বৈদেশিক-সম্পর্ক
যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে তাদের সঙ্গে সংলাপ হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
দেশে সহিংসতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার সম্ভাবনা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, 'বৈধ রাজনীতি করার পরিবর্তে যারা মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে দেয় এবং নৈরাজ্য উস্কে দেয় তাদের সঙ্গে সংলাপ অর্থহীন।’
আরও পড়ুন: নতুন সরকারের চ্যালেঞ্জ অগ্নিসন্ত্রাসের মূলোৎপাটন ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া: হাছান মাহমুদ
আগামী দিনগুলোতে বিরোধী দল বিএনপির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আওয়ামী লীগের কৌশল সম্পর্কে জানতে চাইলে দৃঢ়তার সঙ্গে তিনি একথা বলেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নির্ধারিত বৈঠকে এ বিষয়টির ওপর গুরুত্বারোপ করবেন, যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন।
আরও পড়ুন: হাছান মাহমুদকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে আঞ্চলিক সহযোগিতার বিস্তৃত প্রেক্ষাপট নিয়ে কথা বলেন ড. হাছান। তারা পারস্পরিক সমর্থন, বিশেষ করে গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখতে বাংলাদেশের প্রতি ভারতের ধারাবাহিক সমর্থন নিয়ে আলোচনা করেন।
ড. হাছান বলেন, '২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় বিতর্ক সৃষ্টির বাহ্যিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি ভারতের সমর্থন ছিল অবিচল।’
আরও পড়ুন: পশ্চিমারা নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে, সবার সঙ্গে সম্পর্কের আরও উন্নয়ন করা হবে: হাছান মাহমুদ
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের আমন্ত্রণ গ্রহণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার প্রথম দ্বিপাক্ষিক ভারত সফরের পরিকল্পনার কথা জানান। এই সফরের লক্ষ্য কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করা। তবে এ সফরের তারিখ নির্ধারণ করা হবে পরে। এছাড়া ড. হাছান উগান্ডায় বহুপাক্ষিক সফরে যাচ্ছেন।
ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে এই বৈঠক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর ড. হাছানের প্রথম কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা, যা পররাষ্ট্র ও আঞ্চলিক সহযোগিতায় তার সক্রিয় দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন হাছান মাহমুদ
ঢাকা-দিল্লী সম্পর্ক আরও বেগবান হবে: ভারতীয় হাইকমিশনার
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও বেগবান হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ সমাজ গঠনে দুই দেশ একযোগে কাজ করে যাবে।
হাইকমিশনার বলেন, দুই দেশ ক্রমবর্ধমান উন্নয়নে অবদান রেখে সহযোগিতার আরও ক্ষেত্র অনুসন্ধান করবে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রণয় ভার্মা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অংশগ্রহণ জি-২০ আলোচনা সমৃদ্ধ করবে: ভারতীয় হাইকমিশনার
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর কোনো বিদেশি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এটিই ছিল ড. হাছান মাহমুদের প্রথম বৈঠক।
এর আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ড. হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন জানান।
এক্স (পূর্বে টুইটার নামে পরিচিত) অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা একটি বার্তায় প্রণয় ভার্মা বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী (বন্ধুত্ব) আরও গভীর করতে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছি।’
আরও পড়ুন: কানেক্টিভিটির মূলে থাকা অংশীদারিত্বের তাৎপর্যের ওপর গুরুত্বারোপ ভারতীয় হাইকমিশনারের
বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে রূপরেখা দিলেন চীনা রাষ্ট্রদূত
