ব্যবসা-বাণিজ্য
৩০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব তলব
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শাখা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দারাজ, আলেশা মার্ট, ইভ্যালি এবং ই-অরেঞ্জসহ ৩০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে।
বিএফআইইউ সম্প্রতি ব্যাংকগুলোর কাছে তাদের লেনদেনসহ অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত ব্যাংক তথ্য চেয়েছে।
বিএফআইইউ-এর চিঠির সঙ্গে তথ্য পাঠানোর জন্য একটি ফর্মও দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৬২ টাকা বাড়ল
সংস্থাগুলোকে ব্যাঙ্কের শাখার নাম, অ্যাকাউন্টের নাম, নম্বর, খোলার ধরন এবং তারিখ, মোট জমা এবং উত্তোলন এবং এর আগে যে ব্যাঙ্কে লেনদেন হয়েছে তার বর্তমান অবস্থা জানাতে বলা হয়েছে।
এর আগে বিভিন্ন সময়ে এসব ই-কমার্স কোম্পানির ব্যাংক হিসাব তলব করে জব্দ করা হয়। এছাড়া, ব্যাঙ্কগুলোর অ্যাকাউন্ট সক্রিয় বা বন্ধ কিনা তা রিপোর্ট করতে বলেছে।
এছাড়াও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সমন তালিকায় রয়েছে- কিউকম, আলাদিনস ল্যাম্প, বুম বুম, প্রিয়শপ, ধামাকা শপিং, সিরাজগঞ্জ শপ, আদিয়ান মার্ট, ওয়ালমার্ট, নিডস, দালাল প্লাস, ২৪ টিকেটি, থলে, উই কম, ইনফিনিটি মার্কিটিং, আনন্দ বাজার, আকাশ নীল, ব্রাইট হাশ, এনেক্স ওয়ার্ল্ড ওয়াইড, আমার বাজার, আস্থার প্রতীক, বাংলাদেশ ডিল, বাড়ি দোকান ডটকম, স্রেশডো ডটকম, আমিষ বিডি, নিরাপদ এবং আলিফ ওয়ার্ল্ড।
এরই মধ্যে অনেক কোম্পানির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন সময়ে ই-কমার্স কোম্পানিগুলোর লেনদেনের তথ্য নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
আরও পড়ুন: ১৫ দিনের মধ্যে ভোজ্যতেলের দাম বাড়বে না: বাণিজ্যমন্ত্রী
১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৬২ টাকা বাড়ল
খুচরা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৬২ টাকা বাড়িয়ে এক হাজার ১৭৮ টাকা থেকে এক হাজার ২৪০ টাকা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে নতুন দাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
ঘোষণা অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে এলপিজি-এর অন্যান্য পরিমাণের দামও একই অনুপাতে নতুন দামের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাড়বে। গাড়ির জন্য অটোগ্যাসের দামও প্রতি লিটারের বর্তমান মূল্য ৫৪ দশমিক ৯৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৭ দশমিক ৫১ টাকা করা হয়েছে।
নতুন দাম ঘোষণা করে বিইআরসি চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বলেন, বিশ্বব্যাপী সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) বেড়ে যাওয়ায় খুচরা এলপিজির দাম বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম না বাড়াতে সরকারের প্রতি বিটিএমএ’র আহ্বান
এক ভার্চুয়াল সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, সৌদি সিপি প্রতি মেট্রিক টন ৪২০ মার্কিন ডলার থেকে ৭৭৫ মার্কিন ডলার করা হয়েছে। বাংলাদেশের বেসরকারি এলপিজি অপারেটররা সৌদি সিপির ভিত্তিতে বাল্ক এলপিজি কেনে।
বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত এলপি গ্যাস কোম্পানির এলপিজির দাম অপরিবর্তিত থাকবে কারণ বৈশ্বিক বাজারদরের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
এসময় বিইআরসির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রত্যাখ্যানের পরও ফের গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব
এলপিজি গ্যাসের ১২ কেজির দাম কমেছে ৮৫ টাকা
১৫ দিনের মধ্যে ভোজ্যতেলের দাম বাড়বে না: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো হবে না। তবে অংশীজনের সঙ্গে বৈঠকের পর আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দাম পুনর্নির্ধারণ করা হবে।
তিনি বলেন, ‘রমজান মাসে তেলের দাম এভাবেই স্থিতিশীল রাখতে হবে। অন্যথায় ব্যবসায়ীরা আমদানি করতে নিরুৎসাহিত হবে।’
বুধবার জেলা প্রশাসক সম্মেলন শেষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ব্যাংকিং চ্যানেলের জটিলতা দূর হলে রাশিয়ায় রপ্তানি বাড়বে: বাণিজ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতি বছর ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের প্রয়োজন। কিন্তু দেশে মাত্র এক টন উৎপাদিত হয়। প্রচুর পরিমাণ তেল আমদানি করায় আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি স্থানীয় বাজারকেও প্রভাবিত করে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম প্রতি কন্টেইনার দুই-আড়াই হাজার টাকা থেকে বেড়ে এখন আট থেকে ১০ হাজার টাকা হয়েছে। তাই দেড় বা দুই মাস পর দাম পুনর্নির্ধারণ করা দরকার।’
তিনি বলেন, ‘যদি দাম পুনর্নির্ধারণ না করা হয় রমজানকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা এলসি খুলবেন না যা পবিত্র এই মাসে ভয়ানক পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই বিষয় নিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা তাদের সঙ্গে ৬ বা ৭ ফেব্রুয়ারি আবার বসব এবং আন্তর্জাতিক বাজারের দাম ও অন্যান্য খরচ তূলনা করে পুনর্নির্ধারণ করব।’
এ সময় রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে জেলা প্রশাসকদের শক্ত ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: তিন মাসের মধ্যে ই-কমার্সের নিবন্ধন না করলে আউট: বাণিজ্যমন্ত্রী
কৃষি খাতের লাভজনক বাণিজ্যিকীকরণের চেষ্টা চলছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পেতে যাচ্ছে সাকিবের পিপলস ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংক তার বোর্ড অব গভর্নরদের আসন্ন বৈঠকে প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংকে তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এবং তার মা শিরিন আখতারের শেয়ার মালিকানা অনুমোদন দিতে পারে।
যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মতি দেয়ার তিন বছর পরও চূড়ান্ত লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি পিপলস ব্যাংক। এবার ব্যাংকটির মালিকানায় আসছেন সাকিব আল হাসান এবং তার মা শিরিন আক্তার।
বৃহস্পতিবার গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে গভর্নর বোর্ডের বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পিপলস ব্যাংকের লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) আরও বাড়ানোর জন্য একটি আবেদন উত্থাপন করবে এবং সাকিব ও তার মা শিরিন আক্তারের যৌথ মালিকানার বিষয়টি অনুমোদন দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
কয়েক দফা বাড়ানোর পরেও গত বছরের ডিসেম্বরে পিপলস ব্যাংকের এলওআই এর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ব্যাংকটি এখন সাকিব ও তার মাকে যুক্ত করার মাধ্যমে কেন্দ্রিয় ব্যাংকের কাছে এলওআই বৃদ্ধির আবেদন করেছে।
আরও পড়ুন: এবার ব্যাংকের পরিচালক হচ্ছেন সাকিব
প্রস্তাবিত ব্যাংকটির চেয়ারম্যান যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী আবুল কাশেম ইউএনবিকে বলেন,কার্যক্রম শুরুর জন্য আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিত সব নথি জমা দেয়া হয়েছে। তারা আরও কোনো নির্দেশনা দিলে আমরা তা মানতে প্রস্তুত।
আবুল কাশেম আরও বলেন, পিপলস ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরিচালক হিসেবে সাকিব ও তার মা থাকতে পারেন।
৫০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের ঘাটতি থাকায় কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি পিপলস ব্যাংক। তাই বাংলাদেশ ব্যাংকের চূড়ান্ত লাইসেন্স পাচ্ছে না ব্যাংকটি। তবে খুব শিগগিরই চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে যাচ্ছে পিপলস ব্যাংক। ফলে বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয়, সাকিব আল হাসান পিপলস ব্যাংকের দুটি পরিচালক পদের মালিক হতে যাচ্ছেন।
উদ্যোক্তা হিসেবে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হতে হলে প্রয়োজন হয় সর্বনিম্ন ২ শতাংশ শেয়ার ধারণের। সে হিসেবে পিপলস ব্যাংকের প্রতিটি পরিচালক পদের জন্য সর্বনিম্ন ১০ কোটি টাকা মূলধন জোগান দিতে হবে সাকিব আল হাসানকে।
আরও পড়ুন: সাকিব আল হাসানের বায়োপিক বানাতে চান সৃজিত মুখার্জি
তবে ব্যাংকটির মালিকানায় আসতে তিনি ২৫ কোটি টাকারও বেশি মূলধন জোগান দিচ্ছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে ২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পরিচালনা পর্ষদের সভায় বেঙ্গল কমার্শিয়াল, সিটিজেনস ও পিপলস নামে নতুন তিনটি ব্যাংকের নীতিগত অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে নতুন ব্যাংকের জন্য জুড়ে দেয়া হয় ৫০০ কোটি টাকা মূলধনের শর্ত।
এই তিনটির মধ্যে বেঙ্গল ও সিটিজেনস ব্যাংক ইতোমধ্যে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। কিন্তু এলওআই পাওয়ার পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও পিপলস ব্যাংক এখনো লাইসেন্স নিতে পারেনি।
আরও পড়ুন: সিনিয়র ছাড়া খেলোয়ার নেই ভুল প্রমাণ হয়েছে: সাকিব
তুলাবোঝাই ট্রাকে কীটনাশক, ৭ কোটি টাকার চালান আটক
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানিকৃত তুলাবোঝাই ট্রাকে কীটনাশকসহ অন্যান্য চোরাই পণ্য আমদানির অভিযোগে ৭ কোটি টাকা মূল্যের একটি ‘র কটোনের’চালান আটক করা হয়েছে।
বন্দরের ভারতীয় ট্রাক টার্মিনাল থেকে রবিবার রাতে পণ্য চালানটি আটক করে কাস্টমস কর্মকর্তারা।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ম্যাকসন্স স্পিনিং মিলস লিমিটেড ভারত থেকে তুলা আমদানি করেন। পণ্যচালানটি ১৭টি ট্রাকে করে আমদানি করা হয়। যার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান কলকাতার রোটাস ড্রেসইসফাস কোম্পানি লিমিটেড। পণ্যচালানটি বন্দরে প্রবেশের পর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কমিশনার আ. আজিজের নির্দেশে ডাক্লুবি ৫১-৫৪৩৮ নাম্বারের ভারতীয় ট্রাকটি আটক করেন যুগ্ম কমিশনার-১ আব্দুর রশিদ মিয়া।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন কড়াকড়িতে বেনাপোলে যাত্রী যাতায়াত কমেছে
পরে পণ্যচালানটি আইআরএমের ডেপুটি কমিশনার অনুপম চাকমার নেতৃত্বে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে ঘোষণা বহির্ভুত কীটনাশক, তামাক ও সবজির বীজ পাওয়া যায়।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমনা সজন জানান, একটি বহিরাগত চোরাচালানী চক্র ভারতীয় তুলোর ট্রাকে এসব পণ্য তুলে দিয়েছে। মালের মধ্যে মিথ্যা ঘোষণার কোন পণ্য পাওয়া যায়নি। পাওয়া গেছে ভারতীয় ট্রাকের মধ্যে। এ দায় দায়িত্ব কেবল ভারতীয় ট্রাক চালাককেই নিতে হবে। এ ঘটনায় আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কোনভাবেই জড়িত নয়।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১২০ মেট্রিক টন বিস্ফোরক আমদানি
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার আব্দুর রশিদ মিয়া জনান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে বৈধ আমদানিকারকদের ক্ষেত্রে কাস্টমস সব সময় ট্রেড ফেসিলিটিশন নীতি অবলম্বন করে আসছে। কিন্ত অবৈধ আমদানিকারকদের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে কাজ করা হচ্ছে। এই ঘটনায় কাস্টমস একটি বিভাগীয় মামলা দায়ের করেছে। দি কাস্টমস এজেন্টস লাইসেন্সিং রুলস ২০০২ অনুযায়ী লাইসেন্সটি সময়িক বাতিল করার নির্দেশনা দেয়া হয়।
বড়দিন: বেনাপোল-পেট্রাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে বেনাপোল বন্দরে সারাদিন বাণিজ্য বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: পরিবহন ধর্মঘটের তৃতীয় দিনেও স্থবির বেনাপোল বন্দর
