চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠক শেষে ধর্মঘট ও মানববন্ধন স্থগিত বিএসবিআরএ’র
চট্টগ্রামে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের পরিচালক পারভেজ উদ্দিন সান্টুর গ্রেপ্তারের পর হাতে হ্যান্ডকাপ ও কোমরে রশি বাঁধায় ‘লাঞ্ছনার’ প্রতিবাদে বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসবিআরএ) ডাকা শনিবার (১৮ মার্চ) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
একইসঙ্গে গতকাল (শুক্রবার) থেকে শুরু হওয়া চট্টগ্রামের সকল অক্সিজেন প্ল্যান্ট বন্ধ রাখার কর্মসূচিও প্রত্যাহার করা হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফকরুজ্জামানের সঙ্গে বিএসবিআরএ’র নেতৃবৃন্দের অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে রাতে সকল কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়ার কথা জানানো হয়।
বৈঠকে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান বলেন, সীমা গ্রুপের পরিচালকের সঙ্গে যা হয়েছে তা অবশ্যই নিন্দনীয়। এ ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে আর কোনো শিল্প মালিকের সঙ্গে না ঘটে সে ব্যাপারে প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি থাকবে।
আরও পড়ুন: সব মহানগর ও জেলায় মানববন্ধন করবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো
বিএসবিআরএ'র সভাপতি আবু তাহের জানান, ‘আমাদের সম্মানিত সদস্য সীমা গ্রুপের পরিচালক জনাব পারভেজ উদ্দিন সান্টু সাহেবের পুলিশের কোমরে রশি বাঁধার ঘটনায় চট্রগ্রাম জেলা ও শিল্প পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং বিএসবিআরএ'র দাবি যৌক্তিক বলে মেনে নিয়েছেন। ভবিষ্যতে একইসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে মানববন্ধন স্থগিতের অনুরোধ জানালে আমরা উনার কথায় কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা করছি।’
বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার এস এম সফিউল্লাহ; শিল্প পুলিশের এসপি মোহাম্মদ সোলায়মান; অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাসুদ কামাল; অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান; উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল আলমসহ বিএসবিআরএ-এর নেতৃবৃন্দ।
আরও পড়ুন: ১১ মার্চ সব বিভাগীয় শহরে মানববন্ধন করবে গণতন্ত্র মঞ্চ
রাঙ্গামাটিতে পিকনিকের বাস উল্টে নিহত ২, আহত ২০
রাঙ্গামাটির মানিকছড়িতে শুক্রবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চট্টগ্রামগামী একটি পিকনিকের বাস উল্টে দুইজন নিহত এবং ২০জন গুরুতর আহত হয়েছে।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতালে পাঠায় এবং পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে বাসের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধার কাজ শুরু করে।
বাসের যাত্রীরা জানায়, চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীর একটি ইট ভাটার শ্রমিকেরা শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে বাসে করে রাঙ্গামাটিতে ঘুরতে আসে। দিনভর রাঙ্গামাটির বিভিন্ন পর্যটন স্থানে ঘুরে সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে রাঙ্গামাটির মানিকছড়ি এলাকায় গেলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে, পরে বাসটি উল্টে গিয়ে বাসের নিচে দুইজন চাপা পড়ে মারা যান। এছাড়া বাসে থাকা ২০ জন যাত্রী আহত হয়। তাদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
রাঙ্গামাটি ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, রাঙ্গামাটি শহরের মানিকছড়িতে পর্যটকবাহী বাসটি উল্টে যায়। খবর পেয়ে আমরা এসে বাসের নিচে চাপা পড়া আহতদের উদ্ধার করে রাঙ্গামাটি হাসপাতালে পাঠাই এবং বাকিদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
রাঙ্গামাটির কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকতার জানান, চট্টগ্রাম শহর থেকে ভ্রমণকারীরা রাঙ্গামাটিতে ঘুরতে আসে। পরে ফিরে যাওয়ার সময় বাসটি মানিকছড়ি এলাকায় উল্টে যায়। ঘটনাস্থলে বাসের নিচে চাপা পড়ে দু’জন মারা যায়। তাদের লাশ উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
রাঙ্গামাটিতে ট্রাক ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে কলেজছাত্রী নিহত
রাঙ্গামাটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ২০, দুমড়ে মুচড়ে গেছে তিনটি সিএনজি অটোরিকশা
চট্টগ্রামে হানিফ পরিবহনের বাসে আগুন
চট্টগ্রামের বাকালিয়ার নতুন ব্রিজ এলাকায় হানিফ পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন লেগেছে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে ইউএনবি’র চট্টগ্রাম প্রতিনিধি জানিয়েছেন।
পরে নগরীর নন্দন কানন ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই বাসটি বেশিরভাগ পুড়ে গেছে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
নন্দন কানন ফায়ার স্টেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মো. আলী বলেন, ‘বাসটি কক্সবাজার যাওয়ার জন্য যাত্রী উঠাচ্ছিল। হঠাৎ শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।’
আগুনে বাসের কী পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তা জানাতে পারেনি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে শিক্ষা সফরের বাসে আগুন
গাজীপুরে শিক্ষাসফরের বাসে আগুন, আহত ১০
গাজীপুরে শ্রমিক নিহতের গুজবে ৪ বাসে আগুন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রাক্টর খাদে পড়ে নিহত ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ট্রাক্টর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে দুইজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের চান্দিসার এলাকার কসবা-সৈয়দবাদ আঞ্চলিক সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ট্রাক্টর হেলপার পাভেল মিয়া (১৮)ও পথচারী দেলোয়ার মিয়া (৩০)। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী ছিলেন।
কসবার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন জানান, কসবা থেকে একটি ট্রাক্টর তিনলাখপীর যাওয়ার পথে চান্দিসার এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এ সময় সড়কের পাশে থাকা একজন পথচারী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। ট্রাক্টরের হেলপার গুরুতর আহত হলে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমক্লেক্সে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত দুজনের লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে ২ জনের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ২
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার নতুন অতিথি আফ্রিকার ২ সিংহ ও ৮ ওয়াইল্ড বিস্ট
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় নতুন অতিথি হয়ে এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকার এক জোড়া সিংহ এবং ৮টি ওয়াইল্ড বিস্ট। সিংহ জোড়ার মধ্যে একটি পুরুষ ও একটি স্ত্রী। ওয়াইল্ড বিস্টের মধ্যে তিনটি পুরুষ ও পাঁচটি স্ত্রী।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাতে বিশেষ বাক্সে করে প্রাণিগুলো চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হয়েছে। তবে আপাততে এগুলো দর্শনার্থীদের জন্য প্রদর্শন করা হবে না। ১৫ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত এসব বন্যপ্রাণী সরবরাহকারীর তত্ত্বাবধানে চিড়িয়াখানায় থাকবে। কোয়ারেন্টাইন শেষ হলে চিড়িয়াখানায় প্রাণীগুলো হস্তান্তর করা হবে।
তিনি আরও জানান, ‘বর্তমানে চিড়িয়াখানায় নোভা নামের একটি সিংহী রয়েছে। সে বয়সের ভারে ন্যুব্জ। তার সঙ্গী বাদশাহ নামের সিংহটি দুই মাস আগে মারা যায়। এ অবস্থায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কম বয়সী সিংহ-সিংহী জুটি আনা হয়েছে। এ জুটি সংগ্রহের জন্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন সাফারি পার্কে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু দেশের কোথাও থেকে না পাওয়া আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।’
আরও পড়ুন: দর্শনার্থীদের টাকায় বদলে গেছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা
সীমা গ্রুপের পরিচালককে ‘লাঞ্ছনার’ প্রতিবাদে চট্টগ্রামের সব অক্সিজেন প্ল্যান্ট বন্ধের ঘোষণা
গ্রেপ্তাররের পর কোমরে রশি বেঁধে সীমা গ্রুপের পরিচালক পারভেজ উদ্দিন সান্টুকে আদালতে হাজির ও ‘লাঞ্ছনার’ প্রতিবাদে চট্টগ্রামের সকল অক্সিজেন প্ল্যান্ট বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন মালিকরা।
বৃহস্পতিবার বিকালে বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসবিএ) এক প্রতিবাদ সভা থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
বিএসবিএ’র সভাপতি মোহাম্মদ আবু তাহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, অক্সিজেন গ্রুপের পরিচালক গ্রেপ্তার ও 'লাঞ্ছনার' প্রতিবাদে কারখানা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে চট্টগ্রামের অক্সিজেন প্ল্যান্ট মালিকরা।
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্প গ্রুপ সীমা অক্সিজেন লিমিটেড-এর পরিচালক পারভেজ উদ্দিনের মতো শীর্ষ ব্যবসায়ীকে কোমরে রশি দিয়ে লাঞ্ছিত করার ঘটনা দেশের ব্যবসায়ী সমাজের জন্য অপমানজনক। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী সমাজ ছাড়াও সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: অক্সিজেন প্ল্যান্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্রেপ্তার
এ ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল (শুক্রবার) থেকে চট্টগ্রামের সকল অক্সিজেন প্ল্যান্ট বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ঘটনাটির সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া ও পারভেজ উদ্দিন সান্টুর মুক্তির দাবিতে শনিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে মানববন্ধনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দাবি মেনে নেয়া না হলে পরবর্তীতে সব শিপইয়ার্ড বন্ধের হুঁশিয়ারি দেন বিএসবিএ সভাপতি।
উক্ত প্রতিবাদ সভায় সংগঠনের সদস্য মাস্টার আবুল কাশেম বলেন, 'যে বা যারা এটি করেছেন তাদেরকে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।'
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: সীমা অক্সিজেন প্লান্টের ৩ মালিকসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
টেকনাফে ফের কলেজছাত্রসহ ৭ জন অপহরণ
কক্সবাজারের টেকনাফে ফের কলেজছাত্রসহ সাতজনকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরার পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের অপহরণ করা হয়।
অপহৃতরা হলেন- জাহাজপুরা এলাকার জাফর আলমের ছেলে জাবরুল ইসলাম, বশির আহমেদের ছেলে ফজলু করিম, ইসহাকের ছেলে গিয়াস উদ্দিন, হায়দার আলীর ছেলে রশিদ আলম, নজির আহমেদের ছেলে আরিফ উল্লাহ, হায়দার আলীর ছেলে জাফর আলম ও জাফর আলমের ছেলে জয়নুল ইসলাম। এর মধ্যে গিয়াস উদ্দিন টেকনাফ ডিগ্রি কলেজের ছাত্র।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাহারছড়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ৪ কৃষক অপহরণের অভিযোগ
তিনি জানান, প্রতিদিনের মতো সকালে জাহাজপুরা পাহাড়ের কাছে কেউ পানের বরজে, কেউ গরু নিয়ে, আবার কেউ খেতে কাজ করতে যান। এ সময় একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে নিয়ে যান।
টেকনাফ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম জানান, অপহরণের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়েছেন এবং উদ্ধারের তৎপরতা চালাচ্ছে।
এর আগে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর একই এলাকা থেকে স্থানীয় ৮ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে মুক্তিপণ দিয়ে তারা মুক্ত হন।
এরপর চলতি বছরের জানুয়ারিতে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন হ্নীলা থেকে খেত পাহারা দেয়ার সময় চার কৃষককে অপহরণ করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে তারাও মুক্তিপণ দিয়ে মুক্ত হন।
আরও পড়ুন: টেকনাফে অস্ত্রধারীদের হাতে ৮ জন অপহৃত
টেকনাফে মাদক ও মানব পাচারকারী চক্রের ৭ সদস্য আটক
টেকনাফে মিয়ানমারের ২২ সদস্যের প্রতিনিধি দল
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের তালিকা যাচাইয়ে মিয়ানমার সরকারের ২২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল কক্সবাজারের টেকনাফে পৌঁছায়। মিয়ানমারের রাখাইন স্টেটের মংডু টাউনশীপ থেকে নাফ নদী পার হয়ে স্পীড বোটে করে তারা টেকনাফ জেটি ঘাটে এসে পৌঁছে।
এ সময় শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসন, বিজিবিসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর কর্মকর্তারা তাদের স্বাগত জানান। এছাড়া প্রতিনিধি দলে মিয়ানমারের ইমিগ্রেশন বিভাগের ১৭ জন কর্মকর্তা এবং মিয়ানমার পুলিশের পাঁচ সদস্য রয়েছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ইয়াবাসহ ইউপি সদস্য আটক, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের কাছে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের যে তালিকাটি পাঠিয়েছিল তা যাচাই করতে মিয়ানমারের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে এসেছে। প্রতিনিধিদলটি আরআরআরসির সঙ্গে বৈঠক করবে। পাশাপাশি টেকনাফ স্থলবন্দরে তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলবে।
প্রথম দিকে পরিবার ভিত্তিক প্রত্যাবাসনের আওতায় এক হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেয়ার কথা এখন বলা হচ্ছে। এর মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের শ খানেক রোহিঙ্গা রয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ইতোপূর্বে মিয়ানমারকে আট লাখ ৬২ হাজার রোহিঙ্গার একটি তালিকা দেয়া হয়েছিল। বাংলাদেশের দেয়া এই তালিকা যাচাই-বাছাই শেষে প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেয়ার কথা জানিয়েছিল মিয়ানমার।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ৪ কৃষক অপহরণের অভিযোগ
টেকনাফে অস্ত্রধারীদের হাতে ৮ জন অপহৃত
কুমিল্লায় ছাত্রীকে ‘যৌন হয়রানির’ অভিযোগে প্রধান শিক্ষক আটক
কুমিল্লার দেবিদ্বারে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এ ঘটনায় তাকে আটক করা হয়।
বুধবার বিকাল থেকে দেবিদ্বার উপজেলার মাশিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিক্ষোভ করেন।
এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা প্রধান শিক্ষক মোক্তল হোসেন ও তার জামাতার ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও বিদ্যালয় শ্রেণিকক্ষের কিছু দরজা ভাঙচুর করা হয়।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে দেবিদ্বার-বিপাড়া (সার্কেল) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আমিরুল্লা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমল কৃষ্ণ ঘটনাস্থলে যান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সদস্য সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মাদরাসার অধ্যক্ষ আটক
রাত ৮টার দিকে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে এবং ১০-১২ জন গুরুতর আহত হন।
আহতদের দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ওই ছাত্রীর সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে বলে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
বিকালে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায় এবং তাকে প্রত্যাহারের দাবি জানায়।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুনসহ বিদ্যালয়ের অন্যান্য সদস্য, শিক্ষক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি।
আরও পড়ুন: যৌন হয়রানির অভিযোগে নেত্রকোনায় সরকারি কর্মকর্তার স্ট্যান্ড রিলিজ
প্রধান শিক্ষকের পক্ষে কিছু লোক এসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। শিক্ষার্থী নাঈম খন্দকার, মো. নাঈম ও জাহিদুল ইসলাম জানান, হামলায় অন্তত ২৫-৩০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
আহত শিক্ষার্থীদের দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আহতরা সবাই ওই স্কুলের নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে তারা জানায়।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা জানায়, মোক্তল বিভিন্ন সময় ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করতেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মোক্তল বলেন, 'এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।
এএসপি ও দেবিদ্বার থানার ওসিকে মন্তব্যের জন্য বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
আরও পড়ুন: যৌন হয়রানির অভিযোগে খুবির আরেক শিক্ষক বরখাস্ত
বান্দরবানের ৩ উপজেলায় আবারও ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
নিরাপত্তাবাহিনীর সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানের কারণে বান্দরবানের রুমা উপজেলার পর রোয়াংছড়ি ও থানচিতে দেশি-বিদেশি পর্যটক ভ্রমণের ওপর আবারও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় বান্দরবানের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজির সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের ৩ উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ল
এতে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত থানছি, রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকিচিন ন্যশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর তৎপরতা অধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পাওয়ায় নিরাপত্তার স্বার্থে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
গত রবিবার বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে টহলরত সেনাবাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে কেএসএফ সদস্যরা গুলি চালালে সেনাবাহিনীর মাষ্টার ওয়ারেন্ট অফিসার নাজিম উদ্দিন নিহত হন। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর আরও দুই সদস্য আহত হয়।
এছাড়া গত সপ্তাহে থানছি উপজেলার সীমান্তবর্তী লেক্রী সড়ক দিয়ে থানছিতে ফেরার পথে একটি ট্রাক লক্ষ্য করে কেএনএফ সদস্যরা গুলি চালায়। এতে একজন শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়। এসময় কেএনএফ সদস্যরা ১০ জন শ্রমিককে অপহরণ করে।
সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় জননিরাপত্তার বিষয়টি সামনে রেখে এ তিনটি উপজেলায় পুনরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের থানচি উপজেলায় ভ্রমণে ফের নিষেধাজ্ঞা
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি ও রুমায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ভ্রমণ নিষিদ্ধ