বিএনপি
বিএনপি নেতা-কর্মীদের পরিবারে ঈদ আনন্দ নেই: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশের মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে আগামীকাল ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে যাচ্ছে, কিন্তু বিএনপি নেতা-কর্মীদের পরিবারে ঈদের আনন্দ নেই।
বুধবার রাজধানীর কাফরুল থানা বিএনপির উদ্যোগে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীদের পরিবারে শোকের পরিবেশ বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্মম নির্যাতনে কেউ পা হারিয়েছে, কেউ চোখ হারিয়েছে।
আরও পড়ুন: আ. লীগ নাৎসিদের মতো দেশ শাসন করছে: রিজভী
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যখন বিএনপির কোনো নেতা-কর্মীর বাসায় যাই, তখনই দেখি ওই কর্মী দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ বা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার।’
রিজভী বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীদের পরিবারগুলো তাদের ছেলে, ভাই, বাবা, স্বামীর জন্য চোখের জল নিয়ে ঈদ উদযাপন করছে।
১৫ বছরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা হয় জেলে, হাসপাতালে গিয়েছেন নয়তো জেল থেকে বের হয়েছেন।
তিনি বলেন, একদিকে ক্ষমতাসীন দল বিএনপির ওপর স্টিম রোলার চালাচ্ছে, অন্যদিকে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি দেশের গরিব মানুষের টাকা লুটপাট করে ফোর্বস ম্যাগাজিনের শীর্ষ ২০ ধনীর তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের নামে জনগণের টাকা লুটপাট করেছে আ. লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো: রিজভী
রিজভী বলেন, ‘পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কুইক রেন্টালের মতো উন্নয়নের নামে শেখ হাসিনার লুটেরারা গরিব মানুষের টাকা লুটপাট করে কানাডায় বেগম পাড়া, দুবাইয়ের গুলশান থ্রি, মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম বানিয়েছে।’
এটা রূপকথা নয়, বাস্তব বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের কারণে শুধু বিএনপির নেতা-কর্মীরাই নয়, সাধারণ মানুষও দুর্ভোগ পোহাচ্ছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসার বিল পরিশোধ করতে না পেরে বাবা তার ছেলেকে বিক্রি করে দিয়েছেন, চরম দারিদ্র্যের কারণে মা তার সন্তানকে বাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য বিএনপিকে দায়ী করছেন প্রধানমন্ত্রী: রিজভী
আ. লীগ নাৎসিদের মতো দেশ শাসন করছে: রিজভী
আওয়ামী লীগ নাৎসিদের মতো দেশ শাসন করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যর্থতার পাশাপাশি গণতন্ত্রের ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে নাৎসিদের মতো চরম বর্বরতার সঙ্গে দেশ শাসন করছে।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে প্রতিবেশী দেশের 'যুদ্ধের করিডোরে' পরিণত করা হচ্ছে: রিজভী
রিজভী বলেন, মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপনের জন্য দেশের মানুষ অপেক্ষা করছে। কিন্তু উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যে সীমিত আয়ের মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা এখন কঠিন। তাই তাদের মুখে আনন্দের চিহ্ন নেই।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শাসক মহলের ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাট ধনী-দরিদ্রের মধ্যে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবধান বাড়িয়ে দিয়েছে। দেশের নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে দৈনন্দিন জীবন যাপনে কষ্টের মধ্যে ফেলেছে।’
আরও পড়ুন: উন্নয়নের নামে জনগণের টাকা লুটপাট করেছে আ. লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো: রিজভী
তিনি আরও বলেন, ‘উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে গরিব মানুষ নিঃশব্দে কাঁদছে। সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ না করে, সিন্ডিকেটের চক্র ধ্বংস না করে বিরোধী দলকে দমন করতে ব্যস্ত।’
বিদেশে চিকিৎসার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে সরকার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৬ বছর ধরে কারাগারে আটকে রেখেছে বলে দাবি করেন রিজভী।
তিনি আরও বলেন, প্রায় প্রতিদিনই বিএনপির কিছু নেতাকর্মী খুন বা গুমের শিকার হচ্ছে, কারারুদ্ধ হচ্ছে অথবা মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘ওদের (বিএনপির নেতাকর্মীদের) সারাদিন আদালত প্রাঙ্গণে কাটাতে হয়। ফলে যাদের চাকরি ছিল তারা চাকরি হারিয়েছেন, ব্যবসা ধ্বংস হয়ে গেছে। সরকার দেড় লাখ মামলা দিয়েছে, যেখানে বিএনপির ৫০ লাখ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।’
বিএনপির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নেতাকর্মী চাকরি ও ব্যবসা হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে বলে জানান রিজভী।
আরও পড়ুন: সরকার জনগণের কাছে সিন্ডিকেট ও লুটেরা হিসেবে পরিচিত: রিজভী
ঈদের আগেই গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি বিএনপির
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের আগে দলের আটক নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রবিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
রিজভী বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে বিএনপি নেতারা জামিনের জন্য আদালতে হাজির হন। এরপর শেখ হাসিনার 'আজ্ঞাবহ আদালত' তাদের কারাগারে পাঠান।
তিনি বলেন, ‘বাকশাল-২ (বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ) সরকারের জুলুম-নির্যাতনে জনগণ কষ্ট পাচ্ছে। দেশে সভা-সমাবেশ করার সব সুযোগ-সুবিধা শুধু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগই ভোগ করছে। এখানে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর এটা করার অধিকার নেই।’
তারা নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে কলুষিত করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, আওয়ামী সন্ত্রাস তার সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
রিজভী বলেন, ‘গণতন্ত্রের মূলনীতিকে কবর দিয়ে আওয়ামী লীগ দেশকে একটি সর্বগ্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এ অবস্থায় মানুষের মন থেকে ঈদের আনন্দের অনুভূতি উধাও হয়ে গেছে।'
তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে এবারের ঈদ মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য নিরানন্দের।
তিনি বলেন, ‘দেশের সর্বত্র নির্যাতন, ডাকাতি হচ্ছে। রাষ্ট্রক্ষমতা ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ জুলুম-নির্যাতন, গুম, হত্যা, বিরোধী দলের বিরুদ্ধে গায়েবি ও মিথ্যা মামলা দায়ের অব্যাহত রেখেছে।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৬ বছরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৫০ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দেড় লাখ মিথ্যা মামলা দিয়েছে।
বিএনপি মূলধারার রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে: পাটমন্ত্রী
বিএনপি মূলধারার রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি বলেন, রাজনীতি থেকে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে বিএনপি এখন সমালোচনার জন্য শুধু সরকারকে বেছে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: পণ্য রপ্তানি শুরুর মাধ্যমে পাটখাত পুনরুজ্জীবিত হয়েছে: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
শনিবার (৬ এপ্রিল) ঢাকা-১৩ আসনের অন্তর্ভুক্ত মোহাম্মদপুর, শেরেবাংলা নগর ও আদাবর থানার বিভিন্ন ওয়ার্ডে আয়োজিত ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নানক বলেন, বিএনপির নেতার ঘরে বসে বসে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলে। ভুল সিদ্ধান্তের কারণে দলটি ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আর আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটি নেতা-কর্মী দেশের যেকোনো পরিবেশ পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে ছিল, আছে ও থাকবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমান, স্থানীয় কাউন্সিলর, আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: সোনালী ব্যাগের জন্য প্লাস্টিক ব্যবসায়ীরা বড় বাধা হলেও আমরা জয়ী হব: পাটমন্ত্রী নানক
বিজেএমসি'র সকল বন্ধ মিলগুলো চালু করা হবে: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
রাজনৈতিক দৈত্যের দল বিএনপি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপিকে একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল বলে অভিহিত করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ' হরর বা ভয়ের সিনেমায় দেখা যায় যে, দৈত্য মানুষ পোড়ায়। বিএনপি যেভাবে মানুষের ওপর হামলা চালিয়েছে, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, তাতে করে এসব বিএনপির বেলায়ও প্রযোজ্য। হরর মুভির মতোই বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল।'
শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে 'একটি দৈত্য সবকিছু খেয়ে ফেলছে' বিএনপি মহাসচিবের সাম্প্রতিক এমন মন্তব্যের বিষয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আশা করি পশ্চিমা দেশগুলো ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য তারেক জিয়াই যথেষ্ট, আর কাউকে লাগবে না। যতদিন তারেক জিয়া তাদের নেতা থাকবেন, ততদিন বিএনপির কোনো সম্ভাবনা নেই।'
মন্ত্রী হাছান বলেন, 'প্রকৃতপক্ষে বাজার অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিএনপি ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছিল। কিন্তু তাদের এই ডাকে দেশের কেউ সাড়া দেয়নি, এমন কী বিএনপির নেতা-কর্মীরাও সাড়া দেয়নি। বাজার আমরা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। অনেক পণ্যের দামও কমেছে।'
তিনি বলেন, ঈদ সামনে রেখেও অসাধু সিন্ডিকেট চক্র সক্রিয় হওয়া কঠোর হস্তে দমনে সরকার বদ্ধপরিকর এবং এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমেরও বিরাট ভূমিকা রয়েছে। কোনো পণ্যের দাম বাড়লে যেমন প্রচার হয়, দাম কমলে সেটিও গণমাধ্যমে প্রচার হওয়া দরকার।
সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য চাইলে ড. হাছান বলেন, তাদের সঙ্গে আশেপাশের সন্ত্রাসীদেরও যোগাযোগ আছে। পার্শ্ববর্তী দেশে যারা ইতোমধ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছিল তাদের অস্ত্রশস্ত্র এদের কাছে এসেছে বলে জানা গেছে।
তিনি বলেন, আপনারা দেখছেন, তাদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে, ইতোমধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থাপককে মুক্ত করা হয়েছে। তাদের নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর বলেও জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি নেতারাই দিশেহারা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সরকারের একমাত্র সাফল্য অর্থ পাচার: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সাফল্যের গল্প মাত্র দুটি- বিরোধী দলের ওপর জুলুম-নির্যাতন এবং গরিব মানুষের অর্থ বিদেশে পাচার। ‘অন্য সব সেক্টরে ব্যর্থ হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের পরিবারের সঙ্গে তার সার্কিট হাউজ রোডের বাসভবনে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় গত ২৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির প্রায় ১৮ জন নেতা-কর্মীকে হত্যা এবং আরও অনেককে গুম করা হয়েছে বলে দাবি করেন ড. মঈন।
সরকার কীভাবে হাবিব উন নবীর বিরুদ্ধে চার শতাধিক মামলা করতে পারে, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের অধীনে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি: মঈন খান
মঈন অভিযোগ করেন, ‘যারা সরকারের অবৈধ কর্মকাণ্ডকে চ্যালেঞ্জ করে এবং সমালোচনা করে তাদের প্রায়শই মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত করা হয় এবং কারাদণ্ড ও অমানবিক নির্যাতন করা হয়।’
জাতীয় নির্বাচন তদারকিতে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিরোধী দলের মহাসমাবেশ বানচাল করার পর সরকার বিএনপির ২৬ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর গঠিত সংসদের নিন্দা জানান।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সংসদ একতরফা ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে। এটা দেশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না।’
আওয়ামী লীগ সরকার বিচার বিভাগ, সিভিল প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, এমনকি নির্বাচন কমিশনসহ রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে বলে দাবি করেন মঈন।
তিনি বলেন, ‘এসব প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠন ছাড়া আইনের শাসন ও একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ সম্ভব হবে না। এই রকম সহিংস পরিবেশে বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না।’
মঈন খান আরও বলেন, সরকার শুধু রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকেই ধ্বংস করেনি, দেশের আর্থিক ব্যবস্থাকেও ধ্বংস করেছে।
আরও পড়ুন: পকেট ফাঁকা থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারছে না জনগণ: মঈন খান
বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হওয়ায় ব্যাংকিং খাত তারল্য সংকটে ভুগছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
মঈন খান বলেন, ‘তারা গরিব মানুষের টাকা লুটপাট করে কানাডায় বেগম পাড়া, দুবাইয়ে গুলশান ৩, মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম প্রতিষ্ঠা করেছে।’
তিনি বলেন, টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে ব্যাংক ম্যানেজাররা এখন গ্রাহকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছেন।
তিনি আরও বলেন, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে তথাকথিত সবল ব্যাংকগুলোর সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার নামে সরকার নতুন খেলা শুরু করেছে।
ড. মঈন বলেন, সরকার রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয়েছে কারণ তারা একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে সফল হয়নি। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকার রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠাতে পারত।
আরও পড়ুন: আ. লীগ গণতন্ত্রের পরিবর্তে দেশে একটি ‘অলিগার্কি’ তৈরি করেছে: মঈন খান
বর্তমান সরকারের অধীনে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, বিএনপি কখনো বলেনি তারা নির্বাচনে যাবে না, বরং আমরা বলেছি বর্তমান সরকারের অধীনে 'সাজানো, একতরফা, প্রহসন ও প্রতারণামূলক' নির্বাচনে অংশ নেবো না।
তিনি বলেন, ‘এবারের উপজেলা নির্বাচনের সঙ্গে আগের নির্বাচনের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য হবে না। তাই উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের কোনো সম্ভাবনা নেই।’
বুধবার (৩ এপ্রিল) সম্প্রতি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি এস এম জাহাঙ্গীরের উত্তরার বাসায় দেখা করতে যাওয়ার পর তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মেগা উন্নয়নের নামে মেগা দুর্নীতি হয়েছে: মঈন খান
মঈন খান বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক বরাদ্দ না রাখার সিদ্ধান্তে প্রমাণিত হয়েছে যে, আওয়ামী লীগ নিজেই স্বীকার করে যে দেশের জনগণ নৌকা প্রতীককে প্রত্যাখ্যান করেছে। কারণ, উপজেলা নির্বাচনে পরাজয়ের ভয়ে আওয়ামী লীগ নিজেই নৌকা ডুবিয়েছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, 'আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। বিএনপি জনগণের সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে জিতে একাধিকবার সরকার গঠন করেছে। আমরা জনগণকে শাসন করায় বিশ্বাস করি না, তাদের সেবা করার জন্য রাজনীতি করি।’
তিনি বলেন, জনগণকে ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেবে কি দেবে না, সে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
আরও পড়ুন: পকেট ফাঁকা থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারছে না জনগণ: মঈন খান
বিএনপির আন্দোলনের ফলাফল সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে ড. মঈন বলেন, 'বিএনপির সংগ্রামের ফল না পেলে ৯৫ শতাংশ মানুষ ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচন বর্জন করল কেন?’
আওয়ামী লীগ রাজনীতি করছে ক্ষমতায় থাকার জন্য আর বিএনপি রাজনীতি করছে মানুষের সেবা করার জন্য। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যে অবৈধ পন্থায় ক্ষমতা দখল করেছে, বিএনপি কখনো তা চিন্তাও করে না।
বিএনপি শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে উল্লেখ করে ড. মঈন আরও বলেন, তারা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট না দেওয়ার জন্য দেশের জনগণকে অনুরোধ করেছিলেন এবং তারা (জনগণ) প্রহসন, সাজানো ও একতরফা ডামি নির্বাচন বর্জন করে তা বাস্তবায়ন করেছে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক বিশ্বাসের কারণে ৫০ লাখ আসামির বিরুদ্ধে লক্ষাধিক মামলা দেওয়ার নজির পৃথিবীতে আর কোথাও নেই। তিনি বলেন, আমরা অল্প কিছু স্বৈরাচারী দেশকে চিনি, যেখানে বিরোধী দলের দমন বাংলাদেশের চেয়ে খারাপ নয়।
আরও পড়ুন: আ. লীগ গণতন্ত্রের পরিবর্তে দেশে একটি ‘অলিগার্কি’ তৈরি করেছে: মঈন খান
ছাত্র রাজনীতি নিয়ে কোনো সমস্যা নেই, উদ্বেগ ছাত্র সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে: গয়েশ্বর
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি সমস্যা নয়, উদ্বেগের বিষয় হলো ক্যাম্পাসে ছাত্র সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ।
তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি করতে দেবে কি না, বুয়েট কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে। যে কারণে (আবরার ফাহাদ হত্যার) বুয়েট কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিল, তারা দেখবে এমন পরিস্থিতি এখনও অব্যাহত আছে কি না এবং সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে।’
বিএনপি নাটোর জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আহত দেওয়ান শাহিনকে দেখতে গিয়ে সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের কয়েকজনের হামলায় দেওয়ান শাহিন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি ফিরে আসতে পারে: ভিসি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা আরও খারাপ ছিল।সেখানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মানিক ‘ধর্ষণের সেঞ্চুরি’ উদযাপন করেছিলেন। ‘এটি জাতির জন্য কলঙ্ক ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ এই লজ্জাকে অলংকার বলে মনে করে।’
প্রশাসনের মদদে তারা বেপরোয়া আচরণ করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নৃশংসতা চালিয়ে এবং বিরোধীদের বিরুদ্ধে পেশিশক্তি প্রয়োগ করে ক্ষমতায় আছে বলে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর।
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছরে নাটোর বিএনপি নেতারা আ. লীগের নেতা-কর্মীদের অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ‘নিপীড়ন সত্ত্বেও নেতা-কর্মীরা বিএনপিকে ছাড়েনি। সারাদেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতনের যে দৃশ্য, নাটোরেও একই রকম।’
আরও পড়ুন: বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট
আওয়ামী লীগকে একটি বিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক দল উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছাড়া তারা (আ. লীগ) রাজনীতিতে টিকে থাকতে পারে না। এই পরিস্থিতিতে আমাদের আওয়াজ তুলতে হবে এবং তাদের বর্বরতার জবাব দিতে প্রস্তুত হতে হবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেতা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যু সংবাদ শোনার জন্য সরকার অপেক্ষা করছে। ‘আমার ধারণা গণভবনে তার মৃত্যুর খবর শুনলেই মিষ্টি বিতরণ করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকারের কাছে আমাদের কিছু আশা করার নেই। তবে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে তারা যা করছে তা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে বিবেচিত হবে।’
আরও পড়ুন: জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে না: গয়েশ্বর
জামিনে মুক্তি পেলেন বিএনপির দুলু
শ্রমিক লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম হত্যা মামলায় স্থায়ী জামিন পেয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু।
সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মিজানুর রহমান তার স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন।
এ সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় আ.লীগ নেতা দুলুর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
এর আগে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি উচ্চ আদালত থেকে ৮ সপ্তাহের অন্তর্বতীকালীন জামিনে ছিলেন বিএনপি নেতা দুলু।
উল্লেখ্য, শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে একাধিকবার কটুক্তি করার একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে দুলুর বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর লালমনিরহাট সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন লালমনিরহাটের আইনজীবী রাকিবুল ইসলাম খান।
অপরদিকে, ২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবর বিএনপির ডাকা হরতাল ও আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষে শ্রমিক লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনায় ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর লালমনিরহাট সদর থানায় আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম খান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বিএনপি নেতা আসাদুল হাবিব দুলুকে ১ নম্বর আসামিসহ বিএনপি, সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের ৮১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা দুলুর দুর্নীতি মামলার বিচার ১ বছরে শেষ করার নির্দেশ
বিএনপি নেতা রিজভী ও দুলুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
উন্নয়নের নামে জনগণের টাকা লুটপাট করেছে আ. লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো: রিজভী
আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো কুইক রেন্টাল, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও ফ্লাইওভারের মতো উন্নয়নের নামে জনগণের অর্থ আত্মসাৎ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, শুধু আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগই নয়, যারা নির্লজ্জভাবে আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছে, বিরোধী দল দমনে সহযোগিতা করেছে তারাও এই লুটপাটের অংশ।
রবিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আয়োজিত ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিরোধী দলকে ঘায়েল করতে সিএসএ-কে অস্ত্র বানিয়েছে আ. লীগ: রিজভী
বিএনপির আন্দোলনের সময় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, তিনি (বেনজীর) বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আজ জাতি জানতে পেরেছে যে তিনি (বেনজির) একটি আশ্রয়স্থল তৈরি করেছেন যা আলিফ লায়লার গল্পকে হার মানায়।’
কীভাবে তিনি এত বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করলেন জানতে চেয়ে প্রশ্ন তোলেন রিজভী।
আরও পড়ুন: সরকার জনগণের কাছে সিন্ডিকেট ও লুটেরা হিসেবে পরিচিত: রিজভী
দ্রব্যমূল্যের আকাশছোঁয়া দামের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ ও মাংস কেনা সাধারণ মানুষের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। লেবুর দাম তাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় রোজা ভাঙার জন্য পানীয়ের ব্যবস্থা করাও সম্ভব নয়।
রিজভী বলেন, প্রতি কেজি খেজুর ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে যা একজন দিনমজুর বা রিকশাচালকের পক্ষে কেনা একেবারেই অসম্ভব।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে 'ইন্ডিয়া আউট' প্রচারণা চালাচ্ছে জনগণ: রিজভী