রাজশাহী
রাজশাহীতে বন্ধ ঘরে স্বামী-স্ত্রীর লাশ
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় বন্ধ ঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার বেলা ৩টার দিকে উপজেলার ঝালুকা ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন- ওই গ্রামের মৃত জাবেদ আলীর ছেলে সুলতান আলী (৪৫) ও তার স্ত্রী ইসনেহার বেগম (৩৮)। পেশায় ফেরিওয়ালা ছিলেন সুলতান। আর তার স্ত্রী ছিলেন গৃহিণী। ১৭ বছরের ছেলে এবং ১০ বছরের মেয়ের জনক-জননী ছিলেন তারা।
কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামের ইউপি (৯ নম্বর ওয়ার্ড) সদস্য মোসাব্বির মন্ডল জানান, মাঝে মধ্যেই পরিবার নিয়ে গ্রামের বাইরে চলে যেতেন সুলতান। কিন্তু বছরখানেক আগে তিনি গ্রামে এসে স্থায়ী হন। বুধবার দুপুরের দিকে ছেলে-মেয়েরা বাড়ির বাইরে ছিল। ওই সময় সুলতান আলী ও তার স্ত্রী ইসনেহার বেগম বাড়িতে ছিলেন।
বেলা ৩টার দিকে স্বজনরা শোবার ঘরে সুলতানের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে বিছানায় তার স্ত্রী ইসনেহারের লাশ দেখতে পান।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ট্রাক্টরচাপায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪
ঝালুকা ইউপি চেয়ারম্যান আকতার আলী জানান, অভাবের তাড়নায় এই দম্পতি আত্মহত্যা করেছেন বলে স্থানীয়রা তাকে জানিয়েছেন।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক জানান, সুলতান আলীর ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেছে। তার স্ত্রীর লাশ ছিল বিছানায়। ধারণা করা হচ্ছে, একজন বিষপানে এবং অন্যজন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এ ব্যাপারে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বড়াইগ্রামে ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ২
নাটোরের বড়াইগ্রামে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার কয়েনবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন-মাইক্রোবাস চালক মনিরুজ্জামান ও যাত্রী আল মাহবুব। দুজনই চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বাসিন্দা।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফিরোজ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাত ২টার দিকে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার কয়েনবাজার এলাকায় চুয়াডাঙ্গা থেকে রাজশাহীগামী মাইক্রোবাসের সাথে পাকসী থেকে বনপাড়ামুখী বালুবাহী ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিকে বনপাড়ার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
লাশ দুটি বনপাড়া হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পড়ুন: ঈদের ছুটিতে সড়কে ৩৭৬ জনের প্রাণহানি: আরএসএফ
বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা পরিস্থিতি
সারাদেশে গত এপ্রিলে ৪২৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৪৩ জন নিহত এবং ৬১২ জন আহত হয়েছেন। নিহতের মধ্যে নারী ৬৭ এবং শিশু ৮১ জন রয়েছে।
সম্প্রতি রোড সেফটি ফাউন্ডেশন (আরএসএফ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
সংগঠনটি ৭টি জাতীয় দৈনিক, ৫টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
সবচেয়ে বেশি ১৮৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ২০৬ জন, যা মোট নিহতের ৩৭.৯৩ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪৪.২৬ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১১৬ জন পথচারী নিহত হয়েছে, যা মোট নিহতের ২১.৩৬ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৮৭ জন, অর্থাৎ ১৬ শতাংশ।
এ সময়ে ৬টি নৌদুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত হয়েছে এবং ৬ জন নিখোঁজ রয়েছে। ২১টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত এবং ৫ জন আহত হয়েছে।
পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় অটোরিকশার যাত্রী নিহত
শ্রমিক সংকটে কৃষকদের পাশে ৩১৫ শিক্ষার্থী
কারো মাথায় টোপা, কারো মাথায় গামছা বাঁধা, কারো হাতে আবার কাস্তে। উপলক্ষ বিদ্যালয় মাঠ পেরিয়ে সোনালি ধান কর্তন। বোরো ধানের ভরা মৌসুমে অসহায় কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে এমন ব্যতিক্রমী ও মানবিক উদ্যোগ নিয়েছেন নড়াইলের গুয়াখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
রবিবার দুপুরে তিনদিনব্যাপী ধানকাটা উৎসব শেষ হয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার (১৩ মে) সকাল ৮টা থেকে মাঠে নেমে পড়েন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। শুধু ধানকাটাই নয়, বাড়িতেও পৌঁছে দিয়েছেন সোনালি ফসল। ধানকাটা উৎসবের তিনদিনে সবমিলে প্রায় ১৫ বিঘা জমির ধান খেত থেকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন তারা। এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগে দারুণ খুশি এলাকার কৃষকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।
গুয়াখোলা গ্রামের প্রতাপ কুমার পাল জানান, বর্তমানে ধানকাটা শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। তিনবেলা খাবারসহ জনপ্রতি শ্রমিকের মূল্য গুণতে হচ্ছে এক হাজার টাকা। তাও ঠিকমত পাওয়া যাচ্ছে না। গুয়াখোলা স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা মিলে আমার ৬০ শতক জমি ধান প্রায় ১০ মিনিটে কেটে দিয়েছেন। এই দুর্যোগের সময় তাদের পাশে পেয়ে আমি ভীষণ খুশি।
অপূর্ব সরকার, হাসিদা রানী, মহাদেব সরকারসহ এলাকার বিভিন্ন পেশার মানুষ বলেন, স্কুলের ছেলে-মেয়েরা যে উদ্যোগ নিয়ে আমাদের ধান কেটে দিচ্ছে, তাতে আমরা মহাখুশি। অনেক উপকার হচ্ছে।
দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সৌমিত্র গোস্বামী বলে, শ্রমিক সংকটকালে আমাদের বিদ্যালয়ের ৩১৫ জন ছাত্রছাত্রী মাঠে নেমে ধান কেটে দিচ্ছি। আমাদের প্রত্যাশা দেশের অন্যান্য এলাকাতেও সবাই কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে ধান কেটে দিবেন। সোমা ও স্বর্ণালি বিশ্বাসসহ বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীরা জানায়, ঘূর্ণিঝড় অশনির কারণে কৃষকদের বেশ ক্ষতি হয়েছে। ফসল দ্রুত ঘরে তুলতে আমরা কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তিন দিনের বৃষ্টিতে জলমগ্ন পাকা ধান বিনষ্টের আশঙ্কা
শিক্ষক তাপস পাঠক ও স্বপন কুমার সেন বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির কারণে অধিকাংশ জমিতে পানি জমে গেছে। ধানে অঙ্কুরোদগম হয়ে যাচ্ছে। এ সংকটময় মুহূর্তে আমরা এলাকার কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছি। জেলা শহর থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে বিদ্যালয়টির অবস্থান হলেও আমরা সবসময় সৃজনশীল কাজে থাকতে চাই।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, বোরো ধানের ভরা মৌসুমে বর্তমানে শ্রমিক সংকট চলছে। পাশাপাশি ‘অশনি’ ঝড়ের প্রভাবে গত তিন থেকে চারদিন ধরে মাঝে-মধ্যে বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে পানি জমে অনেক ধানখেত নষ্ট হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মিলে আমরা সিদ্ধান্ত নিই, এলাকার গরিব কৃষকদের ধান কেটে দিবো। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনসহ তিনদিন ধানকাটার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে শনিবার সংরক্ষিত ছুটি ও রবিবার বৌদ্ধপূর্ণিমার ছুটি মিলে তিনদিন ধানকাটা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়। এই তিন দিনে অন্তত ২০জন কৃষকের প্রায় ১৫ বিঘা জমির ধান বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের কথা স্মরণ রেখে ১১টি সেক্টরে ভাগ হয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ধান কেটে দিচ্ছেন। পড়ালেখার পাশাপাশি আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সবসময় ভালো ও মানবিক কাজের সঙ্গে থাকতে চান। এই ধারাবাহিকতায় আমরা ধান কাটছি। ভবিষ্যতেও ভালো কাজ করতে চাই।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নড়াইলের উপ-পরিচালক দীপক কুমার রায় বলেন, খাদ্যশষ্যে উদ্বৃত্ত নড়াইল জেলায় এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ৪৮ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে ৪৯ হাজার ৯৪০ হেক্টর জমিতে। সময় মতো বীজ, সারসহ অন্যান্য উপকরণ ঠিক মতো পাওয়ায় ধান চাষে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়নি। এছাড়া প্রণোদনার আওতায় নয় হাজার কৃষককে হাইব্রিড এবং ছয় হাজার কৃষককে উফশী জাতের বীজ ও সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। মানভেদে বর্তমানে প্রতিমণ বোরো ধান বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১২০০ টাকায়। ধানের দাম সন্তোষজনক হওয়ায় খুশি কৃষকেরা।
আরও পড়ুন: ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না কিশোরগঞ্জের হাওরের ধানচাষিরা
তলিয়ে যাওয়া ফসল নিয়ে হাওরের কৃষকের হাহাকার
রাজশাহীতে ট্রাক্টরচাপায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪
রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটায় দুই মোটর সাইকেলের সঙ্গে মাটিবাহী ট্রাক্টরের ত্রিমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়িয়েছে। রবিবার বিকেল ৫টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আক্তার হোসেন মারা যান। এর আগে তার স্ত্রী ও চার বছরের শিশু কন্যা মারা যান। এ ঘটনায় আব্দুল মান্নান নামের আরেকজন মারা গিয়েছেন।
নিহতরা হলেন, নওগাঁর মান্দা উপজেলার ছোট বেলালদহ গ্রামের মৃত ময়েজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে আব্দুল মান্নান (৪৮), একই জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের আক্তার হোসেন (৩৫), তার স্ত্রী বিথি খাতুন (৩৩) ও তার মেয়ে মরিয়ম জান্নাত (৪)।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৯
পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন জানায়, রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের আমান কোল্ড স্টোরেজের সামনে দুই মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের চার যাত্রী রাস্তার ওপর ছিটকে পড়ে। এরপর মাটিবাহী ট্রাক্টর তাদের চাপা দেয়। এতে একটি মোটরসাইকেলের আরোহী আব্দুল মান্নান ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়। মান্নান রাজশাহী থেকে মান্দার দিকে যাচ্ছিলেন। আর আক্তার হোসেনকে গুরুতর অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকেলে তিনিও মারা যান।
ওসি বলেন, আরেকটি মোটরসাইকেলে আক্তার হোসেন ও তার স্ত্রী বিথি খাতুন এবং কন্যা সন্তান মরিয়ম ছিলেন। এদের মধ্যে মরিয়ম ঘটনাস্থলে এবং বিথিকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আর আক্তার হোসেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে মারা যান। তারা তিনজন একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নিয়ামতপুর থেকে রাজশাহী যাচ্ছিলেন।
ওসি বলেন, নিহতদের লাশ উদ্ধার করে মর্গে নেয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর হানিফ ফ্লাইওভারে সড়ক দুর্ঘটনা যুবক নিহত
রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
শিবগঞ্জে পাগলা নদীতে ডুবে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিবগঞ্জের পাগলা নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার উপজেলার কানসাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রাব্বি (১৬)উপজেলার কানসাট বাজারের রফিকুল ইসলামের ছেলে ও কানসাট প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র।
জানা যায়, কানসাট প্রি-ক্যাডেট স্কুল ঘাটে পাগলা নদীতে দুপুরে গোসল করতে গিয়ে ডুবে যায় রাব্বি। পরে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহায়তায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
শিবগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার রজব আলী শেখ জানান, স্থানীয়দের সহযোগিতায় এক ঘন্টার চেষ্টায় লাশ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জলাশয়ে ডুবে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
বান্দরবানে পানিতে ডুবে ২ বোনের মৃত্যু
রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মা-মেয়েসহ নিহত ৩
রাজশাহীর পবা উপজেলায় মাটিবাহী ট্রাক্টরের সঙ্গে দুটি মোটরসাইকেলের ত্রিমুখী সংর্ঘর্ষে মা-মেয়েসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের আমান কোল্ড স্টোরের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মোটরসাইকেল চালক আব্দুল মান্নান (৪৮) নওগাঁর মান্দা উপজেলার বাসিন্দা। তাৎক্ষণিকভাবে অন্য দুজনের পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
রাজশাহী নওহাটা ফায়ার স্টেশনের ওয়ার হাউস ইন্সপেক্টর আতাউর রহমান জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমান কোল্ড স্টোরের সামনে মাটিবাহী ট্রাক্টরের সঙ্গে দুটি মোটরসাইকেলের ত্রিমুখী সংর্ঘষ হয়। এতে একটি মোটরসাইকেলের আরোহী আব্দুল মান্নান ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান। আরেকটি মোটরসাইকেলে স্ত্রী ও কন্যাসন্তান নিয়ে আরেক ব্যক্তি ছিলেন। দুর্ঘটনায় তাদের কন্যাশিশু ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। তাদের রামেক হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মা মারা গেছেন ও বাবা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নগরীর পবা থানার উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। আর হাসপাতালে শিশুর মা মারা গেছেন। তাৎক্ষণিক মা ও শিশুর পরিচয় পাওয়া যায়নি। পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।
পড়ুন: গোপালগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৯
রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় মোটরসাইকেলের সাথে ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই যুবক নিহত হয়েছে। শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে উপজেলার বসন্তপুর এলাকায় রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার মোহাম্মদ আলী বকুলের ছেলে ইজাজ আহমেদ (২০) ও গোদাগাড়ী উপজেলার পিরিজপুর গ্রামের জাহিদ হোসেন (২০)।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, উপজেলার বসন্তপুর নাইস ভাটার কাছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী ট্রাকের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
