বগুড়া
ফেসবুকে 'ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন' স্ট্যাটাস দিয়ে স্কুলছাত্রের আত্মহত্যা
বগুড়ায় ফেসবুকে 'ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন' স্ট্যাটাস দিয়ে মো. নাইম (১৫) নামের এক স্কুলছাত্রের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে।
রবিবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৯ টার দিকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠায়।
নাইম বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের সুদামপুর নয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে।
সে মহাস্থান উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল এবং আগামী বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতো।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় চিরকুট লিখে ইন্টার্ন চিকিৎসকের আত্মহত্যা!
শিবগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম নিশ্চিত করে জানান, শনিবার মধ্য রাতের কোন এক সময় নাইম তার শোবার ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। বাড়ির পাশে থাকা কাঁঠাল গাছের সঙ্গে গরু বাঁধার দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে সে আত্মহত্যা করে। পরিবারের সদস্যরা সকালে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
তিনি জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নাইম তার ব্যবহত ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট দেয়। সেখানে লিখা ছিল, 'ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন'। এছাড়াও তার ব্যবহত ফেসবুক আইডির বায়োতে লেখা আছে, 'কাউকে না বলেই চলে গেলাম, সবাই আমাকে ক্ষমা করে দিয়েন'।
তিনি আরও বলেন, এইসব হৃদয় বিদারক লেখা থেকে বোঝা যায় নাইম মানসিক সমস্যায় ছিল। এছাড়া পরিবারের বরাতে জেনেছি, কোন এক মেয়ের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর থেকেই নাইম বিষাদগ্রস্ত ছিল।
এ ঘটনায় অভিযোগ সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: বরিশালে নার্সিং কলেজ ছাত্রীর ‘আত্মহত্যা’
নড়াইলে দুই সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা!
শীতের পোশাক পেল পথশিশুরা, সঙ্গে দেয়া হলো চাইনিজ খাবার
ব্যতিক্রমী এক আয়োজন হয়ে গেল বগুড়া শহরের বস্তিতে বেড়ে ওঠা সুবিধা বঞ্চিত পথশিশুদের নিয়ে। প্রায় অর্ধশত সুবিধা বঞ্চিত শিশুকে চাইনিজ রেস্টুরেন্টে নিয়ে খাওয়ানোর পাশাপাশি তাদের দেয়া হলো শীতের উপহার।
সোমবার বিকালে শহরের স্কাইভিউ চাইনিজ রেস্টুরেন্টে ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজনটি করে দিল-দিগন্ত ফাউন্ডেশন এবং ইয়েস বিডি নামের দুটি সংগঠন।
অনুষ্ঠানে বগুড়া রেল স্টেশন বস্তির পথের দিশা ভাসমান স্কুলের সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জ্যাকেট এবং ট্রাউজার প্রদান করা হয়। পরে শিশুদের জন্য চাইনিজ খাবার পরিবেশন করা হয়।
আরও পড়ুন: পথশিশুদের এক রাতের মেহমানখানা
বগুড়ায় টাকার জন্য স্কুল শিক্ষার্থীর হাতে শিক্ষার্থী খুন
বগুড়ার শিবগঞ্জে টাকার জন্য পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রকে খুন করেছে অপর শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।
বগুড়ার শিবগঞ্জে আবু হুরায়রা নামের ওই ছাত্রকে টাকার জন্য খুন করা হয় বলে জানিয়েছে মোকামতলা পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (ইন্সপেক্টর) আশিক ইকবাল।
আরও পড়ুন: আরবি পড়তে যাওয়ার পথে খুন হলো ৯ বছরের শিশু
নিহত হুরায়রা শিবগঞ্জ উপজেলার কড়িবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং কড়িবাড়ি দক্ষিণপাড়ার মনজুরুল ইসলামের ছেলে। সোমবার রাতে সৈয়দপুর ইউনিয়নের বজলুর মোড় এলাকার একটি বাঁশঝাড় থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিকে গ্রেপ্তার পাঁচ শিশুর মধ্যে তিনজন সপ্তম শ্রেণিতে, একজন হাফেজিয়া মাদরাসায় পড়াশোনা করেন ও একজন এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘুরতে যাওয়ার জন্য গ্রেপ্তার পাঁচ শিশু আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু তারা টাকা সংগ্রহ করতে পারছিল না। পরে তারা প্রতিবেশি আবু হুরায়রাকে অপহরণ করে টাকা সংগ্রহের পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী স্কুল ছুটির পর তারা আবু হুরায়রাকে ডেকে নিয়ে হনুমান দেখানোর কথা বলে পাশের এক জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে নেয়ার পর তারা জোর করে হুরায়রার সাইকেল কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এতে বাধা দিলে তারা সবাই মিলে হুরায়রাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে তারা স্থানীয় ডাকুমারা হাটে ওই সাইকেল দুই হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি করে।
এদিকে রাত হয়ে যাওয়ার পরেও হুরায়রা বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় জানানো হয় এবং খোঁজাখুঁজি শুরু হয়।
এক পর্যায়ে ডাকুমারা হাটে হুরায়রার সাইকেল দেখতে পেয়ে দোকানীর বরাতে জানা যায় এক কিশোর সাইকেলটি বিক্রি করেছে।
পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচ শিশুকে গ্রেপ্তার করে।
মোকামতলা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আশিক ইকবাল জানান, হুরায়রার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় জোড়া খুন মামলার প্রধান আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
কুমিল্লায় জোড়া খুন মামলার ২ আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
বগুড়ায় কারাগারে হাজতির মৃত্যু
বগুড়ায় কারাগারে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে তিনি মারা যান।
মৃত সুমন ইসলাম (২৬) বগুড়ার ধুনটের এলাঙ্গী গ্রামের মৃত হাবিবর রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু
বগুড়ার জেল সুপার মনির আহম্মেদ কয়েদীর মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শুক্রবার রাতে সুমন বগুড়া কারাগারে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় চিকিৎসার জন্য বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জেল সুপার আরও জানান, সুমন ধুনট থানায় দায়ের হওয়া মাদকদ্রব্য আইনের মামলায় গত ২৩ ডিসেম্বর থেকে কারাগারে ছিলেন। তার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে হাজতির মৃত্যু
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ২ হাজতির মৃত্যু
বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনে উপনির্বাচন: হিরো আলমসহ ১১ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল
বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের পর শূন্য বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে বহুল আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমসহ ১১ প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বগুড়া জেলা প্রমাসক মো. সাইফুল ইসলাম।
ওই দুই আসনে মোট ২২জন প্রার্থীর মধ্যে বাতিল হয়েছে বগুড়া-৪ আসনে পাঁচজন এবং বগুড়া-৬ আসনে ছয়জনের।
বগুড়া-৪ আসনের বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মোস্তফা, ইলিয়াস আলী, সাবেক বিএনপি নেতা কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল, আব্দুর রশিদ ও আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।
বগুড়া-৬ আসনে- বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মনসুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী সরকার বাদল, আব্দুল মান্নান আকন্দ, সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠু, হিরো আলম ও রাকিব হাসান।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় দুই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের মনোনয়ন সংগ্রহ
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের দুই আসনেই ১ শতাংশ ভোটার সমর্থক তালিকায় গড়মিল পাওয়া গেছে। একই রকম গড়মিলের কারণে বাতিল হয়েছে অন্য প্রার্থীদের মনোনয়নও।
সাইফুল ইসলাম জানান, প্রত্যেকের দাখিল করা তথ্যে গড়মিল থাকায় মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তবে কারও আপত্তি থাকলে আপিল করতে পারবেন।
মনোনয়নপত্র বাতিলের পর হিরো আলম বগুড়া ডিসি অফিসে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, আমি আপিল করবো। মনোনয়নপত্র বৈধ হলে নির্বাচনে লড়বো।
এদিকে বগুড়া-৬ আসনে বাতিলের পর মনোনয়ন বৈধ হয়েছে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রাগেবুল আহসান রিপু এবং জাপা ও জাসদসহ সাতজনের। আর বগুড়া-৪ আসনে বৈধ প্রার্থী রয়েছেন ১৪ দলের প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেন ও জাপাসহ চারজন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী- শূন্য ছয়টি আসনে উপনির্বাচন হবে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৫ জানুয়ারি। সবকটি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: আর ‘বিকৃত’ করে গান গাইবেন না হিরো আলম
বউ পেটানোর মামলায় হিরো আলম কারাগারে
ছাদ থেকে পড়ে চোরের মৃত্যু
বগুড়ায় চুরি করতে গিয়ে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে এক চোরের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও এক চোর।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার এরুলিয়া ইউনিয়নের শিকারপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত রাশেদুল ইসলাম রয়েল (৩৪) ওই এলাকায় মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
আরও পড়ুন: কালীগঞ্জে গাছ থেকে পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
এ ঘটনায় নিহত রাশেদুলের সহযোগী লাল মিয়াকে আহত অবস্থায় আটক করেছে পুলিশ। আহত লাল সদর উপজেলার হাজরাদিঘী গ্রামের মকবুল মিয়ার ছেলে।
বগুড়া সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রহিম উদ্দীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রহিম উদ্দীন বলেন, সদর উপজেলার শিকারপুর এলাকায় হামিদ আলীর পাঁচতলা নির্মাণাধীন ভবন রয়েছে। সেই ভবনের চারতলায় কিছু লোহার যন্ত্রাংশ ও রড রাখা আছে। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে চুরির উদ্দেশ্যে রাশেদুল ও লাল মিয়া চার তলায় ওঠে।
এ সময় স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের ধাওয়া করলে রাশেদুল চার তলার ছাদ থেকে পা ফসকে নিচে পড়ে যান। এতে মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এ সময় আহত লাল মিয়াকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আহত লাল মিয়া জানিয়েছে, তারা লোহার যন্ত্রাংশ ও রড চুরির উদ্দেশ্যে ওই ভবনে প্রবেশ করেছিলেন।
এসআই আরও জানান, রাশেদুলের লাশ শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
আইনগত প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীসহ ৩ জনের মৃত্যু
নড়াইলে নবগঙ্গায় নৌকাডুবে মা ও ছেলের মৃত্যু
বগুড়ায় আজিজুল হক কলেজ মাঠে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ মাঠে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে কলেজের কমার্স ভবনের মাঠ থেকে এ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত অজ্ঞাত ব্যক্তির আনুমানিক বয়স ৩৫ বছর হবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাবু কুমার সাহা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
তিনি জানান, সকালে কলেজ মাঠে খেলার সময় শিক্ষার্থীরা একটি লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। নিহতের শরীরে প্রাথমিক অবস্থায় কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে কীভাবে ও কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা জানার জন্য ময়নাতদন্ত করতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের মর্গে লাশ পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নিহতের পরিচয় বের করতে পুলিশ কাজ করছে।
সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শাহজাহান আলী জানান, কমার্স ভবনের সামনে খেলার মাঠ থেকে একটি লাশ উদ্ধার হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: পদ্মা নদীতে ডুবে স্ত্রীর মৃত্যুর একদিন পর স্বামীর লাশ উদ্ধার
ঝালকাঠিতে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
গেম নিয়ে দ্বন্দ্ব, বন্ধুর ছুরিকাঘাতে কিশোর খুন
বগুড়ার শিবগঞ্জে ফ্রি ফায়ার গেমস এর আইডি নিয়ে দ্বন্দ্বে এক বন্ধুকে গলাকেটে হত্যা করেছে আরেক বন্ধু। বুধবার দুপুরে বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এ ঘটনায় জড়িত বন্ধুকে ঢাকার মনিপুরীপাড়া এলাকা থেকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাপাতি ও জ্যাকেটও উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ছুরিকাঘাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিদর্শকসহ আহত ২
হত্যাকাণ্ডে জড়িত কিশোর অপ্রাপ্ত বয়সের হওয়ায় তার নাম পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। সে বগুড়া শহরের একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
হত্যার শিকার কিশোর সিফাত বগুড়া শহরের নূরানীমোড় এলাকার শাহ আলমের ছেলে।
পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী জানান, মোবাইল গেম 'ফ্রি ফায়ার' খেলাকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়েছে। ওই গেমের আইডি ও পাসওয়ার্ড না দেয়ার কারণে সিফাতকে নৃশংসভাবে খুন করে তারই কিশোর বন্ধু।
তিনি জানান, সিফাতের কাছ থেকে কৌশলে তার কিশোর বন্ধু ফ্রি ফায়ার গেমের আইডি ও পাসওয়ার্ড নেয়। সিফাত ওই গেম তার কিশোর বন্ধুর কাছে বারবার ফেরত চাইলে সে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরবর্তীতে কয়েকজন বন্ধুর সহায়তায় সিফাত ওই গেম আইডি ফেরত নেয়।
২৫ ডিসেম্বর সিফাত তার বোনের মুঠোফোন ঠিক করতে বাহিরে আসে। এ সময় হত্যাকারী ওই কিশোর বন্ধু তাকে নিজ দাদার বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার নিশ্চিন্তপুর নিয়ে যায়। ওইদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই স্থানে এক বাঁশ বাগানে সিফাতকে নিয়ে গিয়ে প্রথমে গলায় ধারালো চাপাতি দিয়ে আঘাত করে ওই কিশোর বন্ধু। সিফাত এ সময় মাটিতে পড়ে গেলে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে ও বাম হাতের রগ কেটে হত্যা করে।
হত্যার পরেরদিন পুলিশ লোকমুখে খবর পেয়ে শিবগঞ্জ উপজেলার নিশ্চিতপুর থেকে সিফাতের লাশ উদ্ধার করে। পরে বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে।
হত্যাকাণ্ড শেষে ওই বন্ধু ঢাকায় পালিয়ে মনিপুরী পাড়ায় আশ্রয় নেয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের একমাত্র আসামি সিফাতের বন্ধু অপ্রাপ্ত বয়স্ক। এ ঘটনায় আরও তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
বগুড়ায় ‘বিলিয়ার্ড’ খেলতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
জাতীয় পাতাকা টানাতে গিয়ে ছেলের মৃত্যু, বাবা আহত
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় মসজিদের ছাদে জাতীয় পতাকা টানাতে গিয়ে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে ছেলের মৃত্যু হয়েছে এবং বাবা আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮ টার দিকে ওই উপজেলার দীঘকান্দি তরফদারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: তামাবিলে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার
মৃতের নাম সাফি (৩৫)। আহত ব্যক্তি তার বাবা মাহফুজার রহমান ওরফে মোফাজ্জল (৬৫)। তিনি দীঘলকান্দি তরফদারপাড়া জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন। ওই মসজিদের পাশেই তাদের বাড়ি।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন সারিয়াকান্দি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খোকন।
তিনি বলেন, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সকালে মসজিদের ছাদে পতাকা টানাতে যান মোফাজ্জল। এক পর্যায়ে ছাদের ওপর দিয়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
ওই সময় বাবাকে বাঁচাতে যান সাফি। তখন সাফিও বিদ্যুতায়িত হয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় গুরুতর আহত হন মোফাজ্জল।
চিকিৎসার জন্য মোফাজ্জলকে ঢাকায় নেয়া হয়েছে। মোফাজ্জল পেশায় কৃষক এবং সাফি ইলেক্ট্রিশিয়ান ছিলেন।
আরও পড়ুন: শেরপুরে ল্যাট্রিনের কুয়া থেকে মা-ছেলের লাশ উদ্ধার, স্বামী-শাশুড়িসহ আটক ৩
খুলনায় ৯ বছরের শিশুর লাশ উদ্ধার
বগুড়ায় বিজয় দিবসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের হাতাহাতি
বগুড়ায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মহান বিজয় দিবসে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে দুই গ্রুপের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জাতীয় পতাকাসহ দলীয় সব পতাকা উত্তোলনের পরে এ ঘটনা ঘটে৷
এ সময় দলীয় কার্যালয়সহ সাতমাথা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে হাতাহাতি ও ধাওয়ার ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
আরও পড়ুন: সিলেটে আ'লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া
এসময় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকলেও নিরব দর্শক ছিলেন তারা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সকালে দলীয় কার্যালয়ের সামনে পতাকা উত্তোলনসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতারা জাতীয় পতাকাসহ দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপরেই জেলা ছাত্রলীগের কাঙিক্ষত পদ বঞ্চিত নেতাকর্মীরা শ্লোগান শুরু করেন।
এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের নেতাকর্মীরা শ্লোগান শুরু করলে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা তাদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন ও ধাওয়া দেন।
এ সময় দলীয় কার্যালয় ও সাতমাথা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ধাওয়া ও হাতাহাতির ঘটনায় ছাত্রলীগের দু'পক্ষের কেউ আহত হয়নি বলে জানা গেছে।
এসময় সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকলেও তারা কোন অ্যাকশনে যাননি। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের কোন পক্ষ কথা বলেননি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৮ জন আহত
কুষ্টিয়ায় শোক সভায় আ. লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০