হাইকোর্ট
গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পর্যায়ে কমিটি কেন নয়: হাইকোর্ট
পরিবেশ রক্ষায় সারাদেশের গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পর্যায়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না- তা জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রিট আবেদনটির উপর গত সোমবার ও মঙ্গলবার শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান এবং বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে রুল জারি করেন।
সম্প্রতি তাপমাত্রা অত্যধিক বৃদ্ধি ও জনজীবন অতিষ্ঠ হওয়ার মধ্যেও বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে মর্মে সংবাদ প্রকাশিত হলে জনস্বার্থে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ গত রবিবার (৫ মে) হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দায়ের করে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন হাইকোর্টে স্থগিত
রুলে সারাদেশে গাছ কাটা বন্ধে (ব্যক্তি মালিকানাধীন গাছ ব্যতীত) ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না; ঢাকা শহর সহ অন্যান্য জেলা এবং উপজেলা শহরে গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না; সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০০৪ এর বিধানে গাছ লাগানোর চুক্তিভুক্ত পক্ষকে অর্থ প্রদানের বিধান সংযুক্ত করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না; গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে ৭ দিনের মধ্যে পরিবেশবাদী, পরিবেশ বিজ্ঞানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানের অধ্যাপকদের সমন্বয়ে একটি সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৭ দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার ইস্যু করে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পরিবেশ অফিসার, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি/সেক্রেটারি এবং সিভিল সার্জনের সমন্বয়ে কমিটি কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না; গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৭ দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার ইস্যু করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, সমাজকল্যাণ অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব ল্যান্ড এবং এলজিইডি এর এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারে সমন্বয়ে কমিটি গঠনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না; কমিটি গঠন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সকল বিবাদীগণ নিজ নিজ এলাকায় যাতে কোনো গাছ কাটা না হয় সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
দুই সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালণয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র; দুই সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশল, প্রধান বন সংরক্ষক; সড়ক মহাসড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ও বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপিকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
মঙ্গলবার আদালতে শুনানিতে সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রাক্কালে ও সরকারের অঙ্গীকার পরিবেশ রক্ষা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে যত্রতত্র গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। বিভিন্ন মিডিয়ায় যেভাবে রিপোর্ট প্রকাশিত হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে গাছ কাটার এক মহা উৎসব চলছে।
মনজিল মোরসেদ, শুনানিতে আরও বলেন, সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য ঢাকা শহরে যে পরিমাণ গাছপালা থাকা দরকার তা দিন দিন কমছে এবং সম্প্রতিকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। যার কারনে সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। অন্যদিকে সামাজিক বনায়ন চুক্তিতে সারাদেশে লাগানো গাছগুলো কেটে ফেলার কারণে পরিবেশের উপর বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। যা বন্ধ না হলে বাংলাদেশের পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে ও মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে পরিকল্পনা গ্রহণে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
ইসলামপুর পৌর মেয়রকে বরখাস্তের আদেশ হাইকোর্টে স্থগিত
তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে পরিকল্পনা গ্রহণে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
ঢাকাসহ সারাদেশে তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে যথাযথ কর্তৃপক্ষ গঠন এবং নীতি প্রণয়নে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকার দুই (উত্তর ও দক্ষিণ) সিটি করপোরেশন এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুরে শ্রম আদালতের মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টে স্থগিত
দেশে তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন- আইনজীবী মো. রওশন আলী।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ যুক্ত করে জনস্বার্থে রবিবার (৫ মে) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রওশন আলী এ রিট আবেদন করেন।
