%E0%A6%9A%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE
দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হুইপ সামশুল হক ও তার স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে ৪১ গুণ
দেড় দশকে জাতীয় সংসদের হুইপ ও চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর আয় বেড়েছে ৪১ গুণ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) দেওয়া হলফনামায় তার সম্পদের এ বিবরণ পাওয়া যায়।
সামশুল হক বর্তমানে আওয়ামী লীগের এমপি হলেও এবার তাকে মনোনয়ন দেয়নি দলটি। তাই দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্রপ্রার্থী হয়েছেন।
গত ৩০ নভেম্বর ইসিতে হলফনামা জমা দেন সামশুল হক।
আরও পড়ুন: বর্তমান সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আয় বৈষম্য বেড়েছে: ড. বিনায়ক সেন
এতে দেখা যায়, ২০০৮ সালে জমা দেওয়া হলফনামার চেয়ে সামশুল হক ও তার স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৪১ গুণ। একইসঙ্গে নিজের আয় বেড়েছে প্রায় ২১ গুণ।
২০০৮ সালের ২০ নভেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামায় দেখা যায়, সেসময় তার বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান ও অন্য ভাড়া থেকে ৪৫ হাজার টাকা এবং ব্যবসা থেকে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা আয় হতো তার।
ওই সময়ে স্ত্রী কিংবা নির্ভরশীলদের কোনো আয় ছিল না হলফনামায়।
২০০৮ সালের ২০ নভেম্বর অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে সামশুল হক চৌধুরীর হাতে নগদ ছিল এক হাজার ৩৬৯ টাকা। লিমিটেড কোম্পানির ৪০টি শেয়ার ছিল।
যার মূল্য দেখানো হয়েছিল ৪০ হাজার টাকা। ২০ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের একটি টয়োটা গাড়ি ছিল। সোনা ও মূল্যবান ধাতু ছিল ২৫ হাজার টাকার। ইলেকট্রনিক সামগ্রী ছিল ৩০ হাজার টাকার এবং ২০ হাজার টাকার আসবাবপত্র ছিল।
স্থাবর সম্পদের মধ্যে ছয় লাখ ৭৫ হাজার টাকার অকৃষি জমি, হালিশহর হাউজিং এস্টেট এবং রিয়াজ উদ্দিন বাজারে দুটি দালানের দাম দেখানো ছিল ২১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।
ওই সময়ে ২৮ লাখ ৩৮ হাজার টাকার ঋণ ছিল সামশুল হক চৌধুরীর।
অন্যদিকে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিলে দেওয়া হলফনামায় দেখা যায়, বর্তমানে স্ত্রীসহ হুইপের বার্ষিক আয় ৮৮ লাখ ৫২ হাজার ১৯৮ টাকা। এর মধ্যে স্ত্রীর বার্ষিক আয় রয়েছে ২৫ লাখ ৬৩ হাজার ৩১৮ টাকা।
বার্ষিক আয়ের মধ্যে হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ও দোকানসহ অন্য ভাড়া খাতে আয় ১৩ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৪ টাকা। ব্যবসা খাতে আয় ছয় লাখ ৫০ হাজার টাকা।
শেয়ার, সঞ্চয়পত্র কিংবা ব্যাংক আমানত খাতে আয় ৭ লাখ ৯৬ হাজার ১০৮ টাকা। হুইপের ভাতা খাতে ১১ লাখ চার হাজার এবং অন্য খাতে আয় রয়েছে ২৩ লাখ ৬৯ হাজার ১৮৮ টাকা।
একইভাবে হুইপপত্নীর আয়ের মধ্যে বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ও দোকানসহ অন্য ভাড়া খাতে বছরে আয় ৪ লাখ ১৫ হাজার ৮০০ টাকা। ব্যবসা খাতে আয় ২ লাখ ২০ হাজার টাকা।
সঞ্চয়পত্র খাতে আয় চার লাখ ৬০ হাজার ৮০০ টাকা এবং ব্যাংক আমানতের সুদ হিসেবে আয় ১৪ লাখ ৬৬ হাজার ৭১৮ টাকা।
আরও পড়ুন: বিএনপি চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী: তথ্যমন্ত্রী
অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে বর্তমানে হুইপের হাতে নগদ রয়েছে দুই লাখ ৫৩ হাজার ৬২৪ টাকা, রয়েছে ১০ হাজার ৩২ ডলার সাত সেন্ট। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ৬১ লাখ ৬৭ হাজার ৩৯ টাকা।
গণনা প্রপার্টিজ লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ২৬০০ শেয়ার রয়েছে হুইপের। এই শেয়ারের দাম দেখানো হয়েছে দুই লাখ টাকা এবং চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডের ১০০০ শেয়ার রয়েছে সামশুল হক চৌধুরীর। এসব শেয়ারের মূল্য দেখানো হয়েছে ১০ লাখ টাকা।
ব্যাংকে এফডিআর রয়েছে দুই কোটি ৩৫ লাখ টাকার। সঞ্চয়পত্র রয়েছে ৩০ লাখ টাকার। এক কোটি ৫ লাখ টাকা মূল্যের একটি এবং ৭১ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি মিলে মোট দুটি ল্যান্ড ক্রুজার রয়েছে হুইপ সামশুলের।
১৫ বছর আগের মতোই বর্তমানে সোনা ও মূল্যবান ধাতু ২৫ হাজার টাকার, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৩০ হাজার টাকার এবং ২০ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে। অন্য খাতে অস্ত্র ও ব্যবসায়িক মূলধন হিসেবে দেখানো হয়েছে ২২ লাখ ১৩ হাজার ৯২৭ টাকা।
একইভাবে হুইপপত্নীর নগদ টাকা রয়েছে ২৮ লাখ ২৬ হাজার ৯৮৬ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ১০ লাখ ৫৮ হাজার ৮২ টাকা। গণনা প্রপার্টিজ লিমিটেডের শেয়ার রয়েছে ২০০০টি।
এসব শেয়ারের দাম দেখানো হয়েছে দুই লাখ টাকা। একইভাবে চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডের হুইপের সমপরিমাণ ১০০০ শেয়ার রয়েছে হুইপপত্নীর। এসব শেয়ারের মূল্য দেখানো হয়েছে ১০ লাখ টাকা।
ব্যাংকে এফডিআর রয়েছে দুই কোটি ৩৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪৯১ টাকার। সঞ্চয়পত্র রয়েছে ৫০ লাখ টাকার এবং ব্যাংকে ডিপিএস (ডিপোজিট পেনশন স্কিম) রয়েছে তিন লাখ ৪০ হাজার টাকার।
এই সময়ে নতুন করে সোনা ও মূল্যবান ধাতু যুক্ত হয়েছে ৩০ তোলা। যার মূল্য দেখানো হয়েছে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা। ইলেকট্রনিক সামগ্রী এক লাখ টাকা এবং আসবাবপত্র রয়েছে ৬০ হাজার টাকার।
বর্তমানে ব্যবসায়িক মূলধন রয়েছে ৯ লাখ ৭ হাজার ৬১৩ টাকার।
এবার দাখিল করা হলফনামায় বলা হয়, সামশুল হকের স্থাবর সম্পত্তিতে কৃষি জমি না থাকলেও রয়েছে ৭৪ লাখ সাত হাজার ৯২০ টাকা পরিমাণের অকৃষি জমি। তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ৪৭ লাখ ৭০ হাজার ২৫০ টাকার মূল্যের অকৃষি জমি।
রয়েছে দুই লাখ ৮০ হাজার টাকার দালান। স্ত্রীর নামে রয়েছে পাঁচ লাখ ৫০ হাজার টাকা দামের আটটি টিনশডে গোডাউন, নিজের নামে ৪৮ লাখ ৫৫ হাজার টাকা মূল্যের পাঁচ কাঠা জমিসহ চারতলা ভবন রয়েছে।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় দাখিল করা হলফনামায় উল্লেখ করেছিলেন, ছয় লাখ ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের অকৃষি জমির কথা। ২১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের দালানের তথ্য দিয়েছিলেন তখন।
সেবার স্ত্রীর নামে স্থাবর কোনো সম্পদ নেই বলে হলফনমায় উল্লেখ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বিচারকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারকে চিঠি
মেঘনায় গোসল করতে নেমে শিশু নিখোঁজ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে মেঘনা নদীতে গোসলে নেমে জুলেখা আক্তার (৭) নামের এক শিশু নিখোঁজ হয়েছে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার ধরাভাঙ্গা গ্রামের পাশে এমপি টিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: ডুবে যাওয়া জাহাজের নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার
জুলেখা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মরিচাকান্দি গ্রামের সুজন মিয়ার মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার জুলেখা তার মায়ের সঙ্গে উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের ধরাভাঙ্গা গ্রামে তার নানা হান্নান মিয়ার বাড়িতে বেড়াতে আসে। সোমবার দুপুর ১টায় শিশুটি নানার বাড়ির পাশে মেঘনা নদীতে বড় বোনের সঙ্গে গোসল করতে যায়। নদীতে ডুব দিয়ে আর উপরে উঠেনি জুলেখা। স্থানীয়রা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে খুঁজে পায়নি। বর্তমানে নবীনগর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা পর্যন্ত শিশুটির সন্ধান পাওয়া যায়নি।
সলিমগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) কাউসার মাতব্বর জানান, সলিমগঞ্জ নৌ-পুলিশের একটি টিম ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।
আরও পড়ুন: মেঘনা নদীতে গোসলে নেমে বৃদ্ধ নিখোঁজ
সিলেটে নিখোঁজের ৮ দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামে ২ ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক-সহকারী নিহত
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে পাথরবোঝাই ট্রাক ও রাবারবোঝাই ডাম্প ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় অন্য ট্রাকটির চালক আহত হন।
মঙ্গলবার ৫ ডিসেম্বর) ভোর রাত ৪টার দিকে উপজেলার নাজিরহাট এলাকার নতুন রাস্তার মুখে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- রাবারবোঝাই ডাম্প ট্রাকচালক ও ফটিকছড়ি ভুজপুর থানার ঝিলতলী এলাকার মো. মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মো. রুবেল (২৬) এবং তার সহকারী ও একই এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে মো. আলমগীর (২৮)। তারা দু’জন সম্পর্কে মামাতো ফুফাতো ভাই বলে জানা গেছে।
আহত পাথরবোঝাই ট্রাকের চালক নূর মিয়াকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নাজিরহাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ বলেন, ফটিকছড়ি ভুজপুর রাবার বাগান থেকে রাবারবোঝাই করে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল ডাম্প ট্রাকটি। এটি ভোর রাতে নাজিরহাট নতুন রাস্তার মুখে পৌঁছালে একই সময়ে চট্টগ্রাম থেকে ফটিকছড়িমুখী পাথরবোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলে ডাম্প ট্রাকের চালক ও তার সহকারীর মৃত্যু হয়। অন্য ট্রাকটির চালক গুরুতর আহত হন। দু’টি ট্রাকই জব্দ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।
চট্টগ্রামে হেলে পড়েছে ৩ তলা ভবন
চট্টগ্রাম মহানগরীর একটি ৩ তলা ভবন হেলে পড়েছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি উদ্ধার দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভবনের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিচ্ছেন।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে পাহাড়তলী থানার সরাইপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আবদুর রাজ্জাক জানান, সকাল থেকে মহানগরীর পাহাড়তলী সরাইপাড়ায় ড্রেনের কাজ চলছিল। এ সময় হঠাৎ ওই ৩ তলা ভবনটি হেলে পড়ে। এ ঘটনার পরই ভবনের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট।
এর আগে ২৫ নভেম্বর নগরীর অক্সিজেনের রউফাবাদ এলাকায় একটি ৪ তলা ভবন হেলে পড়ে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসনের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও এখন পর্যন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছাত্রদল নেতাকে খুঁজে না পাওয়ায় ক্রীড়াবিদ ভাই গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে ট্রাকচাপায় নানা-নাতনির মৃত্যু
চট্টগ্রামে ছাত্রদল নেতাকে খুঁজে না পাওয়ায় ক্রীড়াবিদ ভাই গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ছাত্রদলের আহ্বায়ক কাজী সেলিম উদ্দিনকে না পেয়ে তার ছোট ভাই কাজী নাজিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বিকালে তাকে একটি ‘মিথ্যা’ নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নাজিম উদ্দিন কোনো ধরনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন এবং তিনি একজন ক্রীড়াবিদ বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের নতুনপাড়া গ্রামের বাড়িতে কাজী সেলিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ তার বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় ছাত্রদল সেলিম বাড়িতে ছিলেন না। তাকে না পেয়ে তার ছোট ভাই কাজী নাজিম উদ্দিনকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: আমানসহ ৪৫ জনের বিচার শুরু, রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। কাজী নাজিম উদ্দিন উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার তালিকাভুক্ত ক্রীড়াবিদ।
তবে পুলিশ বলছে, তিনি নাশকতা মামলায় সন্দেহভাজন আসামি। তাকে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটি নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
নাজিম উদ্দিন ক্রীড়াবিদ নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর ক্রীড়াবিদ ফজলে এলাহি বলেন, নাজিম রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। তিনি উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। এ ছাড়াও চট্টগ্রাম ক্রীড়া সংস্থার তালিকাভুক্ত আম্পায়ার ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাসির উদ্দিন বলেন, কাজী নাজিম উদ্দিন সম্প্রতি ঘটে যাওয়া নাশকতা মামলার সন্দেহজনক আসামি। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপি ও যুবদলের ২ নেতা গ্রেপ্তার
২৮ অক্টোবর থেকে রাজনৈতিক সহিংসতা- নাশকতার অভিযোগে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ৮২০
চট্টগ্রামে ট্রাকচাপায় নানা-নাতনির মৃত্যু
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ট্রাকচাপায় নানা ও নাতনির মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও এক নারী।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিকাল পৌনে ৫টায় উপজেলার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পদুয়া নয়াপাড়ায় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: রাজবাড়ীতে ট্রেনে কাটা পড়ে ২ জনের মৃত্যু
লোহাগাড়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ রবিউল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার সময় চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারমুখী ট্রাকের সঙ্গে বিপরীতমুখী মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলে সাত বছরের এক শিশু এবং মোটরসাইকেলচালক মারা যান।
তিনি আরও বলেন, এসময় এক নারী আহত হন। খবর পেয়ে আমাদের একটি টিম তাদের লাশ উদ্ধার করে, আহত নারীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমারখালীতে বিষাক্ত অ্যালকোহল পানে ২ জনের মৃত্যু!
কুষ্টিয়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্ত্রী-শাশুড়ি কারাগারে
ফেনীতে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধে ২টি অটোরিকশায় আগুন
বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর চলমান ৪৮ ঘণ্টার অবরোধে ফেনী শহরে দু’টি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার সকালে শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের 'গ্রিন টাওয়ার' মার্কেটের সামনে পার্ক করা গাড়ি দু’টিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মার্কেটের সামনে কিছু দুর্বৃত্ত ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং পরে গাড়ি দু’টিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
একটি অটোরিকশার চালক ইকবাল হোসেন জানান, তিনি বাধা দিতে গেলে দুর্বৃত্তরা তার মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ২টি বাসে আগুন, হেলপার আহত
চালক জানান, ১২-১৩ জন যুবক গলি থেকে বের হয়ে হঠাৎ গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ অটোরিকশা দু’টি থানায় নিয়ে আসা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম দাবি করেন, মার্কেটের সামনে অবরোধের পক্ষে মিছিল বের করা হলেও এ ঘটনার সঙ্গে তাদের কেউ জড়িত নয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে দাঁড়িয়ে থাকা ৩টি বাসে আগুন
দিনাজপুরে পৃথক স্থানে ২টি ট্রাকে আগুন
চট্টগ্রামে ২টি বাসে আগুন, হেলপার আহত
চট্টগ্রাম মহানগরের খুলশী থানার দামপাড়া বাস কাউন্টার ও আকবর শাহ থানা এলাকায় দু’টি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় বাসের এক সহকারী (হেলপার) আগুনে পুড়ে আহত হয়েছেন।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে ঘটনা দু’টি ঘটে।
জানা গেছে, রাত ১০টার দিকে ১০-১২ জন যুবক মশাল নিয়ে এসে দামপাড়া সৌদিয়া বাস কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা রিল্যাক্স পরিবহনের একটি ডাবল ডেকার বাসে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় আগুন নেভাতে গিয়ে মো. নাজিম উদ্দিন নামে অন্য একটি বাসের হেলপার দগ্ধ হন।
আহত হেলপারের নাম মো. নাজিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমরা যাত্রী নেওয়ার জন্য দাঁড়িয়েছিলাম। ঠিক ওই সময় হঠাৎ ১০-১২ জন ছেলে লাঠিসোঁটা হাতে আশপাশের বাসে ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। আমাদের বাসের চালকের ডান পাশের গ্লাস ভেঙে ফেলে এবং ওই বাসে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুন নেভাতে গিয়ে আমার বাম হাত পুড়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অবরোধে বিএনপির ২০ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
তাৎক্ষণিকভাবে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নেভায়। সঙ্গে সঙ্গেই দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। তবে তাদের কাউকে চেনা যায়নি বলে জানান তিনি।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুবেল হাওলাদার বলেন, ‘দুবৃর্ত্তরা বাসে আগুন দিতে এসে মশাল দিয়ে রিল্যাক্স গাড়ির কাঁচ ভেঙে ফেলে। এ সময় ওই হেলপার আহত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।’
এর আগে রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর আকবর শাহ থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছে।
আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘রাস্তায় একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সংবাদ পেয়ে রাত ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। তবে বাসের কেউ আহত হননি।’
আরও পড়ুন: হরতালে চট্টগ্রামে ৩ বাসে আগুন
চট্টগ্রামে বিএনপির ১৪ নেতা-কর্মী আটক
চট্টগ্রামে সিইসির কুশপুত্তলিকা দাহ
এক তরফা নির্বাচন বাতিল, সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে চট্টগ্রামে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে জাতীয়তাবাদী যুবদল।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) চলমান ৪৮ ঘণ্টা অবরোধের সমর্থনে চট্টগ্রামে মহানগরীর চান্দগাঁও আরকান সড়কে মিছিল শেষে মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসাইনের নেতৃত্বে যুবদলের নেতা-কর্মীরা ইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের কুশপুত্তলিকা দাহ করে।
আরও পড়ুন: অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিরল উদাহরণ বাংলাদেশ: খাদ্যমন্ত্রী
এসময় যুবদল নেতারা বলেন, নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা পরিবর্তনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাই মুখ্য। কিন্তু বর্তমান সরকারের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে পক্ষপাতদুষ্ট এই কমিশন ইনিয়ে-বিনিয়ে জাতিকে ধোকা দিয়ে একটা প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন করার চেষ্টা করছে। অবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের নতুন তফসিল ঘোষণার জোর দাবি জানান।
এসময় মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড যুবদলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গাজার পরিস্থিতি 'মুক্ত পৃথিবীর' নেতাদের সহায়তায় জাতিগত নির্মূলের ক্লাসিক উদাহরণ
এদিকে অষ্টম দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের প্রথম দিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সীতাকুণ্ড উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাজী মো. সেলিম উদ্দিন এর নেতৃত্বে এবং যুবদলে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
কক্সবাজারে সমুদ্রে গোসলে নেমে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টে গোসল করতে নেমে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় ভাসমান অবস্থায় তাদের লাশ উদ্ধার করে সি-সেইফ লাইফগার্ড কর্মীরা।
নিহতরা হলেন- নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া পৌর শহরের দিয়ারপাড়ার আবুল কাশেম বকুল এবং তার স্ত্রী সাবিকুন নাহার সুমা।
আরও পড়ুন: ১০২০ যাত্রী নিয়ে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ছুটল প্রথম ট্রেন
হোটেল সি-গালের ম্যানেজার নুর মোহাম্মদ রাব্বী জানান, শনিবার তারা দুজন আমাদের ৩২৭ নাম্বার কক্ষটি ভাড়া নেন। রবিবার সকালে গোসলের উদ্দেশ্যে দুজন সৈকতে নামেন। কয়েক ঘন্টা পরও ফিরে না আসায় খোঁজ করতে থাকি। পরে শুনি দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সি-সেইফের লাইফগার্ড সুপার ভাইজার ওসমান গণি বলেন, খবর পেয়ে লাইফগার্ড কর্মীরা ভাসমান দুজনের লাশ উদ্ধার করেছে। তাদের হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের উপ-পরিদর্শক চাঁন মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: গোপনে টাকা নিয়ে কক্সবাজার দেখতে যাওয়া ৩ স্কুল শিক্ষার্থী উদ্ধার