খুলনা
করোনা টেস্টের আড়াই কোটি টাকা নিয়ে আত্মগোপনে টেকনোলজিস্ট
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাস (৪৫) বিদেশগামীদের করোনা টেস্টের আড়াই কোটি টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করে আত্মগোপন করেছেন বলে জানা গেছে।
খুলনা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় খুলনা সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে আত্মগোপনে থাকা প্রবাসীদের পাসপোর্ট বাতিলের ঘোষণা
সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, খুলনা জেনারেল হাসপাতালে বিদেশগামীদের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। মেডিকেল টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাশ নমুনা পরীক্ষার ফি নেয়া ও ল্যাব ইনচার্জেরও দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু তিনি ২০২০ সালে ২ জুলাই থেকে প্রতিদিন যতজন পরীক্ষা করাতেন, তার চেয়ে কম সংখ্যক মানুষের নাম খাতায় লিপিবদ্ধ করতেন। বাকি টাকা আত্মসাৎ করতেন।
এ বিষয়ে তাদের সন্দেহ হওয়ার পর চলতি বছরের এপ্রিল মাসে চিঠি দিয়ে প্রকাশের কাছে লিখিত হিসাব চাওয়া হলে প্রকাশ কুমার বিভিন্ন তালবাহানা করে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। এরপর চলতি বছরের ২২ আগস্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে তদন্ত কমিটি ১৬ সেপ্টেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, যে পরিমাণ টাকা জমা হওয়ার কথা ছিল তার চেয়ে প্রায় ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা কম জমা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘জামায়াত নেতার’ বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন যুবলীগ নেতা সম্রাট
তদন্ত কমিটি মৌখিকভাবে তাকে জিজ্ঞাসা করলে প্রকাশ কুমার হিসাবে গড়মিল রয়েছে বলে স্বীকার করেন। এরপর তাকে শোকজ করা হয় এবং লিখিতভাবে হিসাব জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
গত বৃহস্পতিবার তার হিসাব ও টাকা জমা দেয়ার শেষ দিন ধার্য্য ছিল। ওই দিন দুপুরে অফিসে বসে হিসাব করার একপর্যায়ে প্রকাশ কুমার কাউকে কিছু না জানিয়ে অফিস থেকে বের হয়ে যান। এরপর থেকে তিনি আর অফিসে আসেনি।
আরও পড়ুন: স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন আবু ত্ব-হা : পুলিশ
সিভিল সার্জন জানান, আত্মসাত করা টাকার পরিমাণ প্রায় ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আইনজীবীকে দিয়ে মামলার এজাহার লেখানো হচ্ছে, লেখা শেষ হলে খুলনা সদর থানায় মামলা দায়ের করা হবে।
ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ জানান, প্রকাশ কুমার দাশ যাতে দেশত্যাগ করতে না পারে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
কুষ্টিয়ায় ২ শিক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত
কুষ্টিয়ার খোকসায় এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ এক বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর করোনা আক্রান্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে পরিবারসহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
আক্রান্ত শিক্ষার্থীরা হলো- উপজেলা সদরের খোকসা জানিপুর পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী আয়সা আক্তার মাইসা ও একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ফারজানা হোসেন সরদি।
আরও পড়ুন:বিশ্বে করোনা আক্রান্ত ২৩ কোটি ১৮ লাখ ছাড়াল
জানা গেছে, এসএসসি পরীক্ষার্থী আয়সা আক্তার মাইসা ও নবম শ্রেণির ছাত্রী ফারজানা হোসেন সরদি জ্বরে আক্রান্ত হয়। একপর্যায়ে ২৫ সেপ্টেম্বর ছাত্রীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা পরীক্ষা করানো হলে তাদের দু’জনেরই করোনা পজেটিভ ধরা পরে। করোনা আক্রান্ত এসএসসি পরীক্ষার্থী আয়সা ২৫ সেপ্টেম্বর ও নবম শ্রেণির ছাত্রী ফারজানা ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত ছিল। সোমবার দুই শিক্ষার্থীর করোনা পজেটিভ ধরা পরার খবর ছড়িয়ে পরলে বিদ্যালয়ে আসা ছাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। ওই অবস্থায় বিদ্যালয়টির চালু রাখায় একাধিক অভিভাবক উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
করোনা আক্রান্ত নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর অভিভাবক আকমল হোসেন জানান, তার পরিবারে ছয় জন করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা সংকটাপন্ন বাকিরা ভালো আছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ছালমা খাতুন জানান, দুই ছাত্রী সম্পর্কে চাচাত বোন। তাদের পরিবারের একাধিক করোনা পজেটিভ রোগী রয়েছে। ছাত্রীরা বাড়ি থেকে আক্রান্ত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। করোনা আক্রান্ত ছাত্রীরা যেসব শ্রেণিতে পড়ে ওইসব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের করোনা পরীক্ষা করোনোর চিন্তা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে করোনায় মৃত্যু ১, শনাক্ত ৩১
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামরুজ্জামান বলেন, আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের একজনের বয়স ১৬ অপর জনের ১৭ বছর। স্কুল চাইলে ওই শিক্ষার্থীরা যে শ্রেণিতে পড়ত সে শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ফ্রি করোনা পরীক্ষা করানো যেতে পারে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হক জানান, শিক্ষার্থীদের তথ্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন।
খুলনায় কথিক চিকিৎসককে কারাদণ্ড
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তন্ময় অধিকারী (২৭) নামে এক কথিত চিকিৎসককে আটক করে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে র্যাব।
সোমবার রাতে উপজেলার ডুমুরিয়া বাজারে থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল ওয়াদুদ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইনে দণ্ডাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:বরগুনায় ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু, কথিত ‘চিকিৎসক’ কারাগারে
র্যাব জানায়, গত বছর তৎকালিন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সঞ্জিব দাশ ওই কথিক চিকিৎসককে ভুয়া চিকিৎসা দেয়া ও প্রেসক্রিপশনে শিশু ও মহিলা বিশেষজ্ঞ লেখায় ১৫ দিনের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে চেম্বার বন্ধ করে দেন। পরে সঞ্জিব দাশ বদলি হয়ে গেলে তন্ময় আবারও ডুমুরিয়া বাজারের মনোয়ারা সুপার মার্কেটে চেম্বার খুলে রোগী দেখা শুরু করে। কয়েক মাস আগে এক অভিযোগের ভিত্তিতে বর্তমান সহকারি কমিশনার ভূমি মো. মনিরুজ্জামান তন্ময়কে সতর্ক করে দেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় ভুয়া চিকিৎসককে এক বছরের কারাদণ্ড
কিন্তু তন্ময় অধিকারী চেম্বার পরিবর্তন করে ডুমুরিয়া থানা সড়কের রাজ মেডিকেল হলের নামে চেম্বারের ঠিকানায় রোগী দেখতে থাকেন। র্যাব ৬ এর গোয়েন্দা ইউনিট গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ ও তদন্ত করে সত্যতা পায়। সেই সূত্র ধরে সোমবার অভিযানের মা্যেমে তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানায় এই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আক্রান্ত ও উপসর্গে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ৩ মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে দু’জন ও উপসর্গ নিয়ে আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার সকাল ৯টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো. মেজবাউল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে করোনায় মৃত্যু ১, শনাক্ত ৩১
