ব্যবসা-বাণিজ্য
দেশের গ্রামাঞ্চলে কমিউনিটি স্থিতিস্থাপকতা ও জীবিকা নির্বাহের জন্য ১২০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি
বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মৌলিক সেবা ও জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করতে ১২০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি সই করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকার।
বুধবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান ও এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং চুক্তিতে সই করেন।
আরও পড়ুন: এডিবি'র সর্বশেষ প্রতিবেদন: ২০২৪ অর্থবছরকে বাংলাদেশের জন্য একটি ভালো বছর হিসেবে পূর্বাভাস
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, ক্লাইমেট রিসাইল্যান্ট লাইভলিহুড ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটারশেড ম্যানেজমেন্ট হন চিটাগং হিল ট্র্যাক্ট সেক্টর প্রজেক্টের অধীনে এই অঞ্চলে টেকসই ও স্থিতিস্থাপক কমিউনিটি উন্নয়নে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, সামগ্রিক ও অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতি গ্রহণ কো হবে।
এই প্রকল্পের অধীনে ২০৩১ সালের মধ্যে কমপক্ষে ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর কৃষি জমিতে ফসল উৎপাদন ৫০ শতাংশ বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া ৫৭ হাজার পরিবারের নারীদের পানীয় জল আনতে যে সময় ব্যয় হয় তার ৫০ শতাংশ হ্রাস করবে। পাশাপাশি প্রকল্পের অধীন রাস্তায় বাস, প্রাইভেটকার ও ট্রাকের যে সময় লাগত তার থেকে ৫০ শতাংশ কম সময় লাগবে।
প্রকল্পটি তিন পার্বত্য জেলা বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিকে অন্তর্ভুক্ত করবে। এডিবির মতে, এটি গ্রামীণ সড়কের উন্নয়ন, পানি সরবরাহের উৎস, স্যানিটেশন পরিষেবা, ছাদে সৌর বিদ্যুৎ স্থাপন ও কৃষি সুবিধা স্থাপনে সহায়তা করবে।
প্রকল্পটি প্রায় ১৪০ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ককে প্রকৃতি-ভিত্তিক, জলবায়ু-সহনশীল এবং সুরক্ষিত রাখবে।
এডিবি'র এই হস্তক্ষেপের ফলে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি প্রশমনে নয়টি সাব-ওয়াটারশেডে জলাবদ্ধতা ব্যবস্থাপনা জোরদার হবে।
এর ফলে কৃষিবনায়নের মাধ্যমে জলাশয় এলাকায় সবজি চাষের উন্নয়ন, ক্ষুদ্র পরিসরে পানি সংগ্রহের অবকাঠামো নির্মাণ, জলাশয় সুরক্ষা থেকে আয়বর্ধক কার্যক্রমের প্রচার এবং জলাশয় ব্যবস্থাপনা দক্ষতায় গ্রাম বন কমিটিকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
এ ছাড়াও, প্রকল্পটি খাদ্য নিরাপত্তার জন্য টেকসই ভূমি ব্যবহার এবং জলবায়ু-স্মার্ট কৃষি অনুশীলনকে সমর্থন করবে।
জলবায়ু সহনশীল ফসলের জাত পরিবর্তন এবং উচ্চমূল্যের শাকসবজি, ফলমূল, মশলা ও ওষুধি উদ্ভিদে বৈচিত্র্য আনতে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দেওয়া হবে।
তাদের প্রশিক্ষণ, সরঞ্জাম, বিশেষজ্ঞ, বেসরকারি খাতের সঙ্গে সংযোগ দেওয়া হবে যাতে তারা তাদের পণ্য প্রক্রিয়াকরণ, বিপণন ও বিক্রয় করতে সহায়তা করে।
কাঠের কাজ, খাবার প্রক্রিয়াজাতকরণ, উদ্যোক্তা ও সম্প্রদায়ভিত্তিক ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টের মতো বৃত্তিমূলক ও পেশাদার প্রশিক্ষণ কোর্স প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ শ্রমের চাহিদা পূরণ করা হবে।
আরও পড়ুন: এশিয়া প্যাসিফিককে সহায়তা করতে আগামী দশকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের নতুন তহবিল উন্মোচন এডিবির
বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি
`কমনওয়েলথ বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’পেল ইসলামী ব্যাংক
কমনওয়েলথ বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ পেয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ইসলামী ব্যাংকের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের প্যান প্যাসিফিক হোটেলে অনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংক-রিয়া মানি ট্রান্সফার রেমিট্যান্স উৎসবে বিজয়ীদের মোটরসাইকেল প্রদান
এ ছাড়া কমনওয়েলথ পার্টনারশিপ সামিট অ্যান্ড বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর ব্যবসার মান উন্নয়নে বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে 0আর্থিক খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত কোম্পানি ও অন্যান্য খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে কমনওয়েলথ বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংক যুব উদ্যোক্তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে উৎসাহিত করতে পারে : ড. সালেহউদ্দিন
ঢাকা-টোকিও সরাসরি ফ্লাইট চালু
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঢাকা-নারিতা (টোকিও) সরাসরি ফ্লাইট উদ্বোধন করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।
উদ্বোধনী ফ্লাইটটি শুক্রবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা থেকে উড্ডয়ন করে ২ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ১৫ মিনিট) জাপানের নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিজি-৩৭৭ ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নারিতার পর বিশ্বের আরও কয়েকটি রুটে ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ বিমানের
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিমানের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল উদ্দিন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জানায়, ঢাকা থেকে প্রতি শুক্র, সোম ও বুধবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে এবং নারিতা থেকে প্রতি শনি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ঢাকার উদ্দেশে ফ্লাইট ছেড়ে যাবে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ জুলাই থেকে ঢাকা-নারিতা (টোকিও) সরাসরি ফ্লাইটের টিকিট বিক্রি শুরু করে স্থানীয় এয়ারলাইন্সগুলো। এ রুটে সর্বনিম্ন ওয়ানওয়ে ভাড়া ৭০ হাজার ৮২৮ টাকা এবং ফিরতি টিকিটের মূল্য যাত্রী প্রতি ১ লাখ ১১ হাজার ৬৫৬ টাকা।
ঢাকা-নারিতা রুটে সরাসরি ফ্লাইট উদ্বোধন উপলক্ষে বিমান ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে। বিশেষ ছাড় ছিল ১৫ আগস্ট পর্যন্ত। সে সময় ঢাকা-নারিতা রুটে সর্বনিম্ন একমুখী ভাড়া ছিল ৪৯ হাজার ১০০ টাকা এবং ফিরতি টিকিট ছিল যাত্রী প্রতি ৮৪ হাজার ৪৯৬ টাকা।
বিমানের তথ্য মতে, জাপানে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য নয়। বাংলাদেশে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে নিয়োজিত জাপানি নাগরিকরা প্রাথমিকভাবে এই রুটে যাত্রী হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক পদ্ধতি অনুসরণ করে শিগগিরই ২৪ ঘণ্টা কল সেন্টার চালু করা হবে। যাত্রীরা ২৪ ঘণ্টা ফ্লাইটের সব আপডেট তথ্য পাবেন।
'স্মার্ট বাংলাদেশ' গড়ার লক্ষ্যের অংশ হিসেবে শিগগিরই অটোমেটেড ব্যাগেজ সিস্টেম চালু করা হবে এবং অতিরিক্ত ১ কেজি ব্যাগেজও অনুমোদন করা হবে না।
শুক্রবার থেকে স্বয়ংক্রিয় ব্যাগেজ সিস্টেম পুনরায় চালু হয়েছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-নারিতা রুটে ১ সেপ্টেম্বর ফ্লাইট চালু করবে বিমান
যাত্রা শুরু করল নতুন স্টার্টআপ ‘এক্সচেঞ্জকরি’
পুরোনো ল্যাপটপ কম্পিউটার ক্রয়, বিক্রয় এবং বিনিময়ের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ প্ল্যাটফর্ম হিসাবে সিস্টেমআই টেকনোলজিস লিমিটেড একটি নতুন স্টার্টআপ এক্সচেঞ্জকরি উদ্বোধন করা হয়েছে।
বুধবার (২৩ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নতুন তৈরি রি-কমার্স প্ল্যাটফর্ম থেকে ওয়ারেন্টিসহ যে কেউ ব্যবহৃত ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কম্পিউটার নিতে পারবেন।
কেউ যদি পুরোনো ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ বিনিময় বা বিক্রি করতে চান তবে তারা পুরোনো ডিভাইসের একটি ছবি এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে প্ল্যাটফর্মে নিবন্ধন করতে পারেন। এরপর পণ্যের তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের পর দাম নির্ধারণ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ৪.৫৯ বিলিয়ন ডলার
পরে, আগ্রহী গ্রাহক প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত মূল্য যোগ করে পণ্যটি বিক্রি করতে বা একটি নতুন পণ্য কিনতে পারবেন।
সাধারণত একজন গ্রাহক নতুন ল্যাপটপ বা কম্পিউটার কেনার সময় সর্বোচ্চ তিন বছরের ওয়ারেন্টি পান। ওয়ারেন্টির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে, এক্সচেঞ্জকরি প্ল্যাটফর্মটি কম খরচে আপগ্রেড বা পরিষেবা সরবরাহ করে।
এক্সচেঞ্জকরি প্লাটফর্মের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল আহমেদ বলেন, ব্যক্তিগত ও কর্পোরেট পর্যায়ে বাংলাদেশে ৮০ লাখের বেশি পুরাতন ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ কম্পিউটার রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা বছরে এক লাখ কেজি ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। এতে গ্রাহক পর্যায়ে কম্পিউটার কেনার খরচ কমবে, পরিবেশ সবুজ হবে এবং এর ফলে বাংলাদেশ চক্রাকার অর্থনীতিতে প্রবেশ করবে।
এই ডিভাইসগুলোকে সচল এবং পুনরায় ব্যবহারযোগ্য রাখতে প্ল্যাটফর্মটি কাজ করবে বলেও জানান তিনি। এক্সচেঞ্জকরি আউটলেট-ভিত্তিক অপারেশন ছাড়াও হোম পরিষেবা সরবরাহ করবে।
আরও পড়ুন: ব্যাপক বিক্রির চাপের মধ্যে শেয়ারবাজারে টানা ৪ দিন দরপতন
জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ৪.৫৯ বিলিয়ন ডলার
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৫ দশমিক ২৬ শতাংশ।
ইপিবি জানিয়েছে, জুলাইয়ে ৪ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। যা আগের অর্থবছরের জুলাইয়ের তুলনায় ১৫ দশমিক ২৬ শতাংশ বেশি।
বৃহস্পতিবার পণ্য রপ্তানির এই হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে ইপিবি।
আরও পড়ুন: ২০২৩ অর্থবছরে রপ্তানি আয় ৫৫.৫৬ বিলিয়ন ডলার, যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ
বাংলাদেশ ২৬ ধরনের পণ্য রপ্তানি করে এবং এর মধ্যে ১৭টি পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে।
২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬২ বিলিয়ন ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছিল ১১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
এদিকে, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে রপ্তানি আয় ও প্রবৃদ্ধি ছিল যথাক্রমে ৫৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার ও ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
খাতভিত্তিক রপ্তানির তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি আয় এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এর মধ্যে ২ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার ও ১ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার এসেছে সেলাই ও উলের পোশাক থেকে।
আরও পড়ুন: রপ্তানি ঋণের সুদের হার কমিয়ে ৯ শতাংশ নির্ধারণ
চলতি অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৭২ বিলিয়ন ডলার
ব্যাপক বিক্রির চাপের মধ্যে শেয়ারবাজারে টানা ৪ দিন দরপতন
দেশের শেয়ারবাজারে বিক্রির ব্যাপক চাপে টানা চার কার্যদিবস বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার দরে পতন দেখা গেছে।
মঙ্গলবার উভয় পুঁজিবাজারের পতন দেখিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ৬ পয়েন্ট এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ ১২ পয়েন্ট হারিয়েছে।
সূচকের সঙ্গে দাম বাড়ার বিপরীতে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। ফলে টানা চার কার্যদিবস দরপতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। তবে তার আগে গত বুধবার পুঁজিবাজারে উত্থান দেখা যায়।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার বাজারে ৩৫৮টি কোম্পানির মোট ১৩ কোটি ৬৫ লাখ ৭৬ হাজার ৯৫৭টি শেয়ার ও ইউনিট বিনিময় হয়েছে। এসব শেয়ারে লেনদেন হয়েছে প্রায় ৬৬০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
আগের দিন প্রায় ৬৩৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছিল। আগের দিনের তুলনায় মঙ্গলবার লেনদেন কিছুটা বেড়েছে।
এদিন ৪৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১২১টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮৮টি কোম্পানির শেয়ারের দর।
আরও পড়ুন: বড়দিনে চীন, জাপানের শেয়ার বাজারে দরপতন
ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ৬ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৩১ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য দু’টি সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৭৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএস-৩০ সূচক ৪ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৬২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক ১২ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৭০৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার সিএসইতে ১৯০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে বেড়েছে ৪১টি কোম্পানির দর, কমেছে ৭৩টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৬টি কোম্পানির দর।
দিন শেষে (মঙ্গলবার) সিএসইতে ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন প্রায় ৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন: অক্টোবরের মধ্যেই শেয়ারবাজারে আসবে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ৪ ব্যাংক: অর্থমন্ত্রী
ভারত থেকে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ও এইচআইভি টেস্টের কিট আমদানি
দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো ভারত থেকে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ও এইচআইভি টেস্টের কিট আমদানি করা হয়েছে। ঢাকার একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ১ হাজার ২০০ কেজি কিট দেশে আমদানি করেছে।
হিলি স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট শফিকুল ইসলাম জানান, দেশে ডেঙ্গু ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে। এ কারণে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য কিটের চাহিদা বেড়ে গেছে। এই অবস্থায় ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ও এইচআইভি টেস্টের কিট আমদানির জন্য ব্যাংকে এলসি খোলে ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স ল্যাকটেড ইন্টারন্যাশনাল।
শফিকুল ইসলাম জানান, বুধবার বিকালে এলসির প্রথম চালানটি হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে দেশে আসে। এরপর চালানটি খালাসের জন্য হিলি কাস্টমসে সব কাগজপত্র দাখিল করা হলে কাস্টমস কর্মকর্তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করে এবং ট্যাক্স নিয়ে খালাসের অনুমতি দেয়। পরে রাতে কিটের চালানটি ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে নির্বাচন, হিলি দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
তিনি আরও জানান, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে এসব কিট সরবরাহ করবে। এজন্য ভারত থেকে এসব কিট আমদানি করা হয়েছে।
এদিকে হিলি স্থলবন্দরের শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, আমদানি করা এসব কিটের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ট্যাক্স নির্ধারণ করা হয়েছে।
আমদানিকারক ট্যাক্স পরিশোধ করে কিটের চালান খালাস করে নিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দরে ৬ দিন পর পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু
চলতি অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৭২ বিলিয়ন ডলার
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এবং মোট ৭২ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
এসময়ে পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬২ বিলিয়ন ডলার এবং সেবা খাতের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ বিলিয়ন ডলার।
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি চলতি অর্থবছরের রপ্তানি আয়ের এই লক্ষ্যমাত্রার কথা জানান।
আরও পড়ুন: বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
২০২২-২৩ অর্থবছরের সাময়িক হিসাব অনুযায়ী, এই অর্থবছরে ৬৪ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবা রপ্তানি করা হয়েছে। যা ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই অর্থবছরে ৫৫ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন মূল্যের পণ্য এবং ৯ বিলিয়ন মূল্যের পরিষেবা রপ্তানি করা হয়েছিল এবং প্রবৃদ্ধি ছিল যথাক্রমে ৬ দশমিক ৬৭ এবং ১ দশমিক ২৫ শতাংশ।
ঘোষণার আগে মন্ত্রী বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে ব্যবসায়ী নেতারা সাশ্রয়ী মূল্যে শিল্প কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এছাড়া রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে তারা মন্ত্রীকে বলেন।
নতুন রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণার সময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের সময় বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা বিবেচনা করা হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের সময় গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকটও বিবেচনা করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রশিক্ষিত শ্রমশক্তি এবং পণ্যের সাশ্রয়ী মূল্যসহ বাংলাদেশের কিছু সুবিধা রয়েছে।
এছাড়াও, বিশ্বব্যাপী উদ্যোক্তারা ভূ-রাজনৈতিক কারণে চীন থেকে শিল্প স্থানান্তর করছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ভিয়েতনামেও শ্রমিক সংকট রয়েছে। এসব সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ইউরোপীয় ইউনিয়নে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৯.৯৩ শতাংশ
ভারতে নির্বাচন, হিলি দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দেশে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে এবার ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম বর্গফুট প্রতি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার।
তিনি আরও জানান, ঢাকার বাইরে ৪৫ থেকে ৪৮ নির্ধারণ করা হয়েছে।
রবিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ট্যানারি মালিক, ট্যারিফ কমিশন ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণে নিরবচ্ছিন্ন লবণ সরবরাহ নিশ্চিতের উদ্যোগ বিসিকের
মন্ত্রী বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার ঢাকায় তিন টাকা এবং ঢাকার বাইরে পাঁচ টাকা বেড়েছে লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দামে। আর খাসি (পুরুষ ছাগল) ও ছাগলের চামড়ার দাম আগের বছরের মতোই রাখা হয়েছে।
টিপু মুনশি জানান, কোরবানির কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে পুরুষ ছাগলের দাম ১৮ টাকা থেকে ২০ টাকা এবং বকরি ছাগলের চামড়ারদাম রাখা হয়েছে ১২ থেকে ১৪ টাকা।
গত বছর ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ছিল ৪৭ থেকে ৫২ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৪ টাকা। আর খাসির লবণযুক্ত চামড়ার দাম ছিল ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং বকরি ছাগলের চামড়া ১২ থেকে ১৪ টাকা।
আসন্ন ঈদুল আজহায় কাঁচা চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জন্য ট্যানারী মালিকরা ব্যাংক থেকে প্রায় ২৫৯ কোটি টাকা ঋণ পাবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ট্যানারি মালিকরা ৫০০ কোটি টাকা ঋণ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন।
সর্বমোট ১২টি সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক আবেদনকারীদের মধ্যে ঋণ বিতরণ করবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ পরিমাণ ঋণ দেবে।
আরও পড়ুন: গত বছরের চেয়ে কিছুটা বাড়িয়ে পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ
কোরবানির পশুর চামড়ার দাম বাড়ালো সরকার
হিলি স্থলবন্দরে ভারতীয় ট্রাক চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আধাবেলা পর আমদানি-রপ্তানি শুরু
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্টে আমদানিকৃত পণ্য নিয়ে অবস্থান করা ভারতীয় ট্রাক চালকদের দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুজন চালক আহত হয়েছেন।
এদিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত আধাবেলা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। পরে দুই দেশের ব্যবসায়ী, ট্রাক পরিবহন চালক ও পুলিশের মধ্যস্থতায় বিষয়টির সুরাহা হলে দুপুর ২টা থেকে ফের আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়।
হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক জানান, ‘গতকাল বুধবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিকৃত বিভিন্ন পণ্যবাহী শতাধিক ভারতীয় ট্রাক পানামা পোর্টে প্রবেশ করে। এসময় কিছু পণ্যবাহী ট্রাক থেকে পণ্য খালাস করা হলেও অন্য ট্রাকগুলো পণ্য খালাসের অপেক্ষায় পানামা পোর্টে অবস্থান করছিল। গতরাত ১১টার দিকে ভারতের হিলির ট্রাক চালকরা কোনো কারণ ছাড়াই উত্তর প্রদেশের ট্রাক চালকদের ওপর চড়াও হয়। এসময় উত্তর প্রদেশের চালকরা বাধা দিলে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে উত্তর প্রদেশের চালক খুরশিদের হাত এবং মাথা ফেটে যায় এবং আনাস অজ্ঞান হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পানামা পোর্টের নিরাপত্তা কর্মীরা এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন।’
আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক বিকল, ৪ ঘণ্টা পর হিলি দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
তিনি আরও জানান, ‘পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে আহত দুজন চালককে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সংঘর্ষের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে উত্তর প্রদেশের চালকরা সকাল থেকে হিলি স্থলবন্দরের গেটে অবস্থান নেয়। এতে করে সকাল থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে দুপুরে চেকপোস্টের জিরোপয়েন্টে দুই দেশের ব্যবসায়ী, পুলিশ, ট্রাক চালক ও বন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি আরও জানান, বৈঠকে আহতদের ক্ষতিপূরণসহ নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিতের আশ্বাস দিলে উত্তর প্রদেশের ট্রাক চালকেরা ব্যারিকেড তুলে নেয়। এরপর দুপুর ২টা থেকে বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ভারতীয় ট্রাক চালকদের আকস্মিক ধর্মঘটে হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি বন্ধ
হিলিতে চালকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার, পণ্য আমদানি শুরু