রিটে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকার দুই (উত্তর ও দক্ষিণ) সিটি করপোরেশন এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়।
আইনজীবী রওশন আলী বলেন, দেশের তাপপ্রবাহের এমন অবস্থা কয়েক বছরে হয়নি। কমপক্ষে ১০-১২ বছরে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়নি। তাই এর প্রতিকার হওয়া দরকার এবং বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। এ কারণে এ রিট আবেদন করা হয়। রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্ট রুল দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইসলামপুর পৌর মেয়রকে বরখাস্তের আদেশ হাইকোর্টে স্থগিত
ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন হাইকোর্টে স্থগিত
ইসলামপুর পৌর মেয়রকে বরখাস্তের আদেশ হাইকোর্টে স্থগিত
জামালপুরের ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র মো. আব্দুল কাদের সেখকে বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে কাদেরের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু।
আব্দুল কাদের সেখ ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং টানা তৃতীয়বারের মতো পৌরসভার মেয়রের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের
গত ২৯ এপ্রিল জামালপুর জেলার ইসলামপুর পৌরসভার সরকারি গুদামের মালামাল লুটসহ বিভিন্ন অভিযোগে মেয়র মো. আব্দুল কাদের সেখকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-১ শাখার উপসচিব মো. আব্দুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের সেখের বিরুদ্ধে উক্ত পৌরসভার ১১ জন কাউন্সিলর অভিযোগে করেন। স্বেচ্ছাচারী আচরণ, সরকারি গুদামের মালামাল লুট, আত্মসাৎ এবং দুর্নীতির অভিযোগগুলো তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩২ (১) (খ) (ঘ) এবং (২) অনুযায়ী তাকে মেয়রের পদ থেকে অপসারণ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩১(১) অনুযায়ী— পৌরসভা বা রাষ্ট্রের হানিকর কার্যকলাপে জড়িত থাকা এবং অসদাচরণ বা ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ইসলামপুর পৌরসভার মেয়রের পদ থেকে আব্দুল কাদের শেখকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
পরে ওই বরখাস্তের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন আব্দুল কাদের শেখ।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন হাইকোর্টে স্থগিত
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুরে শ্রম আদালতের মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টে স্থগিত
ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন হাইকোর্টে স্থগিত
ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন ২১ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৫ জুন এ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করার কথা ছিল।
জাকির হোসেনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত করে এ আদেশ দেন।
গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত প্রার্থী আবদুল হাই জয়ী হন। এরপর গত ১৬ মার্চ আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।
আরও পড়ুন: ইচ্ছেমতো ওষুধের দাম বাড়ানো বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ
পরে আগামী ৫ জুন এ আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি।
৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর জারি করা গেজেট বাতিল চেয়ে একটি নির্বাচনি রিট হাইকোর্টে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এদিকে এ আসনের উপনির্বাচনের তফসিল স্থগিত করে আগামী রবিবার (১২ মে) দিন ধার্য করেছেন আদালত।
গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম ওই আসনের গেজেটের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে নির্বাচনি আবেদন করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব ও ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম।
গত ১ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান গেজেট প্রকাশের ওপর দুই মাসের স্থগিতাদেশ দেন।
দুই মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই আবদুল হাই ইন্তেকাল করেন।
আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব বলেন, ইলেকশন পিটিশন নিষ্পত্তির আগেই উপনির্বাচন হলে পিটিশনটি অকার্যকর হয়ে যাবে। সেজন্য উপনির্বাচন স্থগিতের আবেদন জানাই। হাইকোর্ট ২১ দিনের জন্য এই উপনির্বাচনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন। একইসঙ্গে আগামী রবিবার থেকে নির্বাচনি পিটিশনের উপর শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
এর আগে গত ৭ জানুয়ারি ঝিনাইদহ-১ আসনে প্রায় ৪৯ শতাংশ ভোট পড়ে। কিন্তু নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা যায়, ভোট পড়েছে ৫৮ দশমিক ২৭ শতাংশ, যা প্রথম প্রতিবেদনের চেয়ে ২৮ হাজার ৩৮৯ ভোট বেশি।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ৮ জানুয়ারি ও ১০ জানুয়ারি প্রকাশিত ভোটের ফল ও গেজেট প্রকাশের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুরে শ্রম আদালতের মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টে স্থগিত