বিস্তৃত ক্ষেত্রে নতুন সহযোগিতা সম্প্রসারণে চীন কাজ করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, নীল অর্থনীতি, আর্থিক স্থিতিশীলতা, ডিজিটাল ক্ষমতায়ন, বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, দারিদ্র্য বিমোচন এবং টেকসই উন্নয়নকে সহযোগিতার ক্ষেত্র হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও এক নিবন্ধে বলেন, ‘যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা অভিন্ন উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জন করব এবং মানবজাতির একটি সম্প্রদায়ের অভিন্ন ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সম্মিলিতভাবে অগ্রসর হব।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে ২০২৫ সালের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা আরও জোরদার করার ঐতিহাসিক সুযোগ গ্রহণ করতে প্রস্তুত দুই দেশ।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বিগত ৫২ বছরে বাংলাদেশ সব সময় তার নিজস্ব জাতীয় আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আধুনিকীকরণের পথ অনুসন্ধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জন করেছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন আশা করে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের নতুন সরকার জনগণকে জাতীয় সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের পথে দ্রুত ও অবিচলভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
এর আগে ২০২৪ সালের ১১ জানুয়ারি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং স্টেট কাউন্সিলের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন বার্তা পাঠান।
চীনা নেতারা বলেন, গত আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যে গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্যে পৌঁছেছেন তা বাস্তবায়নে দুই দেশ যৌথ প্রচেষ্টা চালাবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে উজ্জ্বল ভবিষ্যত দেখছে চীন: ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত
চীন-বাংলাদেশ কৌশলগত অংশীদারিত্বকে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধি, ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বকে উৎসাহিত করা, উন্নয়ন কৌশলকে আরও সমন্বিত এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনেশিয়েটিভকে উন্নীত করবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন ও বাংলাদেশ উভয় দেশই উন্নয়নশীল ও জনবহুল। নিজ নিজ উন্নয়ন ও অগ্রগতির একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে দেশ দুটি।
চীন একটি সমান ও সুশৃঙ্খল বহুমুখী বিশ্বের আহ্বান জানিয়েছে। একটি বিস্তৃত আন্তর্জাতিক ঐকমত্য গড়ে তুলেছে। এছাড়াও কার্যকর সমাধান প্রস্তাব করেছে। যেটিতে মানবজাতির জন্য একটি অভিন্ন ভবিষ্যৎসহ একটি সম্প্রদায় গঠনের বাস্তবতা এবং দিকনির্দেশনা রয়েছে।
তিনি বলেন, 'বহুমতের বিশ্ব সমান হওয়া উচিত বলে আমরা সমর্থন করি। অর্থাৎ সব দেশের সমতার ওপর জোর দিতে হবে। একই সঙ্গে আধিপত্য ও ক্ষমতার রাজনীতির বিরোধিতা করতে হবে। আন্তর্জাতিক বিষয়ে কয়েকটি দেশের একচেটিয়া শাসনের অবসান হতে হবে এবং কার্যকরভাবে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গণতন্ত্রীকরণকে উৎসাহিত করতে হবে।’
সব দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ইস্যুগুলোর সমাধান করতে হবে এবং বিশ্বের ভবিষ্যৎ ও ভাগ্য সব দেশের হাতে থাকা উচিত।
তিনি বলেন, মানবজাতির অভিন্ন ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি কমিউনিটি গড়ে তোলা ইতিহাসের সাধারণ ধারা এবং মানুষের প্রত্যাশা তুলে ধরে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, 'বিশ্বের ভবিষ্যৎ সব দেশ যৌথভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে, যা আরও বেশি দেশ উপলব্ধি করতে পেরেছে এবং আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে তা তৈরি করতে হবে।’
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনের পর স্থিতিশীলতা ও বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: আশা চীনা রাষ্ট্রদূতের
পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসির অভিনন্দন
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি। পারস্পরিক স্বার্থে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করারও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো এক চিঠিতে সিসি বলেন, 'আপনার দেশে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নতুন মেয়াদে আসীন হওয়ায় আমি আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে রুশ প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার পুনঃনির্বাচিত হওয়া যোগ্য নেতৃত্বের প্রতি বাংলাদেশিদের আস্থা ও বিশ্বাসকে প্রতিফলিত করে বলেও উল্লেখ করেন মিশরের প্রেসিডেন্ট।
সিসি বলেন, 'এই ভালো সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আমি আনন্দের সঙ্গে স্বীকার করছি যে, মিশর ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের জনগণের পারস্পরিক স্বার্থে আগামী বছরগুলোতে আমাদের দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।’
মিশরের প্রেসিডেন্ট বলেন, 'আমার অভিনন্দন পুনর্ব্যক্ত করে আপনার মঙ্গল ও অব্যাহত সাফল্য কামনা করছি। বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম জনগণের কল্যাণ ও সমৃদ্ধির জন্য আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
হাছান মাহমুদকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
বাংলাদেশের নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকর।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে এক এক্স (টুইটার) বার্তায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লেখেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হওয়ায় ড. হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন। ভারত ও বাংলাদেশের মৈত্রী আরও গভীর করতে আমরা একসঙ্গে কাজের প্রত্যাশা করি।’
আরও পড়ুন: পাট উৎপাদনে উৎসাহিত করা হবে: পাটমন্ত্রী
এর আগে দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব গ্রহণের পর মন্ত্রণালয়ের মিলনায়তনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন মন্ত্রী।
এ সময় ড. হাছান বলেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত, ওআইসিভুক্ত, সার্কভুক্ত দেশগুলো এবং এর বাইরেও আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে বিপুল সংখ্যক পর্যবেক্ষকরা এসেছিলেন। তারা অকপটে স্বীকার করেছেন এবং প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, দেশে একটি সুষ্ঠু অবাধ, জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: টেলিকম খাতকে লাভজনক অবস্থায় উত্তরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে: পলক
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান প্রধানমন্ত্রীকে নতুন সরকার গঠন করার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে। মন্ত্রিপরিষদের শপথ গ্রহণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো, ভারত, রাশিয়া, চীন ও বিভিন্ন দেশের বিপুল সংখ্যক রাষ্ট্রদূতেরা উপস্থিত ছিলেন। অর্থাৎ তারা নতুন সরকারকে সম্ভাষণ জানানোর জন্য সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং সবাই আমাদের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করার অভিমত ব্যক্ত করেছে।’
এ সময় পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, সচিব (সামুদ্রিকবিষয়ক ইউনিট) রিয়াল এডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম, অতিরিক্ত পররাষ্ট্রসচিব ড. মো. নজরুল ইসলাম এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ছিলেন।
আরও পড়ুন: গুচ্ছে যুক্ত হচ্ছে নতুন ৩ বিশ্ববিদ্যালয়
পূর্ব-পশ্চিমের সব দেশ আমাদের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বহিরাগত চাপের কথা অস্বীকার করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিভক্ত বিশ্বের প্রেক্ষাপটেও ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’-এই পররাষ্ট্রনীতিতে অবিচল থাকবে বাংলাদেশ।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি)পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘পূর্ব ও পশ্চিমের সব দেশই আমাদের সরকারের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।দিন শেষে তারা আমাদের উন্নয়নের অংশীদার এবং আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল-গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে আ. লীগ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খুরশেদ আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিশ্ব ধীরে ধীরে বিভক্ত হয়ে পড়ছে এবং এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এটি একটি চ্যালেঞ্জ।
বঙ্গভবনে নবনির্বাচিত সরকারের মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূতসহ ঢাকায় নিযুক্ত সব রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন হাছান মাহমুদ
নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা সবাই বর্তমান সরকারকে অভিনন্দন জানাতে এসেছেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রতিটি দেশের নিজস্ব ‘দৃষ্টিভঙ্গি ও বিবরণ (পারসপেক্টিভ অ্যান্ড ন্যারেটিভ)’ রয়েছে এবং বাংলাদেশ সরকার সেই দৃষ্টিভঙ্গি ও বক্তব্যকে মূল্য দেয়।
নতুন ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মন্ত্রণালয়। এটি একটি চ্যালেঞ্জ।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের বিবৃতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের বর্ণনা অনুযায়ী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা দেশের উন্নয়নের জন্য পাশ্চাত্য বা প্রাচ্য সব দেশের সঙ্গে কাজ করব। আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্বে বিশ্বাস করি, কারো সঙ্গে বৈরিতা করি নয়।’
তিনি বলেন, সরকার অর্থনৈতিক কূটনীতিতে মনোনিবেশ করবে এবং এই ক্ষেত্রে প্রচেষ্টা জোরদার করবে।
মন্ত্রী জানান, বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ সংকট মোকাবিলায় বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স নিশ্চিত করতে তিনি কাজ করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তথ্য মন্ত্রণালয় একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। আপনাদের সহযোগিতায় আমি সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছি। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এটি অবশ্যই একটি চ্যালেঞ্জ এবং এখন বিশ্বের বিভিন্ন অংশে যুদ্ধ চলছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের ঠিক আগে ট্রেনে আগুন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্তের চূড়ান্ত অভিপ্রায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তারা সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। ইনশাআল্লাহ এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব এবং দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করব, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করব।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্ট সেবায় ‘কল সেন্টার’ উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ছয়টি আন্তর্জাতিক সংস্থার বিবৃতি প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের
সম্প্রতি দেশে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে ছয়টি আন্তর্জাতিক সুশীল সমাজ ও সংস্থার পক্ষপাতদুষ্ট ও অযৌক্তিক বিবৃতিকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ সরকার।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, ওই ছয়টি সংস্থার দেওয়া বিবৃতিতে উত্থাপিত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং বিভিন্ন দেশ ভূয়সী প্রশংসা করেছে এবং নতুন সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, উৎসবমুখর পরিবেশে এবং জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৮টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মোট ১ হাজার ৫৩৪ জন প্রার্থী এবং ৪৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। এ নির্বাচনে কোনো কোনো জায়গায় বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় ভোট প্রদানের হার ৭০ শতাংশ বা তার চেয়েও বেশি ছিল। তবে, শহর এলাকায় তুলনামূলক কম ভোটার উপস্থিতির কারণে সারাদেশে গড় ভোটের হার ছিল ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ইসিতে ১৮০ জন বিদেশি আবেদন করেছেন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মন্ত্রণালেয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করেছে। নির্বাচনের আগে বিএনপির সহিংসতা এবং নির্বাচন বানচাল করার হুমকি সত্ত্বেও, মাত্র কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ভোটের দিনটি ছিল শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর। সক্রিয়ভাবে মাঠ পর্যায় থেকে নির্বাচনের প্রতিবেদন তৈরি করা আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকরা তাদের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ার এর সত্যতা প্রকাশ করেছেন বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনকে সামনে রেখে সংযম এবং আইনি সীমানা মেনে সহিংসতার ঘটনাগুলো মোকাবিলা করেছেন। রাজনৈতিক কারণে কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। নির্বাচন বানচালের জন্য যারা মানুষ ও যানবাহনে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করেছে, আগুন দিয়েছে, মানুষকে হত্যা ও আহত করেছে এবং জনজীবন ব্যাহত করেছে তাদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে এবং সব নাগরিকের অধিকার রক্ষার জন্য এই পদক্ষেপগুলো প্রয়োজনীয় ছিল।
যৌথ বিবৃতিটি বিভ্রান্তিকর, একতরফা ও অগ্রহণযোগ্য। গণতন্ত্রবিরোধী ও নির্বাচনবিরোধী শক্তিকে উৎসাহিত করতে উদ্দেশ্যমূলক এ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে বলেও মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: তিস্তা নদীর উন্নয়নমূলক প্রকল্পে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশের নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে ‘বহিরাগত প্রচেষ্টা’ ছিল: রাশিয়া
নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করার ‘বহিরাগত প্রচেষ্টা’ সত্ত্বেও ভোটারদের মত প্রকাশের ইচ্ছার জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করার জন্য বাংলাদেশের নেতৃত্বকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেছে রাশিয়া।
বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচন ও নতুন সরকার প্রসঙ্গে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, ‘নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে বহিরাগতদের প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা গেছে। এর আগেও আমরা গত বছরের ২২ নভেম্বর ও ১৫ ডিসেম্বরে উল্লেখ করেছি।’
আরও পড়ুন: রাশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ডের সভাপতি হলেন ড. ইউনূস
তিনি বলেন, স্থানীয় পর্যবেক্ষক ও রাশিয়াসহ ২০০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নির্বাচনের বৈধতা ও সাধারণভাবে গৃহীত শর্ত মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য, রুশ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের সদস্য আন্দ্রে শুতভ নির্বাচনের সময় বাংলাদেশে রুশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গভর্নর সের্গেইভিচের বৈঠক অনুষ্ঠিত
শেখ হাসিনাকে রুশ প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিন।
রুশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের নবগঠিত সরকারের প্রধান পদে নিযুক্ত হওয়ায় রুশ ফেডারেশন সরকার ও ব্যক্তিগতভাবে আমি আপনাকে অভিনন্দন জানাই।’
তিনি বলেন, বন্ধুত্ব, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও অংশীদারিত্বের চেতনায় বাংলাদেশ-রাশিয়া সম্পর্ক ক্রমাগত বিকশিত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিন বলেন, ‘বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক, প্রাযুক্তিক, সাংস্কৃতিক ও মানবিক ক্ষেত্রে বৃহত্তর সহযোগিতায় সরকার পর্যায়ে সক্রিয় যৌথ কাজ সহায়ক হবে বলে আমি আত্মবিশ্বাসী।’
শনিবার ঢাকাস্থ রুশ দূতাবাস থেকে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, যা রুশ ফেডারেশন ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বার্থের সঙ্গে পূর্ণভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
তিনি শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য, কল্যাণ ও দায়িত্বশীল কর্মকাণ্ডে সফলতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়ানের অভিনন্দন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সুবিধার্থে আসিয়ান আরও কাজ করুক: বাংলাদেশ
মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনোয়ার হোসেন বলেছেন, বাস্তুচ্যুত ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে নিজ দেশে প্রত্যাবাসনে আসিয়ান চেয়ার আরও ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।
২০১৭ সালে মিয়ানমারের দমন-পীড়ন থেকে বাঁচতে রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গারা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে রোহিঙ্গা নারীদের জন্য চীনের অনুদানে ইউএনএইচসিআরের ধন্যবাদ
আসিয়ান চেয়ারম্যানের বিশেষ দূত আলাউনকিও কিতিখোন শুক্রবার ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাসে রাষ্ট্রদূত মনোয়ার হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
লাও পিডিআর ১ জানুয়ারি থেকে আসিয়ানের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করায় কিতিখোনকে মিয়ানমারে বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। মিয়ানমারে বিশেষ দূতের এটাই প্রথম সফর।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, পুড়েছে ৮টি শেড
সাক্ষাৎকালে বিশেষ দূত মিয়ানমারের এসএসি চেয়ারম্যান, সরকারি কর্মকর্তা ও অন্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে তার বৈঠকের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে জানান।
পাঁচ দফা ঐকমত্য বাস্তবায়ন, বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন সম্পর্কিত বিষয়ে আসিয়ান চেয়ারম্যানের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন আলাউনকিও।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ও আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের প্রয়োজনকে অবহেলা করতে পারি না: ইউএসএইড
রাষ্ট্রদূত ও বিশেষ দূত ২০২৪ সাল জুড়ে এ বিষয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন।
কিতিখোন একজন লাওসীয় কূটনীতিক যিনি ২০১৬-২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মন্ত্রী এবং ১৯৯৩-২০০৭ সালে নিউইয়র্কে জাতিসংঘে লাও রাষ্ট্রদূত এবং স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের সহায়তায় আরও ৮৭ মিলিয়ন ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র