নেতা
৩ দিনের রিমান্ডে বিএনপি নেতা নবী উল্লাহ নবী
রাজধানীর গোপীবাগে আন্তঃনগর বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগ ঘটনার পর গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবীকে যাত্রাবাড়ী থানার পুরনো এক মামলায় তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
শনিবার(৬ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতিসহ ১১ জনের রিমান্ড
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পরিদর্শক আশরাফুল আলম যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় নবীকে আদালতে হাজির করে জিঞ্জাসার জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
অন্যদিকে নবীর আইনজীবী মো. সেলিম মিয়া রিমান্ডের বিরোধিতা করে জামিনের আবেদন করেন আদালতের কাছে।
শুনানি শেষে ঢাকার মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট ফারজানা শাকিল সুমু চৌধুরী তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, মামলার আসামি নবী উল্লাহ নবী গত ৫ নভেম্বর যাত্রাবাড়ী থানাধীন চৌরাস্তা থেকে ধোলাইপাড়গামী সড়কে বিজিবি মার্কেটের সামনে পাকা রাস্তার উপর বেআইনিভাবে দলবল নিয়ে দেশীয় অস্ত্র, ইট-পাটকেল, বাঁশের লাঠি ও ককটেলসহ অবস্থান নেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা খসরু-জহিরের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
তারা সরকারবিরোধী উস্কানিমূলক ও অবমাননাকর স্লোগান দিতে থাকেন।
সড়কে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে চরম জনভোগান্তি তৈরি হয়। নবীসহ অন্য আসামিরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে এবং সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে পুলিশের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।
ঘটনাস্থলে রাস্তার পাশে পার্কিং করা গ্রেট তুরাগ ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির দুটি বাসে অগ্নিসংযোগসহ ককটেল বিস্ফোরণ করে সড়কে দাঙ্গা-হাঙ্গামা বাঁধায়। অগ্নিসংযোগে দুটি বাসের পাঁচ লাখ ৮০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।
রিমান্ড আবেদনে আরও বলা হয়, আসামি নবী উল্লাহ নবীর নির্দেশ ও হুকুমে পলাতক নেতা-কর্মীরাসহ অজ্ঞাত বিএনপির দুষ্কৃতকারীরা নাম না জানা অনেকের প্ররোচনা, নির্দেশনা, যোগসাজস এবং সহযোগিতায় বেআইনিভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে যান চলাচল বন্ধ করে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, পুলিশের কাজে বাধাসহ আক্রমণ এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: মিয়া আরেফির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
বিএনপি ও সমমনাদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল শুরুর আগের রাতে গত ৫ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে রাজধানীর গোপীবাগে যশোরের বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে চলন্ত অবস্থায় আগুন দেওয়া হয়।
আগুনে দুই নারী, এক শিশুসহ অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের কারও কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
অগ্নিকাণ্ডের পরপরই শুক্রবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নবী উল্লাহ নবীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
আরও পড়ুন: মির্জা আব্বাসের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
চট্টগ্রামে লিফলেট বিতরণকালে বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে লিফলেট বিতরণকালে মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর বন্দর থানার কলসি দিঘি সড়ক থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া অন্যজন হলেন, মহানগর যুবদল নেতা আরিফুর রহমান আরিফ।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ট্রেনে নাশকতার পৃথক মামলায় ৩ আসামি গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনজুরুল কাদের মজুমদার বলেন, ভাঙচুর ও নাশকতার একটি মামলায় বিএনপি নেতা আজিজসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে এম এ আজিজ ও আরিফুর রহমান আরিফকে গ্রেপ্তারের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ইয়াবা জব্দ, শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেপ্তার
রাজশাহীতে ৫ কোটি টাকার হেরোইন জব্দ, গ্রেপ্তার ২
নওগাঁয় কারাগারে বিএনপি নেতার মৃত্যু
নওগাঁ জেলা কারাগারে মতিবুল ইসলাম (৬০) নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে অসুস্থ হলে নওগাঁ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মতিবুল ইসলাম নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌর এলাকার পলিপাড়া মহল্লার মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২০৭
তিনি নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভার ২ নাম্বার ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
পত্নীতলা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নওগাঁর জেল সুপার নজরুল ইসলাম জানান, বিস্ফোরকসহ ১৪৩, ৩৪১, ৩২৩, ৪২৭ ও ৫০৬ ধারায় মামলা ছিল মতিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে। গত ২৭ নভেম্বর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর তিনি অসুস্থ হলে ১৪ ডিসেম্বর থেকে কারা হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জের বালুর স্তুপে চাপা পড়ে শিশুর মৃত্যু
তিনি আরও বলেন, বুধবার সকালে বেশি অসুস্থ হলে নওগাঁ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নওগাঁ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তানজিমুল হক জানান, সকালের দিকে বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মতিবুল ইসলামকে। কিছু বাদেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ঘরের উপর গাছ পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
বিএনপি নেতাদের মুক্তি নিয়ে কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্য ব্যক্তিগত: আইনমন্ত্রী
বিএনপি নির্বাচনে এলে সব নেতাদের মুক্তি দেওয়া হবে- কৃষিমন্ত্রীর দেওয়া এমন বক্তব্যের জবাবে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘কৃষিমন্ত্রী যা বলেছেন সেটি তার ব্যক্তিগত অভিমত।’
তিনি বলেন, ‘এটা দলের অভিমত নয়। বিএনপির যেসব নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের সুনির্দিষ্ট মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিচার ও জামিনের বিষয়ে একমাত্র আদালত কথা বলতে পারবে।’
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি অসাংবিধানিক: জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলকে আইনমন্ত্রী
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায়র সড়ক বাজার এলাকা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তার নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালে বিএনপি যখন বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যা করে স্বৈরশাসন চালাচ্ছিল তখন বিচার বিভাগকে করাপ্ট করা হয়েছে। এখন সে অবস্থা নেই। বর্তমানে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন।
আরও পড়ুন: টাইপিংয়ে ভুলের জন্য সংসদে পাস হওয়া শ্রম আইন ফেরত দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি: আইনমন্ত্রী
মন্ত্রী আরও বলেন, বিগত ১০ বছরে কসবা-আখাউড়ায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। জনগণের ভালোবাসায় আগামীতেও এই উন্নয়ন অব্যাহত রাখা হবে। পরে মন্ত্রী খরমপুর কল্লা শহীদের (রহ.) মাজার জিয়ারত করেন।
এ সময় আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মমিন বাবুলসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সরকার নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেবে না, রুটিন কাজ করবে: আইনমন্ত্রী
বিএনপি নেতা-কর্মীদের ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বিচারকের মাধ্যমে শাস্তি দিচ্ছে সরকার: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপিকে নির্মূল করার জন্য সরকার ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বিচারকদের মাধ্যমে তড়িঘড়ি করে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের সাজা দিচ্ছে।
রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় আকস্মিক সমাবেশে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীদের কারারুদ্ধ করে সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা রিজভীর সমাবেশ থেকে গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ পিকেটারদের
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন
করতে সরকার ক্যাঙ্গারু কোর্ট স্থাপন করেছে। সেখানে দিন-রাত চলছে কাল্পনিক মামলার বিচার। পুলিশ কাল্পনিক মামলা দায়ের করছে এবং তারা সাক্ষ্যও দিচ্ছে।
তিনি বলেন, কিছু ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বিচারক আইন উপেক্ষা করে প্রহসনমূলক বিচারের নামে বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক রায় দিচ্ছেন। আমরা বলতে চাই, এই অবৈধ ও ফ্যাসিবাদী সরকারের নির্দেশিত রায় ও সাজা দিয়ে টিকে থাকতে পারবে না।
রিজভী বলেন, বিভিন্ন ‘মিথ্যা’ মামলায় বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে নির্বাচনী মাঠ থেকে নির্মূল করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তারাই (ক্ষমতাসীন দল) শুধু মাঠে আছে। এক সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা ডামি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে। এরপর আপিল করে বাতিল হওয়া সব মনোনয়নপত্র বৈধ করছে।’
তিনি অভিযোগ করেন- সরকার ও নির্বাচন কমিশন অনেক স্বতন্ত্র ও ডামি প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনের নামে খেলা করছে।
তিনি বলেন, ‘এসব করে কোনো লাভ হবে না, কারণ জনগণ সরকারের সব নীল নকশা ধরে ফেলেছে। মানুষ জেগে উঠেছে এবং রাস্তায় নেমে এসেছে। দেশের জনগণ সরকারের আসন ভাগাভাগির নির্বাচন প্রতিহত করবে।’
বিরোধী দলের ৩৬ ঘণ্টার অবরোধের সমর্থনে সকাল ৭টার দিকে যুবদল ও ছাত্রদলের ২০-২৫ জন নেতা-কর্মীকে নিয়ে বাংলামোটর এলাকায় আকস্মিক মিছিল বের করেন রিজভী।
তারা অবরোধের পক্ষে এবং ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের তফসিলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
রাজধানীর ধানমন্ডি, তেজগাঁও, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, কারওয়ান বাজার, বনানী, ঝিগাতলা, দৈনিক বাংলা, ফকিরাপুল, খিলগাঁও, আরামবাগ, মগবাজার, সেগুনবাগ, সেন্ট্রাল রোড, রামপুরাসহ বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আকস্মিক মিছিল বের করে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে ৩৬ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধ করেছে বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলো।
গত ৩১ অক্টোবর থেকে বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা এটি ছিল ১১তম অবরোধ।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা-কর্মীরা কারাগারে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন: রিজভী
আগামী ১০ ডিসেম্বর মানববন্ধন করবে বিএনপি: রিজভী
আওয়ামী লীগ নেতা মায়ার বড় ছেলে দীপু মারা গেছেন
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বড় ছেলে সাজেদুল হোসেন চৌধুরী (দিপু) মারা গেছেন।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর।
তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে এবং অসংখ্য বন্ধুবান্ধব ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন: শনিবারের সহিংসতায় আহত সাংবাদিক রফিক ভূঁইয়া মারা গেছেন
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, হৃদরোগ ও ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন সাজেদুল হোসেন চৌধুরী (দিপু)।
এছাড়া দিপু চৌধুরী ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা এবং বর্তমানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন।
আরও পড়ুন: আ. লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ডা. এখলাস মারা গেছেন
মারা গেছেন পরীমণির নানা
চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশের অর্থনীতি জিম্মি: ব্যবসায়ী নেতারা
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশের অর্থনীতি চাপের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী নেতারা।
রাজধানীর নয়াপল্টনে তাদের মহাসমাবেশ বানচাল হওয়ার একদিন পর গত ২৯ অক্টোবর থেকে বিরোধী দল বিএনপি এবং সমমনা দলগুলো দফায় দফায় অবরোধ ও হরতাল দেওয়া শুরু করেছে।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম। প্রতিবেদনের পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক খাতে ২০ দিনের হরতাল ও অবরোধের (২৯ অক্টোবর থেকে ২০ নভেম্বর) আর্থিক ক্ষতি দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা (প্রতিদিন ৬৫০০ কোটি টাকা)।
তিনি বলেন, ‘হরতাল-অবরোধের কারণে দিনে ৬৫০০ কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাই আমরা বারবার বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে আর্থিক ক্ষতির কারণ এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী কর্মকাণ্ড এড়িয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছি।’
হরতাল-অবরোধের প্রচার-প্রচারণা স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে পুরোপুরি ব্যাহত করতে ব্যর্থ হলেও, এই অস্থিরতা পরিবহন খাতকে মারাত্মকভাবে আঘাত করেছে এবং পণ্য পরিবহনকে ব্যাহত করেছে; যার ফলে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে।
একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দেশের আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি সরকার প্রত্যাখ্যান করায় বিরোধীরা রাস্তায় অবস্থানের আশ্রয় নিয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে বৃহত্তর সংলাপের প্রস্তাব ডিসিসিআই সভাপতির
পরিবহন মালিকেরা জানায়, এ খাতের আনুমানিক আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে প্রতিদিন প্রায় ১৬১ কোটি টাকা। এ হিসেবে ২০ দিনের হরতাল-অবরোধে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩ হাজার ২২০ কোটি টাকা।
ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ইউএনবিকে বলেন, ‘হরতাল ও অবরোধের ফলে আর্থিক ক্ষতি বহুমাত্রিক এবং আপনি এটি শুধু আর্থিক পরিসংখ্যানে হিসাব করতে পারবেন না।’
তিনি বলেন, রাজনৈতিক বা অন্য কোনো কারণে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হলে বাংলাদেশ বা অন্য কোনো দেশের আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী দল ও বৈশ্বিক ক্রেতারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। তারপরে তারা তাদের ক্রয় আদেশ এবং বিনিয়োগ পরিকল্পনাগুলো আরও সুরক্ষিত ও স্থিতিশীল এলাকায় সরিয়ে নেয়।
থিংক ট্যাংক সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘যখন একটি বড় বৈশ্বিক ক্রেতা একটি দেশ থেকে অর্ডার স্থানান্তর করে, তখন ছোট ক্রেতারাও তাদের অনুসরণ করে।’
ড. দেবপ্রিয়র কথার প্রতিধ্বনি করেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর।
তিনি বলেন, একটি ক্রমবর্ধনশীল অর্থনীতির জন্য বৈশ্বিক বিনিয়োগ ও বৈশ্বিক ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে প্রতিটি সেক্টরে স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রয়োজন।
তিনি বলেন, কারণ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পূর্ণরূপে আর্থিক লাভ বা ক্ষতির সঙ্গে সম্পর্কিত। ক্রেতা ও বিনিয়োগকারীরা সব সময়ই আর্থিক লাভের জন্য বিনিয়োগের জায়গা সন্ধান করে। তারা নিরাপদ স্থানে বিনিয়োগ করতে জন্য পছন্দ করে।
বিক্ষোভে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে পরিবহন খাতে। দূরপাল্লার আন্তঃজেলা বাসগুলো স্টেশনে অলস বসে আছে। অগ্নিসংযোগের ভয়ে সিটি বাসগুলোকে কম যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে হয়েছে। এতে অনেক পরিবহন শ্রমিক কর্ম ও বেতনহীন হয়ে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ গভীর খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে: ড. দেবপ্রিয়
মহাখালী আন্তঃনগর বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম ইউএনবিকে বলেন, স্বাভাবিক সময়ে মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন প্রায় ৭০০ গাড়ি ছেড়ে যায়। হরতাল-অবরোধের কারণে তা এখন দিনে ১০০-তে নেমে এসেছে।
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন, সপ্তাহে মাত্র দুই দিন বাস চালানোর ফলে শ্রমিকদের মজুরি ও জ্বালানি খরচ মেটানোটা আর্থিকভাবে চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়েছে। ফলে ব্যবসার মালিকরা বাস পরিচালনার খরচ ও ব্যাংক ঋণের কিস্তিসহ অন্যান্য ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, রাজধানীতে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে তিন হাজার বাস চলাচল করে। মালিক ও শ্রমিকেরা মিলে প্রতিদিন ১ দশমিক ৫৮ কোটি টাকা আয় করেন, গড়ে প্রায় ৪৫০০ টাকা।
তবে, এই আয় ৩২ দশমিক ৫০ লাখ টাকায় নেমে এসেছে। যার ফলে হরতাল-অবরোধের কারণে রাজধানীতে বাস চলাচলের জন্য দৈনিক ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা লোকসান হচ্ছে।
মাহবুবুর বলেন, সাধারণ পরিস্থিতিতে সারাদেশে প্রায় ২ লাখ দূরপাল্লার বাস ট্রিপে প্রত্যেকে প্রায় ১০ হাজার টাকা আয় করে, যার ফলে দেশব্যাপী দৈনিক ২০০ কোটি টাকা আয় হতো।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের গণমাধ্যম শাখার তথ্য অনুযায়ী, ২৮ অক্টোবর থেকে ২৯ নভেম্বর সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মোট ২২৮টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের গণমাধ্যম শাখা শুধু অগ্নিসংযোগের ঘটনা রেকর্ড করে।
ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম শাখার উপসহকারী পরিচালক শাহজাহান সিকদার বলেন, একটি গাড়িতে আগুন দেওয়ার পর ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ঘটনাস্থল থেকে বা ঘটনাস্থলের কাছাকাছি থেকে তথ্য পায়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই সময়ে অগ্নিসংযোগের আরও কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে, তবে ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমকে সেগুলো জানানো হয়নি।
যেসব ঘটনার তথ্য জানানো হয় না, সেক্ষেত্রে স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেলেছে। অর্থাৎ, পরিবহন কর্মচারীরা নিজেরাই বা যাত্রী ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আগুন নেভানো হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম শাখার উপ-সহকারী পরিচালক বলেন, এক্ষেত্রে অগ্নিসংযোগের ঘটনাগুলো ফায়ার সার্ভিসের পরিসংখ্যানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
শাহজাহান বলেন, গত এক মাসে ২৮ অক্টোবর থেকে ২৯ নভেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত মোট ২১৭টি গাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সবসময়ই অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা তৈরি করে: আহসান মনসুর
খাগড়াছড়িতে বিএনপির ৬ নেতা-কর্মী আটক
খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) চালের ট্রাকে আগুন দেওয়ার মামলার এজহারভুক্ত আসামিসহ বিএনপির ছয় নেতা-কর্মীকে আটক করেছে গুইমারা থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারেরা হলেন-গুইমারা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আ. লতিফ, তার ছেলে এইচ এম বিজয়, আ. আজিজ, মুক্তার আলী মুসল্লি, মো. সাইদুল ইসলাম ও বাবুল খাঁ। তারা সকলে গুইমারা উপজেলার বাসিন্দা।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব চন্দ্র কর।
তিনি বলেন, গত ২৬ নভেম্বর গুইমারার হাফছড়িতে ট্রাকে আগুনের ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামিসহ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে গুইমারা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সোহাগ।
তিনি বলেন, ট্রাকে আগুন বা নাশকতার কোনো কাজে জড়িত নয় গ্রেপ্তারেরা। মিথ্যা বানোয়াট ও হয়রানিমূলকভাবে পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপির ১০ নেতা-কর্মীকে আটকের অভিযোগ
সিলেটে বিএনপি ও যুবদলের ২ নেতা গ্রেপ্তার
প্রধান বিচারপতির কাছে স্মারকলিপি পেশ গ্রেপ্তার ও কারাবন্দি বিএনপি নেতা-কর্মীদের স্বজনদের
চট্টগ্রামে বিএনপির ১০ নেতা-কর্মীকে আটকের অভিযোগ
বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলাকালে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগরী ও জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশ কমপক্ষে ১০ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে বলে দাবি করেছে দলটি। তবে, পুলিশের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। আজ সন্ধ্যায় বিএনপির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হরতালের সমর্থনে নগরীর কালামিয়া বাজার এলাকায় পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ড মহিলাদলের মিছিল করার সময় ওয়ার্ড মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক কহিনুর আকতার, সখিনা বেগম ও আনিকা মনিকে আটক করে বাকলিয়া থানা পুলিশ।
এছাড়া, বুধবার বিকালে চট্টগ্রাম আদালতে মামলার হাজিরা দিয়ে ফেরার সময় রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে থেকে দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি আবদুর রহিম, যুগ্ম সম্পাদক হাসান রুবেল, প্রচার সম্পাদক মো. হেলাল, বিএনপি নেতা মো. শাহাবুদ্দিন ও মো. রুবেলকে আটক করেছে হালিশহর থানা পুলিশ।
অন্যদিকে, বুধবার রাতে চকবাজার থানা যুবদলের আহ্বায়ক মো. সেলিমকে বহদ্দারহাট থেকে চান্দগাঁ থানা ও বক্সির হাট ওয়ার্ড যুবদল নেতা মো. বেলালকে শাহ আমানত সংযোগ সড়ক থেকে আটক করেছে বাকলিয়া থানা পুলিশ।
তবে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)আফতাফ আহমেদ জানিয়েছেন, আজ বাকলিয়া এলাকায় বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী আটক নেই।
এদিকে, হরতালের সমর্থনে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল হালিম শাহ আলম ও সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হালিম স্বপনের নেতৃত্বে জামাল খান মোড় থেকে গণি বেকারি ও চট্টগ্রাম কলেজ এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা পিকেটিং ও বিক্ষোভ মিছিল করে।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির কাছে স্মারকলিপি পেশ গ্রেপ্তার ও কারাবন্দি বিএনপি নেতা-কর্মীদের স্বজনদের
সিলেটে বিএনপি ও যুবদলের ২ নেতা গ্রেপ্তার
খাগড়াছড়িতে বিএনপির ৬ নেতা-কর্মী আটক
সীতাকুণ্ডে আ. লীগ নেতার বাড়ির সামনে ককটেল বিস্ফোরণ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির বাড়ির দরজার সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের গোলাবাড়িয়াস্থ বাকের ভূঁইয়ার বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
আব্দুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া বলেন, সীতাকুণ্ড আসনে যিনি নৌকা প্রতীক পেয়েছেন তার সমর্থনে সীতাকুণ্ডে আনন্দ মিছিল হয়েছে। মিছিল শেষে বাড়ি যাওয়ার পথে তার কর্মী-সমর্থকরা শ্লোগান দিয়ে কোনো কারণ ছাড়াই আমার বাড়ির গেইটের সামনে ১০/১২টি ককটেল হামলা চালায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আবু সাঈদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সভাপতির বাড়ির সামনে কে বা কারা ককটেল ছুঁড়ে মারলে সেগুলো বিস্ফোরিত হয়। তবে কেউ হতাহত হয়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বেনাপোল থেকে ২১টি ককটেল উদ্ধার
রাজধানীর মৌচাকে ইউএনবি কার্যালয়ের কাছে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