রংপুর
রাণীশংকৈলে সাপের কামড়ে কৃষকের মৃত্যু
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে নিজের শোবার ঘরে সাপের কামড়ে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৩ জুন) রাতে উপজেলার বাঁচোর ইউনিয়নের টেকিয়া মহেশপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জাহাঙ্গীর আলম (৪৬) ওই গ্রামের মৃত জমশেদ মোড়লের ছেলে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় সাপের কামড়ে বউ-শাশুড়ির মৃত্যু
জাহাঙ্গীর আলমের পরিবারের সদস্যরা জানান, শুক্রবার ভোররাতে নিজ ঘরের শয়নকক্ষে সাপে কামড়ালে প্রথমে বুঝতে না পেরে স্থানীয় ওঝার কাছে ঝাড়ফুঁক করান।
অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাঁচোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিতেন্দ্র নাথ বলেন, মহেষপুর এলাকার কৃষক জাহাঙ্গীর আলম সাপের কামড়ে মারা গেছেন বলে তার পরিবার আমাকে জানিয়েছে।
রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গুলফামুল ইসলাম মণ্ডল জানান, জাহাঙ্গীর আলম সাপের কামড়ে মারা গেছেন বলে হাসপাতালের চিকিৎসক নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: শরণখোলায় বসত ঘর থেকে ৬ ফুট লম্বা সাপ উদ্ধার, বনে অবমুক্ত
কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে ১৫ ফুট ও ১৭ কেজি ওজনের অজগর সাপ অবমুক্ত
ঠাকুরগাঁওয়ে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে বাসের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়াও আহত হয়েছেন আরও দুই জন।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলার পাটগাঁও এলাকায় রাণীশংকৈল-পীরগঞ্জ মহাসড়কে রাজ পরিবহনের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মোটরসাইকেল আরোহী আল আমিন (৩৬) উপজেলার আমজুয়ান গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহত
আহতরা হলেন- একই গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মাজেদ আলী (৪২) এবং তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে বেলাল (৩৯)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাণীশংকৈল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী রাজ পরিবহনের একটি বাস তাদের ধাক্কা দেয়। এসময় আল আমিন মহাসড়কের পাশে ছিটকে পড়েন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
পরে আহত আল আমিনকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর মেডিকেলে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
আহতরাও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গুলফামুল ইসলাম মণ্ডল জানান, ঘাতক রাজ পরিবহনের কোচটিকে পীরগঞ্জ উপজেলায় আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন আইনে মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় সিএনজি চালক নিহত
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
কুড়িগ্রামে বন্যায় ১২ হাজার পরিবার পানিবন্দী, খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে জেলার ৯ উপজেলায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে নিম্নাঞ্চলের প্রায় ১২ হাজার পরিবার।
এতে করে ভোগান্তি বেড়েছে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষজনের। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছে চরাঞ্চলের পরিবারগুলো।
বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকায় নতুন জেগে ওঠা চরাঞ্চলের ঘরবাড়িতে ৫ দিনে ধরে পানিতে তলিয়ে থাকায় চরম দুর্ভোগে রয়েছেন তারা। অনেকেই ঘর-বাড়ি ছেড়ে নৌকা ও উঁচু স্থানে অবস্থান করলেও শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকটে পড়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: রেকর্ড বৃষ্টিতে তলিয়ে যাওয়া রংপুরে পানিবন্দী ৫০ হাজার মানুষ
জানা গেছে, উলিপুর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকার পূর্ব বালাডোবা, কালির আলগা, মুসারচর ও সদরের পোড়ার চরসহ ১০টি চরে বসবাসকারী দুই শতাধিক পরিবার ঘর বাড়ি ছেড়ে নৌকা ও উঁচু জায়গায় অবস্থান নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে।
এই পরিবারগুলোর ঘর বাড়ি তলিয়ে থাকায় ঠিকমতো রান্না করতে পারছেন না তারা। পাশাপাশি পরিবারগুলোর হাতে কোনো কাজ না থাকায় শুকনো খাবার এবং নলকুপ তলিয়ে থাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়েছেন তারা।
এদিকে নদ-নদীর অববাহিকার গ্রামীণ সড়ক তলিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। জেলার প্রায় ১০০ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
চারণভূমি তলিয়ে থাকায় চরাঞ্চলগুলো গবাদি পশুর খাদ্য নিয়েও বিপাকে পড়েছেন বন্যা কবলিতরা। এছাড়া কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে কুড়িগ্রামের সবকটি নদ-নদীতে পানি বিপদ সীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুপুর ১২টায় দেয়া তথ্যমতে জেলার পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদের পানি বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়াও কুড়িগ্রাম সদরের ধরলার সেতু পয়েন্টে ৩৯ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ৫৫ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৬১ সেন্টিমিটার ও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ৮৯ সেন্টিমিটার বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের পুর্ববালাডোবার চরের আব্দুর রহমান জানান, এই চরে ৪৯টি পরিবারের বসবাস। চরটি নতুন এবং নিচু হওয়ায় এখানকার বেশির ভাগ ঘর বাড়িতে কোমর সমান পানি উঠেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, বাড়ছে পানিবন্দী মানুষের দুর্ভোগ
গাইবান্ধায় মায়ের বিরুদ্ধে নবজাতককে হত্যার অভিযোগ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে এক নারীর বিরুদ্ধে নিজের নবজাতককে শ্বাসরোধে হত্যা করে ড্রেনে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৩ জুন) গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত কল্পনা রানী (৪০) ওই উপজেলার দরবস্ত গ্রামের দেবেন্দ্র নাথ বর্মণের (৪৫) স্ত্রী এবং দুই সন্তানের জননী।
আরও পড়ুন: নাটোরে সদর হাসপাতাল থেকে অভিনব কায়দায় নবজাতক চুরি
গ্রেপ্তারের পর কল্পনা রানী গোবিন্দগঞ্জের চৌকি আদলতের বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারায় নবজাতককে হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে শুক্রবার ওই নারীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, প্রায় ২০ বছর আগে ওই গ্রামের মৃত রামতনু চন্দ্র বর্মণের ছেলে দেবেন্দ্র নাথ বর্মণের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই সন্তান রয়েছে। আট বছর আগে দেবেন্দ্র নাথ বর্মণ স্ত্রীর আচার-আচরণে সন্দেহ পোষণ করেন। বিষয়টি তিনি শাশুড়িকে জানালে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় দেবেন্দ্র নাথ নিজের বাড়ি ছেড়ে গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার বোয়ালিয়া এলাকায় আলাদাভাবে বসবাস করেন।
গোবিন্দগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) প্রলয় কুমার বর্মা বলেন, স্থানীয়দের খবরে গত বুধবার (২১ জুন) বিকালে দরবস্ত গ্রামের মনোরঞ্জনের বাঁশের ঝার থেকে একদিনের নবজাতক ছেলের লাশ উদ্ধার করে। পরে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করে আদলতে নেওয়া হয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, কোনো অবৈধ সম্পর্কের কারণে কল্পনার সন্তানকে হত্যা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, কল্পনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। ১৬৪ ধারার জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: আঁখি ও তার নবজাতকের মৃত্যুর জন্য সেন্ট্রাল হাসপাতাল দায়ী: ডা. সংযুক্তা সাহা
সেন্ট্রাল হাসপাতালে নবজাতকের মৃত্যু: অপারেশন থিয়েটার বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
কুড়িগ্রামে নদীর পানি বৃদ্ধি, প্লাবিত নিম্নাঞ্চল
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাটেশ্বরীর সোনাহাট রেলসেতু পয়েন্টে দুধকুমার নদের পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এছাড়াও জেলার ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তাসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
পাহাড়ি ঢল আর টানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নদ-নদী গুলোতে পানি বাড়ায় নদী অববাহিকার চরাঞ্চল এবং নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানি বাড়ায় গ্রামীণ সড়ক এবং নিম্নাঞ্চলের প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার মানুষ নৌকা-ভেলা করে চলাচল করছে। এছাড়াও পানিতে তলিয়ে গেছে সবজি, আমনের চারাসহ পাট।
বুধবার দুপুরে নাগেশ্বরী উপজেলা বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের তেলিয়ানী পাড়ায় দুধকুমার নদের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে তীব্র স্রোতে পানি লোকালয়ে ঢুকে প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বেড়েই চলেছে নদ-নদীর পানি, বন্যার আশঙ্কা
ঠাকুরগাঁওয়ে পাটখেত থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
ঠাকুরগাঁওয়ে পাটখেত থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সদর উপজেলার আখানগর ইউনিয়নের ফেলানপুর এলাকায় পাটখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত শাহরিয়ার পারভেজ চৌধুরী (৪৫) আখানগর ইউনিয়নের মহেশপুর চৌধুরী পাড়ার মৃত তোজাম্মেল হক চৌধুরীর ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ওই দিন সকালে স্থানীয় কৃষকেরা জমিতে হালচাষ করতে যান। এ সময় একটি পাটখেতের আইলের পাশে শাহরিয়ার পারভেজের লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়।
আরও পড়ুন: ওসমানীনগরে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: ভৈরবে শোবার ঘর থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
বরিশালে বিএম কলেজের হল থেকে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
তিস্তার পানি কমলেও দেখা দিয়েছে ভাঙন
তিস্তার চরাঞ্চল ও তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। তবে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে তিস্তার দুই তীরে দেখা দিয়েছে ভাঙন।
মঙ্গলবার (২০ জুন) দুপুর ২টার দিকে পানি তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদ সীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ সময় তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার, যা বিপদ সীমার শূন্য দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার কম।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাফাউদ্দৌলা বিপদ সীমার শূন্য দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার (১৯ জুন) সকাল সন্ধায় তিস্তার ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদ সীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে তিস্তা ব্যারেজের ভাটি এলাকার চর অঞ্চল গুলোতে পানি প্রবেশ করে পানিবন্দি হয়ে পড়ে মানুষ।
আরও পড়ুন: পানি বাড়ায় তিস্তা ব্যারেজের সবগুলো গেট খুলে দেওয়া হয়েছে
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তার পানি কমলেও বাড়ছে ধরলা নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি। লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলায় তিস্তার তীরবর্তী চরাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দি একদিন থাকার পর রাত থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। পানির কমলেও দেখা দিয়েছে দুর্ভোগ। পানিতে রাস্তাঘাট ভেঙে যাওয়ায় মানুষের চলাচলের দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। গত দুইদিন পানিবন্দি পরিবারগুলোর কাছে এখনও কোনো সরকারি সহযোগিতা পৌঁছায়নি।
এদিকে, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, সিংগীমারী, সিন্দুর্ণা, ডাউয়াবাড়ী, পাটিকাপাড়া, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ও লালমনিরহাট সদরের খুনিয়াগাছ, কালমাটি এলাকায় পানি কমলেও দেখা দিয়েছে তিস্তার ভয়াবহ ভাঙন।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ ভাঙনের মুখে উলিপুরের তিস্তা পাড়ের মানুষ
হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্ণা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, গত দুইদিন ধরে পানিবন্দি থাকার পর পানি নেমে গেলেও সরকারি সহযোগিতা এখনও পরিবারগুলো পায়নি।
আদিতমারী উপজেলা প্রকল্প ও বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম বলেন, তালিকা প্রস্তুত হয়েছে। নির্দেশ পেলেই পানিবন্দি পরিবারের গুলোর মাঝে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হবে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, বন্যার্ত পরিবারের তালিকার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খুব দ্রুত সহযোগিতা করা হবে।
আরও পড়ুন: তিস্তাপাড়ে ভাঙনে মানুষের মানবেতর জীবন
কুড়িগ্রামে ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
কুড়িগ্রামে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২০ জুন) সকাল ১০টার দিকে রৌমারী উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের নতুন শৌলমারী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কৃষক আমির হামজা (৫২) ওই গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বাসার ছাদে বজ্রপাতে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. সোনা মিয়া জানান, কৃষক আমির হামজা বাড়ির পার্শ্ববর্তী জমিতে গরুর খাবারের জন্য ঘাস কাটতে যান। এসময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
পরে স্থানীয়রা ওই কৃষকের লাশ উদ্ধার করে তার বাড়িতে নিয়ে আসেন।
রৌমারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপ কুমার সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে মৃত কৃষকের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: খুলনায় বজ্রপাতে ৩ জন নিহত, আহত ৪
কিশোরগঞ্জে হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে যুবক নিহত
বাগেরহাটে মেয়ে সংক্রান্ত বিরোধ: ব্লেডের আঘাতে ৩ সহপাঠী আহত, আটক ১
বাগেরহাটের ফকিরহাটে মেয়ে সংক্রান্ত বিরোধে এক সহপাঠীর ব্লেডের আঘাতে তিন সহপাঠী আহত হয়েছেন। সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে সাকিনা আজহার টেকনিক্যাল কলেজের কাছে মূলঘর ইউনিয়নের শান্তিগঞ্জ মোড়ে এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে ব্লেড দিয়ে আঘাত করা শিক্ষার্থী নাসির সরদারকে (১৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক
আহতরা হলেন- ফকিরহাট উপজেলার সাকিনা আজহার টেকনিক্যাল কলেজের বিএম শাখার একাদশ শ্রেণির ছাত্র জাকারিয়া হাওলাদার (১৭), জয়ন্ত রাহা (১৭) এবং এইক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণির ছাত্র মুসা আব্দুল্লাহ (১৬)।
আহতদের মধ্যে দুইজন শিক্ষার্থীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
আটক নাছির সরদার ওই কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। সে ফকিরহাট উপজেলার আড়–য়াডাঙ্গা গ্রামের জাহান আলীর ছেলে।
আহত শিক্ষার্থীরা জানায়, দুপুরে পরীক্ষা শেষ করে কলেজ থেকে বের হওয়ার সময় নাছিরের সঙ্গে তাদের গায়ে ধাক্কা লাগে। এসময় নাছির হঠাৎ করে ধারালো কিছু দিয়ে তাদের এলোপাতাড়ি ভাবে আঘাত করে জখম করে।
ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সবুজ শেখ সাংবাদিকদের জানান, আহত অবস্থায় তিনজন শিক্ষার্থীকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারারো কিছু দিয়ে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। দুইজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. আলীমুজ্জামান জানান, মেয়ে সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধের জের ধরে নাছির সরদার নামে ওই শিক্ষার্থী তার তিন শিক্ষার্থীকে ব্লেড দিয়ে পোচ দিয়ে আহত করে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয়দের সহযোগীতায় তাকে আটক করা হয়েছে। এঘটনায় পুলিশ তদন্ত করছে এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: রাসিক নির্বাচন: গভীর রাতে নির্বাচন কর্মকর্তার বাসা থেকে আ.লীগ নেতা আটক
সাংবাদিক নাদিম হত্যা: পঞ্চগড় থেকে ইউপি চেয়ারম্যান বাবু আটক
ঠাকুরগাঁওয়ে বিলুপ্তপ্রায় বিরল প্রজাতির ‘গন্ধগোকুল’ উদ্ধার
ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে বিলুপ্তপ্রায় একটি বিরল প্রজাতির গন্ধগোকুল উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (১৮ জুন) উপজেলার হোসেনগাঁও নিয়াপাড়া গ্রামের স্থানীয় আব্দুল বারেকের বাড়ি থেকে প্রাণীটি উদ্ধার করে রানীশংকৈল বনবিভাগের কর্মকর্তা।
পরদিন বীরগঞ্জ বন সার্কেলের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে বিরল প্রজাতির ‘গন্ধগোকুল’ উদ্ধার
সূত্র জানায়, আব্দুল বারেক তার বাড়ির একটি ঘরে গত শনিবার রাতে হঠাৎ করে বিরল প্রজাতির একটি প্রাণিকে দেখতে পায়। প্রথমে এটিকে মেছো বাঘ ভেবে আতঙ্কে পড়ে যায় বারেকের পরিবার। পরদিন বাড়ির সকলে মিলে এটিকে কৌশলে ধরে লোহার শিকল দিয়ে পা বেঁধে রাখে।
রবিবার রাণীশংকৈল বনবিভাগের কর্মকর্তা শাহাজাহান আলীকে খবর দিলে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে এটিকে বিলুপ্তপ্রায় গন্ধগোকুল প্রাণি হিসাবে শনাক্ত করেন।
এদিন বিকালে তারা প্রাণিটিকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন এবং এটিকে বীরগঞ্জ বন সার্কেলের কাছে হস্তান্তর করেন।
রাণীশংকৈল উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা শাহাজাহান আলী বলেন, গন্ধগোকুল একটি অরক্ষিত প্রাণি। এরা নিশাচর।
তিনি বলেন, মূলত এরা ফল খেকো হলেও কীটপতঙ্গ ও শামুক খেয়ে জীবনযাপন করে। এছাড়াও এরা ইঁদুর খেয়ে ফসলের উপকার করে থাকে।
তিনি আরও বলেন, প্রাণিটিকে সুরক্ষিত অবস্থায় বীরগঞ্জ বন সার্কেলে পাঠানো হয়েছে। সেখানে সিংড়া বনায়নে এটিকে অবমুক্ত করা হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে খাবারের খোঁজে ৩ তলা ভবনে গন্ধগোকুল!
ঠাকুরগাঁওয়ে বিরল প্রজাতির গন্ধগোকুল উদ্ধার