স্থানীয়-ব্যবসা-বাণিজ্য
মাংস-মুরগি-ডিমের দাম বাড়লেও কমেছে সবজি-পেঁয়াজের দাম
রাজধানীর কাঁচাবাজারে শুক্রবার মাংস, মুরগি ও ডিমের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও সবজি, আলু ও পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে।
কারওয়ান বাজার, মহাখালী, রামপুরা, মালিবাগসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীতে গরুর মাংস ও মুরগির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে।
শুক্রবার(২২ মার্চ) প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। গত সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় ৫০ টাকা বেড়েছে। খাসির মাংস প্রতি কেজি ৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকায়।
ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়েছে, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা কেজি। যা আগে বিক্রি হয়েছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। এ ছাড়া সোনালি মুরগির দাম বেড়ে ৩৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
একইভাবে প্রতি কেজি কক মুরগি ৩৬০ থেকে ৩৭০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ীরা জানান, মুরগির খাবার ও ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম বাড়ায় মাংসের দামও বেড়েছে।
প্রায় সবজির দাম কমলেও নতুন আসা মৌসুমি সবজির দাম যেমন সজনে ডাটা, শিম, করলার দাম বেশি। যা মান ভেদে ১০০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রমজানে ঢাকায় ন্যায্য মূল্যে ট্রাকে করে মাংস ও ডিম বিক্রি হবে
বেগুনসহ অন্যান্য সবজি প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং লাউ, চালকুমড়া ও ফুলকপি প্রতিটি ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মান ভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৬০ টাকা, রসুন ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা এবং আদা ২০০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ডিমের দাম প্রতি ডজন ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে এক ডজন বাদামি ডিম ১৪৫ টাকা, হাঁসের ডিম প্রতি হালি (৪টি) ৭০ টাকা এবং দেশি মুরগির ডিম ৮০ টাকা (চারটি) দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ সপ্তাহে রান্নার অন্যান্য পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাশ্রয়ী মূল্যে রাজধানীর ৩০ পয়েন্টে বিক্রি হবে দুধ, ডিম, মাংস ও মাছ: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
কৃষকদের সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চ ফলনশীল বীজ সরবরাহে গুরুত্ব দিচ্ছে এফবিসিসিআই
কৃষি উৎপাদন বাড়াতে মানসম্মত বীজ ও আধুনিক সংরক্ষণাগার সুবিধা নিশ্চিত করা জরুরি বলে জানিয়েছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
বুধবার(২০ মার্চ) রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে কৃষি, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষিভিত্তিক শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির এক আলোচনা সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম এই গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, কৃষিতে কাঙ্ক্ষিত উৎপাদনশীলতা অর্জনে এ খাতের ব্যবসায়ীরা কৃষক পর্যায়ে ভালো মানের উচ্চফলনশীল বীজ প্রাপ্যতা, খাদ্য উদ্ভাবন প্রক্রিয়া জোরদার এবং জলবায়ু সহিষ্ণু জাত ও গবেষণার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন।
এছাড়া উৎপাদন খরচ কমাতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, বিশেষায়িত হিমাগার স্থাপনা নির্মাণ, উন্নত সরবরাহ ব্যবস্থা ও কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: রমজানে কাঁচামাল পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক ও সরবরাহ ঠিক রাখার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বীজের গুণগত মানোন্নয়নে গবেষণার দিকে নজর দিতে হবে। পাশাপাশি প্রযুক্তির ব্যবহারে বেশি নজর দিতে হবে। কৃষিতে প্রযুক্তির উন্নতি হলে উৎপাদনশীলতা বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মাহবুবুল আলম আরও বলেন, কৃষকদের পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাওয়ার আশ্বাস দেওয়া উচিত এবং তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য নীতি প্রয়োগ করা উচিত।
ভবিষ্যৎ খাদ্য নিরাপত্তা ও ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা মাথায় রেখে কৃষি জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন কমিটির চেয়ারম্যান ও প্রাণ আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী।
প্রচলিত ফসলের পাশাপাশি ডাল ও তৈলবীজসহ উদ্যান পালন, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ এবং হাঁস-মুরগির উৎপাদন বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ ও নতুন বাজার ধরতে কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের ভূমিকা রাখতে হবে: এফবিসিসিআই
৩১ মার্চ থেকে নতুন নোট বিনিময় শুরু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ৩১ মার্চ থেকে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে নতুন নোট বাজারে ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক(বিবি)।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন এবং সরকারি ছুটির দিন ছাড়া সাধারণ মানুষ ৯ এপ্রিল পর্যন্ত নতুন নোট বদল করতে পারবেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ৩১ মার্চ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার কাউন্টারের মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে নতুন নোট বিনিময় করা হবে।
আরও পড়ুন: ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিদেশ যাত্রা নিষিদ্ধ, রাষ্ট্রীয় সম্মাননার অযোগ্য: বাংলাদেশ ব্যাংক
এছাড়া ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ৮০টি শাখা থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় ৫, ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকা মূল্যমানের নতুন নোট বিনিময় করা হবে।
একজন ব্যক্তি নতুন নোটের জন্য একাধিকবার টাকা বদল করতে পারবেন না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আরও পড়ুন: হুন্ডি অভিযানে দিনে ২০০ মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস অ্যাকাউন্ট বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক: গভর্নর
বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধিতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ৩০ টাকা
দেশের প্রধান উৎপাদন এলাকা পাবনা ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে ঢাকায় নতুন উৎপাদিত পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার প্রতি কেজিতে পেঁয়াজের দাম ৩০ টাকা কমেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর মালিবাগ, মগবাজার, কারওয়ান বাজার ও শ্যামবাজারের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পেঁয়াজের মৌসুম শুরু হওয়ায় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে।
ফলে পাইকারি বাজারে দাম কমেছে এবং ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি এই পেঁয়াজের দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়।
এক সপ্তাহ আগেও ঢাকার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়।
আরও পড়ুন: শিগগিরই ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ ও খেজুরের দাম কমবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী হাজী মোকাররম ইউএনবিকে বলেন, ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ আসার খবর পেয়ে কৃষকরা দ্রুত পেঁয়াজ তুলে বাজারে বিক্রি শুরু করেন। ফলে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে এবং পেঁয়াজের দামও কমেছে।
রাজধানীর শ্যামবাজারের আমদানিকারক ও পেঁয়াজ ব্যবসায়ী নারায়ণ সাহা বলেন, ‘বর্তমানে যথাসময়ে বাজারে এসেছে মৌসুমি পেঁয়াজ। এর প্রভাব পড়েছে বাজারের দামে। কৃষকদের রক্ষায় এখন আর পেঁয়াজ আমদানির প্রয়োজন নেই।’
নারায়ণ আরও বলেন, এখন সঠিক উপায়ে পেঁয়াজ সংগ্রহ এবং ভবিষ্যতে বাজারের চাহিদার জন্য সাবধানে সংরক্ষণের উপর জোর দেওয়া দরকার।
বাজারে আসা পেঁয়াজ সঠিকভাবে সংরক্ষণ করলে বছরের বাকি সময়ে দাম স্বাভাবিক থাকবে বলে তিনি মনে করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশসহ ৬ দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি ভারতের
