শিক্ষা
ববি'র শিক্ষকের বিরুদ্ধে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ শিক্ষার্থীর
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ করেছেন এক শিক্ষার্থী।
সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুপ্রভাত হালদারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের ছাত্র এবিএম মুশফিকুর রহমান।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মুশফিকুর রহমান দুপুর দেড়টার দিকে একাডেমিক ভবনের চার তলা থেকে নিচ তলায় যাচ্ছিলেন। এই সময় পেছন থেকে সহকারী অধ্যাপক সুপ্রভাত হালদার তাকে ডাক দেন। জায়গাটি কোলাহলপূর্ণ থাকায় ওই ডাক শুনতে না পেয়ে নিচতলার উদ্দেশে হেঁটে যায় মুশফিকুর রহমান। এতে সুপ্রভাত হালদার ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে শার্টের কলার ধরে টানাহেচড়া শুরু করে।
আরও পড়ুন: গুগলে ডাক পেলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সায়েম
এক পর্যায়ে ওই শিক্ষার্থী এর কারণ জানতে চাইলে সুপ্রভাত হালদার কোনো উত্তর না দিয়ে শার্টের কলার ধরে টানতে টানতে নিজের কক্ষে নিয়ে উপর্যুপরি লাঞ্ছিত করে ও শার্ট ছিড়ে ফেলে।
শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমানের অভিযোগ, সুপ্রভাত হালদার তার কক্ষে নিয়ে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং একাডেমিক ক্যারিয়ার ধ্বংসের হুমকিসহ নানাবিধ হুমকি দেন। পরে এ ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. খোরশেদ আলম দেখতে পেয়ে ওই শিক্ষার্থীকে বের করে নিয়ে আসেন।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে হামলার প্রতিবাদে ববি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
এব্যাপারে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. খোরশেদ আলম জানান, দুপুরে আইন বিভাগের ক্লাস চলাকালীন সময়ে ওই শিক্ষার্থীসহ আরও কয়েকজন ক্লাস রুমের বাইরে হৈচৈ করছিলেন। এ ঘটনায় আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ওই শিক্ষার্থীদের হৈচৈ করতে নিষেধ করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। দুজনকেই বিষয়টি বুঝিয়ে মীমাংসা করে দেয়া হয়েছে। তারপরও ওই শিক্ষার্থী সন্ধ্যায় উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ কেন দিয়েছে আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে একাধিকবার চেষ্টা করেও সুপ্রভাত হালদারের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
শাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন: সভাপতি আখতার, সা. সম্পাদক জহির
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে সভাপতি হিসেবে ড. মো. আখতারুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অধ্যাপক ড. জহির বিন আলম নির্বাচিত হয়েছেন।
ড. আখতার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক এবং ড. জহির সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক।
বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. অনিমেষ সরকার এ ফল ঘোষণা করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে চলছে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন
নির্বাচনে বিজয়ী অন্য সদস্যরা হলেন- সহ-সভাপতি পদে পলিটিকেল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. জায়েদা শারমিন, কোষাধ্যক্ষ পদে পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরহাদ হাওলাদার ও যুগ্ম সম্পাদক পদে আইআইসিটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আহসান হাবিব।
কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে নির্বাচিতরা হলেন- অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল বাকী, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক মো. সেকেন্দার আলী, পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মির্জা নাজমুল হাসান, জেনিটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. হাম্মাদুল হক, পাবলিক এডমিনিসস্ট্রেশন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তাফা কামাল ও সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গোলাম মো.মুন্না।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে চাইনিজ কর্ণার উদ্বোধন
এ বারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকদের দুটি প্যানেল অংশ নিলেও বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের প্যানেল থেকে কোনো প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেননি।
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কারিগরি শিক্ষায় মনোনিবেশের আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
বেকারত্ব কমাতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কারিগরি শিক্ষায় মনোনিবেশের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ‘যে দেশ কারিগরি শিক্ষা ও বিজ্ঞান শিক্ষায় বেশি মনোযোগ দিয়েছে, সেই দেশ তত সমৃদ্ধ ও উন্নত হয়েছে। জার্মানির মত উন্নত দেশে শতকরা ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত। তাই কাজের জগতের চাহিদার সঙ্গে মিল রেখে তারা (উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান) কারিকুলাম ঠিক করুক।’
শুক্রবার মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার ভাটের চর দেওয়ান এ মান্নান পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, আগামী ২০২৩ সাল থেকে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন শুরু করছে সরকার। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে কারিকুলাম পরিবর্তন সরকার করলেও, উচ্চশিক্ষা কারিকুলাম পরিবর্তন করতে পারবে বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের মাধ্যমে পরিচালিত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে প্রয়োগিক শিক্ষা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা তৈলাক্ত বাঁশ আরোহণের মতো: দীপু মনি
উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের কারিকুলাম নিয়ে ভাবুক। তারা ইন্ডাস্ট্রি অ্যাকাডেমিয়া লিংকেজ তৈরি করুক। কাজের জগতের চাহিদার সঙ্গে মিল রেখে তাদের কারিকুলাম ঠিক করুক। সেই কাজের জগতে ইন্টার্নি করার ব্যবস্থা করুক। আমাদের শিক্ষার্থীরা কর্ম-উপযোগী হয়ে বের হোক।’
উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে মডিউলার এডুকেশন ব্যবস্থা রাখার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সবার আস্ত একটা বড় ডিগ্রি করার দরকার নেই। শিক্ষার্থীরা ছোট ছোট করে নতুন নতুন দক্ষতা শিখে নেবে। ছোট ছোট ডিপ্লোমা করবে, কিছু সার্টিফিকেট কোর্স করবে, বড় ডিপ্লোমা করবে যার যেমন সুবিধা। শেখার জন্য সবাই কাজের জায়গা ছেড়ে আসতে পারবে না। সে কারণে অনলাইন-অফ লাইন মিলিয়ে ব্লেন্ডেড এডুকেশনে যুক্ত হবে। আমরা সেই ব্যবস্থায় নিয়ে আসতে চাইছি।’
দীপু মনি বলেন, ‘আমাদের দেশে একটা বড় প্রবণতা আছে, সব শিক্ষার্থী চায় অনার্স-মাস্টার্স পড়তে। পৃথিবীর কোথাও এতো অনার্স মাস্টার্স পড়ে না। একটি পর্যায়ের পর অনেক শিক্ষার্থী বৃত্তিমূলক, কারিগরি শিক্ষায় চলে যাবে। জার্মানির মতো উন্নত দেশে শতকরা ৫০ ভাগ শিক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষায় পড়ে। যে দেশ অনেক বেশি উন্নতি করেছে, সেই দেশের অনেক বেশি কারিগরি শিক্ষায় মনোনিবেশ করেছে। আর তা দিয়েই, তারা উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়েছে। আমাদের সেই পথে হাঁটতে হবে।
তিনি বলেন, ‘দেশের উচ্চশিক্ষার তিন-চতুর্থাংশ শিক্ষার্থী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পড়াশোনা করে। আমরা চাইছি-যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ, বিএসসি, বি-কম পড়বে, বা ডিগ্রি কোর্স করবে তারা আইসিটি, ভাষা, উদ্যোক্ত হওয়ার মত কোর্স যেন পড়ে। তাছাড়া পোস্ট গ্র্যাজুয়েট নানা বিষয়ে দেশে বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেবে তেমন বিষয়ে ডিপ্লোমা তারা করতে পারে।
আরও পড়ুন: নীতিমালা মেনেই স্কুল এমপিওভুক্ত হবে: শিক্ষামন্ত্রী
১৫ মার্চ থেকে সব বিষয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু: শিক্ষামন্ত্রী
দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা তৈলাক্ত বাঁশ আরোহণের মতো: দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, তৈলাক্ত বাঁশ বেয়ে বানরের উঠা নামার গল্পের মতো চলছে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে এ দেশের শিক্ষার মান ভালো ছিল। পরবর্তীতে অন্যান্য সরকারের শাসনামলে শিক্ষার মান নিচে নেমে এসেছে। তারপর আবার যখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলো তখন শিক্ষার মান আবার বাড়তে শুরু হলো।’
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলার আদর্শ নগর এলাকায় শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ে 'বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শন' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন ।
আরও পড়ুন: আগামী বছর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দু’দিন: শিক্ষামন্ত্রী
দীপু মনি বলেন, দেশ গড়ার প্রথম হাতিয়ার হলো শিক্ষা। শিক্ষায় বিনিয়োগ শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ।
তিনি বলেন, আগামীর শিক্ষায় নতুন কারিকুলাম আসবে। মুখস্থ বিদ্যা পড়িয়ে কেরানি বানানোর শিক্ষা ব্যবস্থা আর থাকবে না। মুখস্থ শিখে বাংলাদেশে এত বেশি অনার্স, মাস্টার্স হয়েছে যা বিশ্বের অন্য কোথায়ও নেই। এমন শিক্ষা খুব একটা জীবনমুখী শিক্ষা নয়। শিক্ষা কার্যক্রম ঢেলে সাজানো হবে। আগামী দিনে আসবে বিজ্ঞান ও কর্মমূখী উন্নত মানের শিক্ষা ব্যবস্থা।
মন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষা ব্যবস্থায় পরীক্ষার চাপ কমিয়ে দেয়া হবে। প্রতিদিনের শিক্ষায় প্রতিদিনই সহজ পদ্ধতির মূল্যায়ন থাকবে। শিক্ষা হবে শিক্ষার্থীদের জন্য আনন্দময়।
আরও পড়ুন: ২২ ফেব্রুয়ারি খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: শিক্ষামন্ত্রী
বাংলাদেশ বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসরাফ আলী খান খসরু এমপি, স্থানীয় সংসদ সদস্য রেবেকা মমিন, সংরক্ষিত আসনের এমপি হাবিবা রহমান খান শেফালী, শেখ হাসিনা বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. রফিকউল্লাহ খান, রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায়, জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান ও কলেজ অধ্যক্ষ জীবন চন্দ্র সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষার বরাদ্দ ব্যয় নয়, বিনিয়োগ: প্রতিমন্ত্রী
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, শিক্ষার জন্য বরাদ্দকে সরকার ব্যয় মনে করে না বরং একে ভবিষ্যতের বিনিয়োগ মনে করে।
তিনি বলেন, ‘আজকের শিক্ষার্থীরা আগামীর বাংলাদেশকে সম্পদে ও সুনামে ভরিয়ে দেবে। আর প্রাথমিক শিক্ষা যেহেতু জাতীর ভিত নির্মাণ করে, তাই মানসম্পন্ন প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকার সম্ভব সব কিছু করবে।’
সোমবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জাকির হোসেন বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ইন্টারনেট সেবা শিক্ষা সেক্টরে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করবে, এর মাধ্যমে ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে পাঠদান বিষয়ে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। ছাত্র-ছাত্রীরা অনলাইনে ক্লাস করার সুযোগ পাবে। তাছাড়া ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাঠ্যবই ও অন্যান্য বই পড়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষকরা বিভিন্ন কনটেন্ট ডেভেলপ করে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাদান করতে পারবেন। ইন্টারনেট সেবার মাধ্যমে ব্লেন্ডেড এডুকেশন, ফরমেটিভ এসেসমেন্ট ইত্যাদি কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ইন্টারনেট সেবার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের জ্ঞান, দক্ষতা, মননশীলতা বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, সরকার গ্রামীনফোনের সহায়তায় বর্তমানে ৪১ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ পর্যায়ে ইন্টারনেট কানেকশন প্রদান করছে। ক্রমান্বয়ে ইন্টারনেট সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ সেবা চালু করা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন গ্রামীনফোন লিমিটেডের সিইও ইয়াছির আজমান ও সিবিও মো. নাসার ইউসুফ, অধিদপ্তরের পরিচালক বদিয়ার রহমান প্রমুখ।
পড়ুন: ২০ রমজান পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা থাকবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
জবিতে ১৬ জন সাময়িক বহিষ্কার, ৪ জনের পরীক্ষা বাতিল
ভোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় সাবেক শিক্ষা কর্মকর্তা নিহত
ভোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় সাবেক জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও ভোলা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রাণ গোপাল দে (৬৫) নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ভোলা শহরের কালীনাথ রায়ের বাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যায় শিক্ষক প্রাণ গোপাল দে ঢাকা যাওয়ার জন্য কালীনাথ রায়ের বাজারের নিজ বাসা থেকে বের হন। রাস্তায় দাঁড়ানো অবস্থায় একটি দ্রুতগামী অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে সে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্র নিহত
চাঁদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধা নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নির্বাচন ২০ মার্চ
বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন ‘বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি’র নির্বাচন আগামী ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। পাঁচ বছর পর অনুষ্ঠিত এবারের নির্বাচনে একাধিক প্যানেল অংশ নিচ্ছে। ১২০টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার রাজধানীর ঢাকা কলেজে শিক্ষা সমিতির নির্বাচনে ‘আজমতগীর-জাফর’ প্যানেলের (ব্যালট-খ) পরিচিতি সভা ও নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা উপলক্ষে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) গুরুত্বপূর্ণ পদ ব্যবহার করে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ করা হয়। এই প্যানেলের প্রার্থীদের অভিযোগ, মাউশির একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে প্রার্থী হয়ে কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের ওপর প্রভাব বিস্তার করা হচ্ছে। ‘আজমতগীর-জাফর’ প্যানেলের নির্বাচনী প্রচারের কাজে বাধা দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, এই নির্বাচনে মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবীর চৌধুরী সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন। এটি মাউশির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ।
সম্মেলনে ‘আজমতগীর-জাফর’ প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক অলিউল্লাহ মো. আজমতগীর বলেন, আমরা বিভিন্ন স্থানে বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। তবে সব বাধা এগিয়ে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে চাই।
আরও পড়ুন: বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত ৮৪ জনকে নিয়োগ দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
মহাসচিব প্রার্থী রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ জাফর আলী বলেন, শিক্ষা ক্যাডার আজ পেশাগত ও সাংগঠনিক সমস্যায় জর্জিরিত। চরম হতাশায় রয়েছে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা।
তিনি বলেন, ক্ষুদ্র গোষ্ঠী স্বার্থে সংগঠনকে কুক্ষিগত করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। এই গোষ্ঠীর হাত থেকে সংগঠনকে মুক্ত করতে চাই।
ঢাকা মহানগরের যুগ্ম সম্পাদক প্রার্থী পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের যুগ্ম পরিচালক বিপুল চন্দ্র সরকার বলেন, বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা প্রার্থী যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা দেখেই নির্বাচিত করবেন।
এই প্যানেলের ইশতেহারের মধ্যে আছে, শিক্ষা ক্যাডারের সমস্যা সমাধানে সবার মতামতের উপর ভিত্তি করে অগ্রাধিকার বিবেচনায় ১০০ দিনের কর্মসূচি প্রণয়ন। ২০১৫ সালের পে-স্কেল আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গঠিত কোর কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী পদ আপগ্রেডেশন ও পদ সৃষ্টির জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা। যথাসময়ে পদোন্নতি নিশ্চিত করতে ১৯৮৭ সালের সমীক্ষা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী পদ সৃষ্টির ব্যবস্থা করা। পদোন্নতির শর্ত পূরণকারী সব সদস্যের অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক পদে দ্রুত পদোন্নতির ব্যবস্থা নেয়া।
আরও পড়ুন: ৪২তম বিশেষ বিসিএস: ৪ হাজার চিকিৎসককে নিয়োগের সুপারিশ
১৯ মার্চই ৪১তম বিসিএস পরীক্ষা, রিট খারিজ
মার্চের মাঝামাঝি থেকে মাধ্যমিকে পুরোদমে পাঠদান: শিক্ষামন্ত্রী
করোনার সংক্রমণ কমে আসায় চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে মাধ্যমিক স্তরের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান পুরোদমে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি এই মাসের মাঝামাঝি সময়ে মাধ্যমিকে পুরোদমে ক্লাস শুরু করতে পারব। আমরা তো ধারাবাহিক মূল্যায়নে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের জন্য অ্যাসাইনমেন্ট দরকার হলে দেবো।’
শুক্রবার রাজধানীর গুলশানের রেনেসাঁ হোটেলে ভারতীয় হাইকমিশনের আয়োজনে ‘স্টাডি ইন ইন্ডিয়া’ এডুকেশন ফেয়ার উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
চলতি বছরের শুরুর দিকে নতুন করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি ও নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। প্রায় এক মাস বন্ধ থাকার পর গত ২২ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হয়।
আরও পড়ুন: আগামী বছর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দু’দিন: শিক্ষামন্ত্রী
মাধ্যমিকে এসএসসি পরীক্ষার্থী ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে প্রতিদিন ক্লাস করলেও সব বিষয়ের ক্লাস হচ্ছে না। এসএসসি পরীক্ষার্থী চারটি ও দশমে তিনটি বিষয়ে ক্লাস হচ্ছে। এছাড়া অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে সপ্তাহে দুই দিন তিন বিষয়ে এবং ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে একদিন তিন বিষয়ের ক্লাস হচ্ছে।
জবিতে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ৮ মার্চ
আগামী ৮ মার্চ (মঙ্গলবার) থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে।
রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: জবির লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের নতুন ডিন অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান
এতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ ১ম বর্ষ ১ম সেমিস্টারে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ক্লাস আগামী ৮মার্চ থেকে শুরু হবে। উপর্যুক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. গোলাম মোস্তফা জানান, ৮ মার্চ থেকে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর আগেই ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় সম্পন্ন করা হবে।
আরও পড়ুন: জবিতে ক্লাস-পরীক্ষা সশরীরে
প্রসঙ্গত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য গত বছরের ১৫ নভেম্বর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ফলাফলপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের আবেদন শুরু হয়। অনলাইনে আবেদন চলে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের ৯টি মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়।
জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২১ পাচ্ছেন দুই ব্যক্তি ও ২ প্রতিষ্ঠান
পরিবেশ উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় পরিবেশ পদক-২০২১ এর জন্য দুজন ব্যক্তি ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।বৃহস্পতিবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত 'জাতীয় পরিবেশ পদক- ২০২১ প্রদান' সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ ক্যাটাগরিতে ব্যক্তিগত পর্যায়ে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার এম এ মতিন (মতিন সৈকত) এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশন মনোনীত হয়েছে। পরিবেশ বিষয়ক শিক্ষা ও প্রচার ক্যাটাগরিতে ব্যক্তিগত পর্যায়ে পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন ঢাকা জেলার ইনাম আল হক এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে বেসরকারি পরিবেশ, উন্নয়ন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান 'বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডেজেনাস নলেজ (বারসিক)'।
আরও পড়ুন: ২৪ বিশিষ্ট নাগরিকের মাঝে একুশে পদক বিতরণসভায় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব মো. মোস্তফা কামাল, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেন, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) মো. মনিরুজ্জামান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ কমিটির সদস্য হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, জাতীয় পরিবেশ পদকপ্রাপ্ত প্রত্যেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বাইশ ক্যারেট মানের দুই তোলা ওজনের স্বর্ণের বাজার মূল্য ও আরও ৫০ হাজার টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হবে।
জুন মাসে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কর্তক এই পদক দেয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সম্মাননা পদক পেলেন ঢাকা বিভাগের নির্বাচিত ৫ শ্রেষ্ঠ জয়িতা