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুরে শ্রম আদালতের মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টে স্থগিত
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে দায়ের করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
পাশাপাশি এ মামলার বৈধতার প্রশ্নে রুল জারি করেছেন আদালত।
এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলির পুরস্কার নিয়ে গণহত্যার পক্ষ নিয়েছেন ড. ইউনূস: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ড. ইউনূসের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ড. ইউনুসের গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের একজন সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার ও একজন প্রোগ্রাম অফিসার পাওনা আদায়ের দাবিতে ২০২১ সালে রংপুরের শ্রম আদালতে শ্রম আইনে মামলা করেন। ওই মামলা তারা করতে পারেন না-এমন দাবিতে শ্রম আদালতে আবেদন করি। কিন্তু শ্রম আদালত সেটা খারিজ করে দেন। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করা হয়। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করে মামলাটি কেন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন। একই সঙ্গে মামলাটির কার্যক্রম ২২ মে পর্যন্ত স্থগিত করেছেন। একই সঙ্গে ওই দিন এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ধার্য করেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আনিচ উল মাওয়া।
২০২১ সালে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।
গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র খামার ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নুর জাহান বেগম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শামসুদ দোহা, বোর্ড সদস্য ইমামুস সুলতান, রতন কুমার নাগ ও শাহ জাহান।
মামলার বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী শামীম আল মামুন জানান, মামলার বাদী অবসর গ্র্যাচুইটি ও অর্জিত ছুটি বাবদ ৯ লাখ ৭৫ হাজার ১২৫ টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওনা আদায়ের লক্ষ্যে ড. ইউনূসসহ আরও ছয়জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বাদী গোলাম মোস্তফা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশন ইউনিট কার্যালয়ের খামার ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেই সময়ে বাদীর অবসর গ্র্যাচুইটি এবং অর্জিত ছুটি নগদায়ন বাবদ পরিশোধ না করে তাকে অবসরে যেতে বাধ্য করা হয়।
এছাড়া, পাওনা পরিশোধ করতে প্রতিষ্ঠানটি টালবাহানা করে আসছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।
আরও পড়ুন: শ্রম আইন লঙ্ঘন: ড. ইউনূসের জামিনের মেয়াদ বাড়ল ২৩ মে পর্যন্ত
ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের
প্রচণ্ড গরমের কারণে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে যেসব প্রতিষ্ঠানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র রয়েছে, সেগুলো এর আওতার বাইরে।
বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত গরমে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য রক্ষার উপায়
যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এয়ার কন্ডিশনার, বিশ্ববিদ্যালয়, 'ও' লেভেলের পরীক্ষা এবং পাবলিক পরীক্ষা রয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠান এ নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে।
সারাদেশে তাপ সতর্কতার মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ মানুষের মৃত্যু ও অসুস্থ হওয়ার খবরের বিষয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনির উদ্দিন।
ঈদুল ফিতরের ছুটি ও তাপপ্রবাহের কারণে তা বর্ধিত করার পর রবিবার থেকে দেশের সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজে ক্লাস শুরু হয়।
ঈদের ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল স্কুল-কলেজ খোলার কথা থাকলেও প্রচণ্ড গরমের কারণে বন্ধের মেয়াদ ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহের কারণে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্কুল বন্ধ
২ মে থেকে ঢাকাসহ অন্যান্য স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে: বিএমডি
ইচ্ছেমতো ওষুধের দাম বাড়ানো বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ
নিজেদের ইচ্ছেমতো ওষুধের দাম বাড়ানো বন্ধে স্বাস্থ্য সচিব ও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি মো. মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে ২০২৩ সালের ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস অ্যাক্টের ৩০ ধারা অনুযায়ী ওষুধের দাম নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
এছাড়া রুলে একই আইনের ৭৬ ধারা অনুযায়ী একটি বিধি প্রণয়নের মাধ্যমে সব ওষুধের দাম নির্ধারণ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: পরিবহন-যোগাযোগ খাতে ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা সরকারের
