বিএনপি
ক্ষমতায় থাকার জন্য খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে: ফখরুল
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে সরকারের ক্ষমতায় থাকা কঠিন হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফরখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। কারণ তিনি মুক্ত হলে সরকারের পক্ষে ক্ষমতায় থাকা কঠিন হবে।
তিনি বলেন, বেগম জিয়া কারাগার থেকে বের হলে দেশের গণতন্ত্র মুক্তি পাবে এবং জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া যাবে না।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঢাকার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার এবং সরকার পতনের একদফা দাবিতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করা খালেদা জিয়াকে আজ ঘরে বন্দি করে রাখা হয়েছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে যে আবেদন করা হয়েছে তা সরকার বাস্তবায়ন করবে।’
আরও পড়ুন: আবারও সিসিইউতে খালেদা জিয়া
ফখরুল বলেন, এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে সারাদেশের মানুষ যখন জেগে উঠেছে তখন, এই নারী সমাবেশ তাদের আরও সাহস যুগিয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, এই সরকারের দমন-পীড়ন থেকে মা-বোনেরাও রক্ষা পায়নি। সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের নামে তাদের আটকে রাখা হয়েছে। লেখালেখির মাধ্যমে সত্য তুলে ধরার জন্য তাদের পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের দুর্ভোগের কথা জানিয়ে এই বিএনপি নেতা বলেন, সরকারের নির্ধারিত মূল্য কেউ মানছে না এবং সব জায়গায় আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেট।
সরকার উৎখাতে নারী-পুরুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার ফের ক্ষমতায় এলে দেশের স্বাধীনতা বিলীন হয়ে যাবে।
মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আফরোজা আক্তার রিতা, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, দলের নেত্রী হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনে চুরি করলে রেহাই নেই: আমীর খসরু
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার দায়ী: ফখরুল
আবারও সিসিইউতে খালেদা জিয়া
ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে আবারও কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
গত ৯ আগস্ট থেকে হাসপাতালে ভর্তি আছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত সপ্তাহে তাকে দুইবার কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ‘হীরক রাজার দেশে’ পরিণত করেছে সরকার : আব্বাস
অন্যদিকে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্থায়ী জামিনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আপিলটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে এবং তা যাচাই-বাছাই করে শিগগিরই আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।
২০২০ সালে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তির পর থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: সিসিইউ থেকে কেবিনে ফিরলেন খালেদা জিয়া
২০২০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের পর খালেদাকে পুরান ঢাকা কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।
করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়। তবে, এতে শর্ত থাকে যে তিনি গুলশানের বাড়িতে থাকবেন এবং দেশ ছেড়ে যাবেন না।
আরও পড়ুন: মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে খালেদা, কোনো উন্নতি নেই: চিকিৎসক
আগামী নির্বাচনে চুরি করলে রেহাই নেই: আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে গণতান্ত্রিক দেশগুলো বাংলাদেশের ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আমিনবাজারে ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে চুরি করার পথে যারাই হাত বাড়াবে, তারা কেউ রেহাই পাবে না।’
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বারবার বলা হচ্ছে, এই ভোট চুরির সঙ্গে যারা সরাসরি ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকবেন, যারা দেখেও না দেখার ভান করছেন তারাও বাদ যাবেন না।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান রিজভীর
তিনি আরও বলেন, ‘সবার বুকেই ধড়ফড় শুরু হয়ে গেছে। বাইরে দেখান খুব সাহসী, কিন্তু ভেতরে এত সাহস নেই।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সেলফি প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, ‘ওয়াশিংটনে জাতিসংঘের সব কাজ শেষে বিশ্বের সব নেতারা বাড়ি চলে গেলেও আমাদের অনির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী ওয়াশিংটনে বসে আছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘অবস্থা বুঝতে পারছেন, কতটা খারাপ! কত খারাপ অবস্থা বুঝতে পারছেন, সেলফি তুলেও এখন কোনো কাজ হচ্ছে না। সেলফি তুলে কতদিন একটু ফুরফুরা মেজাজে ছিলেন, তারপর দেখা গেল স্যাংশন। আওয়ামী লীগ যে ভুয়া, সারা বিশ্ব বুঝে গেছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ‘হীরক রাজার দেশে’ পরিণত করেছে সরকার : আব্বাস