বেনাপোল সি অ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষ্যে শনিবার বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। ২৬ ডিসেম্বর রবিবার থেকে দু’দেশের মধ্যে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য চালু হবে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু
চার মাসে বেনাপোল রেলপথে আয় ৮ কোটি ২৬ লাখ
চাঁদাবাজিসহ নানা অনিয়ম, বন্দরের পণ্য রাখার জায়গার অভাব ও পেট্রাপোল পার্কিং সিন্ডিকেটের কারণে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ট্রেনে করে পণ্য আমদানি করছেন ব্যবসায়ীরা। আর তাই গত চার মাসে রেলপথে এক লাখ ২০ হাজার মেট্রিন টন বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হয়েছে। রেলের ভাড়া বাবদ আট কোটি ২৬ লাখ টাকা আয় হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: রেলযোগে পার্সেল ভ্যানের প্রথম ২ চালান বেনাপোল বন্দরে
বেনাপোল রেলওয়ে সূত্র জানায়, জুলাই থেকে অক্টোবর মাসে ভারত থেকে বেনাপোলে পণ্য বহন করে রেলওয়ে এ টাকা আয় করেছে। আমদানিকৃত পণ্যের মধ্যে গার্মেন্টস পণ্য, পেঁয়াজ, আদা, মরিচ, হলুদ, ধানবীজ, গম, চিনি, মেশিনারিজ পিকআপ ভ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, স্থলপথে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারতের বনগাঁ কালিতলা ট্রাক পার্কিং সিন্ডিকেটের কাছে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা জিম্মি হয়ে পড়েছিলেন। সিরিয়ালের নামে ট্রাক প্রতি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করত। করোনার শুরুতে এ ধরনের প্রবণতা আরও বেড়ে যায়। এতে আমদানি খরচ বেড়ে যায়। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে গত বছর ৪ জুন থেকে রেলে সব ধরনের পণ্যের আমদানি বাণিজ্যের অনুমতি দেয় সরকার।
আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমীতে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, খরচ সাশ্রয় আর নিরাপদ হওয়ায় দিন দিন ব্যবসায়ীরা রেলপথে বাণিজ্যে ঝুঁকতে থাকেন। আগে মাসে চার থেকে পাঁচটি ওয়াগনে পণ্য আমদানি হলেও বর্তমানে প্রতিদিন কার্গো রেল, সাইডোর কার্গো রেল ও প্যার্সেল ভ্যানের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সরকারও রাজস্ব আয়ে লাভবান হচ্ছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, বর্তমানে রেলপথে সব ধরনের পণ্য আমদানি সচল রয়েছে। এতে গত বছরের তুলনায় এ বছর আমদানি বেড়েছে। পাশাপাশি রেল খাতে সরকারের চারগুণ বেশি রাজস্ব বেশি আদায় হয়েছে।
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, সড়কপথে আমদানিতে নানা হয়রানির কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ট্রেনে পণ্য আমদানি করছেন ব্যবসায়ীরা। ভারতের পেট্রাপোলে চাদাঁবাজি, অনিয়ম-দুর্নীতি ও যানজটের জন্য বিশেষ সুবিধা পাওয়ায় দুই দেশের ট্রেনে পণ্য আমদানি বেড়েছে। যার কারণে চলতি বছরের চার মাসে আট কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: বিএসএফের হয়রানি: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান বলেন, বর্তমানে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে সড়ক পথে স্থলপথের সাথে পাল্লা দিয়ে রেলপথেও পণ্য আমদানি হচ্ছে। তবে বন্দরের রেল ইয়ার্ড না থাকায় পণ্য রাখতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এরই মধ্যে বন্দরে দুটি রেল ইয়ার্ড নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। বেনাপোল থেকে পেট্রাপোল পর্যন্ত ব্রডগেজ লাইনের সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এসব কাজ শেষ হলে বেনাপোল বন্দর দিয়ে রেল পথে বাণিজ্য আরও বাড়বে। আগে রেলপথে পাথর ও জিপসাম-জাতীয় পণ্য আমদানি হলেও বর্তমানে গার্মেন্ট, কেমিকেল, খাদ্যদ্রব্যসহ সব ধরনের পণ্য আমদানি হচ্ছে।
বিশ্ব বাজারে আমদানি পণ্যের দাম বেড়েছে: বাণিজ্য সচিব
করোনার কারণে বিশ্ব বাজারে আমদানি পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
তিনি বলেন, ‘আইন অনুযায়ী বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ১৭টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে। এবছর সয়াবিন তেলের দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। করোনার কারণে বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধি এবং কন্টেইনার খরচ বেড়ে যাওয়ায় আমদানি খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য এবার বাজারে তেল, চিনি ও চালসহ কিছু পণ্যের দাম বেড়ে গেছে।’
শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ফরিদপুর সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে শিল্পপণ্য আমদানি বাড়াতে আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূতের প্রতি মন্ত্রীর আহ্বান
তপন কান্তি বলেন, সরকার চাইলেই আমদানি শুল্ক কমাতে পারে না। এতে বাজারে সরবরাহ কমে মূল্যবৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে। সরকার চেষ্টা করছে ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের মাঝে সমন্বয় করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে। দেশের জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ভোগের চাহিদাও বেড়েছে। তবে গরিব মানুষের জন্য বিশেষ কোন ব্যবস্থা নেয়া যায় কিনা সেটি চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের সভাপতিত্বে সভায় ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান, বাজার মনিটরিং কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন, জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন, জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. সোহেল শেখ, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নুরুল্লা মো. আহসান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী উপপরিচালক মো. রকিবুল ইসলাম, ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মো. জাহাঙ্গির মিয়া, চালকল মালিক সমিতির সভাপতি বিপ্লব কুমার সাহা, বাজার মনিটরিং কমিটির সদস্য অধ্যাপক রিজভী জামান, আসমা আক্তার মুক্তা, শিপ্রা গোস্বামী, ক্যাবের প্রতিনিধি শেখ ফয়েজ আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ভারতকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাধামুক্ত রাখার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
উক্ত সভায় পণ্য মনিটরিং কমিটির সদস্যরা বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে বলেন, চাল, গম, সয়াবিন তেল, মসুরের ডাল, পেঁয়াজ ও বয়লার মুরগি ও সবজিসহ আরও কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। ফরিদপুরে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের উৎপাদন বেশি।
এছাড়া চরাঞ্চলে প্রচুর দুধ উৎপাদন হয়। কিন্তু সংরক্ষণ ব্যবস্থা না থাকায় এর সুফল মিলছে না। তারা চালসহ নিত্য পণ্যের আমদানিতে শুল্ক হ্রাস ও কৃষকদের ভর্তুকি দিয়ে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পরামর্শ দেন।
বসুন্ধরায় বিপ্রপার্টির নতুন মার্কেটপ্লেস
প্রপার্টির ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে দেশের একমাত্র কমপ্লিট রিয়েল এস্টেট সলিউশন প্রোভাইডার কোম্পানি বিপ্রপার্টি সম্প্রতি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় একটি নতুন মার্কেটপ্লেস খুলেছে। ঢাকা শহরে অবস্থিত বিপ্রপার্টির মার্কেটপ্লেসের তালিকায় অষ্টম মার্কেটপ্লেস হিসেবে যুক্ত হলো বসুন্ধরা মার্কেটপ্লেস। বসুন্ধরা এবং এর আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের জন্য রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ আরও সহজ ও নিশ্চিন্তে করতে বিপ্রপার্টির নতুন এই উদ্যোগ নেয়া।
২০২১ সালের প্রথম তিন প্রান্তিকে বিপ্রপার্টির ওয়েবসাইটে উল্লেখযোগ্য আকারে প্রপার্টির লিস্টিং যোগ করা হয়েছে। ঢাকা থেকে প্রায় ৭০ হাজারেরও বেশি লিস্টিং যোগ হয়েছে এই তালিকায়, যার মধ্যে প্রপার্টি বিক্রির জন্য ৭ দশমিক ৫ শতাংশ লিস্টিং এসেছে কেবল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে।