স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাবের) করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এমন নির্দেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় এবং সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ ও আনিচ উল মাওয়া।
পরে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, খেয়াল খুশি মতো ওষুধের দাম বাড়ানো বন্ধে স্বাস্থ্যসচিব ও ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তিনি আরও বলেন, ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিগুলোকে বলা হয়েছে যাতে সরকারের অনুমোদন ব্যতীত কাঁচামাল আমদানি করতে না পারে।
এছাড়া বিদেশ থেকে আমদানি করা অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রি বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
‘দুই সপ্তাহে ওষুধের দাম বেড়েছে ৭ থেকে ১৪০ শতাংশ’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করে ক্যাব।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই মাসে দেশের বিভিন্ন কোম্পানি তাদের উৎপাদিত ওষুধের দাম লাগামহীনভাবে বাড়িয়েছে। অন্তত ৫০ ধরনের ওষুধের দাম ২০ থেকে সর্বোচ্চ ১৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। চলতি মার্চের প্রথম সপ্তাহেও দাম বাড়ানো হয়েছে বেশ কয়েকটি ওষুধের। সবচেয়ে বেশি বাড়ানো হয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট, ডায়াবেটিসের রোগীদের ইনসুলিন ও ইনজেকশনের দাম।
এছাড়া হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা, হাঁপানিসহ বিভিন্ন ওষুধ এবং ভিটামিনের দামও বেড়েছে। বাদ যায়নি জ্বর-সর্দির ট্যাবলেট-ক্যাপসুল, বিভিন্ন সিরাপও।
বিভিন্ন কোম্পানির উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি এবং বিক্রি থেকে আয়ের হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দাম বাড়ানোর হার অস্বাভাবিক।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর জীবন-দর্শন সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে আরও ভালোভাবে জানানোর আহ্বান
এই অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির অজুহাত হিসেবে কোম্পানিগুলো ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন ও আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করছে।
এসময় গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি ও উৎপাদন খরচ বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন ওষুধ কোম্পানিগুলোর শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তারা।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, সরকার একটি গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ওষুধের দাম নির্ধারণ করবে। কিন্তু ২০০০ সালের পর থেকে সরকার এ ধরনের কোনো গেজেট নোটিফিকেশন জারি করেনি।
দ্যা ড্রাগস অ্যক্ট-১৯৪০ ও দ্যা ড্রাগস (কন্ট্রোল) অর্ডিন্যান্স ১৯৮২-তেও একই ধরনের বিধান রয়েছে।
একইসঙ্গে ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস অ্যাক্ট-২০২৩ সরকার ওষুধের দাম নির্ধারণে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
গত ১৫ মাসে ১১৭টি ওষুধের দাম ১৩ থেকে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে কিন্তু সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো দৃষ্টিপাত করেনি।
ওষেুধের দাম বৃদ্ধি ও নিয়ন্ত্রণ এবং পর্বেক্ষণের দায়িত্ব সরকারের স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপিরিচালকও ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালকের।
কিন্তু তারা ওষুধের দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
আরও পড়ুন: টিপু-প্রীতি হত্যা: আ. লীগ নেতা আশরাফসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
রোহিঙ্গা ভোটার সংখ্যা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
কক্সবাজার জেলায় কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রোহিঙ্গাদের ভোটার করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিচারপতি নাইমা হাইদার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এদিকে বিষয়টি তদন্ত করে আগামী ৬ জুনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া কক্সবাজারের ঈদগাঁও ইউনিয়নের ৩৮ রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতি নিয়োগ
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
এর আগে মঙ্গলবার রোহিঙ্গাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ না দিয়েই কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন ওই ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা মোহাম্মদ হামিদ।
রিটে কক্সবাজারের সব ইউনিয়ন পরিষদের ভোটার তালিকা যাচাই করে রোহিঙ্গাদেরকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া, তাদের নাগরিকত্ব প্রদান সংক্রান্ত সব নথি বাতিল করা এবং রোহিঙ্গাদেরকে নাগরিকত্ব প্রদানের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়।
রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিব, কক্সবাজার জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারসহ (এসপি) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন ৩৮ জন রোহিঙ্গা। তাদের তালিকা যুক্ত করে রিট আবেদন করা হয়।
