বৈদেশিক-সম্পর্ক
লিবিয়া থেকে ১৩৯ অনিয়মিত বাংলাদেশির প্রত্যাবাসন
লিবিয়া থেকে ১৩৯ জন অনিয়মিত বাংলাদেশিকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের চেষ্টা ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় দেশটির বেনগাজি শহরের বিভিন্ন স্থানে আটক ১৩৯ জন অনিয়মিত বাংলাদেশিকে আজ (১ ফেব্রুয়ারি) ভোর সোয়া ৪টায় বুরাক এয়ারের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে তাদের ঢাকায় প্রত্যাবাসন করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০২৩ সালের জুলাই থেকে এ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ২৪৫ জন বাংলাদেশি নাগরিককে লিবিয়া থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তারা ত্রিপোলি ও বেনগাজি শহরের বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারসহ বিচ্ছিন্ন স্থানে আটক ছিলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইওএমের কর্মকর্তারা আজ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাদের অভ্যর্থনা জানান। বিমানবন্দরে আইওএমের পক্ষ থেকে তাদের প্রত্যেককে ৬ হাজার টাকা ও কিছু খাদ্যসমগ্রী উপহার দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ১৪০ বাংলাদেশি
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (কল্যাণ) মোস্তফা জামিল খান ফিরে আসা অভিবাসীদের খোঁজখবর নেন। তিনি অভিবাসীদের লিবিয়াতে তাদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা বাড়িতে আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেন।
কেউ যেন টাকা খরচ করে বা দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধ পথে বিদেশে পা না বাড়ায় সে বিষয়ে পরিচিত সবাইকে সচেতন করতে অভিবাসীদের অনুরোধও করেন তিনি।
লিবিয়ায় বিপদগ্রস্তসহ বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে দেশে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করতে বাংলাদেশ দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইওএম একসঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ১৩৬ বাংলাদেশি
৫ ডিসেম্বর লিবিয়া থেকে ফিরবেন ২৬৩ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতি কৃতজ্ঞ: ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান বলেছেন, আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের (আইসিজে) সাম্প্রতিক রায় ৭৫ বছরের সংগ্রামের পর আশাবাদের অনুভূতি দিয়েছে। এর উপর ভিত্তি করেই তাদের কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিক্যাব টক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘এগিয়ে যাওয়ার এটিই প্রথম ধাপ… আমরা এর ওপর ভিত্তি করে কাজ করতে পারি।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার ভূমিকার জন্য তারা কৃতজ্ঞ।
আইসিজের কার্যক্রমে দক্ষিণ আফ্রিকা যুক্তি উপস্থাপনে বলেছে- ইসরায়েল গাজায় সামরিক আক্রমণের মাধ্যমে জেনোসাইড কনভেনশনের অধীনে তাদের বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করেছে। যার শুরু হয় ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর। যে ঘটনায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত এবং আরও অনেকে আহত হন। ওই হামলায় প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি করা হয়।
আরও পড়ুন: কাম্পালায় ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাছান মাহমুদের সাক্ষাৎ
চলতি মাসের শুরুর দিকে মৌখিক শুনানির সময় মামলাটি খারিজ করতে আইসিজের বিচারকদের প্রতি আবেদন করেছিল ইসরায়েল। যে প্রস্তাব গত শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) প্রত্যাখ্যান করা হয়।
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা আজ বলেছেন, আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের যুগান্তকারী এই রায় গাজার বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় আশার আলো দেখাচ্ছে। ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়, ধ্বংসযজ্ঞ, গণহত্যার শিকার এবং আহত হওয়া পাশাপাশি অপূরণীয় মানসিক আঘাত সহ্য করছে গাজাবাসী।
তারা আরও বলেন, ‘এই রায় ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায়বিচারের জন্য কয়েক দশকের দীর্ঘ সংগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।’
আইসিজে মনে করছে, ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড গণহত্যার শামিল হতে পারে। ৬টি অস্থায়ী ব্যবস্থা জারি করা হয়েছে। সেগুলো হলো- গণহত্যার উসকানি প্রতিরোধ ও শাস্তি দেওয়া, গাজায় অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনিদের কাছে সহায়তা ও পরিষেবা পৌঁছানো নিশ্চিত করা এবং গাজায় সংঘটিত অপরাধের প্রমাণ সংরক্ষণসহ গণহত্যা কর্মকাণ্ড রোধে ইসরায়েলকে তার ক্ষমতার মধ্যে সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
আরও পড়ুন: ন্যাম সম্মেলন: ফিলিস্তিনিদের সমর্থন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
তারা বলেন, ‘আমরা আদালতের সংক্ষিপ্ত দুই সপ্তাহের আলোচনায় প্রদর্শিত গুরুত্ব অনুভব করি। কারণ ইসরায়েলি বাহিনী প্রতিদিন নারী ও শিশুসহ শত শত ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে। এর ধারাবাহিকতায় গাজায় ৩ মাসে ২৬ হাজার ৭৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা তাদের মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশের বেশি।’
বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বলেন, এটি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি সাহসী পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, ইসরাইল অপরাধ ও গণহত্যা করেছে।
রাষ্ট্রদূত ইউসুফ বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সমাধান খুঁজে বের করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছেন, তবে এই ‘কঠোর পরিশ্রম আরও আগে দেখানো উচিৎ ছিল’।
তিনি বলেন, ‘ইস্যুটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়ে কথা বলুন।’
মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ঐক্যের অভাব নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে তিনি ইউরোপের ঐক্যের কথাও উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে ৯ বছর অবস্থানকালে তার নিজেকে কখনো শরণার্থী মনে হয়নি। কারণ এখানকার মানুষের কাছ থেকে তিনি সবসময় উষ্ণতা ও ভালোবাসা পেয়েছেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডিক্যাব সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু।
আরও পড়ুন: এই বড়দিনে ফিলিস্তিনি খ্রিস্টানদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি: মোমেন
বাংলাদেশ-উজবেকিস্তানের মধ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষায় সহযোগিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ
উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বুধবার (৩১ জানুয়ারি) উজবেকিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আসিলবেগ খুদাইরভের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রদূত ড. ইসলাম স্বাস্থ্য সেবা ও শিক্ষার ওপর আলোকপাত করে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ, শিশু ও মাতৃ মৃত্যুহার কমানো, কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের গৃহীত উদ্যোগ, পদক্ষেপ ও অর্জন সমূহের বর্ণনা করেন।
ওষুধ শিল্পে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা, সাফল্য ও স্বীকৃতির উল্লেখ করে এ খাতে বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা রয়েছে বলে রাষ্ট্রদূত যোগ করেন।
বাংলাদেশের চিকিৎসক ও নার্সদের মেধা, দক্ষতা ও যোগ্যতার বর্ণনা দিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রয়োজনের আলোকে উজবেকিস্তানের স্বাস্থ্য সেবার অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিতে তারা কার্যকরী অবদান রাখতে পারেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনবল নিতে আগ্রহী মঙ্গোলিয়া: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
তিনি স্বাস্থ্য শিক্ষা পরিসরে দু’দেশের মধ্যেকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগকে আরও নিবিড় ও অর্থবহ করার ওপর জোর গুরুত্বারোপ করেন।
উজবেকিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যেকার ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বন্ধনের চিত্র তুলে ধরে স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা সম্প্রসারণের তাগিদ দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উজবেকিস্তান তার চাহিদার সিংহভাগই মেটায় আমদানিকৃত ওষুধ থেকে উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশ থেকে ওষুধ আমদানির ক্ষেত্রে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন।
বাংলাদেশের চিকিৎসকদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা, বিশেষ করে হৃদরোগ ও স্নায়ুবিজ্ঞান বিষয়ে উজবেকিস্তানের জন্য উপকারী হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
দু’দেশের স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিশেষজ্ঞ ও গবেষক পর্যায়ে সফর বিনিময়ের উপর তিনি বিশেষভাবে জোর দেন।
আগামী দিনে বাংলাদেশ-উজবেকিস্তান সম্পর্কে, বিশেষ করে স্বাস্থ্য সেবা ও শিক্ষা ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা ও গতি যোগ হবার প্রত্যাশা প্রকাশ করার মধ্য দিয়ে বৈঠকের সমাপ্তি হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপির গয়েশ্বরের অভিযোগ নাকোচ করলেন রুশ রাষ্ট্রদূত
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, বিদ্যমান সম্পর্ক বিস্তৃতি ও বিনিয়োগের প্রত্যাশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনবল নিতে আগ্রহী মঙ্গোলিয়া: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
মঙ্গোলিয়া ডাক্তার-নার্স এবং ইঞ্জিনিয়ারসহ বিভিন্ন খাতে দক্ষ জনবল নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অনেক দক্ষ জনবল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। বিদেশি শ্রম বাজারে বাংলাদেশের শ্রমিকদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সিআইএস-বিসিসিআইকে একযোগে কাজের আহ্বান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর
মঙ্গোলিয়ার রাষ্ট্রদূত ডাক্তার-নার্স, ইঞ্জিনিয়ার এবং কন্সট্রাকশন, কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে জনবল নেওয়ার যে আগ্রহ প্রকাশ করায় দ্রুতই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন তিনি।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মঙ্গোলিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত গানবোল্ড দামবাজাভ বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, মঙ্গোলিয়া দেশটির দ্বিতীয় ভাষা ইংরেজি ঘোষণা করায় ইংরেজিতে দক্ষ জনবলের বড় চাহিদা রয়েছে বলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করলে তিনি বাংলাদেশ থেকে এ ভাষায় দক্ষ শিক্ষার্থী নেওয়ার আহ্বান জানান।
এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ইংরেজিতে অসংখ্য গ্রাজুয়েট রয়েছে যারা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ যেমন-আইএলটিএস, টোফেল, জিআরই করে নিজেদের দক্ষ করে তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন: দেশের রপ্তানিযোগ্য পণ্যের নতুন বাজার খোঁজার নির্দেশ বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর
তিনি বলেন, মঙ্গোলিয়া সরকার বাংলাদেশ থেকে এ ভাষায় দক্ষ শিক্ষার্থীদের সে দেশের স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে মঙ্গোলিয়ার সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ তৈরি পোশাকসহ নানা পণ্য পৃথিবীর অনেক দেশে রপ্তানি করে থাকে। সরকার পাটজাত ও চামড়াজাত পণ্য এবং হস্তশিল্পকে বর্ষপণ্য ঘোষণা করে ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যালসের বিশ্বব্যাপী বাজার সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গোলিয়া সরকারকেও বাংলাদেশ থেকে ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্য আমদানি করার আহ্বান জানান।
বৈঠককালে রাষ্ট্রদূত গানবোল্ড দামবাজাভ জানান, মঙ্গোলিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি প্লাস সুবিধাভোগী দেশ এবং জাপানের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্বের চুক্তি রয়েছে।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, এছাড়া চীন এবং রাশিয়ার সঙ্গেও অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে অনুকূল সম্পর্ক বিদ্যমান। তাই বাংলাদেশ মঙ্গোলিয়ার সঙ্গে বিনিয়োগসহ বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে পারে।
আরও পড়ুন: প্রতিটি ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতা-জবাবদিহি আনার চেষ্টা করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, বিদ্যমান সম্পর্ক বিস্তৃতি ও বিনিয়োগের প্রত্যাশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র অনুসন্ধানে বাংলাদেশ ও রাশিয়া অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধিসহ সব ক্ষেত্রে সম্পর্ক গভীর করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যানতিতস্কির সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।
বৈঠক শেষে হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা বাণিজ্য সুবিধা সম্প্রসারণ এবং বাংলাদেশে আরও রাশিয়ান বিনিয়োগ বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি।’
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত এবং বিমসটেক মহাসচিবের সাক্ষাৎ
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাশিয়ার ভূমিকা এবং বাংলাদেশের পুনর্গঠন প্রচেষ্টায় রাশিয়ার সমর্থনের কথাও স্মরণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র (সোভিয়েত ইউনিয়ন) বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল এবং বাংলাদেশ সৃষ্টির পথে আন্তর্জাতিক চাপ ও বাধাকে রুখে দিয়েছিল।
১৯৭২ সালের ২৫ জানুয়ারি সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম কয়েকটি দেশের মধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়ন অন্যতম।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই সোভিয়েত ইউনিয়ন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির পুনর্গঠন প্রচেষ্টায় সর্বাত্মক সহযোগিতা করে। এটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন এবং অবশেষে জাতিসংঘে যোগদানে বাংলাদেশকে তার মূল্যবান সহায়তা করেছিল।
হাছান মাহমুদ বলেন, উভয় পক্ষ কিছু বিচারাধীন সমঝোতা স্মারক নিয়ে আলোচনা করেছে এবং দুই দেশের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সহযোগিতার সমঝোতা স্মারক ত্বরান্বিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান কানেক্টিভিটির প্রশংসা জয়শঙ্করের
রুশ মুদ্রার বাণিজ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমরা যদি কয়েকটি দেশের সঙ্গে এটি করতে পারি, তাহলে নির্দিষ্ট কিছু মুদ্রার ওপর আমাদের নির্ভরতা কমে আসবে। এটা শুধু রাশিয়ার সঙ্গে নয়, যেকোনো দেশের সঙ্গেই। এটা আমাদের অর্থনীতির জন্য সহায়ক হবে।’
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, কারিগরি খাতে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছেন; সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান। 'আমাদের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে'
তিনি বলেন, জ্বালানি ও খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও দুই দেশ কাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বাংলাদেশের নাগরিকদের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত বলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) যে অভিযোগ করেছে তা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত।
‘আমি বুঝতে পারি যে পছন্দটি আপনার লোকেরা নিয়েছিল। আমরা কোনো দেশের রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করি না, বিশেষ করে বন্ধুপ্রতিম বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম দেশে। এটা এক ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য বা মিথ্যা তথ্য। ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে ৪১ শতাংশের বেশি ভোটার ভোট দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা বিশ্বাস করবেন না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের দাবির বিষয়ে এক সাংবাদিকের অনুসন্ধানের জবাবে এই বিবৃতি দেওয়া হয়।
গয়েশ্বর বলেছিলেন যে, বর্তমান সরকার বাংলাদেশী জনগণ দ্বারা নির্বাচিত হয়নি বরং এর পরিবর্তে ‘বিদেশি শক্তির ওপর ভর করে প্রতিষ্ঠিত’, বিশেষ করে ভারত, চীন এবং রাশিয়ার নাম উল্লেখ করেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গ্রেপ্তারদের বিষয়ে যা বলল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত জোর দিয়ে বলেন, গত জাতীয় নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রায় ৪১ শতাংশ ভোটার অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি বলেন, রাশিয়া অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি বজায় রাখে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির নীতি 'সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়' উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসরায়েলকে বাদ দিয়ে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের শক্তিশালী কূটনৈতিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, 'আমরা ভারত, চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ প্রধান বিশ্বশক্তির সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক বজায় রাখি এবং সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করি।’
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর আরোপিত একতরফা নিষেধাজ্ঞাকে তারা বৈধতা দেয়না।
আরও পড়ুন: বিএনপির গয়েশ্বরের অভিযোগ নাকোচ করলেন রুশ রাষ্ট্রদূত
বিএনপির গয়েশ্বরের অভিযোগ নাকোচ করলেন রুশ রাষ্ট্রদূত
ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যান্টিটস্কি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত করেছে দেশের নাগরিকরা।
বুধবার(৩১ জানুয়ারি) অভিযোগটি প্রত্যাখান করে বিবৃতি দিয়েছেন রুশ রাষ্ট্রদূত।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের দাবির বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এই বিবৃতি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক-বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে প্রত্যেক দেশই আগ্রহী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গয়েশ্বর বলেছিলেন যে বর্তমান সরকার বাংলাদেশি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি বরং ‘বিদেশি শক্তির দ্বারা প্রতিষ্ঠিত’। বিদেশি শক্তি বলতে বিশেষত ভারত, চীন এবং রাশিয়ার নাম উল্লেখ করেছিলেন বিএনপির এই নেতা।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত জোর দিয়ে বলেন, গত জাতীয় নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ৪১ শতাংশ ভোটার অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি আরও বলেন, রাশিয়া সবসময় অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি বজায় রাখে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকের পর রাষ্ট্রদূত এ মন্তব্য করেন। বৈঠকে তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়েও আলোচনা করেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান কানেক্টিভিটির প্রশংসা জয়শঙ্করের
এর আগে রবিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার সম্পর্কে বিএনপির বক্তব্যের বিষয়ে একজন সাংবাদিক দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘এই সরকার বাংলাদেশের জনগণের নির্বাচিত সরকার।’
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির নীতি 'সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়' উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসরায়েলকে বাদ দিয়ে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের শক্তিশালী কূটনৈতিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, 'আমরা ভারত, চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ প্রধান বিশ্বশক্তির সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক বজায় রাখি এবং সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গ্রেপ্তারদের বিষয়ে যা বলল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
বাংলাদেশে গ্রেপ্তারদের বিষয়ে যা বলল মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জন্য সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ সময় বিরোধী দলের সদস্য, গণমাধ্যম পেশাজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও নাগরিক জীবনে অর্থবহ অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বানও জানানো হয়।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) ওয়াশিংটনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সাংবাদিকদের বলেন, ‘সেই দৃষ্টিকোণকে এগিয়ে নিতে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখব।’
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বাংলাদেশের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে 'অবাধ ও সুষ্ঠু' বললেও মুখপাত্র বলেন, জাতীয় নির্বাচন যে ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ হয়েছে এমনটা তারা পাননি।
নির্বাচনটিকে কেন্দ্র করে বিরোধী রাজনৈতিক সদস্যদের গ্রেপ্তার নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মিলার বলেন, গণতান্ত্রিক নীতিকে এগিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবে, যা সকল বাংলাদেশির জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার চাবিকাঠি।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার সরকারকে স্বীকৃতি না দেওয়ার চিন্তা নাকচ করল যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদারে পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র: বেদান্ত প্যাটেল
বাংলাদেশের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান কানেক্টিভিটির প্রশংসা জয়শঙ্করের
বাংলাদেশের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান কানেক্টিভিটি এবং দুই দেশের জন্য বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব ভারতে এর ব্যাপক প্রভাবের প্রশংসা করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এর ব্যাপক প্রভাবের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো তারা প্রকৃতপক্ষে ভারতীয়দের বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে যেতে এবং বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে।’
জয়শঙ্কর বলেন, আসল কথা হলো তারা চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে পারবেন।
তিনি সেখানে চলাচলকারী বাস ও ট্রেনের মাধ্যমে যোগাযোগের কথাও উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: জনপ্রশাসন মন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের হাই কমিশনারের সাক্ষাৎ
নেপাল প্রসঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতে নেপালের বিদ্যুৎ রপ্তানি হিমালয়ের দেশটির জন্য একটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ লেনদেন।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আপনি ঠিকই বলেছেন যে প্রতিযোগিতা আছে। আমি আজ বলব- আমাদের প্রতিযোগিতায় ভয় পাওয়া উচিৎ নয়। আমাদের প্রতিযোগিতাকে স্বাগত জানানো উচিৎ এবং বলা উচিৎ যে আমাদের প্রতিযোগিতা করার সক্ষমতা রয়েছে।’
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট মুম্বাই ড. বিজয় চৌথাইওয়ালে’র সঞ্চালনায় একটি জ্ঞানগর্ভ কথোপকথনে ড. জয়শঙ্করকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বন্যপ্রাণী পাচার রোধে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে ভারত: পরিবেশমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের হাইকমিশনার ও রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত এবং বিমসটেক মহাসচিবের সাক্ষাৎ
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে ও বিমসটেক মহাসচিব ইন্দ্র মনি পান্ডে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তারা।
আরও পড়ুন: ইউনূসকে নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টে বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে, বিবৃতি নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রাষ্ট্রদূত লিন্ডের সঙ্গে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান সবুজ জ্বালানি ও বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সহযোগিতা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগে সুইডেনের সহায়তা নিয়ে আলোচনা করেন।
রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনায় মন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে জানান, রোহিঙ্গাদের পূর্ণ অধিকারসহ নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান।
সুইডেন এ বিষয়ে সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলে জানায় রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ায় ড. হাছান মাহমুদকে দেওয়া সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দনপত্রটি মন্ত্রীকে হস্তান্তর করেন আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি ও আর্থিক খাতের সংস্কারে কঠোর পদক্ষেপ নিন: রাষ্ট্রপতি
১৯৯৭ সালে গঠিত বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড এই সাত দেশের আঞ্চলিক সহযোগিতা সংগঠন বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল এন্ড ইকনোমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) নতুন সেক্রেটারি জেনারেল ইন্দ্র মনি পান্ডের সঙ্গে বৈঠকে বহুপক্ষীয় আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রসার নিয়ে আলোচনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান।
ঢাকায় বিমসটেক সচিবালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ, আঞ্চলিক পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা, যোগাযোগ অবকাঠামোসহ নানা বিষয়ের পাশাপাশি চলতি বছর থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য বিমসটেক দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকও আলোচনায় স্থান পায়।
আরও পড়ুন: কর্মকর্তাদের কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ আইনমন্ত্রীর
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক-বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে প্রত্যেক দেশই আগ্রহী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশই বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক এগিয়ে নিতে এবং অনেকেই বিনিয়োগ বৃদ্ধির আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, কয়েকটি দেশ আমাদের দক্ষ জনশক্তি আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আফ্রিকায় কৃষি খাতেও এই সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউনূসকে নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টে বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে, বিবৃতি নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ১৪টি দেশের অনাবাসী রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
অনাবাসী রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের সঙ্গে সাক্ষাত প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, তারা প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। কেউ কেউ ১০ বছর আগে এখানে এসেছিল, দুই-একজন বলেছেন তিনি ১২ বছর আগে এখানে এসেছিলেন আবার ২০২০ সালেও এসেছিলেন।
তারা বলেন, আগের এবং আজকের মধ্যে অনেক পার্থক্য, বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন-অগ্রগতি হয়েছে।
বোতসোয়ানা, কম্বোডিয়া, চেক রিপাবলিক, গাম্বিয়া, হাঙ্গেরি, জ্যামাইকা, লুক্সেমবার্গ, মঙ্গোলিয়া, নর্থ মেসিডোনিয়া, পেরু, স্লোভাক রিপাবলিক, স্লোভেনিয়া, উরুগুয়ে ও ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎ শেষে তাদের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক ‘মুজিব-একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি ও আর্থিক খাতের সংস্কারে কঠোর পদক্ষেপ নিন: রাষ্ট্রপতি
সুইডেনের রাষ্ট্রদূত এবং বিমসটেক মহাসচিবের সাক্ষাত-
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে আসেন সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে ও বিমসটেক মহাসচিব ইন্দ্র মনি পান্ডে।
রাষ্ট্রদূত লিন্ডের সঙ্গে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান সবুজ শক্তি ও বর্জ্য থেকে শক্তি আহরণে সহযোগিতা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগে সুইডেনের সহায়তা নিয়ে আলোচনা করেন।
রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনায় মন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে জানান, রোহিঙ্গাদের পূর্ণ অধিকারসহ নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান।
সুইডেন এ বিষয়ে সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলে জানায়।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ায় ড. হাছান মাহমুদকে দেওয়া সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দনপত্রটি মন্ত্রীকে হস্তান্তর করেন আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে। ১৯৯৭ সালে গঠিত বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড এই সাত দেশের আঞ্চলিক সহযোগিতা সংগঠন বে অভ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল এন্ড ইকনোমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) নতুন সেক্রেটারি জেনারেল ইন্দ্র মনি পান্ডের সঙ্গে বৈঠকে বহুপাক্ষিক আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রসার নিয়ে আলোচনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান।
ঢাকায় বিমসটেক সচিবালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ, আঞ্চলিক পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা, যোগাযোগ অবকাঠামোসহ নানা বিষয়ের পাশাপাশি চলতি বছর থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য বিমসটেক দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকও আলোচনায় স্থান পায়।
আরও পড়ুন: কর্মকর্তাদের কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ আইনমন্ত্রীর