তিন সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা
২৯ পণ্যের মূল্য নির্ধারণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি দোকান মালিক সমিতির
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের (ডিএএম) নির্ধারিত ২৯টি পণ্যের নির্ধারিত দাম প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন দাবি করেন, এই মূল্য নির্ধারণ অযৌক্তিক ও আত্মঘাতী।
তিনি বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে দাম নির্ধারণ করা যায় না।
আরও পড়ুন: একীভূত করলেও পদ্মা ব্যাংকের কোনো কর্মচারী চাকরি হারাবেন না: এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান
তিনি আরও বলেন,‘এখন ২৯টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা ডিএএমকে এই দামে বিক্রি করতে বলছি এবং তাদের কর্মচারীদের বেতনের সঙ্গে মুনাফার অংশটি দিতে বলেছি।’
তিনি দাবি করেন, ‘হয় তারা নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রি করবে অথবা সার্কুলার প্রত্যাহার করবে। আমরা এই দামে পণ্য বিক্রি করতে পারছি না। মূল্য নির্ধারণ অবাস্তব ও অর্থহীন।’
সংবাদ সম্মেলনে সমিতির মহাসচিব জহিরুল হক ভূঁইয়াসহ ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৭ দফা দাবি উত্থাপন করেছে দোকান মালিক সমিতি। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ২৯ পণ্যের মূল্য নির্ধারণের প্রজ্ঞাপন স্থগিত করা, অন্যথায় তাদের ব্যবসা বন্ধ করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। আমদানি ও উৎপাদনের সঠিক পরিসংখ্যান নিশ্চিত করতে হবে, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) সক্ষমতা বাড়াতে হবে, বাজার ব্যবস্থাপনা সংস্কার করতে হবে, ভোগ্যপণ্য একই মন্ত্রণালয়ের আওতায় আনতে হবে, বাজারের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে, ব্যবসায়ীদের চাপমুক্ত পরিবেশে ব্যবসা করার সুযোগ দিতে হবে, ভোগ্যপণ্যের ওপর আরোপিত সব ধরনের কর সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে হবে।
আরও পড়ুন: বুধবার থেকে স্বর্ণের ভরিতে কমবে ১৭৫০ টাকা
বুধবার থেকে স্বর্ণের ভরিতে কমবে ১৭৫০ টাকা
আগামীকাল বুধবার থেকে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৪৯ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
মঙ্গলবার(১৯ মার্চ) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য মনিটরিং স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাজুস জানিয়েছে, প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ১ দশমিক ৫ শতাংশ কমিয়ে ১ লাখ ১১ হাজার ১৫৮ টাকা করা হবে, যা ছিল দেশে সর্বোচ্চ।
আরও পড়ুন: স্বর্ণ চোরাচালানে বছরে ৭৩ হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে: বাজুস
নতুন দর অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ১১ হাজার ১৫৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬ হাজার ১৪২ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৯০ হাজার ৯৮৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির পরিমাপে স্বর্ণ ৭৫ হাজার ৮১৬ টাকা।
গত ২৪ আগস্ট দাম বাড়ার পর দেশের বাজারে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১ হাজার ২৪৪ টাকায় পৌঁছায়।
তবে স্বর্ণের দাম বাড়লেও রুপার দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে প্রতিদিন ২০০ কোটি টাকার স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমে আসে: বাজুস
মান অনুযায়ী, বর্তমানে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির পরিমাপে রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।
বৈদেশিক মুদ্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে গত কয়েক বছরে স্বর্ণের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
এছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি এবং অভ্যন্তরীণ বাজারে এর সরবরাহে অস্থিরতার প্রভাব ছিল।
বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ স্বর্ণ আমদানি না করলেও এর দাম আন্তর্জাতিক প্রবণতার সঙ্গে প্রায় সম্পৃক্ত।
বাংলাদেশে স্বর্ণের বার্ষিক চাহিদা ২০ থেকে ৪০ টন।
আরও পড়ুন: স্বর্ণ শোধনাগার শিল্পে ১০ বছরের কর মওকূফ চায় বাজুস
একীভূত করলেও পদ্মা ব্যাংকের কোনো কর্মচারী চাকরি হারাবেন না: এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান
পদ্মা ব্যাংক শরিয়াহভিত্তিক এক্সিম ব্যাংক পিএলসির সঙ্গে একীভূত হয়েছে। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সইয়ের মধ্য দিয়ে এই একীভূতকরণ সম্পন্ন হয়।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারসহ দুই ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দুর্বল ও সবল ব্যাংকগুলোর সঙ্গে দুর্বল ব্যাংকের একীভূতকরণে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক উদ্যোগের পর এটিই প্রথম দেশে দুই ব্যাংকের একীভূতকরণ বাস্তবায়ন করা হলো।
এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, আগামীকাল থেকে পদ্মা ব্যাংকের আর অস্তিত্ব থাকবে না। একীভূতকরণের ফলে নতুন করে এক্সিম ব্যাংক নামে কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
আরও পড়ুন: সোমবার একীভূতকরণে সমঝোতা স্মারক চুক্তি করবে পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংক
তিনি আরও বলেন, একীভূতকরণের কারণে কোনো কর্মী চাকরি হারাবেন না। তবে পদ্মা ব্যাংকের পরিচালকরা এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে থাকতে পারবেন না। দুই ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘পদ্মা ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো চাপ ছিল না, বরং সরকারের পক্ষ থেকে এটি একটি পরামর্শ ছিল। দেশের স্বার্থে, অর্থনীতির স্বার্থে আমরা এটা করেছি।’
একীভূতকরণের ফলে আমানতকারী ও শেয়ারহোল্ডারদেরও কোনো সমস্যা হবে না বলে জানান তিনি।
এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, 'ব্যাংকগুলোর একীভূতকরণের দুটি পদ্ধতি রয়েছে- অধিগ্রহণ ও একীভূতকরণ। আমরা অধিগ্রহণ করিনি, আমরা একীভূতকরণ করেছি।’
সূত্র জানায়, পদ্মা ব্যাংকের প্রায় ১২০০ কর্মী এখন থেকে এক্সিম ব্যাংকে অধীনে কাজ করবে।
পদ্মা ব্যাংকের খেলাপি ঋণ প্রায় চার হাজার কোটি টাকা এবং পদ্মার কাছে সরকারি ব্যাংকগুলোর দায় প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা।
এ বিষয়ে এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, 'পদ্মা একীভূত হয়ে যাওয়ায় পদ্মা ব্যাংকের সব দায় এখন এক্সিম ব্যাংকের।’
শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এক্সিম ব্যাংক শরিয়াহভিত্তিক। পদ্মা ব্যাংক সাধারণ হলেও যেহেতু আমরা (এক্সিম) একীভূত করেছি, তারাও শরিয়াহভিত্তিক হবে। এক্সিম ব্যাংকের প্রতিটি সূচক ভালো অবস্থানে আছে, আশা করি আরও ভালো করবে।’
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে যাচ্ছে পদ্মা ব্যাংক
হুন্ডি অভিযানে দিনে ২০০ মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস অ্যাকাউন্ট বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক: গভর্নর
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, হুন্ডি সংযোগের কারণে প্রতিদিন প্রায় ২০০ মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) হিসাব বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, যেকোনো উপায়ে মানিলন্ডারিং কার্যক্রম রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এলসি ও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে বাণিজ্য লেনদেন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে।
সোমবার রাজধানীতে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত (সিআইডি) বিভাগের প্রধান কার্যালয়ে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গভর্নর এসব কথা বলেন।
রউফ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে যোগদানের পর থেকে অর্থ পাচার রোধে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন তা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, '২০২২ সালে আমি যখন বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগদান করি, তখন দেশে বৈদেশিক মুদ্রার মারাত্মক সংকট ছিল। সে সময় ওভার ইনভয়েসিং বন্ধে প্রথম পদক্ষেপ নিই।’
বিদেশে রপ্তানি পণ্যের মুনাফা রাখা সত্ত্বেও আবার মানি লন্ডারিংয়ের ঘটনা ঘটে। তা প্রতিরোধেও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন নতুন দুই ডেপুটি গভর্নরের
হুন্ডি নিষিদ্ধের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দৃঢ় অবস্থানের কথা জানান গভর্নর।
তিনি বলেন, প্রবাসীরা দেশে তাদের পরিবারকে হয়তো ৫০০ টাকা পাঠাবেন। সেক্ষেত্রে তিনি বিদেশে পরিচিত কাউকে সেই টাকা দেন এবং দেশে থাকা তার পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে সেই টাকা স্বজনদের দিচ্ছেন।
সেই টাকা বিদেশে পড়ে থাকে। এর বিপরীতে বাংলাদেশের একজন প্রতিনিধি এই অর্থ পরিশোধ করেছেন। আগে যেহেতু হোম ডেলিভারির মাধ্যমে পেমেন্ট করা হতো, এখন তা এমএফএসের মাধ্যমে করা হয়।
প্রতিদিন প্রায় ২০০টি এ ধরনের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হচ্ছে। পরে আবার গ্যারান্টি দিয়ে কিছু অ্যাকাউন্ট খোলা হয়, কয়েকজনের বিরুদ্ধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
মানি চেঞ্জারদের বিরুদ্ধে প্রচারণার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে গভর্নর বলেন, দেশে প্রতি বছর মানি চেঞ্জারদের মাধ্যমে ৪৫ থেকে ৫০ মিলিয়ন ডলারের লেনদেন হয়। ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রায় ২৭০ বিলিয়ন ডলারের ট্রানজিশন হয়।
কিন্তু লেনদেনের সামান্য অংশ সত্ত্বেও মানি চেঞ্জাররা ডলারের দর বাড়িয়ে দিলে অনেক প্রবাসী রেমিট্যান্স আটকে রাখার চেষ্টা করেন। এভাবেই ডলার সংকট তৈরি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন রউফ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘এজন্য মানি চেঞ্জারদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেন করা এড়িয়ে চলুন। এটা আমাদের দেশে সম্পূর্ণ বেআইনি।’
সিআইডি প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাস বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গভর্নর সের্গেইভিচের বৈঠক অনুষ্ঠিত
বৈদেশিক মুদ্রা ছাড়াই কাউন্টার-ট্রেড ব্যবস্থা চালু করল বাংলাদেশ ব্যাংক
কাউন্টার-ট্রেড ব্যবস্থার মাধ্যমে আমদানি ও রপ্তানি লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য নতুন নীতিমালা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কাউন্টার-ট্রেড আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের একটি পারস্পরিক বিনিময় পদ্ধতি যেখানে পণ্য বা পরিষেবাগুলো নগদ মুদ্রার পরিবর্তে অন্যান্য পণ্য বা পরিষেবাদির জন্য বিনিময় করা হয়।
এভাবে বৈদেশিক মুদ্রা ছাড়াই পণ্যের বিনিময়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা যায়। অর্থাৎ বিদেশে কোনো কোম্পানি থেকে ১০০ ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করে ওই কোম্পানির কাছে টাকা পরিশোধ না করেই, তারা একই মূল্যের আরেকটি পণ্য রপ্তানি করতে পারবে। এসব লেনদেনে বৈদেশিক মুদ্রা বা ডলারের প্রয়োজন হবে না।
রবিবার(১০ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করে তা তাৎক্ষণিক বাস্তবায়নের জন্য সব তফসিলি ব্যাংকের শীর্ষ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছে।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, কাউন্টার-ট্রেড পদ্ধতির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া পণ্যের দামের সঙ্গে বাংলাদেশে আমদানি করা পণ্যের দাম সমন্বয় করা যাবে।
এক্ষেত্রে এ দেশের রপ্তানিকারক, আমদানিকারক বা ব্যবসায়ীরা কাউন্টার-ট্রেড প্রক্রিয়ায় আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করতে পারেন।
আরও পড়ুন: রাতেই চিনির মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করল সরকার
স্থানীয় ব্যাংক বিদেশি প্রতিষ্ঠানের নামে বা বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যৌথভাবে দেশে এসক্রো অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করবে, যাতে স্থানীয় আমদানিকারকের কাছ থেকে প্রাপ্ত আমদানি মূল্য জমা দেওয়া হবে।
এ দেশ থেকে রপ্তানি হওয়া পণ্যের মূল্য আমানতের স্থিতির বিপরীতে স্থানীয় রপ্তানিকারককে পরিশোধ করা হবে।
এসক্রো হিসাবের অবস্থা নির্দিষ্ট সময়ে তাদের সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হবে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা বিদেশি ব্যবসায়ীদের মতো বিদেশি ব্যাংকে এসক্রো হিসাব পরিচালনা করতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিতে হবে।