একইভাবে ঢাকা থেকে ভাড়ার জন্য যত প্রপার্টি যোগ করা হয়েছে তার প্রায় ৩ শতাংশ এসেছে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে। এছাড়াও ২০২০ সালের প্রথম তিন প্রান্তিকের তুলনায় বসুন্ধরায় প্রপার্টি ক্রয়ের চাহিদা বেড়েছে ২৪৩ শতাংশ এবং প্রপার্টি ভাড়ার চাহিদা বেড়েছে ৭৪ শতাংশ। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চাহিদা অনুযায়ী প্ল্যাটফর্মে প্রপার্টি সরবরাহের অনুপাত ছিল ৩:১।
রেলযোগে পার্সেল ভ্যানের প্রথম ২ চালান বেনাপোল বন্দরে
রেলযোগে পার্সেল ভ্যানের প্রথম দুই চালান মঙ্গলবার বেনাপোল বন্দরে এসে পৌঁছেছে। দু’জন আমদানিকারকের ৪৫০ মেট্রিক টন সিমেন্ট মর্টারের দুটি চালান কলকাতা থেকে ছেড়ে ওই দিন রাতে বেনাপোল বন্দরে আনলোড করা হয় বলে কৃর্তপক্ষ জানিয়েছে।
বুধবার পণ্য চালানটি খালাশ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে আসবে।
বন্দর কৃর্তপক্ষ জানান, দ্রুত ও কম খরচে পণ্য আমদানি করা যায় বিধায় সড়ক পথের পরিবর্তে রেল পথে পণ্য আমদানিতে ঝুঁকছেন ব্যবসায়ীরা। ইনল্যান্ড ওয়ার্ল্ড লজেসটিক ছাড়াও এ পথে আরও দুটি পার্সেল ভ্যান ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে রেলে পণ্য পরিবহন করছে।
আরও পড়ুন: ভারতের উপহার `লাইফসাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স’ বেনাপোল বন্দরে
ইনল্যান্ড ওয়ার্ল্ড লজেসটিকের ইন্দো-বাংলা ট্রেড ম্যানেজার অনুস্কর জানান, বাংলাদেশে প্রথম তারা রেল যোগে আমদানি পণ্য পরিবহন করছেন। রেলে ২০ কেজি থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরিমাণের পণ্য পরিবহন করতে সক্ষম তারা। পরিবহনে খরচও অনেক কম পড়বে। বেনাপোল বন্দরে জায়গা সংকটের কারণে সপ্তাহে একদিন কলকাতা থেকে রেলযোগে পণ্য নিয়ে আসবেন তারা। বন্দরে পণ্য রাখার জায়গা বাড়লে সপ্তাহে সাত দিনই তারা পণ্য পরিবহন করবে।
ইনল্যান্ড ওয়ার্ল্ড লজেসটিক পার্সেল ভ্যানের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল ইন্টারন্যাশনালের সত্ত্বাধিকারী আব্দুল লতিফ জানান, রেলে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে নতুন করে পার্সেল ভ্যান যুক্ত হওয়ায় দ্রুত ও কম খরছে রেলপথে পণ্য আমদানি বাড়বে। তবে বন্দরে সক্ষমতা বাড়ালে পার্সেল ভ্যানে আমদানি বাড়বে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আজ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্র্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ডাইরেক্টর মতিয়ার রহমান জানান, সড়ক পথে বেনাপোল বন্দর দিয়ে একটি পণ্য চালান আমদানি করতে ২০ দিন সময় লাগে। বেনাপোলের ওপারে বনগাঁ কালিতলা পার্কিং এ সিন্ডিকেটের কাছে আমদানি বাণিজ্য জিম্মি হয়ে পড়েছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, কলকাতা থেকে পণ্যবোঝাই ট্রাক কালিতলা পার্কিংয়ে ২০ দিন পর্যন্ত সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। প্রতিদিন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের ট্রাক প্রতি ২ হাজার টাকা করে ক্ষতি গুনতে হয়। ফলে সময়মতো পণ্য আমদানি করতে না পারায় দেশের শিল্প-কলকারখানাসহ গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। রেলে পণ্য আমদানিতে দিনের দিন কলকাতা থেকে পার্সেল ভ্যান বেনাপোল বন্দরে এসে পৌঁছায়।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে হঠাৎ করে জরুরি অক্সিজেন আমদানি বন্ধ
বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. আজিজুর রহমান জানান, রেলের পার্সেল ভ্যানে পণ্য আমদানি হওয়ায় দ্রুত ও কম খরচে পণ্য আমদানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। ফলে আমদানি বাণিজ্যে গতি ফিরে আসবে। দিনের রাজস্ব দিনে আদায় করা সম্ভব হচ্ছে। আমদানি বাড়লে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে। বর্তমানে বন্দরে জায়গা স্বল্পতার কারণে প্রতিদিন রেলের পার্সেল ভ্যান আসতে পারছে না।