���������������������-���������������������
দেশকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপনে কোনো কৃতিত্ব নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজের দেশকে অভ্যন্তরীণ ও বিদেশে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপনের মধ্যে কোনো কৃতিত্ব নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
অপপ্রচার থেকে বিরত থেকে দেশকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, 'গণমাধ্যমের দায়িত্ব সাদাকে সাদা বলা এবং কালোকে কালো বলা।’
রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন্স রিপোর্টার্স ফোরাম, বাংলাদেশ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্ক পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় তদন্ত হচ্ছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন, ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন্স রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি হাসান মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুল হক সুজন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরতে বিরোধীদল ওভারটাইম কাজ করছে।
তিনি বলেন, তাদের কিছু 'পেইড এজেন্ট' অপপ্রচার চালায় যা মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে।
তিনি বলেন, ‘যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে মূলধারার গণমাধ্যমকে কাজ করতে হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একই গোষ্ঠী পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে এবং কোভিড-১৯ মহামারির সময় ভ্যাকসিন ইস্যুতে কীভাবে অপপ্রচার চালিয়েছিল।
ভারতীয় পণ্য বর্জনের জন্য বিএনপির আহ্বানের সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, এ ধরনের রাজনীতি দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনে না।
তিনি বলেন, ‘সমালোচনা হতে পারে, কিন্তু দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে নয়।’
পেশাগত দায়িত্ব পালনে বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও তাদের প্রচেষ্টার জন্য সাংবাদিকদের প্রশংসা করেন হাছান।
তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকরা বিভিন্ন দিক থেকে চাপের মধ্যে কাজ করেন। এ পেশাকে ভালোবেসে তারা সাংবাদিকতায় নিয়োজিত। তারা মেধাবী।’
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তানের চর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিদ্যুৎ খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি জরুরি: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুৎ খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অপরিহার্য।
এ বিষয়ে আলোচনা চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভারত ও নেপালের কাছে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছে।
শনিবার রাজধানীর বারিধারায় নেপাল দূতাবাসে 'প্রি-ইভেন্ট সেমিনার অন দ্য থার্ড নেপাল ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২৪' শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে সঞ্চালন লাইন স্থাপন করা হলে বিদ্যুৎ আমদানির পাশাপাশি রপ্তানিও করা যাবে।
তিনি বলেন, আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে সীমান্ত পেরিয়ে লাভজনক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা সম্ভব।
আরও পড়ুন: সব উন্নয়ন উদ্যোগে পরিবেশ সংরক্ষণকে অগ্রাধিকার দেয় বাংলাদেশ: বার্লিনে নসরুল হামিদ
তিনি বলেন, ‘সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমাদের অঞ্চলের সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগানো যেতে পারে। টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর একসঙ্গে কাজ করা অপরিহার্য।’
নসরুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ প্রথম ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করেছে। এখন ভারত থেকে প্রায় ২৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে।
তিনি উল্লেখ করেন, ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশের ভেড়ামারা এইচভিডিসি উপকেন্দ্রের অব্যবহৃত ক্ষমতার মাধ্যমে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে।
‘নেপালের জাতীয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ (এনইএ) এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) মধ্যে দাম নির্ধারণ প্রায় সম্পূর্ণ।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নেপাল ও ভারতের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রির সুযোগ নিয়িই নেপালের সানকোশি-৩ প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে বিপিডিবি।
তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন হয়েছে। এগিয়ে যাওয়ার জন্য দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে।’
জিএমআর প্রকল্পে ভারতীয় কোম্পানির যৌথ বিনিয়োগে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আমদানির বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে।
আরও পড়ুন: জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে এআইআইবির আরও বিনিয়োগ চায় সরকার : নসরুল হামিদ
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট নেপালি প্রকৌশলীদের মানসম্মত প্রশিক্ষণ দিতে পারে।
সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনে বাংলাদেশ নেপালকে সহায়তা করতে পারে।
নসরুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ থেকে বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা নেপালের বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী। তাদের উৎসাহিত করতে নেপালের উচিত বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করা।
বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি তার বক্তব্যে বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নেপালে বিনিয়োগের পরিবেশ আরও উদার ও ব্যবসাবান্ধব করা হয়েছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার নেপালের অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশেষ করে বিদ্যুৎ খাতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রথমবারের মতো এই দুটি দেশ পরিবেশবান্ধব জলবিদ্যুৎ নিয়ে বাণিজ্যের পথে অনেক দূর এগিয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নেপাল ইনভেস্টমেন্ট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুশীল ভাট্টা।