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমি পরিষ্কারভাবে বলছি সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। দেশে একটি নির্বাচিত সরকার এবং সংসদ হবে, যারা জনগণের কাছে দায়ী থাকবে, তাদের জবাবদিহি থাকবে।
ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশরাফের সভাপতিত্বে ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রিপন রায়ের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার দায়ী: ফখরুল
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার দায়ী: ফখরুল
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে দায়ী করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘এই ভিসা নীতিতে, আমাদের সাংবাদিকদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হবে... কেন এই জাতিকে এর মধ্য দিয়ে যেতে হবে? আমরা খুব ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্যে আছি। অনেক মানুষ আছে যারা খুব খুশি। এটা আনন্দের বিষয় নয়, এটা লজ্জার।’
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে প্রয়াত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আ স ম হান্নান শাহের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্যে আছি, দেশের অবস্থা ভয়াবহ। সেই অবস্থা থেকে বের না হলে পুরো জাতির অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। আজ এই বিপদ, এই সংকট শুধু বিএনপির নয়, এই সংকট জাতির।’
তিনি বলেন, ‘সবকিছুই নির্ভর করছে আগামী কয়েকদিনের ওপর--ভবিষ্যতে আমরা স্বাধীন থাকব কি না, আমাদের স্বাধীনতা থাকবে কি না, আমাদের সার্বভৌমত্ব থাকবে কি না, আমার দেশ একটি ক্রীতদাস রাষ্ট্রে (ভ্যাসেল স্টেট) পরিণত হবে কি না, আমার গণতান্ত্রিক অধিকার থাকবে কি না। আমি আমার পছন্দ অনুযায়ী আমার প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারি কি না।’
তিনি বলেন, ‘জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জনগণ সব দলের অংশগ্রহণে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। তারা এর কোনো বিকল্প চায় না।’
ফখরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করছি। প্রায় এক বছর ধরে আমরা রাজপথে রয়েছি, এতে আমাদের ২২ জন তরুণ নেতা রাস্তায় পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন, আমাদের ওপর অসংখ্য মামলা হয়েছে, আমরা রয়েছি। বহুবার জেল খাটতে হয়েছে, তারপরও ওরা কখনো আমাদের দমাতে পারেনি, পারবেও না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক বুদ্ধিজীবী টেলিভিশনের টকশোতে আর আসেন না। কারণ কী? তাদের হুমকি দেওয়া হয় যে, সরকারের বিরুদ্ধে গিয়ে কথা বললে বিপদে পড়বেন... আমরা এই অবস্থায় বাস করি।’
গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বেনজীর আহমেদ টিটু ও শ্রম বিষয়ক সহসম্পাদক হুমায়ুন কবির খান।
মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে খালেদা, কোনো উন্নতি নেই: চিকিৎসক
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের (সিসিইউ) কেবিনে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
মঙ্গলবার বিএনপির মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আমি বিকাল ৫টায় ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) মেডিকেল বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি বলেন, চেয়ারপার্সন মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। ডা. জাহিদ তার জন্য সবাইকে দোয়া করতে বলেছেন।’
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে বিদেশে পাঠান: ফখরুল
বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ম্যাডামের শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। গত কয়েকদিন ধরে তিনি একই অবস্থায় আছেন। তাকে মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’
ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, অতীতে আমরা দেখেছি আ স ম আবদুর রব, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এমপি হাজী সেলিম চিকিৎসার জন্য বিদেশে গেছেন। সরকার যদি প্রথম থেকে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দিত, তাহলে তার এই অবস্থা হত না।’
আরও পড়ুন: সিসিইউ থেকে কেবিনে ফিরলেন খালেদা জিয়া
বাংলাদেশকে ‘হীরক রাজার দেশে’ পরিণত করেছে সরকার : আব্বাস
সরকার দেশকে ‘হীরক রাজার দেশে’ পরিণত করেছে এবং হীরক রাজার মতোই পরিণতি হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেন, কারো একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। এটা কোনো রাজা বা রানির রাজ্য নয় এবং 'হীরক রাজার দেশ'-এ পরিণত হবে না।’
