দুদক
খুলনায় পুকুর থেকে দুদকের আইনজীবীর লাশ উদ্ধার
খুলনায় পুকুর থেকে দুদকের এক আইনজীবীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৬ জুলাই) বটিয়াঘাটার কাজিবাছা নদী সংলগ্ন হ্যাচারির পুকুর থেকে এ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আইনজীবী লুৎফুল কবির নওরোজ (৫৮) দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি)। লাশের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় মাঠ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
রূপসা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. নুরুল ইসলাম জানান, হ্যাচারির পুকুরটি কাজিবাছা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত। নদীর জোয়ারের পানি পুকুরটিতে যায়।
তিনি আরও বলেন, নদী থেকে লাশটি ভাসতে ভাসতে পুকুরে যেতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। লাশের পকেট থেকে মোবাইল ফোন ও আইডি পাওয়া গেছে।
এছাড়া গত ২/৩ দিন ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
দুদক খুলনার বিভাগীয় স্পেশাল পিপি খন্দকার মুজিবুর রহমান জানান, তার সহকর্মী আইনজীবী লুৎফুল কবির নওরোজ গত বৃহস্পতিবার আদালতে আসেননি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল। ফলে তারা কোনও খোঁজ নিতে পারেননি। আজও আদালতে আসেননি, রাতে তার লাশ উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতার লাশ উদ্ধার
সিলেটে তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
আপন জুয়েলার্সের মালিক গুলজারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অবৈধভাবে ৩০ কোটি টাকার বেশি সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আপন জুয়েলার্সের মালিক গুলজার আহমেদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) আরিফ সাদিক ইউএনবিকে জানান, সহকারী পরিচালক নেয়ামুল আহসান গাজী ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, দুদক তদন্তে তার স্থাবর সম্পদের ২২ কোটি ৫২ লাখ টাকা, অস্থাবর সম্পদ ৫২ কোটি ৪৭ লাখ এবং পারিবারিক ও ৮ কোটি ২৬ লাখ টাকার অন্যান্য খরচসহ ৮৩ কোটি ২৬ লাখ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ খুঁজে পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসিকে দুদকে তলব
কমিশন ৩০ কোটি ৫৩ লাখ টাকার সম্পদের আয়ের আইনী উৎস খুঁজে পায়নি এবং তার দায় ১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।
গুলজার আহমেদের কথিত অপরাধগুলো দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ধারা ২৬(২) এবং ২৭(১) এর অধীনে শাস্তিযোগ্য, কমিশন তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করতে প্ররোচিত করে।
এর আগে ২০১৭ সালে গুলজার আহমেদসহ আপন জুয়েলার্সের তিন মালিকের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে তদন্ত শুরু করে দুদক।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশের এসআই’র বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ওয়েস্ট জোন পাওয়ারের সাবেক এমডিসহ ৩ জনের নামে দুদকে মামলা
দুদক কমিশনার হিসেবে যোগ দিলেন আছিয়া খাতুন
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার হিসেবে সাবেক সচিব আছিয়া খাতুন দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। রবিবার (২ জুলাই) তিনি এই পদে যোগদান করেন।
আরও পড়ুন: ৩ ইসলামী ব্যাংকের কেলেঙ্কারি তদন্ত করবে দুদক
দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন আবদুল্লাহ ও কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক তাকে ফুলের তোঁড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
কমিশনের সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে সচিব মোহাম্মদ মাহবুব হোসেন, মহাপরিচালক, পরিচালক, উপ-পরিচালক, সহকারী পরিচালক এবং উপ-সহকারী পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন।
দুদক কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক খান গত ১ জুলাই অবসরে যান।
আরও পড়ুন: মতিঝিলে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগে দুদক কর্মকর্তাসহ গ্রেপ্তার ৪
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা জোরদার করুন: দুদকের প্রতি রাষ্ট্রপতি
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা জোরদার করুন: দুদকের প্রতি রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহর নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
দুর্নীতিকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রধান অন্তরায় উল্লেখ করে তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টিতে তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের মধ্যে প্রচারণা চালানোর জন্য দুদক প্রতিনিধিদলকে বলেন।
দুদকের সাবেক কমিশনার সাহাবুদ্দিনও দুর্নীতি দমন সংস্থাটিকে যেকোনো মামলার তদন্ত ও তদন্তের কাজগুলো দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেন।
বৈঠকে দুদক চেয়ারম্যান সংস্থাটির সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন বলে এক ব্রিফিংয়ে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের জানান।
সাহাবুদ্দিন কমিশনকে শক্তিশালী করতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
দুদক কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক খান ও মো. জহুরুল হক এবং এর সচিব মোহাম্মদ মাহবুব হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ১৯৭১’র গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য প্রচারণা জোরদার করুন: রাষ্ট্রপতি
নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি
ইউজিসিকে কর্মমুখী পাঠ্যক্রম চালু করার আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসিকে দুদকে তলব
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিলকে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পুলিশ স্কয়ার মার্কেট নির্মাণে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাৎ ও সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
বুধবার সকাল ১০টায় শহরের ঝিলটুলিস্থ ফরিদপুর দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে তাকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
আরও পড়ুন: জিকে শামীমের বিষয়ে সাক্ষ্য দিতে ৩ জনকে দুদকে তলব
প্রায় আড়াইঘণ্টা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের উপ-পরিচালক।
ওসিকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুরের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ জলিলের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানা সংলগ্ন দক্ষিণ পাশের পুলিশ স্কয়ার মার্কেট নির্মাণের সময় দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতির আশ্রয় ও তার ব্যক্তিগত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাকে ডাকা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, আমরা ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখছি। এজন্য তদন্তের সঙ্গে বিস্তারিত বলতে পারছি না। এছাড়াও ওসির বিরুদ্ধে সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে অসদাচরণ, থানায় ঘুষ গ্রহণসহ এ রকম অপরাধের সব রকম অভিযোগ আমাদের কাছে আছে। আমরা সব অভিযোগ তদন্ত করছি।
দুদকে তলবের বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ জলিল সাংবাদিকদের তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়গুলো অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন, পুলিশ স্কয়ার মার্কেটের বিষয়ে বেনামে চিঠির বিষয়ে আমাকে ডেকেছিল। অভিযোগের বিষয় ছিল- মার্কেট নিয়ে অনেক টাকা আত্মসাৎ হয়েছে কিন্তু মার্কেটতো সাবেক এসপি আলিমুজ্জামান স্যার থাকাকালীন হয়েছে এবং টাকার বিষয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখানে এক টাকাও এদিক-সেদিক হয়নি। সব টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে। একজন বেনামে চিঠি দিতেই পারে। ব্যক্তিগত সম্পদ অর্জন বা তার বিরুদ্ধে আনীত অন্যান্য অভিযোগগুলো বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
আরও পড়ুন: জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিল্পকলার ডিজিকে দুদকে তলব
ঠাকুরগাঁওয়ের ১৫ শিক্ষককে দুদকে তলব
চট্টগ্রামে পুলিশের এসআই’র বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সাবেক পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন কুমার দে’র বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) দুর্নীতি দমন কমিশন ঢাকা জেলা সমন্বিত-১ কার্যালয়ে মামলাটি করেন দুদক চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত-১ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহমুদা আক্তার।
এসআই সুমন কুমার দে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী থানাধীন বড় মহেশখালীর ননী গোপাল দের ছেলে। বর্তমানে তিনি রাঙ্গুনিয়া থানায় কর্মরত রয়েছেন।
আরও পড়ুন: কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ দখলের অভিযোগে স্বামী-স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অবৈধভাবে আয় করা ১৭ লাখ টাকার খোঁজ পেয়েছে দুদক পাঁচ বছর তার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষে মঙ্গলবার মামলা করে।
এর আগে সুমন চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন থানায় এবং বোয়ালখালী ও রাঙ্গুনিয়া থানায় কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে গাজীপুর শিল্প পুলিশে কর্মরত থাকার পর ফের চট্টগ্রাম রেঞ্জে বদলি হয়ে এসেছেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর ইনচার্জ ও দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত।
তিনি বলেন, মামলাটি ঢাকায় হয়েছে। অনুসন্ধান ও তদন্ত চট্টগ্রাম থেকে হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৭ সালে সুমন দের সম্পদ অনুসন্ধানে নামে দুদক। ২০১৮ সালের মার্চে দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন এসআই সুমন দে। সম্পদ বিবরণীতে সুমন নিজ নামে ৩৬ লাখ ৫৪ হাজার ২৭০ টাকার স্থাবর এবং ১৮ লাখ ৩৮ হাজার ৩৭৯ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ সর্বমোট ৫৪ লাখ ৯২ হাজার ৬৪৯ টাকার সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দেন।
এছাড়াও আয়কর নথি অনুযায়ী সুমন কুমার দে ৪ লাখ ৯২ হাজার ৮০ টাকা পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় করেছেন বলে উল্লেখ করেন। অর্থাৎ পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয়সহ তার মোট সম্পদ অর্জনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৯ লাখ ৮৪ হাজার ৭২৯ টাকা।
দুদক জানায়, সুমন কুমার ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং ফাইন্যান্স করপোরেশন লিমিটেড (ডিবিএইচ) থেকে ১৫ লাখ টাকার ঋণ নেন। এর মধ্যে ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ৩ হাজার ৭৮৯ টাকা এবং ২০১৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারিতে ৩ হাজার ৮১৯ টাকা কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করেন তিনি।
এছাড়াও তার নামে ১৪ লাখ ৮৮ হাজার ৫৪৩ টাকার ঋণ থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। অর্থাৎ সুমন কুমারের ৫৪ লাখ ৯২ হাজার ৬৪৯ টাকার সম্পদ অর্জনের বিপরীতে ঋণসহ সর্বমোট ৪২ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪৬ টাকার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায়। বাকি ১৬ লাখ ৯১ হাজার ৮৩ টাকা আয়ের উৎসের কোন দালিলিক কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।
এক্ষেত্রে সুমন কুমার ১৬ লাখ ৯১ হাজার ৮৩ টাকার সম্পদ তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণভাবে অর্জন করে ভোগ দখলে রেখেছেন বলে প্রতীয়মান হয়।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
দুদকের মামলায় তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তার সাক্ষ্য
চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পেলেন সম্রাট
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ আদালত-৬ এর বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে সম্রাটের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত আইনের মামলাটি চার্জ শুনানির জন্য ছিল। এজন্য এদিন সম্রাট সকালে আদালতে হাজিরা দেন।
তবে তার পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী এহসানুল হত সমাজী অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ৬ জুলাই অভিযোগ শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। সম্রাটের বিদেশে গিয়ে চিকিৎসার আবেদন করলে আদালত মঞ্জুর করেন।
সম্রাটের আইনজীবী এহসানুল হত সমাজী জানান, আজকে মামলাটি অভিযোগ শুনানির জন্য ধার্য ছিল।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি ১ জুন
তবে এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ কিছু ডকুমেন্ট আমরা এখনো সংগ্রহ করতে পারেনি। এজন্য সময়ে আবেদন করি।
তিনি আরও বলেন, আদালত সময়ের আবেদনটি মঞ্জুর করেন। এছাড়া, আমরা আজকে সম্রাটের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতির বিষয়ে শুনানি করেছি। আদালত স্বল্প সময় অর্থাৎ দুই মাসের মধ্যে পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেন। যে কোনো দেশে ভিসা পাওয়ার এক মাসের মধ্যে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার মৌখিকভাবে আদেশ দিয়েছেন।
জানা যায়, ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর মামলাটি তদন্ত করে সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
আরও পড়ুন: সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ৯ এপ্রিল
দুদকের মামলায় সম্রাটের চার্জ শুনানি পিছিয়ে ৮ নভেম্বর
ওয়েস্ট জোন পাওয়ারের সাবেক এমডিসহ ৩ জনের নামে দুদকে মামলা
৩৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ওয়েস্ট জোন পাওয়ারের সাবেক এমডিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (৩১ মে) দুদকের সহকারী পরিচালক তরুন কান্তি ঘোষ বাদী হয়ে খুলনায় সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: আইসিজেতে রোহিঙ্গা মামলায় অপর্যাপ্ত তহবিল নিয়ে ওআইসি মহাসচিবের উদ্বেগ
মামলার আসামিরা হলেন- ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিক উদ্দিন, বাংলাদেশ স্মার্ট ইলেকট্রিক্যাল কোম্পানির (বিএসইসিও) সাবেক পরিচালক (অর্থ) আব্দুল মোতালেব। মামলায় চীনের প্রতিষ্ঠান হেক্সিংয়ের কর্মকর্তা ইয়ে ওয়ন জুনকে তৃতীয় আসামি করা হয়েছে।
জানা যায়, ২০১৯ বাংলাদেশ স্মার্ট ইলেক্ট্রিক্যাল কোম্পানি (বেসকো) নামে প্রিপেইড মিটার তৈরির নতুন একটি কারখানা চালু করেছিলো ওজোপাডিকো ও চীনের প্রতিষ্ঠান হেক্সিং ইলেট্রিক্যাল লিমিটেড।
শফিক উদ্দিন পদাধিকার বলে ওই কোম্পানি এমডি, ইয়ে ওয়েনজুন কোম্পানির ডিএমডি এবং কোম্পানি সচিব আবদুল মোতালেব ওই কোম্পানি ডিএমডি ছিলেন।
বেসকো পরিচালনায় দুর্নীত এবং প্রায় ২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা পাচারের চেষ্টা চালানোর অভিযোগ মামলাটি দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় আসামির মৃত্যুদণ্ড, বাদীর ৫ বছরের কারাদণ্ড
রাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি: ছাত্রলীগ নেতাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ড. ইউনূসসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কোম্পানির ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন (ডব্লিউপিপিএফ) থেকে প্রায় ২৫ কোটি টাকা অপব্যবহারে জড়িত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার নোবেল বিজয়ী ও গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের মহাপরিচালক রেজানুর রহমান জানিয়েছেন, কমিশনের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে ঢাকা জেলা সমন্বিত কার্যালয়-১ এ মামলাটি করেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে বিচার চলবে: আপিল বিভাগ
মামলা স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন ড. ইউনূসের
দুদকের মামলায় তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তার সাক্ষ্য
দুদকের করা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে এক বেসরকারি ব্যাংকের তিন কর্মকর্তা সাক্ষ্য দিয়েছেন।
সোমবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে এবি ব্যাংকের কারওয়ানবাজার শাখার সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম মুসা করিম, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ওবায়দুর রশিদ খান এবং কর্মকর্তা ইমরান আহমেদ সাক্ষ্য দেন।
তাদের সাক্ষ্য শেষে আদালত আগামীকাল মঙ্গলবার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল জানান, বিচারক এদিন তিনজনের জবানবন্দি শুনে মঙ্গলবার পরবর্তী শুনানির দিন রেখেছেন।
মামলাটিতে এখন পর্যন্ত ৫৬ সাক্ষীর মধ্যে ৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। তবে আসামিরা পলাতক থাকায় কোনো সাক্ষীকেই জেরার মুখোমুখি হতে হচ্ছে না।
গত ২১ মে মামলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক জহিরুল হুদার জবানবন্দি উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছিল।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় তারেক ও জোবায়দার বিচার শুরু
তারপর ২৫ মে সাক্ষ্য দেন পিরোজপুরের কাউখালীর এমরান আলী শিকদার এবং নড়াইলের লোহাগড়ার সৈয়দ আজাদ ইকবাল। তারা দুইজনই বিএনপির মুখপত্র দৈনিক দিনকাল পত্রিকার হিসাব বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
গত ১৩ এপ্রিল তারেক রহমান ও ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন একই আদালত।
এর আগে গত ১ নভেম্বর একই আদালত তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এরপর গত ১৯ জানুয়ারি তাদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক।
মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
২০০৮ সালে তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
আরও পড়ুন: তারেক-জোবায়দার দেশের বাইরে থেকে আইনি লড়াইয়ের সুযোগ নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল
তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা: চার্জ শুনানি ৯ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতবি