মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
'সময় শেষ, পদত্যাগ করুন': সরকারের প্রতি ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের পদত্যাগ দাবি করে বলেছেন, তাদের ক্ষমতায় থাকার সময় শেষ হয়েছে।
তিনি বলেন, এখন আর সময় নেই। তাদের সময় শেষ। আমি আগেও এটা পরিষ্কার করে বলেছি এবং আবারও বলছি।‘
শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিকেলে নোয়াখালীর শহীদ বুলু স্টেডিয়ামে সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ' ভালো ছেলের মতো পদত্যাগ করুন । সংসদ ভেঙে দিয়ে একটি নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন তদারকির জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করুন।’
সরকার তা না মানলে রাজপথে আন্দোলনের হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, 'আমাদের নেতা তারেক রহমান প্রশ্ন করেছেন, সিদ্ধান্ত কোথায় নেওয়া হবে?
এ সময় সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা চিৎকার করে বলেন, 'রাস্তায়।'
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার পতনের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে: রিজভী
এ সময় মির্জা ফখরুল সরকার পরিবর্তনের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
দুর্নীতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসেবা খাত ও বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা আমাদের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে এবং এটিকে অবৈধ উপার্জনের স্বর্গে পরিণত করেছে। লুটপাটের মাধ্যমে ব্যাংকগুলো জনগণের সম্পদ কেড়ে নিয়েছে, কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তা ছাড়া, তারা আড়াই শতাংশ প্রণোদনার প্রস্তাব দিয়ে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনার জন্য পরিকল্পনা করেছে।
মির্জা ফখরুল আরোও বলেন, এটা হাস্যকর যে তারা আমাদের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে চোরদের পুরস্কৃত করছে এবং আমাদের পকেট থেকে কেটে নিচ্ছে। এ বিষয় শুধু বিএনপি, খালেদা জিয়া বা তারেক রহমানের সমস্যা নয়, এটি পুরো জাতিকে প্রভাবিত করে। আমরা ভোটাধিকারের সংকট, স্বাধীনতা বিপন্ন এবং ভেঙে পড়া অর্থনীতির মুখোমুখি হয়েছি।
খালেদা জিয়াকে দীর্ঘদিন ধরে আটকে রাখায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, 'গণতন্ত্রের জন্য অবিচল সংগ্রাম করেও তাকে অন্যায়ভাবে আট বছর কারারুদ্ধ করা হয়েছে। নির্বাচিত হলে দেশ পুনর্গঠনের জন্য আমরা ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। আমাদের নেতা তারেক রহমান এই ৩১ দফার মধ্য দিয়ে আমাদের নতুন বাংলাদেশের রূপকল্প উপস্থাপন করেছেন।
বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী কৃষক দল, শ্রমিক দল, মৎস্যজীবী দল, তাঁতী দল ও জাসাসের যৌথ উদ্যোগে শোভাযাত্রাটি দুপুর আড়াইটায় শুরু হয়। দেশের ছয়টি জেলা শহরে এই পাঁচ সংগঠনের পরিকল্পিত কর্মসূচির মধ্যে এই শোভাযাত্রাটি প্রথম।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সুযোগ নেই: কানাডার রাষ্ট্রদূতকে বিএনপি
রাষ্ট্র পুনর্গঠনে বিএনপির ৩১ দফা রূপরেখা ঘোষণা
সরকার পতনে ‘এক দফা’ দাবি ঘোষণা ফখরুলের
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরাতে এক দফা আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন।
এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ১৮ ও ১৯ জুলাই দুই দিনের পদযাত্রা ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ শাখা আয়োজিত এক বিশাল সমাবেশে ফখরুল এ ঘোষণা দেন।
আগামী ১৮ জুলাই এক দফা দাবি আদায়ে সারাদেশের সকল মহানগর ও জেলায় পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে এবং একইদিন ঢাকায় সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত গাবতলী থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত একই কর্মসূচি পালিত হবে।
আগামী ১৯ জুলাই সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উত্তরার আবদুল্লাহপুর থেকে ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক পর্যন্ত একই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
বিএনপি ছাড়াও আরও ৩৬টি সমমনা রাজনৈতিক দল নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে।
সমাবেশে যোগ দিতে বুধবার সকাল থেকেই ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে দলের শীর্ষ নেতাদের ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে মিছিল নিয়ে নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকে বিএনপির নেতাকর্মীরা।
দলের ডাকে সাড়া দিয়ে কেন্দ্রীয় পুলিশের সামনে বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মী ভিড় করেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নয়াপল্টন এলাকায় বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সমাবেশ স্থলে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ঢল
আওয়ামী লীগ স্বৈরাচার ও সামন্তবাদ পছন্দ করে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকারে বিশ্বাস করে না বলেই স্বৈরাচার ও সামন্তবাদ পছন্দ করে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালের ত্রুটিপূর্ণ ও 'একতরফা' নির্বাচন করে দুই দফায় গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে বলেই বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসছে নির্বাচন ও মানবাধিকার নিয়ে কথা বলতে।
মঙ্গলবার দলের দলীয় চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির নারী নেত্রী ও কর্মীদের জন্য এক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের একটি বৈশিষ্ট্যগত সমস্যা আছে। তাহলো তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা একনায়কত্ব ও সামন্ততন্ত্রকে পছন্দ করে। তারা মনে করে যে তারা ছাড়া দেশে আর কেউ নেই এবং তারাই দেশের একমাত্র মালিক।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, এটা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক যে দেশে গণতন্ত্র নেই এবং রাজনৈতিক দলগুলোর গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস হয়ে গেছে।
তিনি প্রশ্ন করেন, বিএনপি ছাড়া পৃথিবীতে এমন আর কোনো গণতান্ত্রিক দল আছে কি, যে দলটির ৪০ লাখ নেতা-কর্মী মিথ্যা রাজনৈতিক মামলার সম্মুখীন। দলীয় প্রধানকে মিথ্যা অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং দলের সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকার নির্বাচনকে ‘ফ্যাসিজম’ প্রতিষ্ঠার অস্ত্র হিসেবে নিয়েছে: ফখরুল
একটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ফখরুল অভিযোগ করেন,
দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোর বিচার দ্রুত করার চেষ্টা করছে সরকার।
তিনি বলেন, ‘তারা পুলিশ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে, এমনকি আইন মন্ত্রণালয় বিচারকদের কাছেও একটি চিঠি দিয়েছে; যাতে দ্রুত বিচার এবং মামলা নিষ্পত্তি করা হয়। শাসকরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই এটা করছে। তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায় এবং তারা অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে সম্মান ও গ্রাহ্য করে না।’
ফখরুল বলেন, দখলদার সরকার জোর করে জনগণকে সম্পূর্ণভাবে প্রতারিত করে দুটি নির্বাচন করায় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
তিনি বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন গণতান্ত্রিক চর্চাকে সমুন্নত রাখার মূল উপাদান। কিন্তু এদেশের শাসকরা গণতন্ত্রের কথা বললেও নিজেরা কখনোই তা চর্চা করেন না।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি দলের ঘন ঘন সফর নিয়ে এখন অনেক আলোচনা হচ্ছে।
ফখরুল বলেন,‘আজ (মঙ্গলবার) একটি আমেরিকান প্রতিনিধি দল আসছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি দল ইতোমধ্যে মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও নির্বাচন সম্পর্কে জানতে দেশে এসেছে। তারা বাংলাদেশে কেন আসে? কারণ এখানে কোনো গণতন্ত্র নেই এবং কোনো (বিশ্বাসযোগ্য) নির্বাচন নেই এবং এখানে নির্বাচন (সুষ্ঠুভাবে) হয় না।’
তিনি বলেন, একটি ভালো নির্বাচনের জন্য সব রাজনৈতিক দলের সমান সুযোগ থাকা দরকার। কিন্তু সরকার বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, জেল, হত্যা, মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দমন করার চেষ্টা করে তখন তা (সুষ্ঠু নির্বাচন) নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: বিএনপির বুধবারের সমাবেশ থেকে বড় প্রত্যাশা ফখরুলের
শিগগিরই ৩৬টি দল একসঙ্গে সরকার পতনের যৌথ কর্মসূচি ঘোষণা করবে: বুলু
সরকার ‘পেগাসাস’ স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে বিরোধী দলের নেতাদের স্মার্টফোন হ্যাক করছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার বিরোধীদের দমন করতে ‘পেগাসাস’ স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে বিরোধী দলের নেতাদের স্মার্টফোন হ্যাক করছে।
শনিবার এক আলোচনা সভায় তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে এবং বিরোধী দলগুলোর অংশগ্রহণ ছাড়াই পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সম্পূর্ণরূপে বিরাজনীতিকরণের চেষ্টার অভিযোগও করেন।
বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘আপনার পকেটে থাকা টেলিফোন (সেলফোন) এখন আপনার সবচেয়ে বড় শত্রু।’
তিনি অভিযোগ করেন যে সরকার পেগাসাস স্পাইওয়্যার দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করেছে, কারণ এই প্রযুক্তি সরকারকে সেলফোনের মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তির টেলিফোনিক কথোপকথন, এসএমএস এবং অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করতে সহায়তা করছে।
আরও পড়ুন: এক দফা আন্দোলনের সফলতা নিয়ে আশাবাদী ফখরুল
ফখরুল বলেন, ‘তারা এখন বিরোধী দলকে দমন করতে এবং ভিন্নমত দূর করতে বিরোধী দলের নেতাদের টেলিফোন হ্যাক করছে। এটা কোনো গণতান্ত্রিক দেশে ঘটতে পারে না...আমার গোপনীয়তা, রাজনীতি ও গণতন্ত্র আমার অধিকার। গণতন্ত্র অনুযায়ী সরকার চাইলেই আমার সব অধিকার কেড়ে নিতে পারে না।’
ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ফখরুল অভিযোগ করেন, সরকার বিরোধী দলকে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরাতে অতীতের মতো রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে তাদের নানা চক্রান্ত বাস্তবায়ন শুরু করেছে।
প্লটের অংশ হিসেবে বিএনপি নেতা বলেন, আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০১৩ সাল থেকে দায়ের করা রাজনৈতিক মামলাগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে এবং দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং বিচারকদের চিঠি দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে দেশকে সম্পূর্ণরূপে বিরাজনীতিকরণ এবং বিরোধী দলগুলোর অংশগ্রহণ ছাড়াই একটি একতরফা নির্বাচন করার লক্ষ্য প্রকাশিত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচনে গিয়ে তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে পারে না।’
আরও পড়ুন: ভোটচোরের নেতৃত্বে বাংলাদেশে আর কোনো ভোট হবে না: শিমুল বিশ্বাস
বিএনপি নেতা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কোনো দলের কাছে দেশকে ইজারা দেয়নি।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সঙ্গে কোনো সমঝোতার কোনো মানে নেই, কারণ এটা আবারও জনগণকে বোকা বানাবে। ‘গণতান্ত্রিক রীতি অনুযায়ী কিছু আলোচনা হতে পারে, কিন্তু সরকার গণতন্ত্র ও অন্যের অধিকারে বিশ্বাস করে না বলে আমরা কার সঙ্গে আলোচনা করব।’
ফখরুল বলেন, তারা আওয়ামী লীগ সরকারকে বিশ্বাস করে ২০১৮ সালে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন, কিন্তু জনগণের সামনে তাদের বোকা বানানো হয়েছে। ‘সুতরাং, এটা নিয়ে কোনো প্রশ্নই আসে না (আ.লীগের সঙ্গে আলোচনা)।’
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি না মেনে ক্ষমতা ছাড়ার আগ পর্যন্ত সংলাপ নয়: ফখরুল
তিনি বলেন, সরকার বিরোধী দলগুলোকে নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা দিতে এবং বিরোধী দলের নেতাদের নির্বাচনে অযোগ্য করে ফেলার চেষ্টা করছে। ‘তবে জনগণ এবার জেগে উঠেছে এবং তারা সরকারের অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাজপথে আসছে।’
তিনি বলেন, অধিকাংশ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল এখন এক বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ যে আগামী নির্বাচন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে এবং বর্তমান সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। ‘এই শাসন ব্যবস্থা সাংবিধানিকভাবে অবৈধ এবং এর অধীনে আরেকটি নির্বাচন করে জনগণের আশা, আকাঙ্খা ও স্বপ্ন ধ্বংস করার কোনো অধিকার নেই।’
রাজধানীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করেন।
পদত্যাগ ছাড়া সরকারের আর কোনো বিকল্প নেই: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান ঘটিয়ে বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন করতে সরকারের পদত্যাগ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য খুবই স্পষ্ট... অবিলম্বে পদত্যাগ করুন এবং সংসদ ভেঙে দিন। অযথা সময় নিলে দেশ ও জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
সোমবার এক সরকারবিরোধী সমাবেশে ফখরুল এসব কথা বলেন।
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ নিতে বর্তমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, ‘এটাই একমাত্র উপায়, অন্য কোনো উপায় নেই। সুতরাং, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি করুন। অন্যথায়, আপনাদের পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না। আপনাদের সময় শেষ।’
আরও পড়ুন: ক্ষমতাসীনদের স্বার্থ রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে: রিজভী
চলমান আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করে তাদের দল সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন ফখরুল।
বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও দমন-পীড়ন অব্যাহত রাখার জন্য তিনি সরকারের সমালোচনা করেন।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘গত এক মাসে আমাদের ৩৮৬ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে… কাজেই এই সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নেই।’
তিনি বর্তমান সরকারকে রাজপথে পরাজিত করতে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের আরও ত্যাগ স্বীকারের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান।
বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখাসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
দল ও এর বিভিন্ন ফ্রন্ট সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মী কর্মসূচিতে যোগদান করে এবং একটি মিছিল বের করে যা কাকরাইল ও শান্তিনগর মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মঞ্চ-অভিনীত নির্বাচন, দমনমূলক কর্মকাণ্ড এবং দলীয় প্রধান খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে ক্ষমতায় এসেছে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। ‘তারা (জনগণ) সেই নির্বাচনে ভোট দিতে চায়। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। এটা প্রমাণিত হয়েছে যে হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে এবং তার দল সরকারে থাকলে কোনো নির্বাচনই গ্রহণযোগ্য হবে না।’
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাস্তবায়নে ‘এক দফা’ আন্দোলনের ধরন ভিন্ন রকম হবে: ফখরুল
সরকারের নিষ্ক্রিয়তায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক: বিএনপি
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাস্তবায়নে ‘এক দফা’ আন্দোলনের ধরন ভিন্ন রকম হবে: ফখরুল
সরকার পদত্যাগের এক দফা আন্দোলনের ধরন ‘ভিন্ন রকম’ হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি মানতে বাধ্য হবে, কারণ তাদের দল জনগণকে সম্পৃক্ত করে ‘ভিন্ন রকম’ আন্দোলন করতে যাচ্ছে।
শনিবার দলীয় চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসময় তিনি আশ্বস্ত করেন যে তারা রাস্তায় সহিংসতা এড়াতে হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন না।
এই বিএনপি নেতা বলেন, নিঃসন্দেহে আগের আন্দোলন থেকে কিছুটা ভিন্ন হবে এবং জনগণের সম্পৃক্ততাও বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, ‘সেটা নিসন্দেহে গত আন্দোলনগুলোর চাইতে ধরনও হবে একটু ভিন্ন এবং জনগনের সম্পৃক্ততাও বাড়বে। একটা ব্যাপারে আমরা নিশ্চয়তা দিতে পারি যে, আমাদের এই আন্দোলন প্রথম থেকেই যেটা শুরু করেছি সেটা হচ্ছে যে জনগণকে সম্পৃক্ত করে আন্দোলন। এই আন্দোলনে জনগনের অনেক বেশি সম্পৃক্ততা আসবে। আমি বিশ্বাস করি যে এই আন্দোলনের মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে সরকার বাধ্য হবে নতি স্বীকার করে পদত্যাগ করে একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে।’
আরও পড়ুন: আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, হাসিনার সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেব না: মির্জা ফখরুল
আরেক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছি, আমরা হরতাল-অবরোধের মতো কোনো কর্মসূচিতে সচেতনভাবে চাচ্ছি না। আমাদের ভায়োলেন্সে যাওয়া প্রশ্নই উঠতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘সরকার যদি কোনোভাবে ওইসব দিকে ঠেলে দেয় তা সরকারের দায়। শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনটা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনে আমরা চূড়ান্ত পর্যায়ে যেতে চাই।’
ফখরুল বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, সরকার শেষ পর্যন্ত নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের জন্য পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে।
তিনি দাবি করেন, বিভিন্ন শহর ও জেলায় তাদের দলের সাম্প্রতিক যুব সমাবেশ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘সামনে আমাদের পদযাত্রার কর্মসূচি শুরু হবে। আমরা আশা করি যে এক দফাতে আমরা আন্দোলন শুরু করব।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের যে ১০ দফা, অন্যান্য যুগপত আন্দোলনকারী দলগুলো আছে তাদের দফাগুলো মিলিয়ে একটা দফায় আন্দোলনে যাবো…সেটা হচ্ছে যে, এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করা, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং নতুন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠান… এগুলোকে নিয়ে আমরা একটা জায়গায় আসছি… সেটা হচ্ছে যে, মূলত এই সরকারের পদত্যাগ।’
নতুন ধরনের আন্দোলনের ধরন সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা বলেন, হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি তারা সচেতনভাবে এড়িয়ে যাচ্ছেন।
ঈদুল আজহা উদযাপন শেষে নিজ জেলা ঠাকুরগাঁও থেকে বিকালে ঢাকায় ফিরে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয়ে কথা বলেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: পতনের আশঙ্কায় সরকার দমন-পীড়নের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে: মির্জা আব্বাস
‘শিগগিরই’ বিএনপি এক দফা আন্দোলন শুরু করবে: ফখরুল
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আ.লীগ সরকারকে অপসারণের কোনো বিকল্প নেই: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে ‘অবৈধ’ আওয়ামী লীগ সরকারকে অপসারণের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, ‘আমরা বলতে চাই বর্তমান অবৈধ সরকারকে আমরা মানি না। এটি সংবিধান অনুযায়ী বৈধ সরকার নয়।’
শনিবার বিকালে বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে (বেলস্ পার্ক) বিএনপির তিনটি সহযোগী সংগঠন- যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল আয়োজিত বরিশাল বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথীর বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন আয়োজন করাসহ বিরোধী দলের ১০ দফা দাবিতে তরুণদের সমর্থন জোগাতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এসময় বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, তাদের দল শেখ হাসিনার শাসনামলে নয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন চায়। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
জনগণের আশা-আকাঙ্খা অনুযায়ী নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সংসদ ভেঙে দেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা ও পিরোজপুর থেকে তিনটি সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সমাবেশে যোগ দেন।
ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র ও দেশের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারে শক্তিশালী আন্দোলন প্রয়োজন।
তিনি বিরোধী দলের চলমান আন্দোলনকে সফল করতে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘তরুণদের জেগে উঠতে হবে এবং ফ্যাসিবাদী ও অবৈধ শাসনকে পরাস্ত করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের অবশ্যই বিজয়ী হতে হবে এবং সত্যিকার অর্থে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সুইজারল্যান্ড সফর ‘অত্যন্ত রহস্যময়’: রিজভী
বিএনপি নেতাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, নির্বাচনে যেতে চাপ দেওয়া হচ্ছে: ফখরুল
দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে নির্বাচনে যেতে ‘সক্রিয়’ নেতাদের গোয়েন্দারা ‘হুমকি’ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আমাদের যারা এক্টিভ পলিটিক্স এবং ইলেকশন করছেন বা করবেন… এই ধরনের নেতৃবৃন্দকে গোয়েন্দা তুলে নিয়ে যাচ্ছে এবং তাদেরকে বলা হচ্ছে যে, তোমরা নির্বাচন করবা যদি বিএনপি নির্বাচন না করে তাও।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।
এসময় ফখরুল বলেন, ‘আমি আপনাদেরকে (গণমাধ্যম) আজকে প্রকাশ্যেই বললাম। আই হেভ লট অব লিডারস যারা এ অভিযোগ করেছে। আমরা কোন দেশে বাস করছি? একটা মধ্যযুগীয় বর্বর যুগে আমরা বাস করছি। এই সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য এমন কোনো হেন কোনো অন্যায় নাই যে তারা করছে না।’
‘ওরা দেশের ভূ-রাজনীতিকে ক্ষতিগ্রস্থ করছে’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কি রকম মরিয়া হয়ে গেছে যে, দেশের ক্ষতি করতেও তারা দ্বিধা করছে না। জানে যে, এই দেশের যে অবস্থা সেই দেশের আজকে অন্যান্য দেশ সম্পর্কে তারা যে কমেন্টস করছে, যে কথাগুলো বলছে এটা আমাদের দেশের ভূ-রাজনীতি ক্ষতিস্ত হতে পারে এবং আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি ইতোমধ্যে।’
তিনি বলেন, ‘এই ধরনের কথা-বার্তাগুলো কোনো দায়িত্বহীন নেতা বলতে পারেন, বিশেষ করে সরকার চালাচ্ছেন যিনি তিনি বলতে পারেন… এটা আমরা কল্পনা করতে পারি না। যারা আমরা সুস্থ রাজনীতিতে বিশ্বাস করি আমরা মনে করি যে, তাদের মধ্যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তারা পরিস্কার বুঝতে পেরেছেন এবং আগে থেকেই বুঝতে পেরেছেন যে তাদেরকে জনগণ আর গ্রহণ করবে না। তাই কোনোভাবেই তারা নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা শুনছেন না, একেবারে ওদিকে যাচ্ছেনই না।’
আরও পড়ুন: সেন্ট মার্টিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য রাজনৈতিক কৌশল ছাড়া কিছুই নয়: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘তাদের একটাই কথা হচ্ছে যে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে সেই সংবিধান কে কাটাছেড়া করেছে? সেই সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হলে তো অবশ্যই এয়োদশ সংশোধনীতে যে কেয়ারটেকার সরকার ছিলো সেটাই থাকবে এবং সেটা থাকা উচিত। সেটা ছিলো কনসেন্সাসের ভিত্তিতে একটা রাজনৈতিক একটা সিদ্ধান্ত একটা বন্দোবস্তো হয়েছিলো সব দলগুলো মিলে।সেখান থেকে সরে গিয়ে নিজেরা বেমালুম একতরফাভাবে শুধু নিজেদের ক্ষমতায় রাখার জন্য একাজগুলো করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আর এখন যখন নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসছে, আবার একতরফা নির্বাচন করার জন্য, আবার ক্ষমতায় হাইব্রিড রেজিমের মতো চলে যাওয়ার জন্য প্রশাসনকে ব্যবহার করছে। কিন্তু মানুষ তো ঘুরে দাঁড়িয়েছে। মানুষ প্রতিবাদ করছে, মানুষ দাঁড়িয়ে গেছে। এবার সেটা মানুষ করতে দেবে না।’
প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাষ্ট্রযন্ত্রের যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো আছে, যারা আইনশৃঙ্খলার সঙ্গে জড়িত তাদের কর্মকর্তাদের আমরা অনুরোধ জানাতে চাই যে দয়া করে সাংবিধানিক কাজের সঙ্গে নিজেদের জড়িত করবেন না এবং জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন না। এদেশের মানুষ তারা বরাবরই যেকেনো অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে, যেকোনো ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে, যেকোনো স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে এবং তাদের অধিকার আদায় করে নিয়েছে। এখনো তারা অধিকার আদায় করে নেবে।’
তিনি বলেন, ‘জনগণের যেটা আশা-আকাংখা সেটা পুরণ করবার জন্যে আমরা আশা করব যারা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি যাদের দায়িত্বশীলতা শুধু জনগণে প্রতি, সেই জনগণের প্রতি তাদের দায়িত্বশীলতা পালন করবেন। এই ধরনের অন্যায়-বেআইনি নির্দেশের ফলে আপনারা এ ধরনের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াগুলোকে ব্যাহত করবেন না। এটা সম্পূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করা। জনগণ যেখানে তার অধিকারের জন্য সংগ্রাম করছে, লড়াই করছে, তার সাংবিধানিক অধিকার ফিরে পেতে চাচ্ছে সেই অধিকারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে এভাবে বাধাগ্রস্ত করা, গ্রেপ্তার করা, নির্যাতন করা নাগরিকদেরকে… এটা ভয়াবহভাবে রাষ্ট্রদ্রোহীতার শামীল বলে আমরা মনে করি। দয়া করে এটা থেকে বিরত থাকুন, জনগণের সঙ্গে আসুন।’
‘সরকারের প্রতি’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখনো সময় আছে আপনারা জনগনের ভাষা বুঝতে পেরে, জনগণের চাহিদা বুঝতে পেরে আপনারা পদত্যাগ করুন, একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন এবং সংসদ বিলুপ্ত করে একটা নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।’
তিনি বলেন, ‘অন্যথায় দেশের মানুষ তাদের অধিকার আদায় কিভাবে করে নিতে হয় তারা তা জানে।’
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে আগামী নির্বাচনেও দেশের মানুষ ভোট দিতে পারবে না: ফখরুল
গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে মহানগর দক্ষিণের নেতা-কর্মীদের ওপর মিথ্যা ও গায়েবী মামলা দায়েরের বিষয় নিয়ে কথা বলতে বিএনপি মহাসচিব এই সংবাদ সম্মেলন ডাকেন।
মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুব দলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, সাবেক মহানগর সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর আলম, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহিন, মহানগর দক্ষিন বিএনপির শেখ রবিউল আলম রবি, হারুনুর রশীদ হারুন, ওবায়দুর রহমান লিটন, আরিফুল ইসলাম আরিফসহ মহানগর দক্ষিনের গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তিসহ তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলাসমূহ প্রত্যাহারের দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে গায়েবী মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেই কাজটি এখন পুরোপুরিভাবে শুরু হয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই আমাদের এক্টিভ নেতাদের জেলে আটকিয়ে রাখা।’
তিনি বলেন, ‘এসব নেতাদের জামিন হচ্ছে উচ্চ আদালত থেকে কিন্তু তাদেরকে আরেকটা মামলা দিয়ে আটকিয়ে রাখা হচ্ছে। একটা ভয়াবহ অবস্থা।’
সংবাদ সম্মেলনে মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন খোকন, আবদুস সাত্তার, লিটন মাহমুদ, হাজী মো. মনির হোসেন, আনম সাইফুল ইসলাম, মহানগর দক্ষিন যুব দলের সাঈদ হাসান মিন্টু, খন্দকার এনামুল হক এনাম, মহানগর দক্ষিন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইদ মোরশেদ পাপ্পা, মহানগনর দক্ষিন কৃষক দলের হাজী মো. কামাল হোসেন, মোয়াজ্জেম হোসেন বাদশা ও পূর্ব ছাত্র দলের মোহাম্মদ আল আমিন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপি নেতারা ঐক্যবদ্ধ: নজরুল
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে আগামী নির্বাচনেও দেশের মানুষ ভোট দিতে পারবে না: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আগামী জাতীয় নির্বাচনেও দেশের মানুষ ভোট দিতে পারবে না।
তিনি বলেন, সরকার আবারও সেভাবে নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে। আমাদের জনগণ তাদের ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু বর্তমান আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে তা কখনোই সম্ভব হবে না।
মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর একটি হোটেলে বিএনপির মিডিয়া সেলের এক বছরপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তাদের দল দীর্ঘদিন ধরে একটি নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে, যাতে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে।
ফখরুল বলেন, যেসব রাজনৈতিক দল গণতান্ত্রিক রাজনীতি ও দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং বাংলাদেশকে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়; তারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য যুগপৎ আন্দোলন করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। বিএনপিকে ক্ষমতায় নিয়ে যাওয়া আমাদের মূল লক্ষ্য নয়।’
আরও পড়ুন: বিদেশিরা আমাদের আলোচনার জন্য ডাকে, আমরা নিজেরা যাই না: ফখরুল
এই বিএনপি নেতা বলেন, গণতন্ত্রের অভাবই এখন বাংলাদেশে প্রধান সংকট। কারণ সরকার একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করে সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে।
তিনি বলেন, মূলধারার গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না বলে জনগণের হারানো অধিকার পুনরুদ্ধারে বিএনপি মিডিয়া সেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ‘এটাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ যে এদেশে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করে ফেলা হয়েছে বিভিন্ন কৌশলে।’
বিএনপি নেতা বলেন, সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেল বন্ধ করে দিয়েছে।
তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সাংবাদিকদের দমন ও হয়রানির অভিযোগও করেন।
মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, আবদুস সালাম, জয়নুল আবদিন ফারুক, ফরহাদ হালিম ডোনার, আবদুল হাই শিকদার, মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আশরাফ উদ্দিন নিজান, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, মিডিয়া সেলের শাম্মী আখতার, মোর্শেদ হাসান খান, রুমিন ফারহানা, কাদের গনি চৌধুরী, ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজী, মীর মোহাম্মদ হেলাল, মওদুদ হোসেন আলমগীর, আলী মাহমুদ, আতিকুর রহমান রুমন, শায়রুল কবির খানসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিতসক, আইনজীবীসহ পেশাজীবী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি ও ডেনমার্কসহ কয়েকটি দেশের কূটনীতিকরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপি নেতারা ঐক্যবদ্ধ: নজরুল
বিএনপি মাঠে নেমেছে, অধিকার আদায় করেই ঘরে ফিরবে : মির্জা ফখরুল
বিদেশিরা আমাদের আলোচনার জন্য ডাকে, আমরা নিজেরা যাই না: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাদের দলের নেতারা বিদেশিদের কাছে যান না, তারা (বিদেশিরা) মাঝেমধ্যে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার জন্য আমন্ত্রণ জানান।
তিনি বলেন, ‘তারা (আ.লীগ) বলে আমরা বিদেশিদের কাছে যাই। আমরা বিদেশিদের কাছে যাই না, বরং বিদেশিরা আমাদের মাঝে মাঝে ডাকে। তারা জানতে চায় দেশে কী হচ্ছে, আমরা কী করছি। যে দেশগুলো গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে তাদের জন্য এই বিষয়গুলো জানা স্বাভাবিক।’
রবিবার একটি বইয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় ফখরুল এ মন্তব্য করেন।
এসময় বিরোধী দলের নেতাদের বিদেশিদের কাছে নালিশ করার বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলের অভিযোগকে প্রত্যাখান করেনি বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষিত নীতি হচ্ছে, পৃথিবীতে তিনি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চান। যেখানে গণতন্ত্র নেই, সেখানে তারা সে কথা বলে দেন, তাদের (মার্কিন) গণতন্ত্র সম্মেলনে ডাকেন না। আবার তাদের (যেসব দেশে গণতন্ত্র নেই) স্যাংশন না কি সব দেন।’
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার জনগণের সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে। ‘মানুষকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না বলে তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।’
তিনি বলেন, সরকার দল গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রেখে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা যাবে না। ‘তারা (আ.লীগ নেতা) বারবার ভালো নির্বাচন করার কথা বলছে। কিন্তু জনগণ কীভাবে বিশ্বাস করবে যে তারা ক্ষমতায় থেকে ভালো নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে, কারণ তারা অতীতে কখনও তা করেনি।’
বিএনপি নেতা বলেন, বারবার মানুষকে বোকা বানিয়ে ক্ষমতায় থাকা সম্ভব নয়। ‘আপনারা মানুষকে একবার বা দুবার ধোঁকা দিতে পারেন, এটি বারবার ঘটবে না। এবার মানুষ জেড়ে উঠেছে।’
ফখরুল অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দল গত ১৪ বছর ধরে বাংলাদেশের জনগণের ওপর দমন-পীড়নের স্টিমরোলার চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমি আজ (রবিবার) পত্রিকায় পড়েছি যে একজনকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে ডিবি (পুলিশের গোয়েন্দা শাখা)… সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমকে জামালপুরে আওয়ামী লীগের সবাই পিটিয়ে হত্যা করেছে।’
দুই দিন আগে চট্টগ্রাম নগরীতে বিএনপির যুব সমাবেশে যোগ দিয়ে একটি অটোরিকশায় করে বাড়ি ফেরার সময় মিরসরাইয়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ ক্যাডাররা এক নারী ছাত্রদল নেত্রীকে তুলে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের লোকজন তাকে একটি বাড়িতে নিয়ে যায় এবং সেখানে কয়েক ঘণ্টা ধরে নির্যাতন ও লাঞ্ছিত করে।
তিনি আরও বলেন, মেয়েটির মা তাকে উদ্ধার করতে গেলে নির্যাতকরা তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে এবং পরদিন তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। ‘এটিই বিচার ব্যবস্থা যেখানে একজন নির্যাতিত ও বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করা একটা মেয়েকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আপনারা কীভাবে এই দেশে গণতন্ত্র এবং আপনার অধিকারের কথা বলবেন?’
পরে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী প্রকাশনা সংস্থা আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জাইউর রহমান, চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন ফখরুল।