%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95
রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গভর্নর সের্গেইভিচের বৈঠক অনুষ্ঠিত
রাশিয়ান ফেডারেশনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান ১৯ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর রাশিয়ার ইভানোভো অঞ্চল সফর করেন।
সফরকালে তিনি এই অঞ্চলের গভর্নর ভসক্রেসেন্সকি স্তানিস্লাভ সের্গেইভিচের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে উভয় দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিকসহ পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।
আলোচনায় রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান গত দেড় দশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সংঘটিত হয়েছে সে সম্পর্কে গভর্নরকে অবহিত করেন।
তিনি দু’দেশের মধ্যেকার বিদ্যমান অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধিতে পারস্পরিক সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্র উন্মোচনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
রাশিয়ার সহযোগিতায় বাংলাদেশে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ খাতে রাশিয়ার আরও সক্রিয় অংশগ্রহণ আশা করেন।
ইভানোভো শহরটি রাশিয়ার পোশাক শিল্পের জন্য বিখ্যাত এবং এই শহরে অনেক পোশাক তৈরির কারখানা রয়েছে। পোশাক কারখানাগুলোতে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ শ্রমিক নিয়োগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ ও সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রদূত গভর্নর সের্গেইভিচকে অনুরোধ জানান রাষ্ট্রদূত।
দুই দেশের মধ্যে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয় এ সময় গুরুত্ব সহকারে আলোচিত হয়।
আরও পড়ুন: ৯ম ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড এক্সপার্ট ফোরামে ভাষণ দেবেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকায় বিরোধী দলীয় নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত: রাশিয়া
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, অক্টোবরের শেষদিকে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সরকারবিরোধী সমাবেশ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে দেশের বিরোধী দলের এক সদস্যের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
তিনি এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্টে বলেছিলেন,‘এই ধরনের কর্মকাণ্ড অভ্যন্তরীণ বিষয়ে গুরুতর হস্তক্ষেপ ছাড়া আর কিছুই নয়।’
আরও পড়ুন: মানব সম্পদ ও জলবায়ু সহনশীলতার উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক করার আড়ালে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তা আমরা বারবার তুলে ধরেছি।’
সাংবাদিকরা রুশ কর্মকর্তার মন্তব্যের বিষয়ে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও দূতাবাসের মুখপাত্রের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার মতো দুর্দশাগ্রস্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
ইন্দোনেশিয়ার মতো দুর্দশাগ্রস্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরের অবস্থার অবনতি ও খাদ্য সহায়তা উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর কারণে নৌকার ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত রোহিঙ্গা শরণার্থী নিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় আসা অব্যাহত রয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার(২৩ নভেম্বর) জাতিসংঘের একজন বিশেষজ্ঞ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য একটি আঞ্চলিক জরুরি প্রতিক্রিয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ সতর্ক করে দিয়ে বলেন, 'সংকটের মূল কারণ হলো মিয়ানমারের অবৈধ সামরিক জান্তা- এর সমাধান না করলে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে।’
গত সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় আচেহ প্রদেশে নৌকায় করে ১ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী পৌঁছেছে।
অ্যান্ড্রুজ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপত্তা, আশ্রয় ও সহায়তা প্রদানের জন্য ইন্দোনেশিয়া সরকারের প্রশংসা করেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু, যাদের জরুরি ভিত্তিতে পুষ্টি ও চিকিৎসা সহায়তা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: আমরা রোহিঙ্গাদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনে মনোনিবেশ করছি: আফরিন আখতার
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদে তাদের উপকূলে নৌকা থেকে নামিয়ে নেওয়ার ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষের উদাহরণ অনুসরণ করার জন্য এই অঞ্চলের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। কারণ, আরও রোহিঙ্গা শরণার্থী নৌকায় করে তাদের উপকূলে আসতে পারে।
ইন্দোনেশিয়ায় বিশেষ দূত বলেন, রোহিঙ্গাদের অধিকার সমুন্নত রাখা এবং অভ্যন্তরীণ আইন অনুযায়ী প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করায় ইন্দোনেশিয়া সরকারকে অভিনন্দন জানানো উচিত। কিন্তু তারা একা এটা করতে পারে না। এটি একটি জরুরি অবস্থা, এবং একটি জরুরি প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন। তাদের জীবন বাঁচাতে একটি সমন্বিত অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান প্রয়োজন রয়েছে যারা সমুদ্রে চলাচলের অনুপযোগী জনাকীর্ণ নৌকায় সমুদ্রে আটকা পড়ে থাকতে পারে।’
অ্যান্ড্রুজ সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, সংকটের মূল কারণটি চূড়ান্তভাবে সমাধান না করা পর্যন্ত সংকট আরও জটিল হতে থাকবে।
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের সমাধান ততক্ষণ সম্ভব নয়, যতক্ষণ না জান্তা রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার ও নাগরিকত্বের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকার গঠনে বাধা দেয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই মিয়ানমারের জনগণের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে যাওয়ার জন্য জান্তাকে অস্ত্র, অর্থ ও বৈধতা না দিয়ে সংকটের মূল কারণগুলো সমাধান করতে হবে।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটে ‘নিজেদের সমর্থন অব্যাহত রাখছে’ ইইউ: রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি
জাতিসংঘের দূত বলেন, যতক্ষণ না রোহিঙ্গারা নিরাপত্তা, মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিত করে স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফিরে যেতে সক্ষম হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে অবশ্যই পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা তহবিল প্রদান করতে হবে এবং পুনর্বাসনসহ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য টেকসই সমাধান নিয়ে ভাবতে হবে।
অ্যান্ড্রুজ এ বছরের শুরুতে আচেহ ইন্দোনেশিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন, এর মধ্যে পিডির একটি শরণার্থী শিবিরও ছিল। যেখানে তাকে বলা হয়েছিল যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বিপজ্জনক যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞ বলেন, 'আমি ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চাহিদা মেটাতে মানবিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করছি। এর মধ্যে সম্প্রতি আগমনকারীদের জন্য আশ্রয়শিবির নির্মাণও রয়েছে। এছাড়া নারী ও শিশুসহ শোষণ ও মানব পাচারের সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের জন্য সেবা প্রদান করা উচিত।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের দীর্ঘায়িত উপস্থিতির কোনো সুযোগ নেই: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
অ্যান্ড্রুজ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এই আগমন বাংলাদেশে খারাপ পরিস্থিতি থেকে পালিয়ে আসা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোহিঙ্গার আগমনের ইঙ্গিত দেয়।
তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি, কে তাদের দোষ দিতে পারে? বাবা-মায়েরা ভঙ্গুর পর্যায়ে পৌঁছেছেন, কারণ তাদের সন্তানরা ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে ভুগছে এবং শিবিরে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার হুমকির মুখোমুখি হচ্ছে।’
‘এই পরিবারগুলো অনিচ্ছা সত্ত্বেও ভিড়যুক্ত নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে চড়ছে, কারণ তারা বিপদগ্রস্ত এবং কোনও বিকল্প দেখছে না।’
তিনি বলেন, 'অতীতে কেউ কেউ যেমন করেছে- কোনো রাষ্ট্রই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নামতে বাধা দেবে না। নৌকাগুলোকে সমুদ্রে ঠেলে দেবে না।’আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরুর প্রস্তুতি অব্যাহত থাকবে: পররাষ্ট্র সচিব
মানব সম্পদ ও জলবায়ু সহনশীলতার উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক
বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে স্থিতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনে পাঁচটি অর্থায়ন চুক্তি সই হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) এই চুক্তি সই হয় বলে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, প্রারম্ভিক শৈশব উন্নয়ন, মাধ্যমিক শিক্ষা, নদীর তীর সুরক্ষা ও নাব্যতা, শহুরে প্রাথমিক স্বাস্থ্য এবং গ্যাস বিতরণ দক্ষতা সম্পর্কিত প্রকল্পগুলো এই চুক্তির আওতায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ১.৭ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস বিশ্বব্যাংকের
চুক্তির আওতাধীন প্রকল্পগুলো হলো- ২১০ মিলিয়ন ডলারের বাংলাদেশ এনহ্যান্সিং ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড বেনিফিটস ফর আর্লি ইয়ার্স প্রজেক্ট, ৩০০ মিলিয়ন ডলারের লার্নিং এক্সেলারেশন ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন অপারেশন প্রজেক্ট, ১০২ মিলিয়ন ডলারের যমুনা রিভার সাসটেইনেবল ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্ট, ১ হাজার ২০০ মিলিয়ন ডলারের আরবান হেলথ, নিউট্রিশন অ্যান্ড পপুলেশন প্রজেক্ট এবং ৩০০ মিলিয়ন ডলারের গ্যাস সেক্টর এফিসিয়েন্সি ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড কার্বন অ্যাবিটমেন্ট প্রজেক্ট।
বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব শরিফা খান এবং বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলাই সেক নিজ নিজ দেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
বাংলাদেশ এনহ্যান্সিং ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড বেনিফিটস ফর আর্লি ইয়ার্স প্রজেক্ট ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারের প্রায় ১৭ লাখ গর্ভবতী নারী ও ৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের মায়েদের নগদ অর্থ প্রদান ও কাউন্সেলিং সেবা প্রদানের মাধ্যমে প্রারম্ভিক শৈশব উন্নয়নে সহায়তা করবে।
লার্নিং এক্সেলারেশন ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন অপারেশন প্রজেক্ট শিক্ষার ফলাফল এবং শিক্ষার মান উন্নত করে মাধ্যমিক শিক্ষাকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে। কোভিড-১৯ মহামারির সময় শিক্ষার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এবং ভবিষ্যতের ধাক্কাগুলোর জন্য প্রস্তুতি উন্নত করতে প্রকল্পটি শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার পাশাপাশি পরিপূরক অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালু করবে। ঝরে পড়ার হার কমাতে এই কর্মসূচির আওতায় ৮০ লাখ ঝুঁকিপূর্ণ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদান করা হবে এবং ৫ হাজার স্কুলে সক্রিয় যৌন হয়রানি ও প্রতিরোধ কমিটি গঠন নিশ্চিত করা হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে: বিশ্বব্যাংক
যমুনা রিভার সাসটেইনেবল ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্ট-১ যমুনা নদীর তীর রক্ষা ও নাব্যতা উন্নয়ন, নদীভাঙন ও বন্যা থেকে প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমি রক্ষা, হাজার হাজার মানুষকে বাস্তুচ্যুত হওয়া থেকে রক্ষা এবং তাদের জীবিকা ও সম্পদ রক্ষায় সহায়তা করবে। এটি পর্যাপ্ত গভীরতার সঙ্গে নৌপথের চ্যানেলগুলোকে উন্নত করবে যাতে সারা বছর বড় কার্গো জাহাজগুলোর চলাচল উপযোগী করতে পারে এবং অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং বাণিজ্যকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে।
আরবান হেলথ, নিউট্রিশন অ্যান্ড পপুলেশন প্রজেক্ট ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এবং সাভার ও তারাবো পৌরসভায় ডেঙ্গুর মতো মশাবাহিত রোগসহ সাধারণ রোগের চিকিৎসা, প্রতিরোধ ও রেফারেল করার জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন করবে। এটি মশা নিয়ন্ত্রণ, চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং আচরণ পরিবর্তন যোগাযোগকেও সমর্থন করবে। এটি নারীদের জন্য প্রসবপূর্ব পরিষেবাগুলো উন্নত করতে সহায়তা করবে। গর্ভাবস্থায় আড়াই লাখেরও বেশি নারীকে কমপক্ষে চারটি চেকআপ পাওয়ার লক্ষ্য নিশ্চিত করবে। এটি প্রায় ১৩ লাখ প্রাপ্তবয়স্কের হাইপারটেনশন স্ক্রিনিং এবং ফলো-আপে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: শিশুদের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের ২১০ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন
গ্যাস সেক্টর এফিসিয়েন্সি ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড কার্বন অ্যাবিটমেন্ট প্রজেক্ট প্রি-পেইড মিটারিং সিস্টেমের মাধ্যমে গ্যাস বিতরণ এবং শেষ ব্যবহারের দক্ষতা উন্নত করতে এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের মান শৃঙ্খলে মিথেন নির্গমন কমাতে সহায়তা করবে। এটি ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগে ১২ লাখের বেশি প্রিপেইড গ্যাস মিটার স্থাপন করবে। প্রিপেইড গ্যাস মিটার এবং উন্নত মনিটরিং সিস্টেম প্রাকৃতিক গ্যাসের শেষ ব্যবহারকে কার্যকর করতে, গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন কমানো এবং পরিবার ও শিল্প ব্যবহারকারীদের জন্য গ্যাস বিল কমাতে সহায়তা করবে।
আবদুলাই সেক বলেন, ‘এই প্রকল্পগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সহনশীলতা উন্নত করার পাশাপাশি আমাদের শিশুদের একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত প্রস্তুত করতে সহায়তা করবে।’
তিনি বলেন, একটি বাসযোগ্য গ্রহে দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গড়ার বিশ্বব্যাংকের লক্ষ্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার বাংলাদেশ। স্বাধীনতার পর থেকে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের কার্যকর অংশীদারিত্ব থাকায় লাখ লাখ বাংলাদেশি দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ প্রধানদের সঙ্গে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
এনায়েতউল্লাহ খানকে 'ন্যাশনাল অর্ডার ফর মেরিট' পদকে ভূষিত করেছে রোমানিয়া
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রোমানিয়ার অনারারি কনসাল এনায়েতউল্লাহ খান নাইট পদমর্যাদায় 'ন্যাশনাল অর্ডার ফর মেরিট' পদকে ভূষিত হয়েছেন।
রোমানিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় অনুসারে, বাংলাদেশ ও রোমানিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং উচ্চ পর্যায়ের সংলাপ সমর্থন ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য উচ্চ প্রশংসার নিদর্শন স্বরূপ তাকে এই মর্যাদাপূর্ণ পদকে ভূষিত করা হয়েছে।
এই পদক প্রদান করেন রোমানিয়ার প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এনআইসি সদস্য হলেন এনায়েতউল্লাহ খান
কমন ফান্ড ফর কমোডিটিজের এমডি নির্বাচিত হওয়ায় রাষ্ট্রদূত বেলালকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
রাষ্ট্রদূত শেখ মোহাম্মদ বেলাল টানা দ্বিতীয় মেয়াদে কমন ফান্ড ফর কমোডিটিজের (সিএফসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে ভোটে বিজয়ী হওয়ায় তাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এক শুভেচ্ছা বার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয় মেয়াদে এই গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বিশ্বের দরিদ্র মানুষের জন্য আরও কাজ করার সুযোগ পাবেন রাষ্ট্রদূত শেখ মোহাম্মদ বেলাল।
তার নেতৃত্বে সিএফসি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে ড. মোমেন আশা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী বাংলাদেশিদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
উল্লেখ্য, বুধবার (২২ নভেম্বর) নেদারল্যান্ডসের রাজধানী হেগে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে রাষ্ট্রদূত বেলাল একমাত্র প্রতিপক্ষ ইতালির ড. মাসিমিলানো ফাবিয়ানের বিরুদ্ধে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা (৬৮ দশমিক ০১ শতাংশ ভোট) পেয়ে জয়লাভ করেছেন।
বুধবার প্রতিষ্ঠানটির ৩৫তম বার্ষিক গভর্নিং কাউন্সিলের সভায় সদস্যগণ গোপন ব্যালটে তাদের ভোট প্রদান করেন।
রাষ্ট্রদূত বেলাল ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে ৪ বছরের জন্য দ্বিতীয় মেয়াদে কমন সিএফসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: ড. মোমেনকে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠানটির ৩১তম বার্ষিক গভর্নিং কাউন্সিলের সভায় রাষ্ট্রদূত বেলাল সর্বসম্মতিক্রমে ৪ বছরের জন্য ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হন।
সিএফসি একটি জাতিসংঘ অনুমোদিত আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা। এটি তার সদস্য দেশগুলোতে পণ্যমূল্য চেইনের সঙ্গে জড়িত প্রকল্পগুলোতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। সংস্থার লক্ষ্য হলো- পণ্য উৎপাদন ও বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত ব্যবসা, সমবায় এবং প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা দিয়ে টেকসই উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকা রাখা।
মোহাম্মদ বেলাল মার্চ ২০১৪ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় একই সঙ্গে তিনি ক্রোয়েশিয়া এবং বসনিয়া ও হারজেগভিনারও দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: ড. মোমেনকে পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
৯ম ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড এক্সপার্ট ফোরামে ভাষণ দেবেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২৭ ও ২৮ নভেম্বর মস্কোর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ৯ম ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড এক্সপার্ট ফোরাম প্রিমাকভ রিডিংস-এর আয়োজন করবে রাশিয়া।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও গণমাধ্যম বিভাগের পরিচালক মারিয়া জাখারোভা বর্তমান পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক এক ব্রিফিংয়ে বলেন, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ২৭ নভেম্বর আয়োজনটিতে অংশ নেবেন।
মস্কোর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ বছর আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, বাংলাদেশ, চীন, কিউবা, মিশর, ফিনল্যান্ড, ভারত, ইরান, কাজাখস্তান, নাইজেরিয়া, ওমান, দক্ষিণ আফ্রিকা, সিরিয়া, তুরস্ক, উগান্ডা, যুক্তরাষ্ট্র ও উজবেকিস্তানের প্রতিনিধিরা ফোরামে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ দিনব্যাপী রুশ চলচ্চিত্র উৎসব ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত
মারিয়া জাখারোভা বলেন, ‘পূর্বানুমান ছাড়াই, আমি মূল বক্তব্যের বিষয়ে বলতে পারি: তিনি (সের্গেই ল্যাভরভ) একটি ন্যায্য বহুমেরু বিশ্ব ব্যবস্থার চলমান গঠনের সঙ্গে সম্পর্কিত বৈশ্বিক উন্নয়নের প্রধান প্রবণতা সম্পর্কে রাশিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করার পরিকল্পনা করেছেন।’
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও উল্লেখ করেন, ‘আমাদের চোখের সামনে আক্ষরিক অর্থেই ঘটে যাওয়া বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক দৃশ্যপটের গঠনমূলক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে এই বৈঠকের বিষয়টি বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক। এটির শিরোনাম দেওয়া হয়েছে- পোস্ট-গ্লোবালাইজেশন হরিজনস।’
ফোরামে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা, বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতির নেতৃস্থানীয় রুশ ও বিদেশি বিশেষজ্ঞ, কমিউনিটিভিত্তিক সংস্থার প্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিকরা অংশ নেবেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ান মুদ্রায় বাণিজ্যের অনুমতিপ্রাপ্তদের তালিকায় বাংলাদেশ: রুশ দূতাবাস
আলোচনায় আরও থাকবে- বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারের জন্য রাজনৈতিক ঝুঁকি, রাশিয়া এবং মধ্য এশিয়া ও দক্ষিণ ককেশাসের রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতা, চীন-আমেরিকান সম্পর্ক এবং গ্লোবাল সাউথের উন্নয়ন।
অংশগ্রহণকারীরা বাল্টিক অঞ্চলে ক্ষমতার ভারসাম্য এবং রাশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য-আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়নের সম্ভাবনাও জায়গা করে নেবে বলে আশা করছেন অংশগ্রহণকারীরা।
প্রেসিডেন্সিয়াল গ্রান্টস ফাউন্ডেশনের সহায়তায় প্রিমাকভ ন্যাশনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব ওয়ার্ল্ড ইকোনমি অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস, রাশিয়ান একাডেমি অব সায়েন্সেস, প্রিমাকভ সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার এবং রাশিয়ান ফেডারেশনের চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড কমার্স এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে।
ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড এক্সপার্ট ফোরাম প্রিমাকভ রিডিংস বিশ্ব অর্থনীতি, রাজনীতি ও নিরাপত্তার সমস্যা সমাধানের জন্য একটি বার্ষিক আলোচনার প্ল্যাটফর্ম।
আরও পড়ুন: আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান করুন: রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী
রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরুর প্রস্তুতি অব্যাহত থাকবে: পররাষ্ট্র সচিব
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে স্থায়ী ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরুর প্রস্তুতি অব্যাহত থাকবে।
বুধবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক বিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্সের ৪৩তম বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, রোহিঙ্গা সংকটে বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণের প্রচেষ্টা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়।
ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক লুইস গুইন, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের দীর্ঘায়িত উপস্থিতির কোনো সুযোগ নেই: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
রোহিঙ্গা সংকটে ‘নিজেদের সমর্থন অব্যাহত রাখছে’ ইইউ: রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি
জ্বালানি খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়াকে কাজ করার আহ্বান নসরুলের
জ্বালানি খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার অভিজ্ঞতা বিনিময় ও কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বুধবার(২২ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হিরু হারতানতু সুবোলোর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এই আহ্বান জানান।
এসময় তারা নিজ নিজ দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভ্রাতৃপ্রতিম দেশটি বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু।
তিনি বলেন, 'আমাদের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতার অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। উভয় দেশ অভিজ্ঞতা বা সম্পদ বিনিময়ের মাধ্যমে আরও বেশি উপকৃত হতে পারে।’
আরও পড়ুন: কেরাণীগঞ্জ হবে খেলাধুলার তীর্থস্থান: নসরুল হামিদ
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া গ্যাস খাতের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে পারে। ‘বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নয়নের ফলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের বিশাল সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।’
নসরুল হামিদ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বর্তমান পরিস্থিতি ও সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেন।
ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে সৌরবিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
প্রাথমিকভাবে ইন্দোনেশিয়া ১০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে পারে এবং ধীরে ধীরে তা ৫০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করা যেতে পারে।
এ সময় ট্রান্সমিশন, সাব-স্টেশন, অফ-শোর উইন্ড এবং পাওয়ার স্টোরেজ সিস্টেমে বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান পের্টামিনা জোহান কে নভেরিয়ানের হেড অব প্রজেক্ট ডেভেলপমেন্ট জুহান কে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশ গঠনে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ: নসরুল হামিদ
সাম্প্রতিক সহিংসতার বিরূদ্ধে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা চায় স্টাডি সার্কেল বাংলাদেশ
যুক্তরাজ্যভিত্তিক ব্রিটিশ-বাংলাদেশি থিঙ্কট্যাঙ্ক স্টাডি সার্কেলের একটি প্রতিনিধি দল গত সোমবার (২০ নভেম্বর) ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের কাছে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সহিংসতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে একটি স্মারকলিপি হস্তান্তর করেছে।
স্টাডি সার্কেলের সমন্বয়ক জামাল আহমেদ খানের নেতৃত্বে মানবাধিকারকর্মী আনসার আহমেদ উল্লাহ ও সাংবাদিক রুমানা আফরোজ রাখীসহ প্রতিনিধি দল স্টাডি সার্কেলের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোজাম্মেল আলীর সই করা স্মারকলিপি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘প্রাকৃতিক তন্তু’ সম্পর্কিত রেজুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত
স্মারকলিপিটি গত ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশে সহিংসতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও একজন পুলিশ অফিসারের হত্যার ঘটনা বর্ণনা করে নির্বাচন ঘিরে স্বাধীনতা বিরোধী সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী অপশক্তি সহিংসতার একটি প্রবণতার সর্বশেষতম।
এই উদ্বেগজনক ঘটনার আলোকে স্টাডি সার্কেল স্মারকলিপি এই চরমপন্থী সহিংসতা মোকাবিলা এবং ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষার জন্য যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে বহুপাক্ষিক ও দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে।
ব্রিটেন ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে স্টাডি সার্কেল প্রতিনিধিদল আশা করে, প্রধানমন্ত্রী সুনাক উগ্রবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে ব্রিটিশ ও বাংলাদেশি সরকার এবং সুশীল সমাজের মধ্যে যৌথ প্রচেষ্টার অনুরোধে ইতিবাচক সাড়া দেবেন।
আরও পড়ুন: নিবারণযোগ্য অন্ধত্ব প্রতিরোধে একসঙ্গে কাজ করবে চক্ষু চিকিৎসক সমিতি ও অরবিস ইন্টারন্যাশনাল
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ন্যাশনাল ডিফেন্স ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্সের প্রশিক্ষণার্থীদের সাক্ষাৎ