তিনি জানান, হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর পাশাপাশি রোগী ভর্তির চাপ আগের মতই আছে। সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৫২ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৯ ও উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন আরও ৩৩ জন।
এদিকে, কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৩২৯ নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ২২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৪৪৩ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৭ হাজার ৪৬২ জন। এখন পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৭৬৩ জন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় করোনা উপসর্গে ৪ মৃত্যু
বর্তমানে কুষ্টিয়ায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২১৮ জন। এর মধ্যে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ১৮৫ জন। আর হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৩ জন।
মাগুরায় ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
মাগুরা সদর উপজেলায় ৪০ বছর বয়সী এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে পাশের বাড়ির ফরিদ মোল্লা (৪০) ওষুধ আনার কথা বলে শিশুটিকে নিজের বাড়ির একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই ব্যক্তি এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য শিশুটিকে ভয়ভীতি ও হুমকি দেন। পরে শুক্রবার শিশুটি তার মা-বাবাকে ওই ঘটনাটি জানায়।
আরও পড়ুন: ১১ দিন আটকে রেখে গৃহবধূকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক অমর প্রসাদ বিশ্বাস জানান, অসুস্থ শিশুটির চিকিৎসা চলছে।
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম জানান, শুক্রবার ওই ছাত্রীকে তার বাবা মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। থানায় এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে।
ওসি জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে গ্রেপ্তার তিন, ৪ হাজার ইয়াবা জব্দ
উন্নয়নের ছোঁয়া সবখানে পৌঁছে গেছে: খাদ্যমন্ত্রী
উন্নয়নের ছোঁয়া সবখানে পৌঁছে গেছে উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাহাত্তরের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন ধর্ম, বর্ণ, জাতি গোষ্ঠী নির্বিশেষে সকলের সমান অধিকার থাকবে। শেখ হাসিনার সরকার সেটাই নিশ্চিত করে চলেছে।’
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টায় নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার স্থায়ী মঞ্চে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের মাঝে প্রণোদণা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: করোনাকালেও দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থানে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার জন্য যত রকম প্রণোদনা দেয়া দরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার তার সব কিছু দিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মাদক মুক্ত থাকার আহবান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘মাদক ও বাল্যবিবাহ সমাজ উন্নয়নের অন্তরায়। এটা থেকে দূরে থাকতে হবে, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ছেলে মেয়েদের সুশিক্ষায় হয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার কৃষককে প্রণোদণা দিচ্ছে। সারের অভাব নেই। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেয়ার পাশাপাশি বীজ ও কৃষি উপকরণ দিচ্ছে। এর ফলে আমাদের কৃষিতে বিপ্লব ঘটেছে। দেশে খাদ্যের অভাব নেই। কৃষক প্রণোদনা নিয়ে যদি কৃষি কাজে তা ব্যবহার না করে তবে সেটা হবে রাষ্ট্রীয় অপচয়।’
উৎপাদন কম হলে বিদেশ থেকে চাল আমদানির প্রয়োজন হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রকৃত প্রান্তিক কৃষকের হাতে প্রণোদণা পৌঁছে দিতে হবে। সেটা করতে না পারলে উৎপাদন বাড়ানো কঠিন হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: সুষ্ঠ সংস্কৃতি চর্চায় ভূমিকা রাখবে নৃ-গোষ্ঠীর ‘কারাম উৎসব’: খাদ্যমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যয়নরত ১৭০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষা অনুদান, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত তিনশ’ কৃষকের মাঝে সরকারি প্রণোদনার চেক বিতরণ এবং ২৪ জন দুস্থ নারীর মাঝে ২৪ জন দুস্থ নারীর মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়। পরে মন্ত্রী পল্লী উন্নয়ন সঞ্চয় ব্যাংক নিয়ামতপুর শাখার দ্বিতল ভবনের উদ্বোধন করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়া মারিয়া পেরেরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ, ভাইস চেয়ারম্যান আইউব হোসেন মন্ডল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাদিরা বেগম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সহ-সভাপতি ঈশ্বর চন্দ্র বর্মন ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: সরকার খাদ্য নিরাপত্তা এবং পুষ্টিমান উন্নয়নে কাজ করছে: খাদ্যমন্ত্রী
খুলনায় বালুবাহী ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ৪
খুলনায় একটি বালুবাহী ট্রাকের ধাক্কায় চার সিএনজি যাত্রী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের পূর্ব জিলেরডাঙ্গা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রাক চালক রাকিব শেখকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় দাদা-নাতি নিহত
নিহত ব্যাক্তিরা হলেন, সিএনজি চালক ডুমুরিয়ার শরাফপুরের জাকারিয়া সরদারের ছেলে ইলিয়াস সরদার (৪৫), রুদাঘরা গ্রামের মহিউদ্দিনের মেয়ে রেশমা খাতুন (৩২), একজন নারী (৩৫) ও একজন পুরুষের (৪৫) পরিচয় পাওয়া যায়নি।
প্রায় ৪ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে বিকাল ৬টায় ডোবার ভেতর থেকে চারজনের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পানির নিচ থেকে সিএনজি উদ্ধার করা যায়নি।
আরও পড়ুন: বিয়ানীবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলশিক্ষক নিহত
ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুর রহমান জানান, দুর্ঘটনার পর উদ্ধার কাজ চালানোর জন্য খুলনা-সাতক্ষীরা সড়ক চার ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। বিকাল ৬ টার পর সড়ক খুলে দেয়া হয়।
বিয়ে বার্ষিকীতে স্ত্রীকে ‘চাঁদের জমি’ উপহার দিলেন স্বামী
বিয়ে বার্ষিকী আরও স্মরণীয় করে রাখতে খুলনায় স্ত্রীকে চাঁদে এক একর জমি কিনে উপহার দিয়েছেন স্বামী।
বৃহস্পতিবার ওই দম্পতির ষষ্ঠ বিয়ে বার্ষিকীতে স্ত্রী ইসরাত টুম্পার হাতে জমির দলিল তুলে দেন স্বামী এমডি অসীম।
ওই দম্পতি খুলনা মহানগরীর মর্ডান মোড় এলাকার অস্থায়ী বাসিন্দা। স্বামীর গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়, পেশায় একটি বেসরকারি টেলিভিশনের খুলনা বিভাগের প্রতিনিধি। আর স্ত্রীর বাবার বাড়ি খুলনার তেরখাদা উপজেলার হাড়িখালী গ্রামে, পেশায় চিকিৎসক। ২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তাদের বিয়ে হয়।
আরও পড়ুন: একসঙ্গে ৪ সন্তানের মা হলেন লাক্সমিয়া
স্বামী অসীম বলেন, ‘আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল বিয়ে বার্ষিকীতে স্ত্রীকে স্পেশাল কিছু উপহার দিব। গত বছর জানতে পারলাম ভারতের এক ব্যক্তি বিয়ে বার্ষিকীতে স্ত্রীকে চাঁদে জমি কিনে দিয়েছেন। এরপর আমাদের বিয়ে বার্ষিকীতে স্ত্রীকে চাঁদের জমি কিনে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।'
তিনি বলেন, 'গত ২০ সেপ্টেম্বর মার্কিন নাগরিক ডেনিস হোপের ‘লুনার অ্যাম্বাসি’ থেকে ৪৫ ডলারের বিনিময়ে এ জমি কিনেছি। জমি কেনার পর আমাদের একটি বিক্রয় চুক্তিনামা, কেনা জমির একটি স্যাটেলাইট ছবি এবং জমিটির ভৌগোলিক অবস্থান ও মৌজা-পর্চার মতো আইনি নথিও পাঠিয়েছে সংস্থাটি৷'
আরও পড়ুন: ঢাকার কাছে কাশফুলের খোঁজে: গন্তব্য যখন শরতের শ্বেতশুভ্র স্বর্গ
স্ত্রী ইসরাত টুম্পা বলেন, ‘চাঁদের দেশে এক টুকরো জমি উপহার পেয়ে আমি দারুণ উচ্ছ্বসিত। গত বছর ভারতের একটি ঘটনা দেখে আমার স্বামী ইচ্ছা পোষণ করেছিল। এবার বিয়ে বার্ষিকীতে সে আমাকে সত্যিই সারপ্রাইজ গিফট দিতে পেরেছে। উপহারটি পাওয়ার পর আমার মনে হচ্ছিল আমি যেন স্বপ্নে চাঁদে চলে গেছি।’
উল্লেখ্য, চাঁদে জমি কেনার জন্য মার্কিন নাগরিক ডেনিস হোপের ‘লুনার অ্যাম্বাসি’-ই হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় কোম্পানি। যার বাংলা অর্থ ‘চন্দ্র দূতাবাস’। তাদের তথ্যানুযায়ী, চাঁদে জমির দাম একর প্রতি ২৪.৯৯ ডলার থেকে সর্বোচ্চ ৪৯৯ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় দুই হাজার ১৪২ টাকা থেকে ৪২ হাজার ৬৫২ টাকা।
খুলনায় ভুয়া চিকিৎসককে এক বছরের কারাদণ্ড
খুলনায় অনুমোদনহীভাবে এলোপ্যাথিক চিকিৎসা করা এবং সনদ না থাকা সত্ত্বেও ডা. শব্দ ব্যবহার করার অপরাধে এক ভুয়া চিকিৎসককে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত পূর্ব রূপসা বাজারের অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসক মো. এবিএম আতাউর রহমান (৪৫) মৃত ওয়াজোদ আলীর ছেলে।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত র্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) খুলনার একটি দল এই অভিযান চালায়।
পড়ুন: কুষ্টিয়ায় সাব রেজিস্ট্রার নূর মোহাম্মদ হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
র্যাব জানায়, খুলনার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের সহযোগিতায় র্যাব খুলনা জেলার রুপসা থানাধীন ৩নং নৈহাটী ইউনিয়নের বাঘমারা সাকিনস্থ পূর্ব রুপসা বাজারে মেসার্স মাদারীপুর মেডিকেল হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। এসময় অনুমোদনহীভাবে এলোপ্যাথিক চিকিৎসা করা এবং সনদ না থাকা সত্ত্বেও ডা. শব্দ ব্যবহার করে চিকিৎসা দেয়ার অপরাধে এবিএম আতাউর রহমান এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে খুলনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে র্যাব জানিয়েছে।
পড়ুন: অস্ত্র মামলায় স্বাস্থ্যের গাড়িচালকের ৩০ বছর কারাদণ্ড
কলেজছাত্র হত্যা: ২ আসামির মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন
একসঙ্গে ৪ সন্তানের মা হলেন লাক্সমিয়া
যশোরে সাত বছর নিঃসন্তান থাকার পর একসঙ্গে চার সন্তানের মা হলেন লাক্সমিয়া (৩০)।যশোর শহরের কুইন্স হসপিটালে সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে দুটি ছেলে ও দুটি মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন তিনি।
বর্তমানে ওই চার নবজাতক ও তাদের মা পুরোপুরি সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় চার সন্তানের জন্ম দিলেন এক নারী
লাক্সমিয়ার স্বজনরা জানান, ২০১৪ সালে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়া ইউনিয়নের ভাঙ্গুড়া গ্রামের আব্দুর রহমান গাজীর ছেলে আবুল বাশারের সাথে একই উপজেলার বাসুয়াড়ি ইউনিয়নের চাড়াভিটা গ্রামের ইমামুল খার মেয়ে লাক্সমিয়া খাতুনের বিয়ে হয়। অনেকদিন এই দম্পতির কোন সন্তান না হওয়ায় উভয় পরিবারে মধ্যে হতাশা বিরাজ করছিল। এক সময় সন্তানের প্রত্যাশায় তারা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। অবশেষে হতাশার সকল অবসান ঘটিয়ে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে যশোর শহরের বেসরকারি ক্লিনিক কুইন্স হসপিটালে সিজারিয়ানের মাধ্যমে চার সন্তানের জন্ম দেন লাক্সমিয়া।
আরও পড়ুন: একসাথে চার সন্তান প্রসব করলেন নোয়াখালীর বৃষ্টি
যশোর মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক নার্গিস আক্তার তার সিজার করেন। এদিকে, চার সন্তানের জন্মের খবরে হাসপাতালে হৈ চৈ পড়ে যায়।