আওয়ামী-লীগ
বাংলাদেশের অগ্রগতির জন্য প্রহরীর মতো জেগে থাকুন: ছাত্রলীগের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার যে কোনো ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সদস্যদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমার ছাত্রলীগের ছেলে-মেয়েরা হবে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের কর্ণধার। আপনাদের কাছে থেকে এটা আমার আশা। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ একই রকম থাকবে না। আমি ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ প্রণয়ন করেছি। তাই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে কেউ আর বাধা দিতে পারবে না। ছাত্রলীগকে প্রহরীর মতো জেগে থাকতে হবে।’
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত ছাত্রসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ এখনই ব্রিকসের সদস্য হওয়ার অনুরোধ করেনি: প্রধানমন্ত্রী
তিনি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে এবং ছাত্রলীগের মূলনীতি-শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতি অনুসরণ করতে বলেন।
মহাসমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ওবায়দুল কাদের।
ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশ পরিচালনা করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারের সদস্য এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শহীদ হওয়া অন্যান্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘লুটেরাদের’ ক্ষমতায় আসতে দেবেন না: দ. আফ্রিকায় প্রবাসীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ছাত্রলীগের মহাসমাবেশ: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হাজারো মানুষের সমাগম
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মী শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) তাদের মহাসমাবেশে যোগ দিতে ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হন।
এদিন দুপুরে সমাবেশস্থল পরিদর্শন করে ইউএনবি প্রতিনিধি জানান, নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগঠনটির কয়েক হাজার নেতা-কর্মীর ঢল নামে সমাবেশস্থলে।
অনেকেই সারাদেশ থেকে ট্রেন ও বাসে করে রাজধানীতে এসেছেন। জনসভায় ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় আ. লীগের শান্তি সমাবেশে হাজারো মানুষের সমাগম
দলের সদস্যরা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা সরকার-বার বার দরকার প্রভৃতি স্লোগান দিচ্ছিলেন।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের সড়ক ও রাস্তায় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ভিড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ছাত্রলীগ নেতারা উদ্যান মাঠে একটি বড় মঞ্চ তৈরি করেন এবং আড়াই শতাধিক লাউডস্পিকার স্থাপন করেন।
জুমার নামাজের পর বিকাল ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
আকস্মিক বৃষ্টি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সমাবেশে যোগ দেওয়া থেকে থামাতে পারেনি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনা দেবেন।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালিউর রহমান এনান ইউএনবিকে জানান, সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে এটিই হবে সবচেয়ে বড় সমাবেশ এবং সমাবেশ সফল করতে তারা সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নসহ (র্যাব) আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অনুষ্ঠানস্থল ও এর আশপাশে কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
আগতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শাহবাগ, পল্টন, মৎস্য ভবন, কাকরাইল, পরীবাগসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশের টহল দল মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়া অনুষ্ঠানস্থল ও আশপাশে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মোতায়েন থাকবে।
অনুষ্ঠানস্থলের আশপাশে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আগত নেতা-কর্মীদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তল্লাশি করে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের স্মরণে মহাসমাবেশ করছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি।
আরও পড়ুন: ১ সেপ্টেম্বর সমাবেশে ৫ লাখ সমাগমের ঘোষণা ছাত্রলীগের
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীর সমাগম
মেট্রোরেল ও পদ্মা সেতু প্রমাণ করে আ. লীগ কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী: কাদের
মেট্রোরেল ও পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করে আওয়ামী লীগ সরকার যে কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী তা এরই মধ্যে প্রমাণ করেছে বলে দাবি করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার সকালে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা-ফার্মগেট অংশের উদ্বোধন উপলক্ষে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করবেন। এরপর রবিবার যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে প্রকল্প কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক কাদের আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে যে তারা তাদের কথা রাখে।
আরও পড়ুন: শনিবার ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘সরকার পতন তো দূরের কথা, বিএনপি নিজেদের অস্তিত্বের সংকট নিয়ে চিন্তিত।’
তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস বা সহিংসতার বিরুদ্ধে জনগণের জানমাল রক্ষায় আওয়ামী লীগ সজাগ রয়েছে।
দলের কর্মসূচিতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের আস্থা নেই। কালো পতাকা নিয়ে আন্দোলন করা সম্ভব নয় বলেও জানান কাদের। ‘এটি একটি শোক মিছিলে পরিণত হয়।’
আরও পড়ুন: গুম ও হত্যার দায় সরকারের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে বিএনপি: কাদের
গুম ও হত্যার দায় সরকারের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে বিএনপি: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে গুম ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর দোষ চাপানোর অপচেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতারা বিদেশি বন্ধু ও তাদের প্রতিনিধিদের সহানুভূতি পাওয়ার আশায় গুম-হত্যার ঘটনা নিয়ে অবিরাম মিথ্যাচার করে চলেছেন। তারা বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফলে গুম ও হত্যাকাণ্ডের জন্য সরকারের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।’
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি নেতাদের ‘অসত্য, মিথ্যা ও বানোয়াট’ বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্রকারীরা প্রস্তুত হচ্ছে, আমরাও প্রস্তুত আছি : ওবায়দুল কাদের
তিনি এ দাবিকে ভিত্তিহীন আখ্যায়িত করে বলেন, বিএনপি নেতারা দীর্ঘদিন ধরে গুম নিয়ে যেসব বানোয়াট বক্তব্য দিয়ে আসছেন, তা বাস্তবতা বর্জিত।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, চট্টগ্রাম বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিনের নিখোঁজের জন্য প্রথমে আওয়ামী লীগকে দায়ী করা হলেও পরে দেখা গেছে জামাল উদ্দিন বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের শিকার।
একইভাবে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের নিখোঁজের পর সরকারকে দোষারোপ করার অপচেষ্টা করা হলেও পরে দেখা গেছে বিএনপি নেতা ভারতে আত্মগোপন করে আছেন বলে মন্তব্য করেন আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, এমনকি বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা নিয়েও বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা বলেছেন, ইলিয়াস আলীকে জোর করে গুম করেছে বিএনপি নেতারা- যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসেছে।
কাদের বলেন, ‘বিএনপি গুম নিয়ে মিথ্যা বক্তব্য দিচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য সরকারকে দোষারোপ করছে। কিন্তু তাদের নিখোঁজ হওয়ার নাটকের পেছনের গল্প আজ মানুষের অজানা নয়।’
আরও পড়ুন: বিশ্বের কিছু বড় শক্তি বাংলাদেশে তাদের অনুগত সরকার চায়: প্রধানমন্ত্রী
তিনি জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার শাসনামলে ঘটে যাওয়া গুম ও হত্যার বিভিন্ন ঘটনার উল্লেখ করেন।
‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ খুন-গুমের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। বরং আওয়ামী লীগই বারবার হত্যা, অভ্যুত্থান, গুম ও ষড়যন্ত্রের নিষ্ঠুর শিকার হয়েছে।’
তিনি বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক প্রতিকূলতা ও চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
কাদের বলেন,‘আমরা উন্নত, সমৃদ্ধশালী ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুখী, সমৃদ্ধ, নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর। যেখানে সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী সকল নাগরিকের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত ও সুসংহত হবে।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল হোতাদের চিহ্নিত করতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল হোতাদের চিহ্নিত করতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে ১৯৭৫ সালে হত্যার মূল হোতাদের সম্পর্কে জনগণের জানা উচিত।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মাস্টারমাইন্ড (কুশিলব) চিহ্নিত করা উচিত...আমাদের জানতে হবে পর্দার আড়ালে থেকে কারা সাহায্য করেছিল এবং কারা এই হত্যাকাণ্ডের সুবিধাভোগী ছিল।’
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে জাতির পিতার ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ন্যায়বিচার পাওয়া গেলেও কয়েকজন খুনি এখনো পলাতক।
তিনি বলেন, ‘আমরা খুনিদের চিহ্নিত করেছি যারা এখনও পলাতক রয়েছে এবং আমরা তাদের বিচারের মুখোমুখি করার আশা করছি।’
তিনি আরও বলেন, জাতির জনক ও তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে তারা ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করেছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা হৃদয়ে রেখেছিলাম বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হবে। আমরা তা দেখতে পেরেছি।’
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য দুষ্কৃতীরা বারবার টার্গেট করেছে।
তিনি বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার ওপর আরেকবার হত্যাচেষ্টা হয়েছিল। তারা প্রধানমন্ত্রীকে (শেখ হাসিনা) ২১ বার হত্যার চেষ্টা করেছিল।
আরও পড়ুন: তারেক-জুবাইদাকে ফিরিয়ে আনতে যা করার করব: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু মানুষকে ভালোবাসা ও মমতা দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।
তিনি বলেন, জনগণের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসাই এটা সম্ভব করেছে।
আইজিপি বলেন, ‘পাকিস্তান আমলে কারাগারে বন্দি অবস্থায় বঙ্গবন্ধু তার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় কাটিয়েছেন। তিনি দেশের মানুষকে ভালোবাসতেন কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন যে মানব উন্নয়নের জন্য একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ প্রয়োজন। তাই, তিনি স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন।’
আইজিপি বলেন, তারা স্মার্ট পুলিশ গড়তে চান।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের রসদসহ সবকিছু দিয়েছেন। আমরা ইতো্মধ্যে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে কাজ করছি। আমরা জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করে এই দেশকে বিনিয়োগবান্ধব করেছি।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আবারো পিছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
আইজিপি বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের প্রত্যেক সদস্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশ পুলিশ যেকোনো অপকর্ম এবং দেশকে পিছিয়ে নেওয়ার যে কোনো অপচেষ্টা রুখতে প্রস্তুত রয়েছে।’
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য শেখ কবির হোসেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ আলম, বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আসাদুজ্জামান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী দেশকে জঙ্গিবাদ থেকে শান্তির দেশে পরিণত করেছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মানবপাচার বন্ধে ব্যাপক সচেতনতামূলক কর্মসূচি প্রয়োজন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিশ্বের কিছু বড় শক্তি বাংলাদেশে তাদের অনুগত সরকার চায়: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বের কয়েকটি বড় শক্তি বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের গুরুত্বের কারণে এখানে তাদের অনুগত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
তিনি বলেন, ‘আসলে বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে কিছু বড় দেশ চায় এখানে (বাংলাদেশে) এমন একটি সরকার থাকুক যেটি তাদের পা চাটবে।‘
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বুধবার (৩০ আগস্ট) এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ শাখা এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: ২৮ কর্মকর্তা ও ২ প্রতিষ্ঠানকে 'বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পুরস্কার' দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি অভিযোগ করেন, বড় দেশগুলো সবসময় তাদের বড় ভাইয়ের মতো মনোভাব পোষণ করে।
কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘তারা যদি কারো বন্ধু হয়ে যায় তাহলে কোনো শত্রুর দরকার নেই।’ তবে ইউক্রেন তাদের বন্ধু বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজ ইউক্রেনের অবস্থা কী? সেখানে নারী ও শিশুরা অবর্ণনীয় দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছে। এই ধরনের বন্ধুত্বের জন্য তাদের দেশকে ধ্বংস করা হয়েছে। এটাই বাস্তবতা।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশের নির্বাচনে অপ্রয়োজনীয় নাক গলানোর জন্য এসব দেশের সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, কিছু দেশ আছে যারা সব সময় গণতন্ত্র খুঁজছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছে।
তিনি বলেন, ‘এই দলের নেতা-কর্মীরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় রক্ত দিয়েছেন।অথচ এখন গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার খুঁজছে এমন কিছু দেশের কথা আমাদের শুনতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জনে দেশের মানুষ জীবন দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে। এই ত্যাগ ও রক্ত বৃথা যাবে না, আমরা তা হতে দেব না।
গণতন্ত্রের দাবিতে বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন,যখন তিনি তাদের কাছ থেকে গণতন্ত্রের কথা শোনেন তখন তিনি অবাক হন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে উৎসবমুখর পরিবেশ রংপুরে
তিনি বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীদের হত্যা, অভ্যুত্থান ও ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে বিএনপির জন্ম হয়েছে। জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে এবং ভোট কারচুপির মধ্য দিয়ে তাদের যাত্রা শুরু হয়েছে। ‘সুতরাং গণতন্ত্র শব্দটি তাদের সঙ্গে যায় না।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিএনপির কিছু প্রভু আছেন যারা "বলছেন বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে"।
প্রধনামন্ত্রী বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান যখন জাতির পিতাকে হত্যা করেছিলেন, সামরিক শাসন জারি ও রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলেন তখন তারা কোথায় ছিলেন? আর এইচ এম এরশাদ যখন সামরিক শাসন জারি করে ক্ষমতা দখল করেন তখন কোথায় ছিলেন?
তিনি বলেন, ‘সে সময় আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম ও লড়াই করেছি, কিন্তু তাদের দেখিনি।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও আতিকুল ইসলাম।
ঢাকা উত্তর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মোন্নাফী এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।
ঢাকা উত্তর মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাদেক খান এমপি, আবদুল কাদের খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম মাজহার আনাম ও মো. আজিজুল হক রানা, পরিবারবিষয়ক সম্পাদক মেহেরুন্নেছা মেরি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায়, মিজবাউর রহমান ভূঁইয়া রতন ও সাজেদা বেগম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোরশেদ কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তার হোসেন ও গোলাম সারোয়ার কবির প্রমুখ।
সভার শুরুতে ১৫ আগস্টের গণহত্যা ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে জোহানেসবার্গ পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ষড়যন্ত্রকারীরা প্রস্তুত হচ্ছে, আমরাও প্রস্তুত আছি : ওবায়দুল কাদের
নির্বাচনকে সামনে রেখে ষড়যন্ত্রকারীরা প্রস্তুত হচ্ছে আমরাও (আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী) প্রস্তুত হচ্ছি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বিএনপির তিন নেতা বিদেশে গেছে, আবার জাতীয় পার্টির একনেতা বিদেশে গেছে। নির্বাচন আসলে অনেক কিছুই হয়। কিন্তু জনগণ পুরোনো রাজনীতি করবে না।
সোমবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর রমনায় আইইবির সদর দপ্তরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি)'র উদ্যোগে উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু মাত্র তিন বছর সাত মাস ক্ষমতায় ছিলেন। তিনি দেশ গঠনের কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু তাকে বাঁচতে দেওয়া হলো না। মীরজাফরের জায়গায় মোশতাক আর সেনাপতি ইয়ার লতিফের জায়গায় জিয়াউর রহমান ষড়যন্ত্র করেছে। তারা বঙ্গবন্ধুকে বাঁচতে দেয়নি।
তিনি আরও বলেন, একটা গোষ্ঠী জিয়াউর রহমানকেও হত্যা করেছে। জিয়াউর রহমান নিজেও বাঁচতে পারেনি। যে বুলেটে শেখ হাসিনা ও রেহানাকে পিতৃহারা করেছে, সেই বুলেটই খালেদা জিয়াকে বিধবা করছে। হত্যা হত্যাকে ডেকে আনে।
আরও পড়ুনন: আন্দোলনের নামে যা খুশি তাই করলে সমুচিত শিক্ষা দেওয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। ১৫ আগস্টের মাষ্টার মাইন্ড হলো জিয়াউর রহমান ও মোশতাক। সেই জিয়াউর রহমান ও মোশতাক জেল হত্যার মাষ্টার মাইন্ড। তা তদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করেছেন। একটা পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার মধ্য দিয়ে মুক্তিযু্দ্ধের আর্দশকে নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশ্য ছিল। ১৫ আগস্ট শেখ হাসিনাকে মারতে পারেনি বলেই ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে প্রাইম টার্গেট করে গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরে ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিল। জয় বাংলা জাতীয় স্লোগান বলা বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তারেক রাজনীতি করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়ে গেছে। লন্ডনের টেমস নদীর উপার থেকে ডাক দিলে মনে হয় বাংলাদেশ পানিতে ভেসে যাবে কিন্তু তা কখনো হবে না।
প্রকৌশলীদের অবদান সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে গেছে সেখানে প্রকৌশলীদের অবদান আছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আর মাত্র তিন মাস আছে এর মধ্যে অনেক দূর যেতে হবে। এজন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনৈতিক আলোচনা দেশে হোক আর বিদেশি হোক ষড়যন্ত্রের রাজনীতি যেন না হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের হাতে ক্ষমতা গেলে কেউ শান্তিতে থাকতে পারবে না: আইনমন্ত্রী
রাজনীতি করেন, দয়া করে ষড়যন্ত্র করবেন না, রাজনীতি করেন মানুষ পোড়ানোর রাজনীতি করবেন না। ১৩-১৪ সালের মতো
মানুষ পোড়ানোর রাজনীতি করবেন না।
তিনি বলেন, আবার যদি বিএনপি ক্ষমতায় যায় তাহলে তারা গণতন্ত্র গিলে খাবে। তারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও মুক্তিযুদ্ধের শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করবে। বিএনপির হাতে ক্ষমতা গেলে এদেশকে পাকিস্তান বানাবে। এখন দেশের গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হবে, দেশকে বাঁচাতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীরা প্রস্তুত হচ্ছে, আমরাও প্রস্তুত আছি।
উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশের সভাপতিত্বে করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর ও সঞ্চালনা করেন আইইবির সম্মানী সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এস. এম মনজুরুল হক মঞ্জু।
আরও পড়ুন: বুদ্ধিজীবীদের বিবৃতি কি বুদ্ধি খাটিয়ে শ্রমিকদের বঞ্চিত করতে- প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর
বুদ্ধিজীবীদের বিবৃতি কি বুদ্ধি খাটিয়ে শ্রমিকদের বঞ্চিত করতে- প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর
সম্প্রতি ড. ইউনূসের পক্ষে ৩৪ জন বুদ্ধিজীবীর বিবৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, 'বুদ্ধি লোপ নাকি বুদ্ধি খাটিয়ে শ্রমিকদের ঠকানোর জন্য তারা বিবৃতিটা দিয়েছেন- সেটিই প্রশ্ন।'
সোমবার বিকালে রাজধানীর পান্থপথে সামারাই কনভেনশন সেন্টারে টেলিভিশন ক্যামেরা-জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (টিসিএ) আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমসাময়িক প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।
এতে প্রধান আলোচক ছিলেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, '৩৪ জন বুদ্ধিজীবীর বিবৃতি দেখলাম ড. ইউনূস সাহেবের পক্ষে। তিনি শ্রমিকের পাওনা বুঝিয়ে দেননি। তার প্রতিষ্ঠানের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা ছিল, যা ১২০০ কোটি টাকার বেশি। সেই ১২০০ কোটি টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে ঘুষ দিয়ে ৪০০ কোটি টাকা করা হয় এবং সেটাও তিনি দেননি। এজন্য মামলা জরিমানা হয়েছে। এখন মামলাটি বিচারাধীন।'
আরও পড়ুন: বিএনপিকে লাল পতাকা দেখিয়েছে জনগণ: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'এই পরিস্থিতিতে ৩৪ জন বুদ্ধিজীবীকে বলতে চাই আপনারা যে বিবৃতি দিলেন, শ্রমিকদের পক্ষে আপনাদের কোনো বক্তব্য নেই কেন? ১২০০ কোটি টাকা শ্রমিকদের পাওনা ছিল, সেই পাওনা না দিয়ে সেটা জালিয়াতির মাধ্যমে কমিয়ে ৪০০’ কোটি টাকা করা হলো। আর আপনারা সেটার পক্ষে বিবৃতি দিলেন! আপনাদের বুদ্ধিটা কি এখানে লোপ পেয়েছে, না কি বুদ্ধি খাটিয়ে শ্রমিকদের ঠকানোর জন্য বিবৃতিটা দিয়েছেন -এটি হচ্ছে আমার প্রশ্ন।'
হাছান মাহমুদ বলেন, 'ক্যামেরা সাংবাদিকদের কষ্ট করে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়। অনেক সময় অনেকে তেড়ে আসে, ক্যামেরা ভেঙে দেয়। অনেক ক্যামেরা সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হন। এ সমস্ত ঝুঁকি নিয়ে তারা কাজটা করেন এ জন্য তথ্যমন্ত্রী হিসেবে তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।'
আরও পড়ুন: বিএনপি থাকলে রাজনীতির মাঠ কলুষমুক্ত হবে না: তথ্যমন্ত্রী
সব টেলিভিশন চ্যানেলের কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'এই ক্যামেরা সাংবাদিকদের নিয়মিত বেতন প্রদান ও তাদের প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনার অনুরোধ জানাই।'
টিসিএ সভাপতি শেখ মাহাবুব আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক জীবনের সঞ্চালনায় সভায় সংসদ সদস্য মো. এনামুল হক, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াতের হাতে ক্ষমতা গেলে কেউ শান্তিতে থাকতে পারবে না: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গেলে কেউ শান্তিতে থাকতে পারবে না।
তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানান তিনি।
রবিবার (২৭ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিতে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালাইমনাই অ্যাসোসিয়েশন এ সভার আয়োজন করে।
আনিসুল হক বলেন, দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সকলের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন, গৃহহীণদের গৃহের ব্যবস্থা করেছেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশকে যে অবস্থানে নিয়ে গেছেন, তা সারা বিশ্বে বাঙালি জাতির মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে; বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত করেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে দেশ বিরানভূমি হয়ে যাবে: আইনমন্ত্রী
দুঃখ প্রকাশ করে আনিসুল হক আরও বলেন, যে বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীও হত্যা করার সাহস পায়নি তাকে হত্যা করেছে এদেশেরই কিছু মির্জাফর-বিশ্বাস ঘাতক। তাকে সপরিবারে হত্যার মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে হত্যা করা। কারণ খুনিরা জানতো বঙ্গবন্ধুর পরিবারের একজনও বেঁচে থাকলে তাকে দাবায়ে রাখা যাবে না।
সভাপতির বক্তৃতায় কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বঙ্গবন্ধু কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পুরো কৃষি ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কৃষি উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিপ্লব এনে দিয়েছেন। আমাদেরকে উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কবি নির্মলেন্দু গুণ, সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান,কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালাইমনাই অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী সভাপতি কৃষিবিদ মো. হামিদুর রহমান।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার কুশীলবদের চিহ্নিত করতে কমিশন গঠন করা হবে: আইনমন্ত্রী
সাইবার নিরাপত্তা আইনে কোনো সাংবাদিককে হয়রানি করা হবে না: আইনমন্ত্রী
বিএনপি নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করলে দেশের মানুষ তা প্রতিহত করবে: হাছান মাহমুদ
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির নির্বাচন বর্জনের অধিকার অবশ্যই আছে। তবে নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করলে দেশের মানুষ তাদের শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।
তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচন বয়কটের হুমকি দিলে কিছু যায় আসে না। তারা সিটি করপোরেশন নির্বাচন বয়কট করলেও জনগণ তা বয়কট করেনি। ওই নির্বাচনে ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ ভোট দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি মহাসচিব ২১ আগস্টের ঘাতকদের মুখপাত্র: হাছান মাহমুদ
রবিবার (২৭ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী আইভি রহমানের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রী বিএনপিকে সতর্ক করে বলেন, এটা ২০১৪ নয়, ২০২৩ বা ২০২৪। তাই এখন দেশের মানুষ ২০১৩-২০১৪ সালের নৈরাজ্যের পুনরাবৃত্তি করতে দেবে না।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ও ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলার জন্য বিএনপি নেতাদের দায়ী করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, মোশতাক ও জিয়া ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলেন এবং তারেক জিয়া ২১ আগস্টের গণহত্যা করেছিলেন। তারা আসলে খুনের রাজনীতি করে।
জিয়াউর রহমানের স্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলতে চাই, বেগম খালেদা জিয়ার বিএনপি ১০ বছর ক্ষমতায় থাকলেও জিয়া হত্যার বিচার হয়নি। কারণ কেঁচোর খোঁজে সাপ বের হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের আইনজীবী বলরাম পোদ্দার, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. সিদ্দিকুর রহমান, যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারোয়ার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: বিজেপি মনে করে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হলে তা সুষ্ঠু হবে: হাছান মাহমুদ
এডিস মশার চেয়েও ভয়াবহ বিএনপি: হাছান মাহমুদ