%E0%A6%86%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80-%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%97
সুষ্ঠু নির্বাচন করাই আমাদের লক্ষ্য: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনই সরকারের লক্ষ্য উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, কে এল, কে গেল এটা আমাদের দেখার বিষয় নয়।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় একটি পার্কের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট অফিসে সেবা নিতে আসা জনগণের ‘উহ’ শব্দটিও শুনতে চাই না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘একটি সুন্দর নির্বাচন উপহারের জন্য আমরা সর্বদা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। নির্বাচন কমিশনকে সুন্দর নির্বাচন আয়োজনের জন্য সব ধরনের সহায়তা করছে সরকার।’
তিনি আরও বলেন, সুস্থ, সুন্দর ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না- এ মিথ্যা ধারণা যাদের আছে, অচীরেই তাদের ধারণা পাল্টে যাবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর রদবদল চলমান প্রক্রিয়া উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা প্রতি মাসে হয়, প্রতি বছরই হয়। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রদবদলের কোনো বিষয় নেই।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল হোতাদের চিহ্নিত করতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিদেশি পর্যবেক্ষক আসুক আর না আসুক, নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিদেশি পর্যবেক্ষক আসুক আর না আসুক, আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনটা হচ্ছে আমাদের। তাই এরই মধ্যে স্থানীয় সরকারসহ যে সমস্ত নির্বাচন হয়েছে সেগুলো অত্যন্ত সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজী পুকুর লেনস্থ ওয়াইএনটি সেন্টারে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আমরা নির্বাচনের মাঠে সবার সঙ্গে খেলে জিততে চাই, আর বিএনপি চায় পালাতে: তথ্যমন্ত্রী
এসময় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নির্বাচন কেউ পর্যবেক্ষণ করল, কী করল না- এতে কিছুই আসে যায় না। এটি নিয়ে বিএনপিকেও আর দেশ অস্থিতিশীল করার সুযোগ দেওয়া হবে না।
ভারতে যখন নির্বাচন হয় তখন বিদেশি পর্যবেক্ষকরা সেখানে যান কি না- এমন প্রশ্ন রেখে হাছান মাহমুদ বলেন, সেখানে এটি নিয়ে এত কথাবার্তা হয়? কিংবা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যখন নির্বাচন হয় সেখানে কি আমাদের দেশ থেকে কিংবা অন্য কোনো দেশ থেকে পর্যবেক্ষক যায়? যায় না।
তিনি বলেন, আমাদের দেশেই নির্বাচন এলে কে পর্যবেক্ষণ করল, কে করল না- এগুলো নিয়ে নানা মাতামাতি হয়। যদি বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসেন, তাহলে তাদের স্বাগত জানাই, না এলেও কোনো অসুবিধা নেই।
মন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছোট আকারের পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে বলেছে। তাদের বাজেট স্বল্পতার কথাও তারা চিঠিতে উল্লেখ করেছে। ইইউর পর্যবেক্ষক যে আকারেই আসুক বা না আসুক আমাদের দেশে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম আছে, সার্কভুক্ত বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসবে।
বিএনপি লংমার্চ কর্মসূচিতে হরতাল-অবরোধের মতো কঠিন কর্মসূচির জন্য নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে, এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ এবং সরকারের প্রস্তুতি আছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া অবরোধের ডাক দিয়ে দেশের মানুষকে একশ দিন অবরুদ্ধ করে রেখেছিল।
তিনি আরও বলেন, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে শত শত মানুষ পুড়িয়েছিল, হাজার হাজার মানুষকে ঝলসে দিয়েছিল আগুনে। দেশে এ ধরনের নৃশংস ঘটনা বিএনপি আর করতে পারবে না, দেশের মানুষ করতে দেবে না। সেই অপচেষ্টা করলে দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করা হবে।
আরও পড়ুন: শুধু শমসের-তৈমুর নয় আরও অনেকেই বিএনপি থেকে চলে যাবে: তথ্যমন্ত্রী
যত অপপ্রচারই হোক, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আ. লীগ ক্ষমতায় আসবে: কানাডায় তথ্যমন্ত্রী
শুধু শমসের-তৈমুর নয় আরও অনেকেই বিএনপি থেকে চলে যাবে: তথ্যমন্ত্রী
শুধু শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমুর আলম খন্দকার নয় আরও অনেকেই বিএনপি থেকে চলে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, যে দল নেতাদের সম্মান দিতে জানে না আর যেই দল কাউকে নির্বাচন করতে দেয় না, সেই দল তো সবাই করবে না।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএনপির সিনিয়র নেতা শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমুর আলম খন্দকারের তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলন আর নির্বাচনে আসা না আসা নিয়ে এক ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি জনমনে বিভ্রান্তিই সৃষ্টি করতে চায়।
আরও পড়ুন: আগস্ট মাস ঘিরে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে নাশকতার ছক আঁকা হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, গতবার ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা যেমন বলেছিল নির্বাচনে অংশগ্রহণ নেবে না কিন্তু শেষমেষ অংশ নিয়েছিল। এবারও তাদের এখনকার বক্তব্য আর এক মাস আগের বক্তব্যের মধ্যে কিছুটা তফাৎ আছে। যারা একটু অনুসন্ধিৎসু তারা এটা বুঝতে পারেন।
মন্ত্রী বলেন, একটি গণমুখী রাজনৈতিক দল যদি ক্রমাগতভাবে নির্বাচন বর্জন করে তাহলে তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
সদ্য সমাপ্ত কানাডা সফরের সংক্ষিপ্ত বর্ণনায় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান জানান, ‘টরন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ১৩ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু বায়োপিক ‘মুজিব-একটি জাতির রূপকার’ সিনেমার প্রথম প্রদর্শনী হয়েছে। ২ ঘণ্টা ৫৮ মিনিটের বিরতিহীন এ প্রদর্শনীতে একজন দর্শকও আসন থেকে নড়েননি। সেখানে বাংলাদেশি, ভারতীয় ছাড়াও বিভিন্ন দেশের দর্শকরা ছিল, প্রত্যেকেই সিনেমাটির প্রশংসা করেছেন। সিনেমাটি প্রকৃতপক্ষে আমাদের ইতিহাসের দলিল হয়ে থাকবে। আগামী মাসে আমরা বায়োপিকটি বাংলাদেশে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করছি।
তথ্যমন্ত্রী আরও জানান, কানাডা সফরে সে দেশের উচ্চকক্ষ সিনেটের মানবাধিকার কমিটির চেয়ার সিনেটর সালমা আতাউল্লাজানের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি একইসঙ্গে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
এ ছাড়া কানাডা পার্লামেন্টের ইমিগ্রেশন এবং নাগরিকত্ববিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ার সালমা জাহিদ এমপি’র সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশিদের সহজতর ইমিগ্রেশন এবং আমাদের শিক্ষার্থীদের সহজতর ভিসার জন্য তাকে অনুরোধ জানিয়েছি।
এ সময় সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, দেশে ফেরার পথে আমি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন আমাদের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপিকে দেখতে গিয়েছিলাম। তিনি খুবই ভালো আছেন। দেশে নানা আলোচনা হয়েছে কিন্তু আমি দেখেছি তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা খুবই ভালো।
আরও পড়ুন: যত অপপ্রচারই হোক, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আ. লীগ ক্ষমতায় আসবে: কানাডায় তথ্যমন্ত্রী
আমরা নির্বাচনের মাঠে সবার সঙ্গে খেলে জিততে চাই, আর বিএনপি চায় পালাতে: তথ্যমন্ত্রী
আন্দোলন করে আ. লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করা যাবে না: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আন্দোলন করে কোনো দিনই আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করা যাবে না। উল্টো ব্যর্থ হয়ে চুড়ান্ত খেলায় বিএনপির বিপর্যয় হবে।
তিনি বলেন, হতাশাযুক্ত নেতা-কর্মীরা ঘরে ফিরে যাবে। আর নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা হলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তা দমনে আগের তুলনায় সক্ষমতা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: মঙ্গাপীড়িত এলাকার মানুষও এখন তিন বেলা পেট ভরে খায়: কৃষিমন্ত্রী
মঙ্গলবার সকালে দিনাজপুরে গম ও ভুটা গবেষনা ইন্সটিটিউটে আয়োজিত ৪ দিনব্যাপী বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন শীর্ষক কর্মমালার পাশাপাশি গ্রিন হাউজে গমের ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী জাতের উদ্বোধনের সময় গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।
মন্ত্রী আরও বলেন, বিক্ষোভ পদযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে সরকারের পতন হয়নি, শেখ হাসিনাকে বিদেশে পালাতে হয়নি। শুভ বুদ্ধির পরিচয় দিয়ে জন রায় নিতে বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সংবিধানের বাইরে নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, দেশে অস্তিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বিএনপি চেষ্টা করে যাচ্ছে। তারা চরমভাবে ব্যর্থ হবে এবং হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে বিএনপি তাদের অস্তিত্ব হারাবে।
আরও পড়ুন: আন্দোলন করে আবারও ব্যর্থ হয়ে হতাশ হবেন: বিএনপির উদ্দেশে কৃষিমন্ত্রী
অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য বিএনপি অস্থির হয়ে পড়েছে: কৃষিমন্ত্রী
২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা আ. লীগের
২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ দিনের জন্য ঢাকা ও রাজধানীর বাইরে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
মঙ্গলবার ধানমন্ডিতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: আ. লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটি অনুমোদন
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ সাংবাদিকদের কর্মসূচির কথা জানান।
তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুর আড়াইটায় বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
২৫ সেপ্টেম্বর মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ উত্তরায় সমাবেশ করবে এবং দুপুর আড়াইটায় যাত্রাবাড়ীতে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সমাবেশ করবে।
২৭ সেপ্টেম্বর দুপুর আড়াইটায় টঙ্গীতে সমাবেশ করবে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ। একই দিন মিরপুরের কাফরুলে সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ।
২৮ সেপ্টেম্বর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ-মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
২৯ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এক আলোচনা সভার আয়োজন করবে। এছাড়া এ উপলক্ষে সারা দেশে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ কৃষক লীগ দুপুর আড়াইটায় বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে কৃষক সমাবেশের আয়োজন করবে।
৪ অক্টোবর দুপুর আড়াইটায় চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ।
সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চলমান এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি পাঁচটি রোডমার্চসহ ১৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করার একদিন পর আওয়ামী লীগের কর্মসূচির ঘোষণা আসে।
কার্যক্রমের কর্মসূচি ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে।
আরও পড়ুন: বৃহত্তর স্বার্থে আ. লীগের সঙ্গে কাজ করবে বিজেপি: জে পি নাড্ডা
জনগণই আ. লীগের প্রভু, আর কেউ নয়: বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধানমন্ত্রী
মঙ্গলবার থেকে বিএনপির ১৫ দিনের কর্মসূচিতে রয়েছে ৫ রোড মার্চ
সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চলমান এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে পাঁচটি রোড মার্চসহ ১৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দল বিএনপি।
আগামী মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবি পূরণে আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। এই আন্দোলন সফল করতে আমাদের রাজনৈতিক জোট ও সমমনা দলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।’
২১ সেপ্টেম্বর ভৈরব থেকে সিলেট বিভাগ, ২৩ সেপ্টেম্বর বরিশাল থেকে পটুয়াখালী (বরিশাল বিভাগ), ২৬ সেপ্টেম্বর খুলনা বিভাগে, ১ অক্টোবর ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ (ময়মনসিংহ বিভাগ) এবং ৩ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম (কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম বিভাগ)- পাঁচটি রোড মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের আগে বিশেষ কর্মসূচি আ.লীগের
রোড মার্চে নেতৃত্ব দেবেন যারা:
২১ সেপ্টেম্বর ভৈরব-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-হবিগঞ্জ-মৌলভীবাজার-সিলেট পর্যন্ত রোড মার্চ হবে। মিছিলে নেতৃত্ব দেবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
খুলনা বিভাগের রোড মার্চ অনুষ্ঠিত হবে ২৬ সেপ্টেম্বর। এতে নেতৃত্ব দেবেন মির্জা আব্বাস। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় একটি পেশাজীবী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ড. আবদুল মঈন খান।
২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগরীর গাবতলী ও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নজরুল ইসলাম খান ও বেগম সেলিমা রহমান (গাবতলী), ড. আবদুল মঈন খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী (ফতুল্লা)।
আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকায় নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বেগম সেলিমা রহমান সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় শ্রমিক সম্মেলন, ১ অক্টোবর ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ পর্যন্ত রোড মার্চ, ২ অক্টোবর ঢাকায় কৃষক সমাবেশ এবং ৩ অক্টোবর কুমিল্লা, ফেনী, মিরসরাই ও চট্টগ্রামে রোড মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকায় সমাবেশ:
আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের টঙ্গী ও কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় র্যালি অনুষ্ঠিত হবে। ২২ সেপ্টেম্বর যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা; ২৫ সেপ্টেম্বর নয়াবাজার ও আমিনবাজার; ২৭ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের গাবতলী ও ফতুল্লায় র্যালি অনুষ্ঠিত হবে।
২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকায় নারী সমাবেশ, ৩০ সেপ্টেম্বর শ্রমিক সমাবেশ এবং ২ অক্টোবর কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, 'আমাদের রাজনৈতিক সহযোগী ও দলগুলো যারা একযোগে আন্দোলনে আছে তারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করবে। তারা সিদ্ধান্ত নেবে এবং তাদের নিজস্ব উপায়ে যতগুলো কর্মসূচি করতে পারে তা ঘোষণা করবে।’
ঘোষিত এজেন্ডার মাধ্যমে বিএনপি সরকারকে পদত্যাগ করতে পারবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, 'পরিস্থিতিই বলে দেবে আন্দোলন কোন দিকে মোড় নেবে।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জনপ্রতিনিধিরা সমাজে আদর্শ হলে ইতিবাচক পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
জাতীয় নির্বাচনের আগে বিশেষ কর্মসূচি আ.লীগের
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিটি ভোটারের দোরগোড়ায় সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বার্তা পৌঁছে দিতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে একটি ‘মাস্টার ট্রেইনার’ গ্রুপ গঠন করবে, যারা প্রতিটি উপজেলায় গিয়ে উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ দেবে।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের ১০০ শিক্ষকের প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে উদ্বোধনী কার্যক্রম শুরু হয়।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
আরও পড়ুন: জনপ্রতিনিধিরা সমাজে আদর্শ হলে ইতিবাচক পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
দলটির জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী কবির বিন আনোয়ার বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে, ‘রোড টু স্মার্ট বাংলাদেশ’ নামে একটি কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। এই কর্মসূচির আওতায় দলের প্রচার-প্রচারণা, ভোট প্রার্থনা ইত্যাদি সহ নানাবিধ উদ্যোগ ইতোমধ্যে শুরু করেছেন বলেও জানান তিনি।
এসময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন উপস্থিত ছিলেন।
এই কর্মসূচির আওতায় একটি সুসংগঠিত প্রচারণা দলের মাধ্যমে প্রতিটি ভোটারের কাছে পৌঁছানো হবে।
প্রতিটি এলাকার জন্য একজন করে প্রচারক মনোনীত করা হবে। উপজেলা পর্যায়ের প্রশিক্ষকরা প্রচারকারীদের প্রশিক্ষণ দেবেন।
জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্জিত উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দিতে আওয়ামী লীগের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বক্তব্য দেন প্রধান সমন্বয়ক।
আরও পড়ুন: যত অপপ্রচারই হোক, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আ. লীগ ক্ষমতায় আসবে: কানাডায় তথ্যমন্ত্রী
জনপ্রতিনিধিরা সমাজে আদর্শ হলে ইতিবাচক পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
জনপ্রতিনিধিরা আদর্শবান হলে সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধিরা যতটা মানুষের কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ পায় তা অন্য কোনো পেশার মানুষের পক্ষে সম্ভব হয় না। নির্বাচনের জন্য হোক অথবা মানুষের সেবা করার জন্য হোক, সমাজে জনপ্রতিনিধিদের মানুষের সঙ্গে মিশে থাকতে হয়।
তিনি বলেন, মানুষের অভাব অনটন থেকে শুরু করে দুঃখ-দুর্দশা এবং বিভিন্ন মতবিরোধে বিচার সালিশ করতে হয় জনপ্রতিনিধিদেরই। তাই জনপ্রতিনিধিরা যখন সমাজের সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়, মানুষ তাদের সব সমস্যা নির্দ্বিধায় জনপ্রতিনিধিদের বলতে পারে তখন সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী।
তিনি রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের জন্য আয়োজিত “সিটি কর্পোরেশন সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ” কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রকল্পে অংশীদারদের মতামতের সমন্বয় জরুরি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী শক্তিশালী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার জন্য শুধুমাত্র অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজন এ ধারণার বিরোধিতা করে বলেন, সরকারি যেকোনো অর্থ একটি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে খরচ হয়, সেখানে নিজের খেয়াল খুশি মতো খরচ করার সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, অর্থ বরাদ্দের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়নের সঙ্গে মানুষের অংশগ্রহণ যাতে সবাই নিজ নিজ সম্ভাবনাকে বিকশিত করার সুযোগ পায়।
মন্ত্রী এ সময় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের নিজ নিজ এলাকায় সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে নগরায়ন হলে তার সুবিধা সবাই ভোগ করবে। অপরিকল্পিত নগরায়ন হলে তা টেকসই হয় না বরং মানুষের ভোগান্তি বাড়ে।
এক্ষেত্রে কাউন্সিলরদের নিজ নিজ এলাকার উন্নয়নে আরও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, বিশ্বায়নের এই যুগে মানুষ একা বেঁচে থাকতে পারে না। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের টিকে থাকতে হবে।
ডেঙ্গু রোগের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, আপনি একা সচেতন হলে সামগ্রিকভাবে তা ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর হচ্ছে না। পাড়া-প্রতিবেশী থেকে শুরু করে সবাই যখন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেবে তখনই ডেঙ্গুর মতো রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
একা স্বার্থপরের মতো টিকে থাকার সময় শেষ উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিজ এলাকা এবং দেশের উন্নয়নে সবাইকেই সামগ্রিকভাবে অংশগ্রহণ এবং সচেতন হতে হবে।
জনগণকে জাগিয়ে তোলা এবং সচেতন করার ক্ষেত্রে কাউন্সিলরদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আপনি আপনার এলাকার মানুষের যতটা কাছে যেতে পারবেন তা কোনো সরকারি কর্মকর্তা কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জায়েদা খাতুন।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সালেহ আহমেদ মোজাফফর এবং সভাপতিত্ব করেন- স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম।
আরও পড়ুন: পৌরসভা পর্যায়ে পরিবেশবান্ধব পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অপরিহার্য: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
সন্ধ্যার মধ্যেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
যত অপপ্রচারই হোক, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আ. লীগ ক্ষমতায় আসবে: কানাডায় তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন যাদের পছন্দ নয়, এমন কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী দেশে-বিদেশে নানা ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। তবে যত অপপ্রচারই হোক, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আগামীতেও আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসবে এবং দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখবে।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কানাডার টরেন্টোতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিজস্ব কার্যালয়ে প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যত অপপ্রচার হয় তার বেশিরভাগই হয় বিদেশ থেকে। প্রবাসী বাংলাদেশিদেরকে আমি এই সব অপপ্রচারের জবাব দেওয়ার আহ্বান জানাই।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, '১৯৭১ সালেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছিল, তারপরও বাংলাদেশের জন্ম ঠেকানো যায়নি। তেমনি বর্তমানেও যত ষড়যন্ত্রই হোক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে।'
