ঢাকা
গাজীপুরে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২
গাজীপুরে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে গুরুতর দগ্ধ একজন বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২ জনে।
নিহত মিনারুল ইসলাম (৩৫) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার ছিলেন এবং তিনি গাজীপুর শহরের বোর্ড বাজার এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিনারুল মারা যান। লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
উল্লেখ্য, গাজীপুরের বোর্ড বাজার এলাকায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জনসহ ৪ জন দগ্ধ হন।
আহতরা হলেন- মিনারুল, তার বাবা ফরমান মণ্ডল (৭৫), মা খাদিজা বেগম (৬৫) ও অজ্ঞাত পরিচয়ে একজন।
তাদের মধ্যে ফরমান মণ্ডল সোমবার বিকালে বিশেষায়িত হাসপাতালে ৯৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
গাজীপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাইভেটকার চালক নিহত
জরিমানা করায় মানুষ সচেতন হয়েছে: মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, এডিস মশার লার্ভা পাওয়ার পর জরিমানা করায় মানুষ সচেতন হয়েছে।
তিনি বলেন, 'গত ৮ জুলাই জাপান গার্ডেন সিটিতে অভিযান চালিয়ে ভবনের বেজমেন্টে প্রচুর লার্ভা পেয়েছি। এরপর পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। প্রতিটি বেইসমেন্টে লার্ভা ছিল। কিন্তু আজ এসে দেখলাম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ। এখন জাপান গার্ডেন সিটি হয়েছে রোজ গার্ডেন সিটি। এতে প্রমাণ হলো যে জনগণ যদি সম্পৃক্ত হয় মশার উপদ্রব কমানো সম্ভব। জরিমানা করায় মানুষ সচেতন হয়েছে। আসলে জরিমানা করলে মানুষের টনক নড়ে।'
বুধবার (১৬ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জাপান গার্ডেন সিটির ভবন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মশার লার্ভা ধ্বংসে বিটিআই কার্যকরী ভূমিকা রাখবে: মেয়র আতিক
তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা কম। মহাখালী ডিএনসিসি হাসপাতালের বেশিরভাগ রোগীই ঢাকার বাইরের। অর্থাৎ, মানুষ সচেতন হয়েছে কারণ তারা জরিমানা দিয়েছে।
তিনি বলেন, 'আমরা সচেতনতা বাড়াতে একটি প্রচারও চালাচ্ছি। গত দেড় মাসে যেখানে অভিযান চালানো হয়েছে সেখানে আবারও রিভার্স ড্রাইভ চালানো হবে। দেড় মাসে প্রায় দেড় কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সবটাই রাজস্ব বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছে। এই টাকা যদি সিটি করপোরেশন পেত, তাহলে এই অর্থ মশক নিধন ও জনসচেতনতায় ব্যয় করা যেত।
বিটিআই কীটনাশক সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, 'বিটিআই আমদানির বিষয়ে আমরা উদ্ভিদ সুরক্ষা উইংকে চিঠি দিয়েছি। তারা বলেছে, আমরা বিটিআই আমদানি করতে পারি। ফলে পিপিআর অনুযায়ী টেন্ডারে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ দেওয়া হয়েছে।
মোহাম্মদপুরে অভিযান শেষে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে ডিএনসিসি নগর ভবনে বিটআই টেস্ট করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাশার।
তিনি বলেন, 'এখন যে পরীক্ষা করা হয়েছে তার ফলাফল ছয় ঘণ্টার মধ্যে পাওয়া যাবে। এর আগে জাহাঙ্গীরনগরের ল্যাব পরীক্ষায় শতভাগ কার্যকর ফলাফল পাওয়া গেছে।’
আরও পড়ুন: মশার লার্ভা ধ্বংসে সিঙ্গাপুর থেকে কীটনাশক আনছে ডিএনসিসি: মেয়র আতিক
ফরিদপুরে জমি নিয়ে বিরোধ, দেবরের হাতে ভাবি খুনের অভিযোগ
ফরিদপুর জেলা শহরের কমলাপুর লাল মোড়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ৪৩ বছর বয়সী এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে দেবরের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিকালে ওই এলাকার একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুনের অভিযোগ
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত মাজেদা পারভিন ওই এলাকার রাজা মিয়ার স্ত্রী।
জানা যায়, জমির মালিকানা নিয়ে রাজা মিয়া ও তার ভাই আবদুর রবের মধ্যে বিরোধ চলছিল। মঙ্গলবার বিকালে আবদুর রব রাজা মিয়ার বাড়িতে গিয়ে মাজেদার কাছে জমি সংক্রান্ত পাওনা দাবি করেন।
মাজেদা ইতোমধ্যেই টাকা পরিশোধ করা হয়েছে বলে জানালে ক্ষিপ্ত আবদুর রব তাকে নির্বিচারে কুপিয়ে আহত করেন। পরে তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, ঘটনার পর থেকে আবদুর রব আত্মগোপন করেন।
ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই আবদুর রব পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভাইকে খুনের অভিযোগ
চট্টগ্রামে ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে ছুরিকাঘাতে বড় ভাই খুনের অভিযোগ
কেরাণীগঞ্জে রাসায়নিক গুদামে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪, আহত ৭
ঢাকার কেরাণীগঞ্জে একটি রাসায়নিক গুদামে আগুন লেগে শিশুসহ একই পরিবারের চারজন মারা গেছে। এসময় সাতজন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) ভোর ৪টায় মডেল থানার গদারবাগ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন- জেসমিন আক্তার রাত্রি (৩০) ও তার মেয়ে ইশা (১৮), মিনা আক্তার (২০) ও তার মেয়েশিশু তায়েবা।
এছাড়া মিনার স্বামী সোহাগ, পারুল, হানিফ ও তানিহাসহ আরও সাতজনকে দগ্ধ অবস্থায় শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারিতে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে এলজিইডি ভবনে আগুন
মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন অর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আগুনে পুড়ে একই পরিবারের চারজন নিহত হয়েছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলেন, দগ্ধদের চিকিৎসা চলছে।
ঘটনার সময় বিষাক্ত রাসায়নিকের গন্ধে আশপাশের এলাকার শতাধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক (ঢাকা দক্ষিণের দায়িত্বে থাকা) সামসুজ্জামান জানান, ভোররাত ৪টায় আগুন লাগার খবর পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রায় দুই ঘন্টার চেষ্টায় ভোর ৬টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জের বিসিক শিল্প এলাকায় পোশাক কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
গাজীপুর হকার্স মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে, ৩৩টি দোকান পুড়ে ছাই
রাজধানীর জুরাইনে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ
রাজধানীর জুরাইনে গ্যাস পাইপলাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচ সদস্য দগ্ধ হয়েছেন।সোমবার ভোররাতে জুরাইন সরদার বাজারের সলিমুল্লাহ রোডের একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- আলতাফ সিকদার (৭২), তার স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৫০), মেয়ে মুক্তা খাতুন (৩০), তার স্বামী আতাহার (৩৫) ও তাদের মেয়ে আফসানা (৫)।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, আহতদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
তাদের হাসপাতালের পর্যবেক্ষণ ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
ফতুল্লায় ভবনে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৪, আহত ৬
যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মারা গেছেন
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মারা গেছেন। সোমবার (১৪ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার বয়স ছিল ৮৩।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বুকে ব্যথা শুরু হলে সাঈদীকে রবিবার ঢাকার শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রেফার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: কবি মোহাম্মদ রফিক আর নেই
কবি মোহাম্মদ রফিকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাসের দাবিতে সিগনেচার ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত
প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী চলতি সংসদ অধিবেশনে পাসের দাবিতে সিগনেচার ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ আগস্ট) বেসরকারি এনজিও নারী মৈত্রী ও ইউল্যাব ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালাইডোস্কোপ ক্লাবের যৌথ সহায়তায় দিনব্যাপী এই ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।
এই ক্যাম্পেইন থেকে সংগ্রহ করা স্বাক্ষরের তালিকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: শিশু-কিশোরদের সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের বিকল্প নেই: শিক্ষামন্ত্রী
এ সময় ক্যাম্পেইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের ছয়টি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
সংশোধনী প্রস্তাবনাগুলো হলো- উন্মুক্ত স্থানে 'ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান' বাতিল ও গণপরিবহনে নিষিদ্ধ করা, তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়স্থলে তামাকজাত পণ্য প্রর্দশন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির যেকোনো ধরনের সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কর্মসূচি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা, তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট-কৌটায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা, বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা, মোড়কবিহীন এবং খোলা ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা এবং ই-সিগারেটসহ সব ইমার্জিং ট্যোব্যাকো প্রোডাক্টস্ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা।
নারী মৈত্রীর প্রকল্প সমম্বয়কারী নাসরিন আক্তার জানান, দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষে এবং বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ তামাক ব্যবহারকারীর বিবেচনায় অন্যতম।
গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে ২০১৭ মতে, বাংলাদেশে ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ বা প্রায় ৩ কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ (১৫ বছর বা বেশি) তামাক ব্যবহার করে থাকে। অন্যদিকে ৩ কোটি ৮৪ লাখ মানুষ ধূমপান না করেও বিভিন্ন গণপরিবহন ও উন্মুক্ত স্থানে প্রতিনিয়ত পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়।
টোব্যাকো এটলাস ২০১৮ এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারের ফলে প্রতি বছর ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ অকালে মারা যান।
তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায়, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটির সংশোধনী পাস করার দাবি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেছে শিক্ষার্থীরা। যত দ্রুত আইন পাস হবে, তত বেশি মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে বলে মনে করছে তারা।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণে 'ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ (২০১৩ সালে সংশোধিত) -এর অধিকতর সংশোধনের জন্য এফসিটিসি'র আলোকে একটি খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। যা মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের জন্য এখন কেবিনেট ডিভিশনে পাসের অপেক্ষায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের তুলনায় তামাকের দাম কমবে: প্রজ্ঞা
আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র পরিচালনায় সফল, রাজপথেও সফল: কৃষিমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র পরিচালনা ও রাজপথের আন্দোলন উভয় ক্ষেত্রেই সফল বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
সোমবার (১৪ আগস্ট) ঢাকার উত্তরায় ফ্রেন্ডস ক্লাব মাঠে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র পরিচালনায় অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে। সব ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়নের মাধ্যমে সারা বিশ্বে দেশকে মর্যাদা ও সম্মানের অনন্য উচ্চতায় তুলেছে। আওয়ামী লীগের সুসংগঠিত নেতা-কর্মীরা তেমনি রাজপথেও সাফল্য দেখিয়েছে। কাজেই, বিএনপি আন্দোলন করে কখনো সফল হতে পারবে না।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে বাংলাদেশ প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচাল করতে চাচ্ছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আবারও দেশে নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে তা রুখতে হবে।
তিনি বলেন, জিয়া-মোশতাক অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছিল। তারপর তা বৈধ করতে সংবিধান সংশোধন করেছিল। আগামী দিনে কোনো অশুভ শক্তি, অসাংবিধানিক শক্তি অবৈধভাবে যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে এবং অবৈধ ক্ষমতার বৈধতা দিতে সংবিধান কাটাছেঁড়া না করতে পারে- সে ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।
জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে জড়িত উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষভাবে জড়িতদের বিচার হয়েছে, কিন্তু এর পেছনে কারা ছিল তাদের মুখোশ উন্মোচন করা দরকার। একটি কমিশন গঠন বা আইনি কাঠামোর মাধ্যমে এর সুষ্ঠু তদন্ত করা প্রয়োজন। তদন্তের মাধ্যমে কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচন করতে পারলে জিয়াউর রহমানেরও শাস্তি হতো।
এ সময় অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিব হাসানের সভাপতিত্বে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: কৃষিমন্ত্রীর হাতে এক দফার লিফলেট দিলেন বিএনপি নেতা মিলন
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
গাজীপুরে ঘরে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তাসহ তিনজন দগ্ধ হয়ে হয়েছেন। রবিবার (১৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এই বিস্ফোরণে ঘরের দরজা-জানালা ভেঙে গেছে।
দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন- গাজীপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার মো. মিনারুল ইসলাম (৩৫), তার বাবা মো. ফরমান মণ্ডল (৭৫) ও মা খাদিজা বেগম (৬৫)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে রেস্টুরেন্টের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩
স্থানীয়রা জানায়, নগরের বোর্ডবাজার মুক্তারবাড়ি এলাকার জমির উদ্দিন রোডে মিনারুল ইসলাম তার স্ত্রী-সন্তান ও মা-বাবাকে নিয়ে বসবাস করেন।
রবিবার বিকালে তাদের বাড়ির সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হয়ে যায়। এরপর স্থানীয় বাজার থেকে একটি নতুন সিলিন্ডার কিনে আনা হয়। তবে সিলিন্ডারটি চুলার সঙ্গে লাগানোর পর গ্যাস জ্বলছিল না। পরে সিলিন্ডারের দোকান থেকে একজন মিস্ত্রি এসে সেটি মেরামত করে রান্নাঘরে লাগিয়ে দিয়ে চলে যান।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে খাদিজা বেগম চুলা জ্বালাতে গেলে ঘরে জমে থাকা গ্যাস থেকে আগুন জ্বলে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে রান্নাঘরে থাকা খাদিজা, পাশের কক্ষে থাকা মিনারুল ও ফরমান মণ্ডল অগ্নিদগ্ধ হন।
পরিবারের বাকি সদস্যরা অন্য কক্ষে থাকায় রক্ষা পান। বিস্ফোরণে ঘরের দরজা-জানালা ভেঙে যায়। পরে আশপাশের লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন।
গাজীপুরের গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে রাতেই তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, আগুনে তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে। গ্যাস সিলিন্ডার অক্ষত থাকায় প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ঘরে জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ৭
চট্টগ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ
ফরিদপুরে মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলের কিল-ঘুষিতে বাবা নিহত
ফরিদপুরের সদরপুরে মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলের কিল-ঘুষিতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রবিবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়নের রাজার চর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম ওহাব মোল্লা (৬৫)। তিনি অভিযুক্ত জাহিদ মোল্লার (২৬) বাবা।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ছেলের কোপে বাবা নিহতের অভিযোগ
স্থানীরা জানান, সন্ধ্যার দিকে ঘরের বারান্দায় বসেছিলেন ওহাব মোল্লা। এ সময় তার মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলে জাহিদ মোল্লা ঘরের বিদ্যুতের কাজ করতে যায়। এসময় জাহিদ মোল্লার সঙ্গে তার বাবা ওহাব মোল্লার কথা কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে ছেলে জাহিদ মোল্লা তার বাবা ওহাব মোল্লাকে এলোপাতাড়িভাবে মাথায় ও মুখে কিলঘুষি মারে। ছেলের হামলায় গুরুতর আহত হন জাহিদ মোল্লা।
আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
তারা লাশ নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন আল রশিদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, অভিযুক্ত ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন। তাকে থানায় আটক করা হয়েছে। বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো যাবে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: মাংস কম দেয়াকে কেন্দ্র করে বিয়ে বাড়িতে সংঘর্ষ, বরের বাবা নিহত
পাবনায় মেয়েকে বিয়ে না দেয়ায় ছুরিকাঘাতে বাবা নিহত