%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95
ইউ-ইন্দো-প্যাসিফিক ফোরাম: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও সবুজায়নে শক্তিশালী সহযোগিতার প্রস্তাব পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
টেকসই ভবিষ্যৎ ও বিশ্বব্যাপী সর্বজনীন সমৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ইন্দো-প্যাসিফিকের দেশগুলোর মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করতে সহযোগিতা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। একই সঙ্গে প্রকৃতিবান্ধব উন্নয়নে সবুজ রূপান্তরের বিষয়েও জোর দিয়েছেন মন্ত্রী।
শুক্রবার বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে চলমান তৃতীয় ইইউ-ইন্দো-প্যাসিফিক মিনিস্টেরিয়াল ফোরামে 'দ্য গ্রিন ট্রানজিশন- পাটনারিং ফর এ সাসটেইনেবল ফিউচার' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তৃতাকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাস-জালিয়াতি ও দেশবিরোধী অপপ্রচারই বিএনপির রাজনীতির উপাদান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান তার বক্তৃতায় জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন, পরিবর্তনে অভিযোজন এবং সবুজ রূপান্তরের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, পরিচ্ছন্ন জ্বালানি আহরণ ও নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিশেষ জোর দিয়েছে।
পরিবেশবান্ধব পাট ও সবুজ হাইড্রোজেন ব্যবহার এগিয়ে নিতে এ সংক্রান্ত গবেষণা, উদ্ভাবন ও বিনিয়োগ সহায়তার আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মারোস শেফকোভিচ এবং পূর্ব তিমুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেন্দিতো ফ্রেইতাসের পরিচালনায় আলোচনায় ভিয়েতনাম ও স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বক্তারা অংশ নেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশ এবং আফ্রিকার পূর্ব ও দক্ষিণ উপকূল থেকে আরব উপদ্বীপ এবং এশিয়া হয়ে প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপ রাজ্যগুলো পর্যন্ত বিস্তৃত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের অর্ধশতাধিক দেশের এই ফোরামে প্রায় শতাধিক প্রতিনিধি যোগ দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ব্রাসেলসে ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরামে শুক্রবার যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, বিদ্যমান সম্পর্ক বিস্তৃতি ও বিনিয়োগের প্রত্যাশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিং: সাংবাদিকতার আড়ালে আবারও গণমাধ্যমের স্বীকৃতির অপব্যবহার
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করার অজুহাতে বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক এক প্রেস কর্মকর্তা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত দিয়ে একটি মিথ্যা উদ্ধৃতি দিয়েছেন।
শিক্ষাবিদদের একটি অংশ বলছে, এ ধরনের সংবাদ সম্মেলনে সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ের প্রক্রিয়ার অনুপস্থিতির বিষয়টিই তুলে ধরেছে এ ঘটনা।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের একটি ব্রিফিংয়ে সাংবাদিক হিসেবে প্রশ্ন করার আগে মুশফিকুল ফজল আনসারি দুটি অনুচ্ছেদের পর্যবেক্ষণ দিয়েছিলেন। সাংবাদিকরা মনে করেন, ওই পর্যবেক্ষণে বস্তুনিষ্ঠতার অভাব রয়েছে এবং সম্পূর্ণ মিথ্যা। এটি যেকোনো পেশাদার সাংবাদিকেরই এড়ানো উচিত।
আনসারি বলেন, 'শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার জন্য নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপের বিষয়ও প্রকাশ পেয়েছে। জয়ের জন্য ভারতের সমর্থন নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাস্তবে বাংলাদেশের নির্বাচনে যেসব দেশ জনগণের ম্যান্ডেট মেনে নিয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু তাদের স্বীকৃতি দিয়েছেন।’
সিনিয়র সাংবাদিকরা আরও বলেছেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতীয় হস্তক্ষেপের অভিযোগকে বিশ্বাসযোগ্যতা দেওয়ার চেষ্টা একটি পুরোনো তৎপরতা। এটিকে কোনোভাবেই সাংবাদিকতা বলা যায় না, কারণ তিনি এই প্রশ্নগুলোর জবাবও চেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে ১৩৯ অনিয়মিত বাংলাদেশির প্রত্যাবাসন
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- তিনি যে পোর্টালটি প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন, তা দীর্ঘদিন ধরে বিরোধী সমর্থিত প্রচারণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ মিথ্যা তথ্যের ভ্যানগার্ড হিসেবে কুখ্যাতি অর্জন করেছে।
জাস্টনিউজ নামে পরিচিত ওই পোর্টালের বিষয়বস্তু মিথ্যা বিবরণের আরেকটি উদাহরণ এটি। অগ্নিসংযোগকারীদের রক্ষা করার চেষ্টা, ত্রুটিপূর্ণ প্রতিবেদন ও তারেক রহমানকে তার অপরাধ থেকে অব্যাহতি দিতে তারা বিভিণ্ন প্রতিবেদন করে নিজেদের বিশ্বাসযোগ্য করার চেষ্টা করে।
এর আগেও, আনসারি প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে মিথ্যা উদ্ধৃতি দিয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। তখন শিক্ষাবিদরা মিথ্যার উপর ভিত্তি করে এবং রাজনৈতিক এজেন্ডায় চালিত হয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন।