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঝিনাইদহ বাস টার্মিনালে দলের রোডমার্চ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন।
বিএনপির রোডমার্চ সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে ঝিনাইদহ শহর থেকে শুরু হয়ে যশোর ও মাগুরা হয়ে খুলনায় গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
তিনি সরকার পতনের জন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে: ফখরুল
আব্বাস আরও বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সরকার মানি লন্ডারিং করে দেশকে দেউলিয়া করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, ‘আমরা সেটি বললেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠায়। স্বাধীন দেশে এসব সহ্য করা হবে না।’
গতকাল অনুমতি না পেয়ে আমিনবাজারের সমাবেশ স্থগিত করেছে বিএনপি।
আরও পড়ুন: আমিনবাজারের সমাবেশ স্থগিত করেছে বিএনপি
তিনি আরও বলেন, একসময় বাংলাদেশের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২১ হাজার কোটি টাকা আর এখন তা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা। ‘জনগণ জানতে চায় এই টাকা কোথায় গেল?’
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চলমান এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে রোডমার্চসহ ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ১৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার কর্মসূচি দুই দিন বাড়িয়ে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত করে দলটি।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান রিজভীর
খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান রিজভীর
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে অথবা সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘তিনি একজন নারী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী। দেরি না করে তাকে বাঁচানোর জন্য এখনই পদক্ষেপ নিন। অন্যথায় সরকারকেই এর দায় নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী
সোমবার বিকালে দলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলামের সঙ্গে বিএনপি নেতা রিজভী এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে গিয়ে এ কথা বলেন।
হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে রিজভী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। ডাক্তাররা তাকে বিদেশে নিয়ে যেতে বলছেন, কারণ এখানে তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করার পর তারা বুঝতে পেরেছেন যে তার উন্নত চিকিৎসা দরকার।’
এ সময় খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন রিজভী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিন ধরে তার অবস্থা খুবই খারাপ। তাকে ডাক্তারের বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ থেকে বার্তা না পেলে কঠোর কর্মসূচি: রিজভী
সালাহউদ্দিন আহমেদকে বিনা চিকিৎসায় কারাগারে বন্দি রেখেছে: রিজভী
মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে: ফখরুল
মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
একটি আঞ্চলিক দৈনিকের একটি অংশের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সচিবালয়ে আলোচনা হচ্ছে, যারা সরকারের অবৈধ কাজে সহায়তা করেছে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। প্রসাশন উৎকণ্ঠা রয়েছে। বোঝা যাচ্ছে এ সরকারের পতন ঘণ্টা বেজে গেছে।’
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর ধোলাইখালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে উল্লেখ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, চিকিৎসকরা তাকে জরুরি ভিত্তিতে বিদেশে নিয়ে যেতে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘তাই অবিলম্বে নেত্রীকে মুক্তি দিন, অন্যথায় সব দায়-দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শুধু মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নয়, এদেশের মানুষ এখন নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে এই সরকারকে। এদেশের মানুষ পরিষ্কার ভাষায় একবাক্যে বলছে, এখন অনেক হয়েছে, অনেক অত্যাচার, নির্যাতন করেছে, নেতাদের কারাগারে আটক করেছে, আমরা আর সেটা হতে দেব না। এজন্য আমরা আন্দোলন করছি।’
তিনি বলেন, ‘এখনও সময় আছে, এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কথা ভেবে নিয়ে আপনারা পদত্যাগ করুন, সংসদ বিলুপ্ত করুন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন দিয়ে এই রাজনৈতিক সংকট দূর করুন। অন্যথায় সব দায়-দায়িত্ব আপনাদেরই নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খালেদাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা নিন: ফখরুল
তিনি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘এ সরকার সহজভাবে কথা শুনবে না, তরঙ্গের ওপর তরঙ্গ সৃষ্টি করে আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের ধাক্কা দিয়ে সরাতে হবে। তাই আন্দোলনের তরঙ্গ সৃষ্টি করতে হবে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কাজ না হলে কঠোর আন্দোলনে যেতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। আপনারা যতই চেষ্টা করেন এই দেশের মানুষকে আর ঘরে ফেরাতে পারবেন না। ’
এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, স্বাবলম্বীবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।
এর আগে, সোমবার বেলা ১১টা থেকে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী স্লোগানে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন।
ধোলাইখাল মোড়ে সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও তা রায় সাহেব বাজার, টিপু সুলতান রোড, লক্ষ্মীবাজার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম।
আরও পড়ুন: ‘মেগা দুর্নীতির’ মাধ্যমে কিছু মানুষ ধনী হয়েছেন: বিএনপি নেতা নজরুল
চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে বিদেশে পাঠান: ফখরুল
আমিনবাজারের সমাবেশ স্থগিত করেছে বিএনপি
সমাবেশের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি না পাওয়ায় ঢাকার আমিনবাজারে অনুষ্ঠিতব্য আজকের সমাবেশ স্থগিত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে বলেন, প্রশাসন আমাদের অনুমতি না দেওয়ায় আমরা আমিন বাজারে আজকের সমাবেশ স্থগিত করেছি।
সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিএনপির চলমান এক দফা আন্দোলনের অংশ ছিল এই সমাবেশ।
ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীর বরাত দিয়ে শায়রুল অভিযোগ করেন, রবিবার মধ্যরাতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা অনুষ্ঠানস্থলে নির্মিত মঞ্চ ভাঙচুর করেছে।
বিএনপির সিনিয়র নেতা ও সমাবেশের প্রধান অতিথি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বিষয়টি নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ‘মেগা দুর্নীতির’ মাধ্যমে কিছু মানুষ ধনী হয়েছেন: বিএনপি নেতা নজরুল
আজ বিকাল ৩টায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈঠকের পর সমাবেশের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে বিকাল ৩টায় পুরান ঢাকার ধোলাইখাল এলাকায় সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চলমান এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে রোডমার্চসহ ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ১৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার কর্মসূচি দুই দিন বাড়িয়ে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খালেদাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা নিন: ফখরুল
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খালেদাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা নিন: ফখরুল
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অন্যথায় কিছু হলে সরকার দায়ী থাকবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ফখরুল বলেন, ‘আমি তাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। তাকে কখনো কাঁদতে দেখিনি। তিনি এতটাই পাতলা হয়ে গেছেন যে তিনি ঠিকমতো কথা বলতে পারে না। চিকিৎসক বলেছেন আপনার যদি কিছু করার থাকে তবে করুন, তিনি ভালো নেই।’
রবিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি এবং চিকিৎসার জন্য পাঠানোর দাবিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনের চেষ্টা করবেন না: মির্জা ফখরুল
খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, তার কিছু হলে তা শুধু বিএনপির নয়, জনগণ, গণতন্ত্র ও দেশের জন্যও বড় ক্ষতি হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, এটা দেশের জন্য সম্মানের নয়।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এমন একজন নেত্রী গণতন্ত্রের জন্য, দেশের প্রয়োজনে রাজপথে নেমেছিলেন এবং এরশাদকে হটিয়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন, তাকে পর্যাপ্ত চিকিৎসা ছাড়াই বন্দি করে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ১৭৬ দিনের হরতাল পালন করেছে এবং খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের স্বার্থে সংবিধান পরিবর্তন করে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা চালু করেছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন মির্জা ফখরুল
ফখরুল বলেন, দেশের মানুষ এখন বলছে সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো সম্ভাবনা নেই এবং গণতন্ত্রপন্থী কোনো দলই সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে না। এই অবস্থা চলতে থাকলে দেশের ভবিষ্যৎ ধ্বংস হয়ে যাবে।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান খান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-ভারতের কথায় মাথা ঘামানোর দরকার নেই: মির্জা ফখরুল