তিনি জানান, লাশ দুটি আমাদের কাছে আছে, আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। তবে ট্রাকের চালক ও হেলপার পলাতক।
পড়ুন: ঈদের ছুটিতে সড়কে ৩৭৬ জনের প্রাণহানি: আরএসএফ
বগুড়ায় যাত্রীবাহী বাসচাপায় নিহত ২
জেলার শেরপুরে যাত্রীবাহী বাসচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সকাল ৭টায় উপজেলার সীমাবাড়ী-রানীরহাট আঞ্চলিক সড়কের জামনগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের নওশের আলীর ছেলে ফজর আলী খাজা (৪২) ও সুঘাট ইউনিয়নের সুঘাট মধ্যভাগ গ্রামের শরাফত আলীর ছেলে বেলাল হোসেন (৫২)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ফজর আলী চান্দাইকোনা বাজার থেকে ভবানীপুর গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য বেলাল হোসেনের মোটরসাইকেল ভাড়া নেয়। এরপর তারা দুজন মোটরসাইকেলে রওয়ানা হন। পথিমধ্যে ওই আঞ্চলিক সড়কটির জামনগর নামকস্থানে পৌঁছলে যাত্রীবাহী একটি বাস তাদের বহনকারী মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছার আগেই লাশ দুটি তাদের স্বজনরা নিয়ে গেছেন।
পড়ুন: ঈদের ছুটিতে সড়কে ৩৭৬ জনের প্রাণহানি: আরএসএফ
জয়পুরহাটে বাস-পিকআপের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৪
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে বাস ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে একজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার জয়পুরহাট-হিলি সড়কের বাগজানা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শরিফ রহমান সাগর পিকআপ ভ্যানের চালক ছিলেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে বাস-পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষের নিহত ৩
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাগজানা এলাকায় একটি পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ভ্যানচালক নিহত ও চারজন আহত হন।
আরও পড়ুন: রাজধানীর হানিফ ফ্লাইওভারে সড়ক দুর্ঘটনা যুবক নিহত
আহতদের উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
রাজশাহীতে ৯২ হাজার লিটার ভোজ্যতেল জব্দ, আটক ৫
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় চারটি গুদামে ৯২ হাজার ৬১৬ লিটার ভোজ্যতেল জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবারর বিকালে উপজেলার বানেশ্বর বাজার থেকে এসব তেল জব্দ করা হয়। এসময় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- ট্রাকচালক ফজলুর রহমান, বানেশ্বরে বাজারের সরকার এন্ড সন্সের মালিক বিকাশ সাহা, এন্তাজ স্টোরের মালিক এন্তাজ আলী, মেসার্স পাল এন্ড ব্রাদার্সের মালিক শৈলেন পাল ও রিমা স্টোরের মালিক রাজিব সাহা।
রাজশাহী জেলা পুলিশ, জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও পুঠিয়া থানা পুলিশ এ অভিযান চালায়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন জানান, সরকার এন্ড সন্স থেকে ৪৮ ব্যারেল সয়াবিন ও ২৬ ব্যারেল পামওয়েল, এন্তাজ স্টোর থেকে ২২ ব্যারেল সয়াবিন ও ১২০ ব্যারেল পাম, মেসার্স পাল এন্ড ব্রাদার্স থেকে তিন ব্যারেল সয়াবিন ও ১০০ ব্যারেল পাম, রিমা স্টোর থেকে ৪৮ ব্যারেল সয়াবিন ও ২৭ ব্যারেল পাম এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুরাতন বাজারের উদ্দেশে বোঝাই করা একটি ট্রাক থেকে ৬০ ব্যারেল পাম তেল জব্দ করা হয়েছে।
পড়ুন: রাজশাহীতে ২৭ হাজার লিটার ভোজ্যতেল জব্দ, আটক ১
প্রতিটি ব্যারেলে ২০৪ লিটার করে ভোজ্যতেল রয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ১২১ ব্যারেল সয়াবিন তেল ও ৩৩৩ ব্যারেল পাম তেল জব্দ করা হয়েছে। জব্দ করা মোট ৯২ হাজার ৬১৬ লিটার তেলের মধ্যে সয়াবিন ২৪ হাজার ৬৮৪ লিটার। আর পাম ৬৭ হাজার ৯৩২ লিটার।
তিনি বলেন, বেশি মুনাফার লোভে রোজার আগে থেকে এসব ব্যবসায়ীরা তেল মজুত করে রেখেছিলেন। তাঁরা তেলের ব্যবসার বৈধ কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তাই সব তেল জব্দ করা হয়েছে। ভেতরে তেলগুলো রেখে গুদাম সিলগালা করা হয়েছে। যে ট্রাকে তেল বোঝাই করা হয়েছিল সেটিও জব্দ করা হয়েছে।
এসপি আরও বলেন, আটক পাঁচজনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুঠিয়া থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। আর আদালতের অনুমতি নিয়ে জব্দ করা তেলগুলো ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে নায্যমূল্যে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করা হবে।