অন্যদিকে, সেই আনসারিকে স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তাদের মিথ্যা দোষারোপ করতে এবং সরকারের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে দাবি করতে দেখা যায়। যা বিরোধীরা তাদের অগ্নিসংযোগের সহিংস কাজ এবং নির্বাচনি প্রচার বর্জনের মতো অগণতান্ত্রিক দাবির ন্যায্যতা দেয়।
নির্বাচনের আগে গণমাধ্যমের মালিক ও সাংবাদিকদের 'বিরোধীদের পক্ষে' কাজ করানোর উদ্দেশ্যে আনসারি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক ব্রিফিংয়ে 'স্বাধীন গণমাধ্যম আউটলেটগুলোকে' 'সরকারপন্থী' হিসেবে তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসএফ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
অধ্যাপক তাবিউর রহমানের মতে, এই কৌশলটি খুবই অশুভ।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তার সামনে তিনি সরকারের ভুল উদ্ধৃতি দিয়েছিলেন এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টের কক্ষ থেকে বের হয়ে লোকটিকে মার্কিন কর্মকর্তাদের ভুল উদ্ধৃতি দিয়ে মিথ্যা প্রচার করতে দেখা যায়।
এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে কোনোভাবেই সাংবাদিকতা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা যায় না বলে দাবি তাবিউরের।
তাবিউর রহমান বলেন, 'অগ্নিসন্ত্রাসে ইন্ধন জোগাতে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের লম্বা লম্বা দাবি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার সুযোগলাভের এ ধরনের নির্লজ্জ অপব্যবহার অব্যাহত থাকা উচিত নয়।’
আনসারির অতীতের একের পর এক মিথ্যা বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক গোলাম রহমান বলেন, 'এ ধরনের প্রচারণাকে সাংবাদিকতার কাজ হিসেবে গণ্য করা উচিত নয়- কেবল কর্মীরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা চালাতে পারে। এ ধরনের হুমকির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য স্বাধীন সাংবাদিকতা একটি ভালো হাতিয়ার।’
আরও পড়ুন: ব্রাসেলসে ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরামে শুক্রবার যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ব্রাসেলসে ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরামে শুক্রবার যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অনুষ্ঠেয় তৃতীয় ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরামে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রাসেলস সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতিবিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি এবং ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোসেপ বোরেল এবং সংকট ব্যবস্থাপনাবিষয়ক ইউরোপীয় কমিশনার জেনাজ লেনারসিকের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
১ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি লুক্সেমবার্গ সফরকালে তিনি লুক্সেমবার্গের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতি কৃতজ্ঞ: ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত
এছাড়া বেলজিয়াম, অস্ট্রিয়া, লিথুয়ানিয়া, চেক রিপাবলিক, হাঙ্গেরি, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল, ভিয়েতনাম ও সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রাসেলসের উদ্দেশে বুধবার রাতে ঢাকা ত্যাগ করেন।
সম্প্রতি উগান্ডায় অনুষ্ঠিত ন্যাম সম্মেলনের ফাঁকে দুই দিনে ১৭টি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কথা স্মরণ করে বুধবার রওনা হওয়ার আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'দেখা যাক আমরা কতগুলো বৈঠক করতে পারি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরবেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতিবিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি এবং ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোসেপ বোরেল এই ফোরামের সভাপতিত্ব করবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-উজবেকিস্তানের মধ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষায় সহযোগিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ
ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মিনিস্ট্রিয়াল ফোরাম ইইউ এবং এর সদস্য দেশগুলোকে পশ্চিমে আফ্রিকার পূর্ব উপকূল থেকে পূর্বে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ পর্যন্ত দেশগুলোর সঙ্গে একত্রিত করবে।
ইইউ ও ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদাররা উভয় অঞ্চলকে প্রভাবিত করে এমন জটিল অর্থনৈতিক, পরিবেশগত, ভূ-রাজনৈতিক ও সুরক্ষা চ্যালেঞ্জগুলোর ক্রমবর্ধমান সংখ্যা কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করবেন।
এতে একটি উদ্বোধনী অধিবেশন, তিনটি গোলটেবিল আলোচনা এবং একটি সমাপনী অধিবেশন অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
ব্রাসেলস ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরামটি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্যারিসে এবং ২০২৩ সালের মে মাসে স্টকহোমে অনুষ্ঠিত পূর্ববর্তী দুটি ফোরামের সাফল্যের উপর ভিত্তি করে আয়োজন করা হয়েছে।
সংলাপের জন্য এটি একটি প্ল্যাটফর্ম। এই অঞ্চলের ভবিষ্যতের জন্য সম্মিলিত দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি, সহযোগিতা বৃদ্ধি ও সংহতি বাড়াতে প্রায়োগিক উপায়গুলো চিহ্নিত করাই এ প্লাটফর্মের উদ্দেশ্য ।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে ১৩৯ অনিয়মিত বাংলাদেশির প্রত্যাবাসন
ইউরোপ ও ইন্দো-প্যাসিফিক অত্যন্ত আন্তঃসংযুক্ত এবং পরস্পর নির্ভরশীল, এ কারণেই ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরাম ইউরোপ এবং ইন্দো-প্যাসিফিকের মধ্যে সংলাপ ও সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করে।
অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক উভয় দিক থেকেই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের কৌশলগত গুরুত্ব রয়েছে।
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সহযোগিতার জন্য ২০২১ সালের ইইউ কৌশলটি নির্ধারণ করে যে কীভাবে ইইউ এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা, সুরক্ষা ও সমৃদ্ধিতে অবদান রাখতে ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারদের পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়িয়ে তুলছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতে, এটি স্পষ্ট যে সহযোগিতা এই চ্যালেঞ্জগুলো কার্যকরভাবে মোকাবিলা, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং ঝুঁকি ও বাধাগুলোর স্থিতিস্থাপকতা জোরদার করার মূল চাবিকাঠি।
বিশেষ করে ডিজিটাল অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য উদ্ভাবন ও প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসএফ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসএফ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সাম্প্রতিক সীমান্ত হত্যার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে সীমান্ত সমস্যা সমাধানের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে বিএসএফ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) একযোগে কাজ করবে।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের আমন্ত্রণে তার প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরের অংশ হিসেবে ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি ভারত সফর করবেন।
বৈঠকে তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে বলে তারা আশা করছেন। তিস্তা নিয়ে চীনের প্রস্তাবিত প্রকল্পের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে কিনা তা এই মুহূর্তে এভাবে বলা যাচ্ছে না। যদি ভারত এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কিছু জানতে চায়, তখন আমরা বিষয়টি ভেবে দেখব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরও জোরদার করতে দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্য, যোগাযোগ, জ্বালানি সহযোগিতা ও জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগসহ পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হবে।
রাখাইন পরিস্থিতি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাখাইনে চলমান সংঘাত মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় । তবে এই সংঘাতে বাংলাদেশ বা আমাদের নাগরিক যেন কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং নতুন অনুপ্রবেশ না ঘটে সে বিষয়ে বিশেষভাবে নজর রাখা হচ্ছে। মিয়ানমারে আমাদের দুইটি কুটনৈতিক মিশন রয়েছে। সিটুয়্যে তে আমাদের মিশন এবং নেপিদোতে (ইয়াংগুনে) দুতাবাস বিষয়টির সার্বিক পর্যবেক্ষণ এবং প্রয়োজনে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতি এবং সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে সরকারের সব কর্তৃপক্ষ এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ঢাকাস্থ মিয়ানমারের দূতাবাসের সঙ্গে নিবিড় ও তড়িৎ যোগাযোগ রক্ষা করছে মন্ত্রণালয়। এছাড়াও আমাদের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সঙ্গে তাদের মিয়ানমারের প্রতিপক্ষের যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার বৈঠক হবে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সম্প্রতি বলেন, 'এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।’
জয়শঙ্কর এর আগে পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে নয়াদিল্লি সফরের আমন্ত্রণ জানান।
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে এ আমন্ত্রণ জানান।
ন্যাম সম্মেলনে যোগ দিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত মাসে উগান্ডায় বহুপাক্ষিক সফর শুরু করেন। তৃতীয় ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে তিনি এখন বেলজিয়ামের ব্রাসেলস সফর করছেন।
লিবিয়া থেকে ১৩৯ অনিয়মিত বাংলাদেশির প্রত্যাবাসন
লিবিয়া থেকে ১৩৯ জন অনিয়মিত বাংলাদেশিকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের চেষ্টা ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় দেশটির বেনগাজি শহরের বিভিন্ন স্থানে আটক ১৩৯ জন অনিয়মিত বাংলাদেশিকে আজ (১ ফেব্রুয়ারি) ভোর সোয়া ৪টায় বুরাক এয়ারের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে তাদের ঢাকায় প্রত্যাবাসন করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০২৩ সালের জুলাই থেকে এ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ২৪৫ জন বাংলাদেশি নাগরিককে লিবিয়া থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তারা ত্রিপোলি ও বেনগাজি শহরের বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারসহ বিচ্ছিন্ন স্থানে আটক ছিলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইওএমের কর্মকর্তারা আজ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাদের অভ্যর্থনা জানান। বিমানবন্দরে আইওএমের পক্ষ থেকে তাদের প্রত্যেককে ৬ হাজার টাকা ও কিছু খাদ্যসমগ্রী উপহার দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ১৪০ বাংলাদেশি
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (কল্যাণ) মোস্তফা জামিল খান ফিরে আসা অভিবাসীদের খোঁজখবর নেন। তিনি অভিবাসীদের লিবিয়াতে তাদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা বাড়িতে আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেন।
কেউ যেন টাকা খরচ করে বা দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধ পথে বিদেশে পা না বাড়ায় সে বিষয়ে পরিচিত সবাইকে সচেতন করতে অভিবাসীদের অনুরোধও করেন তিনি।
লিবিয়ায় বিপদগ্রস্তসহ বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে দেশে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করতে বাংলাদেশ দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইওএম একসঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ১৩৬ বাংলাদেশি
৫ ডিসেম্বর লিবিয়া থেকে ফিরবেন ২৬৩ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতি কৃতজ্ঞ: ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান বলেছেন, আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের (আইসিজে) সাম্প্রতিক রায় ৭৫ বছরের সংগ্রামের পর আশাবাদের অনুভূতি দিয়েছে। এর উপর ভিত্তি করেই তাদের কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিক্যাব টক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘এগিয়ে যাওয়ার এটিই প্রথম ধাপ… আমরা এর ওপর ভিত্তি করে কাজ করতে পারি।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার ভূমিকার জন্য তারা কৃতজ্ঞ।
আইসিজের কার্যক্রমে দক্ষিণ আফ্রিকা যুক্তি উপস্থাপনে বলেছে- ইসরায়েল গাজায় সামরিক আক্রমণের মাধ্যমে জেনোসাইড কনভেনশনের অধীনে তাদের বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করেছে। যার শুরু হয় ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর। যে ঘটনায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত এবং আরও অনেকে আহত হন। ওই হামলায় প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি করা হয়।
আরও পড়ুন: কাম্পালায় ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাছান মাহমুদের সাক্ষাৎ
চলতি মাসের শুরুর দিকে মৌখিক শুনানির সময় মামলাটি খারিজ করতে আইসিজের বিচারকদের প্রতি আবেদন করেছিল ইসরায়েল। যে প্রস্তাব গত শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) প্রত্যাখ্যান করা হয়।
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা আজ বলেছেন, আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের যুগান্তকারী এই রায় গাজার বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় আশার আলো দেখাচ্ছে। ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়, ধ্বংসযজ্ঞ, গণহত্যার শিকার এবং আহত হওয়া পাশাপাশি অপূরণীয় মানসিক আঘাত সহ্য করছে গাজাবাসী।
তারা আরও বলেন, ‘এই রায় ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায়বিচারের জন্য কয়েক দশকের দীর্ঘ সংগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।’
আইসিজে মনে করছে, ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড গণহত্যার শামিল হতে পারে। ৬টি অস্থায়ী ব্যবস্থা জারি করা হয়েছে। সেগুলো হলো- গণহত্যার উসকানি প্রতিরোধ ও শাস্তি দেওয়া, গাজায় অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনিদের কাছে সহায়তা ও পরিষেবা পৌঁছানো নিশ্চিত করা এবং গাজায় সংঘটিত অপরাধের প্রমাণ সংরক্ষণসহ গণহত্যা কর্মকাণ্ড রোধে ইসরায়েলকে তার ক্ষমতার মধ্যে সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
আরও পড়ুন: ন্যাম সম্মেলন: ফিলিস্তিনিদের সমর্থন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
তারা বলেন, ‘আমরা আদালতের সংক্ষিপ্ত দুই সপ্তাহের আলোচনায় প্রদর্শিত গুরুত্ব অনুভব করি। কারণ ইসরায়েলি বাহিনী প্রতিদিন নারী ও শিশুসহ শত শত ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে। এর ধারাবাহিকতায় গাজায় ৩ মাসে ২৬ হাজার ৭৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা তাদের মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশের বেশি।’
বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বলেন, এটি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি সাহসী পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, ইসরাইল অপরাধ ও গণহত্যা করেছে।
রাষ্ট্রদূত ইউসুফ বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সমাধান খুঁজে বের করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছেন, তবে এই ‘কঠোর পরিশ্রম আরও আগে দেখানো উচিৎ ছিল’।
তিনি বলেন, ‘ইস্যুটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়ে কথা বলুন।’
মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ঐক্যের অভাব নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে তিনি ইউরোপের ঐক্যের কথাও উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে ৯ বছর অবস্থানকালে তার নিজেকে কখনো শরণার্থী মনে হয়নি। কারণ এখানকার মানুষের কাছ থেকে তিনি সবসময় উষ্ণতা ও ভালোবাসা পেয়েছেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডিক্যাব সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু।
আরও পড়ুন: এই বড়দিনে ফিলিস্তিনি খ্রিস্টানদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি: মোমেন
বাংলাদেশ-উজবেকিস্তানের মধ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষায় সহযোগিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ
উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বুধবার (৩১ জানুয়ারি) উজবেকিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আসিলবেগ খুদাইরভের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রদূত ড. ইসলাম স্বাস্থ্য সেবা ও শিক্ষার ওপর আলোকপাত করে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ, শিশু ও মাতৃ মৃত্যুহার কমানো, কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের গৃহীত উদ্যোগ, পদক্ষেপ ও অর্জন সমূহের বর্ণনা করেন।
ওষুধ শিল্পে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা, সাফল্য ও স্বীকৃতির উল্লেখ করে এ খাতে বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা রয়েছে বলে রাষ্ট্রদূত যোগ করেন।
বাংলাদেশের চিকিৎসক ও নার্সদের মেধা, দক্ষতা ও যোগ্যতার বর্ণনা দিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রয়োজনের আলোকে উজবেকিস্তানের স্বাস্থ্য সেবার অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিতে তারা কার্যকরী অবদান রাখতে পারেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনবল নিতে আগ্রহী মঙ্গোলিয়া: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
তিনি স্বাস্থ্য শিক্ষা পরিসরে দু’দেশের মধ্যেকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগকে আরও নিবিড় ও অর্থবহ করার ওপর জোর গুরুত্বারোপ করেন।
উজবেকিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যেকার ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বন্ধনের চিত্র তুলে ধরে স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা সম্প্রসারণের তাগিদ দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উজবেকিস্তান তার চাহিদার সিংহভাগই মেটায় আমদানিকৃত ওষুধ থেকে উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশ থেকে ওষুধ আমদানির ক্ষেত্রে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন।
বাংলাদেশের চিকিৎসকদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা, বিশেষ করে হৃদরোগ ও স্নায়ুবিজ্ঞান বিষয়ে উজবেকিস্তানের জন্য উপকারী হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
দু’দেশের স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিশেষজ্ঞ ও গবেষক পর্যায়ে সফর বিনিময়ের উপর তিনি বিশেষভাবে জোর দেন।
আগামী দিনে বাংলাদেশ-উজবেকিস্তান সম্পর্কে, বিশেষ করে স্বাস্থ্য সেবা ও শিক্ষা ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা ও গতি যোগ হবার প্রত্যাশা প্রকাশ করার মধ্য দিয়ে বৈঠকের সমাপ্তি হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপির গয়েশ্বরের অভিযোগ নাকোচ করলেন রুশ রাষ্ট্রদূত
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, বিদ্যমান সম্পর্ক বিস্তৃতি ও বিনিয়োগের প্রত্যাশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনবল নিতে আগ্রহী মঙ্গোলিয়া: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
মঙ্গোলিয়া ডাক্তার-নার্স এবং ইঞ্জিনিয়ারসহ বিভিন্ন খাতে দক্ষ জনবল নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অনেক দক্ষ জনবল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। বিদেশি শ্রম বাজারে বাংলাদেশের শ্রমিকদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সিআইএস-বিসিসিআইকে একযোগে কাজের আহ্বান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর
মঙ্গোলিয়ার রাষ্ট্রদূত ডাক্তার-নার্স, ইঞ্জিনিয়ার এবং কন্সট্রাকশন, কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে জনবল নেওয়ার যে আগ্রহ প্রকাশ করায় দ্রুতই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন তিনি।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মঙ্গোলিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত গানবোল্ড দামবাজাভ বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, মঙ্গোলিয়া দেশটির দ্বিতীয় ভাষা ইংরেজি ঘোষণা করায় ইংরেজিতে দক্ষ জনবলের বড় চাহিদা রয়েছে বলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করলে তিনি বাংলাদেশ থেকে এ ভাষায় দক্ষ শিক্ষার্থী নেওয়ার আহ্বান জানান।
এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ইংরেজিতে অসংখ্য গ্রাজুয়েট রয়েছে যারা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ যেমন-আইএলটিএস, টোফেল, জিআরই করে নিজেদের দক্ষ করে তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন: দেশের রপ্তানিযোগ্য পণ্যের নতুন বাজার খোঁজার নির্দেশ বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর
তিনি বলেন, মঙ্গোলিয়া সরকার বাংলাদেশ থেকে এ ভাষায় দক্ষ শিক্ষার্থীদের সে দেশের স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে মঙ্গোলিয়ার সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ তৈরি পোশাকসহ নানা পণ্য পৃথিবীর অনেক দেশে রপ্তানি করে থাকে। সরকার পাটজাত ও চামড়াজাত পণ্য এবং হস্তশিল্পকে বর্ষপণ্য ঘোষণা করে ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যালসের বিশ্বব্যাপী বাজার সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গোলিয়া সরকারকেও বাংলাদেশ থেকে ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্য আমদানি করার আহ্বান জানান।
বৈঠককালে রাষ্ট্রদূত গানবোল্ড দামবাজাভ জানান, মঙ্গোলিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি প্লাস সুবিধাভোগী দেশ এবং জাপানের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্বের চুক্তি রয়েছে।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, এছাড়া চীন এবং রাশিয়ার সঙ্গেও অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে অনুকূল সম্পর্ক বিদ্যমান। তাই বাংলাদেশ মঙ্গোলিয়ার সঙ্গে বিনিয়োগসহ বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে পারে।
আরও পড়ুন: প্রতিটি ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতা-জবাবদিহি আনার চেষ্টা করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, বিদ্যমান সম্পর্ক বিস্তৃতি ও বিনিয়োগের প্রত্যাশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র অনুসন্ধানে বাংলাদেশ ও রাশিয়া অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধিসহ সব ক্ষেত্রে সম্পর্ক গভীর করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যানতিতস্কির সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।
বৈঠক শেষে হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা বাণিজ্য সুবিধা সম্প্রসারণ এবং বাংলাদেশে আরও রাশিয়ান বিনিয়োগ বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি।’
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত এবং বিমসটেক মহাসচিবের সাক্ষাৎ
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাশিয়ার ভূমিকা এবং বাংলাদেশের পুনর্গঠন প্রচেষ্টায় রাশিয়ার সমর্থনের কথাও স্মরণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র (সোভিয়েত ইউনিয়ন) বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল এবং বাংলাদেশ সৃষ্টির পথে আন্তর্জাতিক চাপ ও বাধাকে রুখে দিয়েছিল।
১৯৭২ সালের ২৫ জানুয়ারি সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম কয়েকটি দেশের মধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়ন অন্যতম।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই সোভিয়েত ইউনিয়ন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির পুনর্গঠন প্রচেষ্টায় সর্বাত্মক সহযোগিতা করে। এটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন এবং অবশেষে জাতিসংঘে যোগদানে বাংলাদেশকে তার মূল্যবান সহায়তা করেছিল।
হাছান মাহমুদ বলেন, উভয় পক্ষ কিছু বিচারাধীন সমঝোতা স্মারক নিয়ে আলোচনা করেছে এবং দুই দেশের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সহযোগিতার সমঝোতা স্মারক ত্বরান্বিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান কানেক্টিভিটির প্রশংসা জয়শঙ্করের
রুশ মুদ্রার বাণিজ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমরা যদি কয়েকটি দেশের সঙ্গে এটি করতে পারি, তাহলে নির্দিষ্ট কিছু মুদ্রার ওপর আমাদের নির্ভরতা কমে আসবে। এটা শুধু রাশিয়ার সঙ্গে নয়, যেকোনো দেশের সঙ্গেই। এটা আমাদের অর্থনীতির জন্য সহায়ক হবে।’
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, কারিগরি খাতে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছেন; সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান। 'আমাদের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে'
তিনি বলেন, জ্বালানি ও খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও দুই দেশ কাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বাংলাদেশের নাগরিকদের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত বলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) যে অভিযোগ করেছে তা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত।
‘আমি বুঝতে পারি যে পছন্দটি আপনার লোকেরা নিয়েছিল। আমরা কোনো দেশের রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করি না, বিশেষ করে বন্ধুপ্রতিম বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম দেশে। এটা এক ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য বা মিথ্যা তথ্য। ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে ৪১ শতাংশের বেশি ভোটার ভোট দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা বিশ্বাস করবেন না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের দাবির বিষয়ে এক সাংবাদিকের অনুসন্ধানের জবাবে এই বিবৃতি দেওয়া হয়।
গয়েশ্বর বলেছিলেন যে, বর্তমান সরকার বাংলাদেশী জনগণ দ্বারা নির্বাচিত হয়নি বরং এর পরিবর্তে ‘বিদেশি শক্তির ওপর ভর করে প্রতিষ্ঠিত’, বিশেষ করে ভারত, চীন এবং রাশিয়ার নাম উল্লেখ করেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গ্রেপ্তারদের বিষয়ে যা বলল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত জোর দিয়ে বলেন, গত জাতীয় নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রায় ৪১ শতাংশ ভোটার অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি বলেন, রাশিয়া অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি বজায় রাখে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির নীতি 'সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়' উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসরায়েলকে বাদ দিয়ে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের শক্তিশালী কূটনৈতিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, 'আমরা ভারত, চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ প্রধান বিশ্বশক্তির সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক বজায় রাখি এবং সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করি।’
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর আরোপিত একতরফা নিষেধাজ্ঞাকে তারা বৈধতা দেয়না।
আরও পড়ুন: বিএনপির গয়েশ্বরের অভিযোগ নাকোচ করলেন রুশ রাষ্ট্রদূত
বিএনপির গয়েশ্বরের অভিযোগ নাকোচ করলেন রুশ রাষ্ট্রদূত
ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যান্টিটস্কি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত করেছে দেশের নাগরিকরা।
বুধবার(৩১ জানুয়ারি) অভিযোগটি প্রত্যাখান করে বিবৃতি দিয়েছেন রুশ রাষ্ট্রদূত।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের দাবির বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এই বিবৃতি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক-বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে প্রত্যেক দেশই আগ্রহী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গয়েশ্বর বলেছিলেন যে বর্তমান সরকার বাংলাদেশি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি বরং ‘বিদেশি শক্তির দ্বারা প্রতিষ্ঠিত’। বিদেশি শক্তি বলতে বিশেষত ভারত, চীন এবং রাশিয়ার নাম উল্লেখ করেছিলেন বিএনপির এই নেতা।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত জোর দিয়ে বলেন, গত জাতীয় নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ৪১ শতাংশ ভোটার অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি আরও বলেন, রাশিয়া সবসময় অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি বজায় রাখে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকের পর রাষ্ট্রদূত এ মন্তব্য করেন। বৈঠকে তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়েও আলোচনা করেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান কানেক্টিভিটির প্রশংসা জয়শঙ্করের
এর আগে রবিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার সম্পর্কে বিএনপির বক্তব্যের বিষয়ে একজন সাংবাদিক দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘এই সরকার বাংলাদেশের জনগণের নির্বাচিত সরকার।’
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির নীতি 'সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়' উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসরায়েলকে বাদ দিয়ে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের শক্তিশালী কূটনৈতিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, 'আমরা ভারত, চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ প্রধান বিশ্বশক্তির সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক বজায় রাখি এবং সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গ্রেপ্তারদের বিষয়ে যা বলল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর