%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95
আমেরিকা প্রতি ঘণ্টার মজুরি বাড়ালে আমরা সে পথ অবলম্বন করব: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে চাই। এই অগ্রযাত্রার জন্যই দেশের মান-ইজ্জত অনেক বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সিলেটে নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো সংঘাত চাই না। আমরা শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাই এবং গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে চাই।’
সিলেট-১ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা মোমেন বলেন, গত ১৫ বছরে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে এবং সেই উন্নয়ন নিরবচ্ছিন্ন থাকা দরকার।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানবতা প্রতিষ্ঠার জন্য এই দেশের মানুষ তাদের জীবন উৎসর্গ করেছে।
আরও পড়ুন: কোনো সমস্যায় জড়াতে চাই না: যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মন্তব্য সম্পর্কে মোমেন
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, বিএনপি একটি ভুল করেছে এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া উচিৎ ছিল।
২৮ অক্টোবর থেকে পুলিশ সদস্য হত্যা এবং সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তিতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা একটি সুযোগ হারিয়েছে এবং গ্রহণযোগ্যতাও হারিয়েছে।’
বিএনপির নেতৃত্ব ও পরিপক্কতার অভাব রয়েছে উল্লেখ করে মোমেন বলেন, রাজনীতি জনগণ ও দেশের কল্যাণের জন্য, তাদের ধ্বংসের জন্য নয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে জনগণ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে ভোটকেন্দ্রে আসবে।
অনেক শিক্ষিত মানুষ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভোটারদের উপস্থিতি বাড়াতে আমরা সর্বত্র যাব।’
মোমেন বলেন, ‘আমি তাদের ভোট দিতে আসার জন্য অনুরোধ করব। আমি তাদেরকে আমাকে ভোট দিতে বলব না… তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও সংঘাতবিহীন নির্বাচন চাই। পৃথিবীকে আমরা আদর্শ দেখাতে চাই।’
সম্প্রতি আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের (এএএফএ) প্রেসিডেন্ট ও সিইও স্টিফেন লামারকে চিঠি দিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের ৮ সদস্য বলেছেন, তারা মনে করেন বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি যথেষ্ট নয়। এ বিষয়ে মোমেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। তারা একটা কাজ করতে পারে। নিউ ইয়র্কে প্রতি ঘণ্টায় মজুরি ১৫ ডলার। যদি তারা বাড়িয়ে ৪৫ ডলার করতে পারে ও আদর্শ তৈরি করে, তখন আমরাও তাদের পথ অবলম্বন করব। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে আমেরিকার মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বহির্বিশ্বের চাপ নেই, আমরা আমাদের নিজেদের চাপের মধ্যে আছি: মোমেন
জর্জিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত হিসেবে মো. আমানুল হকের পরিচয়পত্র পেশ
জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট সেলোমে জুরাবিচভিলির কাছে বুধবার (২০ ডিসেম্বর) মো. আমানুল হক তার পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। এসময় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার সহধর্মিনী রুনা মাহজাবিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রদূত জর্জিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
রাষ্ট্রদূত প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান এবং প্রেসিডেন্টও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।
বাংলাদেশ ও জর্জিয়ার মধ্যে চলমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও গতিশীল ও উচ্চতর পর্যায়ে উন্নীত করণে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এছাড়া, রাষ্ট্রদূত হক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমের বিষয়ে জর্জিয়ার রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
রাষ্ট্রপতি জর্জিয়ার জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূত মো. আমানুল হককে জার্জিয়ায় স্বাগত জানান এবং ভবিষ্যতে ভ্রাতৃপ্রতীম বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের কল্যাণে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস দেন।
এর আগে সকালে রাষ্ট্রদূত জর্জিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইলিয়া দারচিয়াসভিলির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
আজ রাষ্ট্রদূত হকের জন্মদিন উপলক্ষে জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট সেলোমে জুরাবিচভিলি তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান।
ইতোপূর্বে জর্জিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র উপমন্ত্রীও রাষ্ট্রদূতকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান।
অপরাহ্নে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে রাষ্ট্রদূত মো. আমানুল হক তিবলিসি শহর পরিভ্রমণ করেন এবং রাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণে এক নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেন।
গত মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রদূত মো. আমানুল হক জর্জিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার খুতিসিয়াসভিলির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার পরিচয়পত্রের কপি দেন।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আংকারর বাংলাদেশ দূতাবাসের দূতালয় প্রধান মো. রফিকুল ইসলাম এবং জর্জিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (এশিয়া-প্যাসিফিক) রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার নালবান্দব ও দপ্তর প্রধান ডেভিড পিপিনাসভেলি।
বৈঠকে দুই দেশের দ্বিপক্ষয়ি স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়।
বিকালে তিবলিসির ‘পাবলিক সার্ভিস হল’ পরিদর্শন করেন।
যেখানে জর্জিয়ার জনসাধারণের জন্য চারশ’র বেশি প্রকারের জনসেবামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়।
উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে উজবেক উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক
উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বুধবার (২০ ডিসেম্বর) উজবেকিস্তানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বাখরমজন জুরাবয়েভিচ অ্যালয়েভের সঙ্গে তার কার্যালয়ে বৈঠক করেন।
রাষ্ট্রদূত ড. ইসলাম দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা ও অগ্রগতি সম্মন্ধে উপপররাষ্ট্র মন্ত্রীকে সামগ্রিক ধারণা দেন।
তিনি ঢাকা-তাসখন্দ বন্ধুত্বকে আরও কার্যকরী ও অর্থবহ করার লক্ষ্যে প্রস্তাবিত ‘রোড ম্যাপ’ চুড়ান্তকরণসহ যেসব বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে তার প্রতি আলোকপাত করেন।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ থেকে কমনওয়েলথ অব ইনডিপেন্ডেন্ট স্টেটস- বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিআইএস-বিসিসিআই) একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের উজবেকিস্তানে সফর বর্ণনা করে বস্ত্র, ওষুধ, কৃষি, পাট ও পর্যটন খাতে দু’দেশের মধ্যকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক সম্প্রসারণে অপরিসীম সুযোগ রয়েছে বলে রাষ্ট্রদূত মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি ও উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে উজবেকিস্তানের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা যাচাই করনে উদ্ধুদ্ধ করতে রাষ্ট্রদূত উপপররাষ্ট্র মন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেন।
উজবেকিস্তান এয়্যারওয়েজের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাম্প্রতিক এক বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে রাষ্ট্রদূত উল্লেখ।
তিনি বলেন, সরাসরি ফ্লাইট চালু দু’দেশের সম্পর্কে নতুন গতি সঞ্চার করবে, যা যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করার পাশাপাশি দু’দেশের মধ্যকার ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা-সংস্কৃতি ও পর্যটন বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
তিনি ঢাকা-তাসখন্দ রুটে উজবেকিস্তান এয়ারলাইন্স পুনরায় চালুর বিষয়ে উপপররাষ্ট্র মন্ত্রীর সমর্থন ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন করেন।
আলোচনাক্রমে তিনি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিসহ এ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে উপপররাষ্ট্র মন্ত্রীকে অবহিত করেন।
উজবেকিস্তানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরাম, বিশেষ করে আগামী ২০২৫ সালে সামারকান্দকে ইউনেস্কো জেনারেল কনফারেন্সের ভেন্যু নির্বাচন করতে বাংলাদেশ সমর্থন করায় সরকারের প্রতি তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ-উজবেকিস্তান সম্পর্কের অগ্রযাত্রায় সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি দু’দেশের মধ্যকার অর্থনৈতি সহযোগিতাকে আরও মজবুত করার উপর তাগিদ দেন।
আগামী দিনগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে দৃশ্যমান অগ্রগতি ও ফলাফল আনার জন্য তিনি দু’দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ে সফর বিনিময়ের উপর জোর গুরুত্বারোপ করেন।
সাক্ষাৎকালে উজবেকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা হুমায়ুন আখমাদভ এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর মো. নাজমুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে শোকপ্রকাশ অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডে চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) এক্সে (পূর্বে টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে হাইকমিশন বলেছে, ‘আমরা তাদের পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই, যারা ইচ্ছাকৃত অগ্নিসংযোগের হামলায় নিহত হয়েছে।’
হাইকমিশন আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছে।
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালন
ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনে বিজয় দিবস উদযাপন
সৌদি রাষ্ট্রদূতের মধ্যস্থতায় ৩০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে নিহত দুই বাংলাদেশির পরিবার
সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পটোয়ারীর মধ্যস্থতায় সৌদি আরবে নিহত দুই বাংলাদেশির পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রায় ৩০ কোটি টাকা আদায় করা হয়।
রাষ্ট্রদূতের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও মধ্যস্থতায় ২০০৬ সালে দাম্মামে নিহত সাগর পাটোয়ারীর পরিবারকে ৫১ লাখ সৌদি রিয়াল এবং ২০১৯ সালে রিয়াদে নিহত আবিরণের পরিবারকে ৪৮ লাখ ৮০ হাজার সৌদি রিয়াল ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে।
কুমিল্লার বরুড়া থানার সাগর পাটোয়ারী ২০০৬ সালের ২৭ জুন অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে দাম্মাম শহরে নিহত হন। দীর্ঘসময় আততায়ীকে শনাক্ত করতে না পারায় যথাসময়ে মামলাটির অগ্রগতি হয়নি।
২০১৮ সালের ১২ আগস্ট শ্রমকল্যাণ উইং প্রতিনিধি দাম্মাম দক্ষিণ থানায় পরিদর্শনকালে জানতে পারেন সেখানে একটি চুরির মামলায় সৌদি নাগরিক উমর আল শাম্মেরি আটক আছেন, যিনি সাগর পাটোয়ারি হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন।
থানা থেকে জানানো হয়, প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ উমরকে বিবাদী করে মামলা করলে এই বিষয়ে পুনঃতদন্ত করা হবে। এর প্রেক্ষিতে নিহত সাগরের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়া এবং বিভিন্ন লোকের সহযোগিতায় তার পরিবারের ফোন নম্বর সংগ্রহের মাধ্যমে দূতাবাসের অনুকূলে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিয়ে রাষ্ট্রদূতের দিকনির্দেশনায় শ্রম কল্যাণ উইংয়ের প্রতিনিধি আদালতে অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়ে অভিযোগ দাখিল করেন।
বিচারে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট আদালত ২০২১ সালের ২৪ মার্চ অভিযুক্ত উমর আল শাম্মেরির বিরুদ্ধে শিরচ্ছেদের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন।
অভিযুক্তের বাবা অর্থের বিনিময়ে মৃত্যুদণ্ডের দাবি প্রত্যাহারের আপস প্রস্তাব করলে রাষ্ট্রদূতের মধ্যস্থতায় ৫১ লাখ রিয়ালের আপস প্রস্তাবে নিহত সাগর পাটোয়ারীর ওয়ারিশেরা সম্মত হন। আদালত অভিযুক্তের পরিবারের কাছ থেকে রক্তপণের চেক গ্রহণ করে মামলা চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করেন।
২০২৩ সালের ৬ ডিসেম্বর দাম্মামের সৌদি ফ্রান্সি ব্যাংকের ফয়সলিয়া শাখা মারফত দূতাবাসের ব্যাংক হিসাবে ৫১ লাখ রিয়াল জমা হয়।
অন্যদিকে, খুলনার পাইকগাছার গৃহকর্মী মোসা. আবিরণ বেগম ২০১৯ সালের ২৪ মার্চ রিয়াদের আজিজিয়াস্থ নিয়োগকর্তার বাসভবনে গৃহকর্ত্রী আয়েশা আহমাদ সগির আল জিজানির হাতে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এ হত্যাকাণ্ডে আজিজিয়া পুলিশ গৃহকর্ত্রী আয়েশা আল জিজানী, গৃহকর্তা বাসেম সালেম সগির এবং তাদের ছেলে ওয়ালিদ বাসেম সালেমকে গ্রেপ্তার করেন।
দীর্ঘ বিচারকাজ শেষে ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আদালতের তিন সদস্য বিশিষ্ট বিচারক বেঞ্চ প্রধান আসামি গৃহকর্ত্রীর বিরুদ্ধে কেসাস (জীবনের বিনিময়ে জীবন) এবং অন্যান্য আসামিদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার সৌদি রিয়াল অর্থদণ্ড দিয়ে মামলার রায় ঘোষণা করেন।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের হলে আপিল আদালতের পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট ফুল বেঞ্চ কেসাস বা মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির পরিবার ও সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে রক্তপণের বিনিময়ে আসামিকে ক্ষমা করার অনুরোধ জানানো হলে নিহতের পরিবার সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণের বিনিময়ে আসামিদের ক্ষমার সম্মতি দিয়ে রাষ্ট্রদূত বরাবর আবেদন করেন।
সৌদি আরবে সর্বনিম্ন রক্তপণ ৩ লাখ সৌদি রিয়াল হলেও রাষ্ট্রদূতের প্রচেষ্টায় নিহতের পরিবার ৪৮ লাখ ৮০ হাজার সৌদি রিয়াল রক্তপণ পরিশোধের বিনিময়ে ক্ষমা করতে সম্মত হয়।
অভিযুক্তের পরিবার আদালতের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রক্তপণের অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে রাষ্ট্রদূতের নির্দেশে কাউন্সেলর (শ্রম) রিয়াদের ডেপুটি গভর্নর নাবিল বিন আব্দুল্লাহ আল-তাওয়ীলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে ক্ষতিপূরণ আদায়ের বিষয়ে তার ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বিচারক ২০২৩ সালের ১৫ মে প্রধান আসামির হত্যার রায় বাতিল করে আপস অনুযায়ী নিহত মোসা. আবিরণ বেগমের বৈধ ওয়ারিশগণের নামে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ বাবদ ৪৮ লাখ ৮০ হাজার সৌদি রিয়াল ক্ষতিপূরণের চেক ইস্যু করেন এবং সৌদি আরবের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনের পর তা দূতাবাসের অ্যাকাউন্টে জমা হয়।
বহুল আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর সাগর পাটোয়ারী ও আবিরণ হত্যা মামলায় সৌদি আরবে কোনো বাংলাদেশির অনুকূলে সর্বোচ্চ ব্লাডমানি আদায় হওয়াতে নিহতের পরিবার সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের কর্মরত সবার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ প্রকাশ করেন।
এছাড়া, মধ্যস্থতার ফলে একজন সৌদি নাগরিকের প্রাণ বেঁচে যাওয়ায় সৌদি সরকার এবং নিহতের পরিবার সন্তোষ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশে রাশিয়ার ‘আরব বসন্তের উসকানি’ মন্তব্যে নীরব যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিষয়ে, বিশেষ করে নির্বাচন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী বিতর্কিত সময়ে আমেরিকার সম্পৃক্ত থাকার বিষয়ে রাশিয়ার সাম্প্রতিক বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নীরব অবস্থান বজায় রেখেছে।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার করা মন্তব্যের বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
জাখারোভা এর আগেও বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সম্ভাব্য মার্কিন হস্তক্ষেপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি।’
তবে এর বেশি মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
জাখারোভা বলেন, জনগণের ইচ্ছার ফলাফল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সন্তোষজনক না হলে বাংলাদেশে ‘আরব বসন্ত’র মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আরও অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হতে পারে।
আরও পড়ুন: কোনো সমস্যায় জড়াতে চাই না: যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মন্তব্য সম্পর্কে মোমেন
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেন নি।
রাশিয়ার সাম্প্রতিক মন্তব্য সম্পর্কে করা প্রশ্নে মোমেন বলেন, ‘আমরা কোনো সমস্যায় জড়াতে চাই না।’
সংবাদ সম্মেলনে আরেকজন সাংবাদিক বাংলাদেশের একটি মর্মান্তিক ঘটনা তুলে ধরেন।
যেখানে অগ্নিসংযোগকারীরা ঢাকাগামী একটি এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলা চালায়, যার ফলে একজন নারী ও তার ৩ বছরের শিশুসহ চারজন নিহত হয়েছেন।
প্রতিবেদক মিলারকে রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার এই ব্যক্তিদের বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনের অবস্থান জানতে চান।
মিলার এই প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘আমি নির্দিষ্ট করে এই ঘটনা সম্পর্কে জানি না এবং এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।’
স্টেট ডিপার্টমেন্ট সংবাদ সম্মেলনে এই ঘটনা সম্পর্কে না জানার কথা জানিয়ে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সংকটের আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার জটিলতা ও চ্যালেঞ্জগুলোকে তুলে ধরে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র জনগণের ইচ্ছায় সন্তুষ্ট না হলে বাংলাদেশে ‘আরব বসন্ত’র মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে: রাশিয়া
বাংলাদেশ এখন ভীতু দেশ নয়: এম জে আকবর
কাঠমান্ডুতে তৃতীয় বঙ্গবন্ধু যুব সম্মেলন অনুষ্ঠিত
নেপালের কাঠমান্ডুতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক তৃতীয় বঙ্গবন্ধু যুব সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) নেপাল-বাংলাদেশ ইয়ুথ কনক্লেভের (এনবিওয়াইসি) সহযোগিতায় আয়োজিত সম্মেলনটিতে বাংলাদেশ ও নেপালের প্রায় ৬০ জন যুবনেতা অংশগ্রহণ করেন।
নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী তার বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে একটি সমৃদ্ধ ও বৈষম্যমুক্ত জাতি গঠনে উন্নয়ন কৌশল প্রণয়নে তার নির্দেশনার জন্য শ্রদ্ধা জানান।
রাষ্ট্রদূত জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় এবং এসডিজি বাস্তবায়নে জনসচেতনতা তৈরিতে সম্মেলনের প্রতিপাদ্যের ওপর জোর দেন।
নেপাল-বাংলাদেশ ইয়ুথ কনক্লেভের সমন্বয়ক অভিনব চৌধুরী ও সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী যুব নেতারা জলবায়ু চ্যালেঞ্জ শনাক্তকরণ এবং সমাধান খুঁজে বের করার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে এই ধরনের সম্মেলন আয়োজনের ওপর জোর দেন।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা স্মার্ট প্রযুক্তি, বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ, পরিবেশ সুরক্ষা আইন, নবায়নযোগ্য শক্তি, টেকসই শহর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং গ্রিন বিজনেসসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
এসডিজি অর্জন এবং কার্যকরভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় যুবকদের প্রতিশ্রুতির রূপরেখা সম্বলিত একটি ১০ দফা ঘোষণার মাধ্যমে সম্মেলনটি সমাপ্ত হয়।
২ দিনব্যাপী বাংলাদেশ ও ভারতের নৌ-সচিব পর্যায়ের সভা শুরু
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নৌ-সচিব পর্যায়ের সভা, প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেডের (পিআইডব্লিউটিএন্ডটি) অধীন স্ট্যান্ডিং কমিটির সভা এবং ইন্টার গভার্নমেন্টাল কমিটির (আইজিসি) সভা শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দুই দিনব্যাপী এ সভা শুরু হয়। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে নৌ চলাচল বন্ধ, মাঝ নদীতে আটকা ৪ ফেরি
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল এবং ভারতের পোর্টস, শিপিং অ্যান্ড ওয়াটারওয়েজ মন্ত্রণালয়ের সচিব টি কে রমাচন্দ্রন নিজ নিজ দেশের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
দুই দেশের সচিব উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশের পক্ষে সভায় অংশগ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দল এবং ভারতের ২৩ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দল রয়েছে।
আরও পড়ুন: আমাদের বিজয়ের মহানায়কের নাম শেখ মুজিবুর রহমান: নৌপ্রতিমন্ত্রী
মঙ্গলবার প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেডের (পিআইডব্লিউটিএন্ডটি) অধীন স্ট্যান্ডিং কমিটির সভা এবং ইন্টার গভার্নমেন্টাল কমিটির (আইজিসি) সভা হচ্ছে।
এতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সংস্থা-১) শেখ মো. শরীফ উদ্দিন এবং ভারতের পক্ষে ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ অথরিটি অব ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান শ্রী সঞ্জয় বন্দোপাধ্যায় নিজ নিজ পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
বুধবার নৌ-সচিব পর্যায়ের সভা হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও ভারত নৌ সচিব পর্যায়ের বৈঠক শুরু মঙ্গলবার
অভিবাসী কর্মীদের শ্রমশক্তিতে পুনঃএকত্রীকরণে বাংলাদেশ ও আইএলও’র চুক্তি সই
অভিবাসী কর্মীদের অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই পুনঃএকত্রীকরণের জন্য নীতি, সক্ষমতা ও সিস্টেমগুলোকে উন্নত করার বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করতে বাংলাদেশ সরকার আইএলওর সঙ্গে একটি চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ সরকার।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) মাধ্যমে এ চুক্তি সই হয়েছে। প্রকল্প সহায়তা দিয়েছে সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশন (এসডিসি)।
বিদেশ থেকে প্রত্যাগত অভিবাসী কর্মীরা যাতে বাংলাদেশের চাকরির বাজারে সহজে প্রবেশ করতে পারে এবং দেশের বাইরে অর্জিত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে তা নিশ্চিত করতে এই প্রকল্প কাজ করবে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘বাংলাদেশের অভিবাসী কর্মীরা গন্তব্য দেশগুলোর অর্থনীতি গড়ে তুলছে এবং রেমিট্যান্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখছে। যদি তাদের প্রত্যাবর্তন এবং পুনঃএকত্রীকরণে যথাযথ সহায়তা করা হয়, তাদের অর্জিত দক্ষতা এবং সঞ্চয় বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হতে পারে।’
আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিআইনেন বলেন, ‘প্রত্যাগত অভিবাসীদের টেকসই পুনঃএকত্রীকরণের জন্য প্রয়োজন একটি অনুকূল নীতি পরিবেশ, বিদেশে অর্জিত দক্ষতার স্বীকৃতি, কর্মসংস্থান ও ব্যবসার সুযোগ সম্পর্কে তথ্য, আর্থিক সহায়তা, সামাজিক নিরাপত্তা ও মনোসামাজিক সহায়তা।’
গত এক দশক ধরে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৬ লাখ ৫০ হাজার অভিবাসী কর্মী বিদেশে কাজ করার জন্য অভিবাসন করে। ২০২১ সালে বাংলাদেশ এশিয়ার শীর্ষ শ্রমিক প্রেরণকারী দেশ হয়ে ওঠে, যেখানে ৬ লাখ ১৭ হাজার লোক কাজের জন্য বিদেশে পাড়ি জমায়। এই সংখ্যা ২০২২ সালে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ১১ লাখ ৩৬ হাজারে দাঁড়িয়েছে।
তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে দেশের আয়ের তুলনায় অভিবাসী শ্রমিকদের রেমিট্যান্স দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। পুনঃএকত্রীকরণ প্রকল্পটি সমন্বিত উপায়ে প্রত্যাগত অভিবাসী কর্মীদের কর্মসংস্থান ও ব্যবসায়িক উন্নয়ন পরিষেবাগুলো পেতে সহায়তা করবে; যাতে তারা তাদের নিজ নিজ জেলায় অর্থনৈতিকভাবে উৎপাদনশীল হতে পারে।
সাক্ষী হিসেবে চুক্তিতে সই করেন বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স করিন হেনচোজ পিগনানি।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে ছিলেন ইআরডি জাতিসংঘ শাখার প্রধান এ কে এম সোহেল, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ড, পরিকল্পনা কমিশন এবং আইএলও’র কর্মকর্তারা।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে আইএলও প্রধান কারিগরি অংশীদার হিসেবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করবে। প্রকল্পের অন্যান্য অংশীদারদের মধ্যে রয়েছে আইওএম, ইউএন উইমেন, নিয়োগকারি সংস্থা ও শ্রমিকদের সংগঠন।
কুয়েতের নতুন আমিরকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সোমবার সন্ধ্যায় কুয়েত রাষ্ট্রের আমির শেখ নাওয়াফ আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহের মৃত্যুতে বাংলাদেশের পক্ষে এক শোক অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুয়েতের নতুন আমির শেখ মেশাল আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
ড. মোমেন কুয়েতের রাজপরিবারের শোকসন্তপ্ত সদস্য এবং বন্ধুপ্রতীম জনগণের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও সমবেদনা জানান।
তিনি কুয়েত রাষ্ট্রের আমিরের দায়িত্ব গ্রহণ করায় প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে নতুন আমিরকে উষ্ণ অভিনন্দন জানান।
আরও পড়ুন: কুয়েতের আমিরের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক
মোমেন কুয়েতে বাংলাদেশি কমিউনিটির কল্যাণে এবং বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে মরহুম আমিরের মহান অবদানের কথা স্মরণ করেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ পৌঁছে দিলে নতুন আমির ইতিবাচক সাড়া দেন।
কুয়েতের আমির শোক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও তার প্রতিনিধি দলকে ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশের জনগণের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (পশ্চিম এশিয়া) ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকার পরিচালকসহ (এফএমও) ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।
প্রতিনিধি দলকে স্বাগত ও বিদায় জানান কুয়েতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় ফিরেছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকার বার্তা নিয়ে রবিবার কুয়েত যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ ছিলেন বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু: পররাষ্ট্রমন্ত্রী