������������������-���������������������
৫ জুন থেকে ওমানে ফ্লাইট শুরু ইউএস-বাংলার
বাংলাদেশের বেসরকারি এয়ারলাইন্স ইউএস-বাংলা আগামী ৫ জুন থেকে মাস্কাট-ঢাকা রুটে পুনরায় ফ্লাইট চালু করতে যাচ্ছে।
করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্য সতর্কতামূলক নির্দেশনা অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে ৪ দিন মাস্কাট থেকে ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
ঢাকাগামী যাত্রীদের নিজ খরচে ৩ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন থাকতে হবে এবং পরবর্তীতে কোভিড টেস্টের ফলাফলে নেগেটিভ হলে অবশিষ্ট ১১ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটে মঙ্গলবার থেকে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট
প্রাথমিকভাবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সপ্তাহে ৪ দিন মঙ্গল, বুধ, শুক্র ও রবিবার স্থানীয় সময় রাত ২টায় ফ্লাইটটি মাস্কাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে উড্ডয়ন করবে এবং ঢাকায় স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে অবতরন করবে। ১৬৪ আসনের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে মাস্কাট থেকে ঢাকা রুটে ফ্লাইটটি পরিচালনা করা হবে।
আরও পড়ুন : অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট বাড়াল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স
বর্তমানে ইউএস-বাংলার বিমান বহরে ৪ টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ সহ মোট ১৪ টি এয়ারক্রাফট রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউএস বাংলার ঢাকা-দোহা ফ্লাইট পুনরায় শুরু হচ্ছে ৩১ আগস্ট
করোনাকালীন সময়ে মাস্কাট ছাড়াও কুয়ালালামপুর, দোহা ও গুয়াংজু রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা। এছাড়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স অভ্যন্তরীণ সকল রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে ‘বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল’ স্থাপন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে ‘বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল’ স্থাপনে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চলকর্তৃপক্ষ (বেজা) ও বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) এর মধ্যে ‘ডেভেপলমেন্ট চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হয়েছে।
রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে এই চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। বেজার পক্ষে নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী ও বেপজার পক্ষে নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম ডেভেলপমেন্ট চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
সভাপতির বক্তব্যে পবন চৌধুরী বলেন, বেজা এবং বেপজার মধ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে এই চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে বেজা আরেকটি মাইলফলক রচনা করেছে। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়ন ও একটি শিল্পোন্নত, সমৃদ্ধ ও সুখী ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণে আমরা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলাম।
আরও পড়ুন : সম্ভাবনাময় আগামীর মিরসরাই: উন্নয়নের মোহনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর
তিনি বলেন, করোনাকালেও বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে সমর্থ হয়েছে। শুধুমাত্র গত বছরেই বেজা ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে। অচিরেই বেজার অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে অবস্থিত বেশ কিছু কারখানা পুরোদমে উৎপাদনে যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর মূখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস বেজা এবং বেপজার এ মাইলফলকে অর্জনে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, বিনিয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টির পাশাপাশি আধুনিক, দ্রুত এবং মানসম্মত সেবা বৃদ্ধির মাধ্যমে বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য বেজার কার্যক্রমের ফলে করোনা কালেও বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বের কাছে বিস্ময়বলে প্রতীয়মান হয়েছে।
বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো.নজরুলইসলাম বলেন, বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং পণ্যের বহুমুখীকরণের মাধ্যমে রপ্তানিবৃদ্ধি, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি রক্ষেত্রে বেপজা ইতোমধ্যেই দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, ইপিজেডগুলোর মতো অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিচালনায়ও বেপজা সাফল্যের পরিচয় দেবে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, বেজাকে বঙ্গবন্ধুশেখ মুজিব শিল্পনগর উন্নয়নে সরাসরি সহযোগিতা প্রদানে তার মন্ত্রণালয় বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বেজা ও বেপজার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও সরকারের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা ও বিনিয়োগকারীরা উপস্থিত ছিলেন।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা, ১৫ বছরের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১ কোটি লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিবছর অতিরিক্ত ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় প্রত্যাশা নিয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: বিসিক শিল্পনগরীসমূহে উৎপাদন অব্যাহত
চট্টগ্রামে রসীতাকুন্ড ও মিরসরাই উপজেলা ও ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর। ইতিমধ্যে ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ এখানে নিশ্চিত হয়েছে।
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে রয়েছে জাপানের নিপ্পন, ভারতের এশিয়ান পেইন্টস, যুক্তরাজ্যের বার্জার পেইন্টস, সিঙ্গাপুরের উইলমারসহ আরও অনেকে এবং দেশী স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে পিএইচপি, বসুন্ধরা গ্রুপ, ওয়ালটন গ্রুপ, টি কে গ্রুপ ছাড়াও আরও অন্যন বিনিয়োগকারী।
এ শিল্পনগরে ইতোমধ্যে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার সাথে বেজার সুসমন্বয়ের ফলে নির্মিত হয়েছে শেখ হাসিনা সরণি, দেশের সর্বপ্রথম সুপারডাইক, প্রতিষ্ঠিত হয়েছে গ্যাস সংযোগ, বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজ। এ শিল্প নগরে বর্তমান ১৩টি শিল্প নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে আরও ১৫টি প্রতিষ্ঠান শিল্প নির্মাণের অংশ হিসেবে প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে। জুলাই মাস নাগাদ কমপক্ষে দুটি শিল্প কারখানা উৎপাদনে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ৫ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা
পাঁচ দিনের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে দেশের সর্ব উত্তরের সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর।
পঞ্চগড় আমদানি রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
যাত্রী পারাপার না হলেও আমদানি-রপ্তানির কাজে পণ্য পরিবহণে নিয়োজিত যানবাহন ও চালকরা যাতায়াত করছেন। এতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসসহ ভারতীয় করোনা ভেরিয়েন্টে আক্রান্তের আশঙ্কায় স্থানীয়দের চাপের মুখে ৫ দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আগামী ৪ জুন থেকে বন্দরের আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে। ব্যবসায়ীদের এই সিদ্ধান্তের সাথে একমত হয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও।
আরও পড়ুন:বাংলাবান্ধার সাথে ৪ দেশের রেল যোগাযোগ চালু হবে: মন্ত্রী
দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য চলমান রয়েছে। করোনাকালে বর্তমানে যাত্রী পারাপার বন্ধ রয়েছে। তবে পাথরসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি রপ্তানি চলছে। প্রতিদিন ভারত, নেপাল ও ভুটানের শত শত পণ্যবাহী যানবাহন ও চালক প্রবেশ করছে।
বিশেষ এই পরিস্থিতিতে তেঁতুলিয়া উপজেলা করোনা প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা কমিটি বন্দরের জন্য ১৪টি নির্দেশনা জারি করলেও অধিকাংশই ঠিকমত মানা হচ্ছে না। এর ফলে স্থানীয়দের চাপের মুখে পড়েন বন্দর কর্তৃপক্ষসহ ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনা চান রেলমন্ত্রী
বেশ কিছুদিন ধরে দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে বন্দর সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বিশৃংখল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বন্দর বন্ধ রাখা ও চালু রাখার বিষয়ে বন্দর সংশ্লিস্টরা দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। বন্দর সংশ্লিষ্টদের দুটি পক্ষ দু রকম কথা বলছেন।
ব্যবসায়ীদের একটি পক্ষ জানান, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরসহ পুরো তেঁতুলিয়া উপজেলাটি ভারতের তিন দিকে অবস্থিত। ভারত থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে আসা ট্রাক চালকদের মাধ্যমে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পণ্য খালাসের সঙ্গে জড়িত শ্রমিক, চালকসহ কর্মজীবি মানুষজন এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। ভারতের করোনা ভেরিয়েন্ট ও ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বাংলাবান্ধার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বাসিন্দারা স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
অপরদিকে ব্যবসায়ীদের অপর পক্ষটি জানান, বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর আমদানি রপ্তানিকারক এসোসিয়েসনের দুটি পক্ষের আত্নসম্মান বজায় রাখার প্রতিযোগিতায় এমনটি ঘটছে। বন্দর খোলা রাখার পক্ষ্যের ব্যবসায়িদের অভিযোগ গত ১০ মে ঈদের ছুটির জন্য ১১ মে থেকে ২১ মে পর্যন্ত আমদানি রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি চিঠি দেয় বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর আমদানি রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েসনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা। ঈদ উপলক্ষে দশ দিন আমদানি রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তটি মানতে পারেনি ব্যবসায়িদের একটি পক্ষ। তাদের দাবি সারাদেশের অন্যান্য বন্দর যে কয়েকদিন বন্ধ রাখা হবে সেভাবেই এই বন্দরও বন্ধ রাখা হোক। পরে সিনিয়র সভাপতি তফিজুল ইসলাম ১২ মে থেকে ১৬ মে ৫ দিন আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়ে একটি সংশোধনী চিঠি প্রদান করে। এই চিঠির প্রেক্ষিতেই ১৭ মে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়। এ নিয়ে শুরু হয় দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে গত ২৭ মে বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলনসহ স্থানীয় অধিবাসীরা ভারত থেকে আসা কয়েকটি পাথর বোঝাই ট্রাককে ফিরিয়ে দেয়। এর ফলে বন্ধ হয়ে যায় আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম। পরবর্তীতে গত ২৯ মে আবার আমাদানি কার্যক্রম শুরু হলে ব্যবসায়িদের একটি পক্ষ আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য তৎপর হয়ে ওঠে। তারা চান স্থলবন্দরের কার্যক্রম আপাতত বন্ধ থাক। ওই দিনই কোভিড-১৯ এবং ভারতীয় ভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে কুদরতি-খুদা-মিলনের নেতৃত্বে কিছু ব্যাবসায়ী জেলা প্রশাসকের কাছে বন্দরটি বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ জানান। পরে আমদানি রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েসন একটি চিঠির মাধ্যমে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য সকল ব্যবসায়ীকে আহ্বান জানান। তবে এই সিদ্ধান্ত মানতে চান না কিছু ব্যাবসায়ী সিএন্ডএফ এজেন্ট এবং শ্রমিকরা। তারা চান বন্দরে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম চালু থাক।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েসনের সিনিয়র সহ-সভাপতি তফিজুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসন স্বাস্থ্য বিধি রক্ষায় বাস্তব সম্মত নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে এখনো কোন করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি। কয়েকজন ব্যাবসায়ী নেতার ব্যক্তিগত ইগো রক্ষার্থে বন্দরটি অচল হয়ে পড়েছে।
বাংলাবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলন বলেন, দেশে গত কয়েকদিন আগে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন সীমান্ত উপজেলা তেঁতুলিয়ার মানুষজন, বিশেষ করে বন্দর সংশ্লিষ্ট স্থানীয়রা। তাই নিজের ও এলাকার সুরক্ষার কথা ভেবে একাধিকবার তারা বিষয়টি আমাকে জানায়। পরে ২৫ মে রাতে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বন্দর সংশ্লিষ্ট লোকজনদের নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রাখার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের চাপে রবিবার (৩০ মে) থেকে আগামী ৩ জুন পর্যন্ত আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তিনি বলেন কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যবসায়ি এসি রুমে বসে আমদানি রপ্তানি করতে চান। তাদের জন্য অন্য ব্যবসায়িরা বা স্থানীয় মানুষ ঝুকিতে পড়বে এটা হতে পারেনা। দেশের অন্যান্য সীমান্ত এলাকাগুলোতে করোনা সংক্রমন বাড়ছে। আমরা আতংকে আছি। তাই স্থানীয় ব্যবসায়িরাই আমদানি রপ্তানি বন্ধ করেছে। বন্দর খোলা আছে। তারপরও যদি কেউ আমদানি-রপ্তানি করতে চায়, করতে পারে।
আমদানিকারক ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল লথিব তারিন জানান, যেহেতু সীমান্ত জেলাগুলোতে করোনা ভাইরাস এবং ভারতীয় ব্লাক ফাঙ্গাসের সংক্রমন বাড়ছে তাই আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রাখাই ভালো। কয়েকদিন দেখা দরকার। যদি স্বাভাবিক হয় তবে আবার না হয় শুরু করা যাবে।
পঞ্চগড় আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা বলেন, ‘অ্যাসোসিয়েশন থেকে কার্যক্রম পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত, রবিবার থেকে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ছে। বিষয়টি ভারতের পশ্চিবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ফুলবাড়ি ইম্পোর্টার এক্সপোর্টার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।’
তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘বন্দর খোলা আছে। ব্যবসায়িরা আমদানি-রপ্তানি করতে পারে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। করোনা ঝুঁকি কমাতে বন্দরে আমরা নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছি।’
বেনাপোল বন্দর দিয়ে আজ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ
বুদ্ধ পূর্ণিমার সরকারি ছুটি উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে বুধবার সকাল থেকে দু‘দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। তবে দূতাবাস থেকে ছাড়পত্র নিয়ে আটকে পড়া পাসপোর্টযাত্রীরা নিজ নিজ দেশে ফিরতে পারবেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরে আটকা পড়ে আছে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক। এসবের মধ্যে পচনশীল পণ্যসহ শতভাগ রপ্তিানিমুখী প্রতিষ্ঠানের কাঁচামালও রয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বুদ্ধ পূর্ণিমার সরকারি ছুটি থাকায় বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। এই বন্ধের মধ্যে বন্দরে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুনরায় বন্দরের কার্যক্রম শুরু হবে।
ভারতের পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শশঙ্ক শেখর ভট্রাচার্য জানান, বুধবার উভয় দেশে সরকারি ছুটি থাকায় পেট্রাপোল-বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সচল
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, এ পথে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও নিষেধাজ্ঞার আগে যারা আটকা পড়েছিল, তারা দূতাবাস থেকে ছাত্রপত্র নিয়ে যাওয়া-আসা করতে পারবেন। তাদের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। তবে যারা ফেরত আসবে তাদের অবশ্যই ১৪ দিন নিজ খরচে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
প্রসঙ্গত, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় ৪০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি করা হয়ে থাকে। এছড়া ভারতে রপ্তানি হয় ১৫০ ট্রাক বিভিন্ন পণ্য। আমদানি বাণিজ্য থেকে প্রতিদিন সরকারের রাজস্ব আসে প্রায় ২০ থেকে ৪০ কোটি টাকা।
সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের প্রণোদনার চেক বিতরণ শুরু
মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) উদ্যোক্তাদের জন্য এসএমই ফাউন্ডেশনের ৩০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা পুনরুদ্ধার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা এবং পল্লী এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সরকারের দ্বিতীয় দফার প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় এই কার্যক্রম শুরু করেছে এসএমই ফাউন্ডেশন।
আরও পড়ুন: সরকারি ক্রয়ে এসএমই খাতের জন্য কোটা নির্ধারণের চেষ্টা চলছে: শিল্পমন্ত্রী
মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মো: মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনলাইনে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, সরকারের দ্বিতীয় দফা প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় এসএমই ফাউন্ডেশনের অনুকূলে ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। চলমান লকডাউনের মধ্যেও যে তিনটি ব্যাংক (ব্র্যাক ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ও প্রিমিয়ার ব্যাংক) এবং একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান (আইডিএলসি) ঋণ বিতরণের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে তাদেরকে আমি বিশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: রূপকল্প ২০৪১-এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের তাগিদ শিল্পমন্ত্রীর
তিনি আরও বলেন, মনে রাখতে হবে যে সারাদেশে লাখ লাখ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।এসব উদ্যোক্তাদের পাশে আমাদের দাঁড়াতে হবে।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের অর্থ দ্রুততম সময়ের মধ্যে উদ্যোক্তাদের মধ্যে বিতরণ করতে হবে। যেসব উদ্যোক্তা প্রথম প্যাকেজের আওতায় সুবিধা পাননি তাদের খুঁজে বের করে ঋণের আওতায় আনতে হবে। এক্ষেত্রে নারী-উদ্যোক্তাদের বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
উল্লেখ্য, প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় উদ্যোক্তাগণ ৪% সুদে ঋণ পাবেন। গ্রাহক পর্যায়ে ঋণের পরিমাণ হবে সর্বনিম্ন ১ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ২৪টি সমান মাসিক কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করা যাবে। মোট ঋণের ২৫-৩০% নারী-উদ্যোক্তাদের মাঝে বিতরণের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি দেশিয় ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে: শিল্পমন্ত্রী
ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো: মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব রিয়াজুল করিম।
এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালক পর্ষদের সদস্যরা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
আইপিডিসির রিটেইল বিজনেসের প্রধান হলেন সাভরিনা আরিফিন
আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের রিটেইল বিজনেসের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন সাভরিনা আরিফিন।
আইপিডিসি-তে এর আগে তিনি রিটেইল বিজনেসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান ও হেড অব ডিস্ট্রিবিউশনের দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: বাণিজ্যিক বিমান পরিসেবা চালু করেছে সরকার
ব্যাংকিং এবং আর্থিক খাতে সাভরিনা আরিফিনের ১৫ বছরের সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি ২০০০ সালে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের প্রায়োরিটি ব্যাংকিং বিভাগে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০০৮ সালে তিনি আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডে যোগদান করেন।
তিনি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ ও এমবিএ সম্পন্ন করেন।
আরও পড়ুন: মোবাইল ব্যাংকিং: সেন্ড মানি ফ্রিসহ সার্ভিস চার্জ কমানোর দাবি
নিয়োগ সম্পর্কে আইপিডিসি ফিনান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম বলেন, 'রিটেইল বিজনেস নিয়ে আমাদের প্রত্যাশা সবসময়ই ছিল অনেক বেশি, কারণ আমরা সদাপরিবর্তনশীল গ্রাহক ও নিত্য-পরিবর্তনশীল প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছি। আমরা বিশ্বাস করি, এই উচ্চ প্রত্যাশার বাস্তবায়ন দেখতে হলে আমাদেরকে সবসময়ই নতুনকে আলিঙ্গন করতে হবে। সাভরিনার দৃঢ়তা ও রিটেইল অর্থায়নে আমূল পরিবর্তন আনার তীব্র আকাঙ্ক্ষার প্রতি আমার অগাধ বিশ্বাস রয়েছে। নতুন ভূমিকায় দায়িত্বগ্রহণের জন্য আমি সাভরিনাকে অভিনন্দন জানাতে চাই।'
আরও পড়ুন: তামাকের ছোবল থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে হবে: প্রজ্ঞা
রিটেইল বিজনেস ডেভেলপমেন্ট, বিক্রয় ও বিপণন, কৌশলগত ব্যবসা পরিকল্পনা, রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট এবং রিস্ক ম্যানেজমেন্টের মতো ব্যাংকিংয়ের নানান ক্ষেত্রে সাভরিনা আরিফিনের বিশেষ দক্ষতা রয়েছে।
মোবাইল ব্যাংকিং: সেন্ড মানি ফ্রিসহ সার্ভিস চার্জ কমানোর দাবি
আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের (এমএফএস) সার্ভিস চার্জ হাজারে ১০ টাকা ও সেন্ড মানি ফ্রি করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
অপোর ঈদ ‘ধামাকা অফারে’ বাইকসহ নানা উপহার
এই ঈদে উৎসবের আয়োজনকে আরও আনন্দময় করতে ‘ধামাকা অফার’ নিয়ে এসেছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড অপো। এই অফারে রয়েছে অপো এফ১৯ প্রো কিনলে ভাগ্যবান বিজয়ীরা পাবেন জিক্সার মোটরবাইক, ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক ও বাই ওয়ান গেট ওয়ান সহ নানা পুরস্কার।
অফারটি পেতে অপোর যে কোন মডেলের হ্যান্ডসেট কিনে এই লিংকে www.oppoluckycampaign.com ভিজিট করে ফরম ফিলাপ করে ‘চেক ইউর লাক’ অপশন ক্লিক করলে ভাগ্যবান পুরস্কার বিজয়ী কিনা জানা যাবে।
আরও পড়ুন: ‘অপো লাইকি চ্যালেঞ্জে’ জিতুন অপো এফ১৯ প্রো
শুধু তাই নয় নিশ্চিত উপহার হিসাবে লাকি ড্র ছাড়াও অপো এ১৫ এবং এ১৫এস ক্রেতারা পেতে পারেন সীমিত সংখ্যক হেডফোন। আরও থাকছে বিজয়ের ৫০ বছর উপলক্ষে এ৫৩ হ্যান্ডসেটের সাথে টি-শার্ট এবং এফ১৭, এফ১৭ প্রো, এফ১৯ প্রো এবং রেনো৫ কিনলে অপো ট্রাভেল ব্যাকপ্যাক জিতে নেয়ার সুযোগ।
ঈদের আগে গ্রাহকদের সাথে উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতেই অপোর এই আয়োজন।
আরও পড়ুন: ছবি তুলে পোস্ট দিয়ে অপো এফ ১৯ প্রো জেতার সুযোগ
শুভেচ্ছা উপহার হিসাবে প্রতিটি হেডফোনের সাথে রয়েছে অপো লিমিটেড গিফট স্টিকার। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে অপোর আউটলেটগুলো বিশেষ সাজে সজ্জিত হবে যাতে গ্রাহকরা পাবেন ঈদের ভিন্নরকম আমেজ।
আরও পড়ুন: রমজানে ব্র্যান্ড সার্ভিস অফার নিয়ে এলো অপো
ধামাকা অফার সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে অপো বাংলাদেশের ফেসবুক পেজ এবং অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে।
সকল পণ্যে ওয়ারেন্টির মেয়াদ বাড়াল স্যামসাং
ক্রেতাদের সুবিধা বিবেচনায় স্যামসাং পণ্যে ওয়ারেন্টি সেবার সময়সীমা বাড়াচ্ছে স্যামসাং বাংলাদেশ।
গত ৫ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া লকডাউনে যেসব স্যামসাং পণ্যের মেয়াদ শেষ হয়েছে এবং শেষ হবে, সেসকল পণ্যের ওয়ারেন্টির মেয়াদ বাড়িয়েছে প্রযুক্তি পণ্যের বৃহৎ এই প্রতিষ্ঠানটি।
স্যামসাং এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, লকডাউন শেষ হবার দিন থেকে অতিরিক্ত ১৪ দিন পর্যন্ত ওয়ারেন্টি সেবার সময় বাড়বে।
আরও পড়ুন: মাত্র ৫,৯৯৯ টাকায় স্যামসাংয়ের স্মার্টফোন!
করোনার সংক্রমণ এবং ভাইরাসের কারণে মৃত্যু কমাতে সরকার দেশজুড়ে লকডাউন আরোপ করে। লকডাউন চলাকালে চলাফেরায় বিধি-নিষেধের কারণে ক্রেতারা ওয়ারেন্টি সেবা গ্রহণ করতে পারছেন না। তাই, ক্রেতাদের এ সমস্যা লাঘবে এবং তাদের জীবনযাত্রাকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ করতে ওয়ারেন্টি সেবার সময় বাড়িয়েছে স্যামসাং।
আরও পড়ুন: স্যামসাং বাজারে নিয়ে এলো বাজেটবান্ধব গ্যালাক্সি এম০২এস
এ নিয়ে স্যামসাং বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোয়ানসাং উ বলেন, ‘বাংলাদেশ ও দেশের নাগরিকরা করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ দেশব্যাপী বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। এ অবস্থায়, মানুষ এমনিতেই নানা বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন, এ সময়ে আমরা চাই না ক্রেতারা ওয়ারেন্টির সময় শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তা করুক। এজন্য, কিছুটা হলেও তাদের দুশ্চিন্তা কমাতে এবং তাদের জীবনকে আরও সহজ করে তুলতে আমরা ওয়ারেন্টির সময় বাড়াতে পেরে আনন্দিত। আমাদের বিশ্বাস, ক্রেতারা এর থেকে উপকৃত হবেন। এ প্রতিকূল অবস্থায়, আমরা সবাইকে বাসায় থেকে নিরাপদ ও সুস্থ থাকার অনুরোধ জানাই।’
আরও পড়ুন: বছর শেষে অফার নিয়ে এসেছে স্যামসাং বাংলাদেশ
গত বছর সাধারণ ছুটি চলাকালেও স্যামসাং এর সকল পণ্যে ওয়ারেন্টি সেবার সময় বাড়িয়েছিল।
ইডেন কলেজের সকল ফি বিকাশে পরিশোধ করা যাচ্ছে
ইডেন মহিলা কলেজের সব ধরনের ফি বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারছেন শিক্ষার্থীরা।
এর ফলে শতাব্দী প্রাচীন কলেজেটির ২০ হাজার শিক্ষার্থী তাদের সুবিধাজনক সময়ে যেকোন স্থান থেকে মাসিক বেতনসহ সব ধরনের ফি সহজে, নিরাপদে বিকাশে পরিশোধ করতে পারছেন। বিশেষ করে করোনার এই সময়ে সেবাটি আরও উপযোগী হল এবং শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কলেজ কর্তৃপক্ষের বেতন ব্যবস্থাপনাকেও আরও সহজ এবং সাশ্রয়ী করল।
আরও পড়ুন: বিকাশ পে-রোল সল্যুশন ব্যবহার করবে সেবা প্ল্যাটফর্ম
শিক্ষার্থীরা এখন বিকাশ অ্যাপ অথবা *২৪৭# ডায়াল করে কলেজ ফি ও অন্যান্য ফি পরিশোধ করতে পারছেন।
আরও পড়ুন:করোনা টিকার নিবন্ধন এখন বিকাশ অ্যাপে
ফি পরিশোধ করতে বিকাশ অ্যাপের পে বিল আইকন থেকে এডুকেশনে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা থেকে ইডেন কলেজ নির্বাচন করে শিক্ষার্থীর তথ্য, টাকার পরিমান ও পিন দিয়ে বেতন পরিশোধ সম্পন্ন করা যাচ্ছে। ফি দেয়া হয়ে গেলে ডিজিটাল রিসিটও ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করার সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি, ভবিষ্যৎ ফি পরিশোধ সহজ করার জন্য ফি পরিশোধের প্রয়োজনীয় তথ্য অ্যাপে সেভ করে রাখার সুযোগও পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, কর্মদিবসে ব্যাংকে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থী বা তাদের অভিভাবকের বিল পরিশোধের ঝামেলা দূর করে সময় ও খরচ সাশ্রয় করতে সারাদেশের ৬০০ প্রতিষ্ঠানকে ফি পরিশোধ সেবা দিয়ে আসছে বিকাশ। এই ডিজিটাল ফি পরিশোধ ব্যবস্থা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বেতন ব্যবস্থাপনায়ও বাড়তি গতিশীলতা নিয়ে এসেছে।
আরও পড়ুন:পাঁচটি বিকাশ নম্বরে সেন্ড মানি করা যাবে কোন খরচ ছাড়াই