আরও পড়ুন: স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্দেশিকা প্রয়োগে জ্বালানির দাম কমতে পারে: নসরুল হামিদ
লস এঞ্জেলসে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উদযাপন
যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলেসস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল যথাযোগ্য মর্যাদা, উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদযাপন করা করেছে।
স্থানীয় সময় ২৬ মার্চ এ উপলক্ষে কনস্যুলেট জেনারেল লস এঞ্জেলেসস্থ হোটেল হিলটন এলএ ইউনিভার্সাল স্টুডিও সিটিতে এক কূটনৈতিক অভ্যর্থনার আয়োজন করে। এ অভ্যর্থনায় লস এঞ্জেলেস কাউন্টির রাষ্ট্রাচার প্রধান, অফিস অব ফরেন মিশনের আঞ্চলিক পরিচালক ও লস এঞ্জেলেস মেয়রের প্রতিনিধি শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। এছাড়া এ অনুষ্ঠানে লস এঞ্জেলেস মেয়রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলকে একটি স্মারক সনদপত্র প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গভবনে ভুটানের রাজা-রানীকে সংবর্ধনা
কনসাল জেনারেল সামিয়া আঞ্জুম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- এর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে জাতির পিতার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং দেশ গঠনে তার অবিস্মরণীয় অবদানের কথা স্মরণ করেন।
বিগত দেড় দশকে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব সাফল্য এবং দেশে বিদ্যমান বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশের চিত্র তুলে ধরেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সাম্প্রতিকালের উন্নয়নের উপর নির্মিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বাংলাদেশের পাটকে বিশ্ব দরবারে, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে পাটজাত পণ্য দিয়ে সুসজ্জিত অনুষ্ঠানস্থল আগত অতিথিদের নজর কেড়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত পণ্যে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে একাধিক তথ্যবহুল প্রচারণামূলক ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।
লস এঞ্জেলেসে বিভিন্ন দেশের কনসাল জেনারেলসহ কূটনৈতিক কোরের সদস্য, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তা, মার্কিন শুল্ক ও বর্ডার প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা, বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠনের প্রতিনিধি, বাংলাদেশের কমিউনিটি এবং প্রেস ও মিডিয়ার সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এ দিন সকালে কনস্যুলেট জেনারেলের সকল সদস্য ও কমিউনিটির নেতাদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান-এর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারের শহীদ সকল সদস্য, জাতীয় চার নেতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার আত্মার মাগফেরাত এবং দেশের শান্তি, মঙ্গল ও উন্নয়ন কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
আরও পড়ুন: শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশে স্বাধীনতা দিবস পালিত
বস্ত্র-পাট খাতে চীনের বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ
চীনের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের বস্ত্র ও পাট খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার(২৮ মার্চ) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আহ্বান জানান বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত সচিব তাসলিমা কানিজ নাহিদা, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নুরুজ্জামান, জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক গোপাল চন্দ্র দাস, চীনা দূতাবাসের ইকোনমিক ও কমার্শিয়াল কাউন্সিলর সং ইয়ং এবং অ্যাটাশে লি জিচেন উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী বলেন, চীনের রাষ্ট্রদূত বিভিন্ন খাতের উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেছেন।
সাক্ষাৎকালে তারা চীনা শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার সুযোগসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামের ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা
সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশের বস্ত্র ও পাট খাতের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা করেন।
চীনের রাষ্ট্রদূত টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নানক বলেন, চীন বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে 'স্মার্ট বাংলাদেশ' গড়তে চীন তার সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
আরও পড়ুন: সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন ভুটানের রাজা
সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন ভুটানের রাজা
চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে ভারত হয়ে ভুটানের উদ্দেশে বাংলাদেশ ত্যাগ করেছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে কুড়িগ্রামে ‘ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ পরিদর্শন শেষে নিজ দেশের উদ্দেশে রওনা হন রাজা।
সফররত ভুটানের রাজাকে বিদায় জানান নৌ পরিবহনমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
এর আগে ভুটানের রাজা ১৪ সদস্যের সফর সঙ্গী নিয়ে সকালে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতণ করেন। পরে সড়ক পথে দুপুর পৌনে ১২টায় কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউজে পৌঁছেন। সেখানে মধ্যান্য ভোজ শেষে দুপুর দেড়টায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামের ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বিধায়ক রায় চৌধুরী, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবীর, পরিচালক ডি এম আতিকুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাউথ এশিয়ার মহাপরিচালক রকিবুল হক, চিফ অব প্রটোকল নাঈম উদ্দিন আহমেদ এবং নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব মো. আমিনুর রহমান।
উল্লেখ্য, সোমবার (২৫ মার্চ) চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে আসেন রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। সফরকালে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দিপক্ষীয় বৈঠক ও সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিনি। পাশাপাশি মহান স্বাধীনতা দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাজা ও রানি।
আরও পড়ুন: ভুটানের রাজাকে ঢাকায় লাল গালিচা সংবর্ধনা
কুড়িগ্রামের ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা
চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের শেষ দিনে কুড়িগ্রামের ‘ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ পরিদর্শন করেছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়াল ওয়াংচুক।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) কুড়িগ্রামের ধরলাপাড়ের অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত স্থানটি পরিদর্শন করেন তিনি।
এ সময় তার সঙ্গে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
‘ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’র জন্য প্রস্তাবিত কুড়িগ্রাম এলাকাটি পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভুটানের রাজা।
অর্থনৈতিক অঞ্চলসংলগ্ন যাতায়াত ব্যবস্থা ও পোর্ট কানেক্টিভিটি নিয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
জিটুজি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য রাজা তার সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শুরুর পাশাপাশি সব সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
একইসঙ্গে ‘ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ স্থাপনে সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত করতে বেজা’র নির্বাহী চেয়ারম্যানকে অনুরোধ জানান রাজা।
উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু হলে পুনরায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলটি পরিদর্শনের আগ্রহ ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউট পরিদর্শন করেছেন ভুটানের রাজা
রাজা এই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্থানীয় ও আঞ্চলিক চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি আরও জানান, ভূটান থেকে এ বিষয়ে একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল বিনিয়োগের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহে শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আসবে।
এর আগে গত সোমবার (২৫ মার্চ) জিটুজি (সরকার ও সরকার পর্যায়ে) ভিত্তিক বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও ভুটানের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই করা হয়। বাংলাদেশের পক্ষে স্মারকে সই করেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন।
এছাড়া গত ২৭ মার্চ রাজার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুনের দ্বিপক্ষীয় সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ভুটানের রাজার সফর বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের সাক্ষ্য: যৌথ বিবৃতি
এর আগে ২০২৩ সালের ৬ মে মাসে লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাজার সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশের কুড়িগ্রামে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার আগ্রহ দেখায় ভুটান।
উল্লেখ্য, কুড়িগ্রামের সদর উপজেলায় মাধবরামে ২১৯ দশমিক ৬৪ একর জমিতে বাংলাদেশ সরকার ও ভুটান সরকারের যৌথ উদ্যোগে জিটুজি ভিত্তিতে ‘ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গভবনে ভুটানের রাজা-রানীকে সংবর্ধনা
রোম-ঢাকা রুটে বিমানের ফ্লাইট উদ্বোধন উপলক্ষে মত বিনিময় সভা
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের রোম-ঢাকা রুটে ফ্লাইট উদ্বোধন উপলক্ষে ইতালির রোমে ইতালি প্রবাসীদের জন্য ইফতার ও মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) রোমের এক অভিজাত রেস্তোরাঁয় এ আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদ সদস্য, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, ইতালি আওয়ামী লীগের সভাপতি বিমান ফ্যান্স ক্লাব ইতালির সদস্যরা ছিলেন।
উল্লেখ্য, ৯ বছর পর ২৭ মার্চ থেকে ঢাকা-রোম-ঢাকা রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট আবার চালু হয়েছে। উদ্বোধনী ফ্লাইটটি রোমে পৌঁছানোর পর রোম এয়ারপোর্ট অথরিটি (এডিআর) ও ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম বিমানবন্দরে এসে যাত্রীদের এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কনভয়কে স্বাগত জানান।
বিমানের বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার এয়ারক্রাফট দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে রোম রুটের ফ্লাইট। রোম থেকে ঢাকা রুটে প্রথম ফ্লাইটে ১১টি বিজনেস ক্লাস এবং ২৪৩টি ইকোনোমিক ক্লাসে যাত্রীসহ পূর্ণ হয় বিমানটি।
এ পথে আবার বিমান চালু হওয়ায় ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশিরা দারুণ খুশি এবং তারা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
ইসরায়েলির পুরস্কার নিয়ে গণহত্যার পক্ষ নিয়েছেন ড. ইউনূস: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইউনূস সেন্টারের ‘মিথ্যাচার’ ও ইসরায়েলি ভাস্করের কাছ থেকে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের পুরস্কার পাওয়াকে ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় বলেন, ‘আমি খুব অবাক হয়েছি..... এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’
তিনি বলেন, গাজায় শিশু ও নারীসহ মানুষ হত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে অধ্যাপক ইউনূসের কাছ থেকে প্রতিবাদের একটি শব্দও শোনা যায়নি।
হাসান বলেন, ‘গাজার এই পরিস্থিতিতে অধ্যাপক ইউনূস একজন ইসরায়েলির কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন। এটা কী? এটার কী মানে? এর মানে কি তারা গাজায় ইসরাইলি হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করছে?’
তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূসকে ইউনেস্কো পুরস্কৃত করেনি, এটা ইউনূস সেন্টার মিথ্যা প্রচার করেছে।
ইউনূস সেন্টারের মিথ্যাচারের ঘটনা এটিই প্রথম নয়, এর আগেও তারা একই ধরনের মিথ্যাচার করেছে বলে মন্তব্য করেন ড. হাছান।
আরও পড়ুন: ইউনেস্কো পুরস্কার পাননি ড. ইউনূস: মহিবুল হাসান
এর আগে গত বুধবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাংলাদেশ ইউনেস্কো কমিশনের চেয়ারম্যান ও শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে 'দ্যা ট্রি অব পিস' পুরস্কার দেয়নি ইউনেস্কো।
তিনি বলেন, আজারবাইজানের গঞ্জাভি ফাউন্ডেশনের আমন্ত্রণে ড. ইউনূসকে একজন ইসরায়েলি ভাস্কর 'ট্রি অব পিস’ পুরস্কারে ভূষিত করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, ইউনেস্কো থেকে পুরস্কার পেয়েছেন বলে ড. ইউনূস যে দাবি করেছেন তা অসত্য।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে ইউনূস সেন্টার যে তথ্য প্রচার করেছে তা অসত্য ও বিভ্রান্তিকর। সঠিক রেকর্ড তুলে আনা জরুরি; যাতে কোনো ভুল তথ্য আমাদের দেশের সুনাম নষ্ট না করে। এটা বাংলাদেশের জন্য অপমানজনক বিধায় এ বিষয়ে ইউনেস্কো সদর দপ্তরে ব্যাখ্যা পাঠানো হবে।’
আরও পড়ুন: ইউনূসকে নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টে বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে, বিবৃতি নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইউনূস সেন্টার ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে মিথ্যা দাবি অব্যাহত রাখলে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দেন মন্ত্রী। তিনি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ড. ইউনূস এবং বাংলাদেশ উভয়ের সুনাম যাতে ক্ষুণ্ন না হয় সেজন্য অবিলম্বে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার বন্ধ করার আহ্বান জানান।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: কোনো অপরাধ করিনি, শঙ্কিত কেন হবো: দুদক কার্যালয়ে ড. ইউনূস
সীমান্তে বাংলাদেশিদের মৃত্যু কমেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অতীতের তুলনায় সাম্প্রতিক দিনগুলোতে প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে, যার ফলে দুই দেশের সীমান্তে বাংলাদেশিদের মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে।
তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। কিছুদিন আগে আমি যখন ভারত সফরে গিয়েছিলাম, তখন আমরা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করেছি, যাতে সীমান্তে প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র ব্যবহার করা যায়। অতীতের তুলনায় এখন প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে।’
লালমনিরহাট ও নওগাঁয় সাম্প্রতিক সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়েছে।
আরও পড়ুন: জিম্মি জাহাজ ও ক্রুদের মুক্ত করার প্রচেষ্টায় অগ্রগতি হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিজিবির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, সীমান্ত এলাকায় এ ধরনের কোনো ঘটনা যেন না ঘটে তা তারা দেখতে চান।
বিজিবি ও বিএসএফ যৌথ টহল, নজরদারি, জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি জোরদার, অপরাধী বা বাসিন্দাদের সীমান্ত অতিক্রম রোধ এবং তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হতাহতের সংখ্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে সম্মত হয়েছে।
তিনি বলেন, যেহেতু বিজিবি ও বিএসএফ সম্পৃক্ত রয়েছে, তারা মনে করে সীমান্ত সমস্যার সমাধান হতে পারে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে দেশের বাজারকে অস্থিতিশীল করাই বিএনপির উদ্দেশ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জিম্মি জাহাজ ও ক্রুদের মুক্ত করার প্রচেষ্টায় অগ্রগতি হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মুক্ত করতে সরকারের প্রচেষ্টার অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা জানান তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য নাবিকদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা এবং একই সঙ্গে জাহাজটিকেও উদ্ধার করা। আমি শুধু বলতে চাই, আমরা অনেক এগিয়েছি।’
আরও পড়ুন: নাবিক ও জিম্মি জাহাজ মুক্ত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, তারা যোগাযোগ রক্ষা করছেন এবং ক্রুদের উদ্ধারে বহুমুখী প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
জাহাজে খাদ্য সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনায় অতীতে কখনও খাদ্য সংকট দেখা দেয়নি। আশা করছি এ ক্ষেত্রেও তা হবে না।’
বাংলাদেশি জাহাজ ও ২৩ নাবিককে জিম্মি করার ৯ দিন পর সোমালি জলদস্যুরা মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
আরও পড়ুন: জাহাজ ও নাবিকদের বিপদমুক্ত করাই লক্ষ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী