আওয়ামী-লীগ
জঙ্গিবাদ, মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সতর্কতা বাড়াতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার সরকারের অভিযান অব্যাহত রাখবে বলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণকে অপশক্তির বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এই বিষয়ে আপনাদের সকলকেও সতর্ক থাকতে হবে।’
শনিবার কোটালীপাড়া উপজেলার ভাঙ্গার হাটস্থ টিটি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক বিশাল জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সন্তানরা যাতে মাদক ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয় সেজন্য তিনি সকল অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে বলেন।
কোটালীপাড়া উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ভবেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আ.লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী কোটালীপাড়ায় ৪৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং আরও পাঁচটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে একই স্কেলে তুলনা করার বিষয়ে প্রবল আপত্তি করে তিনি বলেন, কেউ কেউ আওয়ামী লীগকে বিএনপির সঙ্গে তুলনা করেন, আবার কেউ বলেন বড় দুই দল।
আরও পড়ুন: আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে: মার্কিন কর্মকর্তাকে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি ও তার ২০ দলীয় জোট ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ৩০টি আসন পেয়েছিল এবং বাকি আসনে আওয়ামী নেতৃত্বাধীন মহাজোট জয়লাভ করেছিল।
তিনি প্রশ্ন করেন, ‘তাহলে কিভাবে এই দুই দল এক হতে পারে?’
তিনি বলেন, বিএনপি শাসনামলে দেশ জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, গ্রেনেড হামলা, ৫০০ জায়গায় বোমা হামলা ও পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ‘তারা মানুষকে কিছুই দেয়নি, তারা শুধু জনগণের অর্থ লুট করেছে।’
তিনি বলেন, বিএনপি নিজেদের দলের গঠনতন্ত্রও মানে না।
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীরা দলকে নেতৃত্ব দিতে পারে না।
তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘বিএনপি একজন নেতাও কি পায় না যে অন্তত সাজাপ্রাপ্ত আসামি নন?’
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ও তার ছেলের নেতৃত্বে বিএনপি চলছে, দুজনেই সাজাপ্রাপ্ত আসামি।
তিনি বলেন, ‘যারা নিজের দলের গঠনতন্ত্র মানে না, নিয়ম মানে না, আইন মানে না, সেই দলের সঙ্গে কীভাবে আওয়ামী লীগের তুলনা চলে।’
তিনি বলেন, যারা ওই ‘বড় দুই দল’ বলেন, তারা ভুল করেন।
আরও পড়ুন: অনির্বাচিত সরকারের দুঃস্বপ্ন থেকে বেরিয়ে আসুন: প্রধানমন্ত্রী
জনগণকে হয়রানি না করে কর দিতে উৎসাহিত করুন: প্রধানমন্ত্রী
সাজাপ্রাপ্ত হয়ে খালেদার রাজনীতি করার সুযোগ নেই: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়ার সুযোগ নেই।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
খালেদার রাজনীতি করতে কোনো বাধা নেই বলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাম্প্রতিক মন্তব্যের সঙ্গে তার বক্তব্য সাংঘর্ষিক।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে এই যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: দেশে অরাজকতা সৃষ্টির দিকে এগোচ্ছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
কাদের বলেন, বিএনপি আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারেনি। ‘তারা এখন পরাজিত এবং অন্ধকার দেখছে।’
বিএনপির কর্মকাণ্ডে ভণ্ডামি করার অভিযোগ তুলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, তারা গণতন্ত্রের কথা বলে কিন্তু কর্মকাণ্ডে উল্টোটা দেখায়।
শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে নগরীর ওসমানী মেমোরিয়াল হলে আয়োজিত অপর এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কাদের বলেন, বিএনপির সন্ত্রাস সম্পর্কে ব্যাপক জ্ঞান রয়েছে কারণ তারা রক্তপাত ও মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার জন্য দায়ী, কিন্তু এখন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারাও এখন দেশে গণতন্ত্রের সমর্থনে সোচ্চার।
তিনি আরও বলেন, ‘তার দৃষ্টিতে এটি তাদের অতীত কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে একটি ভণ্ডামিপূর্ণ অবস্থান। বিএনপি গণতন্ত্র বা মানবাধিকারের জন্য বিশ্বাসযোগ্য সমর্থনকারী নয়।’
রাজনীতিতে মেধাবী ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত না হলে অযোগ্য ব্যক্তিরা আইন প্রণেতা ও মন্ত্রী হবেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন কাদের।
তিনি আরও বলেন, যারা সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি করে, তারাই সবচেয়ে বেশি নৈতিকতার কথা বলে।
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশে ‘জঙ্গি গোষ্ঠীর’ পৃষ্ঠপোষক: কাদের
বিদেশিদের সমর্থনে ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ আর নেই: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদেশিদের সমর্থনে বিএনপির ক্ষমতায় আসার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে তারা (বিএনপি) স্বপ্ন দেখছে দেশের বাইরে থেকে কেউ এসে তাদের ক্ষমতায় বসাবে। সম্ভবত তারা একবার (অন্যদের) অনুগ্রহে তা করতে সক্ষম হয়েছিল। এখন বাইরের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ নেই।’
বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে আর বিএনপি বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি শাসনামলে তার দলকে মিছিল-সমাবেশ করতে দেয়া হয়নি। আ.লীগ সর্বত্র বাধার সম্মুখীন হয়েছে এবং নেতাকর্মীরা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এমনকি রাস্তায় আওয়ামী লীগের নারীদের মারধর ও তাদের কাপড়-চোপড় ছিঁড়ে ফেলা হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা এটা কিভাবে ভুলতে পারি? কিন্তু আমরা প্রতিশোধ নিতে যাইনি। আমরা বাংলাদেশের উন্নয়নে মনোযোগ দিয়েছি এবং আমরা বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করেছি।’
তিনি বলেন, বিএনপি করলেও এখন আওয়ামী লীগ তাদের বিরুদ্ধে কিছুই করে না। এর পরেও তারা অভিযোগ করছে এবং দেশে-বিদেশে সুবিধা কেনার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশে ‘জঙ্গি গোষ্ঠীর’ পৃষ্ঠপোষক: কাদের
বিএনপি দেশে ‘জঙ্গি গোষ্ঠীর’ পৃষ্ঠপোষক: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির শেষ আশ্রয় হচ্ছে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও জঙ্গিবাদ।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস উপলক্ষে আজিমপুর কবরস্থানে ভাষা শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপিকে 'জঙ্গি গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষক' আখ্যায়িত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপি বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে গণতন্ত্রকে হত্যা করে 'একদলীয় শাসন' ব্যবস্থা গড়ে তোলে।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, স্বাধীনতার ৫১ বছর পরও পাকিস্তানি আদর্শে বিশ্বাসী জামায়াতের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা বজায় রাখায় বিএনপির বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
আরও পড়ুন: দেশে অরাজকতা সৃষ্টির দিকে এগোচ্ছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগ।
সকাল সাড়ে ৬টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু ভবনসহ সারাদেশে আওয়ামী লীগের সব শাখা কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করণ এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তারা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মচারীরা ক্ষমতাসীন দলের সেবা করছে, জনগণের নয়: জিএম কাদের
দেশে অরাজকতা সৃষ্টির দিকে এগোচ্ছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সোমবার বলেছেন, বিএনপি বরাবরই সহিংস আন্দোলনে ভালো এবং এখন আবার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দিকে এগোচ্ছে।
সোমবার অমর একুশে বইমেলায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের স্টল পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সড়ক ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, বিএনপি বিদেশিদের সমর্থন নিয়ে রাজনীতি করতে চায়। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন না। তবে তিনি যদি রাজনীতি করতে চান তবে তিনি করতে পারেন।
তিনি বলেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, অথচ আওয়ামী লীগ জনগণের নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি গোপনে দূতাবাসে আসে, আর নিমন্ত্রণ পেয়ে বৈঠকে এসেছে আ.লীগ: কাদের
আগামী সাধারণ নির্বাচনে সহিংসতার কোনো আশঙ্কা নেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি পথ হারিয়ে এখন পদযাত্রায় ডুবে গেছে, রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য নির্বাচনে অংশ নেয়া ছাড়া তাদের আর কোনো উপায় নেই।
এই আওয়ামী লীগ নেতা আরও বলেন, সমাবেশ বা সভা করার জন্য অনেক লোকের প্রয়োজন হয়, কিন্তু সংঘর্ষের জন্য দুই বা চারজনই যথেষ্ট।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি অতীত থেকে সন্ত্রাসবাদের শিক্ষা নিয়েছে এবং তারা আবারও সংঘাত সৃষ্টি করতে পারে।
কাদের বলেন, যাদের ঘরে গণতন্ত্র নেই, তারা কেন দেশের গণতন্ত্র চাইবে?
তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনার আগেরগুলোর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
আরও পড়ুন: আ.লীগ নেতারা কখনো দেশ ছেড়ে পালাবেন না: ওবায়দুল কাদের
খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারলেও আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া রাজনীতিতে অংশ নিতে পারেন, তবে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তিনি আগামী সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না।
মন্ত্রী বলেন, সরকার তার রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করবে না। ‘তিনি রাজনীতি করবেন কি করবেন না, এটি তার ব্যক্তিগত বিষয়।’
রবিবার রাজধানীর জুডিশিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (জেএটিআই) আয়োজিত ওরিয়েন্টেশন কোর্সে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়াকে আর কারাগারে পাঠাবে না সরকার: আইনমন্ত্রী
আনিসুল বলেন, ‘সংবিধানে বলা হয়েছে, দুই বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। নতুন করে বলার কিছু নেই।’
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন এই বিএনপি নেতা। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
তার শারীরিক অসুস্থতার কারণে মানবিক কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সাজা স্থগিত করেছেন।
আরও পড়ুন: আইন বলে দিবে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি-না: আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানো হবে: আইনমন্ত্রী
আ.লীগ জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে আর বিএনপি বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার দল জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে এবং বিএনপি জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আমার সরকারের লক্ষ্য গণতন্ত্র রক্ষা ও জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন করা।
রবিবার রাজধানীর মিরপুর-কালশী ফ্লাইওভার উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গণতন্ত্র রক্ষা ও জনগণের ভাগ্য উন্নয়নই আমাদের লক্ষ্য।’
মিরপুর, মিরপুর ডিওএইচএস, পল্লবী, কালশী, মহাখালী, বনানী, উত্তরা ও ঢাকা বিমানবন্দরে যাতায়াতের সুবিধার্থে ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ঢাকার বালুর মাঠ সংলগ্ন কালশী মোড়ে এক অনুষ্ঠান থেকে ফ্লাইওভারটি যান চলাচলের জন্য উদ্বোধন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, অনেক সংগ্রামের পর আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজনীতির টোকাইদের নিয়ে জোট করেছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমরা জয়ী হয়েছি। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আমরা আবারও জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার সম্পর্কে সচেতন এবং কেউ যদি নির্বাচনে কারচুপি করে তবে তারা তা কখনই মেনে নেবে না।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের কথা সবার মনে আছে। তখন বিএনপি কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করেছিল এবং খালেদা জিয়া নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন। জনগণ তা মেনে নেয়নি।
তিনি আরও বলেন, ‘একই বছরের ৩০ মার্চ গণআন্দোলনের কারণে খালেদা জিয়া পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালের পর বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখনও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল।
তিনি বলেন, বিএনপি এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটারকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে এবং ২০০৬ সালের নির্বাচন ঘোষণা করেছে, যা ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে হওয়ার কথা ছিল। অনেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। যখন জনগণ বুঝতে পেরেছিল যে তাদের ভোট কারচুপি করা হবে, তখন তারা পুনরায় আন্দোলন শুরু করে এবং খালেদা জিয়াকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।
আরও পড়ুন: উত্তরসূরি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের শুভেচ্ছা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯টি আসনে জয়লাভ করে। পরবর্তীতে উপ-নির্বাচনে তারা আরেকটি আসনে জয়লাভ করে। আমরা জনগণের ভোটের মাধ্যমে, তাদের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করে এবং দেশের উন্নয়নের মাধ্যমে বারবার ক্ষমতায় এসেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে রয়েছে এবং আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় সরকার বাংলাদেশের উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত, সমৃদ্ধ ও 'স্মার্ট বাংলাদেশ'।
এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, সেনাবাহিনীর জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নির্বাচনে যেতে ভয় পায়, তাই পথ হারিয়ে তারা পদযাত্রা করছে: সেতুমন্ত্রী
রাজনীতির টোকাইদের নিয়ে জোট করেছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাজনীতিতে যে সব দলের কোনো খবর নাই, নাম নাই, ঠিকানা নাই, সভাপতি আছে সম্পাদক নাই বা সম্পাদক আছে সভাপতি নাই, সেই সব রাজনীতির টোকাইদের নিয়ে জোট করেছে বিএনপি।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রংপুর নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল চত্বরে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি অস্থিরতা তৈরি করতে চায়: তথ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে ডান-বাম-অতিডান-অতিবাম-তালেবান সবাইকে নিয়ে জোট করে মাত্র ছয়টি আসন পাওয়া বিএনপি এবার তাদের সেই ২২ দলীয় জোট ভেঙে দিয়ে করল ১২ দলীয় জোট, তারপর নামসর্বস্ব রাজনীতির 'টোকাই'দের নিয়ে করেছে ৩৪ দলীয় জোট।
তিনি বলেন, গত ডিসেম্বরে বিএনপির ছয় সংসদ সদস্যের পদত্যাগের পর বিএনপি থেকে বেরিয়ে এসে ১ ফেব্রুয়ারির উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে পুনরায় এমপি নির্বাচিত হয়েছেন উকিল আব্দুস সাত্তার। আপনারা যদি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করেন, শতশত উকিল আব্দুস সাত্তার তৈরি হয়ে আছে।
তিনি বলেন, বিএনপি বিষধর সাপ, তারা এখন পদযাত্রার নামে দম নিচ্ছে, সুযোগ পেলেই ছোবল দেবে। এর নমুনাও পেয়েছি। সিরাজগঞ্জ ও অন্যান্য জেলায় তাদের পদযাত্রা থেকে আমাদের সমাবেশের ওপর হামলা, পিস্তল উঁচিয়ে সন্ত্রাসী তাণ্ডব আমরা দেখেছি।
ড. হাছান বলেন, খালেদা জিয়ার ১০ বছর, এরশাদ সাহেবের সাড়ে ৯ বছরে রংপুর 'বিভাগ' হয়নি, জননেত্রী শেখ হাসিনা রংপুরকে বিভাগ বানিয়েছেন, সিটি করপোরেশন বানিয়েছেন, ঢাকা সংযোগ মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত হয়েছে, যেখানে দেশের অর্থনীতির লাইফ-লাইন ঢাকা-চট্রগ্রাম সড়ক এখনও চার লেন।
রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আহবায়ক ডা. মো. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দলের কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া ও অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম, রংপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ও জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শাহাদত হোসেন বকুলসহ স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: উৎসবে দেশেও নিত্যপণ্যের দাম কমানোর সংস্কৃতি চালু করুন: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি রাজনীতি করে খালেদা ও তারেকের জন্য, জনগণের জন্য নয়: তথ্যমন্ত্রী
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে সব দলকে সহযোগিতা করতে হবে: হাছান মাহমুদ
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সবাইকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন শুধু ক্ষমতাসীন দলের দায়িত্ব নয়। তিনি বলেছেন, একটি অংশগ্রহণমূলক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অবাধ নির্বাচন পরিচালনায় সহযোগিতা করা বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব।
শুক্রবার চট্টগ্রামের নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘যদি কোনো দল নির্বাচন বর্জন করে বা বাধা দেয়ার চেষ্টা করে, নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক বা অগ্রহণযোগ্য করার দায়িত্ব তাদের।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা চাই একটি অংশগ্রহণমূলক অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী সরকার নির্বাচিত হোক। বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে একটি অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। আমরা ইইউ রাষ্ট্রদূতদের কাছে বিষয়টি জানিয়েছি। এবং অন্যদেরও একই কথা বলা হচ্ছে। আমরাও চাই বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল দেশের আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।’
আরও পড়ুন: বিএনপি রাজনীতি করে খালেদা ও তারেকের জন্য, জনগণের জন্য নয়: তথ্যমন্ত্রী
নির্বাচনের এক বছর আগে বিদেশি প্রতিনিধিদলের সফর বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশে বেশি দর্শক আসা ভালো, তারা বাংলাদেশে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। যেহেতু বাংলাদেশ একটি উদীয়মান অর্থনীতি, এটি স্বাভাবিক। এর ফলে আমাদের বাণিজ্য বহুমুখী হবে এবং আমরা আরও পণ্য বিক্রি করতে সক্ষম হব।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পাকিস্তান ছাড়া বিশ্বের কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নেই। “বিএনপি পাকিস্তানকে অনুসরণ করে, কিন্তু আমাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়া অস্ট্রেলিয়া, ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের মতোই হবে। দেশের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি গোপনে দূতাবাসে আসে, আর নিমন্ত্রণ পেয়ে বৈঠকে এসেছে আ.লীগ: কাদের
বিএনপি গোপনে দূতাবাসে আসে, আর নিমন্ত্রণ পেয়ে বৈঠকে এসেছে আ.লীগ: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘বিএনপি কাউকে না জানিয়ে গোপনে দূতাবাসে আসে, আর আওয়ামী লীগ নিমন্ত্রণ পেয়ে এখানে বৈঠক করতে এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক হিসেবে দেখতে চায়। আওয়ামী লীগও চায় একটি সুন্দর, ত্রুটিমুক্ত ও সুষ্ঠু নির্বাচন। তবে বিএনপি নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে কৌশল অবলম্বনের চেষ্টা করছে।’
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর গুলশানে ইইউ মিশন প্রধানদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইইউ-এর সম্পৃক্ততার অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করেন ইইউ মিশন প্রধানরা।
বিএনপি আগুন-সন্ত্রাসের ওপর ভর করে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সংলাপে বিশ্বাস করে না। তারা রাষ্ট্রপতি ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংলাপে অংশ নেননি।
মন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ কারও হুকুম মানে না; তারা শুধু সংবিধান মেনে চলে।’
নির্বাচন, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ দেশের বিভিন্ন বিষয়ে অর্থপূর্ণ আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণের উদ্ধৃতি দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচন হবে বিশ্বাসযোগ্য, সুষ্ঠু ও অবাধ। ইসি স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। শেখ হাসিনার সরকার ইসিকে সব ধরনের সহায়তা দেবে।
বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাতটি দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।