এছাড়াও একই ইউনিয়নে কয়েকশ (সাড়ে তিনশ) রোহিঙ্গা নাগরিক হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে তাদের নাগরিকত্ব বাদ দিয়ে ভোটার তালিকা হাল নাগাদ না করা পর্যন্ত ওই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত রাখার আবেদন জানানো হয়েছে রিটে।
এই রিটের উপর বুধবার (২৪ এপ্রিল) প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল ও আদেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রমজানে স্কুল বন্ধ: মঙ্গলবার আপিল বিভাগে শুনানি
সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের সম্পত্তি স্থিতাবস্থায় রাখার নির্দেশ আপিল বিভাগের
আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতি নিয়োগ
সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের তিনজন বিচারপতিকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বুধবার(২৪ এপ্রিল) আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সই এক প্রজ্ঞাপনে এই নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রমজানে স্কুল বন্ধ: মঙ্গলবার আপিল বিভাগে শুনানি
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এই তিনজন বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ করেছেন।
এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
আপিল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া তিনজন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ, বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।
নতুন নিয়োগ পাওয়া এই তিন বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে মোট বিচারপতির সংখ্যা হলো আটজন।
আগামী বৃহস্পতিবার(২৫ এপ্রিল) এই তিন বিচারপতিকে শপথ পড়াবেন প্রধান বিচারপতি মো. ওবায়দুল হাসান।
আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের সম্পত্তি স্থিতাবস্থায় রাখার নির্দেশ আপিল বিভাগের
আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করায় রোজায় খোলা থাকবে স্কুল
বেনজীরের সম্পদ নিয়ে দুদকের অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রতিবেদন চাইলেন হাইকোর্ট
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদসহ তার পরিবারের সম্পদের বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রতিবেদন আগামী দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে দুদককে এ নির্দেশ দেন।
এদিন আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সারওয়ার হোসেন ও ব্যারিস্টার মনোজ কুমার ভৌমিক। বেনজীর আহমেদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
শুনানিতে আদালত বলেন, ‘ভারতের মতো আমাদের দেশেও সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সম্পদ বিবরণী আইন করা উচিত। আইন থাকলে কাউকে তাদের (সরকারি চাকরিজীবীদের) সম্পদের পাহারা দিতে হতো না। ভারতে সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময় এবং চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার সময় সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের বিবরণী জমা দিতে হয়। বিবরণীতে সম্পদের ১০ শতাংশের বেশি পার্থক্য হলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে এরকম আইন করতে হবে। শুধু বাতাস খেয়ে চললে হবে না।’
এর আগে গত সোমবার বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠায় তা অনুসন্ধান করবে বলে জানায় দুদক। এ ঘটনায় সংস্থার উপপরিচালক হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। একই দিন তার দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাউদ্দিন রিগ্যান হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন।
রিটে বেনজীর আহমেদের পরিবারের সদস্যদের সম্পদ নিয়ে সম্প্রতি একটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের আলোকে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চাওয়া হয়। একই সঙ্গে বেনজীরের সম্পদের অনুসন্ধান করতে দুদকের নিষ্ক্রীয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। এই রিটে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, দুদক কমিশনার (তদন্ত), দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ও দুদক সচিবকে বিবাদী করা হয়।
‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে গত ৩১ মার্চ অনুসন্ধানি প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি জাতীয় দৈনিক। এরপর গত রবিবার বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা চেয়ে দুদকে আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন। লিখিত ওই আবেদনে সাবেক আইজিপির দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান চান তিনি। পাশাপাশি দুদক কোনো ব্যবস্থা না নিলে, উচ্চ আদালতে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। আবেদনে বেনজীর আহমেদের পাশাপাশি তার স্ত্রী জিসান মির্জা, দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাশিন রাইসা বিনতে বেনজীরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়।