চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম বন্দরে ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি, পণ্য ওঠা-নামা বন্ধ
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি আশঙ্কায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে নিজস্ব সংকেত ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি করা হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ এনসিটি, সিসিটির সব জাহাজ বহিরনোঙরে পাঠিয়ে দিয়েছে। বন্দর চ্যানেল থেকে সব লাইটার জাহাজও সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
সোমবার চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আবহাওয়া অফিস থেকে ছয় নম্বর সংকেত জারির পর অ্যালার্ট-৩ জারির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপরই জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানো-নামানোর কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। জেটি থেকে পালাক্রমে জাহাজ সাগরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জেটিতে থাকা জাহাজে ব্যাপক আঘাত লাগে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ কারণে জাহাজ জেটি থেকে কিছুটা দূরে সাগরে পাঠানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: বাগেরহাটে ৩৪৪ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে ছয় নম্বর সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তাই সকাল থেকে বন্দর এলাকায় লাইটার জাহাজগুলোকে কর্ণফুলী নদীর শাহ আমানত সেতুর আশপাশে আনা হয়েছে৷ অপরদিকে বড় জাহাজগুলোকে গভীর সাগরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এর ফলে জাহাজ থেকে পণ্য, কনটেইনার লোড-আনলোড বন্ধ হয়ে গেছে। হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট নিরাপদে রাখতে প্যাকিং করে রাখা হচ্ছে। বন্দর ভবনে জরুরি সভা চলছে।
এছাড়া বন্দরের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
এদিকে সাগর আরও বেশি বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর গুলোকে (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: লক্ষ্মীপুরে ১৮৫ আশ্রয়কেন্দ্র ও ৬৬ মেডিকেল টিম প্রস্তুত
ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’: সারাদেশে নৌযান চলাচল বন্ধ
জঙ্গিবাদবিরোধী অভিযান: ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত থানচি ও আলীকদমে নিষেধাজ্ঞা
জঙ্গিদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসেবে বান্দরবানের থানচি ও আলীকদম উপজেলায় ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটকদের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
রবিবার জেলা প্রশাসন পর্যটনের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
এর আগে ১৭ অক্টোবর প্রশাসন রুমা ও রোয়াংছড়িতে পর্যটনের ওপর অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করে, যা বর্তমানে কার্যকর রয়েছে।
নতুন এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যদিয়ে জঙ্গিবাদ বিরোধী অভিযানের কারণে জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে চারটি পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হলো।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. লুৎফুর রহমানের জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আজ ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
শনিবার বান্দরবান সেনানিবাস থেকে প্রাপ্ত চিঠি অনুযায়ী জঙ্গি ও অপরাধীদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি মোকাবিলায় এবং গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়াতে টহল দেয়ার জন্য এটি আরোপ করা হয়েছে।
গত ১০ অক্টোবর থেকে বান্দরবানে আন্ডারগ্রাউন্ড জঙ্গি ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
অভিযানে এ পর্যন্ত বান্দরবান ও রাঙামাটির পাহাড়ি বনাঞ্চল থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ সাত জঙ্গি ও তিনজন স্থানীয় অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বান্দরবানের আরও ২ উপজেলায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
বান্দরবানের আরও দুটি উপজেলায় দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
রবিবার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (রুটিন দায়িত্ব) মো. লুৎফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক গণ বিজ্ঞপ্তিতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বান্দরবান সেনানিবাসের ২২ অক্টোবর এক চিঠির আলোকে বান্দরবান রিজিয়ন কর্তৃক টহল কার্যক্রম পরিচালনা এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় এনে আলীকদম ও থানছি উপজেলায় স্থানীয় এবং বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ ২৩ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর নিষিদ্ধ করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩, আহত ৬
এদিকে গহীন জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা জঙ্গী এবং সন্ত্রাসীদের' বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার জন্য ১৭ অক্টোবর থেকে রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ আছে। এই নিয়ে জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে চারটি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো।
উল্লেখ্য, ১০ অক্টোবর থেকে পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা জঙ্গি এবং সন্ত্রাসীদের ধরতে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়। এ পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসহ সাত জঙ্গি এবং তিন জনস্থানীয় সন্ত্রাসীকে ধরতে সক্ষম হয়েছে যৌথ বাহিনী।
আরও পড়ুন: প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার কারণে পর্যটক শূন্য বান্দরবান!
বান্দরবান ট্যুর গাইড: সেরা দর্শনীয় স্থানসমূহ
কাপ্তাইয়ে দুর্লভ প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার
কাপ্তাইয়ের ব্যাঙছড়ি বিটের গভীর অরণ্য থেকে বিপন্ন প্রজাতির 'বেঙ্গল স্লো লরিস' নামের একটি লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) তালিকায় থাকা লজ্জাবতী বানরটি শনিবার (২২ অক্টোবর) বেলা ১১টায় কাপ্তাই বনবিভাগ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
কাপ্তাই বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা খন্দকার মাহমুদুল হক মুরাদ জানান, কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানের আওতাধীন কাপ্তাই রেঞ্জের ব্যাঙছড়ি বিটের গহীন অরণ্যে এক পাহাড়ি ব্যক্তি লজ্জাবতী বানরটি পাচার করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ওই পাচারকারী বানরটি কাগজের বাক্স বন্দী অবস্থায় ফেলে রেখে দৌড়ে জঙ্গলে পালিয়ে যায়।
পরে কাপ্তাই বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা খন্দকার মাহমুদুল হক মুরাদেরর নেতৃত্বে বনপ্রহরী মো. গিয়াসউদ্দিন, মো. আবু বক্কর, মো. আক্তার হোসেন পিএম বানরটিকে উদ্ধার করেন।
উদ্ধার হওয়ার পর প্রাণিটি রাঙামাটির বন সংরক্ষক মো. মিজানুর রহমান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ছালেহ মো. শোয়ইব খানের নির্দেশে শনিবার রাত ৮টায় কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানের গহীন অরণ্যে অবমুক্ত করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন মাহমুদুল হক মুরাদ।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে বিপন্ন প্রজাতীর লজ্জাবতী বানর উদ্ধার
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় নতুন অতিথি ৬ ক্যাঙ্গারু, ৬ লামা
সাদা বাঘের জন্য ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছিল চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। এবার এই চিড়িয়াখানায় যুক্ত হলো হল্যান্ড থেকে আনা ছয়টি ক্যাঙ্গারু ও ছয়টি লামা।
শুক্রবার (২১শে অক্টোবর) ভোর ৫টায় এসব নতুন প্রাণী চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় পৌঁছে।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বর্তমানে শতাধিক প্রজাতির অর্ধসহস্রাধিক পশু ও পাখি আছে।
হোসেনপুরে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ড্রাম ট্টাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত এবং অপর আরোহী আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে হোসেনপুর-গফরগাঁও সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আরোহী রফিকুল ওমর (১৭) হোসেনপুর উপজেলার আড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের ধনকুড়া গ্রামের সিরাজুল ওমরের ছেলে।
এ দুর্ঘটনায় আহত এনামুল মিয়ার (১৭) পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হোসেনপুর-গফরগাঁও সড়কের খুশিদ মহল সেতুর ওপর দিয়ে রফিকুল ও এনামুল মোটরসাইকেল নিয়ে পার হওয়ার সময়, বালুবাহী একটি ড্রাম ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এতে রফিকুল ও এনামুল গুরুতর আহত হয়।
খবর পেয়ে হোসেনপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। চিকিৎসক রফিকুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
আহত এনামুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হোসেনপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান টিটু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
একদিনের ব্যবধানে আবারও ‘চান্দের গাড়ি’ দুর্ঘটনা, আহত ১২
একদিনের ব্যবধানে আবারও রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় ‘চান্দের গাড়ি’ (পর্যটক বহনকারী যান) দুর্ঘটনায় ১২ যাত্রী গুরতর আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১২টার দিকে সাজেকের কংলাক পাড়া থেকে যাত্রী নিয়ে মাচালং বাজারে যাওয়ার পথে রুইলুই পাহাড় থেকে নামার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি দল স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত দিঘীনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।
আহতদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা।
আরও পড়ুন: সাজেক থেকে ফেরার পথে ‘চান্দের গাড়ি’ খাদে পড়ে পর্যটক নিহত
তিনি জানান, ২০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে সাজেকের কংলাক পাড়া থেকে যাত্রী নিয়ে মাচালং বাজারে যাওয়ার পথে রুইলুই পাহাড় থেকে নামার সময় ‘চান্দের গাড়ি’ (ঢাকা- ঘ ৫৭৬১) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হাউজ পাড়ায় আনুমানিক ১০০ ফুট গভীর পাহাড়ি খাদে পড়ে যায় এতে গাড়িতে থাকা সবাই আহত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আহতরা সবাই সাজেকের স্থানীয় বাসিন্দা তৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।
সাজেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুল আলম দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাজেক বাঘাইহাট সড়কে যানচলাচল বেড়ে যাওয়ায় ইদানীং দুর্ঘটনা বেড়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে শিগগিরই চালক ও মালিক সমিতির সঙ্গে কথা বলে একটি নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসার পদক্ষেপ নেয়া হবে, এছাড়া আজকের পর থেকে এই সড়কে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া কোন চালক গাড়ি নিয়ে বের হতে পারবে না, প্রশাসন সেই পদক্ষেপ নিয়েছে।
সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও হেডম্যান জুপ্পুই থাং ত্রিপুরা জানান, সাজেক সড়কে চলাচল করা অধিকাংশ ‘চান্দের গাড়ি’র ফিটনেস নেই চালকদের ও লাইসেন্স নেই তাই ঘন ঘন সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার বলেন, একটি পর্যটন এলাকায় এভাবে পর পর দুর্ঘটনা দুঃখজনক উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিগিগিরই মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ফিটনেস বিহীন যানবাহন ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: বন্য হাতির আক্রমণে বিজিবি সদস্যের মৃত্যু
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে আহত শ্রমিকের মৃত্যু
সাজেক থেকে ফেরার পথে ‘চান্দের গাড়ি’ খাদে পড়ে পর্যটক নিহত
সাজেক থেকে ফেরার সময় ‘চান্দের গাড়ি’ (পর্যটক বহনকারী যান) খাদে পড়ে এক পর্যটক নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছেন। বুধবার সাজেকের রুইলুইপাড়া-বাড়িপাড়া সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম মোহাম্মদ সাগর আহমেদ (৩২)।
আরও পড়ুন: বোয়ালখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষক নিহত
সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অতুললাল চাকমা জানান, সকাল ১১টার দিকে সাজেকের রুইলুই পাড়া থেকে চান্দের গাড়ি বাড়ি পাড়ায় পৌঁছালে উল্টে খাদে পড়ে যায়।
অতুলাল বলেন, ‘স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি দল আহতদের উদ্ধার করে দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাগরের মৃত্যু হয়।’
সাজেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতরা সবাই ঢাকা শহরের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়া সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ বাংলাদেশি পর্যটক নিহত
বেনাপোলে সড়ক দুর্ঘটনায় ভারতীয় ট্রাকচালক নিহত
বন্য হাতির আক্রমণে বিজিবি সদস্যের মৃত্যু
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে বন্য হাতির আক্রমণে আব্দুল মান্নান (৫০) নামে বিজিবির এক নায়েক সুবেদার নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) রাতে সদর ইউনিয়নের ভাল্লুক খাইয়া সীমান্তবর্তী এলাকায় ৪৯ নং পিলারের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে আহত শ্রমিকের মৃত্যু
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার রাতে বিজিবির একটি টহল দল সদর ইউনিয়নের ভাল্লুক খাইয়ার ৪৯ নং সীমান্ত পিলার এলাকায় টহলে যায়। এ সময় জঙ্গল থেকে একটি বন্য হাতি ওই টহল দলের ওপর আক্রমণ করলে হাতির পায়ের নিচে পিষ্ট হয়ে বিজিবি সদস্য মারা যান।
খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টান্টু সাহা বলেন, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: মৃত্যু মিছিলে আরও যুক্ত হলো ৩ জন
গোয়ালন্দে আগুনে পুড়ে বৃদ্ধা ও শিশুর মৃত্যু
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে আহত শ্রমিকের মৃত্যু
চট্টগ্রামে বিভিন্ন পণ্যের বৃহত্তর পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জে ভ্যানচালকের ছুরিকাঘাতে আহত মাসুদ (২৯) নামে শ্রমিক মারা গেছেন।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির জানান, ছুরিকাঘাতে আহত হওয়ার পরই একটি মামলা হয়েছে। এটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে। খাতুনগঞ্জে এখন অতিরিক্ত পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে।
স্থানীয়রা জানায়, গত ১৭ অক্টোবর সোমবার সন্ধ্যায় তর্ক-বিতর্কের জেরে খাতুনগঞ্জের চাঁনমিয়া লেইনে পিকআপ ভ্যানের চালকের ছুরিকাঘাতে ট্রাকে মালামাল তোলার কাজে নিয়োজিত শ্রমিক শ্রমিক মাসুদ গুরুত্বর আহত হয়। এ ঘটনার পরপরই শত শত শ্রমিক ক্ষুব্ধ হয়ে গাড়ি থেকে পণ্য উঠানামা বন্ধ করে ঠেলাগাড়ি দিয়ে পথরোধ করে বিক্ষোভ করেন। আহত মাসুদকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর আজ সকালে মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র নিহত, আটক ৪
নেত্রকোণায় ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র খুন, আটক ২
ফতুল্লায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন