ম্যাডাম (খালেদা) এখনও অসুস্থ। তবে তিনি এখন স্থিতিশীল। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যে আমরা তাকে এখন এখানে (হাসপাতালে) রাখতে চাই না। তবে কোনো জটিলতা দেখা দিলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হবে।’
‘রক্তপাতের জটিলতা এখন তার জন্য একটি খুব চ্যালেঞ্জিং বিষয়। যেহেতু তার লিভার সিরোসিস সমস্যা রয়েছে, তিনি এখন রক্তপাতের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। তার কিডনির জটিলতা কাটিয়ে উঠেছে। তবে হৃদপিণ্ডে এখনও দুটি ব্লকেজ রয়েছে।’
প্রফেসর শাহাবুদ্দিন বলেন, খালেদা জিয়াকে বাসায় পূর্ণ নজরদারিতে রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: আ’ লীগ সরকার জনগণের শত্রু হয়ে উঠেছে: ফখরুল
বন্যার্ত মানুষকে অভুক্ত রেখে উৎসব করছে সরকার: অভিযোগ ফখরুলের
মানহানির ২ মামলায় স্থায়ী জামিন পেলেন খালেদা জিয়া
মানহানির অভিযোগে করা দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ দুটি মামলায় তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
পরে কায়সার জানান, রুল নিষ্পত্তি করে খালেদা জিয়াকে এই দুই মামলায় স্থায়ী জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে এ মামলার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি জামিনে থাকবেন।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর আদালতে নালিশি মামলা করেন। দণ্ডবিধির ১৫৩ (ক) ও ২৯৫ (ক) ধারায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন এ বি সিদ্দিকী। ২০১৯ সালে ১৮ জুন এ দুই মামলায় খালেদা জিয়াকে ছয় মাস করে জামিন দেন হাইকোর্ট। সে সময় হাইকোর্ট এ দুটি মামলায় কেন তাকে স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না তা জানতে রুল দিয়েছিলেন। সেই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি করে আজ রায় দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি পিছিয়েছে
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ছে
খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বুধবার করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
খালেদার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ‘ম্যাডামকে (খালেদা) বিকালে সিসিইউ থেকে কেবিনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, তার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একটি দল সিসিইউতে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে দেখতে যান। ‘তারা তখন সিদ্ধান্ত নেয় যে তাকে (খালেদা) কেবিনে রেখে পরবর্তী ফলোআপ চিকিৎসা দেয়া হবে।’
জাহিদ বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনকে যে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে সেখানে হাসপাতালের সিসিইউ এর সব সুযোগ-সুবিধা স্থাপন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে আরও কিছুদিন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে
তিনি বলেন, চিকিৎসকরা তাকে কেবিনে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখবেন এবং তার যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করবেন। ‘মেডিকেল বোর্ড তার অবস্থার ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’
এর আগে সোমবার জাহিদ বলেন, মেডিকেল বোর্ড অসুস্থ খালেদা জিয়াকে আরও কিছু দিন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, শনিবার করোনারি এনজিওগ্রাম পরীক্ষায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের ধমনীতে তিনটি ব্লক পাওয়া গেছে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়ার বাম ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লকের কারণে তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন। ‘ব্লক সরিয়ে সেখানে একটি স্টেন্ট (রিং) বসানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিকালে মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক
বাকি দুটি ব্লকের বিষয়ে জাহিদ বলেন, কিডনি ও লিভারের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা থাকায় তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে চিকিৎসকরা এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।
এর আগে খালেদা জিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে শনিবার ভোরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার বিকালে তার হার্টের মূল ধমনীতে একটি রিং (স্টেন্ট) বসানো হয়।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
খালেদা জিয়াকে আরও কিছুদিন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড অসুস্থ খালেদা জিয়াকে আরও কিছু দিন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক শেষে সোমবার খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ইউএনবিকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ড আজ (সোমবার) ম্যাডামের (খালেদার) সর্বশেষ অবস্থা এবং বিভিন্ন মেডিকেল টেস্ট রিপোর্ট পর্যালোচনা করেছে। তারা তাকে আরও কিছু দিন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
জাহিদ জানান, হাসপাতালের কার্ডিওলজি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের সভাপতিত্বে বৈঠকে মেডিকেল বোর্ডের ১৯ সদস্যের মধ্যে সাতজন উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, শনিবার তার এনজিওগ্রাম করার পর মেডিকেল বোর্ড তাকে ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রেখেছিল। আগামীকাল (মঙ্গলবার) তা শেষ হবে। আগামীকাল বিকাল ৫টায় আবার মেডিকেল বোর্ড বসবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিকালে মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসকরা খালেদাকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন এবং আন্তরিকভাবে তার চিকিৎসা নিশ্চিত করছেন।
তিনি বলেন, বৈঠকে চিকিৎসকরা বিএনপি চেয়ারপার্সনের অবস্থা ও বিভিন্ন রিপোর্ট পর্যালোচনা করে তার পরবর্তী চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
এর আগে রবিবার তিনি বলেন, শনিবার করোনারি এনজিওগ্রাম টেস্টে বিএনপি চেয়ারপার্সনের ধমনীতে তিনটি ব্লক পাওয়া গেছে।
এর আগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়ার বাম ধমনীতে প্রায় ৯৫ শতাংশ ব্লকের কারণে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ‘ব্লক সরিয়ে সেখানে একটি রিং (স্টেন্ট) বসানো হয়েছে।’
আরও দুটি ব্লক সম্পর্কে জাহিদ বলেন, তার কিডনি ও লিভারের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা থাকায় তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে চিকিৎসকরা এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।
এর আগে খালেদা জিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে শনিবার ভোরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শনিবার বিকেলে তার হার্টের মূল ধমনীতে একটি রিং (স্টেন্ট) বসানো হয়।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার হার্টে আরও দুটি ব্লক, ৭২ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে
খালেদা জিয়ার হার্টে রিং বসানো হয়েছে: ফখরুল
জনরোষ এড়াতে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠান: বিএনপি
অসুস্থ খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার দাবি পুর্নব্যক্ত করে বিএনপি বলেছে, চিকিৎসার অভাবে খালেদা জিয়ার খারাপ কিছু হলে জনগণ সরকারকে ক্ষমা করবে না।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য চূড়ান্ত আহ্বান জানাতে চাই। অন্যথায়, আপনাদের অবশ্যই সমস্ত দায়িত্ব কাঁধে নিতে হবে...।’
রবিবার এক সমাবেশে বিএনপি নেতা আরও বলেন, বিদেশে খালেদার উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। অন্যথায়, তার খারাপ কিছু ঘটলে, দেশের মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবে না। তারা আপনাদের ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দেবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার হার্টে আরও দুটি ব্লক, ৭২ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে
বিদেশে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করার দ্রুত পদক্ষেপের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ শাখা। রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে বিএনপির কয়েক হাজার নেতা-কর্মী ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন।
ফখরুল বলেন, সরকার দীর্ঘদিন ধরে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে বাধা দিয়ে আসছে যদিও ক্ষমতাসীন দলের দণ্ডিত নেতারা একই সুযোগ পাচ্ছেন।
খালেদা জিয়ার হার্টে আরও দুটি ব্লক, ৭২ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার হার্টে আরও দুটি ব্লক এবং কিছু জটিলতা থাকায় ৭২ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘শনিবার চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে করোনারি এনজিওগ্রাম করে বিএনপি চেয়ারপার্সনের হার্টে তিনটি ব্লক পাওয়া গেছে। একটাতে এনজিও গ্রামের সঙ্গে সঙ্গে স্টেন্টিং করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘৭২ ঘণ্টা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসকরা তার বর্তমান স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন। তিনি এখন সিসিইউতে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।’
আরও দুটি ব্লক সম্পর্কে জাহিদ বলেন, কিডনি ও লিভারের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা থাকায় ওনার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে চিকিৎসকরা এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।
তিনি বলেন, অন্য দুটি ব্লক অপসারণের জন্য যে ওষুধের প্রয়োজন তা তার কিডনিকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ বলেন, পরিবারের কোনো সদস্য ও বিএনপি নেতাদের এখন তার সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না।
তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সনের দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
পড়ুন: বিদেশে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে আইনি প্রক্রিয়া মানতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এর আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় শনিবার ভোররাতে খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শনিবার বিকালে খালেদা জিয়ার হার্টে একটি রিং পরানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এর আগে এক জরুরি বৈঠকে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক হওয়ায় এভারকেয়ার হাসপাতালে তার চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড এনজিওগ্রাম করার সিদ্ধান্ত নেয়।
তিনি বলেন, হার্ট অ্যাটাকের পর বিএনপি চেয়ারপার্সন শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালত পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিলে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনার কারণে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ না ছাড়ার শর্তে সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
পড়ুন: খালেদা জিয়ার হার্টে রিং বসানো হয়েছে: ফখরুল
ফের হাসপাতালে খালেদা জিয়া
বিদেশে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে আইনি প্রক্রিয়া মানতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসা নিতে চাইলে তাকে আইনি প্রক্রিয়া মানতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
শনিবার রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আদালত নির্দেশ দিয়েছেন খালেদা জিয়া শুধু দেশের মধ্যেই চিকিৎসা নিতে পারবেন। যদি তিনি আরও কিছু চান তবে তাকে অবশ্যই আদালতকে জানাতে হবে এবং আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার হার্টে রিং বসানো হয়েছে: ফখরুল
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পর তার হার্টে শনিবার একটি রিং বসানো হয়েছে।
এর আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় শনিবার ভোররাতে খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালত পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিলে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: হৃদরোগে আক্রান্ত খালেদা জিয়া: মেডিকেল বোর্ড
করোনার কারণে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ শর্ত সাপেক্ষে সাজা স্থগিত করে এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদাকে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয় সরকার। শর্তগুলো হলো- তিনি তার গুলশানের বাসায় থাকবেন এবং দেশ ছাড়তে পারবেন না।
খালেদা জিয়ার হার্টে রিং বসানো হয়েছে: ফখরুল
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পর তার হার্টে রিং বসানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকরা খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করে করোনারি আর্টারিতে ব্লকেজ দেখতে পান। পরে তারা সফলভাবে সেখানে একটি রিং স্থাপন করেছেন।’
শনিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মির্জা ফখরুল।
এর আগে এক জরুরি বৈঠকে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক হওয়ায় এভারকেয়ার হাসপাতালে তার চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড এনজিওগ্রাম করার সিদ্ধান্ত নেয়।
আরও পড়ুন: হৃদরোগে আক্রান্ত খালেদা জিয়া: মেডিকেল বোর্ড
তিনি বলেন, হার্ট অ্যাটাকের পর বিএনপি চেয়ারপার্সন শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, রিং বসানোয় তিনি হার্টের সমস্যা থেকে সাময়িক রিলিফ পাবেন বলে আশা করছেন চিকিৎসকরা।
উন্নত চিকিৎসা নিতে না পারলে খালেদার জীবন ঝুঁকির মুখে পড়বে উল্লেখ করে তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সনের জীবন বাঁচাতে তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার দাবি আবারও জানান।
আরও পড়ুন: খালেদার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি পর্যালোচনায় মেডিকেল বোর্ড
ফখরুল বলেন, ‘অন্যথায় তার সঙ্গে খারাপ কিছু ঘটলে তারা দায়ী থাকবে।’
এর আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় খালেদা জিয়াকে শনিবার ভোরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর নিয়ে বিএনপি মিথ্যাচার করছে: ওবায়দুল কাদের
পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর বেগম জিয়া করেছেন, বিএনপি মহাসচিব স্বপ্নে দেখেই এমন কাল্পনিক বক্তব্য দিয়েছেন বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতারা ইদানীং এমন অনেক দিবাস্বপ্ন দেখছেন, এটিও সেই দিবাস্বপ্নেরই অংশ।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সোমবার সকালে তাঁর বাসভবনে বিএনপি নেতাদের এমন কাল্পনিক বক্তব্যের জবাবে এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর নিয়ে ফখরুল সাহেবের এ বক্তব্য বছরের সেরা আবিষ্কার।
মিথ্যাচার বিএনপির ধর্ম এটা সবাই জানে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তবে দিনে দুপুরে নির্জলা মিথ্যাচারের একটি নতুন রেকর্ড।
মাওয়া ও পদ্মার অপরপ্রান্তে ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেছেন বেগম জিয়া, মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাঁর কাছে জানতে চেয়ে বলেন, কবে, কখন এ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন? নব আবিস্কৃত সেই ভিত্তিপ্রস্তরের ছবি দেখতে চাই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকৃতপক্ষে দেশরত্ন শেখ হাসিনাই ২০০১ সালের ৪ জুলাই পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, যা ইতিহাসের অংশ।
তখনকার গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত এবং এই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তরের ছবিও পত্র- পত্রিকায় প্রকাশিত হয়,যা এখনো সংগৃহিত আছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতারা যা বলছেন তাতে মনে হয় কয়েকদিন পরে হয়তো বলবেন পদ্মা সেতু জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন।
তিনি বলেন, বিএনপির কাজই হলো গোয়েবলসীয় কায়দায় নিরেট মিথ্যাচারকে বারবার উচ্চারণ করে সত্যে রূপদানের অপচেষ্টা মাত্র।
পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপির অতীত ষড়যন্ত্র অব্যাহত মিথ্যাচার এবং গুজব এ সেতুর নির্মাণকে কোনভাবেই বন্ধ করতে পারেনি জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, পদ্মার বুকে দেশরত্ন শেখ হাসিনার সাহসী নিজস্ব অর্থায়নে গৌরবের এবং সক্ষমতার সেতু নির্মিত হওয়ায় বিএনপি নেতারা অন্তর্দহনে দগ্ধ হচ্ছেন।
বিএনপি নিজেরা তো কিছুই করেইনি এখন দেশের উন্নয়নে তাদের গাত্রদাহ হয় দাবি করে সেতুমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুকে ঘিরে তাদের নানান অপপ্রচারের সাথে এখন যুক্ত হলো বেগম জিয়ার ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনের রূপকথার গল্প।
তিনি বলেন, এ গল্প সত্যের অপলাপ ছাড়া আর কিছু নয়।
পড়ুন: পদ্মা সেতু: উদ্বোধনের অপেক্ষায় খুলনাবাসী
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সময় খালেদা জিয়াকে দাওয়াত দিতে আইনি বাধা নেই: আইনমন্ত্রী