সিলেট
জৈন্তাপুরে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে ছেলে গ্রেপ্তার
সিলেটের জৈন্তাপুরে কথা কাটাকাটির জেরে ছেলের বিরুদ্ধে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (৩ জুন) রাত ৮ টার দিকে উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের আহমেদ নগর কালিছড়ি চিকনাগুল চা-বাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত চৈতন্য পাত্র (২২) নিহত সাধু পাত্রের (৬০) ছেলে।
চৈতন্য পাত্র মাদকাসক্ত বলে স্থানীয়রা জানায়।
আরও পড়ুন: নড়াইলে গ্রামপুলিশকে কুপিয়ে হত্যা
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ৮টার দিকে নিজের বসতবাড়িতে বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাবা ও ছেলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ছেলে চৈতন্য পাত্র দা-দিয়ে বৃদ্ধ বাবার মাথায় আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। এরপর স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় সাধু পাত্রকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যান। গভীর রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাধু পাত্র মারা যান।
ঘটনার পর রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে।
এ ব্যাপারে জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ রাতে ঘটনাস্থলে যান। স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে ঘাতক ছেলেকে আটক করে।
ঘটনায় ব্যবহৃত দা উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: নড়াইলে পল্লী চিকিৎসককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
হবিগঞ্জে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ৩
হবিগঞ্জে বাস ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ তিনজন নিহত হয়েছে। রবিবার (৪ জুন) সকালে শায়েস্তাগঞ্জ সড়কের সুদিয়াখলা এলাকায় প্রাইমারি স্কুলের সামনে ঘটনাটি ঘটে।
দুর্ঘটনায় আহত কয়েকজনকে পুলিশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৪
নিহতরা হলেন- চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে সিএনজি চালক রফিক মিয়া (৩৫), বানিয়াচং উপজেলার রঘু চৌধুরী পাড়ার আজির হুসেনের ছেলে জিয়াউল হক (৩৬) ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কাকাইলছেও এলাকার আব্দুল বারিকের ছেলে মুছা মিয়া (৬৪)।
তবে এলাকাবাসীর দাবি- উন্নয়ন কাজের জন্য সড়কে রাখা পাথরের কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানান, হবিগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী মর্ডান পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় বাসটি পার্শ্ববর্তী খাদে পড়ে যায়।
খবর পেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের লাশ উদ্ধার করেন।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক কামাল বলেন, সড়কে পাথর রাখার কারণে সিএনজি এবং বাস একই লেনে গিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
সুরতহাল শেষে লাশগুলো হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বাসচালক পালিয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু
পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত
সিলেট সিটি নির্বাচন: বিএনপির মেয়র প্রার্থীসহ ৪১ নেতাকর্মীকে শোকজ
আসন্ন সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় সিলেট বিএনপির ৪১ নেতাকর্মীকে শোকজ করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি।
এদের মধ্যে একজন মেয়র প্রার্থী এবং সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী চার জন রয়েছেন।
শনিবার (৩ জুন) বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী পৃথকভাবে এসব শোকজ নোটিশ ইস্যু করেছেন।
আরও পড়ুন: সিলেট সিটি নির্বাচন: ১১ মেয়র প্রার্থীসহ ৩৮৭ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল
এছাড়া শোকজে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না সেই মর্মে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে।
অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত শোকজ নোটিশে বলা হয়- বিগত ১৫ বছর ধরে অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপিসহ দেশপ্রেমিক জনগণ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে খালেদা জিয়া দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর ধরে কারাভোগ করছেন। নিপীড়ক সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা, নির্যাতন এবং প্রায় ৫০ লাখ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানি করছে। ইতোমধ্যে আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে গুম করে রাখা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, এমতাবস্থায়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এই অবৈধ সরকারের অধীনে কোনো প্রকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। অথচ আপনি দলের একজন সদস্য হয়ে ব্যক্তিস্বার্থ চিন্তা করে এই সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করেছেন।
সুতরাং কেন আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার কারণ দর্শিয়ে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে একটি লিখিত জবাব দলের কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দেওয়ার জন্য আপনাকে নির্দেশ প্রদান করা হলো।
সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী শোকজের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘নির্দিষ্ট সময়ে শোকজের সন্তোষজনক জবাব দিতে না পাড়লে দল উনাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে।’
আরও পড়ুন: সিলেট সিটি নির্বাচন: আ. লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
সিলেট সিটি নির্বাচন: দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে সরে দাঁড়ালেন আরিফ
সিলেটে ভবনের ছাদ থেকে পাইপ পড়ে সেনা সদস্য নিহত, আটক ৯
সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে স্টিলের পাইপ পড়ে পথচারী সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। এ সময় ৯ জনকে আটকের দাবি করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ল্যান্স কর্পোরাল দেলোয়াল হোসেন সেনাবাহিনীর ৫০ ফিল্ট রেজিমেন্ট আর্টিলারী, ১৭ ডিভিশন, সিলেটে কর্মরত। তার বাড়ি মেহেরপুর জেলার গাংনি থানাধীন জগিরগোফার রায়পুর গ্রামে। তিনি এক ছেলে সন্তানের জনক।
সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, দুর্ঘটনার সময় তিনি নগর ভবনের পার্শ্ববর্তী সিটি সুপার মার্কেটে ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের ১২ তলার ছাদ থেকে হঠাৎ করেই একটি স্টিলের পাইপ পাশের সিটি মার্কেটের ভিতরে ওই সেনা সদস্যের মাথায় এসে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে পাথর ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
এদিকে এ ঘটনায় নগর ভবনের নির্মাণ কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ৯ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম জানা যায়নি।
দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
তিনি বলেন, নগর ভবনের ১১ ও ১২ তলার নির্মাণ কাজ চলছে। শনিবার দুপুরে নির্মান কাজ চলাকালেই এই দুর্ঘটনা ঘটে।
মেয়র বলেন, অনাকাঙ্খিত এই ঘটনাটি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া আর যাতে এরকম ঘটনা না ঘটে সে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই নির্মাণ কাজের জন্য নগর ভবনের নির্মাণকাজে জড়িত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের লাশ ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে, সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে স্টিলের পাইপ পড়ে সেনা সদস্য নিহতের ঘটনা তদন্তে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। কমিটিকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমানকে প্রধান করে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- গণপূর্ত বিভাগ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী রিপন কুমার রায়, সিসিকের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবর, শিক্ষা ও প্রকৌশল অধিদপ্তর সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল হাকিম, সিসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান খান, সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) রুহুল আলম ও সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী রাজি উদ্দিন খান।
শনিবার সন্ধ্যায় তদন্ত কমিটি গঠনের তথ্য জানিয়ে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, এ ধরণের ঘটনায় আমি মর্মাহত। এ ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। ৭২ ঘন্টার মধ্যে তারা প্রতিবেদন জমা দিবেন। আমি সেনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলেছি। তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী এ বিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ছুরিকাঘাতে সবজি ব্যবসায়ী খুন
সিলেটে পাথর ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেট নগরীর লালদিঘির পাড় এলাকা থেকে পাথর ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকালে মহানগরীর লালাদিঘির পাড়ে অবস্থিত নিলিমা ভবনের ছয় তলায় লাশটি পাওয়া যায়।
নিহত ব্যবসায়ী ইন্দ্র সিংহ স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বামীসহ পরিবারের সদস্যরা পলাতক
সিলেট মহানগর পুলিশের লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) রাশেদ ফজল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বিকালের দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে লাশটি উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: সিলেটে পুকুর থেকে ২ শিশুর লাশ উদ্ধার
যশোরের জেল পুলিশের স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেটে ছুরিকাঘাতে সবজি ব্যবসায়ী খুন
সিলেট নগরীর ধোপাদিঘীর পাড় এলাকায় ওসমানী শিশুপার্কের সামনে ছিনতাইকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এক সবজি ব্যবসায়ী খুন হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত গোবিন্দ দাস (৩৩) সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার গৌরাদ্দ দাসের ছেলে। তিনি সিলেট নগরীর আখালিয়া নয়াবাজারের রাংকুর কলোনিতে ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতেন।
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১ জুন) ভোর ৫টার দিকে গোবিন্দ দাস নিজ বাসা থেকে সোবহানীঘাট কাঁচাবাজারের পাইকারি আড়ত থেকে ভ্যানে প্রতিদিনের মতো সবজি কিনতে যাচ্ছিলেন।
নগরীর ধোপাদিঘীর পাড় শিশুপার্কের সামনে যাওয়া মাত্র ছিনতাইকারীরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পরে স্থানীয়রা তার লাশ উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
এ ব্যাপারে ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তার লাশ বর্তমানে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
সাভারে ছুরিকাঘাতে ডিবির এএসআই গুরুতর আহত
সিলেটে ৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সিলেটের ওসমানীনগরে আবদাল মিয়া (২৪) নামের এক মাইক্রোবাসচালককে হত্যা মামলায় তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩১ মে) সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নূরে আলম ভূঁইয়া এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার কাগজপুর গ্রামের মৃত রফিক মিয়ার ছেলে ডালিম মিয়া, কানাইঘাটের ঝিংগাবাড়ি এলাকার রহমত উল্ল্যার ছেলে মো. দুলাল মিয়া ও সিলেটের বালাগঞ্জ জামালপুরের তোরাব আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেন ওরফে আলীউর রহমান লিখন।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে ছাত্রলীগ কর্মী হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
রায়ে তিন আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, পেনাল কোডের ২০১ ধারায় আরও ৭ বছরের কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৩৭৯ ধারায় তিন আসামিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া মামলার আরেক আসামি আবু তালেব ওরফে ল্যাংড়া তালেবকে হত্যা মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. জুবায়ের বখত গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বরাত দিয়ে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. জুবায়ের বখত বলেন, ২০১২ সালের ১৯ জুলাই ওসমানীনগরের কাগজপুর গ্রামের কবীর মিয়ার ছেলে আবদাল মিয়াকে হত্যা করা হয়। হত্যার আগে পরিকল্পিতভাবে দণ্ডিত আসামি ডালিম মিয়া তাকে গাড়ি বিক্রি করে দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে ডেকে নেন। তার মাইক্রোবাসটি (লাইটেস) বিক্রির জন্য বের করে আনলেও সেটি ছিনতাই করে তাকে হত্যা করা হয়।
আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর দীর্ঘ শুনানিতে ২৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন।
মামলায় আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন, অ্যাডভোকেট মোতাহির আলী ও সৈয়দ তারেক আহমদ।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ২৬ বছর পর হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন
ঝিনাইদহে হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন
সুনামগঞ্জে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
সুনামগঞ্জের শাল্লায় পুকুরের পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৯ মে) বিকালে উপজেলার ২নং হবিবপুর ইউনিয়নের হবিবপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
শিশু সূর্য্য দাস (২) একই গ্রামের সাধু দাসের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২৯ মে) বিকালে শিশুটি বাড়ির উঠানে খেলা করার এক পর্যায়ে বাড়ির পাশে পুকুরের দিকে গিয়ে হঠাৎ পানিতে পরে নিখোঁজ হয়ে যায়। বাড়ির লোকজন অনেক খোজাঁখুজি করে না পেয়ে পরবর্তীতে পুকুরে নেমে পানির নীচে শিশুটির লাশ পায়ে লাগে। পরে লাশটি তুলে আনা হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাটি শাল্লা থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়।
এ ব্যাপারে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, বিষয়টির খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে বালতির পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
মাদারীপুরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
জামালগঞ্জে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খুনের অভিযোগ
সুনামগঞ্জের-জামালগঞ্জে জায়গা নিয়ে বিরোধের জের ধরে বড় ভাইয়ের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ছোট ভাই খুন হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাতে জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের ধানুয়াখালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নুরু মিয়া মৃত সুলতু মিয়ার ছোট ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায় সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নুরু মিয়া সঙ্গে বড় ভাই তাজুল ইসলামের স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের কথা-কাটাকাটি হয়। কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে নূর মিয়াকে শাবল দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করে।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাতেই তাকে জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসা হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জামালগঞ্জ থানার পরিদর্শক (এসআই) সৌরভ দাস জানান, জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাইয়ের হাতে ভাই নিহতের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জড়িতদের ধরতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে জমি বিরোধের জেরে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খুন
লালমনিরহাটে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খুন
সিলেটে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫
সিলেটের কানাইঘাটে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পাঁচ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার পুরানফৌদ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। সোমবার উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার যুবকেরা হলেন- উপজেলার নন্দিরাই গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে দুদু মিয়া (৩৬), বীরদল ভাড়ারীফৌদ গ্রামের মৃত মঈন উদ্দিনের ছেলে হেলাল আহমদ (৩৮), বড়দেশ সরদারী পাড়া গ্রামের বিলাল আহমদের ছেলে ফরহাদ (৩৫), বীরদল আগফৌদ গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে আব্দুল করিম ও বীরদল ছোটফৌদ গ্রামের হাবিব আলীর ছেলে জুবায়ের আহমদ (২৪)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আনুমানিক ২০ দিন পূর্বে গ্রেপ্তার আসামি দুদু মিয়ার সঙ্গে কানাইঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভুক্তভোগীর পরিচয় হয়। সেই সুবাদে দুদু মিয়ার সঙ্গে ওই গৃহবধূর প্রায়ই ফোনে কথাবার্তা হতো। ভুক্তভোগীর ৯ মাসের শিশু কন্যা অসুস্থ হলে দুদু মিয়া তাকে পার্শ্ববর্তী জকিগঞ্জ উপজেলার ফুটিজুরি গ্রামের এক কবিরাজের কাছে নিয়ে যেতে বলে। পরবর্তীতে মেয়ের চিকিৎসার নাম করে রবিবার বিকাল ৩টার দিকে দুদু মিয়া ভুক্তভোগীকে তার বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। কিন্তু কবিরাজের কাছে না নিয়ে কৌশলে দুদু মিয়া কানাইঘাটের বীরদল বাজার এলাকায় ওই গৃহবধূকে নিয়ে ঘুরতে থাকে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নারী ইন্সুরেন্স কর্মী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার, গ্রেপ্তার ৩
এরপর পুরানফৌদ গ্রামের পিপি হাবিব আলীর নির্জন পুকুরঘাটে তুলে নিয়ে রাত ১১টার দিকে হেলাল ও ফরহাদ ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করে।
পরে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে স্থানীয়দের সহায়তায় সোমবার দিনভর অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণে সঙ্গে জড়িতসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম দস্তগীর আহমেদ বলেন, ‘ভুক্তভোগীকে পুলিশ হেফাজতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।’
ওসি বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামিরা জানায়, ধর্ষণে সরাসরি জড়িত হেলাল আহমদ ও ফরহাদ আহমদ। গ্রেপ্তার অন্য আসামিরা ধর্ষণে সহায়তা ও ধর্ষিতাকে ফুসলিয়ে অপহরণে জড়িত ছিল।’
আরও পড়ুন: নাটোরে কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড