খাদ্যমন্ত্রী
আম রপ্তানি বাড়াতে এফএও’র সহায়তা চান খাদ্যমন্ত্রী
আম রপ্তানি বাড়াতে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সহায়তা চেয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রীর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধি ড. জিয়াওকুন শি খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান। এ সময় এ আহ্বান জানান তিনি।
সাক্ষাৎকালে তারা দেশের খাদ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও দেশের ফলমূলের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকরণ নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিকভাবে মুক্তির মাধ্যমে নারীদের স্বাবলম্বী হতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দানাদার খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ সয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এছাড়া ফলমূল ও সবজি উৎপাদনেও অনেক এগিয়েছে। আমাদের দেশে বছরে প্রায় ২৫ লাখ টন আম উৎপাদন হয়। কিন্তু উৎপাদনের তুলনায় রপ্তানির পরিমাণ অনেক কম। তাই আম রপ্তানি বাড়াতে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সহায়তা কামনা করেন মন্ত্রী।
ড. জিয়াওকুন শি বলেন, সারা বিশ্বে খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার করতে খাদ্য ও কৃষি সংস্থা কাজ করছে। বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে এফএও’র সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
এ সময় খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রশাসন প্রদীপ কুমার দাসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে কৃষকদের ওপর প্রভাব পড়বে না: খাদ্যমন্ত্রী
অর্থনৈতিকভাবে মুক্তির মাধ্যমে নারীদের স্বাবলম্বী হতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
অর্থনৈতিকভাবে মুক্তির মাধ্যমে নারীদের স্বাবলম্বী হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়নের মূল শক্তি তারা নিজেরাই।
শুক্রবার (৮ মার্চ) সকালে সাপাহার উপজেলা অডিটোরিয়ামে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: অবৈধ মজুতদাররা দেশের শত্রু: খাদ্যমন্ত্রী
নারীদের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের মন্ত্রিপরিষদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আটজন নারী রয়েছেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে নয়জন নারী সচিব দায়িত্ব পালন করছেন। সংসদে স্পিকারের দায়িত্বও পালন করছেন একজন নারী।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের দেশে নারীর সংখ্যা অর্ধেক নয় বরং অর্ধেকেরও বেশি। ভোটার তালিকা দেখলে সেটা স্পষ্ট হয়ে যায়।
তিনি বলেন, নারীরা তাদের মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশে নারীদের অগ্রযাত্রার পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু কিছু অশুভ শক্তি নারীদের পিছিয়ে দিতে চায়।
অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় শামিল হতে নারীদের প্রতি আহ্বান জানান খাদ্যমন্ত্রী।
সাপাহারের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন- সাপাহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাহজাহান হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শামসুল আলম শাহ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রেজা সারোয়ার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রশিদ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস সরকার।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন- উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা আমেনা বেগম।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে কৃষকদের ওপর প্রভাব পড়বে না: খাদ্যমন্ত্রী
রমজানে ৫০ লাখ পরিবারকে দেড় লাখ টন চাল দেওয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে কৃষকদের ওপর প্রভাব পড়বে না: খাদ্যমন্ত্রী
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে কৃষকদের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, সরকার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করেন। ভর্তুকি মূল্যেই জমিতে বিদ্যুতের সেচ সুবিধা পায়। ফলে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে কোনো প্রভাব পড়বে না।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে নওগাঁ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মিল মালিকদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এক লাইসেন্সে সব ব্যবসা করতে হবে। ভিন্ন ভিন্ন লাইসেন্সে কোনো ব্যবসা করা যাবে না।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ধান চাল কেনার ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। খাদ্যবান্ধব ডিজিটাল কার্ড দেওয়া হয়েছে। ওএমএস-এ ডিজিটাল করা হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি এর উদ্বোধন করা হবে।
আরও পড়ুন: অবৈধ মজুতদাররা দেশের শত্রু: খাদ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশে খাদ্যের কোনো অভাব নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এই নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কারণ নেই। প্রাকৃতিক দুর্যোগের দিকে লক্ষ্য রেখে বাজেটে গম কেনার যে কথা ছিল সেই আলোকে এরই মধ্যে ৭ দিন আগেই সাড়ে ৩ লাখ মেট্রিক টন গম কেনা হয়েছে। গুজবে কান না দিয়ে একসঙ্গে বেশি চাল না কেনার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিল্টন চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসমাইল হোসেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক (রাজশাহী) জহিরুল ইসলাম খান, নওগাঁ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মুহাম্মদ তানভীর রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: রমজানে ৫০ লাখ পরিবারকে দেড় লাখ টন চাল দেওয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী
রমজানে ৫০ লাখ পরিবারকে দেড় লাখ টন চাল দেওয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় পবিত্র রমজান উপলক্ষে আগামী ১০ মার্চের মধ্যে ৫০ লাখ পরিবারকে দেড় লাখ টন চাল বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
সোমবার (৪ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ১ মার্চ থেকেই চালু করতে (ডিলারদের চাল উঠাতে) করতে বলেছি। আমাদের ১ মার্চ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত একটি সিদ্ধান্ত ছিল। সেটা থেকে কমিয়ে আমরা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ পরিবারের জন্য যে ডিলার আছে তারা ১০ মার্চের মধ্যে দেড় লাখ টন বিতরণ শেষ করবে।
আরও পড়ুন: মিলগেট থেকে খুচরা সব পর্যায়ে চালের দাম কমেছে: খাদ্যমন্ত্রী
এতে বাজারে স্বস্তি ফিরবে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, দেড় লাখ টন চাল যদি বাজারে ১৫ টাকা দরে যায়, তাহলে ৫০ লাখ পরিবারকে তো আর বাজার থেকে চাল কিনতে হবে না। এতে স্বস্তি আসবে বলে মনে করি।
২০ ফেব্রুয়ারি থেকে চালের দাম ও জাত বস্তায় লেখা থাকবে সেটা কার্যকর হয়েছে কি না- জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পরিপত্র জারি করব আর তা কার্যকর করব ১৪ এপ্রিল বা পহেলা বৈশাখ থেকে। তখন বাজারে বোরোর নতুন চাল আসবে।
তিনি বলেন, যেসব চাল এখন বাজারে বস্তাবন্দি আছে এবং সিল মারা আছে সেগুলো এখন আর কেউ প্যাকেট পাল্টাবে না। কাজেই নতুন বছরে বোরো চাল উঠবে তখন থেকে এটা কার্যকর হবে৷
ডিসিদের কাছে হালনাগাদ তথ্য আছে কি না- জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ডিসি-মিল মালিকদের সঙ্গে মিটিং শুরু হয়েছে। ধান ও চালের জাতের যে নমুনা, সেটা তাদেরও সরবরাহ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট সে জাতগুলো দিয়েছে, আউশ, আমন ও বোরোতে কোন কোন জাত, কোনটা মোটা, মাঝারি ও সরু সেই জাত দিয়েছে, সেটা নিয়ে তাদের সঙ্গে কাজ করছি। এছাড়া মজুতবিরোধী অভিযান অনেকাংশেই সফল হয়েছে।
ডিসিদের কাছে আবেদন জানিয়েছি, নির্দেশনা দিয়েছি যাতে বস্তার গায়ে জাতের নাম লেখা নিয়ে যে পরিবর্তন এসেছে, সেটা বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা করে।
আরও পড়ুন: অবৈধ মজুতদাররা দেশের শত্রু: খাদ্যমন্ত্রী
দাম কমানোই অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযানের মূল উদ্দেশ্য নয়: খাদ্যমন্ত্রী
অবৈধ মজুতদাররা দেশের শত্রু: খাদ্যমন্ত্রী
অবৈধ মজুত করে যারা সমস্যা তৈরি করে তাদের দেশের শত্রু বলে অ্যাখ্যায়িত করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
অবৈধ মজুতদাররা বিএনপির দোসর বলেও মন্তব্য করেন খাদ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, তারা শেখ হাসিনাকে উৎখাত করতে চায়, বেকায়দায় ফেলতে চায়।
তিনি বলেন, আমাদের দেশকে রক্ষা করতে হবে। আপনারা যে ভোট দিয়েছেন তার মর্যাদা রক্ষা করতে হবে।
আরও পড়ুন: আইন মেনে ব্যবসা না করলে সরকার কঠোর হবে: খাদ্যমন্ত্রী
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রাধানগরে শীবনদীর উপরে ১৯২ মিটার দীর্ঘ নবনির্মিত সেতুর চলমান কার্যক্রম পরিদর্শন ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের দুই দিন আগে হঠাৎ করে অসৎ ব্যবসায়ীরা চালের দাম ৮/১০ টাকা বাড়িয়ে দেয়। তারা মনে করেছিল অন্য কেউ খাদ্যমন্ত্রী হলে বুঝতে বুঝতে এক মাস পার হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, যখন তারা দেখেছে মন্ত্রী সাধন মজুমদার হয়েছে তখন তারা বেকায়দায় পড়েছে। আমাদেরও বেকায়দায় ফেলেছে। চালের বাজার ঠিক রাখতে জেলায় জেলায় বৈঠক করতে হয়েছে।
মজুতবিরোধী অভিযানও চালাতে হয়েছে বলে উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাস করে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণ সে চেতনার পক্ষে রায় দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছেন।
নিজেকে অসাম্প্রদায়িক চেতনার লোক দাবি করে তিনি বলেন, আমি যেখানে মন্দির করেছি তার পাশে মসজিদও তৈরি করেছি। আমি মানবের সেবা করি-মানব ধর্ম করি।
তিনি বলেন, রাধানগর সেতু রাজশাহী ও নওগাঁ জেলার মধ্য ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে ভূমিকা রাখবে। সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হবে সড়ক যোগাযোগ ক্ষেত্রে। গ্রামের সঙ্গে শহুরের মানুষের যোগাযোগ সহজ ও দ্রুততর হওয়ার ফলে কৃষক সহজেই তার পণ্য বাজারজাত করতে পারবে।
আরও পড়ুন: দাম কমানোই অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযানের মূল উদ্দেশ্য নয়: খাদ্যমন্ত্রী
মিলগেট থেকে খুচরা সব পর্যায়ে চালের দাম কমেছে: খাদ্যমন্ত্রী
দাম কমানোই অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযানের মূল উদ্দেশ্য নয়: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দাম কমানোই অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযানের মূল উদ্দেশ্য নয়। সরকার ধান ও চালের সঠিক ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে চায়।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দিনাজপুরের সদর ও পার্বতীপুর উপজেলায় অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সরকার প্রয়োজনে শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানি করবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে মজুতবিরোধী অভিযান চলছে। আমরা আসি বা না আসি অভিযান থেমে নেই। আমরা এখানে স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে মিটিং করেছি। মিটিংয়ে তারা ওয়াদা করেছে চালের দাম বাড়বে না বরং কমবে।
তিনি আরও বলেন, অনেকেই বেশি লাভের আশায় মাঠে ময়দানে ধান মজুত করে রাখে। আমরা পত্রপত্রিকায় দেখি বস্তায় গাছ গজিয়ে গেছে। আজ এখানে (ইস্পাহানি অটো রাইস মিলে) সেরকম চিত্র দেখতে পেলাম।
আরও পড়ুন: মিলগেট থেকে খুচরা সব পর্যায়ে চালের দাম কমেছে: খাদ্যমন্ত্রী
লোভেরও একটা সীমা থাকা দরকার বলে উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, আমরা কারো অবৈধ মজুত আছে কি না, কেউ কোনো অনিয়ম করছে কি না তা খতিয়ে দেখছি। ইস্পাহানি অটো রাইস মিলে কিছু অনিয়ম ও অবৈধ মজুত রয়েছে বলে আমাদের মনে হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এখানে আছে তাদের আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আইন মেনে ব্যবসা না করলে সরকার কঠোর হবে: খাদ্যমন্ত্রী
মিলগেট থেকে খুচরা সব পর্যায়ে চালের দাম কমেছে: খাদ্যমন্ত্রী
অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযানের ফলে মিলগেট থেকে খুচরা সব পর্যায়ে চালের দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আন্ত:মন্ত্রণালয় সমন্বয় সভায় খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর আইন প্রতিরোধ) আইন ২০২৩ এর বিধি প্রণয়নের কাজ চলছে। খুব শিগগিরই বাস্তবায়ন হবে। এই আইন হলে ছাটাই করে চালের পুষ্টিকর অংশ বাদ দেওয়া বন্ধ হবে। পাশাপাশি বস্তার গায়ে মিলগেটের দাম, ধানের জাত এবং উৎপাদন তারিখ উল্লেখ করতে হবে।
আরও পড়ুন: আইন মেনে ব্যবসা না করলে সরকার কঠোর হবে: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, এখন সকল পর্যায়ে ব্যাবসায়ীদের লাভ করার প্রবণতা খুব বেশি।
খুচরা বিক্রেতা কেজি প্রতি ৪-৫ পাঁচ টাকা লাভ করতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, মিলগেট আর খুচরা বাজারে দামের বিস্তর ফারাক।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আসবেন, আমরা আশা করছি তার আগেই চার পণ্যের শুল্ক কমানো সংক্রান্ত অর্ডার (প্রজ্ঞাপন) হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনা সাধারণ মানুষের কাছে দৃশ্যমান করতে হবে। রমজানের আগে নিত্যপণ্যের সরবরাহ নির্বিঘ্ন করে ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হবে।
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ বলেন, আমরা কৃষি পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ বিষয়ে কাজ করছি। অসৎ ব্যবসায়ীদের কারণে কৃষক যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তা নিশ্চিত করা হবে। বস্তার গায়ে মিলগেট চালের মূল্য লেখা থাকলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুন: সরকার প্রয়োজনে শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানি করবে: খাদ্যমন্ত্রী
দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র এখনও চলছে: খাদ্যমন্ত্রী
আইন মেনে ব্যবসা না করলে সরকার কঠোর হবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, আইনের বাইরে কেউ ধান-চালের ব্যবসা করতে পারবে না এবং আইন না মেনে ব্যবসা করলে সরকার কঠোর হবে।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে করণীয় নির্ধারণে অংশীজনদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ধানের দাম বাড়ার অজুহাতে হঠাৎ চালের দাম বাড়ানোর যুক্তি সঠিক নয়। বাজারে যে চাল আছে, সেটি নতুন কেনা ধানের চাল নয়।
কম দামে কেনা ধানের চাল বেশি দামে বিক্রি করছেন কেন- মিল মালিকদের প্রতি এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি।
তিনি বলেন, মিলগেটের চালের দাম বস্তায় লেখা নিশ্চিত করতে কাজ চলছে। এতে খুচরা ও পাইকারি বাজার মনিটরিং আরও শক্তিশালী হবে।
মন্ত্রী বলেন, মিলাররা কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর দোষ দেয়। কিন্তু তাদের অবৈধভাবে ধান-চাল কিনতে মিলাররাই সহযোগিতা করে। তাদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে প্যাকেট করে চাল সরবরাহ করেন মিলাররাই।
আরও পড়ুন: প্রতিযোগিতা করে ধান কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ঢাকার খুচরা বাজারে অভিযানে গেলে অভিযোগ করে মিলাররা চাল ছাড়ছে না, আর মিলাররা বলছেন তাদের চাল বিক্রি হচ্ছে না।
তিনি বলেন, বাজার বাড়লে বেশি দামে বিক্রি করবেন এটা মেনে নেওয়া হবে না। বাজারে স্বাভাবিক চালের সরবরাহ নিশ্চিত করতে মিলারদের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযান শুরু করেছি আমার নির্বাচনি এলাকা থেকেই। সারাদেশে অভিযান এখন চলছে। আমরা এটি চালিয়ে যাব।
ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. আব্দুল হাই, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান হুসাইনি, অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইমরান জাকারিয়া, ঝিনাইদহ অটোরাইস মিল মালিক সমিতির সভাপতি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন এবং জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযান জোরদার করবে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
সরকার প্রয়োজনে শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানি করবে: খাদ্যমন্ত্রী
সরকার প্রয়োজনে শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানি করবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, চালের বাজার ৯ মাস স্থির ছিল।
তিনি বলেন, করোনা অতিমারিতেও চালের দাম বাড়েনি। এখন বাড়ছে কেন? মিল মালিকদের প্রতি এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিকালে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য সহনশীল রেখে মানুষের সেবা করার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
মন্ত্রী বলেন, ধান চালের মার্কেট নিয়ন্ত্রণ করে কয়েক জেলার ব্যবসায়ীরা। আমরা তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
মিল মালিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিবেক জাগ্রত করুন। বেপরোয়া না হয়ে মানব সেবার ব্রত নিয়ে কাজ করুন।
তিনি বলেন, কৃষক ধানের দাম বেশি পেলে খুশি হতাম। এখন বেশি দামে ধান বিক্রি হলেও কৃষকের লাভ হচ্ছে না। সুবিধা নিচ্ছে মজুতদাররা।
তিনি আরও বলেন, চালের বস্তার দাম কত? তা মিল গেটেই লিখতে হবে। সঙ্গে থাকতে হবে উৎপাদনের তারিখও। নতুন আইন করা হয়েছে। দ্রুত কার্যকর হবে।
এ আইন কার্যকর হলে মিনিকেট নামের কোনো চাল থাকবে না।
আরও পড়ুন: না শোধরালে জেলে যেতে হবে, অবৈধ মজুতদারদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী
দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র এখনও চলছে: খাদ্যমন্ত্রী
না শোধরালে জেলে যেতে হবে, অবৈধ মজুতদারদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী
অবৈধ মজুতদারদের শুধু জরিমানা করেই ছাড় দেওয়া হবে না প্রয়োজনে জেলে যেতে হবে বলে সতর্ক করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে নওগাঁয় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলার কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই হুঁশিয়ারি দেন মন্ত্রী।
দেশের মানুষের সামাজিক অবস্থা পরিবর্তন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে খাদ্যশস্যের কোনো ঘাটতি নেই। সাধারণ মানুষের জন্য আমাদের সরকারিভাবে ওএমএস চালু আছে।
আরও পড়ুন: প্রতিযোগিতা করে ধান কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল কার্ড প্রস্তুত হয়েছে। শিগগিরই ডিজিটাল কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস বিতরণ করা হবে। এতে এক ব্যক্তি বারবার চাল নিতে পারবে না।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে হলে ব্যবসায়ীদের অধিক লাভের মনোভাব পরিবর্তন করতে হবে। চালের দাম বৃদ্ধির পেছনে মিলার, পাইকারি ব্যবসায়ী, খুচরা ব্যবসায়ী ও করপোরেট সকলের দায় আছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ফুড গ্রেইন লাইসেন্স স্পটে গিয়ে দেওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে। অনেকে আবার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটা লাইসেন্স নিয়ে কোটি কোটি টাকার পণ্য মজুত করে ফেলে। এটা তো হতে পারে না।
তিনি বলেন, খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর আইন প্রতিরোধ) আইন ২০২৩ পাস হয়েছে। বিধি প্রণয়নের কাজ চলছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, এটি কেবিনেটে অনুমোদিত হলে অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে আরও শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।
পুনরায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে আস্থা রেখেছেন তা পূরণে সব সময় সচেষ্ট থাকবেন উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এ দায়িত্ব পালনে সকলের সহযোগিতা চাই।
আরও পড়ুন: দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র এখনও চলছে: খাদ্যমন্ত্রী
দ্রব্যমূল্য সহনশীল রেখে মানুষের সেবা করার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর