গ্রেপ্তার
ডিজিটাল আইনে গ্রেপ্তার জবি শিক্ষার্থী খাদিজার জামিন
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কোবরাকে জামিন দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন। আদালতে খাদিজার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী বি এম ইলিয়াস কচি ও ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম।
আজকের এই আদেশের ফলে খাদিজার মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানান তার আইনজীবী।
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষার্থী খাদিজার জামিন ৪ মাসের জন্য স্থগিত
অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচার এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজাতুল কোবরা এবং অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় পৃথক দুটি মামলা করে পুলিশ।
মামলার পর নিউমার্কেট থানার মামলায় পরিদর্শক (এসআই) খাইরুল ইসলাম বলেন, ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর সকাল ৬টা ২৫ মিনিটের সময় মোবাইলফোনে মেজর (অব.) দেলোয়ারের ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও দেখতে পান। ‘হিউম্যানিটি ফর বাংলাদেশ’ শিরোনামের ভিডিওর সঞ্চালক খাদিজাতুল কোবরার উপস্থাপনায় দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বাংলাদেশের বৈধ গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাতের বিভিন্ন নির্দেশনা দেন। মামলাটি রেকর্ড করা হয় সকাল ৮টা ১০ মিনিটে। মামলার এজাহারের সঙ্গে তিন পাতার স্ক্রিনশট ও ভিডিও–সম্বলিত সিডি সংযুক্ত করা হয়।
এ মামলায় গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারপর থেকেই তিনি কারাগারে আছেন।
একপর্যায়ে দুই মামলায় বিচারিক আদালতে কয়েক দফায় খাদিজার জামিন আবেদন নামঞ্জুর হওয়ার পর গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি খাদিজাতুল কুবরাকে জামিন দেন হাইকোর্ট। তবে পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে হাইকোর্টের জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। চেম্বার আদালতের দেওয়া জামিন স্থগিতের আদেশ বাতিল চেয়ে খাদিজার করা আবেদনের শুনানি চার মাসের জন্য স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রাখার আদেশ দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতির হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগ। অবশেষে চার মাস পর আজ বৃহস্পতিবার খাদিজাকে জামিন দিলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ।
আরও পড়ুন: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী খাদিজার মুক্তির দাবিতে ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ১: বিজিবি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে ১টি পিস্তল, ৩৬ রাউন্ড গুলি ও ২টি ম্যাগজিন জব্দ করা হয়েছে। এ সময় এক যুবককে গ্রেপ্তারের দাবি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার তেলকপি সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
গ্রেপ্তার মাহবুব আলী উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের তেলকুপি লম্বাপাড়া গ্রামের জাবুল হোসেনের ছেলে।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া।
তিনি জানান, অস্ত্র ও গুলি পাচার হচ্ছে এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তেলকুপি সীমান্তের ভোলামারী এলাকায় অভিযান চালায় বিজিবির একটি টহল দল। এ সময় মাহবুব আলীকে ১টি পিস্তল, ৩৬ রাউন্ড গুলি ও ২টি ম্যাগজিনসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বেআইনি গ্রেপ্তার বন্ধ করুন, রাজনৈতিক বন্দীদের অবিলম্বে মুক্তি দিন: এবি পার্টি
সব রাজনৈতিক বন্দির মুক্তি দাবি করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর বিজয় ৭১ চত্বরে দেশব্যাপী অবরোধের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আয়োজিত প্রতীকী অনশনে এ দাবি জানানো হয়।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হকের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ প্রমুখ।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ২৮ অক্টোবরের ঘটনা এই ‘স্বৈরাচারী’ সরকারের পূর্ব পরিকল্পিত নাশকতা।
তিনি বলেন, ‘হাজার হাজার গণতন্ত্রপন্থী কর্মীকে বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করা আসন্ন নির্বাচনকে ক্ষুণ্ন করার একটি সুস্পষ্ট প্রয়াস। বর্তমানে আমাদের কারাগারগুলোয় তিলমাত্র ধারণক্ষমতা নেই, তারপরও প্রতিনিয়ত রাতে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ইসি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার চেষ্টা করলে, জাতি তা প্রত্যাখ্যান করবে এবং এই সাজানো নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের বিশ্বাসঘাতক হিসেবে গণ্য করবে।’
আরও পড়ুন: ইসির সংলাপ প্রত্যাখান করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
গণফোরামের সভাপতির পদ ও সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ড. কামাল
রাজশাহীতে হেরোইন জব্দ, গ্রেপ্তার ১
রাজশাহী নগরী থেকে দু’টি ওয়ান শুটারগান,পাঁচ রাউন্ড গুলি এবং ২০০ গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়েছে। এ সময় পাঁচ মামলার আসামিকে গ্রেপ্তারের দাবি করা হয়েছে।
শনিবার (১১ নভেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে অভিযান চালিয়ে নগরীর চরশ্যামপুর মিজানের মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেপ্তার নয়ন আলী (৪২) চরশ্যামপুর এলাকার জালালের ছেলে।
র্যাব-৫ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চরশ্যামপুর এলাকায় নয়ন আলী বাসায় হেরোইন বিক্রয় করছিল। র্যাবের একটি টিম তার বাসার সবদিক ঘেরাও করলে তিনি বুঝতে পেরে পালানোর চেষ্টা করার সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় নয়ন আলীর বাড়ি তল্লাশি করে শোবার ঘরের খাটের নিচ থেকে ২০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। তার বাড়ির ছাদ থেকে দুটি ওয়ান শুটারগান ও পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, নয়ন আলী রাজশাহীর শীর্ষ একজন সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে এর আগে পাঁচটি মামলা বিভিন্ন থানায় রয়েছে। সে নির্বাচনে নাশকতার উদ্দেশ্যে ও আধিপত্য বিস্তারের জন্য অস্ত্রগুলো তার কাছে রেখেছিল।
নয়নের বিরুদ্ধে রাজশাহী কাটাখালী থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা করা হয়েছে বলেও জানান র্যাব।
রাজনৈতিক সহিংসতা-নাশকতার অভিযোগে গ্রেপ্তার ২৬: র্যাব
দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা, নাশকতা ও সহিংসতার ঘটনায় বিএনপি নেতা-কর্মীসহ ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেপ্তাররা হলেন- বগুড়া সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মিজানুর রহমান, চট্টগ্রাম পাহাড়তলী ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আইয়ুব আলী খান, বগুড়া সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক আব্দুর রহমান সজল ও নওগাঁ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব রুহুল আমিন মুক্তার।
আরও পড়ুন: চমেক হাসপাতাল থেকে ৫ ‘দালাল’ গ্রেপ্তার
র্যাব সদর দপ্তরের মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ইমরান খান জানান, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
২৮ অক্টোবরের হামলা ও নাশকতাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ও নাশকতার অভিযোগে এ পর্যন্ত মোট ৩৫০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার বাসভবন থেকে ১৩ বস্তা সরকারি চাল জব্দ, ভবন সিলগালা
চট্টগ্রামে বিএনপির বিরুদ্ধে ৪৮ মামলা: ৭০০ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার মহাসমাবেশ, হরতাল ও অবরোধকে কেন্দ্র করে গত ১৫ দিনে চট্টগ্রাম মহানগর ও উত্তর দক্ষিণ জেলায় এ পর্যন্ত ৪৮টি মামলায় ৭০০ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মহানগর বিএনপির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর মধ্যে- মহানগরীর ১১ থানায় ১৬ মামলায় গ্রেপ্তার ৩৪০ জন, উত্তর জেলার আওতাধীন বিভিন্ন থানায় ১৯টি মামলায় ১৮০ জন এবং দক্ষিণ জেলার বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে প্রায় ১৮০ জন নেতা-কর্মী।
আরও পড়ুন: রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব গ্রেপ্তার
শনিবার (১১ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. ইদ্রিস আলী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৫ দিনে নগরীতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১৬টি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এসময়ে মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ইকবাল চৌধুরীসহ এ পর্যন্ত ৩৪০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে সদরঘাট থানায় দায়ের করা মামলায় একই পরিবারের চার ভাইকে আসামি করা হয়েছে। তা ছাড়া গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিএনপির আরও ২০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এই ২০ জনসহ এ পর্যন্ত মোট ৩৪০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হলো। এসব মামলায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, যুগ্ম আহ্বায়ক এস কে হুদা তোতন, মো. শাহ আলম, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবুল হাশেম, মনজুর আলম চৌধুরী মঞ্জু ও মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দীপ্তিসহ বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বিভিন্ন থানায় মামলাগুলোর মধ্যে চান্দগাঁও থানায় একটি, পাঁচলাইশ থানায় একটি, বায়েজিদ থানায় ৩টি, আকবর শাহ থানায় ২টি, খুলশী থানায় ৩টি, পাহাড়তলী থানায় একটি, ইপিজেড থানায় একটি, কোতোয়ালি থানায় একটি, হালিশহর থানায় একটি, পতেঙ্গা থানায় একটি ও সদরঘাট থানায় একটিসহ মোট ১৬টি মামলা।
এদিকে উত্তর জেলায় শুক্রবার (১০ নভেম্বর) রাতে হাটহাজারী থানায় দায়ের করা মামলাসহ মোট মামলা হয়েছে ১৯টি। আর গ্রেপ্তার হয়েছেন ২১০ জনেরও অধিক। দক্ষিণ জেলায় ১৩টি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে প্রায় ১৮০ জন নেতা-কর্মী।
এদিকে এক বিবৃতিতে সরকারের পদত্যাগের দাবিতে শান্তিপূর্ণ অবরোধকে কেন্দ্র করে পুলিশের গণগ্রেপ্তার, মামলা ও গণবিরোধী আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রামের বিএনপি নেতারা।
নেতারা আগামীকাল রবিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া বিএনপি'র ডাকা চতুর্থ দফা অবরোধ কর্মসূচি পুলিশের গণগ্রেপ্তার উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করার জন্য চট্টগ্রামবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ ধরনের গণগ্রেপ্তারে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান, মীর মো. নাছির উদ্দীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার, এস এম ফজলুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, চট্টগ্রামে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল সমাবেশের মধ্য দিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে। বিন্দুমাত্র বল প্রয়োগ না করেই ধৈর্য্যের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীরা এ কর্মসূচি সফল করছেন। জনগণ বিএনপির আন্দোলনের সঙ্গে একাত্ম হয়েছে দেখে স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা আগের কায়দায় তাদের পেটোয়া বাহিনী পুলিশকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে। ভূয়া, গায়েবি অভিযোগ তুলে পুলিশের সদস্যরা এখন বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রতিরাতে তল্লাশির নামে হয়রানি করছে, পরিবারের সদস্যদের অকথ্য নির্যাতন করছে। পুলিশের কারণে বিএনপি নেতা-কর্মীরা এখন ঘরে থাকতে পারছে না। পেলেই গ্রেপ্তার করে বিভিন্ন গায়েবি মামলার আসামি করে দিচ্ছে। সক্রিয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি বিএনপির সমর্থকরা পর্যন্ত তাদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না।
গণগ্রেপ্তার ও মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে সিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) স্পিনা রানী প্রামাণিক বলেন, হরতাল অবরোধের নামে যানবাহন ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে সম্পদ নষ্টকারীদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল থেকে যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তাদের স্বীকারোক্তি ও পুলিশের তদন্তে যাদের নাম পাওয়া যাচ্ছে তাদেরকে নাশকতা মামলায় আসামি করছে পুলিশ। কাউকে রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে কোনো অভিযান পরিচালনা কিংবা গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: চমেক হাসপাতাল থেকে ৫ ‘দালাল’ গ্রেপ্তার
রাজনৈতিক সহিংসতা-নাশকতার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩৩ : র্যাব
যশোরে ছুরিকাঘাতে দোকান কর্মচারীকে খুন, ২ যুবক আটক
যশোরে দোকান কর্মচারী ও দশম শ্রেণির ছাত্র রাজিম (১৭) হত্যার ঘটনায় দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার গভীর রাতে শহরের বারান্দি মোল্লাপাড়া ও গাড়িখানা রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- বারান্দি মোল্লাপাড়া এলাকার মোহাম্মদ ইয়াসিন বিশ্বাসের ছেলে মোহাম্মদ পায়েল (১৯) ও একই এলাকার মোহাম্মদ রুস্তম গাজীর ছেলে শিমুল গাজী (২৫)।
আরও পড়ুন: যশোরে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত ১, আহত ২
শনিবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১১টায় র্যাব-৬ সিপিসি-৩ যশোর ক্যাম্পে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-৬ সিপিসি-৩ যশোর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন।
তিনি জানান, রাজিম পড়াশোনার পাশাপাশি যশোরের বড়বাজার চুড়িপট্টি এলাকায় একটি বিপণী বিতানে বিক্রয়কর্মী হিসেবে চাকরি করতেন। বৃহম্পতিবার (৯ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে পায়েল-শিমুলসহ কয়েকজন তাকে দোকান থেকে ডেকে পাশের গলিতে পানের দোকানের সামনে নিয়ে গিয়ে সেখানে ছুরিকাঘাত করে।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় রাজিমের বাবা যশোর কোতয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
ওই ঘটনায় সিসি টিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়। এরপর শুক্রবার রাতে বারান্দি মোল্লাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে পায়েলকে এবং গাড়িখানা রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিমুল গাজীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তাররা জানিয়েছে ইয়ামিন নামে তাদের এক বন্ধুকে রাজিম ও তার বন্ধুরা মিলে ছুরিকাঘাত করে। ওই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে রাজিমের উপর হামলা চালানো হয়েছিল। গ্রেপ্তারদের শনিবার রাজিম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করা হবে।
নিহত রাজিম শহরে ঝুমঝুমপুর এলাকার বাদল খানের ছেলে। তিনি যশোর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
আরও পড়ুন: যশোরে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে কিশোর খুনের অভিযোগ
যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু
চমেক হাসপাতাল থেকে ৫ ‘দালাল’ গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পাঁচ ‘দালাল’কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১১ নভেম্বর) হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজন হলেন- বোয়ালখালী উপজেলার নজরুল ইসলামের ছেলে জুয়েল ইফতেখার শাওন, সীতাকুণ্ড উপজেলার আলী আহমেদের ছেলে আলাউদ্দিন ওরফে মাসুদ, ভোলার লালমোহন থানার মিল্লাত হাওলাদারের ছেলে সজীব হাওলাদার, খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার বাচ্চু মিয়ার ছেলে মো. শামীম ও চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার মুজাফফর আহমেদের ছেলে ওমর ফারুক।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে ইয়াবাসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে এপিবিএন
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়া, বেসরকারি হাসপাতালে রোগীদের পরীক্ষা করতে বাধ্য করা এবং নির্দিষ্ট ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনতে বাধ্য করাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে জড়িত।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল আলম আশেক বলেন, হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সকাল থেকে তারা ওয়ার্ডের চারপাশে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করছিলেন।
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসার ব্যবস্থা করাসহ নানা উদ্ভট প্রতিশ্রুতি দিয়ে রোগীদের নানাভাবে হয়রানি করতেন তারা। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে নগরের পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ১২৩ কারখানায় ভাঙচুর, ২২ মামলায় ৮৮ জন গ্রেপ্তার
সিলেটে বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১২ দিনে ১৭ মামলা, গ্রেপ্তার ৫০
সিলেটে বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১২ দিনে ১৭ মামলা, গ্রেপ্তার ৫০
বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সিলেটে গত ১২ দিনে ১৭টি মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এসব মামলায় ৩৮৬ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে।
এ ছাড়া অজ্ঞতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৬৬০ থেকে ৮১২ জনকে। এসব আমলায় এ পর্যন্ত ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ভাড়া বাসা থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ এসব তথ্য জানিয়েছেন, ২৮ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত নাশকতা ও সহিংসতার অভিযোগে এসব মামলা করা হয়। এই সময়ে সহিংসতায় ১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
আজবাহার আলী শেখ আরও জানান, এই সময়ে হরতাল ও অবরোধ চলাকালে সিলেট মহানগর এলাকায় তিনটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও সাতটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার হওয়া এজাহারভূক্ত আসামি ২১ জন ও অজ্ঞতানামা আসামি ২৯ জন।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর পরদিন দলটি সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে। এরপর এক দিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিন অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হয়।
এরপর শুক্র ও শনিবার বিরতি দিয়ে ৫ ও ৬ নভেম্বর অবরোধ পালন করে বিএনপি। এরপর এক দিনের বিরতি দিয়ে ৮ ও ৯ নভেম্বর অবরোধ দেওয়া হয়।
এরপর শুক্র ও শনিবার বিরতি দিয়ে আগামী রবিবার ও সোমবার আবার অবরোধের ডাক দিয়েছে দলটি।
আরও পড়ুন: সিলেটে ভাড়া নিয়ে তর্কের জেরে চালকের হাতে যাত্রী খুনের অভিযোগ
সিলেটে পুলিশ কর্মকর্তার বাসায় মিলল গৃহকর্মীর লাশ
ঢাকা বিমানবন্দরে ইয়াবাসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে এপিবিএন
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১ হাজার ৭৯০টি ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এক যাত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
আটক মান্নান হোসেন (৩৯) কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার মৃত নুরুল আলমের ছেলে।
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইটে আজ (বৃহস্পতিবার) বিকালে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় অবতরণ করেন মান্নান।
তার সন্দেহজনক গতিবিধির কারণে আর্মড পুলিশ তাকে থামায়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এপিবিএন অফিসে আনা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ৬৮টি স্বর্ণের বার জব্দ, বিমানকর্মী আটক: বিমানবন্দর এপিবিএন
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ইয়াবা বহনের কথা স্বীকার করেন।
পরে ওই ব্যক্তির মলদ্বারের ভেতর থেকে ১ হাজার ৭৯০টি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয় বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
২০২৩ সালের ১১ জুলাই আর্মড পুলিশ বিমানবন্দরে ইয়াবাসহ একই ব্যক্তিকে (মান্নান) আটক করে বিমানবন্দর থানায় মামলা করে। কিন্তু তিনি জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং আজ (বৃহস্পতিবার) আবার গ্রেপ্তার হন।
তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে এক কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণের বার উদ্ধার: এপিবিএন
হারানো ২৭ মোবাইল সেট প্রকৃত মালিকের হাতে তুলে দিয়েছে এপিবিএন