বিএনপি
জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চলবে: আপিল বিভাগ
দুর্নীতির মামলা বাতিল চেয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ জুবায়দার করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন।
এই আদেশের ফলে এখন নিম্ন আদালতে বিচার চলতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম।
তিনি বলেন, ‘এ মামলায় অভিযোগ আমলে নেয়ার আট সপ্তাহের মধ্যে ডা. জুবাইদাকে আদালতের বিচারকের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে।’
জুবাইদার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও কায়সার কামাল এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা দায়ের করে দুদক।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির মামলা বাতিল চেয়ে তারেক রহমানের স্ত্রীর আবেদন: আদেশ ১৩ এপ্রিল
মামলায় তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। পরে একই বছরে জোবায়দা রহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
ওই রুলের শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে মামলা বাতিলে জারি করা রুল খারিজ করে দেন। একই সঙ্গে জোবায়দা রহমানকে আট সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন জোবায়দা রহমান। যেটি আজ (বুধবার) খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি পিছিয়েছে
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি পিছিয়েছে
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৪ মে ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে মামলাটির শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার পক্ষে সময় আবেদন করা হয়।
আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী হেলাল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন খালেদা জিয়া
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
উল্লেখ্য এ মামলার আসামি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে
শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকায় প্রধানমন্ত্রীর দুঃখ প্রকাশ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছেন। এছাড়া সামরিক শাসকদের দ্বারা গঠিত দুটি প্রধান বিরোধী দলের জনগণের মধ্যে ভিত্তি নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা শক্তিশালী বিরোধী দল পাচ্ছি না। দেশের মানুষের মধ্যে তাদের অবস্থান নেই।’
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জনগণের কল্যাণে কাজ করুন: পুলিশ বাহিনীকে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সাড়ে তিন ঘণ্টাব্যাপী এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিরোধী দল বিএনপি ও জাতীয় পার্টি সম্পর্কে তিনি বলেন, দুটিই সামরিক স্বৈরশাসকদের তৈরি যারা সংবিধানকে অবজ্ঞা করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছে।
তিনি বলেন, ‘দেশ ও জনগণের প্রতি তাদের কোনো আগ্রহ নেই।’
আরও পড়ুন: সব দেশে টিকা দেয়ার লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করুন: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রধানমন্ত্রী
দেশ নয়, বিএনপিই খারাপ সময় পার করছে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সোমবার বলেছেন, দেশ নয়, বিএনপিই খারাপ সময় পার করছে।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খারাপ সময়ের কথা বলে দেশের মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন। আসলে দেশে খারাপ সময় নেই; বিএনপির রাজনীতিতেই খারাপ সময় চলছে।
‘বর্তমান সরকারের দমন-পীড়ন ও দুঃশাসনের কারণে দেশে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের সাম্প্রতিক এমন মন্তব্যের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করে না সরকার: ওবায়দুল কাদের
ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, তাদের দলের ছয় শতাধিক নেতা-কর্মীকে গুম করা হয়েছে এবং আরও এক হাজারের বেশি নিহত হয়েছে। এছাড়াও বিএনপির ৩৫ লাখ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা এখন উদ্দেশ্যহীন পথিক। তারা এখন বিএনপির শীর্ষ নেতাদের ব্যর্থ নেতৃত্বের হাত থেকে রেহাই পেতে চায়। বিএনপি আমলের দুঃশাসন ভুলে যেতে চায় মানুষ।
তিনি আরও বলেন, জনগণ বারবার আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করেছে এবং বরাবরের মতো আগামী নির্বাচনেও জনগণ আওয়ামী লীগকেই বেছে নেবে। সেটা বুঝতে পেরে বিএনপি এখন ভুগছে।
আরও পড়ুন: ক্ষমতাসীন দলের দুর্নীতি তদন্তে দুদকের প্রতি বিএনপির আহ্বান
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা বারবার বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। দেশের সর্বোচ্চ আদালত যে ইস্যু নিষ্পত্তি করেছে তা উত্থাপনের কোনো মানে হয় না।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। সরকার শুধু সহযোগিতা করবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘তাই আমি বিএনপিকে বলবো আপনারা যদি নির্বাচনে বিশ্বাস করেন, জনগণের প্রতি আস্থা রাখেন, তাহলে ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন। আশা করি, বিএনপির শুভবুদ্ধির জয় হবে।’
ক্ষমতাসীন দলের দুর্নীতি তদন্তে দুদকের প্রতি বিএনপির আহ্বান
ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের দাবিতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দিয়েছে বিএনপি।
সোমবার দুপুর ১টার দিকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বিরোধী দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুকে নিয়ে দুদক কার্যালয়ে যান এবং চিঠিটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন।
এর আগে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, দুর্নীতির বিভিন্ন ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন দুদক আমলে নিচ্ছে না।
আরও পড়ুন: মেগা প্রকল্পে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে: বিএনপি
নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ ‘বিদেশিদের’ পরামর্শের ওপর নির্ভর করছে না: খন্দকার মোশাররফ
বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনে তাদের দলের অংশগ্রহণ নির্ভর করবে জনগণের সিদ্ধান্তের ওপর, বিদেশিদের পরামর্শের ওপর নয়।
শনিবার সিলেট জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করেছেন। আমরা মনে করি বাংলাদেশে নির্বাচন হবে এবং এখানকার জনগণই পরামর্শ দেবে বিএনপি নির্বাচনে যাবে কি না।
আরও পড়ুন: বিরোধী দলকে দমনে নতুন খেলা শুরু করেছে সরকার: ফখরুল
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেছেন দেশে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে এ ব্যাপারে জনগণ আস্থা অর্জন করলেই তাদের দল নির্বাচনে যাবে। যখন তারা মেশিনের মাধ্যমে নয়, নিজ হাতে ভোট দিতে পারবে। কিন্তু আমরা বিদেশিদের পরামর্শে নির্বাচনে অংশ নেব না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকারের অধীনে কখনও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আমেরিকার আনুকূল্য চেয়ে দেশের রাজনৈতিক সমস্যা থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানই সমাধানের একমাত্র উপায়।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনকে বাংলাদেশের ‘স্বচ্ছ ও স্বাধীন’ নির্বাচন কমিশনের বিষয়ে জানিয়েছেন যা স্পষ্টতই বিএনপিকে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে উৎসাহিত করার পরামর্শ দিয়েছে তাকে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের সাজা দিতে সেল গঠন করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল
ক্ষমতায় থাকতে কাউকে খুশি করার দরকার নেই: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় থাকার জন্য কাউকে খুশি করতে হবে না।
তিনি বলেন, ‘দেশের সংবিধান অনুযায়ী (আগামী সাধারণ) নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। কাউকে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব সরকারের নয়।’
শুক্রবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘বানোয়াট’ বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কথা বলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার ফখরুল অভিযোগ করেন, সরকার নিজেদের ‘অপকর্ম’ থেকে বাঁচতে বিদেশিদের প্রতি খুশি করছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির মুখে গণতন্ত্র মানায় না: দীপু মনি
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। আর আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের হৃদয়ে আবেগ ও অবিভক্ত অনুভূতির এক অদম্য শক্তি, যা ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য কারো পক্ষপাতিত্ব করার দরকার নেই। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জানে রাজনীতি করতে জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থন প্রয়োজন।’
কিন্তু ক্ষমতা পাগল বিএনপি হত্যা, অভ্যুত্থান ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠার পর থেকে জনগণের কল্যাণে কিছুই করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, ‘আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বিদেশে কোনো প্রভু নেই।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তিপ্রস্তর অনুসারে পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনা করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থই প্রধান বিবেচ্য।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিরোধীদের সরকার হবে বিএনপির জাতীয় সরকার: কৃষিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, জনগণের কল্যাণ বা দেশের স্বার্থ রক্ষায় আপসহীন মনোভাবের কারণে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বারবার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন।
অন্যদিকে তাদের নেত্রী দেশের টাকা পাচার করে বিদেশে পালিয়ে জীবনযাপন করছেন।
কাদের বলেন, দেশের স্বার্থ বিক্রি করে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে তারা দেশি-বিদেশি চক্রের যোগসাজশে যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল করতে চায়।
নির্বাচন সম্পর্কে আ.লীগ নেতা বলেন, আইন অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের।
তিনি বলেন, আমরা প্রত্যাশা করি, গণতান্ত্রিক চেতনায় বিশ্বাসী সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং বিএনপি ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে জনকল্যাণের রাজনীতিতে নিজেকে নিয়োজিত করবে।
কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক চেতনাকে সমুন্নত রাখতে যে কোনো উপায়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং যেকোনো ষড়যন্ত্রের শক্ত জবাব দিতে প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য কমায় জনগণ স্বস্তিতে, বিএনপি অস্বস্তিতে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি নেতাদের সাজা দিতে সেল গঠন করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, সরকার আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে ‘মিথ্যা’ মামলায় সারাদেশে তাদের সম্মুখ সারির নেতাদের সাজা দিতে একটি সেল গঠন করেছে।
শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় ফখরুল বলেন, সরকার ২০১৪ সালের মতো একতরফা নির্বাচন করতে পুলিশ, বিচার বিভাগ ও রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘২০১৩ সালে মুগদা থানায় দায়ের করা একটি মিথ্যা ও কাল্পনিক মামলায় আমাদের সাত নেতাকর্মীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এটা সারা দেশেই হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার বিভিন্ন জেলায় বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের তালিকা তৈরি করেছে বলে শুনেছি। সামনের সারির নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য একটি সেল গঠন করা হয়েছে।
ফখরুল বলেন, মুগদা থানার একটি ‘বানোয়াট’ মামলায় বিএনপির সাত নেতার সাজা প্রমাণ করেছে যে বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না।
আরও পড়ুন: নিজেদের ‘অপকর্ম’ থেকে বাঁচতে সরকার বিদেশিদের খুশি করার চেষ্টা করছে: বিএনপি
তিনি অভিযোগ করেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, হয়রানি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের শেষ করার জন্য সরকার আবারও পুরনো ধারা অনুসরণ শুরু করেছে।
ফখরুল বলেন, ‘এটি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং গণতন্ত্রের বিরুদ্ধেও অপরাধ। ’
বিএনপি নেতা বলেন, সরকার বাম দলগুলোর মতো অন্যান্য বিরোধী দলকেও দমন করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও নির্বাচনের মাঠ ফাঁকা করার চেষ্টা করছে।’
এসময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে লিফলেট বিতরণকালে রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে তাদের দলের নেতা ইশরাক হোসেনকে ‘মিথ্যা’ মামলায় গ্রেপ্তারের নিন্দা জানান ফখরুল।
তিনি বলেন, ইশরাককে গ্রেপ্তার করে ঢাকার আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন, টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও গুলি চালায়।
ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বললেও সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্মূল করার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে: বিএনপি
তিনি বলেন, নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আলোচনা করছেন এবং বিভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, এগুলো সবই ক্ষমতাসীন দলের আরেকটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের এবং অতীতের মতো এর ফলাফল হেরফের করার নাটকের অংশ।
ফখরুল বলেন, আগামী নির্বাচনে কারচুপির জন্য ক্ষমতাসীন দল নতুন কৌশল নিয়ে আসবে।
তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন গত নির্বাচনের মতো ভোটের আগের রাতে নাও হতে পারে। এবার ভোটের সাত দিন আগে অনুষ্ঠিত হতে পারে।’
তিনি বিএনপি ও এর নেতাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়ার জন্য পুলিশের মহাপরিদর্শক ও ডিএমপি কমিশনারের সমালোচনা করে বলেন, ‘প্রজাতন্ত্রের দাসেরা যেভাবে কথা বলে, তা আমাদের ধারণা দেয় যে আমরা একটি সভ্য দেশে বাস করছি না।’
আরও পড়ুন: রমজানেও মানুষ অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে: মির্জা ফখরুল
নিজেদের ‘অপকর্ম’ থেকে বাঁচতে সরকার বিদেশিদের খুশি করার চেষ্টা করছে: বিএনপি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, সরকার নিজেদের ‘অপকর্ম’ থেকে বাঁচতে বিদেশিদের খুশি করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অপকর্ম করে ক্ষমতায় আছে এবং এখন টিকে থাকার জন্য বিদেশিদের খুশি করার চেষ্টা করছে।’
বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় দেয়া বক্তব্যে বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, র্যাব এবং এর কিছু বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও, সরকারের বিভিন্ন অপকর্ম বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে প্রকাশ্যে আসায় সরকার অস্বস্তিতে পড়েছে।
তিনি বলেন, ‘এ কারণেই তারা এখন এইভাবে বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বৈঠক প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় সরকার এখন যুক্তরাষ্ট্রের পেছনে ছুটছে।
ফখরুল বলেন, ‘তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছে এবং তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলছে বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে তাদের সাহায্য করার জন্য … কিন্তু এই লোকেরাই বলত আমরা কি বিদেশিদের কাছ থেকে আনুকূল্য চাই এবং তাদের সাহায্য নিয়ে কাজ করি।’
আরও পড়ুন: সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন খালেদা জিয়া
এর আগে সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে বাংলাদেশের ‘স্বচ্ছ ও স্বাধীন’ নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে জানান এবং বিএনপিকে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে উৎসাহিত করার পরামর্শ দেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে তাদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সময় তিনি ব্লিঙ্কেনকে বলেন, ‘দেশের নিয়ম ও পদ্ধতি অনুসরণ করতে তাদের (বিএনপি) নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আনুন।’
ফখরুল বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত না হওয়া খুবই দুঃখজনক।
তিনি বলেন, সরকারের ব্যাপক দুর্নীতির কারণে দেশের স্বাস্থ্যখাত পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় জনগণের কাছে এই সরকারের কোনো জবাবদিহিতা নেই। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।’
তিনি বলেন,বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য দুর্নীতি করে অর্থ উপার্জন করা।
ফখরুল অভিযোগ করেন, তারা বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসার নামে টাকা কামিয়েছে। আমরা দেখেছি যে একজন ব্যক্তির উপকার করার জন্য ভারত থেকে তিন-চার গুণ বেশি দামে ভ্যাকসিন আনা হয়। শুধুমাত্র সরকার-সমর্থিত লোকদের সুবিধার জন্য পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়া
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন ঢাকায় গ্রেপ্তার
দেশে খাদ্য সংকট নেই, বিএনপি কোরাস গেয়ে চলেছে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে খাদ্যের কোন সংকট নেই, একটি মানুষও না খেয়ে নেই। অথচ বিএনপির একদল নেতা সারাদিন শুধু টেলিভিশনে ও পত্রপত্রিকায় খাদ্য সংকটের কোরাস গেয়ে চলেছে, যা শুনলে মনে হয় দেশে দুর্ভিক্ষ চলছে, মানুষ না খেয়ে মারা যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সকালে মানিকগঞ্জের সিংগাইর ও ঘিওর উপজেলায় ব্রিধান ৮৯ ও ৯২ এর বীজ উৎপাদন মাঠ পরিদর্শনকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কোরাস গাওয়ার আগে বিএনপি ও সুশীল সমাজকে ২০০১-০৬ সময়ের দিকে ফিরে তাকানোর আহ্বান জানান কৃষিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া-তারেক রহমানরা যখন ক্ষমতায় ছিল, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রতিদিনই মানুষ না খেয়ে থেকেছে, প্রতিবছর মঙ্গায় শত শত মানুষ না খেয়ে মারা গেছে। সেসময়ের পত্রপত্রিকার পাতা উল্টালেই দেখা মিলে খাদ্যের জন্য হাহাকার আর অনাহারে মৃত্যুর খবর। অন্যদিকে গত ১৩ বছরে আওয়ামী লীগের আমলে একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায় নি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিরোধীদের সরকার হবে বিএনপির জাতীয় সরকার: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী বলেন, চালের উৎপাদন বাড়াতে উচ্চ ফলনশীল ব্রিধান ৮৯ ও ব্রি ৯২ দ্রুত সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এ দুটি বোরো জাতের ধানের উৎপাদন প্রতি শতাংশে প্রায় এক মণ। এটিকে দ্রুত মাঠে নিয়ে যেতে চাই। সেজন্য এসব জাতের বীজ উৎপাদনের জন্য এবার কৃষকদেরকে বিনামূল্যে বীজ দেয়া হয়েছে। সারা দেশে জনপ্রিয় করতে প্রয়োজনে কৃষকদেরকে আরও প্রণোদনা দেয়া হবে।
কৃষিজমি রক্ষায় সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, একদিকে করোনা মহামারি রয়েছে, অন্যদিকে যুদ্ধের কারণে ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে গম আসছে না। ইতোমধ্যে বিশ্বের অনেক দেশেই দুর্ভিক্ষের হাতছানি দেখা যাচ্ছে। সেজন্য, কৃষি উৎপাদনে আমাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকতে হবে। কাজেই কৃষিজমি রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সকলের।
তিনি বলেন, কৃষিজমি রক্ষায় যে আইন হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ সবাই মিলে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। শিল্পায়নও করতে হবে, আবার কৃষিজমিও রক্ষা করতে হবে। এ দুটির মধ্যে ভারসাম্য আনতে হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, এবছর ধানবীজ উৎপাদনের জন্য মানিকগঞ্জের ১৬টি স্পটে ১০৪৪ বিঘা জমিতে ব্রিধান ৮৯ ও ৯২ এর আবাদ হয়েছে। ৮১৪ জন কৃষক এ বীজ ধান চাষ করেছেন। কৃষকদেরকে নানাভাবে প্রণোদনা ও পরামর্শ দিয়ে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। বিনামূল্যে ৫ হাজার কেজি বীজ দেয়া হয়েছে। সমলয়ের আদলে একসঙ্গে ধান রোপণ করা হয়েছে, হার্ভেস্টারের মাধ্যমে একই সময়ে ধান কাটাও হবে।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ে বিএনপিকে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে দেয়া হবে না: কৃষিমন্ত্রী
এসময় কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক মো. শাহজাহান কবীর, মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান, কৃষি সম্প্রসারণের উপপরিচালক এনায়েত উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।