আরও পড়ুন: আমরা নির্বাচনের মাঠে সবার সঙ্গে খেলে জিততে চাই, আর বিএনপি চায় পালাতে: তথ্যমন্ত্রী
এ মতবিনিময় সভায় অন্টারিও আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক লিটন মাসুদের পরিচালনায় কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সারোয়ার হোসেন, অন্টারিও আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ফারুকী হাসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রবাসে বসবাসরত প্রত্যেক বাংলাদেশিকে দেশের ‘দূত’ হিসেবে অভিহিত করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিস্ময়কর অগ্রগতিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।’
প্রবাসীদের কানাডার মূলধারার রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘কানাডার মূলধারার রাজনীতিতে সম্পৃক্ত এবং সক্রিয় হয়ে আপনারা বাংলাদেশের উন্নয়নে আরও বেশি অবদান রাখতে পারবেন।’
এ সময় কানাডাপ্রবাসী মোহাম্মদ আমিন মিয়া, শাহাবুদ্দিন আহমেদ, শওগাত আলী সাগর, গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, শফি আহমেদ, এ এম এম তোহা, সাজ্জাদ হোসাইন, জহিরুল হক চৌধুরী, কাজী জহিরউদ্দিন, মিনারা বেগম প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের ট্রেন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না, যথাসময়ে নির্বাচন হবে: তথ্যমন্ত্রী
দেশের কূটনৈতিক অর্জন নিয়ে মিথ্যাচার করছে বিএনপি: কাদের
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর বাংলাদেশ সফর এবং সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ব্রিকস ও জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে দেশের কূটনৈতিক অর্জন নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের ‘মিথ্যাচারের’ নিন্দা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুধবার এক সংবাদ বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বিএনপি কোটি কোটি ডলারের জন্য লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে দেশের বিরুদ্ধে ক্রমাগত অপবাদ ও মিথ্যাচারের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে বিচ্ছিন্ন করার গভীর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন:ষড়যন্ত্রকারীরা প্রস্তুত হচ্ছে, আমরাও প্রস্তুত আছি : ওবায়দুল কাদের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের ।
তিনি বলেন. ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণ আফ্রিকায় সাম্প্রতিক ব্রিকস সম্মেলনে এবং ভারতে জি২০ সম্মেলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমাদের জাতির জন্য অতুলনীয় মর্যাদা ও সম্মান এনেছেন।’
এসব আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতি বিশ্ব নেতাদের উল্লেখযোগ্য দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এসব আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ বিশ্ব দরবারে একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে শেখ হাসিনার অবস্থানকে তুলে ধরেছে এবং এসব তার দক্ষ নেতৃত্বের স্বীকৃতি।
তিনি বলেন, 'বিশ্ব নেতারা যখন বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করছেন, তখন বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী সক্রিয়ভাবে দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য তারই প্রমাণ।’
তিনি প্রশ্ন তোলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে যেসব উন্নয়ন প্রকল্প মানুষের জীবনযাত্রার উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে, সেগুলোর প্রতি ঈর্ষা পোষণ করে একটি রাজনৈতিক দল কতটা দেউলিয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন: বিএনপি উন্নয়নের সুবিধা নেয় কিন্তু প্রশংসা করতে পারে না: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'বিএনপি একদিকে তাদের ব্যাপক ব্যর্থতার সঙ্গে লড়াই করছে, অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন উদ্যোগ এবং তার বৈশ্বিক নেতৃত্বের প্রশংসা অব্যাহত থাকায় তারা হতাশার সমুদ্রে ডুবে যাচ্ছে।’
বিএনপির বিরুদ্ধে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে উন্নয়ন প্রকল্প সম্পর্কে ভুল, বানোয়াট ও বিকৃত তথ্য প্রচারের অভিযোগ করেন কাদের।