আরও পড়ুন: রমজানে কাঁচামাল পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক ও সরবরাহ ঠিক রাখার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির
রমজানে কাঁচামাল পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক ও সরবরাহ ঠিক রাখার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির
আসন্ন রমজানে মরিচ, আলু, শসা, বেগুনসহ প্রয়োজনীয় কাঁচামাল জাতীয় পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে এই খাতের খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতাদের সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম।
তিনি বলেন, কোনো অসাধু ব্যক্তি যেন কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে ভূমিকা রাখতে হবে।
রবিবার(১০ মার্চ) সকালে কাঁচামাল আড়তদার, মার্কেটিং অ্যান্ড সাপ্লায়ার্স বিষয়ক এফবিসিসিআইয়ের স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এই আহ্বান জানান।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, রমজান মাস পবিত্র মাস। এ মাসকে কেন্দ্র করে অতিপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সবজি যেমন বেগুন, মরিচ, আলু, শসা ইত্যাদির সরবরাহ ও মূল্য যেন স্বাভাবিক থাকে, এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলে কেউ যেন কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য এই খাতের ব্যবসায়ীদের আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।
এফবিসিসিআই সভাপতি, পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখতে এই খাতের ব্যবসায়ী নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, দেশে প্রতি বছর প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মেট্রিক টন সবজি উৎপাদিত হয়। যার মধ্যে প্রায় ৫০ ভাগই সঠিকভাবে সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যায়। এ অবস্থার উন্নয়নে সঠিক পরিসংখ্যান ও সংরক্ষণ ব্যবস্থা জরুরি।
আরও পড়ুন: স্বর্ণ শোধনাগার শিল্পে ১০ বছরের কর মওকূফ চায় বাজুস
পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে পথে ঘাটে চাঁদাবাজি বন্ধের কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান এই ব্যবসায়ী নেতা।
কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ হাজী আবুল হাসেম বলেন, কাঁচামাল নিয়ে সাধারণ ভোক্তারা সব সময় আগ্রহী হলেও রমজান মাস এলে এর গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচামালের অহেতুক দাম বাড়িয়ে বা সংকট সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষকে বিপদে না ফেলার আহ্বান জানান তিনি।
হাসেম বলেন, মানুষ যেন কাঁচামাল ব্যবসায়ীদের নিয়ে কটু কথা বলার সুযোগ না পায় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি মো. এমরান মাস্টার।
তিনি বলেন, বাজারে মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা বা সংকট এড়াতে সুষ্ঠু বিপণন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি। দেশের বিপণন ব্যবস্থা আরও সুষ্ঠু ও আধুনিক করতে আড়ৎদারদের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধিদল গঠন ও সুষ্ঠু নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: শিগগিরই ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ ও খেজুরের দাম কমবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
এছাড়াও পণ্যের সংকট যেন সৃষ্টি না হয়, সেজন্য গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে কাঁচামাল পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ট্রাকে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।
পাশাপাশি দেশের কোন জেলায় কী পরিমাণ ফসল ও শাকসবজি উৎপাদিত হচ্ছে সে বিষয়ে সঠিক তথ্য ও পরিসংখ্যান তুলে ধরতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান ব্যবসায়ীরা।
সভায় আরও বক্তব্য দেন এফবিসিসিআইর পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন অর রশীদ, সৈয়দ মোহাম্মদ বখতিয়ার, শহিদুল হক মোল্লা, আমির হোসেন নূরানী, তপন কুমার মজুমদার, এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক, কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যরা।আরও পড়ুন: এস আলম সুগার মিলের আগুনে চিনির দামে প্রভাব পড়বে না: প্রতিমন্ত্রী